Mental Lover Part-7+8

0
518

#Mental_Lover
পর্ব:০৭
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম

__________________________________
আরিয়ান প্রেমে পড়েছি কি না জানি না কিন্তু ইশিতা আহমেদ মায়া তে আসক্ত হয়ে গেছি।

নিরব: বুঝলাম,, যে আপনার কি হয়েছে প্রেম রোগ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।( হেসে হেসে)।

আরিয়ান: আচ্ছা ঠিক আছে, এখন এসব কথা বাদ দে,,চল অফিস যেতে হবে না।

নিরব: হুম।

**হ্যালো**
**আজকে ওকে নিয়ে আয় খুব বড় একটা পার্টি পেয়ে গেছি,,, এখন শুধু টাকা আর টাকা**।

**আরে বাহ্ দিদি তুই তো দেখছি কামাল করে দিলি,,,তোর বুদ্ধি আছে বলতে গেলে**

**বুদ্ধি তো ষোল আনা আছে আমার কিন্তু তোর বুদ্ধি হাঁটুর নিচে,, এখন আগের বার এর মত ঝামেলা না করে চুপচাপ ওকে নিয়ে আয়**।
**হুম,, ঠিক আছে।**

ইশিতা বিকেল বেলা বাগানে হাঁটছে,,, তখন ওর মনে হচ্ছিল কেউ যেনো ওকে লক্ষ্য করছে, ইশিতা পিছনে তাকিয়ে দেখে কেউ নেই,, ইশিতা একটু ঘাবড়ে যায়,,, কিছুক্ষণ পর কেউ যেনো ওর ঘাড়ে হাত রাখে,, ইশিতা ভয় পেয়ে চিৎকার করে উঠল,, তখন আরিয়ান ইশিতার মুখ চেপে ধরে বলল।

আরিয়ান:আরে এভাবে চেঁচিয়ে উঠছ কেন,,।
ইশিতা:উমমম।
আরিয়ান ইশিতাকে ছেড়ে দিল,,।
ইশিতা: আপনি ছিলেন, আমি মনে করেছি,,,,।
আরিয়ান: কি,,,,কে ভেবেছিলে ।

ইশিতা:কেউ না,,,,,,।
আরিয়ান ইশিতার কোমড়ে টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে।

আরিয়ান:বললে কি হয়।
ইশিতা: কি করছেন আপনি,,, ছাড়ুন আমায়।
আরিয়ান: হুম,,,।
বলে আরিয়ান ইশিতাকে ছেড়ে দিল।

ইশিতা আরিয়ানের সাথে ভেতরে চলে গেল,, কিন্তু ইশিতা যা ভেবেছিল ঠিক তাই,কেউ সত্যি ওকে গাছের পেছন থেকে,, লুকিয়ে দেখছিল।

**বাহ্ নতুন আশিকও বানিয়ে ফেলেছিস তুই,,, কিন্তু কোনো লাভ নেই,,, তোকে তো যেতেই হবে।**

সবাই বাড়িতে থেকে থেকে বিরক্তি অনুভব করছে, তাই সবাই মিলে ঠিক করল,, আজকে ওরা নিজের বন্ধুদের সাথে পার্টিতে যাবে,, কিন্তু এসবের সাথে ইশিতার এই প্রথম সম্পর্ক। ইশিতা কখনো এসব জায়গাতে যায়নি,,তাই ওর ভালো লাগছে না।

নিশা:আরে তুমি চিন্তা করছ কেন,, কোনো সমস্যা হবে না,, তুমি আমার সাথে থাকবে।
ইশিতা: না গো,, আমি তো এসবের মধ্যে আগে কখনো ছিলাম না তাই।

আরিয়ান: তাই কি হয়েছে,,,,,।
ইশিতা আর নিশা তাকিয়ে দেখে আরিয়ান রুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

ইশিতা: না,, আসলে।
আরিয়ান: কি,,,, আচ্ছা একটা কথা বলি,, এখন যদি আমরা তোমাকে রেখে চলে যাই,থাকতে পারবে তো,,(ভয় দেখিয়ে)।

ইশিতা: মানে,,,,,।
নিশা আরিয়ানের কথা শুনে মুচকি হাসে ,,।
আরিয়ান: বেশি বকবক না করে তৈরি হয়ে যাও,,,এই নাও তোমার ড্রেস।
ইশিতা ড্রেস হাতে নিয়ে অবাক হয়ে যায়,,,, আরিয়ান ইশিতা।

ইশিতা:এত ছোট ড্রেস,,,এটা পড়ব না মাথায় দেব।
আরিয়ান: পড়বে।
ইশিতা: না,,, (চিৎকার করে)।এটা আমি পড়ব না,,,কত ছোট এটা সব কিছু দেখে যাবে,, না না আমি পড়ব না।

আরিয়ান: ঠিক আছে পড় না, কিন্তু তবুও তোমায় পার্টিতে যেতে হবে।

ইশিতা: কিন্তু,,,,,,।
আরিয়ান:যদি বেশি কথা বল,, তাহলে এটাই পড়তে হবে।

ইশিতা: না না,,।
আরিয়ান আর কিছু না বলে চলে গেল।
নিশা ইশিতা কে একটা লাল রঙের ড্রেস দেয়,,, ইশিতা সেটাই পড়ে। সবাই মিলে পার্টিতে যোগ দেয় যার মত আনন্দ করছে,, তখন একটা ছেলে ইশিতার কাছে আসে।
রুহান:হেই,, আপনি কিন্তু দেখতে খুব সুন্দর।

ইশিতা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রুহানের কথা শুনছে।

রুহান: আমি কি আবার নাম জানতে পারি।
ইশিতা: ইশিতা আহমেদ মায়া,।

রুহান: আপনার মত নামটা সুন্দর ,,।
রুহান ইশিতার সাথে কথা বলছে,,আর এদিকে এসব কিছু আরিয়ান দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে,,। আরিয়ান অনেকটা রেগে যায়,,, আরিয়ান কিছু না বলে হঠাৎ করে এসে ইশিতার হাত শক্ত করে ধরে হাঁটা শুরু করে।

রুহান:আরে,,,,,,।
ইশিতা নিজেও কিছু বুঝতে পারছে না,, আরিয়ান ইশিতাকে নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিল,,নিশা নিরবের সাথে বাইরে চলে গেছে অনেক আগেই।

আরিয়ান ইশিতাকে টানতে টানতে উপরে নিয়ে যায়।

আরিয়ান: সমস্যা কি (ফুলদানি ছোড়ে ফেলে দিয়ে)।

ইশিতা আরিয়ানের রাগ দেখে ভয় পেয়ে যায়,,,।
আরিয়ান:এত কথা কিসের ওই ছেলেটার সাথে,,,,,, না কি ওর প্রশংসা পছন্দ হয়েছে,, কোন টা।

ইশিতা: আমি ওনার সাথে কথা বলিনি,,,,, উনি।
আরিয়ান: চুপ,,,,,( দাঁতে দাঁত চেপে)।তোর এত সাজার কি আছে,,,,, না কি ছেলেদের রূপ দেখিয়ে বেড়াতে ভালো লাগে কোন টা।(হাত চেপে ধরে)।

ইশিতা: আমি,, কি করলাম,,নিশা যেভাবে তৈরি করেছে তেমনি ছিলাম।

আরিয়ান ইশিতাকে ওয়াশ রুমে নিয়ে যায়। গিয়ে শাওয়ার অন করে দিল।
ইশিতা: আপনি কি করেছেন,,,,,,।
আরিয়ান তোর স
ওই ছেলের সাথে কথা বলা উচিত ছিল না।
ইশিতা ভিজে যাচ্ছে,,,, তার উপর কিছু পানির জন্য কিছু দেখতে পাচ্ছে না।
আরিয়ান আচমকা পিচ্ছিল হয়ে ইশিতার উপর পড়ে যায়,,এর ফলে আরিয়ানও ভিজে গেছে,,,, ইশিতা আরিয়ান এর চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। আরিয়ান ইশিতার আরেকটু কাছে গিয়ে বলল।

আরিয়ান: আমি কিন্তু পারব না,,অন্য কোনো ছেলের সাথে তোকে সহ্য করতে,,,,,, তুই কিন্তু আমাকে নিজের প্রতি আসক্ত করেছিস,,, (ইশিতার কোমর জড়িয়ে ধরে)।

আরিয়ানের চুল থেকে টুপটাপ জল গড়িয়ে পড়ছে ইশিতার মুখের উপর আরিয়ান আর কিছু না ভেবেই ইশিতার ঠিক ঠোঁটের নিচে আলতো করে চু*মু দেয়। ইশিতা আরিয়ান এর স্পর্শে শিউরে উঠে,, আরিয়ানের শার্ট খামচে ধরে আছে,,,। আরিয়ান ইশিতা কে জড়িয়ে ধরে,,,,, বলল।

আরিয়ান:তোর প্রতিটি স্পর্শে আমার নাম লিখা,, আছে, তোর সব কিছু শুধু আমার,।
ইশিতা শুধু আরিয়ানের স্পর্শ গুলো অনুভব করছে,,,,। দুজনে ভিজে একাকার হয়ে গেছে,, হঠাৎ আরিয়ানের কি মনে হলো ও ইশিতা কে ছেড়ে দিল দিয়ে বলল।

আরিয়ান: তুই যতটা সম্ভব আমার থেকে দূরে থাক,, না হলে পস্তাতে হবে,,,,,,,,,, আমি কিন্তু নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছি,, আরিয়ান তাড়াতাড়ি করে বের হয়ে যায়।

ইশিতা: আজব তো,,, একবার বলে আমি ওনার,, উনি যা ইচ্ছে করবে,আর আরেক বার বলে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে,,(ভাবুক হয়ে)।










নিশা ব্রিজের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে,,,নিরব নিশার হাসি ভরা মুখ দেখে মনে মনে খুশি হয়েছে।
নিশা:এই জায়গা টা কত সুন্দর তাই না।

নিরব: হুম,,তা ঠিক কিন্তু আমার মনে হয় না তোমার থেকে বেশি সুন্দর।
নিশা নিরবের কথা শুনে লজ্জা পায়।নিরব পিছন থেকে এসে নিশা কে আলতো করে জড়িয়ে ধরে।
এই প্রথম বার নিরব নিশার এতটা কাছে এসেছে,,তাতে নিশা অনেক খুশি।

নিশা: আপনি তো সবসময় কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তাহলে আজ হঠাৎ আমাকে নিয়ে এখানে আসলেন।

নিরব: আজকে ভাবলাম,, একটু রোমান্স করি,,তাই।
নিশা: তাই কী,,,,,।
নিরব আলতো করে নিশার কোমড় স্পর্শ করে। নিশা নিরবের হাত শক্ত করে ধরে।

নিশা: আপনি,, কি চাইছেন।
নিরব:ওটাই যেটা তুমি বুঝতে পারছো,,,,।
নিশা নিরবের চোখে অন্য কিছু দেখতে পাচ্ছে যা প্রতিটি ছেলে একটা মেয়ের কাছে চায়।
নিরব: হুম,, বেশি কিছু লাগবে না এখন শুধু তোমার ওই সুন্দর ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলেই হবে,,,আর বাকি সব কিছু না হয় উশোল করে নেব।

নিশা: হুঁ,,,,, চোখ বন্ধ করুন।
নিরব: আবার চোখ বন্ধ করতে হবে।
নিশা: তাহলে থাক।
নিরব:এই না না না।করছি চোখ বন্ধ,,,,।
নিরব চোখ বন্ধ করে নিশা একটু উঁচু হয়ে নিরবের ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে দেয়,,,।নিরব নিশা কে নিজের হাতের বাঁধনে জড়িয়ে ধরে।

__________________________________
এদিকে আরিয়ান সুহানার কাছে যায়,,সুহানা যে টাকার জন্য সব কিছু করতে পারে,,তাই নিজের সম্মানও টাকার মাধ্যমে বিক্রি করে দেয়। আরিয়ান সুহানার কাছে গিয়ে একটা টাকার বান্ডিল ছোড়ে ফেলে।

সুহানা:আরে বাহ এত টাকা।
আরিয়ান: আজকে রাতের জন্য আমার হয়ে যা।

সুহানা: কেনো না,,, তুমি আমাকে পেলে খুশি আর আমি টাকা পেলে খুশি,,,,,। তাহলে কখন আসবে।

আরিয়ান: এক্ষুনি এই মূহুর্তে আমার তোকে চাই।
সুহানা: ঠিক আছে,, তাহলে চলুন।
,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।
,,,,,,,,,,,,,,
চলবে…………………..।

#Mental_Lover
পর্ব:০৮
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম
____________________________________

আরিয়ান সেই রাতে আর বাড়িতে ফিরে আসে না,সুহানার সাথে রাত কাটালো,,,নিরব কিছুক্ষণ পর এসে নিশা কে বাড়িতে দিয়ে যায়।

পুরো বাড়িতে ইশিতা আর নিশা আছে সার্ভেন্ট সবাই সারাদিন কাজ শেষে যে যার বাড়িতে ফিরে যায়। শুধু ফিরে না আরিয়ান।

ইশিতার ঘুম পাচ্ছে না,,তাই ইশিতা জেগে রাত কাটিয়ে দেয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে ইশিতা আরিয়ান সত্যি কাল রাতে বাড়িতে ফিরে আসে নি।

কিছুক্ষণ পর নিরব বাড়িতে আসে।
ইকবাল হোসেন:আরে নিরব তুই একা আসলি,, যে আরিয়ান কোথায়।

নিরব: কোনো আরিয়ান বাড়িতে নেই।
ইকবাল হোসেন:কই না তো,,, তাহলে কোথায় গেল।

নিরব: আরিয়ান কোথায় যেতে পারে,,,,, বুঝতে পেরেছি কোথায় আছে (মনে মনে )। আচ্ছা মামা আমি ওকে নিয়ে আসছি,,,, তোমরা চিন্তা কর না।

ইকবাল হোসেন: ঠিক আছে,,,,।

নিরব চলে যায়।
ইকবাল হোসেন: ইশিতা মা এদিকে আয়।
ইশিতা গিয়ে ইকবাল হোসেন এর কাছে বসে।
ইশিতা :জী বলুন,,,।
ইকবাল হোসেন: আরিয়ান কি তোকে কিছু বলে গেছে,,।

ইশিতা: না তো,,।
ইকবাল হোসেন:এই আরিয়ান টাও কি যে করে।
_________________________________________

নিরব: আরিয়ান,,,, দরজা খুল।
আরিয়ান ঘুম ঘুম চোখে উঠে গিয়ে দরজাটা খুলে দিল।
আরিয়ান: কি হয়েছে তোর,,।

নিরব ভেতরে এসে দেখে সুহানা
নিরব: তুই এখানে কি করছিস।
সুহানা: আরিয়ান আমাকে এনেছে তাই।

নিরব খুব রাগী গলায় বলল।

নিরব: তুই যা এখন এখান থেকে।
সুহানা কিছু না বলে চলে যায়।

আরিয়ান: কি হয়েছে তোর,, এরকম চেঁচামেচি করছিস কেন।

নিরব: তুই কি পা/গল হয়ে গেছিস তুই আবার এসব শুরু করেছিস,
আরিয়ান: তো,,,,।

নিরব: আমি ভেবেছিলাম তুই হয়তো ইশিতা কে ভালোবাসিস,,, কিন্তু তুই তো।
আরিয়ান: ভালোবাসা (হেসে হেসে) আমি আর ভালোবাসা,,, আমি মেয়েদের ঘৃ*ণা করি কখনো আমি ওদের ভালোবাসব না। ওরা টাকার জন্য সব কিছু করতে পারে,,যেমন করেছিল আমার,,,,,,,।যাই হোক আমি আর কিছু বলতে চাই না। আমার কাছে মেয়েরা মানে ব্যবহার করে ছোড়ে ফেলে দাও।

নিরব : তুই ঘৃ*ণা করিস মেয়েদের তাহলে তোর বোন।
আরিয়ান:নিরব,,,, (চিৎকার করে)।
নিরব: কি,, তাহলে নিশা কেও তো তোর ঘৃণা করা উচিত,,,, কিন্তু না কারণ ও তোর বোন হয়। তাই ওর জন্য তোর মনে আলাদা ধারণা আছে ,,,।

আরিয়ান: এখন কি হয়েছে সমস্যা কি।
নিরব: এখন বাড়িতে সবাই তোকে কে নিয়ে চিন্তা করছে দয়া করে এখন বাড়িতে চল।

নিরব আরিয়ান কে বাড়িতে নিয়ে যায়। আরিয়ান বাড়িতে যাওয়ার পর বিছানায় শুয়ে পরল,,।

নিশা:এই ভাইয়া টাও না যা তা।দেখ না খেয়ে শুয়ে পড়ল,, এখন কি করব।

নিরব:এক কাজ কর ইশিতা কে দিয়ে খাবার রুমে দিয়ে এসো,,,
ষ।
নিশা; কিন্তু ভাইয়া যা রাগি যদি ইশিতা কে বকা দেয় তাহলে ওই মেয়ে যা বোকা কান্না না শুরু করে দেয়।

নিরব:আরে কিছু হবে না আমি বললাম তো তুমি ওকে দিয়ে পাঠাও।
নিশা ইশিতা কে দিয়ে রুমে খাবার পাঠায়, ইশিতা রুমে ঢুকে দেখে আরিয়ান চাদর টেনে শুয়ে আছে।

ইশিতা:আরে উনি তো ঘুমিয়ে আছে, তাহলে এখন কি করব,,থাক এটা এখানে রেখে দেই ঘুম ভাঙলে উঠে খেয়ে নেবে।

ইশিতা চলে যাবে তখন আরিয়ান ইশিতাকে টান দিয়ে বিছানায় ফেলে দেয়। ইশিতা প্রথমে একটু অপ্রস্তুত হয় পরে আরিয়ানের চোখ দেখে ইশিতা নিজেও আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে থাকে।

আরিয়ান: কোথায় যাচ্ছ,,।

ইশিতা:ওই আপনি,,,
আরিয়ান: এখানে কেন এসেছ।
ইশিতা: আপনার খাবার দিতে,,, ওরা বলল।
আরিয়ান যট করে উঠে যায় গিয়ে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাওয়া শুরু করে ।

ইশিতা : আপনি এসব খান।
আরিয়ান: হুম, (রেলিংয়ের ওপর এক হাত রেখে)।

ইশিতা: কিন্তু এসব তো শরীরের জন্য ভালো নয়,,।
আরিয়ান: জানি,,,।
ইশিতা: তাহলে কেন খান।
আরিয়ান:এটাতে আসক্ত হয়ে গেছি তাই ছাড়তে পারি না।

ইশিতা: তাহলে এখন অন্য কিছু নিয়ে নিন যাতে এটা থেকে মুক্ত হতে পারেন।
আরিয়ান: হুম,,।
আরিয়ান সিগারেট বেলকনি দিয়ে ফেলে দেয়।

আরিয়ান: এখন অন্য কিছুতে আসক্ত হয়ে গেছি।
ইশিতা: কি,,,,।
আরিয়ান ইশিতার হাত ধরে টান দিয়ে নিজের কাছে এনে ওর ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দেয়। ইশিতা প্রথমে একটু অপ্রস্তুত হয়ে যায় পরে আরিয়ানের ভালোবাসার পরশ নিজের মধ্যে ধারণ করে নেয়।

আরিয়ান অনেকক্ষণ ধরে ইশিতার মাঝে হারিয়ে ছিল। কিছুক্ষণ পর ইশিতা এখন একটু ব্যাথা অনুভব করছে তখন আরিয়ান কে আলতো করে ধাক্কা দেয়। আরিয়ান ইশিতার চুল মুঠি করে ধরে ওর মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে দেয়। ইশিতা আরিয়ান এর কান্ড দেখে কি করবে বুঝতে পারছে না। অনেক সময় পর আরিয়ান ইশিতা কে ছেড়ে দিল।

আরিয়ান:নাও আজ থেকে তোমার মধ্যে আসক্ত হয়ে গেছি।
ইশিতা আরিয়ানের চাওনি দেখে আর এক মুহূর্তও না দাঁড়িয়ে দৌড়ে চলে যায়।
_______________________________________

রিশাফ:হ্যালো মিস্টার আরিয়ান।
আরিয়ান:হ্যালো,,,,,।
রিশাফ:তা আপনি বলেছিলেন যে এই যে মিস ইশিতা আহমেদ মায়া ওনার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন,, উনি মিসেস সাবিনা খান এর মেয়ে,,, কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার এটাই যে কেউ ওই মহিলা কে ঠিক পছন্দ করেন না,,আর মানুষ ইশিতা কে নিয়ে এতটা অবাক কেউ ঠিক জানেই না যে ইশিতা ওখানে নেই।

আরিয়ান: মানে,,,,,। আপনি অন্য দের কথা ছাড়ুন ইশিতার সম্পর্কে বলুন।
রিশাফ: ইশিতার মা মানে সাবিনা খান,,,,, ভেতর থেকে একরকম আর মানুষ কে দেখায় একরকম।
ইশিতার বাবা উনি অসুস্থ হয়ে পড়েছে ঠিক করে চলতে পারে না,আর ইশিতার বোন নেহা,।

আরিয়ান:আর কিছু।
রিশাফ: না স্যার অনেক চেষ্টা করেছি আরো কিছু জানার কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না,,আর আরেক টা কথা সাবিনা কিন্তু ইশিতার আসল মা নয়।
আরিয়ান:ব্যাপার টা কি বুঝতে পারছি না,,,(ভাবুক হয়ে)। আচ্ছা Thank you so much রিশাফ এতটা help করার জন্য।

রিশাফ: তাহলে স্যার এখন আমি আসি।
আরিয়ান: হুম।
,,,,,,,,,,,,,,,,
ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে…………..।