you are only mine Part-02

0
6981

#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)

#Maishara_Jahan
Part………….2

(আরাব রিমানের মামাতো ভাই, আর ফারহান, আরাব আর রিমানের মা বাবার বন্ধুর ছেলে। তারা ছোট থেকে এক সাথে বড় হয়েছে। তিন জন বেস্ট ফ্রেন্ড। তারা ভার্সিটির লাস্ট ইয়ারে আছে। তিন জন বড় বিসনেজ ম্যান বাবার ছেলে, তাই তেমন ভাবেই থাকে। ভার্সিটির মেয়েদের ক্রাস তিনজন। তাদের সাথে কেও লাগতে আসে না, আসলে তার খবর করিয়ে দেয়।

রিমি রিমানের ছোট বোন, এবার অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ে। মাহুয়া ও ভার্সিটির প্রথম বর্ষে পড়ে। আর মুন আরাবের বাবার এক বন্ধুর মেয়ে, সে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে। )

তিন বন্ধু বাসার সামনে এসে, তিনজনকে বিদায় জানিয়ে যার যার বাড়িতে চলে যায়। তিনজনের বাসা একদম কাছাকাছি। ১ মিনিট ও দূর না। মাঝখানে রিমানের বাড়ি আর ডানে ফারহান ও বামে আরাবের বাড়ি।

রিমান বাসার ভিতরে ডুকে দেখে রিমি বসে বসে কেক খাচ্ছে।

রিমান,,,,,,,,,,, বাসায় এসেই খাওয়া শুরু করে দিয়েছিস। একদিন দেখবি গরুর মতো ফুলে যাবি।

রিমি,,,,,,,,, তোর মুখে ঝাড়ুর বাড়ি,, নাউজুবিল্লাহ একটা মেয়েকে এটা বলতে লজ্জা করে না। আর আমি কি তোর মতো ভার্সিটি ছুটির পর চৌদ্দ ঘন্টা আড্ডা দিবো।

রিমান,,,,,,,,, আমি এটা বুঝি না, মোটা হওয়ার কথা বললে মেয়ের এতো রাগ উঠে কেন। আচ্ছা কেক কে আনছে।

,,,,,,,,,, বাবা আনছে আমার জন্য।

,,,,,,,,,, এমন ভাবে বলছিস যেনো তোর একার জন্যই আনছে।

,,,,,,,,,, জ্বী আমার একাট জন্যই এনেছে।

,,,,,,,,,, আল্লাহ একটা বাপ দিলো তাও আবার কোনো কাছের না।

,,,,,,,,,,, সবার একটা বাপই থাকে।

,,,,,,,,, আচ্ছা যাক,,,একটু আমাকে দে, দেখে তো টেস্টি লাগছে।

,,,,,,,,,,, কুত্তাকে দিমু তাও তোকে না।

,,,,,,,,, তুই কি আমাকে কুকুরের সাথে তুলনা করলি।

,,,,,,, ছিঃ ছিঃ, কি কস,, আমি তোকে কুকুরের সাথে তুলনা করতে পারি। কুকুরের কি মান সম্মান নাই, তার এতো বড়ো অপমান করতে পারি আমি।

,,,,,,,,,,,, রিমির বাচ্চা, দাঁড়া তুই। (মারতে নিয়ে)

,,,,,,,,, বাবাআআআ

,,,,,,,,, চুপ,, সারা দিন শুধু বাবা বাবা, আর কোনো কাজ নেয়। লাগবে না তোর কেক।

,,,,,,,,, এই নে ধর (রিমানকে এক পিজ দিয়ে)

,,,,,,,,, এই তো আমার ভালো বোন (খেতে খেতে)

,,,,,,,,, এতো ভাব দেখানো লাগবে না। তোকে এই জন্য দিছি যাতে আমার নজর না লাগে।

এই কথা শুনে রিমানের গলায় কেক আটকে যায়। রিমান কাশতে কাশতে পানি খায়।

,,,,,,,,,,, শুধু বাবা বাসায় দেখে কিছু বললাম না।

রিমান উপরে চলে যায়।

,,,,,,,,,,,,

মাহুয়া বেসিনে হাত মুখ ধোঁয়ার সময় হাতের মধ্যে লেখা রিমানের নাম্বারের দিকে তার চোখ যায়। সে নাম্বারের দিকে তাকিয়ে আছে, নাম্বার দেখে মাহুয়া নিজের অজান্তেই হেসে দেয়। কারন নাম্বারের পাশে রিমান একটা ইসমাইল ইমোজি একে দেয়। পিছন থেকে তার বাবা আসে।

বাবা,,,,,,,,,, নাম্বারটা কার।

রাইহান খানের কথা শুনে মাহুয়া চমকে যায়।

মাহুয়া,,,,,,,,, বাবাই তুমি এখানে।

,,,,,,,, এতো ক্ষন ধরে ডাকছি, কোনো জবাব দিচ্ছিস না তাই দেখতে এলাম। তা নাম্বারটা কার

,,,,,,,,,, আমার এক বান্ধবীর, নতুন ফ্রেন্ড। (তাড়াতাড়ি হাত ধুতে ধুতে)

,,,,,,,,, ওও আমি ভাবলাম কোনো ছেলের নাম্বার।

,,,,,,,,,,, বাবাই তুমি যে কি বলো না, ছেলের নাম্বার হতে যাবে কেনো।

,,,,,,,,,,, না, যেভাবে নাম্বার দিকে তাকিয়ে হাসছিলি তাই ভাবলাম।

,,,,,,,,, একটা কথা মনে পড়ে গেছিলো তাই হাসলাম।

,,,,,,,,,,, শুন মা, আমি অন্য বাবাদের মতো না, তুই প্রেম করলে আমি কিছু বলবো না। করিস নাকি।

,,,,,,,,, বাবাই (রাগী দৃষ্টিতে)

,,,,,,,, আচ্ছা প্রেম করা লাগবে না, তোর যাকে পছন্দ হয় শুধু আমাকে বলবি, আমি গিয়ে বিয়ের কথা বলবো।

,,,,,,,,, বাবাই তোমার কি বিয়ে ছাড়া আর কিছু মনে পড়ে না।

,,,,,,,,,,, একদিন না একদিন বিয়ে তো করতেই হবে নাকি।

,,,,,,,,,, করবো না, বিয়ে আমি।

,,,,,,,,,,, এ জীবনে আর নাতি নাত্নীদের মুখ দেখা হবে, আল্লাহ। (হতাশ হওয়ার মতো করে)

,,,,,,,,, বাবাই মাদের মতো কথা বলো না।

,,,,,,,,, তোর মা থাকলে হয়তো এটা বলতো, তাই আমিই বলে দিলাম। আচ্ছা চল খেতে আয়, আর আমাকে বল ভার্সিটির প্রথম দিন কেমন কাটলো, আর কোনো হেন্সাম ছেলের সাথে দেখা হলো কিনা।

,,,,,,,,,, অফফ তোমার কিছু হবে না।

,,,,,,,,,,,,

পরের দিন সকালে,,,,,,,,,,,

ফারহান রিমানের বাসায় যায়।

ফারহান,,,,,,,,,,, রিমান রিমি তাড়াতাড়ি বের হ,, লেইট হয়লে খবর আছে।

রিমি বেরিয়ে আসে।

রিমি,,,,,,,,,, আমি রেডি।

রিমান,,,,,,,,, ২ মিনিট আসতাছি। (উপর থেকে জোরে বলে)

রিমি একটা টপ পড়ে আসে। টপটা হাঁটুর উপরে, চুল ছাড়া। ঠোঁটে লিপস্টিক। ফারহান রিমিকে উপর থেকে নাম নিচ পর্যন্ত ভালো করে দেখে।

ফারহান,,,,,,,,,, এটা কি পড়েছিস (শান্ত গলায়)

রিমি,,,,,,,,,, সুন্দর লাগছে না আমাকে। (একটা বড় করে হাসি দিয়ে)

,,,,,,,,,,,, তোরে তো (রাগটা কন্ট্রোল করে)

রিমি ভয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।

ফারহান,,,,,,,,,, যা, ভালো কোনো জামা পড়ে আয়, ওড়নাটা জেনো ঠিক থাকে, এভাবে গলায় ঝুলে থাকলে, তোকে আমি ফেনে ঝুলিয়ে রেখে দিবো। আর চুল গুলো বেঁধে আসবি। আর এতো লিপস্টিক কেনো দিয়েছিস। এখনি মুছে আয়। ভার্সিটিতে যাচ্ছিস কোনো বিয়েতে না।

রিমি,,,,,,,,, এখন গেলে লেইট হয়ে যাবে না।(মন খারাপ করে)

ফারহান,,,,,,,,,, দেখ রিমি আমাকে রাগাবি না। চুপচাপ চেঞ্জ করে আয়, আর না হলে অন্য পদ্ধতি
ও আমার জানা আছে। (রাগে)

,,,,,,,,,,, ঠিক আছে, যাচ্ছি। (শুধু আমার উপরেই এনার যতো রাগ। এতো অধিকার কেনো খাটায় আমার উপর এটাই বুঝি না। আমার কি কোনো ইচ্ছে নেয়। হুহহ এমন দিন একদিন আমারো আসবে, সেদিন বুঝাবো)

,,,,,,,,,,যাবি নাকি আমি নিয়ে যাবো।

রিমি তাড়াতাড়ি উপরে চলে যায়। রিমান রেডি হয়ে নিচে আসে।

রিমান,,,,,,,, চল চল লেইট হয়ে যাবে,, আরাব কোথায়।

,,,,,,,,বাহিরে অপেক্ষা করছে। একটু দাঁড়া রিমি রেডি হচ্ছে।

,,,,,,,,, এখনো রেডি হচ্ছে, প্রতিদিন আমাকে কথা শুনায়, আজ পাইছি। ঐ রিমি টিমি তাড়াতাড়ি কর। তোর কারনে যদি আজ লেইট হয়ছি তাহলে তোর খবর আছে। (জোরে চিৎকার করে)

আবার একটু পর,,,

,,,,,,,,,,, ঐ এতো লেইট করছিস কেনো, এতো সেজে লাভ নেয়, যেই মুখ আল্লাহ দিয়েছে ঐটা আর ঠিক হবে না। নিচে আয় না হলে তোকে রেখে চলে যাবো।

ফারহান,,,,,,,,, এতো চিৎকার করছিস কেনো।

রিমান,,,,,,,,, তোর এতো জ্বলে কেন ভাই। তাছাড়া আমি লেইট হতে চাই না,,, (একটা ভাব নিয়ে)

ফারহান,,,,,,,,, তুই ঠিক সময়ে গেছিস কোন দিন।

,,,,,,,,,, আগের কথা আলাদা, এখন তোর ভাবি আমার জন্য অপেক্ষা করছে।

,,,,,,,,, হুমম লাঠি নিয়ে।

রিমি চলে আসে,, একটা সাদা গোলাপি থ্রি পিজ পড়ে, চুল গুলো একটা জুটি করেছে, আর হালকা লিপস্টিক।

ফারহান,,,,,,,,,, হেহহ তাও তো সুন্দর লাগছে।

রিমি,,,,,,,, কি

রিমান ও ফারহানের দিকে তাকিয়ে আছে। ফারহান একটা কাশি দিয়ে বলে।

,,,,,,, তোকে না বলছি, সাদা কালার না পড়তে।

রিমি,,,,,,,,,,, সাদা পড়লে সমস্যা, কালো পড়লে সমস্যা, নীল, গোলাপী, লাল, হলুদ পড়লে সমস্যা। আপনার সমস্যা নেয় কোনটাতে।

ফারহান,,,,,,,,,, না মানে, এটা ভালো লাগছে না। যা,,,

রিমান,,,,,,,,, হ ভাই বুঝছি,,, এই চল তো রিমি। ফারহান চুপচাপ চল আমার সাথে।

ফারহান আর কিছু বলার আগেই রিমি তাড়াতাড়ি দৌড়ে বাহিরে যায়। সবাই নিচে গিয়ে দেখে, আরাব আর মুন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঝগড়া করছে।

মুন,,,,,,,, আপনি কি বলেছেন মাকে হুমম,,আমি সারা দিন ভার্সিটিতে ছেলের সাথে ঘুরি আর ঝগড়া করে বেড়ায়।

আরাব,,,,,,,, তোমার মা জিজ্ঞেস করেছে,, তাই আমি ও সত্যিটা বললাম।

মুন,,,,,,,, এর মধ্যে কি সত্যি হুমম।

আরাব,,,,,,,, কেনো সারা দিন তো ঐ সৌরভের সাথে ঘুরে বেড়াও, আর ঝগড়া তো এখনো করছো আমার আসে।

মুন,,,,,,,, আমি ছেলেদের সাথে ঘুরলে আপনি তো মেয়েদের মুখয়ি দেখেন না৷ সারাদিন তো আপনার আশেপাশে মেয়ের অভাব থাকে না। আর ঝগড়া তো আমার থেকে আপনি বেশি করেন।(জোরে জোরে চিল্লিয়ে ঝগড়া করছে দুজন)

আরাব,,,,,,,,,, আমি মেয়েদের পিছনে থাকি না, মেয়েরা আমার পিছনে থাকে৷ ওকে

মিন,,,,,,,, হুহহহহ,, মেয়েদের চোখ নষ্ট তাই। সকাল সকাল আপনার মুখ দেখেছি, না জানি আজকের দিনটা কেমন যায়।

আরাব,,,,,,,, আল্লাহ জানে আমার দিনটা না জানি কেমন যায়।

রিমান,,,,,,,,, হুহহ এই জন্যই তো বলি, আরাব একা একা এতো ক্ষন বাহিরে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। একটা ডাক ও দিলো না।

ফারহান,,,,,,,,,, এক্সকিউজ মি,, লেইট হয়ে যাচ্ছে।

রিমান,,,,,,,,, সিনেমাটা ভালোই লাগছিলো, কিন্তু আমাদের সময় নেয়। বাকি ঝগড়াটা পড়ে করুন৷

মুন,,,,,,, ভয়েই গেছে আমার উনার সাথে ঝগড়া করতে। হুহহ

বলে পাশ কাটিয়ে চলে যায়।

রিমান,,,,,,,,,, ভালোবাসা হয়ে গেলে এবার চলেন।

সবাই ভার্সিটিতে যায়। রিমান গিয়েই মাহুয়াকে খুঁজতে থাকে। পেয়ে ও যায়।

রিমান পিছন থেকে এসে বলে,

রিমান,,,,,,,,,, মাহু

মাহুয়া চমকে গিয়ে পিছনে তাকায়।

মাহুয়া,,,,,,,,, কি হয়েছে,,, আর কি বলে ডাকলেন আমাকে৷

,,,,,,,, কেনো মাহু বলে।

,,,,,,,, আমার নাম মাহুয়া,, মাহু না।

,,,,,,,,,, এমন অদ্ভুত নাম কেও রাখে,, বলতে নিলেই তো মুখে আটকে যায়। আর এটা আমার ভালোবাসার ডাক।

,,,,,,,,,,, এমন মার মারবো না, ভালোবাসা সব বেরিয়ে যাবে।

,,,,,,,,,,,, এই জন্যই তো তোমাকে আমার এতো ভালো লাগে।

,,,,,,,,,,,,,, এক বার মার খেলে এই ভালো লাগাটা আর থাকবে না। আপনার মতো এমন কতো দেখেছি।

,,,,,,,,,,, অহুহহ আমার মতো আর কাওকে পাবে না। একবার আমার কাছে এসে তো দেখো। (রোমান্টিক ভাবে তাকিয়ে)

মাহুয়া রিমানের চোখের দিকে তাকিয়ে হারিয়ে যায়। কিছু ক্ষন পর নিজেকে সামলে অন্য দিকে তাকায়।

মাহুয়া,,,,,,,,, আপনার এইসব ফালতু কথা শুনার সময় নেয় আমার কাছে।

রিমান,,,,,,,,, চোখ লুকাচ্ছো কেনো আমার থেকে,প্রেমে পড়ে গেলে নাকি।

মাহুয়া,,,,,,,,,, আপনাকে দেখলেই আমার মারতে মন চাই তাই, তাকাচ্ছি না (রিমানের চোখের দিকে তাকিয়ে)

রিমান,,,,,,,,,, কিন্তু তোমাকে দেখে আমার তো অনেক কিছু মনে চাই (একটা চোখ টিপ দিয়ে)

মাহুয়া,,,,,,,,, কিহহহ

বলে রিমানকে ঘুষি দিতে যায়, রিমান হাত ধরে ফেলে, পা দিয়ে মারতে যায়, পাও ধরে ফেলে। অন্য হাত দিয়ে মারতে নিলে। রিমান তার হাত ধরে পিছনের দিকে ঘুরিয়ে ধরে।

রিমান,,,,,,,,, এসব মারামারি আমি ছোট বেলায় করতাম। জানু আমি সবার মতো না।

মাহুয়া,,,,,,,ছাড়েন আমাকে,,( মাহুয়া রিমানের হাত থেকে ছাড় পাওয়ার চেষ্টা করছে)

রিমান,,,,,,,,,, আমি না ছাড়লে, এই হাত তুমি জীবনেও ছাড়াতে পাড়বে না। বৃথা চেষ্টা করে লাভ নেয়। শুনো যা বলছিলাম,, আজ আমার গান লঞ্চ হবে, তাই পার্টি আছে, যাবে আমার সাথে।

মাহুয়া,,,,,,,,, আপনি আবার গান ও করেন নাকি।

রিমান,,,,,,,,,, ও পিল্জ আমি জানি যে, তুমি জানো আমি সিঙ্গার। এখানে আসার পর কেও তোমাকে বলেনি এটা হতে পারে না। তুমি যাবে কিনা সেটা বলো।

মাহুয়া,,,,,,,,,,, (জোরে রিমানের পায়ে, তার পা দিয়ে আঘাত করে) কখনো না।

বলে মাহুয়া চলে যায়।

রিমান,,,,,,,,, হায় আমার মিষ্টি কাঁচা মরিচ।

অফ টাইমে,,,,,,,,

আরাব যাচ্ছিলো হঠাৎ তার চোখে পড়ে মুন বসে বসে সৌরভ এর সাথে আড্ডা দিচ্ছে। সাথে আরো ফ্রেন্ড আছে। তবে মুন সৌরভ এর সাথে একটু বেশিই হেঁসে হেঁসে কথা বলছে।

আরাব তার একটা হাত পকেটে রেখে দাঁড়িয়ে দেখছে। কিছু ক্ষন গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর,আরাব পিছনে ফিরে যেতে নেয়৷ কিন্তু এক পা এগিয়ে আবার সামনে ফিরে মুনের দিকে যায়।

আরাবকে দেখে সবাই দাঁড়িয়ে গেলেও মুন ঠিকি বসে।

মুন,,,,,,,, কি হলো তোরা সবাই দাঁড়িয়ে গেলি কেনো।

আরাব,,,,,,,,,, এটা আমাদের বসার জায়গা।

মুন,,,,,,,,, এখানে কি আপনার নাম লেখা আছে নাকি। আর বাগানটা অনেক বড় তাই অন্য জায়গা যান।

আরাব,,,,,,,,, আমি দশ সেকেন্ড সময় দিবো, এই সময়ের পর যারা ক্লাসে না গিয়ে এখানে থাকবে তাদের সাথে আমি পার্সোনাল ভাবে সাক্ষাৎ করবো। time Start now.

মুন,,,,,,,, কেও যাবে না।

মুনের বলার আগেই সবাই দৌড়ে চলে যায়, সৌরভ একবার যেতে নেয়, আরেক বার মুনের দিকে তাকায়।

আরাব সৌরভের দিকে এক পা এগিয়ে আসতেই

সৌরভ,,,,,,, মুন পড়ে দেখা হবে৷

বলেই দৌড় দেয়।

মুন,,,,,,,,,,, আরে,,,,(মুন উঠে দাঁড়ায়) হয়েছে শান্তি এবার। কি ভাবেন কি নিজেকে হুমম। আমি প্রিন্সিপালের কাছে বিচার দিবো আপনার।

আরাব,,,,,,,,,, তাতে আমার কিছুই হবে না। ভালো করে জানো।

মুন,,,,,,,,, মনে তো চাচ্ছে আপনাকে, কি যে করি।

মুন রাগে কটমট করছে, আর বার বার নিজের ঠোঁটে কামড় দিচ্ছে। আরাব সে দিকে তাকিয়ে আছে। গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখছে।

মুন বকবক করছে, সেদিকে আরাবের কোনো খেয়াল নেয়।

মুন,,,,,,,,,, কি হলো (ধমক দিয়ে)

মুনের ধমকে আরাবের হুশ ফিরে।

মুন,,,,,,,,,,, আপনার সাথে কথা বলে লাভ নেয় আমার,, বসেন আপনি আমি চলে গেলাম।

আরাব,,,,,,,,, কেনো তুমি না এখানে বসে থাকবে।

মুন,,,,,,,,, এমনি সবাই আমাদের দেখে উল্টো পাল্টে ভাবে, আর আপনার সাথে দেখলে তো কথায় নেয়। তাই চলে যাবো।

আরাব,,,,,,,, সবাই উল্টো পাল্টে ভাবে নাকি, তুমি ভাবো।

মুন,,,,,,,,, আমার ভয়েই গেছে আপনাকে নিয়ে ভাবতে। হুহহহ।

বলে মুন চলে যায়।

ফারহান,,,,,,,,,, হয়েছে তোদের এবার চল। আজ তাড়াতাড়ি যেতে হবে রিমানের আজ একটা বড় দিন। আর আজ কেনো সে ভার্সিটিতে আসলো কে জানে।

আরাব,,,,,,,,,, এখন রিমানকে প্রতিদিন ভার্সিটিতে দেখা যাবে।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

রিমান দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে। মাহুয়া তার কিছু ফ্রেন্ডদের সাথে যাচ্ছিলো। রিমানকে দেখে দাঁড়িয়ে যায়।

,,,,,,,,, কিরে দাড়িয়ে গেছিস কেনো।

মাহুয়া,,,,,,,,,,সামনে দেখ কে দাঁড়িয়ে আছে।

,,,,,,,,,,রিমান,,, হায় কি হেন্সাম লাগছে, তাই না। এর সামনে গেলে হার্ট বির্ড বেড়ে যায়।

,,,,,,,,,, ঠিক বলেছিস।

মাহুয়া,,,,,,,,,,, যতোসব ফালতু কথা,, চল এখান থেকে, আমাকে দেখলে আবার পিছনে পড়ে যাবে।

,,,,,,,,,,,, কে রিমান,,, তোর পিছনে পড়বে কেনো।

মাহুয়া,,,,,,,,,, যেদিন থেকে এসেছি, সেদিন থেকে পিছনে পরে আছে।

,,,,,,,,,,চাপাটা একটু বেশি হয়ে গেলো না,, ও তোর পিছনে কেনো পড়বে। এতো মেয়ে থাকতে।

মাহুয়া,,,,,,,,, অদ্ভুত চাপা কেনো মারবো।

,,,,,,,,,,, সর বিশ্বাস হয় না৷

মাহুয়া,,,,,,,,,দাড়া তোদের এখুনি দেখাচ্ছি। তোরা এখান থেকে শুধু দেখ আর শুন।

মাহুয়া রিমানের কাছে যায়।

মাহুয়া,,,,,,,,,, হ্যালো। (একটা হাসি দিয়ে)

রিমান মাহুয়াকে দেখে ফোনটা রেখে দেয়।

রিমান,,,,,,,,,, হায় (বলে আবার অন্য দিকে তাকায়)

মাহুয়া,,,,,,,,,, আচ্ছা বলছিলে না আমাকে কোথায় জেনো নিয়ে যাবে। আমি আজ রেডি থাকবো, আমাকে নিতে আসবেন তো।

রিমান,,,,,,,,,, সরি,, কে আপনি। আমি আপনাকে কেনো নিতে আসবো৷

মাহুয়া,,,,,,,,,,, কে আমি মানে,,, কিছু ক্ষন আগেই তো আমার পিছনে পড়ে ছিলে।

রিমান,,,,,,,,,, মাথা ঠিক আছে তো আপনার। ও বুঝেছি তুমিও আমার ফেন তাই তো। কথা বলার জন্য একজনকে এভাবে বিরক্ত করা ঠিক না।

মাহুয়া রিমানের কথা শুনে অভাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। আর রিমান কথা গুলো বলে চলে যেতে থাকে।

,,,,,,,,,,,, মাহুয়া আর অভিনয় করার কোনো দরকার নেয়, প্রমান হয়ে গেলো, কে কার পিছনে আছে।

রিমান পিছনে তাকিয়ে মুশকি হেঁসে সবার আড়ালে মাহুয়াকে চোখ মারে।

মাহুয়া,,,,,,,,,,, ছাড়বো না, আপনাকে।

রিমান,,,,,,,,,,,, (মাহু বেবি রেডি থেকো, তোমাকে আজ আমি নিয়েই যাবো)

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,