you are only mine Part-07

0
6377

#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)

#Maishara_Jahan
Part………….7

রিমান,,,,,,,,,, (এতো ভালো তো তুমি আমার কাধে মাথা রাখলেও লাগতো না, মনে হচ্ছে মেয়েটা প্রকৃতির খুব কাছের,প্রকৃতি দেখতে খুব ভালো বাসে)

রাত ২ঃ৩০ এর দিকে আমরা হোটেলে পৌঁছে যায়। সময়টা আমার খুব ভালো কেটেছে। কখন যে পৌঁছে গেছি বুঝতেই পারিনি।

সবাই আস্তে আস্তে বের হচ্ছে। কেও কেও এক্সাইটেড হয়ে লাফা লাফি করে নামছে৷ আবার কেও কেও ঘুমে ঘুমে। সবার কথার আওয়াজে মুনের ঘুম ভেঙে যায়।

সে নিজেকে আরাবের কাঁধে দেখে, আবিরকে একটা ধাক্কা দেয়।

মুন,,,,,,,,, সাহস কি করে হলো আমার কাছে আসার হুমম।

আরাব,,,,,,, এক্সকিউজ মি, আমি আপনার না আপনি আমার কাঁধে শুয়ে ছিলেন।

মুন,,,,,,,, তাহলে আমাকে সরিয়ে দিতেন, বা ডাক দিতেন। কেনো ভালো লাগছিলো বুঝি, একটা মেয়ে পাশে বসেছে।

আরাব,,,,,,,, আমার তো জানি না, তবে তোমার তো খুব ভালো লাগছিলো আমার কাছে বসে, তাই তো একদম কাঁধেই শুয়ে পড়লে।

মুন,,,,,,,,, ইউউ

রিমান,,,,,,,,,,, রাত আড়াইটা বাঝে, থামরে বাবা তোরা।

আরাব,,,,,,,(একে তো একটানা একিভাবে গাঢ় তেরা করে বসে ছিলাম, যাতে আরামে ঘুমাতে পারে, তারপরেও কথা শুনাচ্ছে, ইশশ গাঢ়টা ব্যাথা করছে)

রিমান,,,,,,,,,ও ফারহান অনেক হয়ছে হুমম এবার আমার বোনকে ছেড়ে ওকে ঘুম থেকে ওঠা।

ফারহান,,,,,,,,,, আমি তোর বোনকে না তোর বোন আমাকে ধরে আছে,, এতো ডাকছি তাও উঠছে না।

রিমান,,,,,,,,, ফিসফিস করে ডাকলে জীবনেও উঠবে না। ঐ রিমি ঐ,, উঠ রিমি এসে গেছি আমরা (রিমিকে ঝাকিয়ে) এ দেখি মরার মতো ঘুমাচ্ছে। ঐ ঐ ঐ (জোরে জোরে ঝাঁকিয়ে)

রিমি একটু একটু চোখ খুলে।

রিমি,,,,,,,,,,, কে আপনারা, আমাকে ডাকছেন কেনো। (বলে আবার ঘুমিয়ে পড়ে)

রিমান,,,,,,,,, কে আপনারা মানে,, মাথা নষ্ট হয়ে গেছে নাকি,,, ঐ রিমি উঠ।

এতো ডাকা ডাকির পড়েও কাজ হচ্ছে না।

আরাব,,,,,,,,,, রিমিকে উঠিয়ে নিয়ে যা, হোটেলে শুয়িয়ে দে।

ফারহান,,,,,,,, ঠিক বলেছিস। (ফারহান উঠাতে নেয়)

রিমান,,,,,,,,, ও ভাই থাম,, আমার বোনকে আমি নিয়ে যেতে পারবো।

রিমান রিমিকে কোলে উঠিয়ে গাড়ি থেকে নামে। হোটেলের চাবি আনতে যায়,, সেখানের কর্মকর্তারা রিমানের দিকে তাকিয়ে আছে।

ম্যানেজার,,,,,,,, কি হয়েছে এনার, অসুস্থ নাকি।

রিমান,,,,,,, না ঘুমিয়ে গেছে।

ম্যানেজার,,,,,, ওও দেখে তো মনে হচ্ছে ম,,,,

রিমান,,,,,,,,, শালা টাকলা (রিমির পা দিয়ে ম্যানেজারের গায়ে মেরে)

ম্যানেজার,,,,,,,, সরি স্যার,,, এনি আপনার কি হয়।

রিমান,,,,,,,, আমার বোন হয়, বোন তাড়াতাড়ি চাবিটা দেন, আর দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছে না।

ফারহান চাবি নিয়ে হোটেলের দরজা খুলে, রিমান তাড়াতাড়ি রিমিকে শুয়িয়ে দেয়।

আরাব,,,,,,,, একে দেখি ঘুমের মধ্যে কেও উঠিয়ে নিয়ে গেলেও টের পাবে না।

ফারহান,,,,,,,, আরে বা, একে ঘুমের মধ্যে কিটনাপ করলেও জানতে পারবে না।

রিমান,,,,,,,, তোর কি রিমিকে কিটনাপ করার কোনো উদেশ্য আছে নাকি।

ফারহান,,,,,,,,, ওকে কেনো কিটনাপ করতে যাবো।

রিমান,,,,,,,, না তুই যেমনে বললি,, তাই মনে হলো।

মুন,,,,,,,, এক্সকিউজ মি,, আমাদের ও অনেক ঘুম পাচ্ছে, সো আপনারা এখান থেকে গেলে আমরা ঘুমাতে পারি।

রিমান,,,,,,,,, মাহুয়া তুমিও এই রুমে থাকো, আমি কথা বলে নিবো। এক রুমে তো চারজন করে তাই না, আমি কথা বলে নিবো যাতে এই রুমে আর কাওকে না ঢুকতে দেয়।

মাহুয়া,,,,,,,, ঠিক আছে।

রিমান,,,,,,, ওকে বাই।

আরাব,,,,,,,, আব্বে চল।

সবাই গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।

সকালে সবাই ৯ বাঝে ঘুম থেকে উঠে। উঠেই হই হুল্লো শুরু।

রিমি ঘুম থেকে উঠে ধুম মেরে বসে থাকে, মাহুয়া আর মুন তার দিকে তাকিয়ে থাকে৷ কিছু ক্ষন পর রিমি কথা বলে।

রিমি,,,,,,,, আমি এখানে আসলাম কিভাবে। কোথায় এটা, কোথায় আমি৷

মুন,,,,,,, আল্লাহ,, রিমি তুই হোটেলে, রাতে তোর ঘুম কিছুতেই ভাঙছিলো না তাই রিমান তোকে কোলে করে এনে দিয়ে গেছে।

রিমি,,,,,,,,, একটু ভালো করে ডাক দিলেই হতো।

মাহুয়া,,,,,,,,, এর থেকে ভালো করে কিভাবে ডাকে তা কারো জানা নেয়। তাড়াতাড়ি সবাই রেডি হোও, নাস্তা করে তারপর সমুদ্রে যাবো।

মুন, মাহুয়া,রিমি রেডি হয়ে নিচে নামে, যেখানে সবার খাবারের আয়োজন করেছে।

ফারহান,,,,,,,, ঘুম ভাঙছে আপনার।

রিমি,,,,,,, এমন করে বলার কি আছে।

রিমান,,,,,,,, এমন মরার মতো কে ঘুমায়।

আরাব,,,,,,,, হয়েছে এখন তাড়াতাড়ি নাস্তা কর, সমুদ্রে কখন যাবি।

হোটেল থেকে সমুদ্র বেশি দূরে না, তাই ওরা ১১ টার দিকে সমুদ্রে পৌঁছে যায়। সমুদ্র দেখতেই সবাই সমুদ্রের দিকে দৌড় দেয়।

সমুদ্রে এতো বেশি ভিড় নেয়,, তবে হালকা পাতলা মানুষ আছে। সবাই সমুদ্রে নামার আগে ছবি তুলছে।

রিমান,,,,,,, রিমি সমুদ্রে নামবি ভালো কথা কিন্তু বেশি গভীরে যাস না, এখানের বেশি যাবি না। (আঙুল দিয়ে দেখিয়ে)

রিমি,,,,,,,,, ভাইয়া তোর আঙুলটা আরেকটু দূরে নে, কারন যতোটুকু দেখাচ্ছিস সেখানে আমার হাঁটু পর্যন্ত পানি ও নেয়৷

ফারহান,,,,,,,,, চিন্তা করিস না আমি খেয়াল রাখবো।

রিমান,,,,,,,, তাহলে তুই এর কাছে থাক আমি, মাহুয়ার কাছে যায়। (আশে পাশে তাকিয়ে) মাহুয়া কোথায়।

আরাব,,,,,,,, ঐ দিকে দেখ।

মাহুয়া অলরেডি টিউব এর উপরে উঠে মাঝখানে চলে গেছে৷

রিমান,,,,,,,,, এই মেয়েটা এতো দূরে কি করে।

রিমান তাড়াতাড়ি মাহুয়ার কাছে যায়। আরাব মুনের কাছে যায়।

মুন,,,,,,,, আপনি এখানে কি করেন।

আরাব,,,,,,,, তোমার মা তোমার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছে৷ তাই সেটাই পালন করছি।

মুন,,,,,,,,,, আমি নিজের খেয়াল রাখতে পারি।

আরাব,,,,,,, আরে তুমি তোমার মতো ইনজয় করো না, আমি কি ধরে রাখছি, শুধু আমিও একটু আশেপাশেই থাকবো।

,,,,,,,,

রিমান,,,,,,,,,, ফারহান আমার জন্যেই একটা ওয়াটার টিউব নিয়ে আসো না। আমিও এর উপরে বসে পানিতে ভাসবো। আর গোলাপি রঙের আনবে।

ফারহান,,,,,,,,, ঠিক আছে, আমি না আসা পর্যন্ত এখানেই থাকবি।

রিমি,,,,,,, হুমমম।

ফারহান টিউব নিয়ে আসে। রিমি এর উপরে বসে, ফারহান টিউব ধরে ঘুড়াচ্ছে, এদিক থেকে সেদিক নিয়ে যাচ্ছে। ওদের হাসি থামছে না। অনেকে ওদের থেকে কিউট কাপাল বলছে।

,,,,,,
রিমান তাড়াতাড়ি মাহুয়ার কাছে যায়। গিয়ে মাহুয়ার টিউবে ধরে।

রিমান,,,,,,,,, এই এতো মাঝখানে এসেছো কেনো।

মাহুয়া,,,,,,,,, কোথায় মাঝখানে, আমার থেকেও দূরে দূরে মানুষ আছে, তাছাড়া আমি সাঁতার পারি।

রিমান,,,,,,,, বড়ো ঢেউ এলে, সামলাতে না পাড়লে।

মাহুয়া,,,,,,, আরে কিছু হবে না,,, ইনজয় করো না।

রিমান আর মাহুয়ার ইনজয় করছে, অনেক বার ঢেউয়ে পড়ে যাচ্ছে আবার উঠছে।

,,,,,,,,
মুন ও ফুল ইনজয় করছে তার বন্ধুদের সাথে, আর তার পাশে থেকে আরাব ও ইনজয় করছে আর মুনকে দেখছে।

অনেক ক্ষন পড়ে তিন জুটি একসাথে হয়, তাড়া সবাই একসাথে মজা করছে। বেশ অনেক ক্ষন পরে সবাই কিনারে আসে। কিনারে এসে সবাই বালুতে বসে পড়ে।

রিমি,,,,,,,, এতো ক্ষন খুঁজলাম একটা ঝিনুক তো দূরের কথা শামুক ও পেলাম না।

ফারহান,,,,,,,,, হুহহ তোর মতো ঝিনুক পাগল আরো অনেক আছে। এতো লেইট করে আসলে একটাও পাবি না। সকাল সকাল আসলে পেতে পারিস৷

রিমি,,,,,,,, কাল সকাল সকাল আসবো।

রাইসা,,,,,,,,,, হায় ফারহান।

সবাই তাকিয়ে দেখে মডেলের মতো ড্রেস পড়ে রাইসা দাঁড়িয়ে আছে।

রিমি,,,,,,,,, (এই শাক চুন্নি এখানে কি করে, আর কিসব ড্রেস পড়ে)

ফারহান,,,,,,,,, তুমি এখানে।

রাইসা,,,,,,,, হুমম আমিও কক্সবাজারে এসেছি ঘুরতে। আমি তোমাকে কখন ধরে খুঁজছিলাম। চলো না আমরা পানিতে যায়।

রিমি,,,,,,,,,, আমরা এখনি পানি থেকে উঠে আসলাম, আরো ভিজলে ঠান্ডা লেগে যাবে। এখন ফারহান সোজা হোটেলে যাবে।

রাইসা,,,,,,,,, ফারহান এতো আশা করে এসেছি সমুদ্রের মাঝখানে যাবো, আর আমি তো সাঁতার পারি না, তুমি আমাকে নিয়ে যাবে না।

মুন,,,,,,,,,, আরো আগে আসলেই তো পারতে, এতো লেইট করে আসলে কেনো।

মাহুয়া,,,,,,,, আরে দেখছো মেকাপ করতে করতে হয়তো সকাল থেকে বিকেল হয়ে গেছে।

রাইসা,,,,,,,,এক্সকিউজ মি,, এটা আমার নেচেরাল বিউটি।

মাহুয়া,,,,,,,, হাহাহা জোকটা সেই ছিলো।

রাইসা,,,,,,,, হে ইউ

রিমান,,,,,,,, মাহুয়াকে মাফ করে দেন, আসলে ও একটু সত্যি কথা বেশি বলে।

রিমি,,,,,,,, চলো চলো, ফারহান ২ টা বেঝে গেছে অনেক ক্ষুধা লাগছে।

রিমি কোনো মতো ফারহানকে টেনে নিয়ে যায়। সবাই হোটেলে গিয়ে গোসল করে, দুপুরের খাওয়া শেষ করে। বিকেলে আবার সবাই রেডি হয়ে যায়,, ঘুড়তে যাবে বলে।

রিমান, আরাব, ফারহান, প্যান্ট আর কালো শার্ট পড়ে, সবার শার্টের দুটো বোতাম খুলা। কালো সানগ্লাস পরে আসে। মুন আর রিমি সাদা টপ পড়ে। আর মাহুয়া প্যান্ট গেনজি তার উপর জেকেটের মতো শার্ট পড়ে।

রিমি,,,,,,,,, আচ্ছা তুমি সব সময় এমন ড্রেস পড়ো।

মাহুয়া,,,,,,,,, হুমম।

মুন,,,,,,,,,, এতোটাও খারাপ লাগে না, ভালোই লাগে।

সবাই মিলে কয়েকটা গাড়ি ভাড়া করে। গাড়ির ছাদ নেয়, আরামে দশ বারো জন বসতে পারবে। আর সেখানে এসব গাড়ি করেই সবাই আনন্দে ঘুরতে যায়।গাড়িতে উঠার সময় রাইসা এসে হাজির।

রাইসা,,,,,,,, তোমাদের সাথে আমিও যাবো।

রিমি,,,,,,,, তুমি এখানে।

রাইসা,,,,,,, হুমম আমিও এই হোটেলে উঠেছি।

সবাই গাড়িতে উঠে, দুসাইডে লম্বা করে দুটো সিট। শেষ দিকে মাহুয়া বসে, তার সাইডে রিমান, তার পরে আরাব তার পরে মুন, মুনের পরে রিমি বসে। আর অপর সাইডে শেষে রাইসা বসে, তারপরে ফারহান তারপর রিমি তারপরে রুবি বসে।

রিমি,,,,,,,,, আর জায়গা পেলেন না বসার জন্য, ইচ্ছে করে মাঝখানে বসেছেন।

ফারহান,,,,,,,,,, আরে অদ্ভুত আমি আগে এসে বসেছি,পরে ও এসে বসলে আমি কি করবো।

গাড়ি ঠিক যাচ্ছিলো, কিছু ক্ষন পরে গাড়ি ঝাকি খাওয়া শুধু। কারন পরের রাস্তা পাথরে ভরপুর। সবাইকে সাবধানে বসতে বলা হয়। কারন গাড়ি দূত চলবে।

রিমান,,,,,,,,, ফারহান রিমির খেয়াল রাখিস পড়ে যাতে না যায়।

আরাব,,,,,,, রিমি আর রুবি তোমরা একদম সামনে বসেছো ভালো করে লোহায় দরে বসো।

রিমি,,,,,,,,, হাউ সুইট আরাব, আমাদের কথা ভাবার জন্য।

মুন আরাবের দিকে চোখ ছোট করে তাকায়। আরাব কি হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছে না। গাড়ি জোরে চলা শুরু করে, রিমান মাহুয়ার সাইডে হাত দিয়ে মাতার সাইডে ধরে রেখেছে যাতে বারি না খায়। আরেক হাত উপরে রডে ধরে রেখেছে।

মাহুয়া,,,,,,,,,(এতো খেয়াল আমার বাবা ছাড়া আর কেও রাখেনি)

ফারহান একহাত দিয়ে রিমির কাঁধে ধরে রেখেছে, আরেক হাত দিয়ে উপরের রডে। আর রাইসা ফারহানের শার্ট আকড়ে ধরেছে।

রিমি,,,,,,,,,, ছাড়েন রাইসাকে,,

ফারহান,,,,,,,, আরে আমি তোকে ধরেছি, আমার হাত কি দশটা,, ও ধরেছে আমার শার্ট।

রিমি,,,,,,,, কেনো ধরবে।

ফারহান,,,,,, আমি জানি, থাকনা তুই চুপচাপ বসে থাক।

রিমি,,,,,,,,, আপনার হাত যেনো এদিকেই থাকে অন্য কোথাও গেলে খবর আছে।

গাড়ি জোরে চলাতে মুন আরাবের হাত আঁকড়ে ধরেছে, আরাব ও কিছু বলেনি।

আরাব,,,,,,,(এখন যদি আমি ভালো করে ধরতে যায়, তাহলেই শুরু হয়ে যাবে মহা রানীর প্রবচন)

কিছু ক্ষন পরে গাড়ি এসে থামে, হিমঝুড়িতে। এখানে ঝড়না আছে আর অনেক ছোট বড় পাথর। সবাই গাড়ি থেকে নামে।

রাইসা,,,,,,,,, অফফ সব থার্ডক্লাস গাড়ি।

মাহুয়া,,,,,,,,, থাহলে উঠলে কেনো।

রিমি,,,,,,,, (হুহহ কেনো আবার ভাব দেখাতে)

সবাই সেখানে ছবি তুলতে ব্যাস্থ। মাহুয়া একটা উঁচু টিকা আছে, সেখানে উঠছে। রিমান তার পিছন পিছন যাচ্ছে।

কিছু ক্ষন গিয়ে একটা পাথরের উপরে বসে, রিমান ও সেখানে গিয়ে বসে।

মাহুয়া,,,,,,,,, এখান থেকে দেখো কি সুন্দর লাগছে। সবাই ছবি তুলতে ব্যস্থ কিন্তু তাড়া আসল মজাটাই বুঝেনা। কয়েকটা ভালো ছবি তুললেই হয়, পড়ে ইনজয় করো। না গ্যালারি ভরে পিক তুলা লাগবে। দেখো এখান থেকে সুন্দর লাগছে না।

রিমান,,,,,,,,, হুমম আসলেই খুব সুন্দর (মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে)

মাহুয়া রিমানের দিকে তাকায়।

মাহুয়া,,,,,,,, চোখটা গুড়ালো আরো সুন্দর জিনিস দেখতে পারবেন। আচ্ছা রিমান আমার মধ্যে এমন কি আছে, যার জন্য আপনি আমাকে পছন্দ করেন।

রিমান,,,,,,, কে বলেছে আমি তোমাকে পছন্দ করি।

মাহুয়া ব্রু কুঁচকে তাকায়।

মাহুয়া,,,,,,,, করেন না বুঝি।

রিমান,,,,,,,,, না আমি তোমাকে পছন্দ না ভালোবাসি।

মাহুয়া রিমানের দিকে তাকিয়ে, একটা লম্বা নিশ্বাস ছেড়ে, অন্য দিকে তাকিয়ে বলে,,

,,,,,,কেনো।

,,,,,,,,, জানি না, তোমাকে দেখেই শুধু আমার হার্ট বির্ড বেড়ে গেছিলো, চোখ আটকে গেছিলো, মনে হয়েছিলো তোমাকে ছাড়া আমার জীবন শূন্য, এমন আর কাওকে দেখে মনে হয়নি। সাধারণত এটাকেই ভালোবাসা বলে।

মাহুয়া,,,,,,,, চলেন নিচে যায় সবাই অপেক্ষা করছে।

রাইসা ফারহানের পিছাই ছাড়ছে না, যেখানে যায় শুধু রাইসা পিছনে লেগে থাকে। এবার তো রিমির প্রচুর রাগ উঠে। রাইসা পড়ে যাওয়ার বান করে ফারহানকে জরিয়ে ধরে।

রিমি তাড়াতাড়ি গিয়ে রাইসাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।

রাইসা,,,,,,,,, ইউউ ইডিয়েট।

ফারহান,,,,,,,, আরে কি করলি।

রিমি,,,,,,,,, বেশ করেছি চলেন আমার সাথে।

রিমি রাগে ফসফস করতে করতে ফারহানকে নিয়ে যায়। একটু ফাঁকা জায়গা দেখে ফারহান রিমির হাত ধরে টান দিয়ে বড়ো পাথরের দেওয়ালের আড়ালে রিমিকে দেওয়ালের সাথে মিশিয়ে দাঁড় করায়।আর ফারহানের এক হাত দেওয়া রাখে। রিমির চোখের দিকে তাকিয়ে বলে,,,

ফারহান,,,,,,,,, এতো রাগ কেনো তোর চোখে।

,,,,,,,,,থাকবে না কেনো, ঐ রাইসার সাথে ঘেঁষে ঘেঁষে কথা কেনো বলছিলেন শুনি।

,,,,,,,,, হুমম তাতে তোর এতো রাগ হচ্ছে কেনো।

রিমির কাছে গিয়ে, রিমি শক্ত করে দাঁড়িয়ে আছে। ফারহানের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।

,,,,,,,,,,,, ভালোবাসিস আমায়।

কথাটা শুনেই আমার না জানি কেমন লাগছিলো। মনে হচ্ছে বুকে কেউ ঢোল বাজাচ্ছে। আমি শুধু চোখ দুটো বড় বড় করে তাকিয়ে আছি। মুখ দিয়ে একটা কথাও বের হচ্ছে না।

ফারহান,,,,,,,,,, আচ্ছা প্রশ্নটা উল্টিয়ে দিয়। ভালোবাসবি আমায়। কারন আমি তোকে খুব ভালোবাসি।

ওনার এই কথার কোনো জবাবা এই মূহুর্তে আমার ঠোঁট দিয়ে আসবে বলে মনে হয় না। আমার যে কেমন লাগছে সেটা আমিই নিজেই বুঝতে পারছি না।

ফারহান,,,,,,,,, ঠিক আছে, সময় নে, ভেবে চিন্তে পড়ে বলিস। এখন চল, এতো ভয় পেলে ভালো কি করে ভাসবি কে জানে।

ফারহান আমাকে সবার সামনে নিয়ে যায়, আমার মাথায় শুধু ফারহানের কথা গুলো গুড়ছে। অন্য কোনো দিকে খেয়াল নেয়।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,