#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………….12
আরাব,,,,,,, আমার বিয়ের তোর এতো তাড়া কেনো।
রিমান,,,,,,, কারন তোর বিয়ের পরে আমাদের পালা তাই।
বাড়িতে বিয়ের দুম পড়ে যায়। বাড়ি সাজানো শুরু হয়ে যায়। মেহমান দাওয়াত দেওয়া ও শুরু হয়ে যায়। সবাই বিয়ের কাজে প্রচুর ব্যস্থ হয়ে যায়। আরাবকে অফিসেও যেতে দেওয়া হয় না। বাসায় বসিয়ে রাখে। ফারহান এরেন্জমেন্টের কাজে বিজি, রিমান গেছে কিছু কিছু বিশেষ মানুষদের দাওয়াত দিতে।
আরাবের মা,,,,,,,,, আরাব কিছু জিনিস আছে যেগুলো এখনি মুনের বাসায় দিয়ে আসতে হবে, যা দিয়ে আয়৷
আরাব,,,,,,,, মা বিয়েটা আমার হচ্ছে।
মা,,,,,,,,,, হ্যাঁ তো।
আরাব,,,,,,,,, তো কি মানে, দুদিন পরে বিয়ে আর এখন জামাই যাবে জিনিস দিতে,ফারহানকে দিয়ে পাঠাও।
মা,,,,,,,,,, ফারহান প্রচুর বিজি,ও যেতে পারবে না।
আরাব,,,,,,,, তাহলে রিমানকে পাঠাও।
মা,,,,,,,, ও আমাদের গুরুত্বপূর্ণ মেহমানদের নিজের হাতে কার্ড দিতে গেছে, তাদেরকে কুরিয়ারে বিয়ের কার্ড দিলে কেমন দেখায়।
আরাব,,,,,,,,, ও যে আগে কোথায় যাবে সেটা আমার ভালো করে জানা আছে। অন্য কাওকে পাঠাও আমি যেতে পারবো না।
মা,,,,,,,,,, ১০ মিনিটের রাস্তা,, যা বলছি, এখানে তুই ছাড়া আর কেও খালি বসে নেয়। মাত্র দুই দিনে সব ব্যবস্থা করতে হবে, না জানি কিভাবে হবে।
আরাব,,,,,,,,, আমি বলছিলাম এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে।
মা,,,,,,,,, তুই কি যাবি নাকি এই বয়সেও মার খাওয়ার চিন্তা ভাবনা আছে।
আরাব,,,,,,,,, যাচ্ছি ।
আরাব জিনিস পত্র নিয়ে মুনের বাসায় যায়। গিয়ে দেখে তাদের বাসায় অলরেডি অনেক মানুষ এসে গেছে। সবার মাঝেই ব্যস্থতা। আরাব ভিতরে ডুকতেই দেখে মাঝখানে একদল মেয়েরা বসে তার বিষয়েই আলোচনা করছে। সবার মাঝখানে বসে মুন তর্ক করছে।
চাচাতো বোন,,,,,,,, শুনেছি তোর বিয়ে নাকি তাড়াহুড়ো করে ঠিক হয়ে গেছে,, না জানি কেমন ছেলের সাথে বিয়ে হচ্ছে, ছবিও দেখাসনি। নিশ্চিত দেখতে ভালো না তাই পিক দেখাসনি।
মুন,,,,,,,,,, গসিফ করার অভ্যাসটা ছাড়। আমার মোবাইলে ওর পিক নেয় তাই দেখায়নি। গায়ের হলুদের দিন দেখে নিস। আবার আমার হাসবেন্ড এর দিকে নজর দিস না। (একটু ভাব দেখিয়ে,আরাব দাঁড়িয়ে সব শুনছে)
এরেক বোন,,,,,,,, হুহহ এমন ভাবে বলছিস যেনো হিরোর মতো হেন্সাম। আমার বয় ফ্রেন্ডকে দেখ একদম রাজপুত্র। তোর হবু বর আমার বয়ফ্রেন্ডের সামনে কিছুই হবে না দেখিস।
বোন,,,,,,,,, শুনেছি বিসনেজ ম্যান,, তাহলে তো পাক্কা অর্ধেক বয়সী হবে। (হেঁসে)
মুন,,,,,,,,,, এক্সকিউজ মি,, আরাবের বয়স একদম পার্ফেট,, আর ওকে দেখলে হিংসায় জ্বলে যেওনা আবার,, আর বাকি রইলো তোর বয়ফ্রেন্ড এর কথা, আমার হবু হাসবেন্ডকে দেখে তারপর চিন্তা করিস, আমি এখন কিছু বলবো না। আমাদের এরেন্জ মেরেজ না লাভ মেরেজ হচ্ছে। আমরা একি ভার্সিটিতে পড়ি, পুরো চারবছর ধরে আমাদের রিলেশন।
আরাব,,,,,,,,(হেহহ এরা আবার কবে হলো)
মুন,,,,,,, তোদের সাথে আর কথায় বলবো না, পুরো মুড খারাপ করে দিয়েছিস। (উঠে)
বোনেরা,,,,,,,,, আরে বস, আমরা তো এমনি মজা করছিলাম তোর পেট থেকে কথা বের করার জন্য।
মুন,,,,,,,, তোদের মজা সব জানা আছে আমার,, সর দেখি।
মুন পিছনে তাকাতেই অবাক হয়ে যায়। আরাব একহাত পকেটে ঢুকিয়ে পিলারে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কালো প্যান্ট, সাদা লম্বা গেমজি পড়ে এসেছে। মুনকে দেখে একটা হাসি দিয়ে হাত নাড়িয়ে হায় বলছে।
মুন,,,,,,,, আ আ আপনি।
আরাব,,,,,,,,, হ্যাঁ আ আ আমি। ( মুনকে ভেঙ্গিয়ে)
বোনেরা,,,,,,,, কিরে মুন কে এনি। (অনেকে আরাবকে দেখে নিজের চুল ঠিক করা শুরু করে দিয়েছে)
আরাব,,,,,,,, হ্যালো,, আমি মুনের হবু হাসবেন্ড আরাব, যার বিষয়ে এতো ক্ষন কথা হচ্ছিল।
আরাবের কথা শুনে সবাই বেশ লজ্জা পায়।
মুন,,,,,,,,, আপনি এখানে কেনো এসেছেন। (আল্লাহ এটা কোনো কথা হলো, একটু পরে পাঠাতা এনাকে)
আরাব,,,,,,,, আমি কিছু জিনিস দিতে এসেছি,, আর তোমাকে দেখতে আমার জান।
বোনেরা,,,,,,,, ওয়াও সো রোমান্টিক।
মুন,,,,,,,,,,,,, জা জা জান মানে, কি বলছেন।
আরাব,,,,,,,,,, কেনো, তুমিই তো এই মাত্র সবাইকে বলেই দিলে আমাদের চারবছরের রিলেশন, তাহলে আর লুকিয়ে লাভ কি। চলো আমার তোমার সাথে কিছু কথা আছে।
মুন,,,,,,, আ আ আমার কোনো কথা নেয়।
আরাব,,,,,,,, আমি এতো কষ্ট করে এসেছি শুধু তোমাকে দেখার জন্য আর তুমি এমন করবে। ভালো মতো যাবে নাকি কোলে উঠিয়ে নিয়ে যাবো। আর এমন করলে কিন্তু এখানে আমাকে কেও কিছু বলবে না।
মুন,,,,,,,,, হেহহহ
আরাব এগিয়ে আসে মুনের দিকে, সবাই হা করে তাকিয়ে থাকে।
মুন,,,,,,, যাচ্ছি যাচ্ছি,, চলেন।
আরাব,,,,,,,, গুড গার্ল।
আরাব আর মুন উপরে, মুনের রুমে যায়। আরাব গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়।
মুন,,,,,, দ দ দরজা লাগাচ্ছেন কেনো। (ভয়ে)
,,,,,,,,, একি সাহসী মুন আমাকে দেখে ভয় পাচ্ছে।
,,,,,,,,,, কে ভ ভয় পাচ্ছে, আমি কাওকে ভয় পায় না।
,,,,,,,,,, নিচে তো দেখা যায়, আমার বেশ ভালো তারিফ করছিলে, ক্রাস খেলে নাকি আমাকে দেখে।
,,,,,,,,,, হুহহ জীবনেও না,, আপনার প্রশংসা আমি নিজের জন্য করছিলাম।
,,,,,,,,,, মানে।
,,,,,,,,,, মানে হলো,, না চাইতেও আপনি আমার হাসবেন্ড হবেন। এখন আপনার তারিফ করলে আমার ভাব বাড়বে। সবাই আমাকে দেখে জেলেসি ফিল করবে তাই বললাম,এতো খুশি হওয়ার কিছু নেয়।
,,,,,,,,,,, আর আমাদের চার বছরের প্রেমটা কবে হলো।
,,,,,,,,,,,আরে এটা এমনি বলেছিলাম,, যাতে আমার কথা সবাই বিশ্বাস করে। আর আপনি এমন নিচ দিয়ে ছিঁড়া গেনজি পড়ে এসেছেন কেনো৷
,,,,,,,,, এটা ছিঁড়া না স্টাইল।
,,,,,,,,, এই ছিঁড়াও একটা স্টাইল হলো৷ আচ্ছা নিচে চলেন না হলে সবাই কিভাববে।
,,,,,,,,, কি ভাববে। (মুনের দিকে তাকিয়ে একটা বেকা হাসি দিয়ে)
,,,,,,,,,,, ওরা যা ভাবার ভাববে, চলেন এখন।
মুন যেতে নেয় আরাব মুনের হাত ধরে টান দেয়। মুন তাল সামলাতে না পেরে আরাবের গেনজি টেনে ধরে, দুজনেই পড়ে যায়। মুন দরজার সামনে বসে পড়ে, মুন চিৎকার দিতে নেয়, আরাব মুখ ধরে ফেলে।
আরাব,,,,,,,, সুসস, বাহিরে অনেক লোক চিৎকার করলে লোকে কি ভাববে।
মুন চোখ এখনো বন্ধ করে আছে। আরাব মুনের মুখে হাত দিয়ে ধরে রেখেছে, মুন ব্যাথায় তার ঠোঁট নাড়াচ্ছে, যা আরাব স্পষ্ট ফিল করতে পারছে। আবার মুনের দিকে তাকিয়ে আছে, কয়েকটা ডোগ গিলে।
মুন চোখ খুলে তাকায়, নিজের চোখের সামনে আরাবের চোখ দুটো ভেসে উঠে। দুজনের হার্ট বির্ড বেড়ে যাচ্ছে। আরাবের এমন চাওনিতে মোটেও অভস্ত্য নয় মুন। দুজন দুজনার দিকে তাকিয়ে আছে।
হঠাৎ দরজার টুকার আওয়াজ আসে, আরাব মুনের মুখ ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়, মুন ও তার কোমর ধরে উঠে।
মুন,,,,,,,,, আল্লাহ আমার কোমর সর্গে গেলো।
আরাব,,,,,,,, ব্যাথা করছে।
মুন,,,,,,,, না মজা লাগছে।
মুন সোজা হয়ে দাঁড়ায়, আরাব দরজা খুলে। দরজার সামনে কেও নেয়।
আরাব,,,,,,,,,,, কেও নেয় কেনো।
মুন,,,,,,, এটা ঐ শয়তান গুলোর কাজ,, চলেন নিচে না কিভাববে কে জানে।
আরাব আর মুন নিচে যায়।
বোন,,,,,,,,, কি দুলাভাই, দুদিন কিন্তু দেখতে পারবেন না, ভালো করে দেখে যান।
আরাব,,,,,, দুদিনের অভাব পূর্ণ করে নিছি, এখন কষ্ট একটু কম হবে। (মুনের দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে, নিজের ঠোঁটে কিছু মুছার মতো করতে থাকে)
সবাই হাসতে থাকে, আর এক দুজনকে ইশারা করতে থাকে। আমি এটা বুঝলাম না এ কথা মানে কি,, আর ওনি আমার দিকে তাকিয়ে এমন করছেন কেনো, ঠোঁটে কি কিছু লেগেছে নাকি। আর আমার বোনেরা এতো এক্সাইটেড কেনো হচ্ছে।
আরাব,,,,,,,, বাই জানু। (একটা চোখ টিপ দিয়ে)
আরাব চলে যাওয়ার পর সবাই আমাকে ঝাপড়ে ধরে, রুমে কি হয়েছে যানার জন্য,, আমি এতো বলছি যে,কিছুই হয়নি কিন্তু কেও বিশ্বাসই করছে না। নিজের মতো কাহিনি বানিয়ে নিচ্ছে।
,,,,,,,,,,,
ফারহান আরাবের বাসায় এসে পুরো এরেন্জ মেন্টের কাজ দেখছে। কখনো একে সাজেশন দিচ্ছে তো কখনো ঐকে দিচ্ছে। আর রিমি আরাবদের বাসায় এসে সোফায় আসন বেঁধে বসে, বাটিতে নিয়ে কাটা ফল খাচ্ছে আর ডরেমন দেখে হাসছে।
ফারহান কাজ করছে আর বার বার রিমির দিকে তাকাচ্ছে। কিছু ক্ষন পরে ফারহান এসে রিমির পাশে বসে। রিমির সেদিকে কোনো খেয়াল নেয়।
ফারহান,,,,,,,,,, রিমি।
রিমি,,,,,,,, হুমম(টিভির দিকে তাকিয়ে)
ফারহান রিমির দুগাল চেপে ধরে তার দিকে ফিরায়।
রিমি,,,,,,,,, ওও আপনি। কিছু বলবেন।
,,,,,,,,,, তোদের বাসায় কি টিভি নেয়।
,,,,,,,, হুমম আছে থাকবে না কেনো।
,,,,,,, তাহলে এখানে এসে কেনো টিভি দেখছিস, আমি কাজে মন দিতে পারছি না।
,,,,,,,, হেহহ কেনো আপনারো টিভি দেখতে মন চাইছে বুঝি।
,,,,,,,,,, আল্লাহ আমাকে একটু ধৈর্য আর একে একটু বুদ্ধি দাও। শুন টিভি দেখছিস দেখ কিন্তু এভাবে জোরে জোরে বাচ্চাদের মতো গড়াগড়ি খেয়ে হাসবি না। নিজেকে কন্ট্রোল করা যায় না।
,,,,,,,,,, আরে আমি কি এখানে কার্টুন দেখতে এসেছি নাকি, আমি এখানে কাজ করতে এসেছিলাম কিন্তু মামনি আমাকে অসুস্থ বলে এখানে বসিয়ে দেয়। আমি কি করবো।
,,,,,,,,, তুই কাজ করবি ঠিক আছে আমি তোকে কাজ দিচ্ছি।
,,,,,,,, হেহহ,,একটা অসুস্থ মানুষকে দিয়ে কাজ করাবেন (চেহেরায় একটা দুঃখ ভাব নিয়ে)
,,,,,,,,, সত্যি করে বল এখানে কেনো এসেছিস।
,,,,,,,,,, বললাম তো,
,,,,,,,,, সত্যিটা জানতে চাইছি,, সত্যিটা বল। বল বলছি (ধমক দিয়ে)
,,,,,,,, আমি এটা জিজ্ঞেস করতে এসেছিলাম যে, শপিং কবে করবে, কাল করবে জেনে চলে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু আপনাকে এখানে দেখে যেতে মন চাইনি। (ঠোঁট বেঁকিয়ে)
ফারহান নিচে টেবিলের নিচে একটা পেন ফেলে দেয়।
ফারহান,,,,,,,, একটু উঠিয়ে দে তো।
রিমি একটা বিরক্তি ভাব নিয়ে নিচে নামে। পেনটা টেবিলের নিচে তাই রিমি হাঁটু গেড়ে বসে নিচের দিকে ঝুঁকে পেনটা আনতে যায়, ফারহান নিচে বসে কলমটায় হাত রাখে, রিমি ঝুঁকে ফারহানের দিকে ঘুরে তাকাতেই ফারহান নিচের দিকে ঝুঁকে রিমির ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দেয়।
রিমি অভাকের শেষ সীমানায় অবস্থান করছে। ফারহান আরেকটা কিস করার পর পেন নিয়ে এমন ভাবে উঠে যেনো সে এটা উঠাতেই নিচে বসেছিলো। রিমি উঠে আশেপাশে তাকাচ্ছে। দেখছে কেও দেখেছে কিনা। কিন্তু সবাই যার যার কাজে ব্যস্থ।
ফারহান একদম নরমাল ভাবে বসে আছে, যেনো কিছুই হয়নি। রিমি দাঁড়িয়ে আছে ভয়ে, আর বার বার আশেপাশে দেখছে।
ফারহান,,,,,,,,,,, দাঁড়িয়ে আছিস কেনো বস।
রিমি,,,,,,,,,, আ আ আপনি এ এ এটা কি করলেন। এতো লোকের মাঝে কি করে করলেন।
,,,,,,,,, তুই বললে আবার পূণরায় করে দেখাতে পারি।
,,,,,,,, অসভ্য।
,,,,,,, হেহ তুই অসভ্য কাকে বললি, দাঁড়া তোকে দেখাচ্ছি অসভ্য কাকে বলে।
ফারহান উঠে দাঁড়ায়, আর সাথে সাথে রিমি দৌড়ে পালায়। ফারহান দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছে।
,,,,,,,,,
মাহুয়া ভার্সিটি থেকে ফিরছে। তার গাড়ি খারাপ হয়ে যায় তাই হেঁটেই যাচ্ছে। মাহুয়ার বাসায় যেতে একটা ফাঁকা রাস্তা পড়ে৷ সে রাস্তায় ঢুকেই দেখে ইশান অনেক গুলো ছেলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মাহুয়া তাদের দেখে পাশ কাটিয়ে যেতে নেয়, আর সবাই তার রাস্তা আটকায়।
ইশান,,,,,,,,, কেমন আছো আমার জান।
মাহুয়া,,,,,,,, অফফ আবার মার খাওয়ার জন্য এসেছিস,, আগের বারের মার কি ভুলে গেছিস।
ইশান,,,,,,,, ইশশ কি করে ভুলি,, পুরো কলেজের সামনে আমার সম্মানের বারোটা বেঝে গেছে শুধু তোর জন্য। কি ভাবিস কি নিজেকে হুমম। তোর অহংকার আজ চুরচুর না করে দিয়েছি না তাহলে আমার নাম ও ইশান না।
মাহুয়া,,,,,,,, তাহলে তোর জন্য অন্য একটা নাম ভেবে রাখ। এখনো সময় আছে ভালো চাইলে চলে যা।
ইশান,,,,,,,, মেয়ে হয়ে এতো অহংকার। ভালোমতে বলেছিলাম আমার গার্লফ্রেন্ড হতে শুনোনি,, এখন বুঝাবো কথা না শুনলে কি হয়৷
মাহুয়া,,,,,, আমিও বুঝাবো মেয়েদের সাথে পাঙ্গা নিলে কি হয়। আর তাদের দুর্বল ভেবে কি ভুলটা করছিস।
ইশান,,,,,,, এই সবাই উঠা একে। আজ একে উঠিয়ে নিয়ে যাবো।
কয়েকজন যায়, মাহুয়া ইচ্ছে মতে পিটাতে থাকে। কিছুক্ষণ মারামারির পর, দুটো লোক মাহুয়ার দুই হাত চেপে ধরে।
,,,,,,,, বস মেয়েটা বড্ড বেশি ছটফট করে।
ইশান মাহুয়ার সামনে এসে বলে,,,,,, আজকে তোমার ডানা কাটবো আমি।
মাহুয়া পা দুটো উঠিয়ে লাথি মারে ইশানকে। ইশান দূরে পড়ে যায়।
ইশান,,,,,,,,, আআআ এই একে গাড়িতে উঠ। আজকে একে ছাড়বো না (রাগে)
দুজন মাহুয়াকে টেনে গাড়ির দিকে নিয়ে যেতে থাকে। মাহুয়া ছটফট করছে ছুটার জন্য, কিন্তু পারছে না।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,