Marriage With Benefits 2 Part-13

0
3330

#Marriage_With_Benefits_2
#Part_13
Writer:: Sanjida Nahar Shaanj
.
.
কাজী অফিসের সামনে
আমরা এখানে কেনো আসছি?(ছায়া ভয়ে ভয়ে)

কারণ আমরা বিয়ে করবো!(আয়ুশ রাগী গলায়)

বিয়ে মানে?(ছায়া কান্না করতে করতে)

মানে?আজ আমরা এখানে বিয়ে করবো!(আয়ুশ)

আমি আপনাকে বিয়ে করবো না।
বলেই ছায়া পালানোর চেষ্টা করলো।কিন্তু আয়ুশ ওকে ধরে ফেললো।

আমাকে ছাড়ুন না প্লিজ!আমি কি করেছি?আপনি কেনো এমন করছেন আমার সাথে!(ছায়া কান্না করতে করতে)

তুমি করো নি তোমার ভাই করেছে!(আয়ুশ)

ভাই?ভাই কি করেছে?(ছায়া অবাক হয়ে)

পরেই ছায়াকে আয়ুশ সব বললো
আমি বিশ্বাস করি না।আমার ভাই এসব কিছুই করতে পারে না।আমি আমার ভাইকে চিনি।(ছায়া রেগে)

তাহলে কি আমি মিথ্যা কথা বলছি?(আয়ুশ রেগে ছায়ার বাহু চেপে ধরে)

হ্যা।আপনি মিথ্যা বলছেন।ছাড়ুন আমাকে আমি আপনার মত নিচু মানুষকে কখনও বিয়ে করবো না।(ছায়া ছুটার চেষ্টা করছে)

আমি নিচু তাই না?এখন এই নিচুকেই তোকে বিয়ে করতে হবে।আর যদি তুই না করিস।তাহলে তোর ভাইয়ের কি হাল করি শুধু তুই দেখবি।(আয়ুশ দাত চেপে)

ভাইয়ার কি করবেন আপনি?আমার ভাইয়ের কিছু করবেন না প্লিজ।(ছায়া কাদতে কাদতে)

তাহলে আমি যা বলছি তাই কর।চুপ চাপ গিয়ে কবুল বলবি!কোনো নাটক না।(আয়ুশ)

আমি কখনো আপনাকে ক্ষমা করবো না।(ছায়া কাদতে কাদতে)

কেনো জানি এই কথাটা আয়ুশ এর খুব লাগলো।

কিছুক্ষণ পরে ছায়া আর আয়ুশ এর বিয়ে সম্পূর্ন হলো।ছায়া তখন থেকে কেদেই যাচ্ছে।
আমি এই মানুষকে ভালোবেসে ছিলাম।উনি কখনও আমার ভালোবাসার যোগ্য না।আমি উনাকে কখনও ক্ষমা করবো উনাকে!(ছায়া মনে মনে)

এখন নেকা কান্না বন্ধ করো। চলো আমার সাথে।(আয়ুশ ছায়ার হাত টেনে)

আমি যাবো না আপনার সাথে।(ছায়া চিৎকার করে)

একদম চিৎকার করবে না।করলে,,,,
আর কিছু বলার আগেই ছায়া আয়ুশ এর গালে একটা চড় মারলো।

আমি কোনো দিন ভাবতে পারি নি।আপনার মত একজন নিচ মানুষকে আমি কখনো ভালোবেসেছি।(ছায়া)

ছায়ার কথা শুনে আয়ুশ স্তব্দ হয়ে গেলো। ছায়ার দিকে ভালো করেই তাকাতেই দেখলো কাদতে কাদতে ওর চোখ অনেক টুকু ফুলে গেছে।ফর্সা মুখটা লাল হয়ে গেছে।নাকের ডগার রক্ত লাল হয়ে গেছে।ছায়া সব সময় চশমা পড়ে।সেই চশমা ভেদ করে ওর ছল ছল করা চোখ আয়ুশ এর দিকে তাকিয়ে আছে।সেই চাহুনিতে আছে শুধু মাত্র ঘৃণা।আমি কি তাহলে কোনো ভুল করে ফেললাম!(আয়ুশ মনে মনে)


অন্যদিকে
জয় বেডের পাশে বসে আছে মাথায় হাত দিয়ে।

কী হলো থেমে গেলেন কেনো?শেষ করুন যা শুরু করতে চেয়েছিলেন!(আরশি)

জয় ফ্লোর থেকে আরশির ওড়না ওকে পরিয়ে দিলো।আর নিজে শার্ট পড়তে পড়তে বললো
আমি এতো টাও নিচ না যে একটা মেয়ে থেকে ওর সম্মান কেড়ে নিবো।(জয়)

ডক্টর জয়।আমি অনেক দুঃখিত আমার কৃতকর্মের কারণে।(আরশি নিচের দিকে তাকিয়ে)

কেনো করেছো তুমি এই সব?(জয় আরশির পাশেই বসে)

আপনি যাতে ভাই আর ভাবীর মধ্যে না আসেন।(আরশি কাদতে কাদতে)

জয় আরশির দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।

আপনি জানেন আস্থা ভাবী যাওয়ার পর আভি ভাইয়ার কি কষ্ট হয়েছে।নিজের চোখে আমি দেখেছি উনার কষ্ট। দুটো বাচ্চাকে উনি একা মানুষ করেছে।সবার সামনে হাসি মুখে থাকলেও ওর আড়ালে কান্না আমাদের অজানা ছিলো না।আপনি জানেন না আভি ভাই আস্থা ভাবীকে কতটা ভালোবাসে।প্লিজ ওদের আলাদা করবেন না।ওরা এতো ঝড় তুফানের পর এক সাথে আসলো।এখন আর ওদের কষ্ট পেতে দিয়েন না।(আরশি কাদতে কাদতে)

জয় আরশির মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো
তুমি কাজটা ঠিক করো নি।হয়তো তোমার উদ্দেশ্য ভালো ছিলো কিন্তু করার রাস্তাটা খুব বাজে।যাকে তুমি ভালোবাসো না।তাকে বিয়ে করা তোমার একদম উচিত হয় নি।আমি আস্থা আর আভির মধ্যে আসবো না।তুমি চিন্তা করো না।আর তোমাকেও এই ভালোবাসাহীন বিয়েতে থাকতে হবে না।আমরা ডিভোর্স নিয়ে নিবো।

আমি চাইনা।(আরশি জয়কে থামিয়ে)

মানে?(জয় অবাক হয়ে)

আমি আপনাকে ভালোবাসি ডক্টর জয়।অনেক আগে থেকেই।আমি সারাজীবন আপনাকে ভালোবাসতে চাই।আপনার সাথে থাকতে চাই।(আরশি)

কিন্তু এইটা সম্ভব না।আমি তো তোমাকে ভালোবাসি না।(জয়)

একটা সুযোগ দিন ডক্টর জয় আমায় ভালোবাসার।আমি প্রমিজ করছি যদি আমি হেরে যাই তাহলে আপনার জীবন থেকে চলে যাবো।(আরশি)

জয় মুচকি হেসে ভাবলো
আমারও জীবনে মুভ অন করতে হবে।আর এই রাস্তায় যদি কারো হাত ধরা যায় তাহলে মন্দ না।আরশি অনেক ভালো মেয়ে শুধু একটু পাগল টাইপের।(জয় মনে মনে)

কী হলো ডক্টর জয় বলুন(আরশি অনেক আশা নিয়ে জয়ের দিকে তাকিয়ে আছে)

ঠিক আছে।
জয় বলতেই আরশি ওকে জড়িয়ে ধরলো।

ওমনি দরজা ভেঙ্গে আভি ঢুকলো।
জয়
বলেই আভি ওকে মারতে আসবে তখনই আরশি সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।

ভাই উনার কোনো দোষ নেই।(আরশি)

মানে?(আরিফ)

আমি বলছি
পরেই আরশি কি করে জয়কে ফাসালো সব খুলে বললো।

আভি মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো।আরিফ ফ্লোরে বসে পড়লো।

কী ছিলো এইটা আরিফ?(আভি মাথার ঘুরানো অবস্থা)

সব গুলো একেকটা মানুষও চৌধূরীতে।এই পরিবারে কি একটা বিয়েও নরমাল ভাবে হবে না।প্রথমে আদি আর সুমাইয়া ম্যাম উনাদের বিয়ে,,তারপর ঈশানি আর রোহান স্যারের বিয়েও,,ঈশানির বিয়ের কথা ছিল আদি স্যারের সাথে কিন্তু কাহিনী করে হলো রোহান স্যারের সাথে।যাদের বাবা মা এই পথে তাদের সন্তানও তো এই পথেই যাবে।তারপর আভি স্যার আর আস্থা ম্যাম এখন আরশি আর জয়ের। কারো বিয়েই নরমাল বিয়ে না।এখন না জানি আয়ুশ স্যার কি করে?সবাই তাদের বাবা মাকে ফলো করছে তাহলে কি আরাভ আর আরাভিও এমন করবে?(আরিফ যে কথা গুলো কোথা থেকে কোথা নিয়ে যাচ্ছে যা শুনে আভি আর আরশি অবাক)

আরিফ।তুমি কোন কথা কোথায় নিয়ে যাচ্ছো?তোমাকে আফ্রিকা ট্রান্সফার করতে হবে।তোমার এতো বড়ো সাহস।(আরশি রেগে)

তুই চুপ কর। তুই নিজের কথা ভাব।তোর সাহসিকতা আয়ুশ বের করবে।(আভি ভ্রু কুঁচকে)

ভাইয়া।আয়ুশ ভাই কি জানে?(আরশি ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে)

হুম। ও বোধ হয় আসছে।(আভি)

কিহ!এখন আমার রক্ষে নেই।

বলতেই আয়ুশ এসে হাজির।এসেই জয়কে একটা ঘুষি মারলো।

আরশি আর আভি আয়ুশকে ধরে ফেললো।

ছায়া গিয়ে ভাই বলেই জয়কে জড়িয়ে ধরলো।

ভাই তুমি ঠিক আছো?(ছায়া জয়কে জড়িয়ে ধরে)

ছায়া তুই এখানে কি করছিস বোন?তুই ঠিক আছিস তো?(জয় ছায়াকে জড়িয়ে ধরে)

হুম।আমি ঠিক আছি।ভাই তোমার খুব লেগেছে তাই না।(ছায়া জয়ের গালে হাত বুলাতে বুলাতে)

না।ছায়া আমার লাগে নি।কিন্তু তোর চোখ মুখ লাল হয়ে আছে কেনো?তুই কান্না করছিস?(জয় ছায়ার মুখে হাত বুলিয়ে)

আরশি ছাড়।ওর সাহস কি হয় তোর সাথে এমন করার?(আয়ুশ রেগে)

জয় আর ছায়া দাড়িয়ে আছে।

ভাই উনি কিছু করে নি যা করার আমিই করেছি।পরেই আরশি সব খুলে বললো।আর বলতেই আয়ুশ কষে একটা চড় মারলো ওকে।
তুই জানিস তুই কি করেছিস?তোর জন্য কি কি হয়ে গেছে?(আয়ুশ মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো)

কী হয়েছে আয়ুশ?(আভি সন্দেহর দৃষ্টিতে)

ভাই।আমি রাগের বশে অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি।(আয়ুশ)

কী ভুল করেছিস তুই?(আভি রেগে)

কিছু না।কোনো ভুল করেনি উনি!(ছায়া)

ছায়া তুই কি করে জানলি ও ভুল করেছে কি করে নি?(জয়)

এমনি ভাই।ভাই এসব ছাড়ো না এখন আমার আর ভালো লাগছে না।সব কিছু তো ক্লিয়ার হয়ে গেছে। তুমি আরশিকে গ্রহণ করে নাও।প্লিজ।আর রাগ করো না ও তোমাকে অনেক ভালোবাসে।(ছায়া)

ঠিক আছে।তোর যা ইচ্ছা।আমি কি আমার আদরের বোনের কথা ফেলতে পারি।(জয় মুচকি হেসে)

ভাই।আমার জন্য টিকিটের ব্যাবস্থা করো।আমি যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদেশ চলে যেতে চাই।আমার এক্সাম আছে সামনে।(ছায়া)

ছায়ার বিদেশে যাওয়ার কথা শুনে আয়ুশ চমকে উঠে।কিন্তু ও ওর কৃতকর্মের জন্য অনেক লজ্জিত।তবুও ছায়া চলে যাবে শুনে ওর অনেক খারাপ লাগছে।

এইসব এর মধ্যে হটাৎ আভির ফোন বেজে উঠলো।
কিহ!কিন্তু কি করে সম্ভব!তোমরা কোথায় ছিলে?ওর খেয়াল রাখতে পারলে না?আমি আসছি হসপিটালে
বলেই আভি ফোন কেটে দিলো।

কী হয়েছে আভি?(জয়)

আস্থা অজ্ঞান হয়ে গেছে!এখন ও হসপিটালে।(আভি)

তাহলে চলো।আমরা যাই হসপিটালে!(ছায়া)

হুম।চলো।
আভি আর বাকি সবাই হসপিটালে গেলো।


কিছুক্ষণ পর আমার জ্ঞান ফিরলো।তাকিয়ে দেখি সবাই কেবিনে বসে আছে।

খুব ভয় পাইয়ে দিয়ে ছিলাম না তোমাদের?(আমি)

তুমি স্টোর রুমে কি করছিলে?(আভি রাগী গলায়)

আমি তো শুধু পুরনো কিছু দেখার চেষ্টা করছিলাম।যদি ওইসব দেখলে আমার কিছু মনে পড়ে।(আমি ঠোঁট ফুলিয়ে)

বলছি না দরকার নেই।কিছু মনে করার।যেমন আছি তেমনি থাকতে দাও।বুঝলে?(আভি)

না।আমি চাই আমার সব কিছু মনে পড়ুক।(আমি জিদ করে)

আর তাতে তোমার সমস্যা হলে?(আভি)

আমার শরীর এতো টাও দূর্বল না।(আমি)

হুম। তা ঠিক দেখতেই পেলেন।স্টোর রুমে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিলে।আর কোনো জায়গা নেই।(আভি)

আশ্চর্য।আমি কি ইচ্ছে করে স্টোর রুমে গিয়ে অজ্ঞান হয়েছি।(আমি ভ্রু কুঁচকে)

ঐটাই তো তোমার ইচ্ছের উপর আমার কোনো ভরসা নেই।তাই বৃথা চেষ্টা বাধ দাও।(আভি হাত ভাঁজ করে)

দিবো না।যতক্ষণ না পর্যন্ত আমার সব কিছু মনে পড়ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি হাল ছাড়ব না।(আমিও হাত ভাঁজ করে)

আম্মু পাপা।কি বাচ্চাদের মত ঝগড়া করছো।(আরাভ ভ্রু কুঁচকে)

তাকিয়ে দেখি সত্যিই আমাদের এই বাচ্চা ঝগড়া সবাই বিনোদনঃ হিসেবে নিচ্ছে।আর মুচকি মুচকি হাসছে।

আমি বরং গিয়ে পপকর্ন অর্ডার দিয়ে আসি।কে কে খাবে হাত তুলো।(আরিফ)

সবাই হাত তুললো।

আমি আভির দিকে তাকিয়ে আছি আমরা দুজনই অনেক লজ্জা পেলাম।

আমি সবার দিকে তাকাতেই দেখি ডক্টর জয় সবার মধ্যে দাড়িয়ে আছে।

ডক্টর জয়।আপনি?(আমি অবাক হয়ে)

হুম।আস্থা।(জয় মুচকি হেসে)

আসলে ডক্টর জয় (আমি আর কিছু তখনই জয় থামিয়ে)

আস্থা।আমি জানি তোমাকে বলতে হবে না।আমি অনেক খুশি তোমার জন্য।মন থেকে দোয়া করি তুমি খুশি হও।(জয়)

থ্যাংকস।(আমি মুচকি হেসে)

সবার মুখে হাসি।

ডক্টর জয়।আপনি ইনজেকশন নিতে চাই।(আমি)

কিসের ইনজেকশন?(আভি অবাক হয়ে)

আস্থা।না।(জয়)

হুম।আমি রিস্ক নিবো।(আমি)

কিসের রিস্ক আর কিসের ইনজেকশন ডক্টর জয়?(আভি কৌতূহলী হয়ে)

আমি চুপ করে আছি।তখনই ডক্টর জয় দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে বলতে শুরু করলো
এই ইনজেকশন নিলে ওর ডামেজ হওয়া মস্তিষ্ক কোষ ঠিক হবে।কিন্তু,,,এতে একটা সমস্যা আছে।(জয়)

কী সমস্যা?(আভি ভয়ে ভয়ে)

আস্থা প্রথম ইনজেকশন নিলেই কোমায় চলে যাবে।এইটার চারটা ডজ এর জন্য ও প্রায় চার মাস কোমায় থাকবে।কিন্তু পরে ও,,,
বলেই জয় থেমে গেলো।

পরে কি জয়?(আভি)

পরে আমি কোমা থেকে জাগবো কবে তার শিওর নেই।হতে পারে এক বছর দুই বছর বা কোনো দিনও না।কিন্তু জাগলে আমার স্মৃতি শক্তি ফিরে আসবে এইটা সিওর।(আমি নিচের দিকে তাকিয়ে)

লাগবে না আমাদের এই ইনজেকশন।তুমি আমার সাথে আছো এটাই যথেষ্ট।আমার স্মৃতি শক্তি লাগবে না।আমি শুধু তোমাকে চাই।এটাই আমার জন্য অনেক।(আভি আবার পাগলামি করতে করতে)

সবাই একটু বাহিরে যাও।আমি আভির সাথে কথা বলছি।(আমি)


আভি।(আমি)

আমি তোমার কোনো কথাই শুনবো না।তুমি কিছুতেই ইনজেকশন নিবে না(আভি আমাকে জড়িয়ে ধরে কাদতে শুরু করলো)

আভি বিশ্বাস করো।আমি ঠিক ফিরে আসবো।আল্লাহ ভরসা।এতো কিছুর পরেও যে আমরা এক আছি। ভবিষ্যতেও থাকবো।কিন্তু আমাকে নিতেই হবে আভি।(আমিও ওর সাথে কাদতে কাদতে)

তুমি কি আমাকে পাগল করে ছাড়বে।(আভি)

ভুলেও না।তুমি শুধু আমার ভালোবাসায় পাগল হবে।বুঝলে।(আমি আভির কপালের সাথে নিজের কপাল ঠেকিয়ে)

নিতেই হবে ইনজেকশন টা?(আভি করুন চোখে)

আমি ওর ঠোটে চুমু দিয়ে
হুম।(আমি)

ফিরে আসবে তো?(আভি)

হুম।(আমি)

আই লাভ ইউ আস্থা।(আভি)

আই লাভ ইউ মোর।(আমি)


চলবে,,,,