Marriage With Benefits 2 Part-15

0
3107

#Marriage_With_Benefits_2
#Part_15
Writer::Sanjida Nahar Shaanj
.
.
ছয় মাস পর
হসপিটালে
ডক্টর জয়!তুমি তো বলেছিলে আস্থা জেগে উঠবে কিন্তু এখনও উঠে নি কেনো? চারটা ইনজেকশন তো দেয়া হয়ে গেছে তাহলে ও এখনও কেনো উঠছে না।ছয় মাস হতে গেছে।তুমি বলছো ইমপ্রুভমেন্ট হচ্ছে কিন্তু কোথায়?সেই ইমপ্রুভমেন্ট তো আমি দেখছি না!(আভি চিন্তিত হয়ে)

আভি আমি তোমার চিন্তা বুঝতে পারছি!কিন্তু কিছুই করার নেই।এখন আমাদের শুধু অপেক্ষা করা ছাড়া।(জয়)

আর কত অপেক্ষা করবো?
বলেই হতাশ হয়ে আভি চেয়ারে বসলো।

আভি এখন অনেক রাত হয়েছে।তুমি বাড়ি যাও।বাচ্চারা অপেক্ষা করে আছে।(জয় আভির কাধে হাত রেখে)

হুম।তুমি ঠিকই বলছো।আমি যাই তাহলে।তুমি ওর খেয়াল রেখো।
বলেই আভি চলে গেলো।


বাড়িতে
আয়ুশ অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে ছায়ার মনে নিজের জন্য জায়গা বানিয়েছে।ছায়া বিদেশ থেকে ওর পরীক্ষা দিয়ে এখন দেশে এসেই প্রাকটিস করছে।এখন ওদের বিয়ের ব্যাপারেও সবাই জেনে গেছে।জয় যদিও অনেক ক্ষেপে গেছে।তবুও ওদের ভালোবাসতে আঁচড় কাটতে পারে নি।কিন্তু জয় এখনও ছায়া আর আয়ুশ এর বিয়ের জন্য রাজি না।তাই ছায়া এখন জয়ের সাথে থাকে আর যতক্ষণ না পর্যন্ত আয়ুশকে জয় মেনে নিচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ছায়া আর আয়ুশ একে অপরের সাথে দেখা করতে পারবে না।তবে এতে কি ওরা লাভ বার্ডস থামে!রোজ লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করে আর প্রেম করে।অন্যদিকে আরশি আর জয়ের কাহিনীও এক।ওরা চারজনই আস্থা সুস্থ হলে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।ওদের পরিবারও এতে সায় দিয়েছে।


হসপিটালের কেবিনে রাতে একা আমি শুয়ে আছি।কেউ নেই চারপাশ একদম নিরব।
আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। দুটো স্মৃতি যেনো একে অপরের সাথে যুদ্ধ করছে।চোখ খোলার জন্য ছটফট করছি।নিশ্বাস ভারী হয়ে আসছে।হটাৎ আমার চোখ আমি খুলে ফেললাম।শুয়া থেকে এক ঝটকায় উঠে বসলাম।ঘন ঘন শ্বাস নিতে শুরু করলাম।কেবিনের আলো খুবই মৃদু।বাহিরে থেকে আলো এসে সামনে টানানো একটা ক্যালেন্ডারে পড়ছে।তাকিয়ে দেখি ছয় মাস হয়ে গেছে আমি কোমায় ছিলাম।আমার আগের সব কথা মনে পড়ে গেছে আর পরের কথাও আমি কিছুই ভুলি নি।কিন্তু কথা গুলো মনে পড়ার সাথে সাথেই আমার উপর করা আভির সেই বিশ্বাস ঘাতকতাও মনে পড়ে গেছে।আমি জানি না আভি কেনো আমার সাথে এই বিশ্বাস ঘাতকতা করলো।আমাকে কেনো মারতে চেয়েছিলো ও?আর কেনই বা এখন আমাকে এতো ভালোবাসে বলে নাটক করছে?তুলি কোথায়?রাইসার কি হয়েছে?ঈশানিই বা কোথায়?এদের কারো কথা তো আমি আসার পর শুনলাম না।আচ্ছা তুলির বাচ্চা কোথায়?আভি তুমি কি করতে চাইছো?অনেক হয়েছে!আমি আমার বাচ্চাদের তোমার কাছ থেকে নিয়েই ছাড়বো।আমি জানতে চাই আমার ভালোবাসার কি এমন খোট ছিলো যার জন্য পরিণামে তুমি আমাকে ধোঁকা দিলে।
আমি সেখানে বসে বসেই ভাবছি।


সকালে
ডক্টর জয় এসেই দেখে আমি বেডে বসে আছি।উনি অনেক অবাক হয়ে গেলো।উনি এসেই আমাকে একের পর এক প্রশ্ন করেই যাচ্ছে কিন্তু আমি তার কোনো উত্তর দিচ্ছি না।বরং স্থির হয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে বসে আছি।চোখের পলক ও পড়ছে না।স্থির চোখে শুধু তাকিয়েই আছি।ডক্টর জয় আমার চেক আপ করে কিছু পেলো না।তাই উনি উনার সিনিয়র ডক্টর দের ডাক দিলো।

দেখুন ডক্টর জয় উনার কোনো সমস্যা নেই।উনি এখন সম্পূর্ন সুস্থ।আমাদের প্রসেসটা ও তো সফল হয়েছে।(সিনিয়র ডক্টর)

তাহলে ও কথা বলছে না কেনো?(জয় চিন্তিত হয়ে)

মনে হচ্ছে উনি নিজেই কোনো কথা বলতে চান না।(সিনিয়র ডক্টর দীর্ঘ শ্বাস ফেলে)

কিন্তু ও কথা না বললে আমরা জানবো কি করে ওর সব কিছু মনে পড়েছে কি না?(জয় চিন্তিত হয়ে)

ডক্টর জয় আমার মনে হয় উনার সব কিছু মনে পড়েছে।হয়তো উনার পুরনো স্মৃতিতে এমন কিছু কষ্ট ছিলো যার জন্য উনি স্তব্ধ হয়ে আছে।(সিনিয়র ডক্টর)

এখন কি করবো?(জয় দিশেহারা হয়ে)

ডক্টর জয় আপনি চিন্তা করবেন না।আপনি তো উনাকে পার্সোনালি চিনেন।আপনি কি জানেন উনার এমন কোনো কষ্ট বা দুঃখ ছিলো যার জন্য উনি এখন কথা বলতে নারাজ।(সিনিয়র ডক্টর)

এমন কিছু?(জয় গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে)

ভেবে দেখুন ডক্টর জয়।এমন কিছু যেটা উনাকে ভিতর থেকে ভেঙ্গে দিয়েছে।(সিনিয়র ডক্টর)

অনেক চিন্তা করার পর।ডক্টর জয় বুঝতে পারলো।আস্থার দুঃখ হচ্ছে আভি আর ওর মধ্যের ভুল বুঝাবুঝি।আস্থা তো জানেও না আভি ওই রকম কেনো করেছে? ও তো ভাবছে আভি ওকে ধোঁকা দিয়েছে।এইটাই হবে আসল কারণ।
(জয় মনে মনে)

থ্যাংকস ডক্টর।বাকিটা আমি সামলে নিবো।(জয়)

ওকে ডক্টর জয়।আমি এখন যাই।
বলেই সিনিয়র ডক্টর চলে গেলো।

আস্থা তুমি একদম চিন্তা করো না।সব ঠিক হয়ে যাবে।
বলেই ডক্টর জয় বেরিয়ে আভিকে ফোন দিলো।


হ্যালো আভি?(জয়)

হ্যা ডক্টর জয় আমি আস্থার কাছে আসার জন্য বের হয়েছি।আর দশ মিনিট লাগবে আমার আসতে।(আভি ড্রাইভ করতে করতে)

আভি তোমার জন্য একটা সুখবর আরেকটা দুখবর আছে।(জয়)

কী হয়েছে?আস্থা ঠিক আছে তো?(আভি চিন্তিত হয়ে)

আসলে আস্থা কোমা থেকে জেগে উঠেছে।এইটা ছিলো তোমার জন্য সুখবর।(জয়)

আর দুখবর?(আভি গাড়ি দাঁড় করিয়ে)

আস্থা কোনো কথা বলছে না।কোনো রেপন্স করছে না,,,বলতে পারো করতে চাইছে না।(জয়)

কেনো?(আভি অবাক হয়ে)

পরেই জয় আভিকে পুরো ঘটনা খুলে বললো।

ডক্টর জয় আমি বুঝতে পারছি।তুমি চিন্তা করো না আমি দেখছি।আমি না আসা পর্যন্ত শুধু ওর খেয়াল রাখো।(আভি গাড়ি স্টার্ট দিয়ে)

হুম।এখন রাখি।
বলেই ডক্টর জয় ফোন রাখলো।

আমি জানতাম এমন একটা দিন ঠিকই আসবে।আমি এর জন্য প্রস্তুত আস্থা।আজ সব ভুল বুঝাবুঝির অবসান হবে।আমরা আবার এক হবো।ইনশাল্লাহ।
(আভি)


ডক্টর জয় কেবিনে যেতেই দেখলো কেবিন ফাঁকা
আস্থা আস্থা কোথায় তুমি?(জয় বিভিন্ন জায়গাতে খুঁজতে লাগলো)

অনেকক্ষন খুঁজার পরেও জয় আস্থাকে পেলো না।ততক্ষনে আভি চলে আসলো।

জয় আস্থা কোথায়?(আভি হন্তদন্ত হয়ে)

সরি আভি।আমি যখন তোমার সাথে কথা বলছিলাম।তখন আস্থা কোথায় যেনো চলে গেছে?(জয় চিন্তিত হয়ে)

কোথায় চলে গেলো মানে?তোমাকে না বলছিলাম ওর খেয়াল রেখো(আভি চিৎকার করে)

আই অ্যাম রিয়েলি সরি আভি(জয়)

না।না আই অ্যাম রিয়েলি সরি।আমি অযথাই তোমার উপর চিৎকার করেছি।এমনি তোমার উপর চিৎকার করা আমার ঠিক হয় নি।(আভি জয়ের কাধে হাত রেখে)

এখন কি করবে?(জয়)

আমি ভেবে দেখি আস্থা কোথা যেতে পারে?(আভি)

কিছুক্ষণ পরেই
আমি জানি ও কোথায় যেতে পারে।তুমি চিন্তা করো না।বাসায় সবাইকে ফোন করে বল আমি আস্থাকে নিয়ে আসছি।
বলেই আভি বেরিয়ে গেলো।


আমি হেঁটে হেঁটে
অনাথ আশ্রমে চলে আসছি।আমার পরনে হসপিটালের সেই বেরঙ জামা। চুল গুলো অগোছালো ছাড়া।পুরাই এক পাগল মনে হচ্ছে নিজেকে।কিন্তু সেই হসপিটালে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল।আর আমার মনও অনেক খারাপ ছিল।আমার মন খারাপ হলে তো আমি এই অনাথ আশ্রমে ফিরে আসি।আমার মন ভালো করার একটা মাত্র জায়গা।

আমি সেই বাগানের চেয়ারে বসে আছি।যেখানে আভি কতো সুন্দর করে আমাকে সরি বলছিলো।সবই ছিল ধোঁকা।পুরনো স্মৃতি গুলো ভাবতেই আমার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়তে শুরু করলো।

একটা ছেলে আমার কাছে এসে আমাকে চকলেট দিয়ে বললো
আসু আপু কাদঁছো কেনো?

মিন্টু তোর মনে আছে আমি তোর আসু আপু?(আমি কাদতে কাদতে)

হুম।তোমাকে কি ভুলতে পারি?(মিন্টু আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে)

আমি ওকে ধরে কাদতে শুরু করলাম।

কে রে মিন্টু?

ডাক শুনে তাকিয়ে দেখি খালা। লাঠি ভর দিয়ে আসছে।

আমি দৌড়ে গিয়ে খালাকে জড়িয়ে ধরি।

আমার রিনা খান বুড়ো হয়ে গেছে দেখি।(আমি খালার গালে চুমু দিয়ে)

রিনা খান?আসু তোর সব মনে পরে গেছে?(খালা আমার গালে হাত দিয়ে)

হুম।মনে পড়ে গেছে।(আমি)

আলহাদুলিল্লাহ।(খালা আমার কপালে চুমু দিয়ে)

পরেই আমি আর খালা কথা বলতে শুরু করি।কিছুক্ষন পর খালা আর মিন্টু আমার জন্য খাবার বানানোর জন্য ভিতরে গেলো।আমি চুপ করে বাগানের চেয়ারে বসে আছি।

হটাৎ করে একটা কবুতর আমার কোলে এসে বসলো।ওইটার পায়ে একটা চিরকুট।আমি ধরে খুলে দেখলাম সেটাতে লিখা ওয়েলকাম ব্যাক মাই লাভ।

আমি দাড়িয়ে পিছনে তাকাতেই দেখি সেই আগের মত আভি অনেক গুলো বেলুন নিয়ে দাড়িয়ে আছে আর চারপাশ দিয়ে কবুতর উড়ে যাচ্ছে।

আমি দেখেও না দেখার ভান করে উনাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম।তখনই উনি আমার হাত ধরে ফেললো।

আস্থা।কথা বলি?(আভি)

কী বলবে?(আমি কাদতে কাদতে)

পরেই উনি একটানে আমাকে বুকের মধ্যে চেপে ধরলো।

আভি ছাড়ো!(আমি কাদতে কাদতে)

না।আগে আমার সব কথা শুনবে তারপর।আর ছুটোছুটি করে লাভ নেই।আমি ছাড়ছি না।(আভি)

আমি চুপ করে ওর সাথে মিশে আছি।

পরেই আভি আমাকে সব কিছু খুলে বললো।আর সব কিছু শুনে আমি অনেক অবাক হয়ে গেলাম।

আভি আমি বুঝতে পারছি এখন ছাড়ো।(আমি আবার ছুটোছুটি করতে শুরু করলাম)

কেনো? একটু থাকতে দাও না।(আভি)

দূর।আমি ছয় মাস পরে উঠেছি।শরীর নোংরা।আর উনি ধরে রাখবে।(আমি ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে)

আমার কোনো সমস্যা নেই।আসো আবার জড়িয়ে ধরি।
বলেই আভি আবার আমার দিকে হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আস্তে লাগলো।

ওই দূরে দূরে।(আমি দৌড় দিতে দিতে)

আরে এমন করছো যেনো নোংরা আমি?(আভি হাত বাড়িয়ে আমার পিছু পিছু ধাওয়া করে)

দেখো আমার এখনও অনেক প্রশ্ন আছে।(আমি চেয়ারের পাশে দৌড়ে)

বলো।আমি উত্তর দিতে রাজি।(আভিও চেয়ারের পাশে দৌড়ে)

আচ্ছা।তুমি থামো আমি বসছি।আমার পা কাপছে।(আমি আভিকে থামিয়ে)

ও হ্যা।ছয় মাস ধরে হাটো না।হাঁটতে কষ্ট হবে। বসো বসো।(আভি আমাকে বসিয়ে)

এখন বলো তোমার কি প্রশ্ন?(আভি আমার সামনে হাঁটু গেড়ে বসলো)

তুলির সাথে তোমার বিয়ে হয়নি?(আমি)

না(আভি)

তুলির বাচ্চা তোমার না?(আমি)

না।(আভি)

তাহলে?(আমি কৌতূহলী হয়ে)

আসলে আমার আর তুলির বিয়ে হয়নি। ও তোমাকে মিথ্যা কথা বলেছে।আর ও তো আমাকেও বলেছে ও নাকি আমার বাচ্চার মা হতে চলেছে।কিন্তু আমি জানি ওইটা আমার বাচ্চা না।কারণ তুলি আর আমার মধ্যে শারীরিক কোনো সম্পর্ক হয় নাই।আমি ভেবেছিলাম অন্যর পাপ আমার ঘাড়ে চাপাতে চায়।কিন্তু যখন ওকে মেন্টাল হসপিটাল এ নিয়ে যাওয়া হয় তখন আমরা জানতে পারি ও প্রেগনেন্ট না।(আভি)

তাহলে ওইদিন হসপিটালে কেনো এসেছিলে তোমরা?(আমি)

তোমাকে বাঁচাতে।আমি জানতাম রাইসা তোমার কোনো ক্ষতি করবে।কিন্তু তুলি যাতে আমার নজর থেকে দূরে না যেতে পারে,,যাতে ও না পালাতে পারে তাই ওকে সাথে করে নিয়ে এসেছে।কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না।শেষ মেষ তোমাকে হারাতেই হলো।(আভি র চোখ ছল ছল করছে)

আমাদের ডিভোর্স হয়েছে।এখন আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই।(আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)

আভি আমার দিকে তাকিয়ে আছে।ও চোখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে ও অনেক কষ্ট পেয়েছে।

তো কবে আসছো?(আমি)

কোথায়?(আভি অবাক হয়ে)

কোথায় মানে?আমার বাবা মার কাছে বিয়ে প্রস্তাব নিয়ে।বিয়ে করার ইচ্ছে কি নেই?(আমি চোখ টিপ দিয়ে)

আস্থা আমি আজ অনেক খুশি।
বলেই আভি আমাকে কোলে তুলে নাচতে শুরু করলো।


বাড়িতে আজ সবাই অনেক খুশি।যেনো আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে সারা বাড়িতে।এখন সবার মান অভিমান শেষ।আমি ফ্রেশ হয়ে সবার সাথে এক সাথে আড্ডা দিচ্ছি।

শুনো শুনো।একটা কথা ছিল আমার।(আমি দাড়িয়ে)

বলুন মহারানী।(আভি)

আভি আমার,,জয় আরশি,,আয়ুশ ছায়া ছাড়াও আরেকটা ছুটি আছে।(আমি)

আরেকটা জুটি মানে?(দাদু)

মানে?আরিফ আর রাবেয়ার।কি আরিফ আমি সত্যিই বলছি না?(আমি)

কী আরিফ,,,
বলেই আয়ুশ আর আভি গিয়ে ওর উপর ঝাপিয়ে পড়লো।

ব্যাটা।কি খবর?কি শুনি এইসব?(আভি আরিফের পেটে গুতা মেরে)

এতো দিন আমাদেরটা নিয়ে খুব মাতিয়েছ।এখন নিজেরটা লুকাছো।(বলেই আয়ুশ আরিফের পেটে সুড়সুড়ি দিতে লাগলো)

আহহ।বলছি বলছি।কিন্তু আমাকে এইটা বলো আস্থা ম্যাম তুমি কি করে জানো?(আরিফ)

প্রথমত আমাকে আস্থা বলো।আর আমাকে খালা আজ যখন সবার খবর জানতে চেয়েছি তখন বলেছে।এখন বলো সত্যিই কি না?(আমি)

হুম।(আরিফ লজ্জা পেয়ে)

এই লজ্জা পাচ্ছে।আজ এই লোককে ধর।অনেক পচাইছে আমাদের।(আরশি)

দে হতচ্ছাড়া কে।এইজন্যই তো বলি রাতে বেলা পটর পটর কার সাথে।ওইদিন অফিসেও ফোনে কথা বলছিল।আর তখন আমি জিজ্ঞেস করতেই বলে এক ফ্রেন্ড এখন দেখি এইটা ফ্রেন্ড না ওর গার্ল ফ্রেন্ড।(দাদু)

হুম।কবে থেকে শুরু হয়েছে(আভি আর আয়ুশ)

তিন বছর আগে।একটা কলেজের অনুষ্ঠানে ওর সাথে পরিচয়। ও অনাথ আর আমিও অনাথ।তাই ভাবলাম দুই অনাথ এক সাথে নিজেদের পরিবার তৈরি করি।দুই বছর আগে ও অনাথ আশ্রম ছেড়ে দেয়।এখন ও হোস্টেলে আছে।ভাবছি ওকে বিয়ে করে ফেলবো।আর হোস্টেলে থাকতে হবে না।পড়াশুনার দায়িত্ব টাও আমি নিবো।(আরিফ নিজের চোখ মুছতে মুছতে)

ওই হতচ্ছাড়া।আমরা কি তোর পরিবার না?তুইও তো আমার নাতি।আভি আর আয়ুশ এর মত।এতো সুন্দর একটা পরিবার থাকতে নিজেকে অনাথ বলতে লজ্জা করে না?(দাদু কিছুটা রেগে)


চলবে,,,,