Mr_সাইকো_লাভার পর্ব-১১

0
5126

#Mr_সাইকো_লাভার
#লাবিবা_ওয়াহিদ
“পার্ট ১১”
.
.
.
কড়তালির আওয়াজে নিশা চোখ খুলে এবং স্টেজে তাকিয়ে অবাক হয়ে যায় ফারান কে দেখে আর ভাবতে লাগে,”এতো সুন্দর গান গায় উনি? ইসসসসস আগে যদি জানতাম তাহলে তো জীবনেও এরে আমার শত্রু বানাতাম না। বাট তবুও থাকি কন্সার্ট এর শেষ পর্যন্ত।”

ফারান মুচকি হেসে আরেকটা গান ধরে,

“সাসে না চালে
তেরে বিনা
এয়সা লাগে জেসেকি
সারা জাহান থাম গেয়া।

শামে নাডলে
তেরে বিনা শুভহা নাহো
এয়সে কি মওসাম তুহি বান গেয়া।

তেরি পানা হো মে মুঝকো ইন
এহসান্সো মে ডুবা দিয়া
তেরি ইবাদতনে মুঝকো সাজদো
কি কাবিল বানা দিয়া….

ও মেরে ইস্ক কি হার গালি
কো সাজা দিয়া তেরে নাম সে
মেনে তুঝকো ভুলা দিয়া
ভুলা দিয়া~~(২)

গান টা শেষ করতেই ফারান অন্যদিকে ফিরে সবার আড়ালে চোখের জল ফেললো। সেটা কেউ লক্ষ্য না করলেও নিশা করেছে। নিশা ফারানের এমন কান্ডে ভ্রু কুচকে তাকায় এবং ভাবতে লাগে ফারান কাঁদছে কেন?

অনেকক্ষণ ভাবার পর নিশা মুচকি হাসে।

নিশা-(ওওওও আচ্ছা ব্রেকআপ হয়েছে দেখে বেচারা ছ্যাঁক খেয়ে কাঁদছে। হিহিহি একদম ঠিক হয়েছে বেশ শিক্ষা দিয়ে ব্যাটাকে! আমাকে দিয়ে কাজ করানো না? এখন বুঝেন ছ্যাঁক খাওয়ার মজা।)

ভেবেই নিশা মুখ টিপে টিপে হাসছে। ফারান ২টা গান গেয়েই কাউকে কিছু না বলে স্টেজ থেকে নেমে সেই কন্সার্ট থেকেই চলে গেলো। আদ্র,আদন আর আফনাদ একজন আরেকজনের দিকে তাকায় কিন্তু ফারানকে আটকায় না।

কন্সার্ট শেষে,,

রিদি- তুই যেতে পারবি??

নিশা- আরে হ্যাঁ আমি যেতে পারবো চিন্তা করিস না তুই বাসায় যা আঙ্কেল চিন্তা করছে।

রিদি- তাদের ফোন করে বলে দিয়েছি কিন্তু চিন্তা তো আমার তোর জন্য একা তোকে ছাড়তেই মন চাইছে না।

নিশা- আরে ধুর রিদি তুইও না এক্সট্রা ভাবছিস! বি পজিটিভ আর আলতু ফালতু চিন্তা করা লাগবে না আমি যাই টাটাহ।

তারপর নিশা রিদি কে কিছু না বলেই সেখান থেকে হেটে হেটে মেইন রোডের দিকে যেতে লাগে কারণ তার ধারণা এখান থেকে কোনোরকম রিক্সা পাবে না। তাই এই পথ টুকু হেটেই যাচ্ছে। দূর দূরান্ত পর্যন্ত কাউকেই দেখা যাচ্ছে না সব অন্ধকার। নিশা ফোনের ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে সামনে এগোচ্ছে। হঠাৎ কিছু দূরে বুঝতে পারে কিছু বখাটে ছেলে সেখানে আছে। নিশা তাদের কথা চিন্তা না করে ইগনোর করে যাচ্ছিলো কিন্তু তারা পথ আটকে দেয়। এতে নিশার ভয়ের চেয়ে বিরক্তি বেশি লাগলো।

নিশা- ওই তোদের প্রব্লেম কি পথ আটকালি কেন?

– বাব্বাহ একেবারে তুই আচ্ছা আমরাও তোরে তুই না হয় বলি।

– তা সুন্দরি এই পথে একা কি করো?

নিশা- তোরা আমার কোন ১৪গুষ্টি রে যে তোদের কৈফিয়ত দিতে হবে? পথ ছাড়!

– নাহহ এই ধর ১-২ঘন্টা পরই ছেড়ে দিবো এখন জাস্ট একটু ইঞ্জয় করবো কি বল তোরা?

বাকিগুলা মাথা নাড়িয়ে একটা নোংরা হাসি দিলো। নিশার মনে এবার অল্প অল্প ভয় কাজ করে। ছেলে গুলো আস্তে আস্তে নিশার দিকে এগোচ্ছে। নিশা এদিক ওদিক তাকিয়ে ভাবছে কি করবে। এভাবেই ওর হাত টা মাথায় চলে যায়। ওমনি নিশার মাথায় বুদ্ধি আসে সেটা হলো হিজাব পিন! হিজাব পিনে হাত দিলো নিশা। যেই প্রথম ছেলেটা নিশার হাত ধরতে যাবে হিজাব থেকে পিন টা খুলে হাতে ঢুকিয়ে দিলো। ছেলেটা তো এক চিৎকার দিলো। ছেলেটার চিৎকার ফারানের কান পর্যন্ত গেলো। ফারান ডানদিকের ব্রিজে বসেছিলো। ফারান এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে দূরে আবছা আলোয় দেখা যাচ্ছে একটা মেয়ে আর তার সামনে কয়েকটা ছেলে। ফারানের এই বিষয়টা ঠিক মনে হলো না তাই তার বাইক টা নিয়ে সেদিকে ছুটলো।

ছেলে গুলো নিশার দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে নিশার দিকে তাকায়। নিশার তো এবার ভয়ে বুক কাঁপছে কারণ নিজের আত্মরক্ষার জন্য আশেপাশে কিছুই পাচ্ছে না। ছেলেগুলো আবার যেই নিশার দিকে এগোবে ওমনি ফারান বাইক নিয়ে তাদের মাঝে চলে আসে। তারপর হেলমেট খুলে ঘাড় ঘুরিয়ে ছেলেগুলোর দিকে তাকিয়ে বলে,”কি ভাই রাতে কোনো মেয়ের পথ না আটকালে পেটের খাবার হজম হয়না?”

– আ….আ…. ফা… আ… ফারান চ…

ফারান- হুম ঠিক চিনতে পেরেছিস এখন এখান থেকে ভাগ নইলে তোদের খবর কাল সকালের ব্রেকিং নিউজে যাবে।(চোখ রাঙিয়ে)

ফারানের বলতে দেরি কিন্তু ছেলেগুলোর পালাতে দেরি নাই। ওরা ফারান কে বেশ ভালো করে চেনে শুধু ওরা কেন সবাই! কারণ ফারান মুখে যা বলে তাই করে ছাড়ে এক চুল পরিমাণও এদিক ওদিক যায় না। তারপর ফারান নিশার দিকে তাকায় আর ২২৫ ভোল্টের শক খায়।

ফারান- তুমি এখানে??

নিশা- হুম আমিই।(মুখ বাকিয়ে)

ফারান- আচ্ছা একটা কথা বলো তো বিপদ তুমি ডেকে আনে না তুমি বিপদকে ডেকে আনো?

নিশা- না আপনি আমায় বিপদে ধাক্কা দিতে ফেলে দেন।(চোখ রাঙিয়ে)

ফারান- তবুও কাজের কাজ করি এখন তো বিপদ থেকে বাচালাম।

নিশা- হ্যাঁ আমায় বাচিয়ে তো আমার চৌদ্দগুষ্টিরে উদ্ধার করসেন।

ফারান- এই তুমি ভালো কথা বলতে পারো না? সারাক্ষণ কথাকে জিলাপির মতো প্যাঁচাও। বাচালাম কই থ্যাংকস দিবা তা না উল্টা আমাকে খোঁচাচ্ছ আমার দোষ দিচ্ছো।

নিশা- হুম দোষ আপনারই আজ যদি আপনি কন্সার্ট না করতেন আমার এতো রাত করে বাসায় যেতে হতো না আর না এই ঝামেলার মুখোমুখি হতে হতো।

ফারান- ওওওওও আচ্ছা তুমি আমার কন্সার্ট এ গেছিলা??

নিশা জিবহায় কামড় দিয়ে নিজেকে সামলে বলে, “ইয়ে মানে রিদি আমায় জোর করে নিয়ে গেছে।”

ফারান- বোকা ভাবো আমাকে? রিদি যদি এসেই থাকে তাহলে রিদি কই?

নিশা- কই আবার থাকবে নিজের বাসায় গেছে আমিও যাচ্ছি।

ফারান- ওওও আচ্ছা এখন বাইকে এসে বসো।

নিশা- কেন?(চোখ বড় বড় করে)

ফারান- নাচতে বসতে বলসি বসবা এতো বকরবকর করো কেন?

নিশা- বকরবকর করছি না ওকে বলেন আমি আপনার সাথেই কেন এবং কোথায়ই বা যাবো?

ফারান- তোমার বাসায় দিয়ে আসবো এখন উঠো নইলে এখানে রেখেই চলে যাবো।

নিশা- তো যান না আমি কি আপনায় দড়ি দিয়ে বেধে রাখসি??

ফারান- ওকে ফাইন আমি চলে যাচ্ছি পরে ওরা আবার আসলে তাদের মেহমানদারি করিও কেমন?

ফারানের কথায় নিশা একটা শুকনো ঢোক গিলে। ফারান যেই বাইক স্টার্ট দিবে ওমনি নিশা বলে উঠে,”না না আমিও যাবো দাঁড়ান।”

বলেই নিশা গিয়ে ফারানের পিছে গিয়ে বসে কিছু দুরুত্ব বজায় রেখে। নিশার এমন কান্ডে ফারান রেগে স্টার্ট দেয় আর সাথে সাথে নিশা ফারানের পিঠে গিয়ে পড়ে। নিশার বুক ধড়ফড় করছে ভয়ে। ফারান তা বুঝে মুচকি হেসে বলে,”আমায় ধরে থাকো এটা মাটির রাস্তা যেকোনো সময় পড়ে যেতে পারো।”

ফারানের কথায় নিশা ফারানের কাধ খিচে ধরে। কারণ নিশা বাইকে কখনোই উঠেনি তাই অনেক ভয় পাচ্ছে যদি পড়ে যায়?ফারান লুকিং গ্লাস দিয়ে কিছুক্ষণ পরপরই নিশার ভীতু ফেস দেখছে আর মুচকি মুচকি হাসছে। মেইন রোডে আসতেই আর অন্ধকার লাগলো না কারণ লেম্পপোস্টের আলোতে রাতের রাস্তা আলোকিত। ফারান আরামসে বাইক চালাচ্ছে আর নিশা এদিক ওদিক তাকিয়ে পরিবেশ দেখছে। লোকজন তেমন দেখাই যাচ্ছে না মাঝে মধ্যে কিছু কাপল দেখা যাচ্ছে। নিশা ভ্রু কুঁচকে ফারানকে জিজ্ঞেস করে,”আচ্ছা এতো রাতে কাপল কেন ঘুরাঘুরি করছে?”

ফারান- এইটা শহর এখানে অনেক কিছুই হয় তোমার কাছে অস্বাভাবিক লাগলেও আমার কাছে স্বাভাবিকই লাগছে।

নিশা- ওওও আচ্ছা এদের বাবা মা কিছু বলে না যে রাতে রাস্তায় রাস্তায় পিরিত করে বেড়াচ্ছে?

নিশার কথায় ফারান হেসে দিলো। হাসি থামিয়ে ফারান বলে,” আমি এতো কিছু জানি নাকি?”

নিশা- তো আপনি জানবেন না তো কি আমি জানবো? আপনিও তো এসব করে বেড়ান।

ফারান- হু বলসে তোমাকে? এই ওয়েট ওয়েট আজ কি তুমি আমার ফোন ধরসিলা??

নিশা- রাখেন রাখেন রাখেন আমার বাসা চলে আসছে।

ফারান বাইক থামালো আর আশেপাশে তাকিয়ে বলে,”কই এখানে তো দোকান ছাড়া কিছুই নাই।”

নিশা- বাসা পর্যন্ত গেটে যাবো এখান থেকে এখন বাই আর থ্যাংকস আমায় হেল্প করার জন্য।

বলেই নিশা দৌড় দিয়ে একটা গলিতে ঢুকে গেলো। ফারান নিশার পিছু নিতে নিতে হারিয়ে ফেলে।

ফারান- যা বাবা গেলো কই মেয়েটা? এক নিশ্বাসে হাওয়া হয়ে গেলো? ধুর জানতেই পারলাম না এই মেয়ের বাসা কোনটা।

বলেই ফারান হতাশ হয়ে নিজের বাসায় ফিরে গেলো। নিশা বাসায় এসে হাঁপাতে থাকে।

নিশা- আল্লাহ আজকের মতো খুব বাচা বেচেছি নইলে ওই ছ্যামড়ায় আমার বাসা চিনলে বাসায় আইসাও জ্বালানো শুরু করতো।

রাত ২টায়,

৪-৫ টা ছেলের মুখে কস্টিভ দেওয়া আর দুহাত পিছে দিয়ে বাধা। ছেলে গুলো বাচার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে কিন্তু কিছুতেই পারছে না। তাদের সামনে সেই লোক টা বসে আছে কালো হুডি পড়ে,

– মাঝরাস্তায় মেয়েদের ডিস্টার্ব করছিস তাইনা?

ছেলেগুলো নিজেদের বাচাতে উমমম উমমম করছে আর মাথা নাড়িয়ে “না” বোঝাচ্ছে।

লোকটা আর ওদের কথা না শুনে ছুড়ি দিয়ে চোখ উপ্রে নেয় তারপর লোক লাগিয়ে ওদের মেরে সেই শীতলক্ষ্যা নদীতেই ফেলে আসে।

সকালে,,

নিশা ঘুম ঘুম চোখে চলে যায় একেবারে কিচেনে। কিচেনে চুলায় গরম পানি বসিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলো। ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘরে গিয়ে গরম গরম কফি বানাতে থাকে। কফি বানানো শেষে লিভিং রুমে গিয়ে আরামসে পায়ের উপর পা তুলে সোফায় হেলান দিয়ে টিভি দেখছে আর কফি খাচ্ছে। কফি খেতে খেতে একসময় ব্রুত করে সব কফি মুখ থেকে পড়ে গেলো একটা নিউজ দেখে।

নিশা- আরে কা.. কা…কাল যে..যে..যেই ছেলেগুলো আমার পথ আটকিয়েছিলো এরা তো তারাই তাও মৃত অবস্থায়। আল্লাহ কি অবস্থা করেছে। এবারও কি তাহলে KO Rrapist Killer ওদের মারলো? কিন্তু ওদের ব্যাপার ওই কিলার জানলো কি করে? সেখানে তো একমাত্র ফা…. এই এক সেকেন্ড এই কাজ কি ফারানের? নাহ ধুর কিসব ভাবছি ফারান তো নিজেই উলটা মাইয়াদের সাথে পিরিত করে। এই রেপিস্ট কিলারের কি ফারান নামের খচ্চর টাকে চোখে পড়েনা??

এসবই আকাশ পাতাল ভেবে কফি শেষ করে। কফি শেষ হতেই কলিংবেল বাজে। নিশা দরজা খুলে দেখে আফিয়া এবং তার মা।

নিশা- ওরে বাবা সকাল সকাল আমার আফিয়া আপুনি টা এসে পড়েছে দেখছি।

আফিয়া- হুম নিশুপি তোমার জন্য ব্রেকফাস্ট এনেছি।

নিশা এতোক্ষণে খেয়াল করে আফিয়ার আম্মুর হাতে একটা ট্রে আর তাতে প্লেট দিয়ে কি যেনো ঢাকা।

নিশা- আরে আন্টি এগুলোর কি দরকার ছিলো?

আফিয়ার মা- অনেক দরকার ছিলো এখন সরো।

নিশা সরে যেতেই আফিয়া আর আফিয়ার মা ফ্লাটে ঢুকে। আফিয়া এই প্রথম আসে নিশাদের ফ্লাটে তাই সব ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগে। আর আফিয়ার মা ডাইনিং টেবিলে খাবার গুলো গিয়ে রাখে এবং বলে,”আজ আমরা একসাথে ব্রেকফাস্ট করবো তাইনা আফিয়া?”

আফিয়া- হ্যাঁআয়ায়ায়া নিশুপি আজ আমরা একসাথে ব্রেকফাস্ট করবো হিহি।

আফিয়ার এমন এক্সাইটমেন্ট দেখে নিশা মুচকি হাসে। তারপর ৩জন একসাথে ব্রেকফাস্ট করে। আফিয়ার মা নিশাকে জানায়,”আফিয়ার বাবা ঢাকার বাইরে গেছে অফিসের কাজে তাই আজ সারাদিন তারা নিশার বাসাতেই থাকবে আবার যেহেতু আনিলাও নেই নিশা একা থাকবে সেই ভেবেও তারা নিশার ফ্লাটে চলে আসে।

এভাবেই সারাদিন কাটায় নিশা আফিয়াকে নিয়ে।

পরেরদিন,,

নিশা ভার্সিটির জন্য রেডি হচ্ছে। আনিলা ফোন করে বলে দিয়েছে সে তার আন্টির বাসা থেকেই ডাইরেক্ট ভার্সিটি চলে যাবে। তাই নিশা অপেক্ষা না করে ভার্সিটি চলে আসে। ভার্সিটি আসার সাথে সাথেই নিশা স্টাডি রুমে চলে গেলো আর ফর্ম টা খুঁজতে লাগে এদিক সেদিক।

নিশা- আল্লাহ ফর্ম টা যেনো এই পাই তাহলে ওই বজ্জাত ফারানকে জম্মের মতো শিক্ষা দিতে পারবো।

এসব বিড়বিড় করতে করতে সারা রুম তন্নতন্ন করে খুঁজতে থাকে এমন সময় পেছন থেকে ফারান বলে,”কি এই সময়ে তুমি আমার স্টাডিরুমে এসে কি খুঁজছো?”(ভ্রু কুচকে)

ফারানের কন্ঠ শুনে নিশা একটা ঢোক গিলে তারপর পিছে তাকায়।

ফারান- কি হলো চুপ কেন বলো?
,
,
,
,
,
,
চলবে!!!

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)