#Game
#মিমি_মুসকান ( লেখনিতে )
#পর্ব_২১
কবীর চৌধুরী আজ বেশ খুশি! অবশেষে এতোদিন পর খান কোম্পানির সাথে মিটিং এডেন্ট করতে পারবে। কবীর চৌধুরী অপেক্ষা করছে অভ্র’র জন্য। প্রায় অনেকক্ষণ পর একজন আসল। তবে এটা অভ্র না মেহেরিন! তাকে চিনতে কবীর চৌধুরী’র কষ্ট হলো না। মেহেরিন কে দেখে কবীর চৌধুরী উঠে তার সাথে হাত মিলালো। মেহেরিন মুচকি হেসে বলল…
– তো মিঃ কবীর চৌধুরী! অবশেষে ডিল টা পাচ্ছেন আপনি!
– অনেক দিন এটার জন্য অপেক্ষা করেছি আমি, আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। তোমাদের সাথে কাজ করার ইচ্ছা অনেক দিনের আমার।
– শুনে ভালো লাগলো।
– এই যে ফাইল, একবার দেখে নাও।
– দেখা লাগবে না, ডিল টা আপনিই পাচ্ছেন।
– তবুও!
– দরকার নেই আমাদের সাথে বেইমানি করে আপনি পারবেন না। যাই হোক আপনার সম্পর্কে সব জানি আমি। খুব সৎ মানুষ আপনি।
– ধন্যবাদ তোমাকে!
– আমাকে মেহেরিন বলে ডাকতে পারেন। আপনার থেকে ছোট আমি নাম ধরে ডাকলে সমস্যা নেই।
কবীর চৌধুরী একগাল হেসে মেহেরিনের দিকে তাকালেন। মেহেরিন বলে উঠে..
– তা আপনার ছেলের নাকি বিয়ে!
– হুম মেহেরিন! এই যে কার্ড তোমার জন্য। তোমরা সবাই আসলে খুব খুশি হবো।
মেহেরিন কার্ড’টা হাতে নিয়ে বলল..
– তাহলে কাজ কাল থেকে শুরু করে দিন মিঃ কবীর!
– জ্বি অবশ্যই! আজ তাহলে আমি আসি।
– আশা করছি খুব দ্রুত আপনার সাথে দেখা হবে।
কয়েকদিন পর…
আহিয়ান আর নিতি বিয়ের শপিং করতে মলে গেলো। সেখানে গিয়ে আহিয়ান একটা লেহেঙ্গা পছন্দ করল নিতি’র জন্য। মেরুন রঙের একটা লেহেঙ্গা, কিন্তু নিতি লাল রঙের লেহেঙ্গা কিনার জন্য জোর করল। তাই আহিয়ান লাল রঙের লেহেঙ্গা কিনল। শপিং করে দোকান থেকে বের হবার সময় নিহা’র সাথে দেখা হলো। নিতি নিহা কে দেখে বলে…
– আরে নিহা! কেমন আছো!
– অনেক ভালো তুমি! বিয়ের শপিং করতে এলে বুঝি।
– হ্যাঁ আর কয়েকদিন পরেই তো বিয়ে! বিয়েতে আসবে কিন্তু!
নিহা আহিয়ান’র দিকে তাকিয়ে বলে..
– আমি না আসলে বিয়ে হবে কি করে!
– মানে!
– মানে আমি না আসলে বিয়ে টা দেখবো কিভাবে! তোমাকে বউ সাজে দেখতে হবে তো।
আহিয়ান নিহা কে দেখছে। খুব স্বাভাবিক লাগছে তাকে। আহিয়ান জানত নিহা কে এমন’ই পাবে কারন ও বাইরে থেকে খুব স্ট্রং। কিন্তু আহিয়ান জানে ভেতরে ভেতরে খুব কষ্ট পাচ্ছে নিহা। আর এই কষ্ট আরো দ্বিগুন হবে যখন নিতি কে তার সাথে বিয়ে হতে দেখবে।
.
বিয়ের আগের রাতে…
নিহা ঘরে লেহেঙ্গা পরে নিজেকে আয়নায় দেখতে লাগল। খুব মিষ্টি লাগছে তাকে। হঠাৎ কেউ বলে উঠে…
– বলতে হবে আমার জিজু’র পছন্দ আছে।
নিহা তাকিয়ে দেখে মেহেরিন দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নিহা বলে উঠে…
– তুই কিভাবে জানলি!
– জানি জানি জিজু এটা তার এক্স উড বি ওয়াইফ এর জন্য পছন্দ করেছিলো কিন্তু সে পছন্দ করে নি। কিন্তু তুমি ঠিক’ই পছন্দ করলে।
– কেন উনার পছন্দ কেমন সেটা কি আমাকে দেখলে বুঝা যায় না।
– হ্যাঁ যায় তো। তার এই ভূতনি বউ যে বিশ্ব সুন্দরী সেটা তো জানি!
– তুই এটাও জানিস!
– দারুন নাম কিন্তু হুম ভূতনি!
– হুম উনিও দারুন।
– হুম দেখেছি বলতে হবে আমার বোনের পছন্দ খারাপ না। আচ্ছা এখন ঘুমিয়ে পড়ো কাল বিয়ে তোমার। সারারাত জেগে থাকলে মুখের নকশা নষ্ট হয়ে যাবে।
– পাকনা মেয়ে একটা!
– অনেক হয়েছে এখন ঘুমিয়ে পড়ো। কাল আমি নিজে সাজিয়ে দেবে তোমাকে!
নিহা মেহেরিন’র দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল!
এদিকে আহিয়ান একা ছাদে দাঁড়িয়ে আছে। রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদ দেখছে। তখন হঠাৎ নিহা’র একটা কথা পড়ল তার! নিহা বলেছিল..
– পুরো আকাশের বুকে যেমন একটা চাঁদের আবাস, তেমনি তোমার মনে শুধু আমার আবাস!
কথাটা মনে পড়তেই আহিয়ান’র ঠোঁটের কোনে অজান্তেই হাসি ফুটল। তবে সেটা বেশিক্ষণ’র জন্য না। কারন নিহা’র জন্য তার মনে শুধুই ঘৃনা। এছাড়া আর কিছু নেই। হঠাৎ কারো উপস্থিত পেলো সে। এটা নিতি, নিতি আহিয়ান’র সামনে এসে দাঁড়ালো। বলল…
– এতো রাতে এখানে কি করছো!
– কিছু না। কিন্তু তুমি এখানে!
– এমনেই ঘুম আসছিলো না আসলে বিশ্বাস’ই হচ্ছে না কাল তোমার আমার বিয়ে। খুব ভালোবাসি তোমায় আহি!
বলেই আহিয়ান কে জরিয়ে ধরল। আহিয়ান এক হাত দিয়ে ধরল তাকে।
.
বিয়ের দিন…
চৌধুরী বাড়িতে আজ খুশির আমেজ। চৌধুরী বাড়ির বড় ছেলে’র বিয়ে বলে কথা। পুরো রাজকীয় আয়োজন। বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তার সাথে মিডিয়াও উপস্থিত আছে। স্টেজে বসে আছে আহিয়ান তবে নিতি এখনো আসে নি। তার এখনো সময় লাগবে আসতে। এদিকে মানুষজন সব এসে গেছে। আহিয়ান তার বাবা কে বলে..
– তোমাকে এতো চিন্তিত লাগছে কেন ড্যাড!
– একজন বিশেষ অতিথি আসবে তার জন্য!
– কে সে?
– এলেই দেখতে পারবে!
আহিয়ান আর কিছু বললো না। আহিয়ান’র মা এসে তার পাশে বসলো। হঠাৎ তার বাবা অস্থির হয়ে উঠলেন। আহিয়ান ভাবল হয়তো সেই বিশেষ অতিথি চলে এসেছে। কবীর চৌধুরী তাদের স্বাগতম জানানোর জন্য কয়েকজন লোক কে নিয়ে গেলো। আহিয়ান’র মা নিজেও গেলেন। আহিয়ানের কৌতুহল বেড়ে গেল। বিশেষ অতিথি কে দেখবার জন্য।
অবশেষে লোকজন এখানে আসতে লাগলো। প্রথমেই কয়েকজন গার্ড আসলো। সেখানে ডেভিল কে দেখে আহিয়ান ভাবল হয়তো নিহা আসছে। তবে তার ধারনা ভুল হলো যখন দেখলো একটা সবুজ রঙের লেহেঙ্গা পড়ে মেহেরিন আসছে। আহিয়ান অবাক হয়ে বলল…
– মেহেরিন বর্ষা খান! ও এখানে!
শুধু তাই নয় সেম রঙের লেহেঙ্গা পড়ে নিশিও আসলো। তার সবুজ রঙের পাঞ্জাবি পড়ে নীল ওরা সবাই হাজির। কিন্তু নিহা কে দেখতে পেলো না সে। আনহা প্রেগন্যান্ট বলে সে আসেনি আর তাকে দেখাশোনার জন্য অভ্র ও আসেনি। কিন্তু তারা কেউ জানে না আজ নিহা’র বিয়ে। এমনকি এখানে উপস্থিত কেউ জানে না শুধু মেহেরিন ছাড়া। মিডিয়ার লোকজন মেহেরিন দের ছবি তুলতে ব্যস্ত। এক পর্যায়ে মেহেরিন আর আহিয়ান’র চোখাচোখি হলো। মেহেরিন তাকে দেখে একটা রহস্যময় হাসি দিলো। তবে এই হাসির মানে বুঝলো না আহিয়ান।
আহিয়ান খেয়াল করল তার মা আর বাবার সাথে মেহেরিন’র খুব ভাব। প্রায় অনেকক্ষণ পর কনে কে আনা হলো। কনে’র মুখ দেখা যাচ্ছে না কারন পুরো মুখ ঘোমটা দিয়ে ঢাকা। তবে তার লেহেঙ্গা দেখে সে ভারী অবাক। কারন এটা তার পছন্দ করা সেই মেরুন রঙের লেহেঙ্গা! কনে কে নিয়া আসা হচ্ছে স্টেজে’র কাছে। মেহেরিন উঠে গিয়ে কনের হাত ধরে আহিয়ান’র সামনে এসে দাড় করালো। আহিয়ানের এবার সন্দেহ হলো কিন্তু কি করবে বুঝতে পারছে না। মেহেরিন বলে উঠে…
– হবু বউ’র হাত ধরে তাকে বসানোর দায়িত্ব আপনার তাই নয় কি?
মেহেরিন’র কথা শুনে আহিয়ান এসে কনের হাত ধরল। হাত ধরার পর আহিয়ানের আর বুঝতে বাকি নেই এটা নিহা! আহিয়ান কাউকে কিছু না বলে ঘোমটা সরিয়ে ফেলল। অতঃপর তার সন্দেহ ঠিক হলো। কারন এটা নিহা। আহিয়ান বলে উঠে….
– নিহা তুমি!
আহিয়ানের কথা শুনে রোদ্দুর, নিশি, নীল সবাই অবাক। মিডিয়ার লোকজন সবাই এখন আহিয়ান আর নিহা’র দিকে ক্যামারে ধরে আছে। সব নিউজ চ্যানেলে এখন এই খবর প্রচারিত হতে লাগলো। আহিয়ান চৌধুরী’র সাথে নিহারিকা নিহা খান’র বিয়ে হতে চলেছে। এক্ষেত্রে মেহেরিন বলে উঠে…
– তাহলে আর কে থাকবে জিজু!
– কে থাকবে মানে নিতি থাকবে। আমার উড বি ওয়াইফ তো সেই!
– সরি সেটা উড বি হবে না হবে এক্স উড বি ওয়াইফ! আর সে ওয়াইফ হবে না হবার কথা ছিলো।
– মানে!
নিহা বলে উঠে..
– মানে টা আপনাকে আমি বুঝাচ্ছি আহিয়ান চৌধুরী!
বলেছিলাম না আপনার প্রতিশোধের ঋণ এখনো বাকি আছে।
– আমি তোমাকে বিয়ে করবো না কোনোমতে না।
নিহা আহিয়ান কে ধাক্কা দিয়ে বসিয়ে তার দিকে ঝুঁকে বলে…
– বিয়ে তো আপনি আমাকেই করবেন। হয়তো নিজ ইচ্ছায় না হলে জোর করে করবেন তো আমাকেই। বলেছিলাম না আপনার আকাশে শুধু আমার নামেই চাঁদ থাকবে। ভাবলেন কিভাবে সেখানে অন্য চাঁদের আবদার আমি মেনে নেবো। এভাবেও চাঁদ একটাই থাকে। কিন্তু আপনি তো দেখি চাঁদ ছেড়ে তাঁরা কে নিজের করতে চেয়েছেন।
– বাজে কথা একদম বলবে না।
মেহেরিন স্টেজ থেকে নিচে নেমে বলে…
– বাজে কথা কোথায় বললাম জিজু!
– নিতি কোথায়? নিতি কোথায় মেহেরিন!
– আরে জিজু আমি এতোটাও খারাপ না যে আপনার এক্স কে মেরে ফেলবো। সে বেঁচেই আছে। তবে আপনার আর দি’র বিয়ের পর’ই তার মুখ দেখতে পারবেন আমি।
– আমি এই বিয়ে করবো না।
– আমি তো ঘি চামচ দিয়ে উঠাই আপনি বলবে ছুরি ইউজ করতে রাজী আছে। ওভার অল আমার জিজু বলে কথা। এতো টুকু কষ্ট তো করতেই পারি।
আহিয়ান মেহেরিন’র কথার অর্থ ঠিক’ই বুঝতে পারলো। সে যে তাকে নিতি’কে মারার হুমকি দিচ্ছে সে বুঝতে বাকি নেই তার। কিন্তু যাই হোক এই বিয়ে সে করবে না। নিহা কে বিয়ে তার ভাইয়ের খুনি কে কখনো বিয়ে করবে না সে। আহিয়ান বলে উঠে…
– তবুও বিয়ে করবো না আমি। কখনো বিয়ে করবো না এই মেয়েটাকে!
মেহেরিন মুচকি হাসি দিয়ে আবারও স্টেজে উঠে। অতঃপর নিহা কে সরিয়ে আহিয়ান’র সামনে দাঁড়ায়। অতঃপর আস্তে করে বলে…
– বুদ্ধিমান আপনি। আমি ভেবেছিলাম হয়তো আপনার প্রাক্তন প্রেমিকা কে অনেক ভালোবাসেন আপনি। তাই বিয়েটার জন্য বেশি কাঠখড় পোড়াতে হবে না আমার। কিন্তু দেখছি আপনি খুব জেদি। পুরো আমার দি এর মতো। আচ্ছা একটা কথা বলি! প্রাক্তনের কথা নাই চিন্তা করলেন তবে নিজের মা বাবা’র চিন্তা তো ঠিক’ই করতে পারেন।
মেহেরিন’র কথায় কথায় আহিয়ান তার মা বাবা কে খুঁজতে পায়। অতঃপর দেখে তারা এক পাশে দাঁড়ানো। আহিয়ান দৃষ্টিহীন ভাবে তাদের দেখতে থাকে। মেহেরিন আহিয়ানের সামনে চুটকি বাজিয়ে বলে…
– আরে আরে আমি নির্দয় নই। উনারা বেচেই আছে। তবে বয়স হয়েছে কিন্তু। কোনো বড় শক তাদের জন্য ঠিক না।
আহিয়ান ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকে। মেহেরিন বলে উঠে…
– আচ্ছা বুঝতে পেরেছি অনেক কনফিউশন এ ভুগছেন আমি ক্লিয়ার করি ওকে। আপনার বাবা অনেক সাধনার পর অবশেষে খান কোম্পানির সাথে ডিল করতে পেরেছে। এখন বুঝতেই পারছেন আমি যদি ডিল টা ক্যান্সেল করে দেই তাহলে কি হতে পারে। আপনাদের কোম্পানী পুরো ঢুবে যাবে। একবারে মাটিতে মিশে যাবে, এখন একটা কথা বুঝুন যত তাড়াতাড়ি মাটিতে মিশবে তত তাড়াতাড়ি কিন্তু সেটাকে উঠাতে পারবেন না। কোম্পানি উঠাতে উঠাতে যুগ পাড় হয়ে যাবে। রাস্তার ফকির হয়ে যাবেন। এই বয়সে বাবা মা দের এই কষ্ট দিবেন।
– মেহেরিন.. তুমি এটা কিভাবে করতে পারো!
– আমার দি এর জন্য আমি কি করতে পারি সেটা সম্পর্কে আপনার ধারনা নেই। এখনও যদি না বুঝতে চান তাহলে আপনার মা বাবা’র সাথে কথা বলতেন পারেন। তারা কিন্তু রাজী এই বিয়েতে। এই নিয়ে তাদের সাথে আমার অনেক আগেই কথা হয়ে গেছে। বাকি টা আপনার ইচ্ছা!
আহিয়ান কি বলবে কিছু বুঝতে পারে না। মেহেরিন নিহা কে আহিয়ান’র পাশে বসিয়ে দেয়। আহিয়ান যে সব জায়গা দিয়ে ফেঁসে গেছে সেটা সে ভালোই বুঝতে পেরেছে। তবে এরকম যে হবে এটার ধারনা ছিলো না তার। মেহেরিন বুঝে গেছে আহিয়ান হার মেনে গেছে। সে কাজী কে ডাক দেয় বিয়ে পড়ানোর জন্য। অবশেষে আহিয়ান আর নিহা’র বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়ে শেষ হবার পর নিতি দৌড়ে আসে। তাকে দেখে মনে হচ্ছে তাকে অজ্ঞান করা হয়েছিল। আহিয়ান’র বিয়ে হয়ে গেছে শুনে আবারও অজ্ঞান হয়ে যায় নিতি। আহিয়ান’র কিছু বলার থাকে না। দুজনেই যায় আহিয়ান মা বাবা’র কাছে। তারা দুজনেই খুব খুশি। কাব্য মেহেরিন কে খুঁচিয়ে বলে…
– এটা কি হলো?
– বিয়ে!
– কিন্তু নিহা দি!
– কেন জিজু ভালো লাগে নি।
– না তা না কিন্তু তুই তো জোর করিয়ে বিয়ে দিলি।
– এটা দরকার ছিলো তাই। এখন চল!
.
মেহেরিন’র কথায় নিহা আর আহিয়ান কে নিয়ে খান বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলো। যদি ও এটা নিয়ম না তবুও নিহা কে সে এখানে রাখতে রাজী না। আহিয়ানের মা বলে উঠে…
– আমাকে তোমার বিশ্বাস হয় না মেহেরিন!
– আরে সুইট আন্টি, কি যে বলো তুমি! তোমাকে বিশ্বাস করবো না তো কাকে করবো কিন্তু তোমার এই ছেলেকেই আমার বিশ্বাস নেই। একা পেয়ে যদি আমার দি কে মেরে ফেলে তখন।
মেহেরিন’র কথায় সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তার দিকে এমনকি আহিয়ান নিজেও। এসব ভাবে নি সে। মেহেরিন সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে…
– আমি রিস্ক নিতে চাই না। সবকিছু ঠিকঠাক হলে দি আর জিজু কে নিজেই দিয়ে যাবো। ততোদিন থাকুক আমার সাথে।
মেহেরিন’র কথার উপরে কেউ কিছু বললো না। অবশেষে খান বাড়িতে যাবার জন্য রওনা দিলো সবাই। আহিয়ান’র যাবার আগে আহিয়ান কে বললেন…
– ঠিক আর ভুল বিচার করার বুদ্ধিমত্তা তোমার আছে। নিজেকে সময় দিলে তুমি নিজেই সেটা বুঝতে পারবে।
আহিয়ান কিছু বলে না। মা নিহা কে ও অনেক আদর করে।
খান বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে নিহা আর আহিয়ান। ওদের সামনে অভ্র আর আনহা। নিহা’র পিছনে তাকে ধরে দাঁড়িয়ে আছে মেহেরিন। সে একটু পর পরই উঁকি দিচ্ছে। বাকি সবাই বাড়ির ভিতরে। অতঃপর…
#চলবে….