#Mr_সাইকো_লাভার
#লাবিবা_ওয়াহিদ
“পার্ট ১২”
.
.
.
ফারান- কি হলো চুপ কেন বলো?
নিশা কি বলবে বুঝতে পারে না ওমনি তার নিজের ফিঙ্গার রিং টার দিকে নজর গেলো। আস্তে করে সেটা খুলে নিচে ফেলে দেয় তারপর বলে,” ইয়ে আসলে সেদিন রুম পরিষ্কার করার সময় কোথায় জানি আমার হাতের রিং টা পড়ে যায় সেটার জন্যই এসে খুঁজছিলাম।”
নিশা ফারানের রিয়েকশন দেখে বেশ বুঝলো ফারান কথা টা বিশ্বাস করেনি।
নিশা- কি ওভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? খুঁজে দিন নইলে কিনে দিন হুহ।
ফারান নিশার হাতের দিকে তাকায়। হ্যাঁ সত্যিই নিশার সবসময়ের পড়া রিং টা নেই।
ফারান- আচ্ছা যাও কিনে দিবো। এখন রুম পরিষ্কার করো।
নিশা ভেংচি কেটে টি-টেবিলের ময়লা গুলো ই শুধু পরিষ্কার করে আর বাকি সব ঠিক ঠাক আছে। পুরো টা সময় ফারান দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে নিশাকে দেখলো গভীর মনোযোগ দিয়ে। নিশার হাত নাড়ানো, হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে বিরক্তি নিয়ে সামনের চুল গুলো সরানো, নাক টানা সবটাই। ফারান যেনো নিশাতেই হারিয়ে গেছে। কাজ কাজ শেষ হতেই ফারানের ধ্যান ভাঙ্গে তারপর হালকা কেশে বলে,”শুনলাম তুমি নাকি নাচে নাম দিয়েছো?”
নিশা- হুম তো?
ফারান- তো মানে তোমায় আমার সাথে নাচতে হবে আমার পার্টনার কিছু সমস্যার জন্য পার্টিসিপেট করবে না।
নিশা- না করুক আমার কি আমি আপনার সাথে নাচবো না। একটা ফর্মের জন্য যা খুশি করাবেন আর আমি সবটা চুপচাপ মুখ বুঝে মেনে নিবো সেটা হবে না ওকে?
ফারান- তাহলে ছিড়ে ফেলি?? কি বলো ভালো হবে না?(শয়তানি হাসি দিয়ে)
নিশা- এই না না আমি তো জাস্ট মজা করছিলাম।(হাসার চেষ্টা করে)
ফারান- হুম এখন যান আমার জন্য কফি নিয়ে আসেন।
নিশা- আমিইইই???
ফারান- তো কি তোমার পাশে থাকা পিলার টা?
নিশা- পারবো নায়ায়ায়া।
ফারান- ঠিক আছে আমি ছিড়েই ফেলি নাহয় ফর্মটাকে।
নিশা- নায়ায়ায়ায়ায়া যাচ্ছি।(দাঁতে দাঁত চেপে)
তারপর রেগেমেগে ফারানের জন্য গিয়ে কফি নিয়ে আসে। ফারান সেটা খুব আরামসে ক্ষতম করে বলে,”তো ডান্স পার্টনার হচ্ছো তো?”
নিশা- কখনোই না আমি আপনার সাথে নাচবো না।
ফারান- আমার ব্রেকআপ করানোর আগে মনে ছিলো না? তোমার কথা জানলে আমি তোমার কি হাল করতে পারি?
ফারানের কথা শুনে নিশা একটা শুকনো ঢোক গিলে ভাবতে লাগে,”এই রে এ তো দেখছি জেনে গেছে এখন কি করি? দেখে তো মনে হচ্ছে আমায় কাচা গিলে খাবে বেয়াদপ টা।”
ফারান- কি চুপ কেন বলো?
নিশা- ই..ই…ইয়ে মানে আসলে….
ফারান- নো মোর এক্সকিউজ আমার সাথে তোমায় নাচতেই হবে নইলে সেই শোধ তুলতে আমায় বাধ্য করো না ফাজিল মেয়ে।
বলেই ফারান চলে গেলো। এবার নিশা কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না।
নিশা- এই ব্যাটাকে জব্দ করতে গিয়ে কিনা আমিই ফেসে গেলাম? আল্লাহ এই রামসাগলের সাথে নাচলে আমার মান সম্মান সহ শেষ। শত্রুর সাথে নাচ লাইক সিরিয়াসলি? নাহ নিশা তুই হাল ছাড়তে পারিস না। তুই এর শেষ দেখে ছাড়বি।
বলেই নিশা রুম থেকে বেরিয়ে নিজের ক্লাসে চলে যায়।
এইদিকে ফারান কিছুক্ষণ পরপরই মুখ টিপে হাসছে।
আদ্র- কি রে এমন করে হাসছিস কেন?
ফারান- আর কি ওই নিশাকে সেই রকম ডোজ দিয়েছি।
আদন- কি দিলি আমাদেরও বল।
ফারান- আমার ডান্স পার্টনার বানাবো।
আদন,আদ্র,আফনাদ- ওয়ায়ায়ায়াট!!!
ফারান- ইয়াপ।
আদন- পাগল তুই??
ফারান- আগে আগে দেখ হোতা হে কেয়া।(ভাব নিয়ে)
আদ্র আদন আফনাদ আর কিছু বলেনা। এইদিকে নিশাদের ২ক্লাস করেই ট্রেনিং এর জন্য হলরুমে নিয়ে যাওয়া হলো। সেখানেই ডান্স প্রেক্টিস হবে। ফারান রা এখনো এসে পৌঁছায় নি। লিনা ম্যাম সবকিছু দেখাশোনা করবেন।
লিনা- তো স্টুডেন্টস এবার আমরা কাপল ডান্স দিবো তাই লটারি হিসেবে মেয়েরা এই পাত্র থেকে যেকোনো একটা কাগজ নাও।
লিনা ম্যামের কথা অনুযায়ী একে একে সবাই সেই পাত্র থেকে কাগজ নিতে থাকে। নিশা আনিলা আর রিদিও একটা একটা করে কাগজ নেয়।
রিদি- আল্লাহ জানে কে হবে আমার পার্টনার।
বলেই কাগজ খুলে। নাম লেখা,”আদন”
আদন নাম টা দেখতেই রিদি যেনো শকড খায়। রিদির রিয়েকশন দেখে রিদির হাত থেকে টেনে কাগজটা নিয়ে আদনের নাম দেখতেই নিশা ফিক করে হেসে দেয় সাথে আনিলাও। তারপর আনিলা হাসতে হাসতে কাগজ টা খুলে দেখে “আদ্র” লেখা। নিমিষেই আনিলার হাসি উড়ে গেলো। এবার আনিলার রিয়েকশন দেখে আনিলার কাগজ থেকে দেখে আদ্রর নাম। নিশা তো হেসে কুটিকুটি হয়ে যাচ্ছে। নিশার হাসি দেখে আনিলা রিদি দুইজনই রাগি চোখে তাকালো। নিশা হেসে বলে,”ওভাবে তাকিয়ে লাভ নাই তোদের কপাল পুড়লো।”
বলেই নিশার নিজের কাগজটা খুললো সাথে সাথে হাসি ঠুসসসসসসস। নিশা এতোটাই শকড খেলো যার কারণে কাগজ টাই হাত থেকে পড়ে গেলো। আনিলা কাগজ টা নিয়ে দেখে কাগজটায় “ফারান” লেখা। এবার তো রিদি আনিলা সেইরকম হাসাহাসি শুরু করেছে। নিশা রেগে দুজনকেই কয়েকটা চড় মেরে দিলো।
আনিলা- ওই ছেড়ি মারিস কেন? আমাদের সময় তো ৩৩টা দাঁত দেখিয়ে হেসেছিস এখন আমরা হাসলেই দোষ?
নিশা- হ্যাঁ দোষ তাও বড়সড়। এদিকে আমি মরছি নিজের জ্বালায় আর তোরা বানরের মতো হেসে যাচ্ছিস? তোদের চেয়ে জানিস শত্রুও অনেক ভালো।
রিদি- তো তোর শত্রু ফারান রে বিয়ে করে ঘরে তোল এতোই যেহেতু ভালো তাও আমাদের থেকে?
নিশা- তবে রে…
বলেই রিদির চুল ছিঁড়তে রিদির দিকে গেলো আর রিদি দৌড় দিতে গিয়ে কারো সাথে ঠাস করে ধাক্কা খেয়ে পরে গেলো। নিশা পিছে থাকায় নিশাকে নিয়েই পড়ে।
নিশা- উফফফ মাগো ওই ছেড়ি নিজে পড়লি তো পড়লি আমারেও ফালাইয়া মাজা ভাঙ্গালি ও আল্লাহ গো!!!
রিদি- আরে ধুর আমি কি জানি আমার সাথে কোনো খাম্বা ছিলো।
আদন- ওয়ায়ায়াট!!!! খাম্বা!!!! তাও আমি??
আদনের কন্ঠ শুনে দুজনই মাথা তুলে সামনে তাকালো আর দেখলো আদন দাঁড়িয়ে সাথে আফনাদ আর আদ্র। নিশা চট করে উঠে রিদির হাত ধরে টেনে উঠালো।
রিদি- তো কি খাম্বা ছাড়া কি বলবো? এভাবে মাঝ পথে কেউ দাঁড়ায়।
আদন- তোমাদের মেয়েদের স্বভাব টাই খারাপ সবসময় পারো নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে।
রিদির তো রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে। যেই কিছু বলতে নিবে ওমনি লিনা ম্যাম এসে হাজির।
লিনা- কি হলো এনিথিং রং?
নিশা- নো ম্যাম!(হাসার চেষ্টা করে)
লিনা- ওহ তা তোমরা পার্টনার দেখলে?
আনিলা- জি ম্যাম।
লিনা- ওকে তা আদ্র ফারান কে তো দেখছি না ফারান কোথায়?
ফারান- এইতো ম্যাম আমি এসেছি।(হলরুমে ঢুকতে ঢুকতে)
সব মেয়েরা ফারানের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে আর মন খারাপ করে ভাবতে থাকে ইসসস যদি ফারান তাদের পার্টনার হতো কিন্তু সেগুড়ে বালি কেউ তন্নতন্ন করে খুঁজেও ফারানের কাগজ টা পায়নি।
লিনা- তা ফারান,আদ্র,আদন আর আফনাদের পার্টনার কে কে?
নিশা,আনিলা রিদি চুপসে গেলো তারপর মুখ গোমড়া করে হাত তুলে। পেছন থেকে একটা মেয়ে চিল্লিয়ে বলে,”আমিওঅঅ আছিইইই।”
সবাই মেয়েটার দিকে তাকায়। লিনা ম্যাম হেসে বলে,”তুমি কার পার্টনার অদ্রি?”
অদ্রি- ম্যাম আমি আফনাদ ভাইয়ার পার্টনার।(লজ্জামাখা সুরে)
আফনাদের মাথায় যেনো আকাশ ভাঙ্গে। অদ্রি কে আফনাদ একদমই পছন্দ করে না তার কারণ অদ্রি সবসময় আফনাদকে জ্বালিয়ে খায়। আগে প্রচুর জ্বালাতো কিন্তু ১মাস আগে প্রচুর অপমান করেছিলো অদ্রিকে তাই এই এক মাস আর আফনাদকে বিরক্ত করেনি কিন্তু এখন যে আগের চেয়ে দ্বিগুণ বিরক্ত করবে সেটা আফনাদ হারে হারে টের পাচ্ছে। ফারান রা অদ্রি কে মুখ টিপে টিপে হাসে। কারণ ওরা বেশ ভালো করে জানে অদ্রি কতোটা পাগল আফনাদের জন্য।
ফারান- রাখে আল্লাহ মারে কে।
আদ্র- যা বললি। এখন আমাদের কি হবে?(মুখ গোমড়া করে)
লিনা- ওওহ আচ্ছা তাহলে তুমি সরে আসো আফনাদের কাছে আর নিশা,রিদি,আনিলা তোমাদের পার্টনার কে কে?
রিদি- ম্যাম আমার পার্টনার ওই আদন।
আনিলা- আমার টা আদ্র😒
রিদি আনিলার কথা শুনে আদ্র আদন দুজনই শকড। আর ফারান মুচকি হেসে বলে,”তাহলে আমার পার্টনার নিশ্চয়ই নিশা?”(বাহ মেঘ না চাইতেই জল?)
ফারানের কথায় নিশা মুখ বাকা করে ফেলে আর তা দেখে ফারান হাসে। আদ্র আদন চলে যেতে নিতেই আফনাদ আর ফারান হাত ধরে আটকায় আর বলে,”কি রে কই যাচ্ছিস তোরা?”
আদ্র- তো কি বসে বসে সিনেমা দেখবো? ওই মেয়ে কে আমার একদম সহ্য হয়না আর ওই মেয়ে কি না হবে আমার ডান্স পার্টনার?
ফারান- তো আমিও যাকে সহ্য করতে পারিনা তাকেই তো ডান্স পার্টনার বানাচ্ছি।
আফনাদ- তোদের চেয়েও অভাগা আমি যে ওই পাগল মেয়ের পার্টনার হইতে হইসে। আর তোরা একটুর জন্য পালাচ্ছিস ইট’স নট ফেয়ার ওকে গাইস?
ফারান আর আফনাদের কথায় দুজন আর কিছু বলে না চুপচাপ সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে।
ফারান- দেখ ভাই ভাগ্যে যা ছিলো তাই পাইসি এখন কপাল থাপ্রালেও কপালে এরাই আছে তাই যা হচ্ছে সহ্য কর।
লিনা- ওকে সো স্টুডেন্টস তোমরা কাপল অনুযায়ী সারি করে দাড়াও এন্ড নিজেকে পজিসন ঠিক করো।
তারপর ম্যামের কথা অনুযায়ী সকলে লাইন করে দাঁড়ালো কাপল অনুযায়ী। নিশারা এবং ফারান রা না চাইতেও একে অপরের পাশে দাঁড়ায়। তারপর স্টেপ অনুযায়ী প্র্যাক্টিস করতে লাগে। চার কাপল একসাথেই নাচ করছে।
অদ্রি তো আফনাদকে পেয়ে আফনাদ কে জোরে জোরে নাচাচ্ছে।
আফনাদ- আরে হচ্ছে টা কি পরে যাবা তো!
অদ্রি- তুমি তো আছো আমায় ধরতে।
আফনাদ- পাগল মেয়ে একটা!
অদ্রি- তোমার পাগলি বুঝলা।
আফনাদ আর কিছু বলে না কারণ জানে সে অদ্রির সাথে পেরে উঠবে না। এদিকে নিশা তো ফারানকে নিজের কোমড়ে হাত দিতেই দিচ্ছে না। ফারান এই পড়েছে মহা মুশকিলে।
ফারান- এই মেয়ে তোমার কোমড় কি আমি খেয়ে ফেলবো? ধরলে সমস্যা কি এমন তিড়িং বিড়িং করো কেন আজিব তো?(রেগে)
নিশা- ধরবেন কেন আপনি?কোমড় আমি আমার ফিউচার জামাইর জন্য রাখসি বুঝছেন পর পুরুষ ধরা এলাউ না।
ফারান- তোমার কোমড়ে আমি আগুনের পেরেক লাগাবো ফাজিল মেয়ে। তোমার কুয়ারা ঢং দেখার টাইম নাই।
বলেই জোর করে গিয়ে নিশার কোমড়ে এক হাত রাখে আর স্টেপ অনুযায়ী প্র্যাক্টিস করয়ে থাকে। ফারান কোমড়ে হাত দিতেই নিশা যেনো কেঁপে উঠে। তারপর ছাড়ানোর চেষ্টা করতে গেলেই ফারান বলে,”আরেকবার হাত ছাড়াতে নিলে তোমাকে আমি আছাড় মেরে ফেলে দিবো তখন কমোড় তো দূরে থাক শুধু আস্ত থাকবে তোমার শরীরের হাড্ডিগুড্ডি।
এবার নিশা আর ছাড়ালো না কিন্তু ঠিকই রেগে বোম হয়ে আছে।
রিদি💝আদন
রিদি- দেখেন আপনার সাথে লাগার কোনো ইচ্ছা নেই তাই প্লিজ আমায় আস্তে ঘুরান মাথা ঘুরাচ্ছে।
আদন- তো নাচতে আসছো কেন?
রিদি কিছু বলে না। কারণ আদন দের সে বেশ ভালো করে জানে। সে তো আর নিশার মতো নিজের পায়ে কুড়াল মারতে পারে না। আদনের রিদির এই চুপচাপ স্বভাব টা বেশ ভালো লাগছে।
আদন-(যাক এই মেয়েটা আর ওই নিশার মতো চিল্লায় না এক কথাতেই চুপ থাকে। আই লাইক ইট!)
ভেবেই আদন মুচকি হাসে। আদনের এমন হাসির কারণ রিদি বুঝতে পারে না।
আনিলা💖আদ্র
আদ্র- আর কোনো কাগজ তুলতে পারলা না?(রেগে)
আনিলা- আমি কি জানতাম নাকি আমার চয়েজ করা কাগজে আপনার মতো ঝগড়াটে পোলা থাকবে?
আদ্র- মুখ সামলে কথা বলবা ঝগড়াটে কারে বলো তুমি?
আনিলা- আমার সামনে যে আছে তাকেই বলসি।
আদ্র- একদম ঝগড়াটে বলবা না তুমি নিজেই তো ঝগড়ার ভান্ডার।
আনিলা- হুহ।
আনিলার আর কথা বাড়ানোর ইচ্ছা জাগে না। কারন আনিলার ঝগড়া জিনিস টা বরাবরই অপছন্দের। যখন বুঝলো কথায় কথা বাড়বে তাই আর কথা বাড়ালো না নিজেই চুপ হয়ে গেলো।
এভাবেই সেদিনের মতো প্র্যাক্টিস শেষ করে যে যার মতো বাসায় চলে যায়।
,
,
,
,
,
,
,
চলবে!!!
(নিন ৪ জনকেই কাপল করে দিলাম এবার সবাই খুশি তো? যে যাই হোক গল্প টা কেমন লেগেছে অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই জানাবেন ধন্যবাদ।
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)