#Three_Gangsters_Love.
#Sumaiya_Moni.
#Part_16.
কাল থেকে ফাহিম মুখ ভার করে বসে আছে। হ্যাঁ! সেটা অবশ্য থাকারি কথা। অভ্রর আন্ডারপ্যান্ট নিয়ে বাড়িতে এত বড় কাণ্ড হলো। তার উপরে ফাহিমকে নিধি ‘আন্ডারপ্যান্ট আলা কাউয়া’ বানিয়ে দিয়েছে। এখন সু্যোগ পেলেই ইশা,রিমি,সিমি ফাহিমকে ‘আন্ডারপ্যান্ট আলা কাউয়া’ বলে ডাকে। এর জন্য ফাহিমের একটু মন খারাপ হয়। আর কালকের ব্যাপারটা তখনি মিটে যায় ঠিকিই। কিন্তু নামটা রয়েই যায়।
ফাহিম সোফার উপরে এক মনে টিভির দিকে তাকিয়ে বসেছিল। তখনি রিমি ওর সামনে এসে পাশের সোফায় বসে বলে,
-“ঐ আন্ডারপ্যান্ট আলা জাইগ্গা মানে কাউয়া,রিমুট টা দে তো।”
ফাহিম ডাকটা শুনে মেকি রাগ দেখিয়ে বলে,
-“দেখেন ভাবি,মোরে এই নামে আর ডাকবেন না। দিলে ক্ষয় হয়।”
রিমি চোখ পিটপিট করে বলে,
-“ও রিয়েলি?”
-“হ রিয়ানি,ভাবি।”
-“রিয়ানি না রিয়েলি।”
-“ঐ…..।”
-“থাপরামু! হইলো কবি তো।” হাত জাগিয়ে বলে রিমি ।
ফাহিম থেমে যায়। চোখ নিচের দিকে নামিয়ে ফেলে।
-“আচ্ছা ফাহিম শোন……।”
-“রিমি……..।” উপর থেকে রুদ্র চেঁচিয়ে ডাকছে রিমিকে।
-“ঐইযে! গরুতে মে মে করা শুরু করছে। তুই থাক। আমি যাই।”
রিমি ওঠে চলে যায় উপরে। রুমে এসে দেখে রুদ্র কিছু একটা খুঁজছে। রিমি ভ্র কুঁচকে বলে,
-“আপনি কী আন্ডারগ্রাউন খুঁজছেন?”
রুদ্র রিমির কথাটা শুনে কিছুটা রাগী কন্ঠে ধমক দিয়ে বলে,
-“কী যা তা বলছো? আমি আন্ডারগ্রাউন আই মিন আন্ডারপ্যান্ট খুঁজতে যাব কেন?”
-“তাহলে?”
-“আমার ঘড়িটা পাচ্ছি না। খুঁজে দেখো কোথায় আছে।”
রিমির চোখ যায় সোফার উপর। দরজার সামনে থেকে সরে এসে ঘড়িটি হাতে নিয়ে সামনের দিকে ধরে বলে,
-“এটা কী?”
রুদ্র রিমির হাতের দিকে তাকিয়ে কঁপাল কুঁচকে বলে,
-“কোথায় ছিল?”
-“আপনার চোখের সামনের সোফার উপরে রাখা ছিল।”
-“ওহ! মেবি দেখিনি।” ঘড়িটি হাতে নিয়ে বলে।
-“পল কোথাকার। ” বিড়বিড় করে বলে।
ঘড়ি পড়ে রিমির কাছে এসে গালে কিস করে বলে,
-“বাই।”
রুম থেকে বের হয়ে যায় রুদ্র। রিমি গালে হাত দিয়ে স্মিত হাসে।
.
ইশা ছাদে এসেছে। কানে ইয়ারফোন গুজে রেলিং এ ধারে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। আর এদিকে সাব্বির ইশাকে সাড়া বাড়ি খুঁজে হয়রান। শেষে ছাদে এসে দেখে ইশা ছাদের এক কোণায় নিরিবিলি দাঁড়িয়ে আছে। রাগ হচ্ছে সাব্বিরের । হনহন করে ইশার সামনে এসে কান থেকে ইয়ারফোন খুলে নিয়ে বলে,
-“সাড়া বাড়ি খুঁইজা আমি হয়রান,আর আপনি এখানে বসে রইছেন?”
ইশা মেকি রাগ নিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে বলে,
-“আমাকে খুঁজে হয়রান হবার দরকার কী? আমি কী বলেছি আমাকে খুঁজতে? ”
-“না কইলেই কী খোঁজা বন্ধ কইরা দিমু?”
-“দেখুন! আমাকে আমার মতো থাকতে দিন। আপনার টর্চার আমার একদমি ভালো লাগছে না।”
-“টর্চার না করতেই টর্চার কইলা?”
-“আপনার সব কিছুতেই আমার টর্চার মনে হয়।”
-“এমন কইরা বইলো না । ইশ! আমার দিলে চোট লাগে যে।”
ইশা বিরক্ত হচ্ছে । ভেবেছিল ছাদে এসে পাঁচ মিনিট নিরিবিলি থাকবে। কিন্তু তা আর হলো কই? সাব্বির এসে টর্চার শুরু করেছে। কথা বলার টর্চার। ইশা বিরক্তি নিয়ে ছাদের এপাশে এসে দাঁড়ায়। সাব্বিরও ওর পিছু পিছু এপাশে এসে পাশে এসে দাঁড়ায়। মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে নেয় ইশা । সাব্বির দাঁত কেলিয়ে বলে,
-“ইশা আপনি………….. ।”
বাকিটা বলার আগেই ফাহিম এসে ওদের মাঝে উপস্থিত হয়। বলে,
-“ভাই এখানে দাঁড়াইয়া কী হরো?(করো)?”
সাব্বির চড়ম বিরক্তি নিয়ে মনে মনে বলে,
-“করতে দিলি কই তুই। এর মধ্যেই তো মাঝখান থেকে বাঁ পা ঢুকিয়ে দিছোস?”
-“মোর দিকে চাইয়া রইছো ক্যা ভাই?”
-“তোর রূপ ভাড়ছে তো,সেইটা দেখতাছি হারামি ।”
-“মোরে একছের গাইলাও ক্যা? মুই কী হরছি(করছি)?”
-“হরছ (করছ) নাই কী সেটা বল!” রাগী কন্ঠে বলে সাব্বির ।
-“ভাই মুই তো আপনার এই কবিতা লেখাটা নিয়া আইছি। যেটা কাইল রাইতে লেখছিলেন আফারে দিবেন বইলা।” ভাজ করা কাগজের টুকরো সাব্বিরের সামনে দিয়ে বলে।
-“যাক ভালো করছোস। এবার তুই যা।” কাগজ টা হাতে নিয়ে বলে সাব্বির ।
-“কিয়া(কেন) ভাই মুই হুনমু(শুনবো) না আপনার লেখা কবিতা।”
-“তোর শুনার দরকার নাই। তুই যা।”
-“না ভাই মুই হুনমু।”
-“দেখ ফাহিম্মা ।”
-“দেখমু না তো ভাই হুনমু।”
-“দাঁড়া এইখানে।” কথাটা বলে ইশার দিকে তাকিয়ে দেখে ইশা কানে ইয়ারফোন গুজে ছাদের অন্য পাশে চলে গেছে। সাব্বির হেঁটে ইশার সামনে এসে কাঁধে খোঁচা মেরে ডাক দেয়। ইশা পিছনদিক ফিরে কানের ইয়ারফোন খুলে বিরক্তি মুখে বলে,
-“হোয়াট?”
সাব্বির লাজুক ভাব নিয়ে ভাজ করা কাগজটা ইশার সামনে ধরে বলে,
-“এটা তোমার জন্য।”
-“কী এটা?”
-“কবিতা,তোমার জন্য আমি নিজে লিখছি।খুলে পড়ো না প্লিজ ।”
ইশা না নিতে চেয়েও পরে কিছু একটা মনে করে কাগজটি নেয়। সাব্বির তো আরো লজ্জায় লাজুকলতা হয়ে গেছে ।
-“আফা একটু জোরে জোরে পইড়েন। যাতে মুইও হুনতে(শুনতে) পারি।”
ইশার কপাল কুঁচকে যায়। ভাজ খুলে জোরে জোরে পড়তে লাগলো,
-“ও আমার ইশ!
তোমায় না পাইলে খামু আমি বিষ!
তোমায় না দেখলে ইশা
হয়ে যায় আমি দিশা বিশা।
ইশ,আমার ধ্যান,জ্ঞান কাড়িলা তুমি
তুমি ছাড়া চারদিক দেখিনা কিছু আমি।”
-“বাহ! বাহ! কী সুন্দর কবিতা। এক্সিডিং!” দু হাত তালি দিয়ে হেসে হেসে বলে ফাহিম।
সাব্বির ফাহিমের দিকে তাকিয়ে রাগ নিয়ে বলে,
-“এক্সিডিং না এক্সিলেন্ট হবে।”
ফাহিম মুখে হাত দিতে ফেলে। সাব্বির নজর সরিয়ে ইশার দিকে তাকায়। ইশা রাগে সাপের মতো হিস হিস করছে । সাব্বিরের কবিতা পড়ে চেহারা ভয়ংকর নাগিনের রূপ ধারন করেছে।
সাব্বিরের মুখ চুপসে যায় ইশার রাগ দেখে। মিন মিন করে বলে,
-“কবিতা কেমন হইছে ইশা?”
সঙ্গে সঙ্গে কাগজটি ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে সাব্বিরের মুখে ছুঁড়ে মেরে রাগে গজগজ করতে করতে নিচে চলে যায়। সাব্বির কপাল ভাজ করে ইশার যাওয়ার দিকে তাকায়।
ফাহিম সাব্বিরের কাঁধে এক হাত রেখে বলে,
-“ভাই, মনে হয় কবিতা একছের সুন্দর হইছে। হেইতে ভাবি লজ্জা পাইয়া কাগজ ছিঁড়া রাইখা আইড্ডা(হেঁটে) গেছে।”
সাব্বির কিছু বলল না। ঠান্ডা রিয়েকশন নিয়ে নিচে চলে গেল। ফাহিম মাথা চুইকিয়ে তাকিয়ে আছে ওর যাওয়ার দিকে।
রাতে…..
রিমি,সিমি,নিধি বাদে হল রুমে সবাই সেখানে উপস্থিত আছে। সবাই রুদ্র,অভ্র,শুভ্র দের হানিমুনে যাওয়ার কথা বলছে। কোথায় যাবে সেটা সাব্বির আগে বলে,
-“সাজেক যান ভাই,ভাবি গো লইয়া।”
-“না ভাই আপনারা সিলেট যান।” ফাহিম বলে।
ইশা বলে,
-“ভাইয়া তোমরা কাপ্তাই যাও। আর ঐখান দিয়ে রাঙ্গামাটি যাবে।”
-“না,ভাই তুমি সাজেক যাও।” সাব্বির বলে।
-“নাহ! ভাইয়া রা কাপ্তাই যাবে ।” ইশা জোরে বলে।
-“আরে না, মুই কইতাছি না ভাই রা সিলেট যাইব।” ফাহিম বলে ।
এক প্রকার তর্ক শুরু করে দিছে ওরা তিন জন। ওদের তর্ক দেখে আলতাফ চৌধুরী বলে,
-“তোরা সবাই থাম! যাদের কে নিয়ে যাবে তাদের আগে ডাক।”
ইশা চট করেই বলে,
-“ওয়েট,আমি ডেকে নিয়ে আসছি ভাবিদের।” বলেই ওঠে চলে যায় ইশা।
ফিরে আসে রিমি,সিমি,নিধিকে নিয়ে। সোফায় বসতে দেয় ওদের। তখনি সার্ভেন্ট এসে সবাইকে কফি দিয়ে যায়। ইশা হাসি মুখে বলে,
-“আচ্ছা ভাবিরা শোনো। এখানে একটা বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে ।”
নিধি কফিতে চুমুক দিতে দিতে জিজ্ঞেস করে,
-“কী ও কোন বিষয় নিয়ে?”
-“তোমাদের হানিমুনের যাওয়ার কথা নিয়ে।”
একি সময় রিমি,সিমি,নিধি কফিতে চুমুক দিয়েছিল। ইশার কথা শুনা মাত্রই জোরেসোরে তিন জনে বিশুম খেলো। ওদের বরাবর সাব্বির,ফাহিম বসা ছিল। তাই পুরো কফিটা মুখ থেকে ছিঁটকে গিয়ে ফাহিম ও সাব্বিরের মুখে ও গায়ে গিয়ে পড়ল। সাব্বির, ফাহিম চোখ,মুখ কুঁচকিয়ে বন্ধ করে নেয়। রিমি, সিমি,নিধি সমান তালে কেশে যাচ্ছে । রুদ্র,শুভ্র,অভ্র রা পায়ের উপর পা ওঠিয়ে ফোন ঘাটছিল। এমন কাণ্ড দেখে ওরা পা নামিয়ে কটু চোখে ওদের তিনজনার দিকে তাকায় । ঘটনায় ইশা ও আলতাফ চৌধুরী অবাক। ইশা ঘাড় ঘুরিয়ে সাব্বির আর ফাহিমের দিকে তাকাতেই ফ্লোরে বসে পড়ে পেট ধরে জোরে জোরে হাসতে লাগলো। ওর সাথে তাল মিলিয়ে আলতাফ চৌধুরীও হাসছে। রিমি,সিমি,নিধি ওদের কাশি থামিয়ে সাব্বির,ফাহিমের দিকে তাকিয়ে স্থির থাকতে পারল না। হো হো করে হেসে একজন আরেক জনার গায়ে ঢলে পড়ছে। বেচারা সাব্বির,ফাহিম চোখ খুলে তাদের হাসি দেখে তেলেবেগুনে রেগে যায়। এমনেতেই কফি ফেলেছে ওদের চেহারার উপর। তার উপর এখন আবার দাঁত বের করে হাসছে । এই চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আর কী হতে পারে?
রিমি হাসার এক পর্যায় হেসে হেসে বলে,
-“স্যরি সাব্বির,ফাহিম।”
সিমিও হেসে হেসে বলে,
-“আমিও বড্ড স্যরি।”
নিধি মুখে হাত দিয়ে হেসে হেসে বলে,
-“আমি এতো গুলো স্যরি।”
সাব্বির ওঠে চলে যায়। সাথে ফাহিমও। এভাবে কেউ হেসে হেসে স্যরি বলে সেটা ওদের জানা ছিল না। ওদের হাসিতে এমনতেই রাগ হচ্ছে । হেসে হেসে স্যরি বলাতে আরো বেশি রাগ হচ্ছে সাব্বির ও ফাহিমের।
ইশার অবস্থা খারাপ হাসতে হাসতে। পেট ধরে বলে,
-“আল্লাহ্! এ বাসায় থাকলে আর কত হাসতে হবে কে জানে? মনে হচ্ছে হেসে হেসে মরে যাব।”
আলতাফ চৌধুরী বলে,
-“তা যা বলেছো ইশা! সত্যিই হেসে হেসে মরতে হবে মনে হচ্ছে ।”
রিমি,সিমি,নিধি হাসি থামিয়ে দেয় তখনি যখন ওদের নজর রুদ্র,অভ্র,শুভ্র দের উপর পড়ে। কারণ,ওরা রাগান্বিত চোখে তাকিয়ে আছে। রিমি, সিমি,নিধি রা ঠিক বুঝতে পারছে না ওরা এভাবে কেন ওদের দিকে তাকিয়ে আছে? হানিমুনের কথা শুনে বিশুম খেয়েছে তার জন্য? নাকি জোরে জোরে হাসছে,তার জন্য? ওদের উপর থেকে চোখ নামিয়ে নেয়। চুপটি করে বসে থাকে। সাব্বির জামা মুখ ধুঁয়ে এসে রিমিদের সামনে দাঁড়িয়ে নেচে নেচে বলে,
-“হানিমুন,হানিমুন,হানিমুন! হানিমুনে যাইবো ভাইয়ারা। হাতে,পায়ে তালি দেও সবাই রা।”
সবাই ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে সাব্বিরের অদ্ভুত নাচের দিকে। বুঝার চেষ্টা করছে হানিমুন বলে এভাবে নাচার কী আছে?
সাব্বির এবার রাগ নিয়ে আঙুল জাগিয়ে রিমিদের দিকে তাকিয়ে বলে,
-“কী! এখন বিশুম খাইলেন না? তখন হানিমুনের কথা শুইনাই বিশুম খাইয়া মুখ থেকা চা ছিঁটাইয়া চেহারা,জামা আমার ছেরা-বেরা কইরা দিছেন। এখন কই গেল আপনাগো বিশুম?”
সাব্বিরের নাচার কাহিনী এবার বুঝতে পেরেছে সবাই। ইশা এবার ফ্লোরে গড়াগড়ি খাচ্ছে আর হাসছে। রিমি,সিমি,নিধি মুখের মধ্যে হাত দিয়ে মাথা নিচু করে হাসছে। আলতাফ চৌধুরী হাসতে হাসতে এক হাত চোখের উপর রাখে। রুদ্র,শুভ্র,অভ্র তো রাগে ফেটে যাচ্ছে । ওরা এবার সাব্বিরের দিকে রাগী চোখে তাকায়। সাব্বির মাথা নিচু করে ফেলেছে।
এরি মধ্যে ফাহিম এখানে উপস্থিত হয়ে ইশাকে ফ্লোরে গড়াগড়ি খেতে দেখে বলে,
-“ইশ আফা! এটা কী আপনি নাগিন ডান্স দিতাছেন?”
ইশা হাসার কাজ হেসেই যাচ্ছে। ফাহিমের কথা কানে নিচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর ইশা নিজেকে স্বাভাবিক করে ওঠে বসে। হাসতে হাসতে হাপিয়ে গেছে পুরা।
-“এলা ওঠেন,বহুত নাগিন ডান্স দিছেন ফ্লোরে শুইয়া।” ফাহিম বলে ট্যারা চোখে তাকিয়ে।
ইশা ওঠে সোফায় বসে। বলে,
-“আল্লাহ্! আজ প্রচুর হাসলাম। আচ্ছা ভাইয়া শোনো……….।”
রুদ্র ইশাকে থামিয়ে বলে,
-“তুই চুপ কর। আমার কথা শোন। হানিমুনে যাব কাপ্তাই। তবে, আমরা তিন জনে নয়। সাথে তোরাও যাবি।”
ইশা শুনেই খুশিতে আত্মহারা। অবাক কন্ঠে বলে,
-“সত্যিই ভাইয়া? ”
অভ্র বলে,
-“হ্যাঁ! এটা আমরা আগেই ভেবে রেখেছিলাম। কালকে রাতে যাব। তবে গাড়িতে নয়! হেলিকাপ্টারে ।”
-“সেখানের একটি বাংল ভাড়া নিয়েছি এক সপ্তাহর জন্য।” শুভ্র বলে ।
-“ওয়াও,ওয়াও। আমার যে কী খুশি লাগতেছে।তোমাদের এত গুলো থ্যাংক ইউ।” খুশি মুডে বলে।
ওদের কথা শুনে সাব্বির,ফাহিম,রিমি,সিমি,নিধি রাও অনেক খুশি হয়। কিন্তু আলতাফ চৌধুরী খুশি হতে পারছে না। তাঁর চেহারায় চিন্তিত ভাব ফুটে ওঠেছে। রুদ্র, অভ্র,শুভ্র দের চোখে এই বিষয়টা এড়ায় নি। অভ্র আলতাফ চৌধুরীর হাতের উপর হাত রেখে চোখের পলক আস্তে করে ফেলে। চিন্তা মুক্ত হতে বলেন তাকে।
রুদ্র রিমি,সিমি,নিধি ও ইশার উদ্দেশ্যে বলে,
-“তোমরা উপরে যাও।”
কথাটা শুনেই ওরা তিন জন চলে যায় উপরে। আলতাফ চৌধুরী চিন্তিত স্বরে বলে,
-“এক পিকনিকে আমি পুরো নিঃস্ব হয়ে গেছি। এখন আমি আমার……. ।”
বাকিটা শুভ্র বলতে দেয় না।থামিয়ে দিয়ে বলে,
-“এত টেনশন কোরো কেন দাদু? আমরা প্লান অনুজাই কাজ করব।”
-“তোদের নিয়ে খুব চিন্তা হয় রে আমার।আমি চাই না,আমাদের এই হাসি-খুশি ভরা পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসুক।” আহত কন্ঠে বলে আলতাফ চৌধুরী ।
-“আহ! দাদু। তুমি এত ভাবছো কেন? ভাইয়া রা যেই প্লান করেছে না। এটাতে আমাদের যাওয়ার খবর ঠিক মতো কেউ জানতে পারবে না।” সাব্বির বলে।
-“যাই করিস না কেন! সব কিছু ভেবে চিন্তে করবি।” আলতাফ চৌধুরী বলেন।
-“ইয়াপ!” অভ্র বলে ।
রুদ্র বলে,
-“সাব্বির ম্যাপ নিয়ে আয়। আমি সব বুঝিয়ে দিচ্ছি।”
-“ওকে ভাই।”
.
.
.
.
.
.
.
Continue To……..