#Marriage_With_Benefits_2
#Part_11
Writer:: Sanjida Nahar Shaanj
.
.
আভি আমার কথায় অবাক হয়ে গেলো!
তুমি কি সত্যিই বলছো?(আভি)
হুম।আমি সত্যিই বলছি।আমি জানি না আমাদের আগের সম্পর্ক কেমন ছিলো।কিন্তু এখন আমি আপনাকে ভালোবাসতে চাই।আমি আপনাকে বিশ্বাস করি।আপনি এতক্ষন যা যা বলেছেন।আমি সব বিশ্বাস করেছি।এখনও করি। ভবিষ্যতেও করতে চাই।আপনি কি আমাকে হেল্প করবেন?(আমি আভির দিকে খুব আশা নিয়ে দাড়িয়ে আছি)
আভি আমার গাল ছুয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বললো
তোমার কথা কি আমি ফেলতে পারি।
চলুন গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।(আমি)
চলো।(আভি)
বিছানায়
আস্থা?(আভি)
হুম?(আমি)
আমি কি তোমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে পারি?(আভি)
আমি আভির কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম।উনি কি বলছেন?
থাক তুমি যদি না চাও তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
বলেই আভি শুতে যাবে তখনই আমি বলে উঠলাম
আপনি চাইলে আমাকে জড়িয়ে ধরে শুতে পারেন।(আমি)
আমি কেনো এমন বললাম?উনিই চাইলেই শুতে পারবে মানে?নিজের কথায় নিজেই ফেঁসে গেলাম।আস্থা তুই কি করছিস?(আমি মনে মনে)
পরেই আভি আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো।
।
।
সকালে কারো চিৎকার শুনে আমাদের ঘুম ভাঙলো।আমরা চারজন ধড়ফড়িয়ে উঠে গেলাম।
কী হলো আম্মু?(আরাভি উঠে বসে পড়লো)
নিশ্চয়ই আরাভি কিছু করেছে?(আরাভ চোখ মুখ কুচকে)
ভাই।সকাল সকাল শুরু করে দিস না।(আরাভি রেগে)
থামো তোমরা।আওয়াজটা বাহিরে থেকে এসেছে।(আভি)
চলো বাহিরে গিয়ে দেখি।(আমি)
চলো।
পরেই আমরা চারজন বাহিরে গেলাম।
।
।
নিচে
আপনি আমাকে আবুর কাছে যেতে দিবেন কি না?(ছায়া রেগে)
তুমি ভাবীর সাথে দেখা করবে না।আর উনার নাম আস্থা কোনো আবু তাবু না।বুঝলে?(আয়ুশ রেগে)
আমি আবুর কাছে যাবো দেখি আপনি আমায় কি করে আটকান। মি: আয়ুশ।
বলেই ছায়া দৌড় দিলো।আর ছায়ার পিছু পিছু আয়ুশ ও দৌড় দিল।আর বাকি সবাই চেয়ে চেয়ে দেখছে টম অ্যান্ড জেরি হিউম্যান ভার্সন।অন্যদিকে রোহান চাচু এতই অবাক যে উনি হা হয়ে গেছে।
রোহান মুখ বন্ধ কর মশা ডুকবে।(আদি)
ওকে।(রোহান মুখ বন্ধ করে)
আমি তাড়াতাড়ি নিচে গিয়ে ওদের থামিয়ে
আরে থেমে যাও।থেমে যাও।(আমি)
ছায়া এসে আমার পিছনে লুকালো।
ভাবী ওকে পিছন থেকে বের হতে বলো।(আয়ুশ হাপাতে হাপাতে)
আমি কেনো আপনার কথা শুনবো?আমি কি আপনার বিয়ে করা বউ?(ছায়া আমার পিছন থেকে হাপাতে হাপাতে)
হতে কতক্ষন?(মাঝখান থেকে আরিফ বলে উঠলো)
Shut up (ছায়া আর আয়ুশ এক সাথে)
আরিফ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে দাদুর পিছনে গিয়ে দাঁড়ালো।
তোমরা চুপ করো। সাঁঝ সকাল কি শুরু করলি?আর তুই(ছায়া)এতো সকালে কেনো আসলি?(আমি ভ্রু কুঁচকে)
আবু
বলেই ছায়া আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
আমার তোমার জন্য টেনশন হচ্ছিলো।ওরা তোমাকে কেমন ভেবে রাখে না রাখে তা আমার জানা উচিত।যতই হোক তুমি আমার আদরের আবু
বলেই আমার দিকে কিউট ফেস করে তাকিয়ে আছে।
তো এখন কি করবি?(আমি ভ্রু কুচকে)
আমি এখানেই থাকবো।(ছায়া খুশি হয়ে)
কখনই না।(আয়ুশ রেগে)
আপনার এতো জ্বলে কেন?আমি আমার দুলাভাইয়ের বাসায় থাকবো।আপনার সমস্যা হলে অন্য বাসায় চলে যান।(ছায়া)
এইটা আমার বাসা আমি এখন থেকে কোথাও যাবো না।দুলাভাই(আভি) কিছু বলেন আমি আপনার একমাত্র শালীকা।আমি কি এখানে আমার একমাত্র দুলাভাইয়ের বাড়িতে থাকতে পারি না।(ছায়া ঠোঁট ফুলিয়ে)
একদম ভালো জায়গাতেই আঘাত করেছিস ছায়া?আভি তোর রিকোয়েস্ট ফেলতে পারবে না।এই মেয়েকে বুঝা দায়।যতক্ষণ না পর্যন্ত এখানে থাকার অনুমতি পাবে ততক্ষণ একটার পর একটা নাটক করেই যাবে।(আমি একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে)
আচ্ছা।আচ্ছা।তুমি থাকতে পারো।(আভি আর ছায়ার সাথে না পেরে)
মনে হচ্ছে ছোটো নাতবৌ পেয়ে গেলাম।(দাদু ফিসফিস করে)
আমারও মনে হচ্ছে স্যার।(আরিফ)
রোহান প্রস্তুত হো।(আদি)
কেনো?(রোহান ভ্রু কুঁচকে)
তোর পাঁঠা বলি হতে চলেছে। তাড়াতাড়ি বিয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দে।(আদি)
আমার ছেলে বড়ো হয়ে গেছে।(রোহান কাদো কাদো হয়ে)
প্লিজ এখন কাদিস না। চল রেডি হয়ে অফিসে যাবো (আদি)
থ্যাঙ্ক ইউ দুলাভাই।আমি এখন কোথায় থাকবো?(ছায়া)
আয়ুশ।তুই ওকে তোর রুমের পাশে যে গেস্ট রুম আছে সেখানে নিয়ে যা ও সেখানেই থাকবে।আর তুই ওর যাবতীয় কাজ করবি।ওর যেনো কোনো কিছুর কমতি না থাকে।মনে রাখবি ও আমার একটা মাত্র শালীকা।কোনো কমপ্লেইন যদি পাই তোর খবর আছে।(আভি)
ঠিক আছে ভাই।কোনো কমপ্লেইন এর সুযোগ দিবো না।
বলেই আয়ুশ শয়তানী হাসি দিলো ছায়ার দিকে তাকিয়ে।যা দেখে ছায়ার গলা শুকিয়ে গেল।
একটু বেশি বেশি করে ফেলেছি নাকি?(ছায়া মনে মনে ভয়ে ঢোক গিলে)
আরাভি আর আরাভ ছায়ার কাছে গেলো।
চলো চাচী মা তোমাকে রুমে দিয়ে আসি।(আরাভ)
এই ছোটো আভি। ও তোর চাচী মা হলো কবে?(আয়ুশ জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে)
কেনো?আব্বু তো তোমাকে চাচীর দায়িত্ব দিলো।এইটা তো তখনই হয় যখন কেউ কাউকে বিয়ে করে।তুমিও করেছো তাই না?(আরাভি মুখে আঙ্গুল দিয়ে)
ভুলেও না।চলো আন্টিকে রুমে দিয়ে আসি।(আয়ুশ)
ওকে।চাচু।চলো চাচী মা।
বলেই ওরা ছায়া আর আয়ুশ এর সাথে যেতে লাগলো।ওরা ছায়াকে চাচিমা বলেই যাচ্ছে।অন্যদিকে আয়ুশ রেগেই যাচ্ছে।কিন্তু কে শুনে কার কথা যেমন চাচা তেমন ভাতিজা।আর আমরা সবাই হাসবো না কানবো এইটাই ভেবে যাচ্ছি।
।
।
আস্থা?(আভি)
হুম?(আমি)
তোমার কি মনে হয় আয়ুশ আর ছায়ার জুটিটা কেমন হবে?(আভি)
আমি আভির দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি!আমি উনার কথা বুঝতে পারলাম না!
আরে!তুমি বুঝো নি।বিয়ের জুটি হিসেবে কেমন?(আভি)
আমার তো ভালই লাগে।এখন ওদের ব্যাপারটা দেখি।তাছাড়া যেই হারে যুদ্ধ লেগে থাকে ওদের মধ্যে।(আমি)
এইটা কোনো বড়ো কথা আমাদের কথা মনে নেই তোমার আমরা কি পরিমান লেগে থাকতাম।ওরা তো তবুও কম।(আভি হাসতে হাসতে)
আমার কিছুই মনে নেই।আমরাও কি এমন ঝগড়া করতাম?(আমি শান্ত গলায়)
হুম।(আভি আমার বাহু জড়িয়ে ধরে)
আমি মুচকি হাসি দিলাম।
এখন ওদের জুটিও কি আমাদের মত হবে?(আমি)
আমার তাই মনে হয়।ওদের জুটিটা ভালোই হবে।আচ্ছা চলো এখন গিয়ে ফ্রেশ হওয়া যাক।আজ তো আবার বাচ্চাদের স্কুলে যাবো।চলো।(আভি)
হুম।চলো।(আমি)
।
।
কিছুক্ষণ পর
আমি মাথায় হাত দিয়ে বেডে বসে আছি।হাত পা ছড়িয়ে কাদতে ইচ্ছে করছে আমার।কারণ আজ আমি ভেবেছিলাম আরাভ আর আরাভিকে রেডি করাবো কিন্তু বাচ্চাদের রেডি করানো এতটাও সহজ না যতটা দেখায়। তাও যদি হয় দুটো বাচ্চা।ওদের তৈরি করতে গিয়ে আমিই হাপিয়ে গিয়েছি।এখনও তৈরি হয় নি।আর আমি হাল ছেড়ে বসে আছি।আভি সোফায় রেডি হয়ে বসে আছে।আমি উনাকে আজ বলেছি আমার কোনো সাহায্য লাগবে না।উনি অবশ্য বলেছিলো আমার হেল্প লাগবে কিনা?তখন না করলেও এখন মনে হয়না আমি উনার হেল্প ছাড়া পারবো।আমার কোনো এক্সপিরিয়েন্স নাই।আমি কি করে সামলাবো? আমার অবস্থা দেখে আভি আন্দাজ করতে পেরেছে আমার হেল্প লাগবে।এই লোকটা কেমন যেনো সব সময় আমার মনের কথা জানতে পারে।কি করে জানতে পারে তা আমার অজানা।তবে ধীরে ধীরে যে উনার প্রতি আমি দূর্বল হচ্ছি।আমি তা খেয়াল করতে পারছি। যাই হোক উনি সোফা থেকে উঠে এসে আমার সামনে দাঁড়িয়ে বললো
আমি করে দিচ্ছি দেখো কি করে করতে হয়।আর শুনো আমার আস্থা কখনও হার মানে না।আমার আস্থা যা চায় তাই করতে পারে।তাই তুমিও হার মানবে না।বুঝলে?
আমি মুচকি হাসি দিলাম।সত্যিই আগের স্মৃতি গুলো থাকলে কতো ভালো হতো আমার।(আমি মনেমনে)
পরেই উনি চোখের পলকে বাচ্চাদের রেডি করে দিলো।আমি তো পুরাই টাস্কি খেয়ে গেলাম।আমি প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা করছিলাম।আর উনি মাত্র কয়েক মিনিটে করে দিল। অবশ্য উনি ছয় বছর ধরে করে আসছে। উনারও হয়তো প্রথমে এতো কষ্ট হয়েছিল।কিন্তু উনি হার মানে নি।আভি আপনি অনেক কষ্ট করেছেন আপনি অনেক কষ্ট পাচ্ছেন।কিন্তু মুখে হাসি দিয়ে সব লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন।আমি বুঝতে পারছি উনার কষ্টটা।আজ আমি যা ফেস করছিলাম উনি এটাই ফেস করেছে হয়তো এর থেকে বেশি।
বাবা তোমরা যাও।মা রেডি হয়ে আসছে।(আভি)
ওকে। পাপা।(বলেই ওরা নিচে চলে গেলো)
আস্থা। চলো রেডি হয়ে নাও।
বলেই আভি আস্থার দিকে তাকাতেই দেখলো আস্থা বসে বসে কাদঁছে।
আস্থা।কি হয়েছে তোমার?তুমি একদম চিন্তা করো না।এখন পারো নি তো কি হয়েছে?পড়ে পারবে একদিন না একদিন দিন পারবে।এভাবে কান্না করে না(আভি আমার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে শান্ত করার চেষ্টা করে)
আমি হটাৎ উনাকে জড়িয়ে ধরি
আমি সরি।আপনি কত কষ্ট পাচ্ছেন আমার জন্য।আর আমি এখনও কিছু মনে করতে পারছি না।আর যা আপনাকে আরো কষ্ট দিচ্ছে।আপনি কেনো হাসি মুখে সব সহ্য করে যাচ্ছেন?(আমি আভির বুকে মাথা রেখে)
আমার পাগলি।এটা কোনো কষ্ট না।তুমি শুধু শুধু চিন্তা করছো।(আভি আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে)
আমি আভির বুক থেকে মাথা তুলে ওর ঠোটে ঠোট মিলিয়ে দিলাম।আমার আচমকা এই কাজে আভি অনেক অবাক হয়ে যায়।আমার চোখ দিয়ে ঠিকই জল গড়িয়ে পড়ছে।পড়ে আভিও আমার তালে তাল মেলাতে শুরু করে কিছুক্ষণ পর।
তাহলে কি আমি ধরে নিবো তুমি আমাকে পছন্দ করতে শুরু করেছ?(আভি মুচকি হাসি দিয়ে)
আমি জানি না।(আমি লজ্জা পেয়ে)
তাহলে আমি জানিয়ে দেই।
বলেই আভি আমার থুতনি ধরে মুখটা উচুঁ করে আবার ঠোঁটে একটা মিলাতে যাবে তখনই আরাভ নিচ থেকে চিৎকার করে বলে উঠলো
আম্মু পাপা তোমাদের হলো।
হায়রে আমার ছেলেই এখন পেয়ারকা দুশমন।ওরা মনে হয় আর ছোটো ভাই বোন চায় না।(আভি হতাশা ব্যক্ত করে)
অনেক হয়েছে আপনি যান।আমি রেডি হয়ে আসছি।(আমি আভির কাছ থেকে নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করছি)
ভুলেও না।এক শর্তে তোমাকে ছাড়া যায়।(আভি আমাকে আরো জড়িয়ে ধরে)
কী শর্তে?(আমি ছুটো ছুটি করছি)
আমাকে তুমি করে বলবে আর প্রতিদিন সকালে একটা করে মিষ্টি দিবে।যেমন আজ দিয়েছো।বলো রাজি।(আভি)
আমি আভির গালে চুমু দিয়ে
রাজি।এখন ছাড়ো।(আমি)
ওকে।যাও।তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে আসো।
বলেই আভি চলে গেলো।
আমি একটা আকাশী রঙের শাড়ি পরে নিলাম,,চুল গুলো ছেড়ে দিলাম।চোখে হালকা একটু কাজল দিলাম আর সাথে হালকা লিপস্টিক।
।
।
খাবার দাবার শেষ করে আমরা স্কুলে রওনা হলাম।সারা রাস্তা আরাভি আর আরাভ আমাকে ওদের স্কুলের গল্প শুনালো।কি করে ওরা স্কুলে খেলায় ফার্স্ট হয় আরো অনেক কিছু আমি আর আভি মিলে শুধু শুনেই যাচ্ছি।মাঝে মাঝে আভির দিকে তাকাতেই উনি আমাকে চোখ টিপ মারে।বুঝি না উনি দুষ্টু না আমার বাচ্চাগুলো।
স্কুলে গিয়ে সব ছেলে মেয়েদের সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে আরাভি আর আরাভ।ওদের দেখে মনে হচ্ছে আজ ওরা পুরো দুনিয়াকেই জানিয়ে দিতে চায় যে আমি ওদের মা।ওদের চোখে যে আনন্দ দেখেতে পেলাম তা আমার কলিজাতাকে ঠান্ডা করার জন্য যথেষ্ট।
অনেক হয়েছে বাবারা।এখন মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করো।আমি প্রতিদিন তোমাকে দিয়ে যাবো নিয়ে যাবো।তখনই সবাই জেনে যাবে আমি তোমাদের মা।(আমি)
সত্যিই আম্মু?(আরাভ)
হুম।এখন শো অফ করা বন্ধ করো।এইভাবে শো অফ করা ভালো না।(আমি)
হুম। সরি আম্মু আমরা করবো না।(আরাভি আর আরাভ)
ওকে।এখন যাও।(আমি)
পরেই আমাকে আর আভিকে চুমু দিয়ে ওরা দৌড়ে ভিতরে চলে গেলো।
আমি আর আভি এক জন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে দাড়িয়ে আছি।কি সুন্দর একটা মুহূর্ত!
অবশেষে বাচ্চাগুলোকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে আমি সুমাইয়া মার সাথেই চলে আসলাম।উনি আমাকে স্কুল থেকে পিক করলো।উনি নাকি আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে।কোন অনাথ আশ্রমে মনে হয়!আর আভি স্কুল থেকে ওর গাড়ি করে অফিসে চলে গেলো।
।
।
অফিসে
আভি ঢুকেই অবাক।
সেকি ছায়া তুমি অফিসে কি করছো?(আভি)
ভাই আমি কিন্তু ওকে আনতে চাইনি ও ইচ্ছে করে আমাকে ব্লাকমেইল করে বাধ্য করেছে এখানে ওকে নিয়ে আসতে।(আয়ুশ)
ভাইয়া আপনি রাগ করবেন না।আপনার সাথে আমার অনেক জরুরী একটা কথা ছিলো।(ছায়া)
কী কথা ছিলো?যার জন্য তোমাকে এখানে আসতে হলো বাসায় যাওয়ার অপেক্ষা করতে পারলে না তুমি?(আভি কৌতূহল নিয়ে)
জয় ভাইয়া।আজকের রাতের ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসবে।কিছুক্ষন আগে আমাকে ফোন করে জানালো।(ছায়া)
তুমি জয়ের বোন?(আয়ুশ রাগে ছায়ার বাহু চেপে ধরে)
আহ্।আপনি সব সময় আমাকে ব্যাথা দেন কেনো?আমি জয়ের বোন ঠিকই কিন্তু আমি কখনই আভি ভাইয়া আর আবুকে আলাদা করতে চাই না।কারণ আমি সব সময় আবুর ভালো চাই।আমার ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বললো।আমার মনে হলো এইটা আপনাদের জানানো দরকার তাই জানালাম।(ছায়া)
আয়ুশ ওকে ছাড়। ও আস্থার কোনো ক্ষতি চায় না। থ্যাঙ্ক ইউ ছায়া আমাকে জানানোর জন্য।তুমি সত্যি খুব ভালো।(আভি)
আপনিও ভালো।আপনার এই খাটাস ভাইয়ের মতো না।(ছায়া রেগে)
তুমি আবার আমাকে খাটাস বললে।দাড়াও।(আয়ুশ)
ভাইয়া বাঁচাও।
বলেই ছায়া আভির পিছনে লুকালো।
তুমি শুধু মানুষের পিছনে লুকাও কেনো?(আয়ুশ ধরার চেষ্টা করে)
আমার ইচ্ছা।(ছায়া)
।
।
অন্যদিকে জয়ের আসার খবর একজন দরজার আড়াল থেকে শুনতে পেলো
অবশেষে ডক্টর জয় আপনি আসছেন।এইবার আর আপনাকে ছাড়বো না।যখন প্রথম আপনাকে আমি দেখেছিলাম আমাদের বাড়িতে তখনই আমার আপনাকে খুব ভালো লেগে যায়।আর ধীরে ধীরে এই ভালো লাগা ভালোবাসায় পরিণত হয়।ভেবেছিলাম আপনাকে শুধু দূর থেকেই ভালোবেসে যাবো কিন্তু এখন আপনাকে নিজের করে পেতে যা করার দরকার করবো।শুধু আপনাকে ভালোবাসি বলে।আমি আপনাকে আভি ভাইয়া আর আস্থা ভাবীর মধ্যে আসতে দিবো না।আমি আপনাকে ভালোবাসি আপনাকেও আস্থা ভাবীকে ভুলে শুধু আমায় ভালোবাসতে হবে।আর এইটা আমি যে কোনো মূল্যেই সম্ভব করবো।আমি আভি ভাই আর ভাবীর মধ্যে কোনো দূরত্ব সৃষ্টি হতে দিবো না।অনেক কষ্ট পেয়েছে ওরা। এখন আর না।আমি আর ওদের আপনার কারণে কষ্ট পেতে দিবো না।(আরশি মনে মনে)
।
।
চলবে,,,