you are only mine Part-06

0
6601

#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)

#Maishara_Jahan
Part………….6

,,,,,,,,,ঠিক আছে চল (এখন আমি কিছু বলবো না, যা বলার তুই বলবি, অপেক্ষায় থাকবো)

ফারহান রিমিকে বাসায় পৌঁছে দেয়, রিমি সারা রাস্তায় মুখ ফুলিয়ে বসে ছিলো।

সকালে,,,,,,,,,

রিমান,,,,,, বাবা কক্সবাজারে যাবো কিছু টাকা লাগবে দাও তো।

রিয়াদ খান,,,,,,,, কতো টাকা লাগবে (একটা বড় হাসি দিয়ে)

রিমান,,,,,,,, তুমি এক কাজ করো আমাকে ৩০ হাজার দাও আর বাকিটা আমি মেনেজ করে নিবো।

,,,,,,,,,, এতো টাকা কেনো, যাওয়া,খাওয়া,থাকার খরচ তো ভার্সিটি থেকে দিবে, যা অলরেডি আমি দিয়ে দিয়েছি।

,,,,,,,,,, তাও একটা আলাদা খরচ আছে না।

রিয়াদ খান হাসি মুখে রিমানের কাছে যায়, গিয়ে তাকে ধরে ইচ্ছে মতো মারতে থাকে।

রিয়াদ খান,,,,,,,,,, আমি কি এখানে টাকার গাছ লাগাইছি। লজ্জা করে না এতো বড়ো হয়ে টাকা চাস।

,,,,,,,,,,,, তোমার লজ্জা করে না এতো কিপ্টামি করতে। এতো টাকা দিয়া কি করবা।

,,,,,,,, কবরে নিয়া যামু, তাও তোরে দিমু না।

,,,,,,,,,,, ভালো মতো বলছি দিয়া দাও।

,,,,,,,,, দিবো না কি করবি,, আর এখন মাকে বলেও লাভ নেয়, কারন এখন তুই অনেক টাকা রোজগার করিস। সো তোর মা ও তোর পক্ষ নিবে না।

,,,,,,,,,,, আচ্ছা তার মানে তুমি টাকা দিবে না।

,,,,,,,,,,,, কোনো দিন না।

,,,,,,,,,, জানতাম তুমি সোজা কথার মানুষ না। এ রকম সময়ের জন্যই আমি একটা জিনিস রেখে দিছিলাম।

,,,,,,,, কি

রিমান তার পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে।

,,,,,,,,,,, বাবা একটু এই ভিডিওটা দেখো তো।

,,,,,,,,,হেহহ কি এমন আছে এই ভিডিওতে।

রিয়াদ রিমানের মোবাইলে দেখে।

রিয়াদ খান,,,,,,,, আরে এটা তো সুসমিতা। এটা দেখে কি হলো।

রিমান,,,,,,,,, আরে দাঁড়াও পিকচার তো আভি বাকি হে,, ভিডিওটা চালু তো করেতে দাও।

রিমান ভিডিওটা চালু করে, যেটা দেখে রিয়াদ খানের চোখ কপালে উঠে যায়।

রিয়াদ খান,,,,,,,,, এই ভিডিওটাতে যেমন দেখা যাচ্ছে তেমন কিছুই হয়নি। ঐদিন সুমিতা আমার সামনে পড়ে যেতে নিচ্ছিলো আমি তাকে ধরে সাথে সাথে ছেড়ে দিয়। কিন্তু এখানে দেখাচ্ছে আমি তাকে অনেক ক্ষন ধরে তার দিকে তাকিয়ে আছি।

রিমান,,,,,,, এটাকে স্লো-মোশন বলে।

রিয়াদ খান ,,,,,,,,,,, আর এই ভিডিওতে রোমান্টিক গান কেনো লাগিয়েছিস।

রিমান,,,,,,, ভিডিওটা দেখে যেনো মনে হয় আপনারা জম্ম জম্মের প্রেমিক।

,,,,,,,,,,,, নাউজুবিল্লাহ,,,, এই ছেলে কি বলে।

,,,,,,,, ভাবো বাবা যদি এই ভিডিওটা মা দেখে তাহলে তোমার কি হবে।

,,,,,,,, শুধু ঘর থেকে না পুরো দুনিয়া থেকে বের করে দিবে। এই ভিডিও ডিলিট কর।

,,,,,,,,,, এটা ডিলিট করলে মানি লাগবে বাবা,,না হলে আমি এখনি গেলাম মার কাছে (যেতে নিয়ে)

রিয়াদ খান রিমানকে টেনে ধরে।

,,,,,,,,,,, তোর ৩০ হাজার টাকা আমি এখনি দিচ্ছি।

,,,,,,,,,, সরি বাবা৷ এই অমূল্য ভিডিওর মান এখন ৫০ হাজার হয়ে গেছে।

,,,,,,,,,,, কিহহহ এটা কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে।

,,,,,,,,,যদি সোজা কথায় দিয়ে দিতে তাহলে এতো কিছুর দরকার হতোই না। দিবা নাকি আমি যাবো।

,,,,,,,,, দাঁড়া হারামজাদা দাঁড়া।

রিয়াদ খান রিমানকে চেক দেয়। আর ভিডিওটা ডিলিট করায়৷

রিয়াদ খান,,,,,,, এটা আমার বাপের অভিশাপ লাগছে তাই এমন পোলা হয়ছে আল্লাহ।

,,,,,,,,,,

রিমি সকাল সকাল ফারহানের বাসায় চলে যায়। গিয়ে সোজা ফারহানের রুমে ঢুকে যায়। গিয়ে দেখে ফারহান ঘুমাচ্ছে।

রিমি,,,,,,,, হেহহ আমাকে ঘুম পাগল বলে, আর দেখে নিজে এখন পর্যন্ত পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে।

রিমি পা টিপে টিপে ফারহানের কাছে গিয়ে বসে।

রিমি,,,,,,,,, ঘুমালে কতো কিউট লাগে, আর জেগে থাকলে, থাক সেটা না হয় নায়ি বললাম। হ্যালো এক্সকিউজ মি। (ফারহানের নাকের আগায় আঙুল দিয়ে বার বার খুঁচা দিয়ে)

ফারহান মিট মিট করে হালকা তাকায়, ফারহান হালকা তাকাতেই রিমি একটা মিষ্টি করে হাসি দেয়। আর সাথে সাথে ফারহান রিমিকে জরিয়ে ধরে পাশে শুয়িয়ে ধরে রাগে।

এমন কিছু হবে রিমি স্বপ্নেও ভাবেনি। সে বাক রুদ্ধ হয়ে যায়। রিমি উঠতে নেয়, ফারহান আরো শক্ত করে ধরে। এতো কাছে রিমি ফারহানের কখনো আসেনি।

রিমি,,,,,,,,, ছা ছা,, আ কি (রিমি আমতা আমতা করছে)

এমন আওয়াজ শুনে ফারহান চোখ তুলে তাকায়। আর সাথে সাথে রিমিকে ছেড়ে উঠে বসে পড়ে। রিমিও উঠে যায়।

ফারহান,,,,,,,,,,, তুই এখানে সত্যি,,, তুই এখানে কি করছিস।

রিমি,,,,,,,,,, আপনাকে জাগাতে এসেছিলাম (নিচের দিকে তাকিয়ে)

ফারহান,,,,,,,,,,,, সরি সরি,, আমি ঘুমে ছিলাম বুঝতে পারিনি। আর সকাল সকাল আমার রুমে কেনো।

রিমি,,,,,,,,,,, কাল আপনি তো বললেন সকালে শপিং এ নিয়ে যাবেন। তাই আমি রেডি হয়ে এসেছিলাম।

ফারহান,,,,,,,,, আচ্ছা তুই নিচে যা, আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি। আর যা হয়েছে সব ভুলে যা।

রিমি,,,,,,,,,, (এতো সোজা নাকি,, চাইলেও পারবো না, আল্লাহ আমার কেমন কেমন লাগছে)

ফারহান,,,,,,, আজে বাজে চিন্তা নিজের মাথা থেকে বের কর আর চুপচাপ নিচে গিয়ে বস।

রিমি,,,,,, আমি কোনো আজে বাজে চিন্তা করছি না।

বলে তাড়াতাড়ি নিচে চলে যায়।

ফারহান ফ্রেশ হয়ে নিচে আসে, রিমি ফারহানকে দেখে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে। ফারহান চুপচাপ নাস্তা করতে থাকে, রিমি চুপচাপ বসে আছে।

ফারা (ফারহানের মা),,,,,,,,, তোদের মধ্যে কি কিছু হয়েছে।

দুজন এক সাথে বলে উঠে,,,,,,,, না কিছু হয়নি তো।

ফারহান,,,,,,,,, কি বলছো মা, কি হবে।

মা,,,,,,,,,, না মানে, তোরা কেও কোনো কথা বলছিস না, দুজন এতো চুপচাপ তাই বললাম।

ফারহান,,,,,,,,,, আমার নাস্তা হয়ে গেছে। আমরা এখন আসি, চল রিমি।

রিমি,,,,,,,, হুমম,,, বাই আন্টি।

রিমি চুপচাপ বসে আছে আর ফারহান ড্রাইভ করছে। কেও কোনো কথা বলছে না। বড় একটা শপিং মলের সামনে এসে থামে। দুজন মলের ভিতরে যায়।

আমরা শপিং ঘুরছি, বলতে গেলে আমি শুধুই গুরছি। ফারহান আমার জন্য পছন্দ করছে, ওনিই কিনছে। অবশ্য যা কিনছে সে গুলো মন্দ না৷ আমার ভালোই লাগছে।

রাইসা,,,,,,,,,, হ্যালো ফারহান।

রাইসাকে দেখে মেজাজটাই খারাপ হয়ে যায়। তার থেকে বড়ো কথা উনাকে দেখে আমার বেশ লজ্জা লাগছে৷ ফারহানের দিকে তাকাতে পারছি না, লজ্জায়। কারন ওনি পোশাকই এমন পড়েছে। শরীরে ৭৫% দেখা যাচ্ছে।

ফারহান,,,,,,,,, ও হ্যালো। আপনি এখানে।

রাইসা,,,,,,, কাল এক জায়গা যাচ্ছি তো, তাই শপিং করতে এলাম। তোমরাও বুঝি শপিং করতে এসেছো।

ফারহান,,,,,,,, হুমম।

রিমি,,,,,,,,, (দেখ দেখ কি সুন্দর করে কথা বলছে রাইসার সাথে, একটু লজ্জাও লাগছে না, বেশরম) হ্যালো রাই __সা আপু।

রাইসা,,,,,,,, আপু কে আপু,ডোন্ট কল মি ডেট।

রিমি,,,,,,,,,, আপনি আমার থেকে বড়ো, আপু ডাকবো না তো কি ডাকবো,, আপুু।

রাইসা,,,,,,,,, কল মি রাইসা,, অনলি রাইসা, নট আপু।

রিমি,,,,,,,, ওকে আপু।

রাইসা,,,,,,,, অহহহ,,, তা তুমি এখানে কি করো।

রিমি,,,,,,,,, শপিং মলে তো খেলতে আসবো না, শপিং করতেই আসবো।

রাইসা,,,,,, কি কি কিনলে।

রিমি,,,,,,,, জানি না, সব ফারহান পছন্দ করে কিনে দিচ্ছে।

রাইসা,,,,,,,,,, কেনো তোমার টাকা নেয়,, আমাকে দেখো আমি নিজের কামানো টাকা দিয়ে ড্রেস কিনছি।

ফারহান,,,,,,,,,,, রিমির কাজ করার কোনো দরকার নেয়।

রিমি,,,,,,,,, আমার কাছে এতো টাকা আছে যা তুমি ভাবতেও পারবে না। আর এতো থাকতে আমার রোজগার করার কি দরকার।

রাইসা,,,,,,,,, হেহহ আচ্ছা কতো আছে শুনি।

রিমি,,,,,,,, তোমার তো এক কোম্পানি আমার তো তিন তিনটা কোম্পানি। তার মধ্যে আমার এক ভাই আবার নাম করা সিঙ্গার।

রাইসা,,,,,,,,, তিনটা কোম্পানি মানে।

রিমি,,,,,,,, একটা তো আমার বাবার,, আরেকটা আরাব ভাইয়ার আরেকটা ফারহানের। তাড়া আমাকে এতো ভালোবাসে না যদি আমি বলি এটা আমার নাম করতে এক মিনিটও ভাববে না।

আরাব,,,,,,,,, কিরে তোরা এখানে।

ফারহান,,,,,,,,,, শপিং করতে এসেছি। তুই আর মুন এখানে,,

মুন,,,,,,,, মা আমাকে জোর করে পাঠিয়েছে।

আরাব,,,,,,,, আমিও নিজের ইচ্ছে আসি নি।

রাইসা,,,,,,,,, তুমি আরাব তাই না। রিমি বলছিলো সে বললে নাকি তোমার কোম্পানি ওর নাম করে দিবে।

আরাব,,,,,,,, ঠিক বলেছে। তাছাড়া আমাদের যা কিছু আছে সব ওরি তো।

রাইসা,,,,,,,,, কি ও তো তোমার আপন বোন না, মামাতো বোন।

আরাব,,,,,,,,, কিন্তু আমি কখনো ওকে মামাতো বোন ভাবিনি,, ও আমার নিজের বোনের থেকেও বেশি।

রিমি,,,,,,,,, ভাইয়া ও বলছিলো আমি কাজ করি না কেনো।

আরাব,,,,,,,,,,, তুই কাজ করে কি করবি। চুপচাপ নিজের লাইফ ইনজয় কর। তোর কাজ করা লাগলে আমরা আছি কি করতে।

রাইসা,,,,,,,,, আমি আর নিতে পারছি না। ফারহান বাই।

রাইসা চলে যায়।

রিমি,,,,,,,,,,, ডায়লগ গুলো বড়ো ছিলো কিন্তু বলতে বেশ মজায় লেগেছে। থেংস ভাইয়া আমার কথায় তাল মিলানোর জন্য।

আরাব,,,,,,,,, হুমম, কিন্তু তুই ভুল কিছু বলিসনি, আমার ছোট বোনের জন্য জান ও দিতে পারি কোম্পানি কি জিনিস।

রিমি,,,,,,,,,, থেংকিউ,,,, আর অনেক গুলো লাভ ইউউ (জরিয়ে ধরে)

মুন,,,,,,,,,,(মনের দিক দিয়ে একটু একটু ভালো দেখা যায়)

ফারহান,,,,,,,, আমিও তোর জন্য জান দিতে পারি।

রিমি,,,,,,,,, এতো জান আমার লাগবে না।

আরাব,,,,,,,,, যেটা ভাবছিলে পাবে সেটা ভাই তোর কপালে নেয়৷

ফারহান,,,,,,,,,, চুপচাপ চল আরো কেনা কাটার বাকি আছে (রাগে)

সবাই শপিং করে বাসায় চলে আসে। রিমান গানের কোনস্টে গেছে। ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যায়। এসে বেগ সব গুছিয়ে আরামে শুয়ে ফোন দেয়, মাহুয়াকে।

মাহুয়া,,,,,,,,, আজকে সারা দিন ফোন দিলে না যে।

রিমান,,,,,,,,,, ওহহ মিস করেছো বুঝি আমাকে৷

,,,,,,,,,, হুহহ বয়েই গেছে আপনাকে মিস করতে। সারা দিন জ্বালালেন না, তাই অভাক হলাম আরকি।

,,,,,,,,,, আজ প্রচুর বিজি ছিলাম তাই সময় পাই নি। তিন দিনের কাজ এক সাথে করলে যা হয় আরকি।

,,,,,,,, তাহলে ঘুমান।

,,,,,,,,,, সমস্যা নেয়,, আমনিতেও কাল বিকেলে বের হবো। সকালে তো আর না। কাল দুপুরে উঠবো যাতে ঘুমাতে না পারলেও কোনো সমস্যা না হয়৷

,,,,,,,,,, তা এখন কি কাজে ফোন দিয়েছেন।

,,,,,,,, তোমার কন্ঠ শুনার জন্য। আচ্ছা তুমি একটু মিষ্টি করে কথা বলতে পারো না।

,,,,,,,,,,, না আমার কথা জ্বাজালোই হয়৷

,,,,,,,,, আমিও জ্বাল পছন্দ করি। আচ্ছা বাবা কেমন আছে।

,,,,,,,,, কার বাবা।

,,,,,,, তোমার বাবাই আমার বাবা।

,,,,,,,,,, তোমার মনে হচ্ছে একটু বেশিই ফাস্ট হয়ে যাচ্ছে।

,,,,,,,,, আমি স্লো পছন্দ করি না।

,,,,,,,, বাবাই ভালো আছে, বাবাই এর মেয়েও ভালো আছে। এখন আমি রাখি, কারন আমার তো অনেক ঘুম পাচ্ছে।

,,,,,,,, কিন্তু আমার তো, ঘুম না হারাম হয়ে গেলো।

,,,,,,,,, তাহলে বসে বসে জিকির করেন। বাই।

,,,,,,,,,, এই শুনো,, কাল চুপচাপ আমার পাশে এসে বসে পড়বে।

,,,,,,,,, হেহহহ কেনো,বসবো না আমি।

,,,,,,,,,,,, ভয় পাচ্ছো নাকি, আমার পাশে বসলে যদি আমার প্রেমে পড়ে যাও।

,,,,,,, কেনো আপনার পাশে বসলে কি এমন হবে।

,,,,,,,, তাহলে ভয় পাচ্ছো কেনো।

,,,,,,,,, আমি কাওকে দেখে ভয় পায় না, ঠিক আছে কাল আপনার পাশেই বসবো।

বলে ফোন রেখে দেয়।

রিমান,,,,,,,,, আল্লাহ দয়া করে এই মেয়ের মনটা একটু নরম করে দাও৷

পরের দিন বিকেলে,,,,

সবাই রেডি হয়ে চলে আসে। বেশ বড় দুটো বাস নিয়েছে, বাস গুলো বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। একটা বাসে জাস্ট স্টুডেন্টরা আরেক বাসে টিচার আর জিনিস পত্র।

আরাব, ফারহান,রিমান যাবে বলে মেয়েরা বেশ খুশি। যারা বলেছিলো যাবে না তারাও যাচ্ছে।

রিমান, ফারহান, আরাব তিনজন আলাদা আলাদা সিটে বসেছে। তাদের পাশের সিট খালি। কেও বসার সাহস পাচ্ছে না,, কিন্তু তাদের আশেপাশে মেয়ের অভাব নেয়। রিমি আসে, রিমি আসার সাথে সাথে ফারহান উঠে যায়।

ফারহান,,,,,,,, কই ছিলি, নিচে এতো ক্ষন কি করছিলি। যা ভিতরে ডুক।

রিমি,,,,,,,,, আমি অন্য জায়গা বসি।

ফারহান,,,,,,,,,, আরেক বার যেনো বলা না লাগে,, তাহলে কিন্তু বলবো না সবার সামনে কোলে করে বসাবো (আস্তে আস্তে)

রিমি চুপচাপ বসে পড়ে, ফারহান তার জন্য জালানার পাশে সিট রাখে।

মাহুয়া চুপচাপ এসে রিমানকে বলে।

মাহুয়া,,,,,,, বের হোন আমি জালানার সাইডে বসবো।

রিমান বের হয়, মাহুয়া ওর পাশে বসে। সবাই অভাক হয়ে শুধু দেখছে। কিছু কিছু মেয়ের বেশ হিংসে হচ্ছে।

মুন এসে আশে পাশে দেখছে, কোথাও খালি আছে কিনা, মাঝখানে আরাবের সিট দেখেও দেখছে না। পিছন থেকে সৌরভ ডাক দেয়।

সৌরভ,,,,,,,,, মুন এখানে আসো।

মুন ও যেতে থাকে। আরাব উঠে সৌরভের দিকে হিংস্র বাঘের মতো তাকিয়ে থাকে। রিমান,ফারহান উঠে সৌরভের দিকে তাকিয়ে শার্টের হাতা উপরে করতে থাকে। সৌরভ বিচারা অনেক ভয় পেয়ে যায়।

সৌরভ,,,,,,,,, মুন তুমি অন্য কোথাও যাও,, আমি ভুলেই গেছিলাম বাসে উঠলে আমার বমি বমি পায়, তোমার অসুবিধা হবে।

মুন,,,,,,,, ইউউ,, তাহলে আমি কোথায় বসবো।

রিমান,,,,,,, আরে আরাবের সিট খালি আছে তো।

মুন আর সিট না পেয়ে আরাবের সিটের কাছে যায়। মুন ভিতরে ডুকতে নেয়, তখনি বাস চেক করার জন্য একটু এগিয়ে নিয়ে যায়। মুন তাল সামলাতে না পেরে সোজা আরাবের কোলে পড়ে যায়। আরাব ও ধরে ফেলে।

দুজন দুজনার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে, আর সবাই তাদের দিকে চোখ বড় বড় করে।

আরাব চোখ সরিয়ে সবার দিকে তাকায়, সবাই সাথে সাথে অন্য দিকে চোখ ঘুরিয়ে নেয়। কিন্তু রিমান বেশরমের মতো ডেব ডেব করে তাকিয়ে আছে। তাও আবার বড়ো করে একটা হাসি দিয়ে। মুন তাড়াতাড়ি সিটে বসে৷

আরাব,,,,,,,,, ভাই চোখটা ফিরা, সিন শেষ।

রিমান,,,,,,,,,, বিনা পয়সায় মুভি দেখতে পেলে কেও কেনো ছাড়বে৷

আরাব,,,,,,,,, মুভি শেষ।

রিনা,,,,,,,, মুন তোমার কোনো সমস্যা হলে তুমি আমার সিটে বসতে পারো, আমি তোমার জায়গায় বসি।

মুন প্রথমে পিছনে ফিরে রিনার দিকে তাকায়, তারপর সোজা না করে দেয়৷

মুন,,,,,,,, না, থাক লাগবে না। থেংস এতো ভাবার জন্য।

রিনা রাগে বসে পড়ে৷

বাস চলা শুরু হয় আল্লাহর নাম নিয়ে।। কিছু ক্ষন পর শুরু হয় গান বাঝনা। সবাই জোরে জোরে গানের সাথে সাথে গান গাইছে। অনেকে গাড়ির মাঝখানে এসে ধুমতারাকা নাচছে৷ আরাব রিমান ফারহান সবার সাথে এমন ভাবপ তাল মিলাচ্ছে যে, বুঝায় যাচ্ছে না ওরা যে সিনিয়র।

আবার অনেকে গিটার নিয়ে এসেছে, অনেকে গিটার বাজাচ্ছে, তাদের সাথে মিলে রিমান ও বাজাচ্ছে, গান গায়ছে। কেও ভাবতেও পারেনি ওদের সাথে এতো আনন্দ হবে। সবাই ভেবেছে ওদের জন্য আর আনন্দ করায় হবে না।

অনেক ক্ষন গান বাজনার পর, রাত প্রায় ১২ টার দিকে সবাই ক্লান্ত হয়ে বসে পড়ে, গান বাঝনা বন্ধ করে দেয়। কারন পৌঁছাতে আর বেশি দেড়ি নেয়, পাহাড়ি এলাকার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাই গান বন্ধ করে দিয়েছে। গাড়ির লাইট বন্ধ করে, শুধু লাল নীল লাইট জ্বালানো।

সবাই বাহিরে তাকিয়ে তার সুন্দর্যো দেখছে। চাঁদের আলোই আবছা আবছা দেখা যাচ্ছে।

রিমি দেখতে দেখতে তার মাথা ফারহানের কাঁধে মিশিয়ে দেয়। কিছু ক্ষন পর ফারহানের এক হাত ধরে, বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে। ফারহান ও রিমির কাঁধে হাত দিয়ে ধরে রাখে।

,,,,,,,,,

মুন জালানায় মাথা ঠেকিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। আরাব মুনের মুখের দিকে তাকিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন। মুনকে সে ভালোকরে দেখছে। তার চোখ, ঠোঁট। বাস পাহাড়ি এলাকা দিয়ে যাচ্ছে তাই কিছু ক্ষন পর পর বাস ঝাকি দিচ্ছে।

মুনের মাথা জালানায় বাড়ি খেতে নেয়, আরাব সেখানে তাড়াতাড়ি হাত রাখে। কিছু ক্ষন পর, আস্তে করে মুনের মাথা নিজের কাঁধে রাখে। রেখে মুনের চেহেরার দিকে তাকিয়ে থাকে।

,,,,,,

মাহুয়া বাহিরে তাকিয়ে আছে, রিমান সবার দিকে একবার নজর দেয়।

রিমান,,,,,,,, ( সবাই কি সুন্দর কাঁধে মাথ রেখে ঘুমাচ্ছে, আমারটার চোখে কি ঘুম নাই। কেমন টক্কর মেরে চেয়ে আছে) মাহু তোমার ঘুম ধরছে না

মাহুয়া,,,,,,,,,,, একটু ও না।

রিমান,,,,,,,, (ওর ঘুম না আসুক, আমি তো ঘুমের ভান ধরে ওর কাঁধে মাথা রাখতেই পারি।)

রিমান ঘুমের ভান ধরে মাহুয়ার কাঁধে মাথা রেখে আবার চমকে উঠে যায়।

রিমান,,,,,,,, আআআ,,এটা কি (গালে হাত বুলাতে বুলাতে)

মাহুয়া তার কাঁধে একটা পিন রিমানের দিকে মুখ করে রেখে দেয়।

মাহুয়া,,,,,,,,যাতে তুমি ঘুমের মাঝখানে আমার কাঁধে মাথা রাখার ভুলটা না করো।

রিমান,,,,,,,,, (আল্লাহ কই তুমি) রাখবো না মাথা।

মাহুয়া হেসে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে, প্রতেকটা কোনা কোনা দেখছে। আর বার বার রিমানকে ডেকে এটা ঐটা দেখাচ্ছে।

রিমান,,,,,,,,,, (এতো ভালো তো তুমি আমার কাধে মাথা রাখলেও লাগতো না, মনে হচ্ছে মেয়েটা প্রকৃতির খুব কাছের,প্রকৃতি দেখতপ খুব ভালো বাসে)

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,