Marriage With Benefits 2 Part-14

0
3138

#Marriage_With_Benefits_2
#Part_14
Writer:: Sanjida Nahar Shaanj
.
.
কেবিনের বাহিরে
আভি তুমি কি ডিসিশন নিয়েছো?(কলি)

ডক্টর জয় আপনি ইনজেকশনের প্রস্তুতি নিন।আস্থার সাথে পেরে উঠা আমার পক্ষে সম্ভব না।(আভি স্থির গলায়)

ঠিক আছে তুমি যখন বলছো আমি দেখছি।(জয়)

পাপা আম্মু কি আবার আমাদের ছেড়ে চলে যাবে।(আরাভ)

বাবা,,,
আভি কিছু বলতে যাবে তার আগেই আমি আরাভ আর আরাভিকে ভিতরে ডাকলাম।আর সাথে আভিও আসলো

আমার সোনা মনিরা?কি ভাবছো?আমি আবার তোমাদের ছেড়ে চলে যাবো?(আমি ওদের আমার কাছে বসিয়ে)

হুম।(আরাভ আর আরাভি মাথা নেড়ে)

ভুলেও না।আমি তোমাদের আর তোমাদের পাপাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না।কিন্তু তোমরা তো জানো আম্মু অসুস্থ আম্মুর আগের কিছু মনে নেই।আম্মু শুধু কিছু দিনের জন্যে একটু ঘুমাবো।যাতে সব কিছু মনে পরে যায়।আর আম্মু প্রমিজ করছি খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে আমার সোনামনি গুলোর কাছে চলে আসবো!(আমি ওদের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে)

সত্যিই।তুমি ফিরে আসবে?(আরাভি)

হ্যা মা আসবো।কিন্তু তোমায় প্রমিজ করতে হবে।তুমি লক্ষী মেয়ে হয়ে ভাই আর বাবার খেয়াল রাখবে।তুমি আরাভের বড়ো বোন না!(আমি)

ওকে।আম্মু।(আরাভি খুশি হয়ে)

আমি নিজের খেয়াল রাখতে হবে।আমার কাউকে লাগবে না।(আরাভ মুখ ফুলিয়ে)

কিন্তু আমাদের মধ্যে একজন আছে খেয়াল আমাদের রাখতে হবে!(আমি)

কার আম্মু(আরাভ আর আরাভি)

ঐযে দেখো ওই কোনাতে দাড়িয়ে দাড়িয়ে একজন কাদঁছে।
বলেই কেবিনের কোনাতে ইশারা করলাম।সেখানে আভি দাড়িয়ে দাড়িয়ে কাদঁছে। ও হয়তো এখন আমাকে হারানোর ভয় পাচ্ছে।তবুও আমার এই পদক্ষেপ নিতে হবে।

তুমি একদম চিন্তা কোনো না।আমরা পাপার খেয়াল রাখবো।শুধু তুমি তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠো।ওকে আম্মু?(আরাভ)

হুম।প্রমিজ করো উঠবে?(আরাভি)

প্রমিজ।(আমি)


দুদিন পর আজ আমাকে হপিতালে নিয়ে আসা হয়েছে।সারা রাস্তা আমি আভির কাধে মাথা রেখে এসেছি।এই দুদিন না পারে আভি আমাকে নিজের বুকের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখতে।আমাকে সারা রাত জড়িয়ে ধরে কেঁদেছে এই দুদিন।চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে ওর।আমি সত্যিই অনেক ভাগ্যবতী ওর মতো স্বামী পেয়েছি।
সবাই ওকে অনেক বুঝিয়েছে।কান্না করতে না,,নিজেকে শক্ত করতে।কিন্তু কে শুনে কার কথা? অবশ্য আমি ওকে মানা করি নি।যতো কান্না করবে তত মনের ভাব বের হয়ে যাবে।কিন্তু আভি তোমাকে শক্ত হতে হবে।আমার জন্য বাচ্চাদের জন্য।এই দুদিন আরাভ আর আরাভিও আমার সাথেই সময় কাটিয়েছে।আমরা ঘুরতে গিয়েছি। রেস্তরাঁয় খাবার খেয়েছি,,মুভি দেখেছি।যদিও সাহস করে এই পথ নিয়েছি তবুও মনের মধ্যে ভয় থাকেই।তেমন আমারও অনেক ভয় করছে।আভির কাধে মাথা রেখে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করছি।আমার বাচ্চা দুটোও আজ নিশ্চুপ হয়ে আমাদের কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে।ওরাও আমাদের সাথে হসপিটালে যাচ্ছে।আমরা সবাই যাচ্ছি।


এখন আমাকে ইনজেকশন দেয়া হবে।আমি কেবিন থেকে কাচের ভিতরে দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছি।সবার চোখে জল। আরাভ আভির কোলে আর আরাভি আয়ুশ এর কোলে।আরিফ দাদুকে ধরে রেখেছে।আমি বলেছিলাম যেনো উনি না আসে।কিন্তু উনি আমার কোনো কথাই শুনলেন না।মা আর সুমাইয়া মা দুজনই কান্না করছে।সুমাইয়া মা আমার মাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে।বাবারা আর চাচুও কাদঁছে।আমি আভির দিকে তাকালাম ওর চোখ যেনো আমাকে লড়াই করার শক্তি দেয়।ওর চোখ আমাকে বলছে আস্থা তোমাকে ফিরে আসতেই হবে।আমাদের জন্য।আমি শুধু ওর দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলাম।আর আভিও আমার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলো।
ডক্টর জয় আমি তৈরি!(আমি)

ডক্টর জয়।আমাকে সাথে সাথেই ইনজেকশনটা দিলো আর সাথে সাথেই আমার চোখ ভারী হয়ে গেলো।প্রচন্ড ঘুম চলে আসলো।চলে গেলাম এক ঘুমের রাজ্য।


কিছুদিন পর
আভি আর বাচ্চারা খুব ভালো করেই আস্থার বিষয়ে খাপ খাইয়ে নিয়েছে।এখন আভি সকাল বেলা একবার আস্থার কাছে যায় আবার রাতে অফিস থেকে আসার সময় আবার একবার যায়।পড়ে রাতে বাচ্চাদের সময় দেয়। বাচ্চাদেরও মিস সাবিনা রোজ স্কুলে শেষে নিয়ে যায় আস্থার কাছে আস্থাকে দেখতে।আস্থার ব্রেনে পজিটিভ রিয়েকশন দিচ্ছে।সব কিছু ঠিক থাকলে এই প্রসেস সফল হবে।

আরশি আর ডক্টর জয়ের বিয়ের ব্যাপারে সবাই জেনে যায়।রোহান অনেক রাগ করে আরশির উপর।কিন্তু এখন আর রাগ করে কি হবে?যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে।রোহান ক্ষমা করে দেয় ওদের আর মেনেও নেয়।কিন্তু ছায়া আর আয়ুশ এর বিয়ের ব্যাপারে এখনও কেউ কিছু জানে না।ছায়া কাউকে বলে নি।ছায়া কাউকে বলে নি বলে আয়ুশও কাউকে কিছু বলে নি।কিন্তু এই কয়দিন আয়ুশ ছায়ার কাছে আসার চেষ্টা করে।কিন্তু ছায়া কোনো না কোনো ভাবে এড়িয়ে যায়। ছায়ার এই এড়িয়ে যাওয়া আয়ুশকে কোনো ভাবেই শান্তি দিচ্ছে না।কোনো না কোনো দিক দিয়ে আয়ুশও ছায়াকে ভালোবাসে।কিন্তু ছায়া এখন অনেক অভিমান করে আছে।যার কারণে ছায়ার সাথে কথা বলতেও আয়ুশ এর ভয় হচ্ছে।


আজই ছায়া বিদেশ চলে যাবে।
ছায়ার টিকেট কনফার্ম হয়ে গেছে।আজ রাতেই ফ্লাইট।(জয়)

থ্যাঙ্ক ইউ ভাই। আমি প্যাকিং করে ফেলেছি।(ছায়া)

ছায়া মা আজই চলে যাবে?(রোহান)

হ্যা।আঙ্কেল আমার ফাইনাল ইয়ারে এক্সাম আছে।আমাকে যেতেই হবে।আরো আগে যেতাম কিন্তু আবুর জন্য যেতে পারি নি।তাই এখন ভাবছি চলে যাই।(ছায়া)

আবার কবে আসবে মা(সুমাইয়া)

ঠিক নাই।কবে আসবো!আর কোনো দিন আসবো নাকি তাও শিওর না।(ছায়া)

সেকি দিদি ভাই।তুই আমাদের দেখতে আসবি না?(আরমান)

আসবো তো দাদু অবশ্যই আসবো।কিন্তু কবে আসবো তা জানি না।(ছায়া)

আসলে দাদু।মা বাবা তো আগেই বিদেশ চলে গেছে।সেখানে গিয়ে ছায়ার জন্য উনারা পাত্র ঠিক করে রেখেছে।ছায়া গেলেই বিয়ে পড়িয়ে দিবে।তারপর আবু সুস্থ হলে বাংলাদেশে এসে বড়ো করে অনুষ্ঠান হবে।(জয় ছায়াকে জড়িয়ে ধরে)

ছায়া আয়ুশ এর দিকে তাকিয়ে একটা শুকনো হাসি দিলো।
আয়ুশ এর মনের ভিতর যেনো ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এতো দিন ছায়াকে ভালোবাসে এইটা উপলব্ধি করতে না পারলেও।এখন ছায়া অন্য কারো হবে এইটা জেনে আয়ুশ এর খুব কষ্ট হচ্ছে।চোখ ছল ছল করছে ওর।চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছে করছে।

আভি আয়ুশ এর কাধে হাত রেখে বলল
এখনও সময় আসে আয়ুশ।ওকে আটকা।ওকে ভালোবাসার কথা বল।

আয়ুশ আভির কথা শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ওর দিকে।

আমি জানি তুই ওকে ভালোবাসিস।এখন তোর উপর নির্ভর করছে তুই ওকে হারাস না ফিরে পাস।(আভি)

তুমি ঠিক বলেছো ভাইয়া।
বলেই আয়ুশ উপরে চলে গেলো।

ছায়া আয়ুশ এর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।

ছায়া আন্টি তাহলে কি তুমি আমাদের চাচী মা হবে না?(আরাভ মুখ ফুলিয়ে)

না। সোনা।(ছায়া আরাভের মাথায় হাত বুলিয়ে)

কিন্তু আমরা চাই তুমি আমার চাচুকে বিয়ে করো।ওই লোকটাকে না।(আরাভি)

না মা।এইটা হয় না।(ছায়া)

জয় আঙ্কেল।তুমি তো আমার ফুপি বিয়ে করেছ।তুমিই বলো না ছায়া আন্টিকে আমার চাচী মা হতে।তুমি বললে উনি ঠিক শুনবে।(আরাভি)

সরি আম্মু।এইটা তো আর আমি বললে চলবে না।তোমার চাচু আর তোমার আন্টি জানে।উনারা যদি চায় তাহলে আমাদের আপত্তি নেই।(জয় আরাভীর মাথায় হাত বুলিয়ে)

তারমানে আমাদের আয়ুশ চাচুকে রাজি করাতে হবে।যাতে উনি ছায়া চাচীকে সত্যিই আমাদের চাচী মা করে।(আরাভ)

ঠিক। চল ভাই আমরা গিয়ে আয়ুশ চাচুকে রাজি করাই।তুমি একদম চিন্তা করো না চাচী মা।আমাদের চাচু এইসব বিষয়ে একটু অবুঝ কিন্তু আমরা ঠিক উনাকে রাজি করাতে পারবো।আর তোমার সাথে বিয়ে হলে তুমি ঠিক করে নিও।(আরাভি)

সবাই আরাভীর কথা শুনে অবাক।

আরাভি অনেক হয়েছে।ওইটা বড়োদের ব্যাপার।তোমাকে পাকামো করতে হবে না।চলো গিয়ে ঘুমাবে।(আভি সোফা থেকে উঠে)

কিন্তু পাপা।(আরভ কিছু বলার আগেই আভি থামিয়ে দিল)

তুমিও আরাভ।চলে আসো আমাকে যেনো আর না বলতে হয়।(আভি)

ওকে পাপা।
বলেই আরাভ আর আরাভি ঘুমাতে চলে গেলো।

ছায়া।তোমাকে এয়ারপোর্ট এ কে দিয়ে আসবে?আমি তো আরাভ আর আরাভি কে নিয়ে ব্যাস্ত।(আভি)

ভাই,,,(ছায়া জয়কে উদ্দেশ্য করে)

হ্যা,,আমি তো,,,
জয় কিছু বলার আগেই আরশি ওকে চিমটি কাটল।

ও না।আমার তো আজ হসপিটালে নাইট ডিউটি আছে।তাছাড়া আস্থার জন্য তো সেখানেই থাকতে হবে।আমি পারবো না সরি।(জয়)

ছায়া আদির দিকে তাকালো।

সরি ছায়া কালকে আমার মিটিং আছে।তাই আজই এর প্রস্তুতি নিতে হবে।(আদি)

পরে ছায়া অনেক আশা দিয়ে রোহানের দিকে তাকালো

আমি অনেক দুঃখিত মা।আজ আমার মাথাটা খুব ব্যাথা করছে।মিস সাবিনা এক কাপ চা নিয়ে আসো তো।
বলেই রোহান হাত উপরে তুলে নিলো।

ছায়া উদাস হয়ে গেল।
কিছুক্ষণ পর।
আমি ছায়াকে নিয়ে যাচ্ছি।কোনো চিন্তা নেই।
আয়ুশ সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে।

ছায়া তাকিয়ে দেখে আয়ুশ রেডি হয়ে নিচে নামলো।তারমানে এইটা এই পুরো পরিবারের চাল।যাতে আয়ুশ আমাকে নিয়ে যায়।আর এতে আমার ভাইও হাত মিলিয়েছে?মীর জাফর কোথা কার!

না আপনার লাগবে না আমিই যেতে পারবো।(ছায়া)

আমি বলছি তোমাকে নিয়ে যাবো মানে নিয়ে যাবো ব্যাস।আর কোনো কথা না।আরিফ ওর সুট কেস নিয়ে গাড়িতে তুলে দাও
বলেই আয়ুশ ছায়ার হাত ধরে নিয়ে গেল।

ইয়েস স্যার।
বলেই আরিফ ব্যাগ গুলো গাড়িতে তুলে দিলো।

আর সাথে সাথেই আয়ুশ ছায়াকে নিয়ে চলে গেলো।

কী হলো?(জয়)

আমার ভাই একদম আমার মত।আর তোমার বোন একদম তোমার মত।(আরশি)

কী বুঝাতে চাইছেন আপনি?(জয় ভ্রু কুঁচকে)

মানে?তোমরা কিছু বুঝো না।(আরশি নেকামি করে)

কী বুঝি না?(জয়)

আমাদের মন।আমরা কতো ভালোবাসি তোমাদের।(আরশি)

আদি কাশি দিলো।

আরশি আর জয় দুজনই লজ্জা পেয়ে গেল।

তাহলে আমি আসি।
বলেই ডক্টর জয় বেরিয়ে গেলো।

সাবধানে যেও।আমিও রুমে যাই অনেক ঘুমে ধরছে।
বলেই আরশি রুমে চলে গেল।

হাহ!এগুলো আমারই সন্তান না?(রোহান অবাক হয়ে)

মনে হয় না।(আরিফ)

😒(রোহান)

এই না মানে।আমার তো মনে হয়,,আপনার মনে হয় না।আমিও যাই আরমান স্যার আপনার ঘুমানোর সময় হয়ে গেছে।
বলেই আরিফ দাদুকে ধরে নিতে লাগলো।

হতচ্ছাড়া।নিজে ফেঁসে গেছিস বলে এখন আমাকে টানছিস! ছাড় আমি একটাই যেতে পারবো।
বলেই দাদু আর আরিফ চলে গেলো।

ভাই চিন্তা করিস না।তোর সন্তান আমি বিশ্বাস করি।(আদি টিটকারি করে)

ভাই।তুইও।দূর।মিস সাবিনা চা নিয়ে এসো আমার মাথা সত্যিই ব্যাথা করছে।
বলেই রোহান চলে গেলো।

তুমিও না।কেনো ওকে খেপাতে হবে।(সুমাইয়া)

অনেক মজা লাগে।(আদি হাসতে হাসতে)

অনেক হয়েছে মজা।এখন চলো ঘুমাবে।
বলেই সুমাইয়া আর আদি হাসতে হাসতে উপরে চলে গেলো।

আস্থা।দেখো সবাই কি সুন্দর হাসিখুশি!(আভি মনে মনে)

পাপা।কই তুমি গল্প শুনবো।(আরাভি)

আসছি মা।
বলেই আভিও চলে গেল ঘুমাতে।


নিস্তব্ধ রাস্তায় আপন মনে গাড়ি চালাচ্ছে আয়ুশ।পাশেই বসে আছে ছায়া। কারো মুখে কোনো কথা নেই।রাত যথেষ্ট গভীর হয়ে গেছে। আকাশের চাঁদের আলোতে চারপাশ অনেকটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।ছায়া মুখ ফুলিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছে।হাওয়াতে ওর সামনের চুল গুলো উড়ছে।আয়ুশ মন চাইছে ওই চুল গুলো নিয়ে কানে গুঁজে দিতে।

আয়ুশ ছায়ার রূপে হাবুডুবু খাচ্ছে এমন সময় ছায়া ওর দিকে তাকিয়ে বললো
আমরা কোথায় যাচ্ছি?(ছায়া)

কোথায় আবার এয়ার পোর্ট এ (আয়ুশ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)

আপনার কি মনে হয় আমি বোকা?(ছায়া)

তোমার কি মনে হয় তুমি চালাক?(আয়ুশ ভ্রু কুঁচকে)

আমি কথা ঘুরবেন না।বলুন কোথায় যাচ্ছি আমরা।(আয়ুশ)

বিয়ে হয়েছে হানিমুনে যাবো না?হানিমুনে যাচ্ছি।(আয়ুশ ড্রাইভ করতে করতে)

কিহ!গাড়ি থামান।
বলেই ছায়া গাড়ির বিভিন্ন জিনিস ঘাটাঘাটি করতে শুধু করতে শুরু করে।

আরে আরে কি করছো?অ্যাকসিডেন্ট হবে তো।(আয়ুশ)

হলে হোক।আপনি গাড়ি থামাবেন না আমি এখন চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দিবো।(ছায়া গাড়ির গেট খুলার চেষ্টা করে)

দাড়াও দাড়াও থামাচ্ছি।
বলেই গাড়ি থামালো।

কিন্তু ছায়া গাড়ি থেকে নামার আগেই আয়ুশ ওকে অজ্ঞান করে দিলো।ছায়া ঢলে পড়লো আয়ুশ এর বুকে।ছায়ার কপালের চুল গুলো আলতো করে সরিয়ে দিয়ে বলল

তুমি আমার থেকে কখনও দূরে যেতে পারবে না।তুমি শুধু আমার আর আমারই থাকবে।আমি তোমাকে কোথাও যেতে দিবো না কাউকে বিয়ে করা তো দূরের কথা। আই লাভ ইউ ছায়া।
বলেই ছায়ার কপালে একটা চুমু দিলো।পরেই ছায়াকে নিয়ে ওদের ফার্ম হাউসে চলে গেলো।


চলবে,,