#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………….3
মাহুয়া,,,,,,,,,,, ছাড়বো না, আপনাকে।
রিমান,,,,,,,,,,,, (মাহু বেবি রেডি থেকো, তোমাকে আজ আমি নিয়েই যাবো।
বিকেলে,,,,,,,,,,,
সবাই রেডি হতে ব্যাস্থ, রিমানের গান লঞ্চ হবে বলে কথা। রিমান একটা কালো গেনজির সাথে একটা কালো কোর্ট পড়ে। গেনজিটার চুখালো গলাটা বড় তাই রিমানের সাদা বুক অনেকটা দেখা যাচ্ছে। আরাব আর ফারহান রিমানের সাথে তাল মিলিয়ে একই ড্রেস পড়েছে।
ফারহান রেডি হয়ে রিমানের বাসায় আসে। রিমিকে ডাক দেয়। রিমি যাবে কি যাবে না সেটা ভাবছে। রিমি যাওয়ার আগে আয়নায় ভালো করে নিজেকে চেক করে নেয়।
রিমি একটা কালো গ্রাওন এর মতো লেহেঙ্গা পড়েছে। রিমির লম্বা চুল সামনে এনে রেখেছে। আর একদম হালকা মেকাপ। নিজেকে চেক করে ভয়ে ভয়ে নিচে যায়। রিমি সিরি দিয়ে নিচে নামছে।
ফারহান নামার শব্দ পেয়ে উপরের দিকে ফিরে তাকায়। ফারহানের চোখ আটকে যায় ঐদিকে। নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। চোখ সরানোর চেষ্টা করছে কিন্তু তাও পারছে না।
রিমি ফারহানের তাকানো দেখে লজ্জায় গাল দুটো লাল হয়ে যায়৷ রিমি ফারহানের যতো কাছে যাচ্ছে ততো তার হার্ট বির্ড বেড়ে যাচ্ছে। রিমি ফারহানের সামনে এসে দাঁড়ায়। ফারহান একই ভাবে তাকিয়ে আছে, রিমির এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে অদ্ভুত লাগছে,,
রিমি,,,,,,,,,, ভাইয়া কেমন লাগছে আমায়।
এই কথা শুনে ফারহানের হুশ আসে।
ফারহান,,,,,,,,,,,, তুই কি বলে ডাকলি আমায়।
রিমি,,,,,,,,,,, কেনো ভাইয়া।
ফারহান,,,,,,,,,,, তোকে কতো বার বলেছিনা ভাইয়া বলে ডাকবি না আমায়। ভাইয়ের কি অভাব পড়ছে তোর। বলেছিনা হয়তো নাম ধরে ডাকবি না হলে কিছু ডাকার দরকার নেয়। কথা কানে যায় না। (ধমক দিয়ে)
রিমি,,,,,,,,, আচ্ছা সরি, আর বলবো না।
ফারহান,,,,,,,,, আর কি পড়েছিস এটা।
রিমি,,,,,,,,, পিল্জ আজ না। আজ সব কিছু ঠিক, বেশি মেকাপ করিনি, ড্রেস ও ঠিক আছে। দয়া করে আজ কিছু বলবেন না।
,,,,,,,,,, এতো সুন্দর করে সাজলে লোকে তোর দিকে তাকাবে আর এটা আমার একদম সহ্য হবে না।
,,,,,,,,,,(উনি কি আমাকে সুন্দর বললেন) কেও তাকাবে না, আর একটু আটটু তাকালে কি আসে যায়।
,,,,,,,,, আসে যায়। কেও তোর দিকে তাকাক সেটা আমি চায় না। যা নরমাল কোনো ড্রেস পড়ে আয়।
তখন রিমান আসে। নিজের চুল ঠিক করতে করতে নিচে নামে। রিমান রিমির দিকে তাকায়, দেখে রিমি মন খারাপ করে আছে।
রিমান,,,,,,,, আরে বা আজ আমার পেত্নী বোনটাকে পেত্নী গো রানীর মতো লাগছে।
রিয়াদ খান,,,,,,,,,, ও বান্দরের পূর্বপুরুষ, আমার মেয়েকে পুরো পরীর মতো লাগছে। শুধু কারো নজর না লাগলেই হলো।
রিমান,,,,,,,,, আর আমাকে কেমন লাগছে বাবা। (একটা বড় করে হাসি দিয়ে)
রিয়াদ খান,,,,,,,,, বান্দরকে শার্ট প্যান্ট পড়ালে যেমন লাগে ঠিক তেমনি।
রিমান,,,,,,,,, আচ্ছা আমি নিচে আসার সময় মা বলছিলো একদম তোমার মতো লাগছে।
রিয়াদ খান,,,,,,,, হুহহ আমার মতো হলে তো কোনো কথায় ছিলো না। তাহলে আজ পর্যন্ত সিঙ্গেল থাকতি না।
রিমান,,,,,,, হুহহ আমার জন্য মেয়েরা লাইন ধরে থাকে।
রিয়াদ খান,,,,,,,, আচ্ছা কোন জায়গায় লাইনটা লাগে আমাকে বলিস, সেখানে আমি কালো চশমার দোকান দিবো।
রিমান,,,,,,,,,, কেনো।
রিয়াদ খান,,,,,,,,,, কারন সেখানে সব মেয়েরা কানা তাই চশমা তো লাগবে তাই না।
ফারহান,,,,,,,,, থামবেন,, এভাবে কোনো ছেলে তার বাবার সাথে আর কোনো বাবা তার ছেলের সাথে ঝগড়া করে।
রিমান,,,,,,,,,, ঠিক আছে মাফ করে দিলাম।
ফারহান,,,,,,, চুপ একদম,,,,,,, যা রিমি রেডি হয়ে আয়।
রিমান,,,,,,,,, আর কতো রেডি হবে।
ফারহান,,,,,,, রিমির ড্রেসটা পছন্দ হয়নি তাই ড্রেসটা পাল্টিয়ে আসবে৷
রিমি,,,,,,,,,,, ড্রেস কেনো পছন্দ হবে না, ড্রেসটা আমার খুব ভালো লেগেছে।
রিয়াদ খান,,,,,,,,,, আমার মেয়ের যা ইচ্ছে হবে তাই পড়বে। ড্রেস চেঞ্জ করার কোনো দরকার নেয়।
ফারহান,,,,,,,,,, ওকে কেও জোর করছে না, ও ওর ইচ্ছে করছে না এই ড্রেসটা পড়তে। তাই না (রিমির দিকে ক্ষীণ নজরে তাকিয়ে)
রিমি হ্যাঁ ও বলতে পারছে না, নাও বলতে পারছে না।
রিমি,,,,,,,,, এতো সুন্দর ড্রেস কেনো পড়তে ইচ্ছে করবে না। আসলে এই ড্রেসটা পড়ে আমাকে অনেক সুন্দর লাগছে, তাই সবাই আমার দিকে তাকিয়ে থাকলে আমার ভীষণ লজ্জা করবে তাই পড়বো না এটা। (রিমানের দিকে তাকিয়ে)
রিয়াদ খান রাগী দৃষ্টিতে রিমানের দিকে তাকিয়ে আছে। রিমান তার বাবার দিকে তাকায়।
রিমান,,,,,,,, কি হলো আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছো কেনো।
রিয়াদ খান,,,,,,,,, তুই বলেছিস রিমিকে এই ড্রেস না পড়তে তাই না। সাহস কি করে হলো তোর আমার মেয়েকে অডার করার। ওর যা ইচ্ছে তাই পড়বে। (রিমানকে মারতে মারতে)
রিমান,,,,,,,,, আরে দূর থামো,, তোমার মেয়ে আমার কথা শুনে উল্টিয়ে ফেলে। আমি যা বলি তার উল্টোটা করে সব সময়। যেদিন ও আমার কথা মতো কাজ করবে সেদিন ভাববো মন্ত্রী মিথ্যা কথা বলা ছেড়ে দিয়েছে। তাছাড়া এই ড্রেস আমিই ওকে কিনে দিয়েছে।
রিয়াদ খান,,,,,,,,, এখন তো আমারো এই ড্রেস পছন্দ হচ্ছে না। যাই হোক পাল্টানোর কোনো দরকার নেয়। আমরা যাচ্ছি তোরা আয়।
রিমান,,,,,, ,, তোর এ ড্রেস পছন্দ না হলে পাল্টিয়ে আয়।
রিমি,,,,,,,,, আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আমি পাল্টাবো না।
বলে দৌড়ে বাহিরে চলে যায়। রিমানও যায়, সাথে ফারহান ও নিজের রাগটাকে কন্ট্রোল করে যায়। রিমি গিয়ে রিমানের গাড়িতে উঠে।
রিমান,,,,,,,,, তুই ফারহানের সাথে যা, আমার একটা কাজ আছে, আমি সেটা করে আসছি।
রিমি ফারহানের দিকে তাকায়, ফারহান রিমির দিকে তাকিয়ে একটা ডেবিল মার্কা হাসি দেয়। রিমি দুই তিনটা ডোগ গিলে।
রিমি,,,,,,,,, এখন আবার কি কাজ তোর।
রিমান,,,,,,, আরে আছে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ, তুই বেরিয়ে আয়।
রিমি বেরিয়ে আসে।
রিমি,,,,,,,, আরাব ভাইয়া কোথায় আমি তার সাথে যাবো।
ফারহান,,,,,,,,, আরাবকে তার বাবা মা একজনকে আনতে পাঠিয়েছে। সে তাকে নিয়ে ঠিক পৌঁছে যাবে। (রিমির দিকে তাকিয়ে বেকা হাসি দিয়ে)
রিমি আর কোনো উপায় না পেয়ে ফারহানের গাড়িতে বসে পড়ে, রিমান ও তার গাড়ি নিয়ে চলে যায়।
রিমি ভয়ে ভয়ে বসে আছে, মনে মনে আল্লাহ আল্লাহ করছে। ফারহান গাড়ি চালাচ্ছে। কিছু খন পর গাড়িটা থামায়।
রিমি,,,,,,,, (এই মরে গেলাম আমি, রিমি আজ তোকে কেও বাঁচাতে পারবে না) গা গা গাড়ি থামালেন কেনো।
ফারহান চুপচাপ নিজের সিট বেলটা খুলছে। আর রিমি ভয়ে শেষ। ফারহান নিজের সিট বেলটা খুলে রিমির কাছে চলে যায়, ফারহানের একটা হাত রিমির পাশের গাড়ির জালানায় রাখে। রিমি ভয়ে সিটের সাথে লেগে যায়। চোখ দুটো বড় বড় করে ফারহানের দিকে তাকিয়ে থাকে।
রিমি,,,,,,,,, আমি আপনার কথার অমান্য করতে চাইনি। কিন্তু ড্রেসটা আমাকে রিমান ভাইয়া দিয়েছে। এমনি তেও অনেক ড্রেস কিনে দিয়েছে, কিন্তু এটা একটু স্পেশাল। কারন এটা ভাইয়ার প্রথম গানের টাকায় আমাকে কিনে দিয়েছে। আর যদি আমি বলতাম এটা আমার পছন্দ হয়নি, তাহলে ভাইয়ার খারাপ লাগতো তাই কিছু বলিনি। (একদমে বলে ফেলে সব গুলো কথা)
ফারহান রিমির দিকে তাকিয়ে আছে।
ফারহান,,,,,,,,, আমি এটা বুঝতে পেরেছি, তাই কিছু করিনি, না হলে এই ড্রেস এতো ক্ষনে ছিড়ে নিচে পড়ে থাকতো। তুই সিট বেলটা বাঁধতে ভুলে গেছিস, সেটাই বেঁধে দিচ্ছি।
রিমি,,,,,,,,, ওওও ( সস্থির নিশ্বাস ফেলে)
ফারহান রিমির সিট বেলটা লাগিয়ে দেয়। ফারহান রিমির এতো কাছে হওয়ায়, রিমির হার্ট বির্ড ফাস্ট হয়ে যায়। যেটা ফারহান হালকা শুনতে পারছে। ফারহান রিমির দিকে তাকায়। রিমি ফারহানের চোখের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে ফেলে।
লজ্জায় লাল হয়ে গেছে রিমির মুখ। ফারহান নিজের উপর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলছে। ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে রিমির দিকে। ফারহান রিমির ঠোঁটের একটু নিচে কিস করে। রিমি নিস্থর হয়ে যায়।
তারপর ফারহান তাড়াতাড়ি সরে যায়, চুপচাপ ড্রাইভ করতে থাকে। রিমির দিকে একবার তাকায় ও না।
,,,,,,,,,,,,,,
(আপনারা অনেকে বলছেন, এখানে আসল নায়ক কে। এই গল্পে তিন জনই আসল নায়ক। তাদের লাভ স্টোরি আলাদা হলেও, তাদের গল্প এক)
আরাব বিরক্তি ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, আরাব বার বার গাড়ির গন বাজাচ্ছে। মুন তাড়াতাড়ি বাহিরে আসে, সে সাদা একটা গ্রাওন পড়েছে। চুল ছাড়া, কানে দুল লাগাতে লাগাতে আসছে।
আরাব তার সানগ্লাসটা খুলে তাকিয়ে আছে। মুন আরাবের কাছে আসে।
মুন,,,,,,,,,,, এতো বার হন বাঝানো লাগে, বলছিলাম না আসছি। এখন আবার কার আশায় বসে আছেন চলেন এখন।
মুন গাড়িতে গিয়ে বসে। আরাব ও গাড়িতে গিয়ে বসে।
আরাব,,,,,,,,, তোমার ফেমেলি থেকে আর কেও যাবে না।
মুন,,,,,,,,, জানেন তো বাবা অসুস্থ তাই, মা বাবা যাবে না। তা হঠাৎ আমাকে নিতে আসলেন।
আরাব,,,,,,,, মা বাবা জোর করে পাঠিয়েছে তাই আসলাম।
মুন,,,,,,,,, ওও,,, সরি আপনার অমূল্য সময় নষ্ট করার জন্য।
আরাব,,,,,,,,, আমার মন অনেক বড় তাই মাফ করে দিলাম।
মুন,,,,,,,,,, ধন্যবাদ,,, আপনাকে হয়তো আর বিরক্ত করা হবে না। এটাই শেষ হয়তো।
আরাব,,,,,,,,, কেনো, আমার সাথে বন্ধুত্ব করার কথা ভাবছো নাকি।
মুন,,,,,,,,, হুহহ অসম্ভব। আমার বিয়ে নিয়ে কথা হচ্ছে। এই মাসের মধ্যেই বিয়ে দিয়ে দিবে শুনছি।
কথাটা শুনে আরাবের মোটেও ভালো লাগলো না। চেহেরায় একটা রাগ রাগ ভাব চলে এসেছে।
আরাব,,,,,,,,,, এতো তাড়াতাড়ি কেনো।
মুন,,,,,,,, একটা মেয়ের জন্য এটা মোটেও তাড়াতাড়ি না। আর তাছাড়া বাবা এখন অসুস্থ থাকে। তাই বাবার ইচ্ছে আমাকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে নিশ্চিত হতে চায়।
আরাব,,,,,,,,, কার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে।
মুন,,,,,,,,,৷ সেটা তো জানি না, তবে কথা বার্তা চলছে, এখনো ঠিক হয়নি। তবে মা বললো হয়ে যাবে।
আরাব,,,,,,,, ও (গম্ভীর ভাবে),,, মা বললো আর রাজি হয়ে গেলে, নিজের কোনো ইচ্ছে নেয়।
মুন,,,,,,,,, কিছুই করার নেয়। যে পরিস্থিতি এই সময় মা বাবার উপরে না বলতে পারবো না।
আরাব,,,,,,,,, ভালো (জোর করে হেঁসে)
মুন,,,,৷৷ (এই কথা গুলো আরাবকে বলার কি দরকার ছিলো, না জানি কেনো বলতে ইচ্ছে করলো)
আরাব,,,,,,,,,(যার সাথে ইচ্ছে তার সাথে বিয়ে হোক, তাতে আমার এতো রাগ হচ্ছে কেনো)
,,,,,,,,,,,
রিমান মাহুয়ার বাসার নিচে এসে মাহুয়াকে ফোন দেয়।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, হ্যালো কে।
রিমান,,,,,,,,, জানু আমি
,,,,,,,,,, কে জানু, আর কে আমি হুমম।
,,,,,,,,,, কি বলো জানু,, তুমি আমাকে চিনছো না,, বেবি বাসার নিচে আসো আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।
,,,,,,,,,, অপেক্ষা করেন আমি আপনার হাত পা ভাঙ্গার জন্য আসছি।
মাহুয়া রাগে কটমট করতে করতে নিচে যায়। গিয়ে দেখে, রিমান গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
মাহুয়া,,,,,,,, আপনি এখানে কেনো।
রিমান,,,,,,,,, তুমিই তো বলেছো, আমার সাথে যেতে রাজি, তাই নিতে আসলাম।
,,,,,,,,, পাগল আপনি আমি এমনি বলেছিলাম। আর আমার নাম্বার পেলেন কিভাবে, আর আমি কোথায় থাকি জানলেন কীভাবে।
,,,,,,,,, এটা আমার জন্য কোনো বড়ো ব্যাপার না।
,,,,,,,,, আপনি যান এখান থেকে বাবাই দেখলে সমস্যা হয়ে যাবে।
রাইহান খান,,,,,,,,কেনো আমি দেখলে কি সমস্যা হবে। হ্যালো আমি মাহুয়ার বাবা (রিমানের সাথে হাত মিলিয়ে)
রিমান,,,,,,,,, হ্যালো স্যার, আমি রিমান।
বাবা,,,,,,,,৷ আরে স্যার কেনো বলছো আংকেল বলো।
রিমান,,,,,,,,, জ্বী আংকেল।
বাবা,,,,,,,,,, তুমি কি করো।
মাহুয়া,,,,,,, ও যা খুশি করোক তাতে তোমার কি।
বাবা,,,,,,,,, আমার অনেক কিছু।
রিমান,,,,,,,,, এবার আমি অনার্স শেষ ইয়ারে আছি। আর আমার কেরিয়ার গান গাওয়া। আজ আমার একটা গান লঞ্চ হতে যাচ্ছে, তার পার্টিতে আমি মাহুকে না মানে মাহুয়াকে নিতে এসেছি। (ভদ্র সাজার চেষ্টা করে)
মাহুয়া,,,,,,,,,, আমি যাবো না।
বাবা,,,,,,,,, কেনো যাবি না। আজ ছেলের এতো বড়ো একটা দিন তার সাথে থাকবি না।
রিমান,,,,,,,,, আপনার মেয়ে আমাকে বলেছে ও যাবে, এখন না করছে।
বাবা,,,,,,,,, ছেলেটা বেশ হেন্সাম আছে। তুই এমন একটা ছেলে পছন্দ করবি সেটা জানা থাকলে কোনো দিন তোকে বিয়ে নিয়ে কিছু বলতাম না (মাহুয়ার কানে কানে)
মাহুয়া,,,,,,,,,,, বাবাই কি বলছো এগুলো। আর শুনে রাখো আমি যাবো না।
বাবা,,,,,,, কেনো যাবি না (ধমক দিয়ে) তুমি যেমন শান্ত তোমার গার্লফ্রেন্ড ততোটাই রাগী।
এই কথা শুনে রিমান হেসে দেয়।
রিমান,,,,,,,,,,, ঠিক বলেছেন আমার গার্লফ্রেন্ড।
মাহুয়া,,,,,,,,,, কে কার গার্লফ্রেন্ড,,,,, রিমান আমাকে রাগীও না।
রিমান,,,,,,,,, রাগ উঠলেও কিছু করতে পারবে না। চলো বেবি, না মানে মাহুয়া।
বাবা,,,,,,, প্রথম কোনো ছেলে এসে তোকে কোথাও নিয়ে যাওয়ার সাহস করেছে৷ যা চুপচাপ, আর একটা কথাও হবে না।
মাহুয়া,,,,,,,,,, এতোই যখন শক আমাকে নিয়ে যাওয়ার ঠিক আছে যাবো, তবে আমি যে অবস্থায় আছি ঠিক সে অবস্থায় যাবে।
রিমান তার পোশাকের দিকে তাকায়। মাহুয়া জিন্সের প্যান্ট, আর একটা সাদা শার্ট পড়ে আছে। এক সাইট ইন করা এক সাইড ইন ছাড়া। লম্বা চুল গুলো সামনে, আর শুধু লিপস্টিক দেওয়া।
বাবা,,,,,,,, এভাবে কেও পার্টিতে যায়।
রিমান,,,,,,,,, এভাবেই চলো কিউট লাগছে।
মাহুয়া,,,,,,,,, ঠিক আছে চলো।
মাহুয়া গাড়িতে গিয়ে বসে।
বাবা,,,,,,,, আমার মেয়ের খেয়াল রেখো। আর ভালো লাগে আমার মেয়েকে।
রিমান,,,,,,৷, শুধু ভালো লাগে না,, আর ওর থেকে আমার আপনাকে বেশি ভালো লাগছে।
বাবা,,,,,,,,, আমারো,, সাবধানে যেও। (যাক নিশ্চিত হওয়া গেলো আমি ছাড়াও আমার মেয়েকে কেও ভালোবাসে)
রিমান গাড়ি ড্রাইভ করতে থাকে।
মাহুয়া,,,,,,,, কি দরকার ছিলো বাবার সামনে এমন করার,কি ভাবলো বাবাই এখন।
,,,,,,,,, ভুল কি ভেবেছে।
,,,,,,,,,,, ভুল ভাবেনি,,,, বাবাই তো আর জানে না যে, আপনি মজা করছেন।
,,,,,,,,, কে বলেছে আমি মজা করছি।
,,,,,,,,, আপনি আমাকে পছন্দ করেন এটা মজা না।
,,,,,,,,,,, একদমি না, আমি সত্যি পছন্দ করি। আর শুধু পছন্দ করি না, ভা,,,,
,,,,,,,,,, বেস, অনেক হয়েছে,,,, আর কিছু ক্ষন আগে আমাকে চিনতে পারছিলে না।
,,,,,,,,, যে দিন তুমি বলবে আমাকে ভালোবাসো সেদিন পুরো দুনিয়ার সামনে বলবো তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড।
,,,,,,,,,,,,, কোনো দিন ও বলবো না।
,,,,,,,, দেখা যাবে।
রিমান আর মাহুয়া পৌঁছে যায়। রিমান গাড়ি থেকে বেরিয়ে মাহুয়াকে একটা কার্ড দেয়।
মাহুয়া,,,,,,,, এটা কি।
রিমান,,,,,,,, এটা ছাড়া তোমাকে ডুকতে দিবে না। তুমি ভিতরে যাও আমি গাড়ি পার্ক করে আসছি।
,,,,,,ওকে।
মাহুয়া ভিতরে যায়। গিয়ে দেখে বিশাল বড়ো আয়োজন। মাহুয়া কোথায় যাবে ঠিক বুঝতে পারছে না। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। তখন মাহুয়ার কিছু ফ্রেন্ড আসে।
রুবি,,,,,, কিরে তুই এখানে।
মাহুয়া,,,,,,,, আরে তোরা,,,আমাকে রিমান নিয়ে এসেছে।
সুমি,,,,,,,, মাহুয়া অনেক হয়েছে হুমম, এবার থাম। রিমানের কন্সেট দেখতে এসেছিস সেটা বল। আর কি পড়ে এসেছিস৷ পার্টি ড্রেস নেয় তোর কাছে।
মাহুয়া,,,,,,, না,, আর আসতে কে চেয়েছে, আমাকে জোর করে নিয়ে এসেছে।
রুবি,,,,,,,, মাহুয়া থামবি এবার।
মাহুয়া রিমান আসছে দেখে তার কাছে যায়।
মাহুয়া,,,,,,, আমাকে এখানে নিয়ে আসলে, এখন আমি কি এখানে ঢোল বাঝাবো।
রিমান,,,,,,,,, সরি,, আমি আপনাকে কেনো নিয়ে আসতে যাবো।
মাহুয়া,,,,,,,, অনেক হয়েছে হুমম,, আপনার নাটক বন্ধ করুন।
রিমান,,,,,,,,, মিস্ আপনি পার্টি ইনজয় করুন। আমাকে বার বার বিরক্ত করবেন না।
রুবি,,,,,,, রিমান সরি সরি ও একটু মজা করছে। পিল্জ ডোন্ট মাইন্ড।
মাহুয়া,,,,,,,,, নিজে আমাকে জোর করে নিয়ে এসে এখন ভাব দেখানো হচ্ছে।
রিমান,,,,,,,, আমি আপনাকে নিয়ে আসবো। (মুখটা বেকা করে, মাহুয়ার উপর থেকে নিচে অব্দি তাকিয়ে)
রিমান এটা বলে চলে যায়।
মাহুয়া,,,,,,,, এভাবে তাকানোর মানে কি,,, আপনার সাহস কি করে হলো এটা বলার।
রুবি মাহুয়াকে টেনে ধরে।
সুমি,,,,,,,, শান্ত হ,,,,, পিল্জ কোনো জামেলা করিস না। চুপচাপ পার্টি ইনজয় কর না।
মাহুয়া,,,,,,,,, আপনাকে আমি পড়ে দেখে নিবো।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,