you are only mine Part-01

0
9390

#you_are_only_mine
#Maishara_Jahan
Part………….1

মুন তাড়াহুড়ো করে ক্লাসে যাচ্ছিলো। সিরি দিয়ে উপরে উঠার সময় আরাবের সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়। আরাব পড়তে নেয় কিন্তু সে নিজেকে সামলে নেয়।

মুন,,,,,,,,, সরি সরি আসলে ক্লাসের জন্য লেইট হয়ে যাচ্ছিলাম তাই তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে দেখতে পারিনি। (বই খাতা তুলতে তুলতে)

আরাব,,,,,,,,,, ইস্টুপিট এখনি পড়ে যেতাম৷ (খানিকটা রাগে)

মুন উঠে দাঁড়ায়, আরাবের দিকে তাকায়।

মুন,,,,,,,, ওও আপনি, তাই তো বলি ভার্সিটিতে এতো অভদ্র ছেলে কোথা থেকে আসলো।

আরাব,,,,,,,,, hey you (মুনের দিকে আঙুল বাড়িয়ে)

মুন আরাবের আঙুল ধরে নিচে নামিয়ে দিয়ে বলে,

মুন,,,,,,,, আমি না হয় তাড়াহুড়োই ছিলাম কিন্তু আপনি কি আপনার চোখ দুটো পিছনে নিয়ে হাঁটছিলেন। নাকি সুন্দরী মেয়ে দেখলে ধাক্কা খেতে ইচ্ছে করে।

আরাব,,,,,,,, কোথায় সুন্দরী মেয়ে, আমি তো এখানে কোনো সুন্দরী মেয়ে দেখছি না। অবশ্য বান্দরনী একটা দেখতে পারছি।

মুন তার পা দিয়ে আরাবের পায়ে জোরে পাড়া দিয়ে আবার সরিয়ে নেয়। আরাবের পায়ে সু জুতো পড়া ছিলো তাই বেশি লাগেনি। আরাব রাগে তার এক হাত জোরে দেওয়ালে রাখে, মুন ভয়ে দেওয়ালের সাথে মিশে যায়।

আরাব,,,,,,,,,, এখানে সবাই আমাকে বাঘের মতো ভয় পায়। তাহলে তোমার এতো সাহস কোথা থেকে হয়।

মুন,,,,,,,,,(মনে জোর করে সাহস এনে) অন্য সবাই ইঁদুর দেখে ভয় পেলেও আমি পায় না। সরেন আমার সময় নেয়।

আরাবের হাত সরিয়ে তাড়াতাড়ি চলে যায় মুন।

আরাব,,,,,,,,,,, তোমাকে তো আমি (রাগে)

রিমান,,,,,,,,,,, ভাই ও চলে গেছে (পিছন থেকে এসে)

ফারহান,,,,,,,, তোরা দুজন এতো ঝগড়া করিস কেনো এটাই বুঝি না।

রিমান,,,,,,,,,,, একদম জামাই বউ এর মতো তাই না। তোদের ঝগড়া দেখে প্রেমিক প্রেমিকা ও বলা যায় না।

আরাব,,,,,,,,,, রিমান সবসময় ফালতু কথা কেনো বলিস৷ তোরা কখন এলি।

ফারহান,,,,,,,,, যখন তোরা ইঁদুর বিড়ালের ঝগড়া করছিলি তখন অনেকের মতো আমরাও দেখছিলাম।

আরাব,,,,,,,,,,,শুধু বাবার বন্ধুর মেয়ে বলে কিছু বলি না।

রিমান,,,,,,,,, আচ্ছা (মুখ বেঁকিয়ে) মা বলে যারা ঝগড়া করে বেশি তাদের মধ্যে ভালোবাসা থাকে বেশি।

আরাব,,,,,,,, ভালো আর ওকে,, আর ইউ ক্রেজি। চল চল।

আরাব, ফারহান আর রিমান ভার্সিটির সামনে বাগানে বাইকের উপরে বসে আড্ডা দিচ্ছে।

ফারহান,,,,,,,,,,, আর কিছু দিন পড়েই আমাদের ভার্সিটি লাইফটা শেষ হয়ে যাবে। এটাই আমাদের শেষ ইয়ার।

আরাব,,,,,,,,,, সময় কতো তাড়াতাড়ি চলে যায়।

রিমান,,,,,,,,, সালার ভার্সিটির লাইফ ও শেষ হয়ে যাচ্ছে, এখন পর্যন্ত সিঙ্গেলই আছি। তোদের কি আমার উপর মায়া হয় না।

ফারহান,,,,,,,,,, না।

রিমান,,,,,,,,,, দেখ ফারহান মুখের উপর বেজ্জতি করবি না।

আরাব,,,,,,,,,, এখানে অনেক মেয়ে তোর পিছনে পাগল, একটা করে নে।

রিমান,,,,,,,,,, এদের দেখলে প্রেম করতে ইচ্ছে হয় না। এরা সবাই মেকাপ সুন্দরী। আমার এমন মেয়ে চাই যে, মেকাপ দিয়ে তার মুখের মায়া লুকিয়ে রাখবে না। যে তাকালে মনের মাঝে কিছু কিছু হবে।

ফারহান,,,,,,,,,, শুরু হয়ে গেছে ওর ফিল্মি ডাইলক।

মাহুয়া,,,,,,,,,,, এক্সকিউজ মি, এখানে রিমান কে।

রিমান মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে, তার থেকে চোখ সরাচ্ছে না। রিমান বাইক থেকে নেমে মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।

আরাব রিমানের কানের কাছে গিয়ে বলে।

আরাব,,,,,,,, শুধু মেয়ের চেহেরা না, পোশাকও দেখ।

রিমান আরাবের কথা শুনে মাহুয়াকে পা থেকে উপর পর্যন্ত দেখে।

মাহুয়া ছেলেদের মতো পোশাক পড়ে রেখেছে। জিন্সের প্যান্ট, সাদা শার্ট, একপাশে ইন করা অন্য পাশটা ইন ছাড়া, সাথে আবার একটা জেকেট ও পড়েছে, ঠোঁটে শুধু হালকা লিপস্টিক। রিমান একটা কাশি দিয়ে বলে,,

রিমান,,,,,,,,,, কেনো রিমানকে দিয়ে কি করবেন।

মাহুয়া,,,,,,,, সেটা আমার ব্যাপার এখানে কে রিমান শুধু এটা বলুন। (শক্ত গলায়)

রিমান,,,,,,,,,, আমার নাম রিমান, বলুন কি বলবেন। (একটু ভদ্র সাজার চেষ্টা করে)

মাহুয়া,,,,,,,,,, আপনার মোবাইল নাম্বারটা লাগবে। দেওয়া যাবে।

আরাব,,,,,,,,, ভার্সিটিতে নতুন নাকি।

মাহুয়া,,,,,,,,,, হুমম।

ফারহান,,,,,,,,,,, প্রথম দিন এসেই সোজা মোবাইল নাম্বার।

রিমান,,,,,,,,, তোর ভাই দেখতেই এতো হেন্সাম (একটা ভাব নিয়ে)

মাহুয়া,,,,,,,,,, এটা আপনার ভুল ধারনা,,, আজকে আমি ভার্সিটিতে নতুন তাই সিনিয়ররা আমাকে রেগিং করছে। একটা মেয়ে বলেছে আপনার নাম্বার নিয়ে আসতে৷ আজ প্রথম দিন তাই কোনো জামেলা চাই না।

ফারহান,,,,,,,,,,, কে রেগেং করছে একটু দেখাও তো, তাদের এখনি খবর নিচ্ছি।

রিমান,,,,,,,, আরে দাঁড়া না। ঠিক আছে আমার নাম্বার দিবো কিন্তু একটা শর্তে।

মাহুয়া ব্রু কুঁচকে বলে,

,,,,,,,, কি শর্ত

রিমান,,,,,,,,,,,, আমাকে একটা বারের জন্য তোমাকে ফোন করতে হবে।

মাহুয়া কিছু একটা ভেবে বলে,,

,,,,,,,, ঠিক আছে করবো, নাম্বারটা দিন।

রিমান একটা পেন বের করে মাহুয়ার হাতে লিখতে থাকে। লিখা শেষ হলে মাহুয়া তাড়াতাড়ি নিজের হাত ছুটিয়ে নেয়। মাহুয়া গিয়ে ওদের এই নাম্বারটা দেখায়। কিছু কিছু মেয়ে নাম্বারটা সেভ করে ফেলে।

রিনা,,,,,,,,,, এতো সহজে তোমাকে নাম্বারটা দিয়ে দিলো।

সপন,,,,,,,,, এতো সহজে তোমাকে নাম্বারটা দিয়ে দিবে জানলে কখনো এটা করতে বলতাম না ডাইরেক্ট প্রপোজ করতে বলতাম।

রিমান সেখানে যেতেই সাবাই দাঁড়িয়ে পড়ে।

রিমান,,,,,,,,,, সো আমার শর্ত।

মাহুয়া রিনার হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে রিমানকে একটা কল দিয়ে আবার রিনাকে দিয়ে দেয়।

রিমান,,,,,,,,,, এটা কি হলো।

মাহুয়া,,,,,,,,, আপনি বলেছেন আপনাকে একটা ফোন দিতে, কার মোবাইল থেকে দিবো সেটা বলেননি।

বলে চলে যেতে থাকে।

রিমান,,,,,,,, হুমম স্মার্ট। সো সপন, তোদের না করেছিলাম না কোনো রেগিং না করতে। কথা কি কানে যায় নি, নাকি (সপনের কাঁধে হাত রেখে)

আরাব,,,,,,,,,,, মনে হয় একে অন্য ভাষায় বুঝাতে হবে।

সপন,,,,,,,,,,, না না, সরি সরি আর করবো না।

রিমান,,,,,,,,, যাই হোক আজকে একটা ভালো কাজ করেছিস। এবার শুন ঐ মেয়েটার নাম্বার আমাকে এনে, না হলে শাস্তি ডাবল হয়ে যাবে। মনে কর আমি তোর রেগিং করছি। যা,,আর হ্যাঁ ওকে বলবি না যে,নাম্বারটা আমি চেয়েছি।

সপন দৌড়ে মাহুয়ার সামনে যায়, মাহুয়া একটু চমকে যায়।

মাহুয়া,,,,,,,,,,, আবার কি হয়েছে।

সপন,,,,,,,,, তোমার নাম্বারটা দাওতো।

,,,,,,,, এমন ভাবে চাইছেন যেনো নিজের সম্পত্তি। চুপচাপ সরে যান।

,,,,,,,,,, নিজের নাম্বার না দিয়ে যেতে পারবে না। নিজের নাম্বারটা দিয়ে যান।

,,,,,,,,, কেনো নিজের কপালে শনি ডেকে আনছেন। সরেন আমাকে যেতে দিন।

মাহুয়া যেতে নেয়, সপন পিছন থেকে মাহুয়ার জেকেটে ধরে।

,,,,,,,,, চুপচাপ নিজের নাম্বারটা দিয়ে যাও।

রিমান সপনকে থামানোর জন্য যায়। তার আগেই মাহুয়া সপনের হাত ধরে চিত করে ফেলে দেয়। সবার মতো রিমানও অভাক হয়ে তাকিয়ে আছে। সপন উঠে দাঁড়ায়।

সপন,,,,,,,,, এতো বড় সাহস আমার গায়ে হাত উঠানো।

বলে সপন মাহুয়াকে মারতে যায়, মাহুয়া দুটো ঘুষি আর একটা লাথি দিয়ে চরম বেজ্জুতির সাথে সপনকে নিচে ফেলে দেয়।

সপন,,,,,,,,,,তোকে আমি ছাড়বো না,

বলে সপন আবার উঠে মারতে যেতে নেয়,রিমান ধরে ফেলে।

রিমান,,,,,,,,, বেস অনেক হয়েছে,, ওর হাত নরম তাই ঘুষি খাওয়ার পরেও উঠে দাঁড়িয়ে আছিস,কিন্তু আমার হাত অনেক শক্ত। একটা খেলে আর উঠে দাঁড়ানোর শক্তি পাবি না। সো এখন থেকে এখন চলে যা, আর ওর দিকে চোখ উঠিয়ে দেখার সাহস করবি না। গো।

সপন রিমানের কথা শুনে চলে যায়। মাহুয়া রিমানের কাছে আসে।

মাহুয়া,,,,,,,,, ওকে কি বললে যে, ও চুপচাপ চলে গেলো।

রিমান,,,,,,, বল্লাম মারামারি করা ভালো না। তা তোমার নামটা কি জেনো বলেছিলে।

,,,,,,, আমি তো আমার নাম বলিই নি।

,,,,,,,, তো এখন বলে দাও।

মাহুয়ার ফোন বেঝে উঠে, মাহুয়া ফোন রিসিভ করে।

,,,,,,,,,হ্যালো বাবাই হ্যাঁ বলো।

,,,,,,,, ঠিক মতো পৌঁছেছিস তো,, কোনো জামেলা করিস নি তো আবার।

,,,,,,, বাবাই কি যে বলো না, আমি আবার কি জামেলা করবো।

,,,,,,,,, না, প্রথম দিন তো, তাই ছেলেমেয়েরা রেগিং করে, তুই আবার ওদের সাথে ঝামেলা বাঁধিয়ে মারামারি করিসনি তো আবার।

,,,,,,,, বাবাই আমি শুধু মারামারি করি নাকি। তুমিও না আমাকে শুধু সন্দেহ করো।

,,,,,,,,,,, কি করবো বল, তুই যেমন করিস তেমনি ভাবি।

,,,,,,,আচ্ছা রাখো, আমি আজ শুধু কয়েকটা ক্লাস করে চলে আসবো।

রিমান,,,,,,,,, তোমার নামটা বললে না।

মাহুয়া,,,,,,,, আমার এখন সময় নেয়, নিজে নিজে যেনে নিন। ওকে বাই।

বলে চলে যায়।

রিমান,,,,,,,,, মায়াবিনী। (মুশকি মুশকি হেঁসে)

আরাব,,,,,,,,, কোথা থেকে একে তোর মায়াবিনী লাগে।

রিমান,,,,,,,,, তোরা দেখতে পারবি না।

ফারহান,,,,,,, আর কোনো মেয়ে পেলি না, ওর কথা শুনে লাগলো, ওর বাবা বলছিলো যাতে কোনো মারামারি না করে। তার মানে এটা ওর প্রতিদিনের কাজ। ভেবে নে।

রিমান,,,,,,,, আমরা মনে হয় দুধে দোয়া তুলসি পাতা,, আমরা মনে হয় মারামারি করি না। শুধু শুধু সবাইতো আর আমাদের ভয় পায় না।

আরাব,,,,,,,,,,, বুঝেছি, তোর মনে কিছু কিছু হয়ে গেছে৷

ফারহান,,,,,,,,, কিছু না অনেক কিছু।

কিছু ক্ষন পরে ভার্সিটি ছুটি হয়ে যায়। রিমান শত খুঁজেও মাহুয়াকে পায় না।

ফারহান গাড়ি আনতে যাওয়ার সময় দেখে রিমি একটা ছেলের সাথে হেঁসে হেঁসে কথা বলছে। একটা খাতাও দিয়েছে। ফারহান আসতে আসতে ছেলেটি চলে যায়। রিমি ফারহানকে দেখে ভয়ে উল্টো দিকে হাঁটা শুরু করে।

ফারহান,,,,,,,, আর এক পা ও সরলে তোর জন্য খুব একটা ভালো হবে না।

রিমি সেখানেই পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে আছে। ফারহান রিমির সামনে যায়৷

,,,,,,,,,,, ছেলেটা কে ছিলো (রিমির দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে)

,,,,,,,,,,, কোথায় কোন ছেলে।

,,,,,,,,,,, অভিনয় করার কোনো দরকার নেয়, চুপচাপ উত্তর দে, কে ছিলো।

,,,,,,,,,,(রাক্ষসটা দেখে ফেলেছে)

,,,,,,,,, হুমম দেখে ফেলেছি৷

রিমি ডেব ডেব করে তাকিয়ে আছে।

,,,,,,,,,,,,, বল কে ছিলো (ধমক দিয়ে) আর হ্যাঁ মিথ্যা বলার চেষ্টা করবি না।

,,,,,,,,,,,, ও আমার ক্লাসমেট।

,,,,,,,,,,, হ্যাঁ তো।

,,,,,,,,, ও নতুন এসেছে তাই আমার কাছ থেকে নোট নিচ্ছিলো।

,,,,,,,,, নতুন এসেছে ভালো কথা,,তো এতো হেঁসে কথা বলার কি দরকার। আমার সাথে তো এতো হেঁসে কোনো দিন কথা বলতে দেখিনি।

,,,,,,,,(হুহহ সবসময় রাগী ভাবে থাকে, আবার হেঁসে কথা বলবো, হেঁসে কথা বলার জন্য আগে নিজেকে হাসতে হয়)

,,,,,,,,,,, হুমম বুঝলাম। আরেকটা কথা ওই ছেলে ক্লাসে এতো মানুষ থাকতে তোর কাছ থেকেই কেনো নোট নিতে আসলো।

,,,,,,,,,,(আপনার কোনো সমস্যা)

,,,,,,,,, হ্যাঁ অবশ্যই আছে,

,,,,,,,,,, (হেহহ এনি কি আমার মনে কথ শুনতে পায় নাকি)

,,,,,,,,, তোর মুখের অঙ্গি ভঙ্গি দেখে বুঝা যায় যে, তুই বলতে পারিস। এখন জবাব দে।

,,,,,,,,, আমি কি করে জানবো আমার কাছে কেনো এসেছে।

,,,,,,,,,ভালো করে শুনে রাখ।

রিমির দিকে এক পা এগিয়ে।

,,,,,,,,,,,, আর যদি কোনো দিন, অন্য কোনো ছেলের সাথে কথা বলতে দেখেছি, তাহলে তোর আর ভার্সিটিতে আসা হবে না। হাত পা ভেঙে ঘরে বসিয়ে রেখে দিবো।

,,,,,,,,,, (উমহহ মগের মুল্লুক নাকি)

,,,,,,,,,,, হালকা হেঁসে,,,, তুই ভালো করে জানিস আমি এমনটা করতে পারি। আর কিছু না ভেবে সোজা গাড়িতে গিয়ে বস। যা

রিমি যেতে থাকে, আবার পিছনে ফিরে জিহ্বা বের করে হাত দুটো মাথায় রেখে ভেঙাতে নেয় আর ফারহান ও তাকিয়ে দেখে ফেলে। রিমি তাড়াতাড়ি জিহবা ভিতরে ডুকিয়ে নেয়।

,,,,,,,,,চুপচাপ গাড়িতে বসে বাসায় যা, আরেকটু দেড়ি হলে তোর জিহবা বের করে টেনে ধরে রাখবো।

রিমি দৌড়ে চলে যায়। ফারহান মুশকি হেঁসে তাকিয়ে থাকে।

ফারহান ঐ ছেলেকে ডাক দেয়। ঐ ছেলে দৌড়ে আসে।

,,,,,,,, জ্বি ভাইয়া।

,,,,,,,,,,, নতুন তো,, তা নাম কি ।

,,,,,,,,,, ভাইয়া শামিম।

,,,,,,,,,, তো শামিম একটা কথা ভালো করে শুনে রাখো, রিমির আশেপাশে যাতে আর না দেখি। আর যদি দেখি তাহলে তোমার অবস্থা কেমন হবে এটা সবার কাছ থেকে জিজ্ঞেস করে নিয়ো। আর হ্যাঁ যে নোটটা নিয়েছো সেটা, নোট করা শেষ হলে আমার কাছে এসে দিয়ে যাবে। মনে থাকবে।

,,,,,,,,,, জ্বি ভাইয়া।

,,,,,,,,,, গুড বয়।

রিমান, আরাব,,,,,,,,, কিরে আজ কি বাসায় যাওয়ার ইচ্ছে নাই৷

ফারহান,,,,,,,,,, চল যায়।

(আরাব রিমানের মামাতো ভাই, আর ফারহান, আরাব আর রিমানের মা বাবার বন্ধুর ছেলে। তারা ছোট থেকে এক সাথে বড় হয়েছে। তিন জন বেস্ট ফ্রেন্ড। তারা ভার্সিটির লাস্ট ইয়ারে আছে। তিন জন বড় বিসনেজ ম্যান বাবার ছেলে, তাই তেমন ভাবেই থাকে। ভার্সিটির মেয়েদের ক্রাস তিনজন। তাদের সাথে কেও লাগতে আসে না, আসলে তার খবর করিয়ে দেয়।

রিমি রিমানের ছোট বোন, এবার অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ে। মাহুয়া ও ভার্সিটির প্রথম বর্ষে পড়ে। আর মুন আরাবের বাবার এক বন্ধুর মেয়ে, সে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে। )

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,