#Mr_সাইকো_লাভার
#লাবিবা_ওয়াহিদ
“পার্ট ৩৮”
———————-
বিকাল হয়ে গেলো ফারান এখনো ফিরেনি। ফারানের অপেক্ষায় নিশা এখনো কিছু খায়নি। ইয়াসা এতো করে জোর করলো কিন্তু কে শুনে কার কথা? আফিয়া রা সকালেই এসেছে। আফিয়ার সাথে থাকলেও নিশার মনে হাজারো প্রশ্ন। পলক বাসাতেই ছিলো কিছু ক্ষণ পরপর এসে খবর নেয় ফারান এসেছে কিনা। কিন্তু নিশা জবাবে কিছুই বলতে পারেনা। ইয়াসা বিকালে বেরিয়েছে হসপিটালে কোনো এক ইমারজেন্সি পেসেন্ট দেখতে আর নিয়াজ চৌধুরী অফিসে। আফিয়ারাও চলে গেছে। বাসায় রয়েছে শুধু কিছু মেহমান গণ। নিশা ছাদে দাঁড়িয়ে আনমনে ফারানের প্রতিটা ব্যবহার নিয়ে খুব মনোযোগ দিয়ে ভাবছে। এমন সময় গেটের দিকে নিশার নজর গেলো। গেটের দিকে তাকিয়ে দেখে পলক চোরের মতো এদিক বামে ডানে তাকিয়ে তাকিয়ে হাটছে। নিশার কেমন যেনো খটকা লাগছে এই পলকের উপর। বাড়ি থেকে বের হচ্ছে ভালো কথা কিন্তু এভাবে চোরের মতো বের কেন হচ্ছে?
পলক গেটের বাইরে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ডানে বামে তাকিয়ে ফোন নিয়ে কিছু টাইপ করে ফোন কানে ধরলো। তারপর কিসব কথা বলে কোনদিকে চলে গেলো। এবার নিশার মাঝে অনেক খটকা জেগেছে এই পলককে নিয়ে। কি করতে চাইসে এই পলক? আর সকালেও কেমন অদ্ভুত লেগেছে তাকে। নিশা দৌড়ে রুমে গিয়ে নিজের ফোন নিয়ে আবার ছাদে চলে আসে। তারপর আদ্রকে ফোন করলো। আদ্র রিসিভ করে বলে,”হ্যাঁ নিশু বলো হঠাৎ কল দিলে কেন?”
নিশা- আচ্ছা ফারান কোথায় জানেন?
আদ্র- না তো। ওর ফোন টাও তো অফ পাচ্ছি আর সারাদিনে দেখা হয়নি।
নিশা- আর পলক ভাই?
আদ্র- পলক মানে?
নিশা- পলক ভাইয়ার সাথে দেখা হয়েছে?
আদ্র- না হয়নি তবে তুমি হঠাৎ পলকের কথা কেন বললে?
নিশা আদ্রকে অনেক বিশ্বাস করে তাই প্রথম থেকে সবটা খুলে বলে। নিশার মুখে ফারানের এমন ব্যবহারের কথা শুনে আদ্র চিন্তিত হয়ে পড়ে।
আদ্র- ফারানের এমন ব্যবহারের কারণ কি? ওকে আমি যতোদূর চিনি তোমার জন্য জান দিয়ে দিবে তবুও এমন বিহেভ করবে না।
নিশা- আমিও কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না ভাইয়া হঠাৎ কি হলো ওনার।
আদ্র- চিন্তা করিও না আল্লাহ ভরসা। আমি দেখছি আদন আর আফনাদ কে বিষয়টা বলি।
নিশা- হুম। তবে ওই পলক ভাইয়া যেনো কোনোকিছু টের না পায়।
আদ্র- তুমি নিশ্চিন্তে থাকো। আর সবসময় চোখ কান খোলা রাখবে। আমি শিউর এর মাঝে অনেক বড় ঘাবলা আছে।।
নিশা- হুম খেয়াল রাখছি সব।
আদ্র- হুম সাবধানে থাকবে এখন রাখছি বাই।
বলেই আদ্র কল কেটে দিলো আর ডাইরেক্ট পলককে ফোন করলো। পলক রিসিভ করে বলে,”কিরে হঠাৎ কল দিলি?”
আদ্র ব্যাপারটাকে গোপন করে স্বাভাবিকভাবেই বললো,”কি অবস্থা ম্যান। দেশে এসে একবারও খবর নিয়েছিস তুই?”
পলক- আর বলিস না ওখানে বিভিন্ন কাজে বিজি থাকি তাই খবর নিতে পারি না। তবে ফারানের থেকে তোদের খবর পাই।
আদ্র- ওওহ আচ্ছা। এই ভালো কথা ফারান কই রে দুইদিন ধরে ওর সাথে দেখা হচ্ছে না কেন?
পলক কিছু আমতা আমতা করে বলে,”আ..আমি কি করে জানবো ওকেই জিজ্ঞেস করে নে।”
আদ্র- সে আর বলতে? দুইদিন ধরে ফোন করছি শালায় ফোন সুইচড অফ করে রেখেছে কি করা যায় বল তো? আচ্ছা আমিই বরং ফারানের সাথে দেখা করতে আসছি।
পলক চমকিয়ে বলে,”এই না না আসার প্রয়োজন নেই আমি এখন বাসার বাইরে আছি বাসায় গেলে তোদের কথা ওকে জানাবো কেমন এখন কাজে আছি রাখছি বাই।”
বলেই আদ্রকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে কল কেটে দিলো। আদ্র পলকের সাথে কথা বলে বেশ বুঝেছে এই পলক কিছু ঘটাতে যাচ্ছে কারণ আর কেউ না জানুক আদ্র বেশ ভালো জানে ফারানকে পলক ছোট থেকেই দুই চোখে সহ্য করতে পারে না। ফারানকে বলেও কাজ হবে না কারণ ফারান পলককে ভাইয়ের চেয়েও বেশি বিশ্বাস করে। পলক সেই বিশ্বাসের যে কি সুযোগ নিচ্ছে সেটা আল্লাহ ভালো জানে। আদন আফনাদও আদ্রর সাথেই ছিলো তাই তারা সব শুনেছে এবং জেনেছেও।
আদন- এখন কি করা যায়? ফারান বেশ রিক্সে আছে।
আফনাদ- আদ্র তুই এক কাজ কর একটু চেক করে দেখ ওই পলকের লোকেশন ট্রেক করা যায় কিনা।
আদ্র- ভালো একটা আইডিয়া দিয়েছিস।
বলেই আদ্র পলকের লোকেশন ট্রেক করার চেষ্টা করলো। সৌভাগ্যবশত পলকের লোকেশন অপশন টা অন করা তাই বেশ তাড়াতাড়িই ওর লোকেশন ট্রেক করা গেলো। কিন্তু অবাক করার ব্যাপার হলো পলক আদ্রদের দিকেই আসছে।
আদন- এই পলক আমাদের দিকে আসছে কেন?
আদ্র- মেয়বি আমাদের ফলো করতে সে যাইহোক সতর্ক থাকতে হবে আর ওকে বুঝতে দেয়া যাবে না যে আমরা কিছু বুঝেছি।
আফনাদ- হ্যাঁ যা করার কেয়ারফুলি করা লাগবে।
আদ্র,আফনাদ আর আদন একটা ক্লাবে আছে। ওরা তিনজন ছাড়াও অনেকেই রয়েছে। আদ্ররা নরমালি কথা বলছে হেসে হেসে। হঠাৎ আফনাদ পিছে চোখ গেলো এবং দেখলো পলকের মতো কেউই তাদের থেকে বেশ দূরে দাঁড়িয়ে আর আফনাদ তাকাতেই সে অন্যদিকে ফিরে গেলো। আফনাদ বিষয়টা খেয়াল করতেই আদ্র আদনকে হেসে হেসে নরমালি দাঁতে দাঁত চেপে বলে,”পিছে ফিরতেই পলকের মতো কাউকে দেখলাম আমাদের দিকে চেয়েছিলো যেই আমি ফিরলাম অন্যিদিকে ফিরে গেলো।”
আদ্রও সেম ভাবে হেসে হেসে বলে,”ঠিক দেখেছিস তো?”
আফনাদ- ১০০%
আদ্র- কি কালার ড্রেসাপ ছিলো?
আদন- তা জেনে তুই কি করবি?
আফনাদ- না বুঝে কথা বলবি না আদন প্রশ্ন কেন করিস? আর হ্যাঁ স্কাই ব্লি একটা টিশার্ট ছিলো।
আদ্র সবার আড়ালে নিশাকে একটা মেসেজ পাঠালো,”পালক কি কালারের ড্রেস পরে বেরিয়েছে?”
নিশা মেসেজ পেতেই বলে,”হয়তো স্কাই ব্লু কিন্তু কেন?”
আদ্র মেসেজ দেখে আবার মেসেজ দেয়,”পলক আমাদের উপর নজর রাখতে এসেছে।”
নিশা-“ওয়ায়াট!! কিন্তু কেন?”
আদ্র-“জানিনা তবে বড় কোনো ঘাবলা আছে সেটা শিউর।”
নিশা-“ঠিক আছে সাবধানে থাকেন আর পারলে এর পিছে লোক লাগান।”
আদ্র-“চেষ্টা করছি এখন বাই অন্যকোনো আপডেট পেলে তোমায় জানাবো।”
নিশা সিন করে রেখে দিলো আর আকাশের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে ফারানের সাথে কাটানো প্রতিটা স্মৃতি মনে করতে থাকলো।
প্রায় সন্ধ্যা নেমে আসে নিশা এখনো ছাদে দাঁড়িয়ে। হঠাৎ দেখলো পলক বাসায় ঢুকছে এদিক ওদিক তাকিয়ে। যেই উপরে তাকালো নিশা চট করে লুকিয়ে পড়ে এবং আড়াল থেকে দেখার চেষ্টা করছে। পলক বাগানের দিকে গেলো। এই ফাঁকে নিশা নিচে চলে আসে আর কিচেনে দাঁড়িয়ে এমন ভাব করতে থাকে যেনো সে রান্না করছে। পলক বাড়িতে এসে দেখে চুপচাপ রান্না করছে৷ হঠাৎ নিশা ইচ্ছা করেই সদর দরজার দিকে তাকালো তারপর মুচকি হেসে আচল দিয়ে হাত মুছতে মুছতে কিচেন থেকে বেরিয়ে আসে এবং পলককে জিগফেস করে,”আরে পলক ভাইয়া যে কোথায় গিয়েছিলেন আপনি?”
পলক কিছুটা টাস্কি খেয়ে বলে,”ইয়ে আসলে ড্যাড কল করেছিলো বাসায় নেট পাচ্ছিলাম নাবতো তাই বাইরে গিয়েছি।”
নিশা- ওম্মা এটা কি বলেন ভাইয়া এইটা এমন ভিআইপি এলাকায় নেটওয়ার্কের প্রব্লেম দিবে? কই আমি তো কখনো এমন সমস্যায় পড়িনি।
নিশার কথার জালে পলক সেইরকম ফেসেছে এখন সে কি বলবে কিছু বুঝতে পারছে না। পরে আবার আমতা আমতা করে বলে,”ড..ড..ড্যাড বলেছিলো যে বাগানের দিকে যেতে নেট কানেকশন যদি কোনোরকম না পাওয়া যায় তাই।”
বলেই নিশাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সে উপরে চলে গেলো। নিশার আর বুঝতে বাকি রইলো না পলক এখানে ঝামেলা পাকাতেই এসেছে তাই বারবার মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে। কিন্তু সেও মিসেস ফারান এতো সহজে দমে যাবে না। পলকের মুখোশ টেনে ছিড়েই ছাড়বে। এসবই নিশা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছিলো। এমন সময়ই ফারান বাড়ি ঢুকে। ফারানকে দেখে যেনো নিশার আত্মা কেঁপে উঠে। কি অবস্থা ফারানের চোখদুটো যেনো গর্তে ঢুকে গেছে চোখের নিচে ডার্কনেস, চেহারায় কেমন একটা ক্লান্তি ভাব চুলগুলো এলোমেলো। ফারান কোনোদিকে না তাকিয়ে নিজের রুমের দিকে চলে গেলো। নিশাও আর এক মুহূর্ত সেখানে না দাঁড়িয়ে ফারানের পিছে পিছে গেলো। নাহ ফারানকে সে একা থাকতে দিবে না কিছুতেই না যদি কোনো বিপদ আসে? নিশা রুমে গিয়ে দেখে ফারান বেডে উলটো হয়ে শুয়ে আছে চোখ বুজে। নিশা কিছু না ভেবেই ফারানকে ডাকতে লাগলো এমন সময়ই ঘন্টার মতো আওয়াজ হলো। নিশা চারপাশে তাকিয়ে দেখলো নাহ ঘরে তো কেউই নেই। নিশা রুমের বাইরে গেলো তাও কেউই নেই। সব চেক করে নিশা দরজা লক করে দিলো তারপর বেলকনিতে গিয়ে দেখলো সেখানেও কেউই নেই। তাহলে এই ঘন্টার মতো আওয়াজ আসলো কোথা থেকে?
নিশা আর কিছু না ভেবে আবার ফারানের কাছে আবার আসে এবিং তাকে ডাকতে লাগে। ফারান পিটপিট করে চোখ মেলে এবং ঘুম কন্ঠে বলে,”আরেকটু ঘুমাতে দাওনা বউ মাত্রই তো শুলাম।”
ফারানের মুখে বউ ডাক টা শুনে নিশার মনে হচ্ছে ফারান এখন স্বাভাবিক। তাড়াতাড়ি ফারানের হাত ধরে টেনে উঠে বসালো।
ফারান- কি হলো এভাবে উঠালে কেন?
নিশা- সন্ধ্যা অলরেডি হিয়ে গেছে এইসময়ে কেউ ঘুমায়?
সন্ধ্যা হিয়ে গেছে শুনে ফারান অবাক হিয়ে চোখ দুটোকে রসোগোল্লার মতো করে বলে,”ওয়ায়ায়াট!! আমি এতোক্ষণ ঘুমিয়েছি?”
নিশা অবাক হয়ে বলে,”এতোক্ষণ ঘুমিয়েছো মানে?”
ফারান- আরে গাধী আমি না ভোরে তোমার পাশে শুলাম এর পর ডাকোনি কেন তুমি আমায়?
নিশার যেনো সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। ফারান কিসব বলছে নিশা কিছুই বুঝতে পারছে না। ফারান তো আজ সারাদিনই বাসার বাইরে ছিলো এমন কি সকালে তার সাথে রুড বিহেভও করেছে তবুও কি করে বলছে সে এতোক্ষণ ঘুমিয়েছে?
ফারান- কি হলো চুপ কেন?
নিশা- কিছু না চলো খেতে এতোক্ষণ ঘুমানোর কারণে কিছুই খেতে পারোনি।
ফারান- হ্যাঁ আসলেই পেটের মাঝে ইঁদূর ছুটছে। তুমি খাবার নিয়ে এসো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
নিশা মাথা নাড়িয়ে খাবার আনতে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। সবকিছুই যেনো ধোয়াশা লাগছে। হঠাৎ পলকের কথা মনে হতেই পলকের রুমে একবার চেক করলো। নাহ পলক তো রুমে নেই। নিচের দিকে খেয়াল যেতেই দেখলো পলক আবার বেরিয়ে যাচ্ছে। নিশা তৎক্ষনাৎ আদ্রকে মেসেজ করে জানালো তারপর কিচেন থেকে খাবার নিয়ে আবার ফারানের রুমে চলে আসে। ফারান সবে মাত্র শাওয়ার নিয়ে বেরিয়েছে। ঘাড়ে একটা তোয়াল রেখে চুল মুছছে। ফারানকে দেখে নিশা মুগ্ধ হয়ে গেলো। ভেজা চুলে ছেলেদেরও যে বেশ মানায় সেটা নিশা ফারানকে না দেখলে বুঝতে পারতো না।
নিশাকে হা করে তাকিয়ে থাকতে দেখে ফারান হাসলো তারপর বলে,”কি বউ এভাবে এভাবে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছো কেন আমার বুঝি নজর লাগবে না?”
ফারানের এমন মুখ নিশার ধ্যান ভাঙে। ফারানের কথাটা ভাবতেই নিশা তাড়াতাড়ি চোখ নামিয়ে ফেলে। ইসসস কি লজ্জাতেই না পড়লো সে। এভাবে কি করে তার দিকে তাকিয়ে ছিলো নিশা…ভাবতেই নিশা লজ্জায় মরে যাচ্ছে। নিশা চুপচাপ টেবিলে খাবার টা রাখে।
ফারান খেয়াল করে দেখলো নিশার গালদুটো লজ্জায় লাল টমেটো হয়ে গেছে। বিষয়টাতে ফারান হাসলো।
ফারান- হয়েছে আর লজ্জা পেতে হবে না। বিছানায় এসে খাইয়ে দিয়ে যাও।
নিশা- কিইইইই এতো বড় দামড়া পোলা রে আমি খাইয়ে দিবো?
ফারান- হুম খাওয়াতে হবেই বউ কি আলমারিতে সাজিয়ে রাখার জন্য এনেছি?
নিশা- তো কিসের জন্য এনেছেন?(ভ্রু কুচকে)
ফারান দরজা লক করে এক পা এক পা করে নিশার দিকে এগোচ্ছে আর নিশা পেছোচ্ছে। ফারান নেশার্ত কন্ঠে বলে,”ভালোবাসতে!”
ফারানের কথায় যেনো নিশা ভেতরে ভেতরে মরে যাচ্ছে লজ্জায়। নিশা পেছোতে পেছোতে কাঁপা কাঁপা গলায় বলে,”খা…খা..খাবার ট..টা ঠান…ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।”
ফারান- হুম(আনমনে)
নিশা কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। আরেকটু পেছোলে বিছানায় ধরাম করে পড়বে। পরে কিছু একটা ভেবে বলে,”দেখুন আমার কিন্তু অনেক খিদে পেয়ছে আপনার জন্য সকাল থেকে না খেয়ে আছি।”
নিশার কথা শুনে ফারান দাঁড়িয়ে যায়। নিশাও দাঁড়ায় এবং হাফ ছেড়ে বাচে। ফারান বলে,”কিইইইইই তুমি এখনো না খেয়ে আছো আমার জন্য। এই মেয়ে পাগল তুমি?”
——————————–
চলবে!!!