#Three_Gangsters_Love.
#Sumaiya_Moni.
#Part_32.
শোক! শোক নামক শব্দটা আসলেই কষ্টকর। যখন করো জীবন থেকে প্রিয় মানুষটি চলে যায়। তখন তার জীবনে নেমে আসে শোকের ছায়া।মনে বিষাদ এসে বাসা বাঁধে। চৌধুরী পরিবার! থ্রি গ্যাংস্টার হাউস । এখন শোকে পরিনত। নিধির মামা,মামি,ইফাদ কে হারিয়ে নিধি নিজেকে নিঃস্ব মনে করছে। জানে না ওর মামা ও ইফাদ আদৌ বেঁচে আছে কিনা মারা গেছে। আর ফারিন প্রতি সেকেন্ডে লড়াই করছে বেঁচে থাকার জন্য।
তারি মধ্যে কালকে সাব্বির নিঁখোজ আর ইশা বাচ্চাকে হারিয়ে পাগলে পরিনত বলা যায়। স্বামী নিঁখোজ শুনে আরো চিন্তায় বিচলিত।
কাল রাতে জ্ঞান ফিরার পর অনেক পাগলামি করেছিল। সকালে আরো পাগলামি ভেড়েছে। হাতের কাছে যা পাচ্ছে সব ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে। কিচ্ছু খেতেও চাইছে না। বেশিক্ষণ পাগমানি করতেও পারছে না। কারণ,নিজের শরীরও যে অনেকটা অসুস্থ। রুদ্র ইশাকে বুঝাতে চাইলে উল্টো ইশা রুদ্রকে আঘাত করে। তারপরও বোনকে কোনো রকম বুঝিয়ে মানায়। কিন্তু কতক্ষণ আর বুঝনো যায়। বাচ্চা হারানোর কষ্ট শুধু সেই মা বুঝতে পারে যার হারিয়ে গেছে।
ডাক্তারকে ডেকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ইশাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয় রুদ্র। ফাহিমকে হাতপাতালে রেখে বাড়িতে চলে আসে। রুদ্রের সাথে অভ্র,শুভ্রও ছিল। বাড়িতে এসে ওরা ওদের সিক্রেট রুমে আসে। সেখানে বসে ওরা কথা বলতে থাকে,
-“প্লান অনুজাই সাব্বিরকে কিডন্যাপ করা হয়েছে?” অভ্র বলে রাগী কন্ঠে ।
-“আমাদের বাড়ির ভিতর থেকে সাব্বিরকে কিডন্যাপ করা হয়েছে । তার মানে টা কী বুঝতে পেরেছিস তোরা? ” টেবিল ছেড়ে ওঠে দাঁড়িয়ে বলে শুভ্র।
-“কাল রাতের সিসি ক্যামেরা অফ করে সাব্বিরকে কিডন্যাপ করেছে। কিডন্যাপার খুব চালাক। বাট তিনি এটা জানে না কাদের সাথে যুদ্ধ করতে নেমেছে।” রুদ্র রহস্যময় হাসি দিয়ে বলে।
-“আমাদেরকে চ্যালেঞ্জ করছে! এক্সেপ্ট করে নিলাম চ্যালেঞ্জ ।” শুভ্র কথাটা বলে বাঁকা হাসে।
অভ্র ঠান্ডা রিয়েকশর নিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে বলে,
-“ডালে,ডালে,পাতায়,পাতায় খেলাটা ভালো জম্বে। যাই আমি গিয়ে নিধির সাথে রোমাঞ্চ করে আসি।”
-“দেখিস! আবার ওদের স্পেশিয়াল ঠেঙ্গার বারি না খাস।” পিঞ্চ মেরে বলে শুভ্র ।
রুদ্র গভীর ভাবে কিছু একটা ভাবছে। অভ্র ওঠে দাঁড়িয়ে রুদ্রের কাঁধে হাত রেখে বলে,
-“কী ভাবছিস?”
-“পরে বলবো।” বলেই চেয়ার ছেড়ে ওঠে দাঁড়িয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায় । ওর সাথে অভ্র,শুভ্র বেরিয়ে যায়।
রুদ্র রুমে এসে দেখে রিমি এক মনে সামনের দিকে তাকিয়ে রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে বারান্দায় । রুদ্র সরু নিঃশ্বাস টেনে রিমির পিছনে এসে দাঁড়ায়। রিমি পিছনে কারো স্পর্শ পেয়ে বুঝতে পারে এটা রুদ্র। রুদ্র রিমির কাঁধে থুতনি রেখে বলে,
-“এত ভেবো না রিমি।”
রিমি নিরবে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে মৃদু স্বরে বলে,
-“এমনটা না হলেও পারত।”
রুদ্র সরে এসে রিমির দু গালে হাত রেখে আস্থাপন কন্ঠে বলে,
-“সব ঠিক করে দিবো রিমি। ট্রাস্ট রাখো আমার উপর।”
প্রত্যুত্তরে এবারও রিমি ছোট নিঃশ্বাস টেনে নিলো।রুদ্র রিমিকে ওর বাহু ডোরে আবদ্ধ করে নিয়ে চোখ জোড়া বন্ধ করে ন্যায়।
.
.
ধ্রুবর চেহারায় ক্রোধ ফুঁটে আছে।বিপলপ তালুকদার তার পাশেই কাচুমাচু হয়ে বসে আছে । মিনমিন করে ধ্রুবকে বলল,
-“তুমি এত রাখছো কেন আমি বুঝতেছি না। ঐ মেয়েটার জন্য এত উতলা হচ্ছো কিসের জন্য? একজন মেয়ে গেছে,আরেকজন আসবে। এতে এত রাগার কী আছে বুঝলাম না।”
ধ্রুব এবার প্রকাশ্যে ক্রোধে ফেঁটে পড়ল! চোয়াল জোড়া শক্ত করে বলল,
-“আমাকে কী তোর নষ্টা ছেলে রিদয়ের মতো মনে করিস? ভালোবাসি ফারিনকে। আর তুই ও’কে…….।” রাগে ওঠে দাঁড়ায় ধ্রুব। উত্তেজিত হয়ে বলে,
-“আই,সি,ইউ তে আছে। কেমন আছে সেই খবরটাও নিতে পারছি না রুদ্রদের বডিগার্ড দের জন্য।”
বিপলপ তালুকদার মৃদু স্বরে বলে,
-“আমি একটি কথা বলি।”
ধ্রুব ফিরে তাকায় বিপলপ তালুকদারের দিকে। ক্রোধ নিয়ে বলে,
-“বল ।”
-” ছদ্মবেশে তুমি হাসপাতালে যেতে পারো। ডাক্তারের ছদ্মবেশে।”
আইডিয়া এত খারাপও ছিল না। ধ্রুবের কাছে আইডিটা ভালো লাগে। ফোন হাতে নিয়ে অন্য রুমে এসে ওর ড্যাডের কাছে কল দেয়।
.
.
রিমিদের আজ সেভ হাউসে যাওয়ার কথা ছিল । কিন্তু ওরা যেতে নারাজ। ইশা,ফারিনকে এভাবে রেখে ওরা যেতে চায় না। বিকালে রিমি,সিমি,নিধি ইশা ও ফারিনের সাথে দেখা করার জন্য হাসপাতালে আসে। ফারিনের জ্ঞান ছিল না। কিন্তু ইশার জ্ঞান ছিল। ইশার কেবিনে প্রবেশ করার সাথে সাথে ইশা ওদেরকে দেখে বেড থেকে নেমে দ্রুত পায়ে এসেই রিমিকে জড়িতে ধরে কাঁদতে শুরু করে। কাঁদা অবস্থায় রিমিকে বলে,
-“ভাবি ভাইয়া আর ঐ ডাক্তার রা বলছে আমার বেবি নাকি মারা গেছে। কিন্তু আমি তো পরশুদিনও আমার বেবির সাথে কথা বলেছি। আমার বেবিও আমার সাথে কথা বলেছে। তাহলে এখন কেন তারা আমার বেবি মারা গেছে এই কথাটা বলছে । ওদেরকে বুঝিয়ে বলো ভাবি। ওরা আমার কথা বুঝতে চাইছে না। আর,,আর সাব্বির! সাব্বির কোথায়? ও’কে সাথে করে নিয়ে আসোনি কেন? ভাইয়া রা বলছে সাব্বিরকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোথায় গেল আমাকে একা রেখে সাব্বির । সাব্বির কী বুঝতে পারছে না এখন ও’কে আমার প্রয়োজন। তোমাদের দেবর টা কিচ্ছু বুঝেনা ভাবি। সাব্বিরকে একটু বকে দিও ভাবি। একটু বকে দিও।”
পুরো কথাটা ইশা কেঁদে কেঁদে বলছিল। ইশার বলা কথা শুনে নিধি,সিমি অন্য দিকে ফিরে চোখের পানি ফেলছে। আর রিমি নিজেকে শক্ত করে রেখেছে। ইশার সাথে যদি ও নিজেও কান্না করে, তাহলে ইশাকে কে সামলাবে।ইশার জীবনটা এখন অন্ধকার বলা চলে। প্রথম থেকেই ইশার সাথে কতই না অঘটন ঘটে গেছে।নিজের আপন মা-বাবা কেও হারিয়েছে বলা যায়। যখনি সাব্বিরের সাথে অনাগত সন্তানকে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছিল তখনি সব কিছু পাল্টে গেল। কী নির্মম অবস্থা!
রিমি ইশার চোখের পানি মুছে দিয়ে হাত ধরে বেডের উপর নিয়ে বসায়। তারপর মাথায় এক হাত বুলিয়ে নরম স্বরে বলে,
-“আমাদের সাথে যেটা হয়,হোক সেটা খারাপ বা ভালো,আমাদেরকে সেটা মেনে নিতে হবে। এটাই প্রকৃত নিয়ম। সুখ,দুঃখ,হাসি,কান্না মিলিয়ে আমাদের জীবন। মেনে নিতে হবে ইশা। যেটা হাসিয়েছে সেটা হয়তো আমরা ভুলতে পারব না। কিন্তু তাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইলে কষ্টটা আরো বেশি পেতে হয়। আল্লাহ্ যা করে ভালোর জন্যই করে। আল্লাহ! এর জন্য হয়তো সামনে ভালো কিছু রেখেছে তোমার জীবনে। কষ্ট পেও না ইশা।”
লাস্টের কথাটা বলে ইশাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে।ইশা সান্ত হয়ে যায়। কোনো কথা বলছে না। নিধি,সিমিও ওদের পাশে এসে বসে।কিছুক্ষণ ইশার সাথে সময় কাঁটিয়ে ফারিনের কেবিনে আসে। নিধি ফারিনের পাশে বসে থাকে কিছুক্ষণ।
সন্ধ্যার দিকে ইশাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে ওরা সবাই।
ফাহিম ফারিনের কাছেই ছিল। আজ চার দিক যাবত ফাহিম হাসপাতালে আছে। বাড়িতে যাচ্ছে না।পাশের একটি হোটেলে গিয়ে গোসল করে জামা-কাঁপড় পাল্টে আসে। ফাহিম মন স্থির করে রেখেছে ফারিন সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত এখানে থাকবে।কত অদ্ভুত তাই না? ফাহিমও আজ কাল কেমন বদলে গিয়েছে। আগের মতো আর বেশি কথা বলে না কারো সাথে। এটাকেই বলে পরিস্থিতির শিকার । যেটা এক সময় মানুষকে পাথরে পরিনত করে। রুদ্র রাও ফাহিমকে বাসায় যাওয়া নিয়ে জোর করে না।
.
রাতে রিমি ইশাকে খাইয়ে দিয়ে এক সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। সেদিনের পর থেকে বাসার ভিতরের সিকিউরিটি একটু কঠোর করে দিয়েছে রুদ্র রা।
আলতাফ চৌধুরীও কয়দিন যাবত নিজের শরীর ভালো লাগছে না বিধায় রুমেই থাকে । এতে রুদ্র রা একটু টেনশনে পড়ে যায় । প্রতিদিনই তার রুমে গিয়ে কথা বলে আসে ওরা তিনজন।
.
.
এদিকে ধ্রুব হাসপাতালে এসে বডিগার্ডদের জন্য ভেতরে প্রবেশ করতে পারছে না গাড়িতেই বসে আছে। রাগে ফেটে যাচ্ছে ধ্রুব।অপেক্ষা না করেই চলে আসে বাড়িতে।
সকালে….
রিমি,সিমি,নিধি ও ইশাকে সাথে নিয়ে আলতাফ চৌধুরী সেভ হাউসে যাচ্ছিল। রুদ্র,অভ্র তখন অফিসে ছিল। আর শুভ্র ছিল সাব্বিরকে খোঁজার কাজে। কয়দিন যাবত অফিসে যাওয়া হয় না বিধায় আজ ওরা দু’জন অফিসে এসেছে। বারোটার দিকেই আবার বাসায় চলে যাবে। ওরা ওদের সাথে যেতে পারেনি তাই আলতাফ চৌধুরীকে ওদের সাথে পাঠিয়েছে। ওদের সাথে সাথে আলতাফ চৌধুরীর ও সেফটির দরকার। কারণ,এর আগেও তার উপর হামলা হয়েছিল। তাই ওদের সাথে তাকেও সেভ হাউসে থাকার জন্য পাঠিয়ে দেয়। ওদের গাড়ি সেভ হাউসের কিছুটা দূরেই ছিল। তাদের গন্তব্যে তারা এসেছে বললেই চলে। কিন্তু হঠাৎ-ই রাস্তা পরিবর্তন হয়ে যায়। আলতাফ চৌধুরী,রিমি,সিমি,নিধি এটা বুঝতে পরেনি। পিছনের গাড়ি দুটো বোমের কারণে ব্লাস্ট হয়ে যায়। আর রিমিদের মাইক্রো চলে আসে অন্য একটি নির্জন রাস্তায় । ব্লাস্ট হওয়া গাড়িটা ওরা চার জন ঠিক দেখতে পেয়েছে। ভয় ও আতঙ্কে জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে ওরা।
সিমি অস্থির হয়ে বলে,
-“দাদু কী হচ্ছে এটা….।”
আলতাফ চৌধুরী কিছু বলতে নিলেই গাড়ি থেমে যায় । তখনি গাড়ির মধ্যে পারফিউম জাতীয় গন্ধ ওদের নামে লাগে। মাথা ঝিম মেরে ওঠে ওদের। তারপরই ওরা অজ্ঞান হয়ে যায়।
.
রুদ্রের কাছে ফোন আসে গাড়ি এখনো সেভ হাউসে পৌঁছায় নি। পুলিশ অফিসার এটাও বলে তাদের দুটি গাড়ি নাকি ব্লাস্ট হয়েছে। কিন্তু রিমিদের মাইক্রোটি পাওয়া যায়নি। প্রত্যুত্তরে রুদ্র কিছু বলে না। ফোন কেঁটে দেয়। বলা যায় ওর আর অভ্রের চিন্তা ভঙ্গি পাল্টে যায়।
____________________________
আশপাশ থেকে ঝিঁঝিঁ পোকার আওয়াজ আসছে। দূরে কোথাও কুকুরদের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে। ঈষৎ কেঁপে ওঠে রিমি,সিমি,নিধি ও ইশার। কিছুক্ষণ আগেই জ্ঞান ফিরে নিজেদের হাত-পা চেয়ারের সাথে বাঁধা অবস্থায় পাশাপাশি বসে থাকতে দেখে ওরা। রুমটা দেখে মনে হচ্ছে এটা অনেকটা পুরাতন পরিত্যক্ত বিল্ডিং। একটি ছোট বাল্ব জ্বলছে। চার দিকটা কেমন ভূতড়ে পরিবেশ। গা ছমছম করার মতো পরিবারটা নিরবতায় ছেঁয়ে আছে। কেউ কারো সাথে কথা বলতে পারছে না। কারণ ওদের মুখ বাঁধা ছিল।
কিছুক্ষণ পরই জুতার খটখট শব্দ আসছে লাগলো রুমের বাহির থেকে । মনে হচ্ছে কেউ হেঁটে আসছে ওদের রুমের দিকে। অনেকটা কাছে চলে এসেছে সে। ঘরে প্রবেশ করতেই স্বচ্ছ আলোতে তার মুখটা স্পষ্ট। রিমি,সিমি,নিধি ও ইশা বাকরুদ্ধ। ওদের শ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসছে। নিঃশ্বাস নিতেও যেন কষ্ট হচ্ছে।
ওদের কিছুতেই বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে না তিনিই ওদের কিডন্যাপ করিয়েছে। যেই মানুষটিকে ওরা নিজেদের আদর্শ মানতো,যাকে মন থেকে শ্রদ্ধা করতো তার এমন নিকৃষ্ট রূপ সহ্য-সীমার বাহিরে৷ বিপদে আপদে সব সময় আসা ভরসা দিতো আজ সেই কিনা…..। আর কিছু ভাবতে পারছে না ওরা। কেন করছেন তিনি এমন? কী স্বার্থ আছে তার? তাহলে কী এসব কিছুর পিছনে তারি হাত ছিল? ওদের কাছে এটা দুঃস্বপ্ন বলে মনে হচ্ছে। হওয়াটাই স্বাভাবিক । যাকে আদর্শ মানতো তার নিকৃষ্ট রূপ আজ ওদের সামনে স্পষ্ট! আগের সেসব কি তাহলে অভিনয় ছিল? এত মায়া,মমতা,ভালোবাসা সব অভিনয় ছিল? মানুষ এতোটা নিখুঁত অভিনয় কী করে করতে পারে? ওরা বুঝতেই পারছে না তাকে চিনতে কষ্ট হচ্ছে? নাকি বিশ্বাস করতে?
তার ঠোঁটে হাসি৷ যাকে বলে কুৎসিত হাসি৷
অন্য একজন লোককে পারমিশন দেয় ওদের মুখের বাঁধন খুলে দিতে। রিমির মুখের বাঁধন আগে খুলে দিতেই কান্না জড়িত কন্ঠে কাঁপা কাঁপা স্বরে বলল,
-“দাদু!”
.
.
.
.
.
.
.
Continued To……..