#Three_Gangsters_Love.
#Sumaiya_Moni.
#Part_21.
কাপ্তাই থেকে আজ ওরা ফিরে এসেছে বাসায়। রাতে সবাই এক সাথে সময় কাঁটিয়ে যে যার রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ে। তবে,এদিনে রিমি,সিমি,নিধি রা নোটিশ করছে অভ্র,শুভ্র,রুদ্র আগে থেকে আরো বেশি রোমান্টিক হয়ে গেছে। আগে যেমন গম্ভীর মুড নিয়ে রোমাঞ্চ করতো। এখন তার উল্টো টা হচ্ছে । আগে ওরা গম্ভীর,ক্ষুপ্ত কন্ঠে কথা বললেও এখন কথা বলার ধরন পাল্টে গেছে। বলা যায় ঠোঁটে সব সময় হাসির রেখা প্রতিফলিত থাকে। আর এই দুই লাভ বার্ডস দের কথা আর কী বলব? সাব্বির আর ইশা যখন সেখানে পারছে এক সাথে কাছে গা ঘেঁষে বসে কথা বলছে। এবং কি খাওয়ার সময়ও একজন আরেক জনকে খাইয়ে দিচ্ছি। আহা! কী ভালোবাসা । একে তো রুদ্র,শুভ্র,অভ্র দের রোমান্টিক টর্চারে ওরা বিরক্ত । এখন ওদেরটা দেখে ওরা আরো বিরক্ত হচ্ছে । আর আমাদের ফাহিম ভাই! ওদের রোমান্টিক মোমেন্ট দেখে তার মনেও এখন বউ বউ ফিলিংস জাগছে। সরা সরি আলতাফ চৌধুরীকে কিছু না বললেও। আঁকার ইঙ্গিতে বোঝায়া যে “দাদু মেলা থেকে আমারও একটা বউ এনে দেও” ঠিক রুদ্র,অভ্র,শুভ্র দের মতো। ফাহিমের মেলায় বলার পিছনের কারণ টা তো জানেনই। রিমি,সিমি,নিধি দের দেখা কিন্তু আলতাফ চৌধুরীর মেলাতেই হয়েছিল। তাই আর কী এই সুবাদে এটা বলা।
রিমি পায়চারি করছে আর বিরক্তি ভঙ্গিতে বলছে,
-“আমি জাস্ট বিরক্ত! রুদ্রের ইদানিং কী হয়েছে জানি না। কেমন বিহেভ যে করছে। মনে হয় এখনি খেয়ে ফেলবে। আর হাসি! তার কথা কী বলব। হাসলে মনে হয় আমরা সামনে ভ্যাম্পায়ার কিং অভয় রাজ দাঁড়িয়ে আছে। পুরাই ভূতুড়ে টাইপের হাসি।”
-“তোর তো এটা মনে হয়। আর আমার হয় কী জানস? আবি রাজ এর মতো লাগে অভ্র রে।যেই একটা হাসি মারে। সাথে শয়তানি বুদ্ধি তো আছেই!”নিধি বলে।
-“আমারটার কথা আর কী কমু! তারে তো পুরাই রোমান্টিক জ্বীন ইশফাদ এর মতো লাগে।” সিমি কপালে হাত দিয়ে বলে।
[ এই নাম গুলোর সম্পর্কে শুধু তারাই জানবে। যারা আমার সব গল্প পড়েছে ]
ইশা সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলে,
-“কী শুরু করলে তোমরা? অভয় রাজ, আবি রাজ,ইশফাদ? কী এগুলা?”
রিমি ইশার সামনে দাঁড়িয়ে বলে,
-“আমরা যা বলতেছি ঠিকিই বলতেছি।তোমার ভাইদের প্রেম ভূতে ধরেছে। এই বাড়ি এখন আর গ্যাংস্টার হাউস নেই। নাম চেঞ্জ করে রোমান্টিক হাউস রাখা উচিত।”
-“আহ! ভাবি। তোমরা একটু সিরিয়াস হও। বিয়ে হয়েছে আজ প্রায় এক মাস হতে চললো। এর মধ্যে এমন কোনো কিছু আমার নজরে পড়ে নি যাতে আমি বুঝবো তোমরা ভাইয়া দের ভালোবাসো । তোমরা একটা জীনিস কেন বুঝো না। স্বামী তো স্বামীই হয়। সেটা যেমনি হোক না কেন। নিজের স্ত্রীর প্রতি তার আলাদা মায়া,মোহাব্বত এমনেতেই থাকে ।”
কিছুক্ষণ ওরা সবাই চুপ থাকে । হুট করেই সিমি পাশে থাকা একটি বই ভাজ করে মুড়িয়ে মুখের সামনে ধরে বলে,
-“এই,এই সবাই শোনো। ইশা এখানে জ্ঞান বিক্রি করতে এসেছে। কার কার লাগবে সবাই ফ্রীতে নিয়ে যান।”
রিমি,নিধি হাসে। ইশা মেকি রাগ নিয়ে বলে,
-“ভাবি! একটু তো সিরিয়াস হও তোমরা।”
রিমি ইশার দু কাঁধে হাত রেখে বলে,
-“শোনো ইশা! ভালোবাসা কী সেটা তোমার ভাইয়া রা জানে না। আগে তাদের কাছে গিয়ে ভালোবাসার চাপ্টার শিখাও। তারপর আমাদের শিখাবে ওকে। আমি যাই।” বলেই হল রুম থেকে চলে যায় উপরে।
সিমিও ওঠে দাঁড়িয়ে ইশার সামনে এসে বলে,
-“হ্যাঁ! আগে তাদের গিয়ে শিখাও।”চলে যায় সিমি।
নিধিও সোফা থেকে ওঠে এসে ইশার কাঁধে চাঁপড় মারতে মারতে বলে,
-“সেম,সেম।” বলে চলে যায়।
ইশা বোকা হয়ে যায়। এতক্ষণ কী বললো ওদের তা কী ওরা বুঝতে পারেনি নাকি? নাকি বুঝতে চাইছে না তারা?
রিমি রুমে এসেই বিছানার উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ে। ওর ফোন হাতে ছিল। ফেসবুকে ঢুকবে এর মধ্যে রুদ্র ওর পাশে চিৎ হয়ে শুয়ে টেডি হাসি দিয়ে বলে,
-“হাই জান!”
কথাটা শুনেই রিমি রুদ্রকে দেখেই গড়িয়ে বিছানার অপর পাশ দিয়ে নামতে যাবে এর মধ্যেই রুদ্র রিমির কোমড় ধরে টেনে ওর কাছে নিয়ে আসে। ঠোঁটে হাসি রেখেই বলে,
-“কোথায় পালাচ্ছো।”
রিমি কপাল কুঁচকিয়ে ওঠতে নিলে রুদ্র বলে,
-“নড়াচড়া করলে,গলায় লাভ বাইট দেবো।”
রিমি চুপ হয়ে যায়। মনে হয় কিছুটা ভয় পেয়ে গেছে রিমি। রুদ্র ঠোঁটে হাসি বজাই রেখে রিমির নাকে ওর নাক ঘঁষে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে। রিমির কাছে এটা ভালো লাগছে। রুদ্রের আড়ালে মুচকি হাসে।
.
.
সিমি ইয়ারফোন কানে গুঁজে বিছানার উপর হেলান দিয়ে বসে চোখ বন্ধ করে গান শুনছিল। গানে এতটাই মগ্ন ছিল যে শুভ্র অফিস থেকে বাসায় এসে রুমে প্রবেশ করেছে সেটা টেরও পাইনি সিমি। আচমকা সিমি চোখ খুলে শুভ্রকে ওর চেহারার একদম কাছে দেখে ভয় পেয়ে প্রথম চিৎকারটা দিতেই তখনি শুভ্র ওর ঠোঁট দিয়ে সিমির ঠোঁট চেপে ধরে। চিৎকার থেমে যায় সিমির। এতটা জোরে শুভ্র ওর ঠোঁট ধরে রেখেছিল যার কারণে সিমি ওর ঠোঁটে ব্যথা অনুভব করছে। ছাড়ানোর জন্য শুভ্রের বাহু ধরে ধাক্কাতে লাগলো।কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। কানের ইয়ারফোন খুলে বিছানার উপর পড়ে যায়। দম বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে সিমির।শুভ্র কিছুক্ষণ পরিই সিমিকে ছেড়ে দেয়। সিমি মাথা নিচু করে জোরে জোরে নিঃশ্বাস টানতে লাগলো। খুব রাগ হচ্ছে সিমির । না পারছে শুভ্রকে কিছু বলতে। না পারছে সহইতে। শুভ্র ঠোঁটে তখনো মুচকি হাসি লেগেছিল।
শুভ্র ওঠে দাঁড়ায় গলার টাই খুলে বিছানার রেখে ওয়াশরুমে ঢুকে দজরা একবার বন্ধ করতে নিলে আবারও দরজা খুলে সিমির দিকে তাকিয়ে হেসে হেসে বলে,
-“কিস টা সেই ছিল বেবি।” দু চোখের পলক ফেলেই দরজা বন্ধ করে দেয় শুভ্র ।
সিমি বিছানা থেকে নেমে ওয়াশরুমের দরজায় দুটো জোরে জোরে লাথি মেরেই রুম থেকে দৌঁড়।
শুভ্র ওয়াশরুমের ভিতরে বসে হাসে।
.
.
নিধি বারান্দায় দাঁড়িয়ে বিশাল আকাশ দেখছে। আকাশ জুড়ে আজ চাঁদের দেখা নেই। কিছু তাঁরা মিটমিট করে জ্বলছে। বাতাস টাও আজ চাঁদের সাথে হারিয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর নিধি ফিল করে ওর পেছন থেকে কোমড়ে কেউ হাত রেখেছে । আস্তে আস্তে সেই হাঁতটা পেটের কাছে আসছে। ডান দিকে ঘাড় ঘুরাতেই অভ্রকে দেখতে পায়। অভ্র নিধিকে ওর কিছুটা কাছে এনে মুখ ওর সামনে নিয়ে এসে বলে,
-“আজ চাঁদ ইচ্ছে করেই ওঠেনি। বুঝতে পেরেছে তোমার আমার রোমাঞ্চে ডিস্টার্ব হবে।”
রোমাঞ্চের কথা শুনেই নিধির চেহারার রং পাল্টে যায়। বেশ বিরক্তি লাগছে। অভ্র জড়িয়ে ধরে নিধির ঘাড়ে কিস করে। ঢেলে সরিয়ে দিতে নিলে নিধিকে আরেকটু চেপে ধরে।
অভ্র মাথা তুলে নিধির কানের কাছে মুখ নিয়ে স্লো ভয়েস এ বলে,
-“পালিয়ে আর কতদিন বাঁচবে?এবার তুমি আমার হয়ে যাও নিধি ।”
কথাটা শুনেই শীতল বাতাস বয়ে যায় নিধির মনে। অভ্র তখনো মুখ গুঁজে ছিল ওর ঘাড়ে। নিধিও কিছুক্ষনের জন্য চুপ হয়ে যায়।
.
.
সাব্বিরের দায়িত্ব পালন করছে ফাহিম। আগে প্রায় আলতাফ চৌধুরীর পায়ে তেল মেজে দিতো। এখন সেই দায়িত্ব ফাহিমের। ফাহিম পায়ে তেল মালিশ করার এক পর্যায় আহ্লাদীস্বরে বলে,
-“দাদু।”
-“হুম।”
-“আরে ও দাদু।”
-“বল।”
-“ওরে দাদু হোনো(শোনো) না। ”
-“বলিস না কেন হারামজাদা।” কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বইয়ের উপর থেকে মুখ সরিয়ে ফাহিমের দিকে তাকিয়ে বলে।
ফাহিম মাথা চুলকিয়ে আমতা আমতা করে বলে,
-“দাদু! সবাই তো ডবল হইয়া গেছে। এহন শুধু তুমি আর আমিই এক ডবল আছি।”
আলতাফ চৌধুরী বইয়ের দিকে তাকিয়েই উত্তর দেয়,
-“হুম,তো?”
-“চলো মোরাও বিয়ে কইরা হালাই।” বলেই জিব্বায় কামড় দিল ফাহিম। কিছু একটা ভুল বলেছে।
আলতাফ চৌধুরী বই বন্ধ করে বলল,
-“বিছানার পাশ থেকে আমার ঠেঙ্গাটা দে তো!”
ফাহিম সতর্ক হয়ে যায়। নড়েচড়ে বসে বলে,
-“আচ্ছা মুই ভুল কইছি। তবে মোর বিয়াডা তো দিতে পারো।”
-“কথাটা ঠিক মত বললেই হয়। এত ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলার কী আছে?”
ফাহিম লজ্জা ভঙ্গিতে মৃদু হাসি দিয়ে বলে,
-“ধুৎ! আমার সরম করে না।”
-“ওরে শালা! বিয়ে করবি তুই। আর সরমও তুই পাবি।”
-“এ কিরাম(কেমন) কথা দাদু!”
-“আচ্ছা যাই হোক, ওদের সবার সাথে আলাপ করব নে। তুই এখন পা মালিশ কর।”
ফাহিমের ঠোঁটে হাসি ফুটে ওঠে। মনের খুশিতে পায়ে তেল মালিশ করতে লাগল।
.
ডিনারের সময়…
রিমি,সিমি,নিধিকে রুদ্র রা খাইয়ে দিতে চাইছে। কিন্তু ওরা ওদের হাতে খেতে নারাজ। এক পর্যায় জোর করেই খাইয়ে দিচ্ছি। ওরা পড়েছে চিপাকলে। ইশা,সাব্বির মিটমিটিয়ে হাসছে। রিমি, সিমি,নিধির মনে সন্দেহ জাগে। রুদ্র,শুভ্র,অভ্র দের পরিবর্তন করার পিছনে কী ইশা, সাব্বিরের হাত আছে নাকি?
দিন যতো যাচ্ছে ওদের পাগলামি তত বাড়তে থাকে। রিমি,সিমি,নিধি রা রুদ্র,অভ্র,শুভ্র দের প্রতি দিন দিন নেশাক্ত হচ্ছে। ওদের পাগলামি, রোমান্টিক টর্চার গুলো ওদের কাছে ভালো লাগতে শুরু করে। বলা যায় রুদ্রদের ওরা ভালোবাসতে শুরু করেছে। তারপর আসে সেদিন যেদিন ইশা রিমি,সিমি,নিধি দের রেডি করাচ্ছিল একটি পার্টিতে যাবে বলে। তিন জন ব্ল রঙের গাউন পড়েছিল। ইশাই ওদের তিন জনকে সাজিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ওরা এটা ভেবে অবাক ছিল। কারণ পার্টিতে ওরা একাই যাচ্ছিল। বাড়ির আর কেউ যাচ্ছে না। কারণ,জিজ্ঞেস করলে ইশা এড়িয়ে যায়। সাথে ফাহিমও। ওদের রেডি করানো হলে নিচে নিয়ে আসে। সাব্বির আগে থেকেই হল রুমে বসা ছিল। ওর সাথে আলতাফ চৌধুরীও বসা ছিল। তাদের কে বিদায় দিয়ে ইশা ওদের ঠেলে ঠুলে গাড়িতে বসিয়ে দেয়। ওরা বার বার রুদ্র,অভ্র,শুভ্র দের কথা জিজ্ঞেস করতে চাইলে এড়িয়ে যায় ইশা,সাব্বির। তিন জনকে একটি গাড়িতে উঠিয়ে দেওয়ার পর গাড়ি চলতে থাকে।
কোথায় যাচ্ছে,কোথায় ওদের নিয়ে যাচ্ছে সবটা ওদের অজানা। মনের মধ্যে ভয়টাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর গাড়ি এসে থামে একটি হোটেলের সামনে। এরা নেমে দাঁড়ায়। তখনি হোটেলের ভেতর থেকে অভ্র,শুভ্র ও রুদ্র রা বেরিয়ে আসে। ওদের পরনেও ছিল ব্লু রঙের শার্ট,কোট,প্যান্ট। চুল গুলো স্মাইক করা। চেহারায় ফুটে আছে ডেশিং লুক। রিমি রা রিতিমত অবাক! ওরা ওদের কাছে এসে মুচকি হেসে হাত ধরে হোটেলের ভেতরে নিয়ে আসে। ভেতরে গিয়ে আরো অবাক হয়। হল রুমটা খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। লাইটিং,ফুল সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে হল রুমটা।
হোটেলের উপরের একটি রুমে বসে ইশা,সাব্বির ও ফাহিম নিচ থেকে ওদের দেখছে। ওদের সামনে সিসি টিভির মনিটর লাগানো ছিল। ইশার হাতে ছিল ফোন। আর রুদ্র,শুভ্র,অভ্র দের কানে ছিল ব্লুটুথ। ইশা ওদের তিন জনের সাথেই কথা বলছিল। হোটেলের ভেতর আর কেউ ছিল না। আস্তে আস্তে লাইট সব বন্ধ হয়ে যায়। তারপর লাল,নীল রঙের বাতি গুলো জ্বলে উঠল। মৃদ আলোই ওদের চেহারা আবছা আবছা ছিল। তারপরই ওরা ওদের কাছে টেনে নিয়ে এলো।
তখনি সাব্বির মিউজিক অন করে দেয়। একটি রোমান্টিক মোমেন্ট….। তারি মাঝে রোমান্টিক গান।
…….Mareez-e-Ishq…….
গানটি বাজতে লাগলো। গানের তাল মিলিয়ে কাপল ডান্স করছে। ডান্স করার এক পর্যায় ফাহিম সিসি ক্যামেরায় কিছু একটা দেখতে পায়। তখনি ইশা ও সাব্বিরকে কিছু না বলেই ফাহিম এক প্রকার দৌঁড়ে নিচে চলে আসে। তখনো রুদ্র রা ডান্স করছিল। ফাহিম জোরে জোরে দৌঁড়াচ্ছে নিচে আসার জন্য। এদিকে সাব্বির পাশে ফিরতেই দেখে ফাহিম নেই। সাব্বিরের কপালে হালকা বাজ পড়ে। এখানেই তো ছিল কিছুক্ষণ আগে। কোথায় গেল? অন্য সিসি ক্যামেরায় ফুটেজ গুলোর মনিটরে ঝির,ঝির করতে লাগলো। মানে এক পর্যায় সব সিসি ক্যামেরার মনিটর বন্ধ হয়ে গেল। শুধু রুদ্র রা যেখানে ডান্স করছে সেখানেরটা ভালো ছিল।
সাব্বিরের মনের মধ্যে ভয় কাজ করছে। ইশা সাব্বিরের দিকে তাকিয়ে আছে। কিছু বুঝতে পারছে না কী হচ্ছে ।
-“এসব কী হচ্ছে সাব্বির? ”
-“হুশশশ!” সাব্বির মুখে আঙুল দিয়ে থামিয়ে দেয় ইশাকে। কারো পায়ের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে বাহিরে। সাব্বির ওর পকেট থেকে একটি পিস্তল বের করে। ইশা দেখে ভয় পেয়ে যায়। সাব্বির ইশাকে ওর বুকের সাথে চেপে ধরে পিস্তল গেটের দিকে তাক করে ধরে। এদিকে পরা পর তিনটি বিকট শব্দ ভেসে আসে নিচ থেকে । হোটেলটা দ্বিতীয় তলা হওয়ায় শব্দ ওদের কানে আসতে সময় লাগেনি। সাব্বির বুঝতে পারে এটা কিসের শব্দ। তাড়াতারি করে নিচের হল রুমের লাইট অন করে। ওদের সামনে ভেসে ওঠে হল রুমের দৃশ্য।
সাব্বির,ইশা দু’জনিই কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ইশা ভয়তে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে সাব্বিরকে। সাব্বির ঘামছে। ইশাকে জড়িয়ে ধরে অস্থির হয়ে বলে,
-“ইশা নিচে চলো ।”
বলতে দেরি ওদের রুম থেকে বের হতে দেরি নেই। এক প্রকার দৌঁড়ে ওরা নিচে যেতে লাগলো।
.
.
.
.
.
.
.
Continue To………