you are only mine Part-15

0
5827

#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)

#Maishara_Jahan
Part………….15

ফারহান,,,,,,,, হহহ,, শয়তান আমাকে অনেক মারছে।

আরাব,,,,,,,, দেখ মাহুয়া কি গতিতে রিমানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, আল্লাহ বাঁচাক আমার বন্ধু কে।

মাহুয়া রাগে ফসফস করতে করতে গিয়ে রিমানের সামনে দাঁড়ায়। চোখ দিয়ে আগুন বের হচ্ছে। অগ্নি দৃষ্টিতে রিমানের দিকে তাকায়।

রিমান মাহুয়াকে দেখে মাহিকে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেয়।আর তাড়াহুড়ো করে বলে,,,,, তু তু তুমি যেমন ভাবছো তেমন কিছুই না।

মাহুয়া তার পা দিয়ে রিমানের পায়ে খুব জোরে পাড়া দেয়। রিমান চিৎকার দিতে নিয়েও দেয়নি, পা আঙ্গিয়ে অন্য দিকে ফিরে হাতে কামড় দিয়ে সহ্য করে নেয়।

আরাব,,,,,,,,,, ইশশশ পা টার ভর্তা হয়ে গেছে নিশ্চয়ই।

ফারহান,,,,,,, আহারে বিচারা।

মাহি,,,,,,,,, কি হলো রিমান আপনি এমন করছেন কেনো।

মাহুয়া,,,,,,,,,, কি হলো রিমান বলেন আপনি এমন কেনো করছেন, মাহি আপু জিজ্ঞেস করছে।

রিমান,,,,,,,, (জোর করে হেঁসে) হিহিহি কিছু হয়নি এমনি পা ব্যাথা করছিলো তাই একটু ঝাড়ছি আরকি।

মাহুয়া,,,,,,,,,, কোনো সমস্যা হলে বলো মাহি আপু তো আছেই তাই না।

মাহি,,,,,,, হ্যাঁ কোনো সমস্যা হলে বলেন।

রিমান,,,,,,,, কোনো সমস্যা নেয়,, আমার একটু কাজ আছে, তোমার সাথে পড়ে কথা বলছি।

মাহি,,,,,,,,, আমার আপনার সাথে কিছু কথা ছিলো।

মাহুয়া,,,,,,,, যাও গিয়ে কথা বলো, হতে পারে তোমার মনের কথা বলে দিলো।

রিমান,,,,,,,, হিহিহি কি বলছো,, রিমি (রিমিকে ডাক দিয়ে) ঐ রিমি এদিকে আয়।

রিমি রিমানের ডাক শুনে তাদের কাছে যায়।

রিমি,,,,,,,,, হ্যাঁ ভাইয়া বল।

রিমান,,,,,,,,, এনি হলো মাহি,,তোর জান বাঁচিয়ে ছিলো,, যা গিয়ে কথা বল। যা যা (রিমিকে ইশারা দিয়ে বলে)

রিমি,,,,,,,,, ওও আপনি সে,, চলেন আপনার সাথে আমার অনেক কথা আছে৷

রিমি মাহিকে জোর করে নিয়ে যায়। রিমান মাহুয়াকে কিছু বলতে নেয়, তার আগেই মাহুয়া রিমানের পেটে জোরে একটা ঘুষি দেয়। দূর থেকে আরাব ফারহান দেখে শুধু অফফ আহহ করছে।

রিমান,,,,,,,,,, এবার শান্তি,,, আমার কথাটা তো শুনো।

মাহুয়ার ঘুষি খেয়ে রিমানের কিছু হয়নি দেখে মাহুয়া এক সাথে আরে দুইটা দেয়।

রিমান,,,,,,,,,,, থামো থামো এটা আমার পেট বক্সিং করার বস্তা না, যে ঘুষি দিয়েই যাচ্ছো ব্যাথা লাগে।

মাহুয়া,,,,,,,,, ব্যাথা লাগার জন্যই তো দিলাম,, ভালোই তো সিন চলছিলো আমি এসে ডিস্টার্ব করে দিলাম বুঝি, ও সরি সরি।

রিমান,,,,,,,, আরে তেমন কিছুই হয়নি, ও পড়ে যেতে নিছিলো আর তাকে ধরছি,, এটাই হয়েছে।

মাহুয়া,,,,,,,,, এতো মানুষ থাকতে তোমার সামনেই কেনো পড়লো। আর দুনিয়ার সবাইকে কি উঠানোর দায়িত্ব নিছো নাকি। কেরেক্টার লেস।

রিমান,,,,,,, তবা তবা,, কি বলো, আমি মাহিকে ওরকম নজরে দেখি না সত্যি।

মাহুয়া,,,,,,,,, সে তো দেখতেই পাচ্ছি, কেমন নজরে দেখো। এই সব করার জন্যই তো ওকে এখানে দাওয়াত দিয়ে এনেছো। আমি বাবাই এর কাছে বিচার দিবো তুমি মোটেও ভালো না। I hate you. (কান্না ভাব নিয়ে)

মাহুয়া চলে যেতে নিয়ে আবার পিছনে ফিরে রিমানের আরেক পায়ে পাড়া দিয়ে চলে যায়।

রিমান,,,,,,, আল্লাহ,, আমার পা দুটো গুঁড়ো করে ফেলছে। মাহুয়া শুনো।

আরাব,,,,,,,, ও অত্যাচারীত এদিকে আসো।

রিমান লেংড়াতে লেংড়াতে যায়। আরাব আর ফারহান মুখ চেপে চেপে হাসছে।

রিমান,,,,,,,,, শালারা আমাকে মার খেতে দেখলি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছু বললি না (কান্নার ভাব নিয়ে)

আরাব,,,,,,, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে না বসে বসে দেখছিলাম।

ফারহান,,,,,,, আমি তো বলেছিলাম চল যায় গিয়ে রিমানের সাহায্য করি এই আরাব বললো তোকে মার খেতে দেখতে চাই।

আরাব,,,,,,,, একটা লাথি দিয়া ছাদ থেকে ফেলে দিবো শালা মিথ্যাুক৷ এ কথা আমি বলছি নাকি তুই বলছোস৷

রিমান,,,,,,,, হারামি তোরা কেও ভালো না। এই সব কিছু আরাব তোর কারনে হয়ছে (আরাবের মাথায় একটা মেরে)

আরাব,,,,,,,, আমি আবার কি করলাম।

রিমান,,,,,,,, কি করছস মানে, তুই তো বললি মাহিকে দাওয়াত দিতে। আমার তো মাহির কথা মনেও ছিলো না।

আরাব,,,,,,,, আচ্ছা তোর মাহিকে কেমন লাগে।

রিমান,,,,,,,,, এই পাগল তোরা মাহু শুনলে আর উপায় থাকবে না। আর কেমন লাগে মানে মাহিকে আমি অন্য মেয়েদের মতোই দেখি।

ফারহান,,,,,,,,,, অন্য মেয়েদের কি নজরে দেখিস।

রিমান,,,,,,,,, তোদের মতো লুচ্চা না আমি,, মাহি আমার জন্য জাস্ট আমাদের সাহায্য কারী হিসাবে দেখি৷

ফারহান,,,,,,,, ভেবে নে মাহি কিন্তু সুন্দর আছে।

রিমান,,,,,,,,, হাজার সুন্দরী আসলেও মাহু আমার কাছে শেষ্ঠ সুন্দরী থাকবে, কারন আমি ওকে ভালোবাসি। আর এক মিনিট মাহি সুন্দর তাই না, রিমিকে বলবো একথা৷

ফারহান,,,,,,,, আমি শুধু বলছিলাম ভাবি হিসাবে সুন্দর। অন্য কিছু না।

আরাব,,,,,,,, হয়েছে এবার, চুপ থাক। নাচ গান চলছে একটু শান্তি মতে দেখতে দে।

রিমান,,,,,,,,,, এখানে বন্ধুর জীবনে তুফান নেমে এসেছে আর তুই আছিস, নাচ গান নিয়ে। নাচটা তো ভালোই লাগছে।

ফারহান আর আরাব রিমানের দিকে তাকায়। আর হতাশা পূর্ন ভাবে মাথা নাড়ায়।

আরাব,,,,,,, তোর মতো সেম্পল দুনিয়াতে একটাই।

রিমান,,,,,,,,, I know that.

রাত অনেক হয়েছে, কিন্তু নাচ গান এখনো চলছে। রিমান বার বার মাহুয়াকে বুঝানোর চেষ্টা করছে কিন্তু মাহুয়া কোনো পাত্তায় দিচ্ছে না।

রিমি টেবিলে বসে বসে জুস খাচ্ছে আর ঝিমুচ্ছে। ঘুমে কিছু দেখছে না তাও একটু একটু চোখ খুলে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। ফারহান এসে টেবিলে বসে। রিমিকে দেখে মুশকি মুশকি হাসছে।

ফারহান,,,,,,,,,, ঘুম পেলে বাসায় গিয়ে ঘুমা।

রিমি,,,,,,,, হুমম কার ঘুম পেয়েছে আমার ঘুম পায়নি (ঘুমে ঘুমে)

ফারহান,,,,,,,, দেখা যাচ্ছে। তুই জানিস তোকে কতো কিউট লাগছে। আমার কিউটিটা।

রিমি,,,,,,, আপনাকেও না আজ অনেক অনেক হেন্সাম লাগছে, সব সময় হেন্সাম লাগে আপনাকে। (ঘুমে ঘুমে)

ফারহান,,,,,,,,, তাই নাকি। কিছুদিন পড়ে আমি তোকে এভাবেই বিয়ে করে নিয়ে যাবো।

রিমি,,,,,,,, তোমাকে বিয়ে করলে আমার একটা দুঃখ থেকে যাবে।

ফারহান,,,,,,,,, কি দুঃখ শুনি (কপাল কুঁচকিয়ে)

রিমি,,,,,,,তোমাকে বিয়ে করলে, আমাকে আর গাড়ি দিয়ে যাওয়া লাগবে না, হেঁটে যেতে পারবো। কতো শখ ছিলো গাড়ি দিয়ে কান্না করতে করতে যাবো।

ফারহান,,,,,,,,, ঠিক কতো দিন আগে এই শখটা ছিলো একটু শুনি।

রিমি,,,,,,, কেনো।

ফারহান,,,,,,, আমি জানতে চাই ঠিক কতো দিন তোর জন্য জনকে বিয়ে করার নিয়ত ছিলো। (রাগে)

রিমি,,,,,, একটা কথা বলুন তো আপনার নাকের আগায় সব সময় রাগ কেনো থাকে। আপনি জানেন আমারো অনেক রাগ আছে, আমার রাগ উঠলে আমি কি করবো জানেন।

ফারহান,,,,,,, কি করবি।

রিমি,,,,,,,, অনেক কিছু করবো (ঘুমে ঘুমে)

ফারহান,,,,,,,, ইশশশ তুই এতো কিউট কেনো (নাক ধরে টেনে) তোকে আর এখানে রাখা যাবে না। মাহুয়া (দূর থেকে ডেকে)

মাহুয়া আসে।

মাহুয়া,,,,,,,, ভাইয়া কিছু বলবেন।

ফারহান,,,,,, তুমি তো আজ এখানেই থাকবে সো রিমিকে একটু তার রুমে নিয়ে যাও, দেখো ঘুমে পড়ে যাচ্ছে। আর তোমার ও তো ঘুম পেয়েছে তুমিও ঘুমিয়ে পড়ো রিমির সাথে গিয়ে।

মাহুয়া,,,,,, ঠিক আছে, আমারো এখানে থাকতে আর ভালো লাগছে না।

ফারহান,,,,,,,,,, মাহুয়া একটা কথা বলি, রিমানের কোনো দোষ নেয়, আরাব মাহিকে ইনভাইট করেছে, আর যেটা দেখেছো সেটা একটা এক্সিডেন। রিমান তোমাকে অনেক ভালোবাসে।

মাহুয়া,,,,,,, জানি,, কিছু ক্ষন আগে আরাব ও আমাকে এগুলো বলেছে৷

ফারহান,,,,,,, তাহলে এখনো রাগ করে আছে কেনো।

মাহুয়া,,,,,,,, কি করবো আমার রাগ কমছেই না,, কাওকে মারতে না পারলে রাগ কমবে বলে মনে হয় না।

ফারহান,,,,,,,, আরে বাপরে,, আমি এক কাজ করি আমি রিমিকে রুমে দিয়ে আসি তোমার যাওয়া লাগবে না।

মাহুয়া,,,,,,, না, না আমিই যাচ্ছি।

ফারহান,,,,,,, ওও তুমি যাবে,, (আল্লাহ আমার রিমির খেয়াল রেখো এমনি মেয়েটার শরীরে কিছু নাই, মার খেলে আরো থাকবো না)

মাহুয়া রিমিকে ধরে নিয়ে যেতে থাকে, ফারহান তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে৷ মাহুয়া রিমিকে রুমে নিয়ে যায়।

মাহুয়া,,,,,,, এভাবে তো আর ঘুমাতে পারবে না,, রিমি চেঞ্জ করে নাও, আর হাত মুখ ধুয়ে নাও।

রিমি,,,,,,, ঠিক এভাবে কিভাবে ঘুমাবো।

রিমি একটা প্লাজু আর গেনজি মাহুয়াকে দেয় পড়ার জন্য আর একটা সে নিয়ে ওয়াশ রুমে যায়। রিমি তাড়াতাড়ি কোনো মতে ফ্রেশ হয়ে এসে সোজা শুয়ে পড়ে।

মাহুয়া,,,,,,, রিমি তুমি কি ঘুমিয়ে পড়েছো।

রিমি,,,,,,, হুমম আমি ঘুমিয়ে পড়েছি (চোখ বন্ধ করে)

মাহুয়া কতো ক্ষন হেসে সেও চেঞ্জ করে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসে।

মাহুয়া,,,,,,,, আহহহ এখন শান্তি লাজছে,, মনে হচ্ছে শরীর থেকে কোনো বুঝা নেমে গেছে।

রিমান,,,,,,,, এখন তাহলে তোমার মনটা ভালো হয়েছে৷

মাহুয়া তাকিয়ে দেখে রিমান দেওয়া হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

মাহুয়া,,,,,,, আপনি এখানে কি করেন, কেনো আসলেন। (রাগে)

রিমান,,,,,,, বাড়িটা আমারি। আমি আসবো না তো কে আসবে। পিল্জ না করো না তোমার সাথে আমার কথা আছে।

মাহুয়া,,,,,,, কি কথা তাড়াতাড়ি বলেন।

রিমান রিমির দিকে তাকায়, রিমি কেমন তেড়া বেকা হয়ে শুয়ে আছে।

রিমান,,,,,,, এই মেয়ের শুয়ার স্টাইল দেখলে মনে হয় ভুতে ধরে গাড় গুড় সব ভেঙে বেকা তেড়া করে চলে গেছে।

রিমান এসে রিমিকে ঠিক করে শুয়ায়, তারপর তার গায়ে চাদর দিয়ে দেয়৷

রিমান,,,,,,, এমন করে ঘুমায় তারপর সকালে উঠে বলবে আমার গাঢ় ব্যাথা করছে, পিঠ ব্যাথা করছে। তোমার মনে হয় এখানে কথা বলা যাবে।

মাহুয়া,,,,,,, তাহলে কোথায় বলবে কথা৷

রিমান,,,,,,, চলো ছাদে যায়। বাড়ির ভিতরে মানুষ আছে। অনেক মেহমান আমাদের এখানে থাকছে।

মাহুয়া,,,,,,,, চলো।

রিমান আর মাহুয়া ছাদে যায়

রিমান,,,,,,, এই দিকে আসো,, ঐ দিকে গেলে আরাবদের ছাদ দেখা যায়, আর সেখানে মানুষ আছে। এদিকে ফারহানদের ছাদ এদিকে কেও নেয়। সো এখানে বসলে কেও দেখতে পারবে না৷

মাহুয়া এসে বেঞ্চে বসে। রিমান ও এসে বসে।

,,,,,,,, রাগ করে আছো।

,,,,,,,,,, আমাকে দেখে মনে হচ্ছে আমি রাগ করে আছি (রাগে রিমানের দিকে এগিয়ে গিয়ে)

,,,,,,,, না না, এটাকে রাগ বলে নাকি, তুমি তো খুব শান্ত শিষ্ট মেয়ে।

,,,,,,,,, তুমি যার সাথে মনে চাই তার সাথে কথা বলো তাকে জরিয়ে ধরো আমার কি। (অভিমানে)

,,,,,,, একটা কথা বলো, তুমি তো আমাকে ভালোবাসো না তাহলে এতো জেলাস ফিল করার কি আছে।

,,,,,,,,,, কে জেলাস ফিল করছে, আমি কোনো জেলাস ফিল করছি না।

,,,,,,,,,, তাহলে মাহির সাথে কথা বললে সমস্যা কি,, দেখি ওকে একটা ফোন দিয়, ভালো ভাবে বাসায় পৌঁছালো কি না।

রিমান পকেট থেকে ফোনটা বের করতেই মাহুয়া ফোনটা নিয়ে ঠাস করে বেঞ্চের সাইডে রেখে দেয়। তারপর রিমানে কলার ধরে টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে।

মাহুয়া,,,,,,,, হ্যাঁ হয় আমার জেলাস ফিল,,, অনেক অনেক জেলাস ফিল করি যখন তোমাকে অন্য কোনো মেয়ের সাথে দেখি। তুমি শুধু আমার। only mine. আমি অন্য মেয়েদের মতো না, যে নিজের লাভারকে অন্যকারো সাথে দেখলে কান্না করবো, আমি দুজনের হাত পা ভেঙে দিবো। মেয়েরা নিজের সব কিছু শিয়ার করতে পারে শুধু নিজের ভালোবাসার মানুষটাকে ছাড়া। আর আমি তো নিজের চকলেট ও কারো সাথে শিয়ার করি না, তুমি তো দূরের কথা। ভুলেও যদি ঐ মাহির সাথে দেখেছিনা তাহলে খবর আছে।

রিমান,,,,,,,,, প্রপোজ করলে নাকি হুমকি দিলে। যায় হোক ভালোবাসো আমাকে।

মাহুয়া,,,,,,,,, না আপনাকে কে ভালোবাসবে।

রিমান,,,,,,,, এই মাত্র বললা। আচ্ছা রাগ করো না, আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি আর সারা জীবন ভালো বাসবো।

মাহুয়া,,,,,,, মাহি তোমার বোনে জীবন বাঁচিয়েছে তাই ভালো লাগে ওকে।(মন খারাপ করে)

রিমান,,,,,,,,,, পাগল তুমি,, শুধু কৃতজ্ঞ ওর কাছে। আর ওর জায়গা অন্য কোনো ডক্টর থাকলে এটাই করতো। এটা ওর কর্তব্য। মাহি আমার কাছে জাস্ট একটা ডক্টর আর কিছুই না,, আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি। সেই প্রথম থেকে বলছি। এখন বলো তুমি আমাকে ভালোবাসো।

মাহুয়া,,,,,,,,, না।

রিমান রাগে মাহুয়ার কাঁধে হাত দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে। মাহুয়ার কপালের সাথে নিজের কপাল লাগিয়ে দেয়।

রিমান,,,,,,,,, দেখো আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়ো না, আমি আর ধৈর্য ধরতে পারছি না। সবাইকে বলে বেড়ায় তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড কিন্তু নিজে এটা বিশ্বাস করতে পারি না। মনের মধ্যে একটা খচখচ থেকেই যায়। প্রতেকটা মূহুর্তে ভয় হয় তোমার জীবনে অন্য কেও না এসে পড়ে,, অথবা তুমি হয়তো অন্য কাওকে পছন্দ করো তাই আমার ভালোবাসা এক্সেপ্ট করছো না, এরকম ভয়ে আমি আর থাকতে পারবো না। পিল্জ বলে দাও। (মাহুয়ার কাঁধে দুহাত রেখে, মাহুয়ার কপালে কপাল লাগিয়ে চোখ বন্ধ করে বলে)

মাহুয়া রিমানের মুখের দিকে তাকিয়ে, মাহুয়া দুহাত দিয়ে রিমানের গাঢ়ে ধরে রিমানের ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে কিস করতে থাকে। রিমান নরম ঠোঁটের স্পর্শ পেয়ে চোখ খুলে তাকায়। রিমানের চোখ বড়ো বড়ো হয়ে যায়। কিছু ক্ষন পর সেও চোখ বন্ধ করে কিস করতে থাকে।

কিছু ক্ষন পর দুজনে ছেড়ে দেয়, মাহুয়া রিমানের দিকে তাকিয়ে আবার দৌড়ে ছাদ থেকে নিচে নেমে যায়। রিমান বেঞ্চেই বসে থাকে। কিছু ক্ষন বেঞ্চেই শুয়ে পড়ে, কিসের কথা মনে করে। দুহাত দিয়ে মুখ ঢেকে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি করতে যায়,আর ঠাস করে নিচে পড়ে যায়।

রিমান,,,,,,, আউউ মা,,, থাক আজকে মাফ করে দিলাম।

রিমান হাসতে হাসতে আবার আরাব ফারহানের কাছে গিয়ে ঘুমায়।

কাল সকাল,,,,,,

সবাই সেরকম ভাবে ব্যস্থ বিয়ে বলে কথা। মাহুয়া সকাল সকাল তাদের বাসায় চলে যায়, বিয়েতে তার বাবাকে নিয়ে আসবে একসাথে।

এরকম ব্যস্থতার মাঝেই রাত হয়ে যায়। এখন বউ আনতে যাওয়ার পালা। আরাব লালা আর গোল্ডেন কালারের শেরওয়ানী পরে। রিমান ফারহান কালো চিকচিক করা পাঞ্জাবি, গলা অনেক বড় বেশ অনেকটা বডি দেখা যাচ্ছে।

মাহুয়া চলে আসে। মাহুয়া আর রিমি কালো রেডিমেড শাড়ী পড়ে, শাড়ীও চিকচিক করছে, মেচ করে কিনেছে। চুল গুলো ছাড়া ঠোঁটে লাল লিপস্টিক আর হালকা মেকাপ।

ফারহান,,,,,,,,,, আমি অজ্ঞান না হয়ে যায় আজকে।

রিমান,,,,,,, আমি তো মরেই যাবো।

আরাব,,,,,,, আমাকে আমার বউকে দেখার সুযোগ তো দে,, চল তাড়াতাড়ি।

রিমান,,,,,,, অনেক লাফালাফি করছো মুনকে দেখার জন্য।

আরাব,,,,,,বউকে দেখার জন্য লাফালাফি করবো না তো কাকে দেখার জন্য লাফালাফি করবো।

ফারহান,,,,,,, আমার ভায়ের কাল থেকে রোমান্টিক লাইফ শুরু।

আরাব,,,,,, বিয়ে আজ কাল থেকে রোমান্টিক লাইফ শুরু কেনো।

রিমান,,,,,,, কারন আজ বিয়ে কিন্তু বাসর রাত তো কাল নাকি। (দুষ্টু হাসি দিয়ে)

আরাব,,,,,,, (কথাটা তো ঠিক,, সারা জীবন যেহেতু তোমাকে নিয়েই কাটাতে হবে তাহলে,,,,,, আমার হাত থেকে তোমাকে কে বাঁচায় মিস পকপক আমিও দেখবো)

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,