Marriage With Benefits 2 Part-12

0
3354

#Marriage_With_Benefits_2
#Part_12
Writer:: Sanjida Nahar Shaanj
.
.
Airport
আরশি এসে সকাল থেকে বসে আছে কখন ডক্টর জয় আসবে।আর ওর প্ল্যান অনুযায়ী ও কাজ করবে।
ডক্টর জয় এইবার আপনি আসুন দেখুন আমি কি করি আপনার?আপনি ভাবীর কথা ভুলেই যাবেন।
বলেই একটা শয়তানী হাসি দিলো।
কিছুক্ষণ পর জয় বের হলো এয়ারপোর্ট থেকে।আর সাথে সাথেই আরশির নজর গেলো সেদিকে।আরশি জয়কে দেখেই হা হয়ে গেলো
হোয়াইট শার্ট ব্লু জিন্স। হাতে ট্রলি টানছে আরেক হাতটা দিয়ে চুল গুলো ঠিক করছে।মুখে একটু ক্লান্তির ছাপ।হয়তো জার্নি করার ফলে এমন হয়েছে।ডক্টর জয় এইবার আর ছাড়াছাড়ি নেই।ডক্টর জয় এয়ারপোর্ট থেকে সোজা গাড়ি নিয়ে আভির বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলো।পিছু পিছু আরশিও আসলো। ওদের বাড়ির একটু দূরে থাকাকালীন আরশি ওর গাড়ি দিয়ে জয়ের গাড়ি ওভারটেক করলো।
What the hell? এমন বেপরোয়া হয়ে কেউ গাড়ি চালায়?
বলেই জয় গাড়ি থেকে নামলো।

কিন্তু আরশি তখনও গাড়ির ভিতরে বসে আছে।

জয় হাজারটা গালি দিয়ে আরশির গাড়ির দরজা খুলতেই অবাক।
আরশি তুমি কি করছ?(জয় অবাক হয়ে)

কী করছে আপনি জানেন না?আমি আপনার কাছে এসেছি।(আরশি গাড়ি থেকে নেমে)

আমার কাছে মানে?তুমি কি করে জানো আমি ওই গাড়িতে।আর আমি বাংলাদেশে আসবো এইটা কে বললো তোমায়?(জয় রেগে)

মনের টান থাকলে এক না এক ভাবে জানা যায়।(আরশি জয়ের দিকে এগুতে লাগলো)

মা,, মানে?মনের টান বলতে কি বুঝাতে চাইছো?(জয় পিছিয়ে যেতে লাগলো)

ও মা।ডক্টর জয় আমাকে ভয় পান নাকি আমাকে?(আরশি ভ্রু কুঁচকে)

এই পিচ্ছি মেয়ে তোমাকে ভয় পাবো মানে?কে তুমি?(জয় রেগে)

আমি আপনার হবু বউ!(আরশি লজ্জা পেয়ে)

হবু বউ মানে?(জয় অবাক হয়ে)

আরশি চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখলো।সকাল নয়টা বা দশটা বাজে।তাই মোড়ের অনেক ভিড়।এখন এই ভিরকেই আমি কাছে লাগাবো।ডক্টর দেখুন শুধু এখন আমি কি কি করি আপনার সাথে।

কী হলো?বলো(জয়)

বলছি বলছি।
বলেই আরশি জয়ের পায়ে ধরে চিৎকার করতে শুরু করলো।

না তুমি এমন করতে পারো না।আমাদের এতো বছরের সম্পর্ক তুমি এই কয়েক মুহূর্তের শেষ করতে পারো না।(আরশি জয়ের পায়ে ধরে নেকা কান্না শুরু করে দিচ্ছে)

কী হলো?তুমি আমার পায়ে ধরে চিৎকার করে কি সব আজে বাজে কথা বলছো?কিসের সম্পর্ক আমাদের?(জয় অবাক হয়ে)

এখন তুমি আমায় জিজ্ঞেস করছো কিসের সম্পর্ক?তুমি জানো না?বছরের পর বছর আমাকে ভালোবেসে গেলে।এখন আমাকে ছেড়ে অন্য কাউকে মনে ধরছে তোমার?(আরশি কান্না করছে)

আমি তোমায় ভালোবাসি?কবে তোমাকে বলেছি?(জয় দিশেহারা হয়ে)

এতক্ষণে মোড়ে প্রায় ভালো ভীড় জমা হয়ে গেছে।সবাই এখন দাড়িয়ে দাড়িয়ে আরশি আর জয়ের তামসা দেখছে।আরশি এইটাই চেয়ে ছিলো।সবাই আরশির নেকা কান্না দেখে আরশিকে বিশ্বাস করা শুরু করে দিলো।সবাই জয়কে কথা শুনাতে শুরু করলো।
আপনি আমাকে না হয় ভালোবাসেন না।কিন্তু আমাদের বাচ্চাকে তো অস্বীকার করতে পারেন না!(আরশি কান্না করতে করতে)

কী বাচ্চা?আবার বাচ্চা কোথা থেকে আসলো?আর তুমি আমার পা ছাড়ো বলছি(জয় বিরক্ত হয়ে)

আরশি জয়ের পা ছেড়ে ওর সামনে দাড়িয়ে জয়ের হাতটা ওর পেটে রেখে বলল
এইযে এই বাচ্চার কথা বলছি।আপনার আর আমার ভালোবাসার নিশানি।একে তো আপনি আর অস্বীকার করতে পারেন না।আমি আপনাকে বিশ্বাস করে নিজের সর্বস্ব আপনাকে দিয়েছি আর আপনি কি করেছেন?আমায় এইভাবে ধোঁকা দিলেন?এখন এই মুখ আমি কাকে দেখাবো।আমার তো এখন এই বাচ্চাকে নিয়ে মরা ছাড়া কোনো উপায় নেই।(আরশি)

জয় আর সহ্য করতে পারলো না
কষে আরশিকে একটা চড় মেরে বসলো।
আরশি অনেক হয়েছে!মিথ্যা বলার একটা লিমিট আছে।তুমি সেই লিমিট ক্রস করেছো।

কিন্তু একটা থাপ্পড় কি আর আরশি কে থামাতে পারে।আরশি সেই আবার নাটক করা শুরু করলো।

দেখুন দেখুন।আপনারা দেখুন।আমাকে বিয়ের লোভ দেখিয়ে আমার সর্বস্ব নিয়ে আমাকে এখন ছেড়ে চলে গেলো।(আরশি)

ছেলেটা দেখতে ভালো হলে কি হবে?চরিত্র অনেক খারাপ!(লোকজন)

লোক জনের কথা গুলো জয়ের কানের আসছে।

জয় আরশি কে কাছে টেনে বললো
কী চাও তুমি?(রাগী গলায়)

আপনি আমাকে বিয়ে করবেন?আজ এখন এক্ষুনি!(আরশি ফিসফিস করে)

কখনও না।(জয় রেগে)

আপনি তো করবেন আপনার ঘাড় শুদ্ধু করবে।আমিও আরশি চৌধূরী।
বলেই আবার আরশি নাটক করতে শুরু করলো

এখন তুমি কি চাও মা?(লোকজন)

আমি চাই উনি আমাকে এখানে এক্ষুনি বিয়ে করবে।আমাকে গ্রহণ করবে।(আরশি নেকা কান্না করতে করতে)

আমি কিছুতেই বিয়ে করবো না।(জয় রেগে)

এই ছেলে এতো জঘন্য কাজ করার পরও তুমি কি করে এতো বড় গলায় কথা বলো।(লোকজন)

দেখুন ও মিথ্যে কথা বলছে।আমাকে ফাঁসাতে।(জয়)

আমরা বুঝতে পারছি কে মিথ্যা কথা বলছে।তুমি এখনই ওকে বিয়ে করবে।(লোকজন)

ভুলেও না।ওর মিথ্যা কথা শুনে আপনারা বলদ হতে পারেন আমি না।(জয়)

আ আ।আমি এক্ষুনি ট্রাকের তলে পড়ে নিজের জান দিয়ে দিবো।(আরশি কান্না করতে করতে)

হ্যা।তাই দাও।নিজের জান দিয়ে আমার জানটা বাঁচাও।(জয়)

এই ছেলে চুপ।এই সবাই ওকে ধর দেখি ও কি করে বিয়ে না করে এখান থেকে যেতে পারে।
বলেই লোকজন ধরে জয়কে কাজী অফিসের নিয়ে গেলো।

জয়।ভালোয় ভালোয় বিয়ে করো।নয়তো এদের গণধোলাইয়ের কারণে পরে বিয়ে করার লায়েক থাকবে না।বলে দিলাম।(আরশি জয়ের কানে ফিসফিস করে)

তোমাকে আমি ছাড়বো না আরশি(জয় দাত চেপে চেপে)

আমি তো চাইও না তুমি আমাকে ছাড়ো।বেবি
বলেই আরশি মুচকি হাসি দিলো।


কিছুক্ষণ পর
সবাই আরশি আর জয়ের বিয়ে পরিয়ে চলে গেলো।এখন দাড়িয়ে আছে আরশি আর জয়।

আরশির গলা শুকিয়ে গেল।এতক্ষন পটরপটর করলেও এখন শরীরে আর কোনো শক্তি নেই।জয় এই জোর করা বিয়েতে অনেক ক্ষেপে আছে।এতো ক্ষন আশে পাশে লোক ছিলো বলে কিছু বলে নেই।এখন লোকজন চলে যাওয়াতে আরশির ভয় করছে।জয় ওকে গিলে খাবে।বিয়ের কবুল বলার পর থেকেই জয় চুপ হয়ে আছে। একেই হয়তো বলে তুফান আসার আগের শান্তি।আমার কি হবে এখন!
এইসব ভেবেই আরশির হাত পা কাঁপতে শুরু করলো।

আরশি,,(জয় ধীরে ধীরে)

জয়?(আরশি ভয় পেয়ে)

এখন ভয় হচ্ছে?(জয়)

অনেক।(আরশি)

কেনো?যা করার তো করেই ফেলেছো।(জয়)

কিন্তু বাকি যা করার তো আপনিই করবেন?(আরশি জোরপূর্বক হাসি দিয়ে)

একদম ঠিক।বিয়ে যখন হয়েছে তখন বাসর রাতও তো হওয়া উচিত তাই না?(জয়)

কিন্তু এখন তো দিন।(আরশি বলদের মত)

দেখাচ্ছি তোমাকে দিন না রাত।
বলেই আরশিকে গাড়িতে তুলেই জয় হোটেলে নিয়ে চললো।


হোটেলে
রুমের বেডে আরশিকে ধাক্কা মেরে জয় নিজের শার্ট খুলতে লাগল।

ডক্টর জয় আপনি এইসব কি করছেন?(আরশি কাঁদতে লাগলো)

বাহ।এখন ডক্টর জয়।একটু আগেই তো বেবি বলছিলে না।এখনও বলো বেবি!
বলেই ডক্টর জয় শার্ট খুলে ফ্লোরে ছুঁড়ে মারে।

দেখুন।জয় আমি জানি আপনি রেগে আছেন।রাগের বশে কিছু করা বোকামি।(আরশি)

এই বোকামি করতেই আমি রাজি।
বলেই আরশির ওড়না টেনে ছুঁড়ে মারলো ফ্লোরে।


অফিসে
আভি আর আয়ুশ কাজ করছিলো।আয়ুশ এর দলের সাথে আভি কাজ করছে।তাই আয়ুশকে আভি আজ অফিসে আসতে বলেছে কিছু কাগজ পত্র ঠিক করতে। তখনই আয়ুশ এর ফোন একটা কল আসে।
যা ধরেই আয়ুশ এর চোখ রক্ত বর্ণ হয়ে যায়।

জয় আমার বোনের কিছু হলে আমি তোকে ছাড়বো না।
বলেই আয়ুশ আভির কেবিনে গেলো।

কী হলো আয়ুশ তুই এমন হন্তদন্ত হয়ে ঢুকেছিস কেনো?(আভি ভ্রু কুঁচকে)

ভাই আমি কিন্তু জয়কে মেরে ফেলব!(আয়ুশ চিৎকার করে)

কী হয়েছে!(আভি)

পরেই আয়ুশ আজ আরশি আর জয়ের মধ্য ঘটে যাওয়া সব কথা বললো।আয়ুশ এর দলের একটা ছেলে এইসব আয়ুশকে ফোন করে বললো।

আয়ুশ তুই শান্ত হো।আমি দেখছি। চল আমরা হোটেলে যাই।(আভি আয়ুশ কে আশ্বস্থ করে)

ভাই।আমি হোটেলের অ্যাড্রেস দিচ্ছি।তুমি যাও।(আয়ুশ দাত চেপে চেপে)

তুই কি করবি?(আভি সন্দেহের দৃষ্টিতে)

আমি গেলে না জানি কি করে ফেলবো।আর তা আমার রাজনীতি কেরিয়ার নষ্ট করে দিতে পারে।(আয়ুশ)

আভিও ভাবলো ঠিকই আয়ুশ যেই বদ মেজাজী।কিছু করে ফেললে ওর কেরিয়ার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।তার চেয়ে ভালো আমিই হ্যান্ডল করি।

আচ্ছা।তুই থাক।কিন্তু তুই প্রমিজ কর মাথা ঠান্ডা রাখবি।(আভি)

হুম(আয়ুশ)

আভি আর বেশি কিছু বললো না।আরিফকে নিয়ে চলে গেলো হোটেলে।

খুব বড়ো ভুল করলে জয় আমার বোনের গায়ে হাত দিয়ে এখন দেখো তোমার বোনের কি হাল করি আমি।
বলেই আয়ুশ বেরিয়ে গেলো।


অন্যদিকে
আবু।আমি শপিং এ গেলাম।(ছায়া)

কেনো!তোর আবার শপিং কেনো করতে হবে?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

আরে আমি খালি হাতে তোমাদের বাসায় চলে আসছি।এখন ভাবছি সবার জন্য কিছু কিনে নিয়ে আসি।(ছায়া ব্যাগ গুছাতে গুছাতে)

সবার জন্য।নাকি তোর মি খচ্চরের জন্য।(আমি টিটকারি করে)

আরে কি যে বলো না?আমি কেনো উনার জন্য কিছু আনতে যাবো।উনি খালি আমাকে বকে।(ছায়া লজ্জা পেয়ে)

তোর লজ্জা পাওয়া মুখ দেখেই আমি বুঝতে পারছি কিছু হয়েছে।এখন আর লজ্জা পেতে হবে না।যা। কিন্তু একা সব চিনবী তো?(আমি)

হুম।তুমি চিন্তা করো না।
বলেই ছায়া আমার গালে চুমু দিয়ে বেরিয়ে গেলো।

সত্যিই ওর সাথে আমার সম্পর্ক একদম বোনের মত। ও আর আরশি একদম আমার ছোটো বোন।দুটোই দুষ্টু।কিন্তু দুটোই আবার অনেক ভালো।আল্লাহ যেনো ওদের ভালো রাখে।ওরা যা চায় তাই যেনো পায়।আমি বরং গিয়ে একটু স্টোর রুম খুঁজি।যদি সেখানে কিছু পাই যা দ্বারা আমি কিছু মনে আসে।আমি আর আভিকে কষ্ট দিতে পারবো না।আমি চেষ্টা করবো আমার স্মৃতি শক্তি ফিরিয়ে আনার।

বলেই স্টোর রুমের দিকে চললাম।

আমি স্টোর রুম ঘাটাঘাটি করছি এমন সময় আমার ফোনে ফোন আসলো।
আসসালমুআলাইকুম।(আমি)

অলাইকুম আসসালাম।ভাবী ছায়া কোথায়?(আয়ুশ ড্রাইভ করতে করতে)

ও হো। দেবর মশাই ছায়াকে মনে হয় চোখে হারাও।(আমি টিটকারি মেরে)

আহা।ভাবী মজা করো না।বলো ছায়া কোথায়?(আয়ুশ)

ছায়া মলে গেছে শপিং করতে।তুমি যদি ওকে খুঁজতে মলে যাও।তাহলে ওর খেয়াল রেখো।আর শুনো ওকে সাথে নিয়েই বাড়ি ফিরো।(আমি)

জ্বি।ভাবী।আমি ওর অনেক খেয়াল রাখবো।
বলেই আয়ুশ ফোনটা কেটে দিলো।

আমিও স্টোর রুম ঘাটাঘাটি শুরু করে দিলাম।অনেক খোজ খুঁজি করার পর দুটো অ্যালবাম পেলাম।
একটা খুলতেই দেখি আমার আর আভির বিয়ের ছবি।

কি সুন্দর লাগছিল আমাদের একসাথে!হয়তো অনেক খুশিও ছিলাম আমরা এক সাথে।কয়েকটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে।আমি একটু অস্বস্থি বোধ করছি।আর আভি আমাকে সাহায্য করছে যার ফলে আমি স্বস্থি বোধ করছি।লোকটা সব সময় এইভাবেই আমার পাশে ছিলো কখনও আমাকে হার মানতে দেয় নি।নিজেও আমার উপর কখনও হার মানে নেই।তাই তো এতো ঝড়ের ফলেও আমরা এক সাথে।কিন্তু কি এমন হয়েছিলো যার কারণে আমাদের আলাদা থাকতে হয়েছে।মা বাধ্য হয়ে ছিলো আমাকে ওদের থেকে দূরে রাখতে।খুব বড়ো কিছু কি হয়েছিল?
পরেই বিয়ের ছবি দেখা শেষ করে।আমি আরেকটা অ্যালবাম বের করি।সেই অ্যালবামে ছিলো আমাদের হানিমুনের ছবি।আমি খুব ভালো করে সব গুলো ছবি দেখছি।খুব খুশি লাগছিলো আমাদের একসাথে।ধীরে ধীরে আমার স্মৃতি ঝাপসা হতে শুরু করলো।আমার মাথায় ঝাপসা কিছু মুহূর্ত ভেসে উঠতে লাগলো।আর সাথে সাথেই আমার মাথা আবার ব্যাথা করতে শুরু করলো।কিন্তু আমি তবুও হার মানলাম না।আমি চেষ্টা করতেই লাগলাম।অবশেষে আমার স্মৃতি গুলো ঝাপসা মনে হতে শুরু করলো।ধীরে ধীরে সেগুলো আরো একটু স্পষ্ট হতে শুরু করলো।কিন্তু এখানেও আমার ইচ্ছে শক্তির কাছে আমার শরীর হার মেনে গেলো।আমার মাথা ব্যাথা বেশি হওয়ার কারণে আমি অজ্ঞান হয়ে স্টোর রুমে পরে রইলাম।


অন্যদিকে
আমি এইটা মি খচ্চরের জন্য কিনবো!এই শার্টটা উনাকে অনেক মানাবে!আচ্ছা আমি এতো কেনো উনার কথা ভাবছি?আমি কি উনার প্রেমে পড়ে গেলাম নাকি?অবশ্য পড়লেও কোনো সমস্যা নেই।উনি দেখতে রাগী হলেও মনের দিক থেকে অনেক ভালো।কি সুন্দর ভাইয়ের কথা শুনে! আবুর খেয়াল রাখে।এমন ভালো মানুষ বুঝি হয়।আমি কি উনাকে বলবো আমি উনাকে ভালোবাসি?উনি যেই রাগী রাগে আবার না জানি আমাকে বকা শুরু করে দেয়।আচ্ছা উনার কি কোনো গার্ল ফ্রেন্ড আছে?মনে হয় নেই উনি যেই রাগী মানুষ এতো রাগী মানুষের বুঝি গার্ল ফ্রেন্ড হয়?
ছায়া কথা বলেছিল।তখনই পিছন থেকে আয়ুশ বলে উঠলো।

কে রাগী মানুষ?

ছায়া থতমত খেয়ে বললো
কই!কে?আমি এমনি বক বক করছিলাম।নিজে নিজেই(জোরপূর্বক হাসি দিয়ে)

ছায়া আমার সাথে চলো!(আয়ুশ)

কোথায় যাবো আমি?(ছায়া কৌতুহল নিয়ে)

চুপচাপ চলো।
বলেই আয়ুশ ছায়ার হাত ধরে মল থেকে নিয়ে আসলো।


গাড়িতে
আমরা কোথায় যাচ্ছি আয়ুশ?(ছায়া)

গেলেই বুঝতে পারবে।(আয়ুশ ড্রাইভ করতে করতে)

ছায়া চুপ করে বসে আছে।আয়ুশ কোনো প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না।


চলবে,,