You are mine part-20 and last part

0
1101

#You_are_mine
#Poly_Anan
#part_20(শেষ পর্ব)

বিছানায় হাত পা গুটিয়ে বসে আছে ঈশা।সেই দিনের পর থেকে মনের ভেতর ভয় যেন ঝেকে বসেছে।চোখ বন্ধ করলেই ভেসে উঠছে লিপির আর লিমনের মুখ।লিপির শেষ পরিনতি নিয়ে কেউ প্রস্তুত ছিল না।হুট করেই একটা জলজ্যান্ত মানুষের মৃত্যু সবারি মেনে নিতে কষ্ট হবে।লিপির মৃত্যুর কেটে গেছে ১৬ দিন।লিমন আর ইমনকে জেলে রাখা হয়েছে।দুই দিন আগেই দেশ ছেড়ে চলে গেছে লিজা আর তার বাবা।শত খারাপ, অপরাধী হলেও মা নামক ব্যাক্তিটিকে ভুলা যায় না।মনের এককোনে পড়ে থাকে তাকে ভালোবাসার অনুভূতি গুলো। আমজাদের এই এক জীবনে বেচেঁ থাকার মতো লিজা ছাড়া আর কেউ নেই।মাহমুদা আর আবিদের অবস্থাও করুন। হুট করেই সবার জীবনের উপর দিয়ে একটি ঝড় বয়ে গেলো।সেই ঝড়ের ক্ষয় ক্ষতি ঠিক কবে সেরে উঠবে তা কারোরি যানা নেই।

“ঈশু…!
ঈশার সামনে দাঁড়িয়ে ঈশান।
” হুহহহ(ভয় পেয়ে)
” মন থেকে এখনো ভয় কাটেনি তোমার?
” তোমায় বলেছিনা হুট হাট আমায় ডাকবেনা।আমার ভয় করে। (রেগে)

সেই দিন ঈশার মাথায় আঘাত পেলে দ্রুত ঈশান হসপিটালে নিয়ে যায়।ডাক্তার যানায় অতিরিক্ত ভয়ে সে সেন্সলেস হয়ে যায়।তবে কপালের দিক টায় বেশ খানিকটা কেটে যায়। যার ক্ষত এখনো ঠিক মতো সেরে উঠেনি।

“ঈশু আমি যানি তুমি ভয় পাও দেখো আমার মা বাবা কে কিন্তু স্বাভাবিক জিবনে ফিরিয়ে আনতে তোমার বিশেষ গরুত্ব আছে।তুমি সবাইকে নিয়ে হাসবে, আনন্দ করবে৷ পুরো বাড়িটাকে আগের মতো করবে কিন্তু তুমি কি করছো এক রুমে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকো।যে যাওয়ার সে চলে গেছে। আর উনি যে অন্যায় করেছে তার শাস্তি তিনি পেয়েছেন তাহলে আমরা ভেঙ্গে পড়ে কি লাভ বলো।
ঈশা ঈশানের বুকে মাথা রেখে কাদতে শুরু করে।
” আয়ায়া আমি যানি না আমার কেন এমন লাগছে আমার খুব একা লাগছে, চারিদিকের পরিবেশটা দম বন্ধ হয়ে আসছে।আমি কি করবো কি করলে এইসব ভুলে থাকবো আমার মাথায় আসছেনা।(কেদেঁ)
ঈশান ঈশার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে এতো দিন সে ঈশার চোখে পানি সহ্য করতে না পারলেও আজ খুব করে চাইছে ঈশা কাদুক।কেদেঁ কেদেঁ মনের সব কষ্ট ধুয়ে দিক মনটাকে হালকা করুক।
এদিকে ঈশানের শাট ভিজে গায়ের সাথে লেপ্টে গেছে। ঈশানের মাথাটা উপরে তুলে বলে,
“ঈশু যাবে?
” ক..ক..কোথায়(নাক টেনে)
“আমার বাবু সোনার নানাভাইয়ের বাড়ি।
ঈশা ফ্যাল ফ্যাল করে ঈশানের দিকে তাকিয়ে আছে। কি বলছে ঈশান। এতো জটিল কথা ঈশার মাথায় ডুকছেনা।
” কোথায় সেটা?
“কেন আগে তুমি যেখানে ছিলে(ভ্রু নাচিয়ে)
” কোথায় ছিলাম আমি🙄.
” এমনি এমনিতে আমি তোমায় বোকা বলি না।তোমার বাবু সোনা মানে আমারদের ছানাপোনা আর তাদের নানার বাড়ি মানে তোমার বাবার বাড়ি!(ঈশার নাট টেনে)
“ওও।আচ্ছা বাবা যদি মেনে না নেয় আমাকে যদি রাগের মাথায় তেজ্যা করে তখন। সেই ভয়ে আমি বাবার বাড়ি যাই না(মন খারাপ করে)

” হাসিনের সাথে কথা বলে যানতে পারি শশুর মশাই এখনো দেশের বাইরে আছে তাই তোমার কাছে সুযোগ আছে একবার নিজের বাড়ি থেকে ঘুরে আসার। এই সুযোগ কাজে লাগাও ঈশু।

“ছানার আব্বু তুমি তো ঠিক বলেছো কালকেই যাবো তবে(ঈশানের গাল টেনে)
” ওকে আমার সুইটি বউটা তাহলে কাল সকালেই তার বাবার বাড়ি যাবে। তাহলে এখন চুপচাপ আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ো।

ঈশা ঈশানের বুকে মাথা রেখে শুয়ে পরে।

সকালে ঘুম ঘুম চোখে বিছানা থেকে উঠে যায় ঈশা।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সবে মাত্র সকাল সাতটা বাজে। ঈশান তার পাশে নেই।তবে ঈশান কোথায়।নিচ থেকে এতো হাসির শব্দ আসছে কেন।

চোখ চুলকাতে চুলকাতে রুম থেকে বের হয় ঈশা।কিন্তু নিচের দিকে তাকিয়ে যা দেখে তার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না।ঈশানকে ঈশার বাবা জড়িয়ে ধরে দাড়িয়ে আছে৷ পাশে তার ফুফি হাসিন ভাইয়া।ছুটে সিড়ি দিয়ে নেমে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কেদেঁ দেয় ঈশা।

“ব্বাব্ববাবা আমাকে মাফ করে দাও তোমাকে ছেড়ে এতো দিন থাকতে আমার খুব কষ্ট হয়েছে তার থেকেও বেশি কষ্ট হয়েছে তুমি আমার সাথে একবারো যোগাযোগ করো নি।আমার উপর কি করে এতোদিন অভীমান জমে থাকলো তোমার।

হুট করে ঈশার কান্না দেখে চোখে পানি চলে আসে ঈশার বাবা মুজাহিদের। শত রাগ অভীমান থাকলেও মেয়ের মায়া মাখা মুখটার দিকে তাকালে তিনি পৃথিবী ভুলে যান।
” উফফ তোমাদের কান্নার সিন শেষ হবে কখন এইসব কান্না আমার একদম ভালো লাগেনা। সবাই যখন এক হয়েছি এবার প্রাণ ভরে হাসবো(ঈশার চোখের পানি মুছে ঈশান)

মুজাহিদ খান ঈশা আর ঈশানকে দুই হাতে জড়িয়ে নেন।
“এবার আমার জীবনের একধাপ পরিপূর্ন। আমার মেয়ে জামাইকে একসাথে দেখে আমার আনন্দে মন ভরে গেছে।
” উহহ আগে মেনে নিলে কি হতো বিয়ের প্রথম প্রথম তো ভালোই নাটক দেখিয়েছেন শশুর মশাই।এখন আসছেন আনন্দের কথা বলতে। মেয়েটা যেমন ড্রামা কুইন!তার বাপ তেমন ড্রামা বাজ😏(বুখ বাকিয়ে মনে মনে কথাটি বলে ঈশান)

মুজাহিদ আবিদ আর মাহমুদার দিকে তাকিয়ে বলে,
“দেখুন ভাই ভাবী আপনাদের দুঃখের দিনে আমি আপনার পাশে দাড়াতে পারিনি। আমি তখন দেশের বাইরে ছিলাম।কিন্তু এখন যখন এসেই গেছি আমি আর আপনাদের মন মরা হয়ে দেখতে পারবো না। আপনারা সবাই মিলে আমাদের বাড়ি চলুন যত দিন ইচ্ছে থাকবেন কোন বাধাঁ নেই।আমার মেয়েটাকে ছাড়া বাড়িটা যে খা খা করছে(ঈশার কপালে চুমু দিয়ে)

” না না তা কি করে হয়। আপনারা বরং মেয়ে জামাইকে নিয়ে যান।
“না তা আমি মানতে পারবো না সবাই মিলে হইহুল্লোড় করার জন্য অতীতের দুঃখ একমূহুর্তের জন্য ভুলতে আপনারা প্লিজ আমাদের সাথে চলুন।
মাহমুদা আবিদের দিকে একবার তাকায় দুজনের সংশয় দেখে ঈশার ফুফু বলে,
” আপনারা না করবেন না প্লিজ। ভাইজান এয়ারপোর্টে থেকে সোজা আপনাদের বাড়িতে এসেছে শুধু আপনাদের সাথে নিয়ে যেতে আপনারা না গেলে কেমন দেখায়।

ঈশাও আবিদ আর মাহমুদাকে রিকোয়েস্ট করতে থাকে। সবার রিকোয়েস্ট মেনে নিতে তারা অবশেষে যেতে রাজি হয়।

ঈশা দৌড়ে চলে যায় প্যাকিং করতে। ঈশান ঈশার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,
“বাহ বাহ এখনি আমায় ভুলে গেছে ওই বাড়িতে গেলে তো মনে হয় পাত্তাও দেবে না।☹️(মুখ গোমড়া করে মনে মনে)

রাতের ডিনার সেরে বসার ঘরে আবারো আড্ডায় মেতে উঠেছে সবাই।হাসিনের বাবার একের পর এক রসিকতায় হেসে কুটি কুটি হয়ে যাচ্ছে সবাই।কিন্তু হাসি নেই ঈশানের মুখে। বিকাল থেকে ঈশান তাকে আড়ালে ইশারায় মেসেজে, কলে ডাকছে কিন্তু ঈশার কোন পাত্তা নেই সে তার মতো করে পরে আছে।

অনেক্ষণ থেকে ঈশান ঈশাকে ইশারায় ডাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু ঈশানের দিকে তাকিয়ে বুঝেও না বুঝার ভাব করে আছে। তাদেখে ঈশার মেজাজ আরো বিগড়ে যায়।আর ঈশানকে রাগাতে পেরে ঈশা বেশ খুশি।

শেষে উপায় না পেয়ে বড় বড় পা ফেলে উপরে চলে যায়।ঈশা ভাবে উপরে হয়তো রুমে যাবে কিন্তু ঈশান ছাদের সিড়ির দিকে হাটা শুরু করে।

কিছুক্ষন পর আসর ছেড়ে ঈশাও ছাদের দিকে রওয়না হয়।কিন্তু ছাদে ঈশানের পাত্তা নেই।দরজা পেরিয়ে কিছু দূর এগিয়ে এলে হুট করে কেউ তাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে।ঈশা চিৎকার দিতে নিলেই ঈশান তার মুখ চেপে ধরে।

“কতক্ষন থেকে ডাকছি তোমায় কথা কি কানে যায় না।আমাকে কি ভাবো তুমি!আমাকে রাগিয়ে দিলে মনের মাঝে কি আনন্দ বেশি পাও।ঈশা খবরদার সাবধান করে দিচ্ছি আর কখনো যেন এই বিহেভ না দেখি তোমার।(রেগে)
” সরি!
ঈশান ঈশার পাশ থেকে সরে আসে।
“কি জন্য ডেকেছেন আমায়।
ঈশান হুট করেই ঈশাকে কোলে তুলে নেয়।ঈশানের হুট হাট আচরনে কিছুটা অবাক হয়ে যায় ঈশা.
” আরে কি করছেন কি আমায় কোলে তুলে নিলেন কেন?
“আজকে পূর্ণিমা ঈশা(মুচকি হেসে)
” তো?
“মনে আছে একদিন পূর্ণিমা রাতে ছাদে এইভাবে জোর করে তোমাকে চন্দ্রবিলাস করতে এনেছিলাম।সেদিন বুঝিয়ে ছিলাম আমার ভালোবাসার কথা আর আজ আমরা একে অপরের ভালোবাসায় আসক্ত।

ঈশা আকাশে দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে,
” হুম তা ঠিক।চলুন এক কোনায় বসে পরি।
ঈশান ঈশাকে নিয়ে এক কোনায় বসিয়ে দেয়।ঈশানের ঘাড়ের উপর মাথা রেখে ঈশা ঈশান কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে চাঁদের দিকে।আজ পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে হয়তো ঈশা ঈশানের ভালোবাসার মতো হাজারটা ভালোবাসার সাক্ষি এই চাঁদ।
“ঈশান..!
” হুম..!
“আমি যদি তোমায় ছেড়ে বহুদুর চলে যেতাম সেদিন, তবে আমায় কি করে খুজে পেতে।আমি তোমায় অবিশ্বাস করেছি ভাবতেই আমার নিজের প্রতি নিজের ঘৃণা হচ্ছে। পরে অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পেরে ফিরে আসতে চেয়েছি কিন্তু..!

” ওই দিনের বিষয়টা নিয়ে আমার তোমার প্রতি কোন রাগ ক্ষোভ নেই।সেদিন যদি কেউ এসে তোমার আর অন্যকারো ছবি দেখাতো তবে আমি নিজেও রেগে বোম হয়ে যেতাম কিন্তু তোমার মতো বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতাম না।অবশ্য তুমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আমাদের উপকার করেছো!

“ঈশান আমি যদি আবার হারিয়ে যাই তখন কি করবে(ভ্রু কুচকে)
” হারাতে দিলে তো হারবে।এই ঈশান শাহরিয়ারের অদৃশ্য দেয়াল তোমায় ঘিরে আছে আছে। তুমি কখনো পারবেনা আমায় ছেড়ে যেতে এই ঈশান তোমাকে ছাড়া অচল। জিবনের প্রতিটি ধাপে ঈশান শাহরিয়ারের তোমায় প্রয়োজন। যেখানে যাওনা কেন তুমি শুধু ঈশান শাহরিয়ারের।You are mine ishu,Because i love you(ঈশার কপালে চুমু দিয়ে)
“আমি তো তোমায় কখনো ছেড়ে যাবো না ঈশান।আমায় সারাজীবন তোমার ভালোবাসার অদৃশ্য জালে বন্ধী করে রেখো।(ঈশানকে জড়িয়ে)

ঈশান আর ঈশার মাঝে আরো কিছুক্ষন কথা হয়। হুট করেই ঈশানের রাসেলের কথা মনে পরে ঈশার সম্মতি নিয়ে রাসেলকে ফোন করে ঈশান।
” হ্যালো রাসেল কই তুই ভাই..?

“আর বলিস না রাতের বারোটা বাজে এই মেয়ের এখন ইচ্ছে হয়েছে ফুসকা খাবে তাই ফুসকা তৈরি করতে আমাকে রান্না ঘরে ধাক্কা দিয়ে ডুকিয়ে দিয়েছে। তুই বল ভাই আমি জিবনে এইসব করেছি?

রাসেলের কথা শুনে ঠোট খিচে হাসে ঈশা আর ঈশান।
” আরে বউয়ের আবদার পূরন কর।দেখবি বেশি বেশি ভালোবাসবে।

“তোর ভালোবাসা তুই বাস। আমার কপালে কোন ভালোবাসা নাই। বিয়ের আগে বলেছিস এই মেয়ে সরল সোজা কিন্তু একটা বজ্জাতের হাড্ডি। একে বিয়ে না করলে আমি বুঝতামি না সরল সোজা মেয়েরা এতো জংলী।

” আমার বউটা সবচে ভদ্ররে ভাই। আমার পাশে চুপ চাপ বসে আছে।
“হ্যা কপাল করে এই বউ পেয়েছিস তুই আর আমার টা থাক আর নাই বা বললাম।

” উহু কপাল করে পেয়েছি😏।এই বউ পেতে আমাকে কি কম জ্বালা সহ্য করতে হয়েছে।এক কথায় নিজের মাথা ফাটিয়ে এই বউ পেয়েছি।

“ও হ্যা ঠিক তোর বিয়ের আগে তো ভাবী তোর মাথা ফাটিয়ে ছিল।আর আমার টা তো আমার দিন কাল জাহান্নাম বানিয়ে ছাড়ছে।

ঈশান ঈশা দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে হেসে ঈশান বলে,
” ভাই আজ তোর কপালে দুঃখ আছে!
“কেন কি হইছে।
” এতোক্ষন তোর কথা গুলো সব কল রেকড হচ্ছিলো তা এবার নিশির কাছে যাবে সো গুড বাই মাই ডিয়ার ফ্রেন্ড।
“ভাই ভাই জান আমার আমার সুখের কপালটাকে আর পুড়াইস না। আমি মাফ চাই ভাই ওই ডাইনিকে কল রেকর্ড দিস না।

ঈশান খট করে ফোন কেটে দিয়ে হাসতে থাকে।
হাসতে থাকে ঈশাও।ঈশার দিকে ঈশান বলে,
” আমি আজীবন তোমার এই হাসি দেখে যেতে চাই…!

কেটে গেছে আরো তিন মাস। এখন সবার জীবন চলা স্বাভাবিক আগের মতোই।
ঈশা আর ঈশান দুজনে আজ ঘুরতে বাইরে বেরিয়েছে সেই লেকের ধারে।লেকের দিকে তাকিয়ে ঈশা ভাবতে থাকে অতীতের এক চিলতে সুখের কথা যখন ঈশা নিশি তাহা লিমন মিলে এই লেকের ধারে ফুসকার আসর জমাতো।
“ঈশু তুমি বসো আমি ফুসকার অর্ডার করে আসছি।
” হুম যাও।

কিছুক্ষন পর একটি বখাটে ছেলে এসে ঈশার দিকে বিভিন্ন বাজে কথা বলতে থাকে। ঈশা বিষয়টি বুঝতে পেরে সরে আসতে নেয় তখনি ছেলেটি ঈশার হাত চেপে ধরতে হাত বাড়ায় কিন্তু তার আগেই ছেলেটির হাত ধরে নেয় ঈশান।পেছন থেকে ছেলেটির হাত মচকে ধরে ঈশান।ছেলেটির নাকের মধ্যে একটি পাঞ্চ দিয়ে ঈশাকে নিজের বুকের সাথে আগলে বলে,

“ঈশানের কলিজায় হাত দিয়েছিস তুই বেচে থাকবি কিনা আমার জানা নেই।
ঈশা শুধু ঈশানে।এই ঈশান শাহরিয়ার ছাড়া যে তাকে ছোয়াঁর চেষ্টা করবে তার পরিনতি হবে ভয়াবহ।

__________সমাপ্ত_________