#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………….13
ইশান,,,,,,,,, আআআ এই একে গাড়িতে উঠ। আজকে একে ছাড়বো না (রাগে)
দুজন মাহুয়াকে টেনে গাড়ির দিকে নিয়ে যেতে থাকে। মাহুয়া ছটফট করছে ছুটার জন্য, কিন্তু পারছে না।
মাহুয়াকে গাড়ির সামনে নিয়ে যেতে থাকে গাড়িতে উঠানোর জন্য। তখনি একটা গাড়ি এসে তাদের সামনে থামায়। গাড়ি থেকে রিমান বেরিয়ে আসে।
রিমান,,,,,,,, একটা মেয়েকে উঠানোর এতো লোক।
মাহুয়া,,,,,,,,, রিমান।
ইশান,,,,,,,, ফেমাস সিংগার রিমান খান।
রিমান,,,,,,,,, yes,, ভালোই ভালোই মাহুয়াকে ছেড়ে দাও।
ইশান,,,,,,,,, আপনি একে চিনেন।
রিমান,,,,,,,, আমার গার্লফ্রেন্ডকে আমি চিনবো না।
ইশান,,,,,,,,,,, এ আপনার গার্লফ্রেন্ড (মুখটা বেঁকিয়ে বলে)
মাহুয়া,,,,,,,,,, এহহ এভাবে কেনো বলছিস,আমি কি রিমানের গার্লফ্রেন্ড হতে পারি না,, তরে তো আমি (ছটফট করে)
রিমান,,,,,,,, তারমানে তুমি শিকার করলে তো যে, তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড।
মাহুয়া,,,,,,,, কখন বললাম,,,, কথা পড়ে বলেন আগে এদের মারুন।
ইশান,,,,,,,,, চুপ,,,,দেখছেন রিমান স্যার ও আপনাকে না করে দিয়েছে, কতো বড়ো অহংকারী মেয়ে।
রিমান,,,,,,,,, এ তোকে কে বলেছে ও আমাকে না করেছে। চুপচাপ আমার হবু বউকে ছেড়ে দে।
ইশান,,,,,,,,স্যার আমি আপনার ফেন ঠিক আছে তবে একে ছাড়া যাবে না।
রিমান,,,,,,,, ঠিক আছে তাহলে আমি তকে মারতে মারতে ফেনের মতো ঝুলিয়ে দিবো।
ইশান,,,,,,,,,, এ মারামারি করা আপনার মতো সুপার স্টারের কাজ না,, এটা আমাদের মানায়৷ আপনি এক কাজ করুন বাসায় গিয়ে গিটার বাজান।
রিমান,,,,,,,, আমার হাত দেখতে খুব নরম কিন্তু মুট করলে লোহার মতো শক্ত হয়ে যায়।
মাহুয়া,,,,,,,,,, আল্লাহ আপনার ডায়লগ শেষ হলে আমাকে ছুটাবেন পিল্জ।
ইশান,,,,,,,, এ কে আছিস ওকে বুঝিয়ে দে, যার যেটা কাজ তাকে সেটাই করা উচিত।
রিমান,,,,,,,, ok let’s start the fight,,,,
রিমান সবাইকে ইচ্ছে মতো ধুলায় করতে থাকে। মাহুয়া দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রিমানকে দেখছে। রিমান সবাইকে মেরে নাক মুখ ফাটিয়ে দেয়৷ সবাই দৌড়ে পালায়। রিমান একটা ভাব নিয়ে মাহুয়ার কাছে যায়।
মাহুয়া,,,,,,,, ধন্যবাদ।
রিমান,,,,,,,,,, একটু আগে তুমি আমার দিকে যে ভাবে তাকিয়ে ছিলে একে কি বলে যানো।
মাহুয়া,,,,,,,, কি বলে।
রিমান,,,,,,,,, একে ক্রাস খাওয়া বলে,,, আমার প্রেমে পড়ে গেলে নাকি।
মাহুয়া,,,,,,, হুহহ আপনার স্বপ্নে।,, তা আমাদের এলাকায় কি করতে এসেছেন।
রিমান,,,,,,,,, আংকেলের সাথে দেখা করতে।
,,,,,,,, কেনো।
,,,,,,একটা কাজ আছে।
,,,,,,,,,,কি কাজ।
,,,,,,,,, আগে চলো তারপর বলছি।
মাহুয়া গাড়িতে বসে, রিমান তাকে নিয়ে বাসায় যায়। গিয়ে মাহুয়ার বাসায় ভিতের গিয়ে বসে।
রাইহান খান,,,,,,,,,, ধন্যবাদ কক্সবাজারে আমার মেয়ের খেয়াল রাখার জন্য।
মাহুয়া,,,,,,, তুমি আমাকে ফোন করতে করতে ঝালিয়ে মেরেছো।
বাবা,,,,,,,,,, হুহহ তোর থেকে বেশি আমি রিমানকে ফোন করেছি, কোথায় ও কিছু বলছে না।
মাহুয়া,,,,,,,,,তুমি রিমানকে ফোন করতে কোথায় ও তো আমাকে কিছু বলেনি।
রিমান,,,,,,,,, এটা তোমাকে বললে কি হতো। আচ্ছা চলেন আমি আপনাকে একটা ছবি দেখাচ্ছি।
রিমান মাহুয়ার বাবাকে তার স্কার্ট পড়া ছবি গুলো দেখায়। মাহুয়ার বাবা দেখে অভাক হয়ে যায়।
বাবা,,,,,,,, এটা আমার মেয়ে বিশ্বাসই হচ্ছে না, একদম তার মার মতো লাগছে। কিভাবে করলে এটা।
রিমান,,,,,,,,, আংকেল রিমান খানের জাদু৷
মাহুয়া,,,,,,,, চাপাটা একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে না। কি জন্য এসেছো সেটা বলো।
রিমান,,,,,,,, আরাব আর মুনের বিয়ের কার্ড দিতে এসেছি।
মাহুয়া,,,,,,,,,,হেহহ তাড়া তো সারা দিন দেখি ঝগড়া করে, তারা বিয়ে করবে দুজন দুজনকে।
রিমান,,,,,,,,,, দেখছো সারা দিন ঝগড়া করেও তাদের বিয়ে হচ্ছে, আর আমি তো কতো ভালোবাসি তোমাকে তাও৷
মাহুয়া তার বাবার দিকে ইশারা কারে কাশি দেয়। রিমান চুপ হয়ে যায়।
রিমান,,,,,,,,,, না মানে
বাবা,,,,,,,, না মানে বুঝেছি। আর বলতে হবে না, আরে রাজি হয়ে যা (মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে)
বাবা,,,,,,,,,, বাবাই।
রিমান,,,,,,, আরে বা মনের মতো একটা শশুর পেয়েছি। বাবার কথা শুনতে হয়৷ আচ্ছা যাই হোক,আমার এখন আসতে হবে অনেক কাজ আছে। বাই।
বাবা,,,,,,, আবার এসো কিন্তু।
রিমান,,,,, এখন তো আসা যাওয়া লেগেই থাকবে।
রিমান কার্ড দিয়ে চলে যায়। প্রচুর কাজের মধ্যে শেষ হয় আজকের দিন। কালকে আবার ব্যস্ততার মধ্যে শুরু হয় দিন। রিমি সকাল থেকে রেডি হয়ে বসে আছে বিয়ের শপিং করতে যাবে।
রিমান,,,,,,,, ফকিন্নি দেখ কিভাবে বসে আছে,, বিয়েটা মুন আরাবের হচ্ছে তোর না। ওদের শপিং করতে এতো তাড়া নেয় যতোটা তোর।
রিমি,,,,,,, কোনো সমস্যা,, বিয়ের আগে এই জিনিসটাই তো সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আর শপিং না করলে কি পুরানো কাপড় পড়ে বিয়ে করবে কালকে গায়ের হলুদ।
রিমান,,,,,,,,,, শপিং করতে তো ভালোই লাগে কিন্তু যার টাকা যায় সে বুঝে।
রিমি,,,,,,,,, তোর টাকা তো আর যাবে না।
রিমান,,,,,,,,, আমার বন্ধুর টাকা আমার টাকা ঐ একি হলো। আরো পড়ে যাবো শপিং এ।
রিমি,,,,,,,,, আমি মাহুয়াকেও ডেকেছি,, আমরা এখান থেকে বের হলে সেও বাসা থেকে বের হবে শপিং মলে যাওয়ার জন্য। কারন আমি বলেছি, মেয়েরা হলুদে, বিয়েতে কি কি পড়ে সেগুলো কিনতে আমি তাকে সাহায্য করবো।
রিমান,,,,,,,,, আসলেই শপিং করতে অনেক দেড়ি হয়ে যাচ্ছে, দাঁড়া আমি সবাইকে যাওয়ার জন্য আনছি। (এটা বলে রিমান সবাইকে ডাকতে চলে যায়)
রিমি,,,,,,,,,,, শয়তান।
সবাই শপিং করতে বেরিয়ে পড়ে। শপিং মলে ডুকেই রিমান শুধু মাহু মাহু করছে।
রিমান,,,,,,,, তুই না বলেছিলি মাহুয়া আসবে, কোথাই সে।
রিমি,,,,,,,, আরে আসবে আসবে।
কিছু ক্ষন পর মাহুয়া আসে।
রিমান,,,,,,,,, এতো দেড়ি হয়েছে কেনো আসতে।
মাহুয়া,,,,,,,, আসছি যে ঐটাই বেশি।
আরাব রিমান ফারহান ছেলেদের শেরওয়ানী দেখতে যায়, আর ঐ দিকে মুনের জন্য লেহেঙ্গা দেখা হচ্ছে। অনেক কাজ কার লেহেঙ্গা দেখছে।
মাহুয়া,,,,,,, এটা পড়ে হাঁটবে কিভাবে। এটা ভারেই তো পড়ে যাবে। (আস্তে আস্তে)
রিমি,,,,,,,,, আরে ভাবি কিছু হবে না। বিয়েতে এসবি পড়ে।
মাহুয়া,,,,,,,,,, ভাবি কাকে বলছো৷
রিমি,,,,,,,,, দেখো আমি সব জানি,, এখন বড় ভাইয়ের বউকে নাম ধরে ডাকলে কেমন কেমন লাগে। আর আপুও বলতে পারবো না৷ একি ইয়ারে পড়ি।
মাহুয়,,,,,,,,, তাই বলে ভাবি। সবাই কি বলবে।
রিমি,,,,,,,, আরে সবার সামনে বলবো নাকি,, আমার যেটা ভালো লাগে সেটা ডাকতে দাও না।
মাহুয়া,,,,,,,,, না আমাকে নাম ধরেই ডাকবে।
রিমি,,,,,,, না ভাবি বলেই ডাকবো।
ছেলেরা শেরওয়ানি, জুতো কিনে, চলে আসে মেয়েরা এখনো লেহেঙ্গাই পছন্দ হচ্ছে না। একেক জনের একেকটা পছন্দ হয়।
আরাব,,,,,, আরে তাড়াতাড়ি করো এতো ক্ষন লাগে নাকি।
এটা বলার সাথে সাথে সবাই আরাবের দিকে যেভাবে তাকায়, সেটা দেখে আরাব ভয় পেয়ে যায়।
আরাব,,,,,,,,, পিল্জ কন্টিনিউ,, আপনাদের যতো সময় লাগে নাও।
রিমান,,,,,,,, ভয় পেলি নাকি।
ফারহান,,,,,,,, সাহস থাকলে তুই বলে দেখা দেখি।
রিমান,,,,,,,,৷ সাহস থাকলেই যে দেখাতে হবে এমন কোনো কথা না।
বেশ অনেক ক্ষন ধরে সবাই শপিং করছে। বউয়ের সব কিছু কিনা শেষ, এখন যার যার নিজের জন্য শপিং করছে। রিমান মাহুয়ার একটা সিম্পল হালকা গোলাপী আর হালকা কাজের মধ্যে লেহেঙ্গা এনে দিয়েছে। মাহুয়া সেটাই নিয়ে নেয়।
রিমান,,,,,,,,, আরে পছন্দ হলো কিনা সেটা বলো।
মাহুয়া,,,,,,,, আমার কাছে সব একি রকম লাগছে। ভালো মন্দ কিছুই বুঝছি না।
রিমি একটার পর একটা লেহেঙ্গা এনে নিজের সামনে ধরছে। আর ফারহানের দিকে তাকাচ্ছে। আর ফারহান না করে দিচ্ছে। রিমান এটা খেয়াল করে।
রিমান,,,,,,,,, এটা আমি আর দেখতে পারছি না।
আরাব,,,,,,,,, কন্ট্রোল ভাই কন্ট্রোল।
ওদের শপিং করতে করতে পুরো সন্ধ্যা হয়ে যায়। সন্ধ্যায় সবাই বাসায় আসে।
রাতে,,,,,,,,
রিমি,,,,,,,,, কিরে ভাইয়া কোথায় যাস।
রিমান,,,,,,,,, ফারহানের বাসায় পার্টি আছে, সেখানে।
রিমি,,,,,,,,,, ওয়াও আমিও যাবো। (যেতে নিয়ে)
রিমান,,,,,,,,, এই থাম,,এটা আমাদের ছেলের বেচেলার পার্টি আরাবের বিয়ের খুশিতে।
রিমি,,,,,,,,,, ভাইয়া আমাকে নিয়ে যা না পিল্জ।
রিমান,,,,,,, ওরে আমার কতুকতু রে,, চুপচাপ ঘরে বসে থাক। এটা ছেলেদের পার্টি। ফারহানের বাসা খালি তাই সেখানে করছি। সবাই আরাবের বাসায়, তুই সেখানে যা।
রিমান রিমিকে ধমকিয়ে চলে যায়। তিন বন্ধু, তাদের আরো অনেক বন্ধু সমান ভাই সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছে। পার্টিতে নাচ গান হচ্ছে। আনন্দ করছে।
সুমন,,,,,,, শুন আজকের মজাদার খেলা হতে যাচ্ছে। সবাই গোল করে বসো আগে।
সবাই গোল করে বসে।
রিমান,,,,,,, এতে কি মজাদার খেলা।
সুমন,,,,,, আগে শুনতো ভাই,,, একটা বিয়ারের বোতল মাঝখানে ঘুরানো হবে, যার দিকে মুখ যাবে তাকে প্রশ্ন করা হবে, আর তাকে সঠিক উত্তর দিতে হবে।
আরাব,,,,,,,, এতে নতুন কি এটা তো আগে কতো খেলছি।
সুমন,,,,,,,,,, নতুন হলো এটা (একটা ছোট হাতের তালুর সমান সাদা মেশিন বের করে।)
ফারহান,,,,,,,,, এটা কি।
সুমন,,,,,,,,,, প্রশ্ন করা হলে, এর উপর হাত রেখে বলতে হবে। যদি মিথ্যা বলো তাহলে এখানে লাল লাইট জ্বলবে, সত্যি বললে সবুজ।
আরাব,,,,,,,, মজা হবে খেলতে। চলো শুধু করা যাক।
বোতল ঘুরানো হয়, একেক জনের উপর একেক বার পড়ছে। কারো কারো দুতিন বার আসছে। সবার রাজ আজকে ভাইরাল হচ্ছে। বোতলের মুখ ঘুরে ফিরে আরাবের দিকে আসে।
ফারহান,,,,,,,,, ভাই হাত রাখ। আর বল মুন ভাবিকে দেখে ভালোবাসার মতো ফিলিং আসে।
আরাব,,,,,,,, না
লাল লাইট জ্বলে উঠে।
রিমান,,,,,,,,, চল মিথ্যাুক শালা। এটা তো আমরাই বলতে পারবো। এটার জন্য আবার মেশিন লাগে নাকি।
ভাই,,,,,,,, আচ্ছা এটা বল মুন ভাবিকে কখনো কিস করেছিস।
রিমান,,,,,,,,, হতেই পারে না। আরাব করতে চাইলেও মুন দিবেনা নিশ্চিত।
আরাব মেশিন থেকে হাতটা সরিয়ে বলে,,,,,,,,,, ন ন না।
রিমান,,,,,,,,,,, ঐ তোর কথা তো সন্দেহ জনক লাগছে, মেশিনে হাত রাখ।
ফারহান আরাবের হাত নিয়ে চেপে ধরে মেশিনে।
ফারহান,,,,,,,,,, এবার বল।
আরাব,,,,,,,,, আরে না, আমি কখনো মুনকে কিস করি নি।
সাথে সাথে লাল লাইট জ্বলে উঠে।
ফারহান,,,,,,,,,, অসম্ভব,, এটা কবে হলো কিভাবে হলো।
আরাব,,,,,,,,,, একদিন ভুলে হয়ে গেছে।
রিমান,,,,,,,,, ভুলে,,তলে তলে টেমপু চালাও।
আরাব,,,,,,,,, তোরা কি আমার দিকেই তাকিয়ে আছিস, খেলা কন্টিনিউ কর।
খেলা আবার শুরু হয়, কিছু ক্ষন পর রিমানের দিকে বোতলের মুখ ঘুরে। রিমান মেশিনে হাত রাখে।
,,,,,,, তোর গার্লফ্রেন্ড আছে।
রিমান,,,,,,,, হ আছে থাকবো না কেন।
নীল লাইট জ্বলে।
আরাব,,,,,,,,, কিস করছোস।
রিমান,,,,,,,, তোর মতো না,,, আসলে সুযোগটাই তো পেলাম না।
ভাই,,,,,,,,, অন্য কিছু করছিস।
রিমান তার দিকে তাকিয়ে বসে বসে একটা লাথি দেয়।
রিমান,,,,,,, এটা আবার কেমন প্রশ্ন। কিস করলাম না অন্য কিছু কেমনে করমু। ঐ বোতল ঘুরা।
বেশ কিছু ক্ষন পর আবার ফারহানের দিকে আসে।
ফারহান,,,,,,,, আমার না ঘুম ধরছে,, তোরা খেল আমি যায়।
আরাব,,,,,,, তোকে তো সন্দেহ জনক লাগছে, বস তুই এখানে। আরাব ফারহানের হাত চেপে ধরে।
ভাই,,,,,,, তোর গার্লফ্রেন্ড আছে।
ফারহান,,,,,,,,, কি বার বার এক প্রশ্ন করিস, অন্য কিছু নাই।
আরাব,,,,,, চুপচাপ জবাব দে।
ফারহান বার বার রিমানের দিকে তাকাচ্ছে, রিমান চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছে।
ফারহান,,,,,,, (মৃদু হেসে বলে) আছে।
রিমান,,,,,,,, হেহহ গার্লফ্রেন্ড হয়ে গেছে। কবে হ্যাঁ বললো কিছু টের পেলাম না।
ভাই,,,,,,,, কিস করছোস।
ফারহান,,,,,,,, কি আবল তাবল প্রশ্ন এগুলি।
রিমান,,,,,,,, এটার জবাব আমারো শুনার অনেক ইচ্ছা, আরাব একে যাতা দিয়ে ধর।
আরাব,,,,,, আরে না করে দে, আমি জানি তুই করিস নি।
ফারহান,,,,,,,,, আরে না ভাই করিনি আমি কিস৷
সাথে সাথে লাল লাইট জ্বলে উঠে।
রিমান,,,,,,,,,,, শালার ঘরের শালা দাঁড়া।
রিমান ফারহানের গাঢ়ে হাত দিয়ে শক্ত করে ঝাবড়ে ধরে কনুই দিয়ে মারতে থাকে।
ভাই,,,,,,,, আরে ছাড়, এমন ভাব করছিস যেনো তোর বোন ওর গার্লফ্রেন্ড।
আরাব ফারহানকে একটা লাথি মারে।
ফারহান,,,,,,,,, আরে একবারি তো করছি।
সাথে সাথে আমার লাল লাইট জ্বলে উঠে।
আরাব,,,,,,, কিরে লাল লাইট জ্বললো কেনো। সত্যি করে বল কয়বার করছোস।
ফারহান,,,,,,,,, তোদের লজ্জা করে না অন্য জনের পার্সোনাল বিষয়ে ঢুকছিস।
রিমান,,,,,,, না একদমি করে না,, চুপচাপ জবাব দে।
ফারহান,,,,,,,, ভুলে দুইবার হয়ে গেছিলো।
আবারো লাল লাইট জ্বলে।
রিমান,,,,,,,,,,, আজকে গোকে খাইছি।
আরাব,,,,,,, তোর সাহসটা তো কম না।
রিমান আর আরাব মিলে ফারহানকে মারা শুরু করে। লাথি ঘুষি যা পারে সব দিচ্ছে। আর সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। কি হচ্ছে বুঝতে না পারলে যা হয় আরকি।
রিমান আরাব হয়রান হয়ে দুম করে বসে আছে, ফারহান নিচে শুয়ে, ব্যাথায় আ আ করছে।
ফারহান,,,,,,,,,,, কুত্তারা নিজের বন্ধুকে কেও এভাবে গরুর মতো মারে। হাড্ডি গুড্ডি ভেঙে ফেলেছে।
আরাব,,,,,,, তোকে এখন লাথি দিতে ইচ্ছে করছে চুপ থাক।
রিমান তো লাথি দিয়েই দে।
ফারহান,,,,,,,, তোরা করলে কিছু না আমি করলেই দোষ।
রিমান,,,,,,,, আজ পর্যন্ত একটা কিস ও করি নাই।
ফারহান,,,,,,,, আব্বে সুযোগ পাস নাই, এটা ক।
রিমান,,,,,,, আরাব ওকে চুপ করতে ক,,,, একবার আমার থেকে পারমিশন ও নিলো না।
ফারহান,,,,,,,,, যখন কিস করার সুযোগ আসে তখন কি আমি তোরে খুঁজমু,,, আর চাইলেও মনে হয় তুই দিতি।
রিমান,,,,,,,,, দেখ দেখ কতো বড়ো বেশরম। আবার বলছেও।
আরাব,,,,,,,,, যাক এখন আর কিছুই করার নেয়। যা হওয়ার তো হয়েই গেছে।
রিমান,,,,,,,,, শুধু বন্ধু দেখে মাফ করে দিলাম।
ফারহান,,,,,,,,, এতো গুলো মারার পর।
আরাব,,,,,,,,, মাফ করছি এটা তোর ভাগ্য।
রিমান,,,,,,,,, শরীরটা আমার ব্যাথা করছে।
ফারহান,,,,,,,,, মার খেলাম আমি ব্যাথা করছে তোর।
রিমান,,,,,,,,,, কোনো সমস্যা।
ফারহান,,,,,,,,,,, একদমি না, তুই বললে আমি টিপে দিচ্ছি।
রিমান তার পাটা ফারহানের দিকে বাড়িয়ে দেয়।
ফারহান,,,,,,,,, আমি তো এমনি বললাম।
রিমান,,,,,,,,, বললি কেনো,এখন টিপে দে।
ফারহান রিমানের পা টিপছে। মুখে বিরক্তি ভাব নিয়ে তাকিয়ে আছে।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,