#Marriage_With_Benefits_2
#Last_Part
Writer:: Sanjida Nahar Shaanj
.
.
আস্থা।তুমি আমায় মেরে ফেলবে।of course I will।
বলেই আভি আমাকে তুলে বুকে জড়িয়ে ধরলো।
আর সবাই হাত তালি দিতে লাগলো।
এখনও আরো বাকি আছে।(আমি আভির কানে ফিস ফিস করে)
আরোও সারপ্রাইজ আছে?(আভি অবাক হয়ে)
হুম।
বলেই আভির থেকে আবার সেই স্টেজে গেলাম।গিয়েই হাতে গিটার নিয়ে।এই গানটা তোমার জন্য আমার মি কোবরা?
আভি হাসতেছে।
আজ আস্থা ফুল ফর্মে আছে(আরিফ হাসতে হাসতে)
তা আর বলতে আমরাও সারপ্রাইজ হয়ে যাচ্ছি।(রাবেয়া হাসতে হাসতে)
আমাদের ছেলে মেয়ে কতো খুশি!(কলি চোখের পানি মুছতে মুছতে)
হুম।অনেক খুশি আজ আভি!(সুমাইয়া কলির কাধে হাত দিয়ে)
একটা দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে শুরু করলাম। আরাভ আর আরাভি পাশেই নাচতে শুরু করলো।
Main jitna Tumhe
Dekhun….
Mann ye.. na bhare
Main Jitna Tumhe
Sochun…
Mann ye na bhare
আভি শুধু হেসেই যাচ্ছে।আজ বাচ্চারা,,বাচ্চার মা সবাই ওর জন্য কিছু করছে।এর থেকে ফ্যামিলি মোমেন্ট আর হয় না।
Inn Aankhon Mein
Chhalakta Hai
Mera Pyar Tera Pyar
Kahin Tujhmein
Dhadakta Hai
Mera Pyar
Tera Pyar
Mera Peyar
Tera Pyar
Main jitna Tumhe
Dekhun
Mann Ye Na Bhare
Main jitna Tumhe
Sochun
Mann Ye Na Bhare
ছায়া,,আরশি আর রাবেয়া দৌড়ে পারফর্ম করার স্টেজে চলে আসলো।
পরেই ছায়া মাইক নিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আয়ুশ এর জন্য গাইতে শুরু করলো
Thoda Sa Mera
Hai Thoda Tumhara
Mila Jula Sa
Yeh khawab Humaara
Ek meethi Dhunn
Sunaayi
De Rahi Hai Aaj Kal
Hans Ke Saare Gham
Humaare
Dega Khushiyon Mein
Badal
Mera Pyar
Tera Pyar
পরেই আরশি মাইক দিয়ে দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে গাইতে শুরু করলো
Main jitna Tumhe
Dekhun
Mann ye na bhare
Main jitna Tumhe
Sochun
Mann Ye Na Bhare
Koi Nahi Sau Saal
Jiya Hai
Pyar Magar Kaayam
Rehta Hai
পরে রাবেয়াও আরিফের জন্য গাইলো
Dhoop Khushbo Aur
Hawayein Banke Yeh
Reh Jaayega
Baad Apne bhi humaare yeh
Jahaan Mehkayega
Mera Pyar Tera Pyar
আভি আর বাকি ছেলেরাও চলে আসলো স্টেজে পরেই সবাই মিলে একসাথে নাচতে শুরু করলো।আর স্টেজের নিচে আদি সুমাইয়া,,জিসান কলি,,আর ঈশানি আর রোহান নাচছে এ যেনো এক অপূর্ব মুহূর্ত।
Main jitna Tumhe
Dekhun
Mann Ye Na Bhare
Main jitna Tumhe
Sochun
Mann Ye Na
Bhare
সবাই হাত তালি দিলো।
আমার সারপ্রাইজ কেমন লাগলো?(আমি আভিকে জড়িয়ে ধরে)
অনেক সুন্দর একদম তোমার মত।(আভি হাসতে হাসতে)
পাপা আমাদের নাচ?(আরাভ আর আরাভি)
অনেক সুন্দর হয়েছে আমার সোনামণিদের নাচ।(আভি ওদের কোলে তুলে নিয়ে)
অনেক হয়েছে এইবার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হবে।সবাই স্টেজে চলে আসো।(দাদু)
পরেই আমরা স্টেজে গেলাম।সব কিছু সুন্দর ভাবে শেষ হলো।
।
।
বিয়ের দিন
সময় কোন দিক দিয়ে কখন বয়ে যায় তা সকলেরই অজানা।আমাদের দুঃখের দিন শেষে কখন যে সুখের দিন চলে আসলো।ভাবতেই পারি নি।এতো বছর পর সেই ভালোবাসা যে এখনও বিদ্যমান থাকবে ভাবা ছিলো না।আজ কাল তো পাশে থেকেই কাজের মানুষ হারিয়ে যায়।আর এতো বছরের দূরত্ব আমাদের মনের দুরত্ব বাড়াতে করতে পড়লো না।আসলে সম্পর্কে ভালোবাসা থাকতে হয়।যেখানে ভালোবাসা নেই সেখানে সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব একটা দোহাই মাত্র।
।
।
আমি ভারী গয়না পরে ঘাটের উপর আসন পেতে বসে আছি।শুধু আমি না আরশি,,ছায়া,,রাবেয়া সবাই।কারণ আমাদের সবারই ওজন এখন পাঁচ কেজি বেড়ে গেছে। হাঁটতেও কাহিল লাগে।আমার লেহেঙ্গা নীল রঙের গোল্ডেন কারু কাজ চুল গুলো ছাড়া আর মাথায় গাজরা।শরীরে ভারী গয়না একদম নতুন বউদের যেটা শোভা পায়।ছায়ার গাঢ় খয়েরী রঙের লেহেঙ্গা ওর আজ আমার আমার সাজ একই।আরশি লাল রঙের লেহেঙ্গা আর ওর চুল গুলো খোঁপা করে লাল গোলাপ লাগিয়েছে।রাবেয়ার গোল্ডেন রঙের লেহেঙ্গা আর ওর সাজ আর আরশির সাজ একই।
আবু।এগুলো এতো ভারী কেন?(ছায়া ক্লান্ত হয়ে)
আমি কি করে জানবো?আমিও তো পড়েছি।(আমি বিরক্ত হয়ে)
সত্যিই বিয়ে করার স্বাদ মিটে গেছে আমার।(আরশি লেহেঙ্গা ঠিক করতে করতে)
আমারও।সেই কখন থেকে বসে আসছি বর যাত্রী আসছেই না।(রাবেয়া)
আমরা সবাই রাবেয়ার দিকে😳
কী হয়েছে?এই ভারী লেহেঙ্গা আর গয়না সহ্য হচ্ছে না তাই বলছি।(রাবেয়া)
ও তাই বল।আমি তো ভাবলাম তোর তর সইছে না।(আমি টিটকারি দিয়ে)
কিছুক্ষণ পর
আরাভি আর আরাভ আসলো
আম্মু আম্মু। পাপা এসেছে। পাপাকে একদম নতুন বর মনে হচ্ছে।(আরাভি)
তোর পাপা নতুন বর-ই(আরশি)
জানি।আম্মু আমরা এখন পাপার কাছে যাই।(আরাভ)
ওকে বাবা যাও(আমি)
পরে ওরা চলে গেলো।
চলো আমারও গিয়ে দেখি।(ছায়া)
চল চল।
বলেই আমরা বেলকনিতে দাড়িয়ে ওদের দেখছি।
।
।
কী সুন্দর লাগছে না ওদের?(ছায়া এক্সসাইটেড)
বল সুদর্শন লাগছে। সুন্দর্য শুধু মেয়েদের।(আমি আভির দিকে তাকিয়ে)
বাহ। একজন দেখি কবি হয়ে গেছে।(আরশি)
এতে কবির কিছু না।ভালোবাসার মানুষ দেখলে ভিতর থেকে কবি এমনি বেরিয়ে আসে।(আমি)
এই লুকাও লুকাও।
রাবেয়ার এই কথা বলতেই আমার নিচে বসে পড়লাম।
রাবেয়া লুকাবো কেনো?(আমি অবাক হয়ে)
আমাদের সাজ ওদের দেখাবো না।(রাবেয়া দুষ্টু হাসি দিয়ে)
মানে আমি বুঝতে পারছি।(আরশি এক্সসাইটেড হয়ে)
কিহ!(আমি আর ছায়া অবুঝএর মত)
আহারে আমার দুটো ভাবীই এতো অবুঝ কেনো?(আরশি আফসোস করে)
এখন আফসোস করিস না। বল।(আমি ওকে থামিয়ে)
মানে ওরা আমাদের চেহারা দেখবে বাসর ঘরে।(আরশি দুষ্টু হাসি দিয়ে)
বাহ।এতো দুষ্টু ননদ কইতে আইলো।(আমি আরশির গাল টেনে)
সব ভাবীর কৃপায়।(আরশি ভাব নিয়ে)
যাই হোক।আইডিয়াটা কিন্তু দারুণ।(ছায়া)
দেখে আমাদের বর এমনি তাদের উপর অত্যাচারের জন্য ক্ষেপে আছে।এখন এইসব করলে বাসর ঘরে বিড়াল মারার বদলে আমাদের মারবে।(আমি ওদের বুঝিয়ে)
আরে কিছু হবে না।এখনই তো সময়।(ছায়া)
তোরা যা খুশি কর।(আমি আর ওদের সাথে পেরে উঠলাম না)
।
।
অবশেষে আমাদের নিয়ে সম্পূর্ণ হলো।বিয়েতে আমরা চারজন মস্ত বড় একটা ঘোমটা টেনে বসে ছিলাম।সবাই অনেক বলেছিলো ঘোমটা খুলতে কিন্তু আমারই খুলি নাই।আভি,,আয়ুশ,,আরিফ আর জয় অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু আমাদের সাথে পেরে উঠা আর ওদের হলো না।লোক ঠিকই বলে বিয়ের পরে লাটাই চলে আসে বউয়ের কাছে।আমাদের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে।
বিয়ের বিদায়ের সময় মানুষ কান্না করে আর আমরা হাসতে হাসতে শেষ।এমন বিদায় মানুষ খুব কমই দেখছে।
আমাদের শশুর বাড়িতে এনেই সোজা বাসর ঘরে প্রবেশ করানো হলো।ছেলেদের ধর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলো।
।
।
আমি বাসর ঘরে বসে আছি কিছুক্ষণ পর আভি ঢুকলো
আমি গিয়ে ওর পায়ে ধরে সালাম করতে গেলাম তখনই ও আমাকে ধরে বললো
তোমার জায়গা আমার বুকে পায়ে না।
আমি মুচকি হাসি দিলাম।
এতো হেসো না।তোমার মাথায় এমন অদ্ভুত বুদ্ধি আসলো কোথা থেকে।এর জন্য তোমাকে শাস্তি পেতে হবে।
আমি শাস্তির কথা শুনে যেই দৌড় দেয়ার চেষ্টা করলাম।সেই আভি আমাকে ধরে ফেললো
কিন্তু আভি ধরতেই আমি হাসতে হাসতে ফ্লোরে বসে পড়লাম।আভি আমার হাসি দেখে অবাক।
তোমাকে আমি শাস্তি দিবো আর তুমি হাসছো।(আভি অবাক হয়ে)
আমি হাসছে হাসতে বসে পড়লাম।হাসির ঠেলায় কথা বের হচ্ছে না মুখ থেকে।আমার হাসি দেখে আভিও রাগ ভুলে হাসতে শুরু করলো।
আস্থা স্টপ।আমারও হাসি পাচ্ছে তোমার হাসি দেখে।(আভি হাসতে হাসতে)
আমি আভিকে টেনে নিজের পাশে বসলাম।আমি আর আভি দুজনেই ফ্লোরে বসে আছি বেডে হেলান দিয়ে।
সত্যিই বলো তোমার মজা লাগছিল না।(আমি আভির কাধে মাথা রেখে)
সত্যিই বলতে হা।কিন্তু তোমাকে কাছে পাওয়ার তর সইছিল না(আভি)
আমি ওর কাঁধ থেকে মাথা তুলে
এতই যখন কাছে রাখার ইচ্ছে ছিলো তাহলে ডিভোর্স দিয়ে দূরে সরিয়ে দিয়েছো কেনো?
আভি উঠে আলমারি থেকে একটা কাগজ বের করে আমার হাতে দিলো।
কী এইটা?(আমি অবাক হয়ে)
খুলে দেখো।(আভি)
আমি খুলতেই অবাক হয়ে গেলাম
প্রোপার্টি পেপার?
হুম।ওইটা ডিভোর্স পেপার ছিলো না।প্রোপার্টি পেপার ছিলো আমার প্রপার্টির 50 পার্সেন্ট মালিক তুমি!(আভি)
কিন্তু ওইটা তো ডিভোর্স পেপার ছিলো।(আমি অবাক হয়ে)
সত্যিই করে বলত তুমি ঠিক মত পেপার দেখেছিলে কিনা।(আভি)
না।আমি তখন অনেক মানুষিক চাপে ছিলাম।(আমি)
আমি চেয়ে ছিলাম।তুমি যাতে পেপারটা পরো আর কিছু তো অন্তত আন্দাজ করতে পারো।কিন্তু তুমি পরো নি শুধু সাইন করে চলে গেলে।(আভি)
আমি চুপ করে আছি।
পুরনো কথা বাদ দাও।এখন নতুন করে জীবন শুরু করি।(আভি আমাকে জড়িয়ে ধরে)
হুম।(আমি মাথা নেড়ে)
আজ পূর্ণিমা রাত। ছাদে যাবে চাঁদ দেখতে?(আভি)
হুম।চলো।
পরেই আমরা ছাদে গেলাম।
।
।
ছাদে গিয়ে দেখি আগে থেকেই ছায়া আয়ুশ,,জয় আরশি আর আরিফ রাবেয়া বসে ছিলো।
বাহ বাসর ছেড়ে এখানে বসে আছো?(আভি)
হ্যা।আকাশ দেখছি আসো ভাই।(আয়ুশ)
পরেই আমরা একে অপরের কাধে মাথা রেখে চাঁদ দেখতে লাগলাম।
।
।
তিন বছর পর
আরশি আর জয় বিদেশ চলে গেছে।বিয়ের দুই সপ্তাহ পরেই…এখন ওরা খুব সুখেই আছে।ওদের একটা এক বছরের ছেলে ছেলে আছে।নাম আরজু।
ছায়া আর আয়ুশ এখন আমাদের সাথেই সাথে দু সপ্তাহ আগে ওর একটা মেয়ে হয়েছে।আয়ুশ তো সেই খুশি।ওদের মেয়ের নাম আয়ুশী।
আরিফ আর রাবেয়া এখন ওদের নিজের ফ্ল্যাটে থাকে।এই ফ্ল্যাট দাদু ওদের বিয়েতে গিফট করেছে।ওরা এখনও কোনো সন্তান নেই নি।আরিফ বলছে রাবেয়ার লেখাপড়া শেষ হলে বাচ্চা নিবে।
ডালিয়া আর নিহাল ভাইয়া আবার বিদেশ চলে গেছে।
আমি আমার মা হয়েছি আমার দুই বছরের আরেকটা মেয়ের আছে ওর নাম আভা।
আজ আমরা সবাই খুশি।দুঃখের আঁচ এখন আমাদের ছুঁতেও পারে না।আভি,, আরাভ,, আরাভি আর আমাদের ছোটো সদস্য আভাকে নিয়ে আমরা খুব সুখেই আছি।
………………………….#THE_END……………………………
অবশেষে শেষ হলো।আমি এখন আর এইটার সিজন 3 স্টার্ট করবো না।যদিও করে তাহলে অনেক পরে।না করার সম্ভাবনাই বেশি।এখন আমি নতুন গল্প কবে নিয়ে কবে আসবো জানি না।আমি সব সময় একটা গল্প শেষ করার পর পরই নতুন গল্প শুরু করি।কিন্তু এই বার আমি একটা লম্বা ব্রেক নিবো।এই গল্প লিখতে গিয়ে আমি অনেক বোর হয়ে গেছি।
খোদা হাফেজ,,bye bye,, টাটা ✌️✌️ভালো থাকবেন সবাই।আর ভুলে যাবেন না প্লিজ🥺🥺