#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………….10
রিমিকে বাসায় নিয়ে যায়। রিমির মা রিমিকে গোসল করিয়ে দেয়। তারপর ঔষধ খায়িয়ে শুয়িয়ে দেয়।রাত হয়ে গেছে। ঔষধ খাওয়ার সাথে সাথে রিমি ঘুমিয়ে যায়।
সকালে,,,,,,,,,
আরাব,রিমান,ফারহান, রিমি, মাহুয়া,মুন এদের ব্যাগ সকালে কয়েকটি ছেলে এসে দিয়ে যায়। আরাব ব্যাগ থেকে কাপড় বের করতে থাকে, ধুতে দিতে হবে। আরেকটা বেগ খুলতেই কতো গুলো ঝিনুক, শামুখ বেরিয়ে আসে।
আরাব,,,,,,,, এগুলো এখানে কিভাবে আসলো। পুরো ব্যাগ আমার বালু দিয়ে ভরে গেছে। এমন কাজ করার মতো কেও সাহস পাবে না একমাত্র মুন ছাড়া।
আরাব এগুলো নিয়ে নিয়ে ফেলে দিয়ে নেয়, তখনি তার মুনের সাথে কাটানো মূহুর্তের কথা মনে পড়ে যায়। ঝিনুক গুলোর দিকে তাকিয়ে নিজের অজান্তেই হেসে দেয়।
আরাব,,,,,,,,, মেয়েটা কতো আশা করে এগুলো কুড়িয়েছে। ফেলে দেওয়া কি ঠিক হবে।
আরাব ঝিনুক গুলো নিয়ে ভেসিনে ধুয়ে পরিষ্কার করে। তারপর ও গুলো মুছে, নিজের সামনের দুপকেটে রাখে। তারপর গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যায় মুনের বাসায়।
দরজার বেল বাঝাতেই মুনের মা দরজা খুলে।
রেহেনা বেগম,,,,,,,,, আরে বাবা, তুমি ভিতরে আসো।
আরাব ভিতরে ডুকে দেখে মুন তরমুজের অর্ধেকটা, বাচ্চা নেওয়ার মতো এক হাতে নিয়ে অন্য হাতে চামুচ দিয়ে খাচ্ছে। মুনের অবস্থা দেখে আরাব জোরে হেঁসে দেয়। হাসির আওয়াজ শুনে মুন চোখ তুলে তাকায়, আরাবকে দেখে মুনের হাত থেকে তরমুজটা পড়ে গিয়ে ভেঙে যায়।
মুন,,,,,,,,, আআ আমার তরমুজ (ঠোঁট বেকিয়ে)
মুন আরাবের দিকে কটমট করে তাকায়।
মুন,,,,,,, আপনি হাসলেন কেনো, আপনার কারনে আমার তরমুজটা পড়ে গেলো। আপনাকে তো আমি,,
রেহেনা বেগম,,,,,,,,, কি হুমম কি (রাগী ভাবে তাকিয়ে)
মুন,,,,,,,,, হিহিহি,, বসাবো,, আপনি দাঁড়িয়ে আছেন কেনো বসেন।
আরাব একটা হাসি দিয়ে বসে।
রেহেনা বেগম,,,,,,,, এই মেয়েকে দিয়ে কি করবো কে জানে, এতো বড়ো হয়েছে, না আছে বুদ্ধি না আছে শরীরের মধ্যে একটু স্থীর।,, বাবা তুমি বসো আমি তোমার জন্য কফি নিয়ে আসছি।
মুন,,,,,,, সকাল সকাল আপনার জন্য আমাকে কতো গুলো বকা খেতে হলো।
আরাব,,,,,,,, আমার জন্য,, এই জন্যই বলে কারো ভালো করতে নেয়।
মুন,,,,,,,, কি ভালোটা করতে এসেছেন।
আরাব,,,,,,,, হুমম কেও একজন আমার ব্যাগে কতো গুলো ঝিনুক রেখে দিয়েছে৷ আপনি কি সেই বিষয়ে কিছু জানেন।
মুন,,,,,,, (কয়েকটা কাশি দিয়ে) আমি কি করে জানবো।
আরাব,,,,,,,, ওও জানো না, আমি তো ভাবলাম হয়তো তুমি রেখেছো।
মুন,,,,,,,,, কি করেছেন ঝিনুক গুলোর।
আরাব,,,,,,,,,, ফেলে দিয়েছি।
মুন দাঁড়িয়ে যায়, তারপর বলে,,,,,, কি ফেলে দিয়েছেন মানে,, কতো কষ্ট করে কুড়িয়েছিলাম। এভাবে কিভাবে ফেলে দিলেন।
আরাব,,,,,,,, তুমি তো বলেছিলে জানো না, তাহলে এতো রাগের কোনো কারন দেখতে পারছি না।
মুন,,,,,,, যায় হোক ফেলেই যখন দিয়েছেন তাহলে বলতে এসেছেন কেনো।
রেহেনা বেগম,,,,,,,,, ষাড়েঁর মতো চেচাচ্ছি কেনো। (কফি নিয়ে এসে)
মুন,,,,,,,, কোথায় চেচাচ্ছি, আমি তো শুধু কথা বলছি।
আরাব,,,,,,,, আপনার মেয়ের গলায় মাইক লাগানো আছে, কথা বললেও মনে হয় চেঁচাচ্ছে। ( মুনের দিকে তাকিয়ে কফি খেতে খেতে)
মুন মুখ ফুলিয়ে বসে আছে।
রেহেনা বেগম,,,,,,,,, আরাব বাবা কি কারনে আসা হলো।
আরাব,,,,,, আন্টি এমনি মুনের সাথে কিছু কথা ছিলো।
রেহেনা বেগম,,,,,,,,, ঠিক আছে, তোমরা কথা বলো।
মুন,,,,,,,, আর কি বলার বাকি আছে।
আরাব একটা লম্বা নিশ্বাস ফেলে বলে,,,,, যাক তোমাকে আর বিরক্ত করবো না।
আরাব পকেট থেকে বের করে ঝিনুক গুলো টেবিলে রাখে। মুন দেখে খুশিতে লাফাতে থাকে।
মুন,,,,,,,, আপনি এগুলো ফেলেননি। Thank you, Thank you.
আরাব,,,,,,,(এগুলো পেয়ে এতো খুশি হওয়ার কি আছে কে জানে,, এটা শুধু মেয়েরাই বলতে পারবে) আচ্ছা এখন আমি আসি।
মুন,,,,,,, আচ্ছা রিমি কেমন আছে।
আরাব,,,,,,,, কাল তো ভালোই ছিলো,, এখন ওকে দেখতে যাবো।
মুন,,,,,,,, আমি ও যাবো,, রিমিকে দেখতে।
আরাব,,,,,,,,, ঠিক আছে চলো তাহলে।
মুন তার মাকে বলে আরাবের সাথে বেরিয়ে পড়ে। কিছু ক্ষন পর বাসায় পৌঁছে যায়। গেটের সামনে এসে দেখে মাহুয়া দাঁড়িয়ে আছে।
মুন আর আরাব বের হয়।
মুন,,,,,,,, আরে মাহুয়া তুমি এখানে।
মাহুয়া,,,,,,,, হুমম আমি রিমিকে দেখতে এসেছি, কিন্তু যাবো কিনা ভাবছি।
আরাব,,,,,,,, যাবে না কেনো চলো। আমরাও রিমিকে দেখতে এসেছি।
আরাব, মুন,মাহুয়া ভিতরে যায়।
আরাব,,,,,,,,, তোমরা বসো, আমি সবাইকে ডাকছি।
উপর থেকে রিমান নামে,, মাহুয়াকে দেখে এক লাফ দিয়ে নিচে নামে।
রিমান,,,,,,,, আরে তুমি এখানে। কেনো (আশপাশে তাকিয়ে)
মাহুয়া,,,,,,,,, কেনো আমি এখানে আসলে তোমার কি কোনো সমস্যা (ব্রু কুঁচকিয়ে)
রিমান,,,,,,,, না, তুমি একবার কেনো সারা জীবন এখানে থাকো, কোনো সমস্যা নেয়, তবে নিজের শশুর বাড়ি কেওকি এভাবে শার্ট প্যান্ট পড়ে আসে, তাও আমার প্রথম দিন।
মাহুয়া,,,,,,,, আমি তো এগুলো পড়েই থাকি।
রিমান,,,,,,,, হ্যাঁ কিন্তু মা বাবা প্রথমেই এভাবে দেখলে কি ভাববে বলোতো।
রিয়াদ খান,,,,,,,,, কে কি ভাববে।
রিমান পিছনে তাকিয়ে দেখে তার মা বাবা দাঁড়িয়ে আছে।
রিমান,,,,,,,,, কি আর ভাববে,, কেও কিছু ভাববে না।
মা,,,,,,,,, এই মেয়েটা কে চিনলাম না তো (মাহুয়াকে উদ্দেশ্য করে)
মাহুয়া,,,,,,,, হ্যালো আংকেল আন্টি, আমি রিমির ফ্রেন্ড মাহুয়া।
রিমান,,,,,,,, (আরেরে সালাম না দিয়ে হ্যালো বলছে,হয়েছে আমার বিয়ে)
মা,,,,,,,,, ওও রিমিকে দেখতে এসেছো বুঝি, ঠিক আছে বসো, আমি তোমাদের জন্য নাস্তা নিয়ে আসছি।
সবাই বসে,, তখন ফারহান আসে।
ফারহান,,,,,,,,, আরে সবাই চলে এসেছে, আমিই মনে হয় লেইট। আরে মাহুয়া তুমি, রিমান তুই কি মাহুয়ার সম্পর্কে সব কিছু জানিয়ে দিয়েছিস বাসায়।
রিমান,,,,,,,,,, তোর আসাটাই বাকি ছিলো। (রাগে)
রিয়াদ খান,,,,,,,,, কি জানানোর আছে।
রিমান,,,,,,,, এটাই যে ও রিমির ফ্রেন্ড।
আরাব,,,,,,,,,, শুধু কি রিমির ফ্রেন্ড রিমান (বড় করে হাসি দিয়ে)
রিমান,,,,,,,, ওও তুই ও বাকি আছস (শালা) ও শুধু রিমির না মুনের ও ফ্রেন্ড।
রিয়াদ খান,,,,,,,,,, কিছু তো একটা গন্ডো গোল লাগছে। মনে হয় একটু একটু বুঝতে পেরেছি।
রিমান,,,,,,,, কি গন্ডোহোল বাবা,সব ঠিকি তো আছে।
রিয়াদ খান,,,,,,, তুই এতো লাফালাফি করছিস কেনো। আমি তোকে কিছু বলছি। মাহুয়া মা, তোমার বাবা মা কি করে।
মাহুয়া,,,,,, আমার বাবা ইন্জিনিয়ার, আর মা নেয়।
মা,,,,,,,, নেয় মানে।
মাহুয়া,,,,,,,,, আমি ছোট থাকতেই তিনি মারা গেছে।
মা,,,,,,,,, ওহহ আম সরি মা।
মাহুয়া,,,,,,,, না না আন্টি ইটস ওকে।
মা,,,,,,,, আচ্ছা তোমার কি খেতে ভালো লাগে বলো, আমি ঐটাই করে দিচ্ছি।
মাহুয়া,,,,,,, আমার একটা হলেই হলো।
মা,,,,,,,, আচ্ছা তুমি সবচেয়ে বেশি কি ভালো করে রান্না করতে পারো,, যার যেটা সবচেয়ে প্রিয় সে সেটা ভালো করে রান্না করতে পারে।
মাহুয়া,,,,,,,,, আমি তো নুডুস ছাড়া আর কিছুই রান্না করতে পারি না, তবে এটা আমার সব থেকে প্রিয় না (মাথা চুলকিয়ে)
রিমান,,,,,,,,, (এটা বলার কি দরকার ছিলো,হয়েছে আমার বিয়ে)
মা,,,,,,, আচ্ছা আমি তোমার জন্য না হয় পাস্তা বানিয়ে আনি।
আরাব,,,,,,,,, ফুপ্পি আমরাও আছি।
মা,,,,,,, তোরা তো প্রতিদিনি আসিছ। মুন মা তুমি কি খাবে।
মুন,,,,,,,, আমার জন্য ও পাস্তা।
মা,,,,,,,, ঠিক আছে।
রিয়াদ খান,,,,,,, আচ্ছা মা, কি খেতে ভালোবাসো সেটা বাদ দাও, কি করতে ভালোবাসো সেটা বলো।
ফারহান,,,,,,,, মারামারি করতে (হেঁসে)
রিমান,,,,,,,,, (শালা সবাই আজ আমার বিয়ে ভাঙার পিছনে লেগেছে)
মাহুয়া,,,,,,,, তেমন কিছু না,, তবে আমার মারামারি করতে বেশ ভালো লাগে, ফারহান ঠিকি বলেছে, কেরাটে শিখেছি আমি।
রিমান,,,,,,,,,, (আল্লাহ উঠিয়ে নাও আমাকে)
মাহুয়ার জবাব শুনে রিয়াদ খান রিমানের দিকে তাকায় রিমান ইনোসেন্ট একটা হাসি দেয়।
ফারহান,,,,,,,,, আমি রিমিকে দেখে আসি।
বলে ফারহান উঠে, সাথে সাথে আরাব,মুন,মাহুয়াও উঠে। ফারহান তাদের দিকে তাকিয়ে বলে,,,, তোরা উঠছিস কেনো৷
আরাব,,,,,,,,, আমরা এখানে বসে থাকতে আসি নি, রিমিকে দেখতেই এসেছি৷
ফারহান,,,,,,,,, (আগে মনে ছিলো না, এখন যেতে হবে)
রিমান,,,,,,,, মনে মনে আমাদের গালি দিয়ে লাভ নেয়, চল।
সবাই রিমির রুমে যায়। গিয়ে দেখে রিমি ঘুম ঘুম চোখে ডোরেমন দেখছে।
রিমান,,,,,,,, হায়রে আমার ডোরেমনরে। টিভির ভিতরে ডুকে যা। (রিমান টিভি বন্ধ করে দেয়)
আর সাথে সাথে রিমি কান্না করে দেয়, বে বে করে কান্না করছে, চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে।
রিমান,,,,,,,,, আয় হায়,, কান্না করিস না, আমি টিভি এখনি চালু করে দিচ্ছি। (রিমান তাড়াতাড়ি টিভি চালু করে)
রিমি তাও কান্না করছে, রিমান গিয়ে রিমির পাশে বসে, রিমির মাথা নিজের কাঁধে রেখে হাত বুলাতে থাকে। আর বলে,,,,,, কেনো বাবার হাতে আমাকে মার খাওয়াতে চাস,, চুপ কর পিল্জ। আমি টিভি অন করে দিছি তো।
রিমি,,,,,,,, আমি এ জন্য কান্না করছি না।
আরাব,,,,,,, তো কেনো করছিস।
রিমি,,,,,,,, জানি না কেনো আমার কান্না করতে মন চাইছিলে, কিন্তু কোনো কারন পাচ্ছিলাম না।
ফারহান,,,,,,,,,, মানে,, এটা আবার কেমন কথা।
রিমান,,,,,,,,, তোর গায়ে দেখি হালকা হালকা জ্বর।
আরাব,,,,,,,, আমি ডক্টর এর সাথে কথা বলছি।
রিমান রিমিকে ঔষধ খায়িয়ে দেয়। তারপর তাকে শুয়িয়ে দেয়।
ফারহান,,,,,,,, তোরা যা, আমি কিছু ক্ষন এখানেই থাকি।
রিমান,,,,,,,, ঠিক আছে।
সবাই চলে যায়, ফারহান রিমির পাশে বসে। তার মাথায় হাত রাখে। রিমি উঠে ফারহানের বুকে মাথা রেখে মন খারাপ করে থাকে, চোখে পানি টলটল করছে। ফারহান ও রিমিকে জরিয়ে ধরে।
ফারহান,,,,,,,,, কি হয়েছে রিমি, অনেক বেশি খারাপ লাগছে।
রিমি চুপচাপ ফারহানকে ধরে আছে কোনো কথা বলছে না, নাক টানছে আর কান্না কান্না একটা ভাব আনছে।
ফারহান,,,,,,,,,, কি হলো কথা বলতে ভালো লাগছে না, ঠিক আছে বলা লাগবে না (আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে)
,,,,,,,,,
আরাব ডক্টরের সাথে কথা বলছে। রিমান আরাবের পিছন পিছন গুড় গুড় করছে। আরাব ফোনটা রেখে দেয়।
আরাব,,,,,,, দূররর এমন করছিস কেনো।
রিমান,,,,,,,, কি বললো ডক্টর।
আরাব,,,,,,,, প্রচুর ভয়ের কারনে, এটা রিমির ব্রেনে এফেট করেছে। কিছু দিন এক দুদিন এমন হবে, পড়ে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
মুন,,,,,,,,,,,, সাইকোলজি প্রবলেম।
রিমান,,,,,,, হুহহ,,চলো সবাই নাস্তা করবে মা ডাকছে।
সবাই যায় গিয়ে নাস্তা করে।
রিমান,,,,,,,, চলো মাহুয়া আমি তোমাকে দিয়ে আসি।
মাহুয়া,রিমান, আরাব, মুন,, বাহিরে যায়। রিমান আর মাহুয়া গাড়ির ভিতর ডুকে। আরাব রিমানের গাড়ির পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। আর মুন আরাবের গাড়ির সামনে। দুটো গাড়ি এক সিরিয়ালে দাঁড় করানো।
আরাব,,,,,,,, আমার বাসায় যাবে নাকি এখন।
মুন,,,,,,,, ভাবছি যাবো, এখানে এসে আংকেল আন্টির সাথে কথা না বললে কেমন দেখায়।
আরাব,,,,,,,, ঠিক আছে চলো।
তখনি রিমান গাড়ি চালু করে পিছনের দিকে নিয়ে ব্রেক করে। আর গাড়ি আরাবের পিছনে লাগে। আরাব সোজা গিয়ে মুনের উপর পরে। মুন গাড়ির সামনে সামনের সাইডে হালকা শুয়ে পড়ে, আর আরাব মুনের দিকে ঝুঁকে তাদের ঠোঁট মিলে যায়।
আরাব মুনের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে, মুন আরাবের চোখের দিকে। কিছু খন পরে মুন আরাবকে ধাক্কা দেয়, আরাব পিছনের দিকে সরে যায়।
দুজনে অন্য দিক ফিরে তাকিয়ে আছে, কি হলো কিছু বুঝতে পারছে না। আরাব দুতিনটা ঢোগ গিলছে। মুন ঠোঁট ধরে দাঁড়িয়ে আছে। রিমান গাড়ি নিয়ে চলে যায়। তার কোনো খবর নেয়।
বেশ কিছু ক্ষন পর, নিরবতা ভেঙে আরাব বলে,,,,, চলো তোমাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি।
মুন,,,,,,, হুমম।
দুজনে গাড়িতে বসে, মুন বাহিরে তাকিয়ে থাকার বান করে আছে। মুনের বাসার সামনে আসতেই, লাফ মেরে বেরিয়ে দৌড়ে চলে যায়, একবার ফিরেও তাকায় না।
বিকেলে,,,,,,,
রিমান তার কেবিনে বসে, গিটার বাজাচ্ছে। কিছু ক্ষন পরে সে বাহিরে যায়। গিয়ে কয়েকটা টানা দেয়। গিয়ে দেখে ড.মাহি একটা ছেলের সাথে কথা বলছে। রিমান সেখানে যায়।
রিমান,,,,,,,,, ড.মাহি।
মাহি,,,,,,,,,, আপনি,,, এটা বুঝি আপনার গানের স্টুডিও।
রিমান,,,,,,,, হুমম।
ড.মাহি,,,,,,, আমি আসার সময় নাম চেক করিনি। এটা আমার ভাই, আপনার স্টুডিওতে কাজ করে।
রিমান,,,,,,,,, মাহিন মাহি তোমার বোন।
মাহিন,,,,,,,, হ্যাঁ স্যার, ও আপনার অনেক বড় ফেন, আর আপনি কি চিনেন আমার বোনকে।
রিমান,,,,,,, আমার বোনের জীবন বাঁচিয়েছে আমি চিনবো না। আপনও পিল্জ আমার কেবিনে আসেন।
মাহিন,,,,,, আপনারা কথা বলেন আমার কাজ আছে।
রিমান মাহিকে নিজের কেবিনে নিয়ে যায়। সোফায় বসায়।
রিমান,,,,,,,,,,, আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দিবো বলে বুঝাতে পারবো না।
মাহি,,,,,,,,,, কিন্তু আমি বুঝে গেছি,, আপনি আপনি আপনার বোনকে খুব ভালোবাসেন তাই তো।
রিমান,,,,,,, হুমম,,, কি নিবেন আপনি, চা, কফি।
মাহি,,,,,,,, আরে না না,, আর আপনি আমাকে তুমি করে বলেন, না হলে নিজেকে বয়স্ক বয়স্ক লাগে।
রিমান,,,,,,, ওকে ড.মাহি।
মাহি,,,,,, এখনো ডক্টর হয়নি, আরো একবছর পরে হবো, এখন স্টুডেন্ট।
রিমান,,,,,,, ওওও,,, তাহলে আপনি অনেক ভালো একজন ডক্টর হবেন দেখা যাচ্ছে।
মাহি,,,,,,, আশা তো তাই করা যায়। আপনার বোন এখন কেমন আছে৷
রিমান,,,,,,,,, ভালো আছে,,, তোমাকে তখন ধন্যবাদ জানানো হয়নি। সরি।
মাহি,,,,,,,, তখন তেমন অবস্থায় ছিলেন না আমি বুঝতে পেরেছি৷ আর আমি তো জাহাজে আপনাকে দেখেই উঠেছিলাম।
রিমান,,,,,,,, কেনো।
মাহি,,,,,,,, ফেন বলে কথা,,, ভাবলাম যদি কোনো গান গান, তাহলে সামনা সামনি শুনতে পারবো। আপনার নতুন গানটা গেয়ে শুনালে আমার অনেক ভালো লাগতো।
রিমান,,,,,,,, আপনার জন্য তো অবশ্যই গায়বো।
রিমান গিটার নিয়ে মাহির পাশে বসে গান গায়তে থাকে। কিছু ক্ষন পর মাহুয়া ভিতরে ডুকে। দরজা খুলে দেখে রিমান একটা মেয়ের পাশে বসে রোমান্টিক গান গায়ছে। মাহুয়া গিয়ে সামনে দাঁড়ায়। রিমান মাহুয়াকে দেখে উঠে দাঁড়ায়।
রিমান,,,,,,,, মাহুয়া তুমি এখানে।
মাহুয়া,,,,,,,,, কেনো আসা উচিত হয়নি বুঝি,ডিস্টার্ব করে ফেললাম নাকি৷
রিমান,,,,,,,,, ডিস্টার্ব কেনো করবে,, এনাকে দেখো ড.মাহি,, রিমির জান বাঁচিয়ে ছিলো।
মাহুয়া,,,,,,,,, ওহহ আপনি,, হ্যালো।
মাহি,,,,,,,, হ্যালো,,, রিমান এনি কে।
রিমান,,,,,,,, রিমির ফ্রেন্ড,, রিমি আমার বোন।
মাহুয়া কটমট করে রিমানের দিকে তাকায়।
মাহি,,,,,,,, ও আচ্ছা,,, থেংস আমার জন্য গানটা গাওয়ার জন্য। আমার এখন আর সময় নেয়। আরেকদিন কথা হবে বাই।
রিমান,,,,,,, ওকে সাবধানে যেয়েও।
মাহুয়া রিমানের মুখের দিকে তাকায়,, মাহি চলে যায়।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, ভাবা ভালোই তো,, ইশশ আমি এসে কাজটা ঠিক করিনি। কি বলো।
রিমান,,,,,,, আরে মাহি তার ভাইয়ের সাথে দেখা করতে এসেছিলো।এখন দেখে যদি একটা ধন্যবাদ না জানায় তাহলে কেমন লাগবে।
,,,,,,,, এখানে তো অন্য কিছুই চলছিলো।
,,,,,,,, হিংসে হচ্ছে বুঝি।
,,,,,,,,, হিংসে কেনো হবে,,,হুহহ তাছাড়া আমাকে তো কোনো দিন এভাবে গান গেয়ে শুনাও নি।
,,,,,,,,,, ঠিক আছে এখনি শুনিয়ে দিচ্ছি।
,,,,,,, লাগবে না।
রিমান বসে মাহুয়াকে টান দিকে তার কোলে বসিয়ে, গিটার তার সামনে এনে বাজাতে থাকে।
মাহুয়া,,,,,,,, আরে কি করছেন।
রিমান,,,,,,,, সুসসস
রিমান গিটার বাঝিয়ে গান গাওয়া শুরু করে। মাহুয়া চুপচাপ বসে রিমানের গান শুনে।
রাতে,,,,,,,,,,,,,
রিমির জ্বর বেড়েছে শুনে, ফারহান তাড়াতাড়ি আসে, এসে রিমির রুমে ডুকতেই ফারহানকে দেখে রিমি কান্না শুরু করে দেয়। ফারহান তাড়াতাড়ি গিয়ে রিমির হাত ধরে রিমির পাশে বসে।
ফারহান,,,,,,,,, কি হয়েছে রিমি।
রিমি,,,,,,,, (কান্না করে) জানো আমাকে এতো বড় বড় সুই দিয়েছে৷
ফারহান,,,,,,,,, তোর দেখি অনেক জ্বর,,,চিন্তা করিস না কাল সকালে একদম ঠিক হয়ে যাবে।
রিমি,,,,,,,,, আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে,কিন্তু মাথাও ব্যাথা করছে। চোখ জ্বলছে।
ফারহান,,,,,,,,, তুই এখন ঘুমা, সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি তোর মাথা টিপে দিচ্ছি।
রিমি,,,,,,,,,, তুমি কিন্তু যাবে না, আমার হাত ধরে রাখবে। না হলে আমি কান্না করে দিবো।
ফারহান,,,,,,,,,, আমি কোথাও যাবো না (মনে হয় জ্বর মাথায় চড়ে গেছে)
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,