#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………….25
রিমান ফারহানকে ধরে তার রুমে নিয়ে যায়।রিমি দরজা বন্ধ করে, কান্না করতে থাকে। আর বলতে থাকে,,সরি ফারহান আমার আর কোনো উপায় নেয়। তোমাকে কিছু বলতে পারবো না। আমি কি করবো বুঝতাছিনা। পিল্জ এটা আমার জন্য এতোটা কঠিন বানিয়ে দিয়ো না।
সকালে,,,,,,,,
ফারহান মাথা ধরে উঠে। তার মাথা ঝিম ঝিম করে ব্যাথা করছে। কোনো রকমে চোখ খুলে দেখে সে রিমানের রুমে শুয়ে আছে। দুই হাত দিয়ে মাথা ধরে নিচু করে বসে আছে। একটু পর রিমান আসে লেবু পানি নিয়ে।
রিমান,,,,,,,,, নে এটা খা, ভালো লাগবে।
ফারহান মাথা তুলে তাকায়, তাকিয়ে রিমানের হাত থেকে লেবুর পানিটা নেয়।
ফারহান,,,,,,,, আমি এখানে কি করে আসলাম।
রিমান,,,,,,,,, উড়ে উড়ে।
ফারহান,,,,,,,,,, মানেহহ
রিমান,,,,,,,,, ইস্টুপিট তুই কালকে মাতাল অবস্থায় রিমির রুমে চলে গেছিলি। ভালো হয়েছে রিমি আমাকে কল করেছে, অন্য কেও জেনে গেলে কি হতো ভেবেছিস।আর তুই ড্রিংক করেছিস রেলি।
ফারহান,,,,,,,,,, আমার কিছু মনে পরছে না।
,,,,,,,,,,, তুই ড্রিংক করে মারামারি করেছিস।
ফারহান লাফ দিয়ে উঠে বলে,,,,,আমি রিমিকে মেরেছি।
,,,,,,,,,,,, তোর মাথাটা কি গেছে নাকি,তুই রিমিকে মারলে আমি এতো সুন্দর করে তোকে শুয়িয়ে রাখতাম।
,,,,,,,,,,,, ও তাহলে তোদের মেরেছি (শান্ত হয়ে বসে)
,,,,,,,,,, এই কথাটা এতো শান্ত হয়ে বলছিস কেনো,মানে আমাদের মারলে তোর কিছু আসে যায় না।
,,,,,,,,,, সত্যি বলতে, একটু না। সামান্য মেরেছিই তো মেরে তো আর ফেলিনি। (বিরক্তি নিয়ে)
,,,,,,,,,,, কেমন বন্ধু নিয়ে থাকি,,, বাই দ্যা ওয়ে, তুই আমাদের না অন্য কোনো ছেলেদের মেরেছিস।
,,,,,,,,,,, তাহলে এতো পে পে করছিস কেনো।
,,,,,,,,,,,, আরেকটা কথা সময় দেখ কতো হয়েছে,, নিচে অনি রিমির সাথে কথা বলছে।
,,,,,,,,, কিহহ তুই এটা আমাকে এখন বলছিস। (উঠে দাঁড়িয়ে)
,,,,,,,, এভাবে যাওয়ার চিন্তা ভাবনাও করিস না, নিচে অনেক লোক আছে।
,,,,,,,,, তোর একটা ভালো ড্রেস বের করে রাখ আমি সাওয়ার নিয়ে আসছি। (তাড়াহুড়ো করে)
,,,,,,,,, হুমম।
,,,,,,,,,,,
আরাব রিধির সাথে হেঁসে হেঁসে কথা বলছে, সে কখন থেকে মুন বসে বসে দেখছে আর শুনছে। সে আর নিতে পারছে না।
মুন,,,,,,,,,, সেই কখন ধরে কথা বলছো, গলাটা নিশ্চয়ই ব্যাথা করছে। ঐদিকে রিমির বিয়ের অনেক আয়োজন এখনো বাকি আছে। সেগুলো কে করবে শুনি। এখানে বসে থাকলে তো আর কাজ হবে না।
আরাব,,,,,,,,,, এই মাত্র এসে তো বসলাম।
রিধি,,,,,,,, আরে মুন চিল,, সব হয়ে যাবে, আগে একটু ভালো করে কথা তো বলে নিয়। আমার অনেক কথা জমে আছে বলার মতো।
মুন,,,,,,,,, (সেগুলো সব আরাবকেই বলতে হবে, কেনো আর কেও নেয় নাকি) আচ্ছা রিধি সবাই আমাকে ভাবি বলে ডাকে তুমি নাম ধরে ডাকছো যে।
রিধি,,,,,,,,, ভাবী ডাকতাম যদি আরাব আমার ভাই হতো, অথবা আমি ওকে ভাই ভাবতাম তাহলে। কিন্তু দুটোর মধ্যে কোনোটাই না। কারন আমরা তো বন্ধু তাই না।
মুন,,,,,,,,,,(কেমন যে বন্ধু সে তো দেখতেই পারছি, একদম গলায় গলায় ভাব) আরাব তোমাকে রিমান ডাকছিলো বলতে ভুলে গেছি। যান গিয়ে দেখা করে আসেন।
আরাব,,,,,,,,,, রিমান ডাকছিলো, মনে হয় কোনো কাজ আছে, তাহলে আমি উঠি৷
আরাব দাঁড়িয়ে দেখে রিমান আসছে।
আরাব,,,,,,,, কিরে তুই আমাকে কেনো ডাকছিলি।
রিমান,,,,,,,,,, আমি তোকে আবার কখন ডাকলাম।
আরাব,,,,,,,,, ও তাহলে তুই ডাকিস নি (মুনের দিকে হাসি নিয়ে তাকিয়ে)
মুন,,,,,,,,, আরে রিমান তুমিই তো কিছু ক্ষন আগে আরাব কে ডাকছিলে (রিমানের সামনে এসে)
রিমান,,,,,,,,, কিন্তু আমি,,,,,
মুন,,,,,,,, হ্যাঁ তুমিই ডাকছিলে (রিমানের দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে)
রিমান মুনের তাকানো দেখে আশেপাশে তাকায়, তাকিয়ে দেখে রিধিও দাঁড়িয়ে আছে।
রিমান,,,,,,,,, ও তাহলে এই ব্যাপার,,, হ্যাঁ আরাব আমি তোকে ডাকছিলাম।
মুন,,,,,,,, দেখেছেন আমি বলেছি না, ও তোমাকে ডাকছিলো। (জোর করে হেঁসে)
আরাব,,,,,,,,,, কেনো ডাকছিলি।
রিমান,,,,,,,, সেটা তো এখন ভুলে গেছি,, মনে পড়লে বলো ওকে। আচ্ছা রিধি তুই বলে চলে যাচ্ছিস।
মুন,,,,,,,,, সত্যি (খুশি হয়ে)
সবাই মুনের দিকে তাকায়। মুন মুখের হাসিটা দুঃখে পরিনত করে বলে,,,,,, এতো তাড়াতাড়ি চলে যাবে।
রিধি,,,,,,,,,, ভেবেছিলাম চলে যাবো, আমার অনেক কাজও আছে,কিন্তু আরাব বললো এতো দিন পড়ে দেখা হয়েছে, আবার রিমির বিয়ে,, তাই ভাবলাম রিমির বিয়েটা খেয়েই যাবো।
মুন,,,,,,,,,,(আরাব তো বলবেই, ঢং দেখে বাঁচি না)
রিমান,,,,,,,,, হুমম খুব ভালো ভেবেছিস।
রিধি,,,,,,, আমি বরং তোদের বাসায় যায় গিয়ে দেখি সাজানোর কাজ কতো দূর,,, চল আরাব।
আরাব,,,,,,,,, চল যায়।
আরাব চর রিধি যেতে থাকে, মুন মুখ ফুলিয়ে তাকিয়ে আছে। রিমান মুনের সাইডে দাঁড়িয়ে মুনকে দেখে মুশকি মুশকি হাসছে।
রিমান,,,,,,,,,, কি হলো মুন,,মন খারাপ নাকি। দেখো আরাব আর রিধিকে কিন্তু এক সাথে মানায় ভালো।
এটা বলতেই মুন রিমানের দিকে রাগী চোখে তাকায়।
রিমান,,,,,,,, এটা আমি বলি না লোকে, লোকে বলে এমন।
মুন,,,,,,,,, আচ্ছা ওদের মধ্যে ঠিক কেমন সম্পর্ক। শুধুই কি বন্ধু।
রিমান,,,,,,,,, আগে এমন মনে হতো না। আমরা তো সবাই ভাবতাম দুজনের মধ্যে কিছু চলছে, কিন্তু এখন তো বিয়ে হয়ে গেছে। এখন হয়তো বা শুধু বন্ধু। যদিও দেখে মনে হয় না।
মুন,,,,,,,,, তাহলে কি মনে হয় দেখে হুমম (রেগে)
রিমান,,,,,,,,, আমি কি জানি তোমার চোখ আছে দেখে নাও৷ আমি যায় আমার আবার অনেক কাজ আছে।
মুন,,,,,,,,, দাড়াও আমিও যাবো।
রিমান,,,,,,,, চলো।
,,,,,,,,
ফারহান সাওয়ার নিয়ে, রেডি হয়ে তাড়াতাড়ি নিচে আসে। এসে দেখে অনি আর রিমি বসে আছে। অনি কথা বলছে রিমি চুপচাপ বসে আছে। ফারহান গিয়ে ওদের সামনে বসে। রিমি ফারহানের দিকে তাকিয়ে আছে।
ফারহান,,,,,,,,, চিন্তা করার কিছু নেয় আমি এখন ঠিক আছি।
অনি,,,,,,,,,, কে চিন্তা করছে, আর ঠিক আছো মানে তোমার কি কিছু হয়েছিলো।
ফারহান,,,,,,,,, অনেক কিছু হয়েছিলো, আচ্ছা রিমি কাল রাতে কি হয়েছিলো, আমার শুধু মনে আছে কাল রাতে আমি তোর রুমে ছিলাম।
রিমি চমকে একবার অনির দিকে তাকায় একবার ফারহানের দিকে।
অনি,,,,,,,,,, রিমি ও কাল রাতে তোমার রুমে ছিলো মানে (রেগে)
রিমি,,,,,,,,,, না মানে, ও মিথ্যা কথা বলছে।
ফারহান,,,,,,,, মিথ্যা বলছি মানে,,কাল রাতে আমাদের মাঝে যা হয়েছে সব মিথ্যা ছিলো।
অনি,,,,,,,,, কি হয়েছে তোমাদের মাঝে।
রিমি,,,,,,,, পাগল হয়ে গেছো নাকি আমাদের মধ্যে কিছুই হয়নি। শুধু কথা বার্তা হয়েছে।
ফারহান,,,,,,, আমিও তো সেটাই বলছি, আমাদের মধ্যে কাল রাত কথা হয়েছিলো অনি তুমি কি ভেবেছো (হেসে)
অনি,,,,,,, কিছু না,,,কি কথা হয়েছিলো তোমাদের।
ফারহান,,,,,,,,, সেটাই তো আমারও মনে নেয়। মনে করার চেষ্টা করছি। কালকে কিছু তো একটা করেছি (বলে ভাবার অভিনয় করে সেখান থেকে চলে যায়)
অনি,,,,,,, ফারহান কি তোমার সাথে কিছু করেছে।
রিমি,,,,,,,,,,, না,, ও এমনি বলছে।
অনি,,,,,,,,, দেখো সত্যি করে বলো (রাগে)
রিমি,,,,,,,,, বললাম না, কিছুই হয়নি আমাদের মাঝে। (জীদ দেখিয়ে)
অনি,,,,,,,,, ভুলে যেও না কার সাথে কথা বলছো, আর কাল কি কথা হয়েছে তোমাদের মধ্যে।
রিমি,,,,,,,,৷ তেমন কিছু না।
অনি,,,,,,,, সত্যিই গেমন কিছু না,, নাকি
রিমি,,,,,,,,, চিন্তা করেন না আমি ফারহানকে আমাদের বিয়ের বিষয়ে কিছুই বলি নি।
অনি,,,,,,,, বললে কি হবে সেটা তো জানোই। এটা ভুলে যেয়ো না সবাই আমার গান পয়েন্ট এ আছে, এক ইশারায় সবাইকে শেষ করে দিতে পারি। (কানে কানে)
রিমি,,,,,,,, বার বার এটা মনে করিয়ে দেওয়ার কিছু নেয়, আমার সব মনে আছে, আর আমি কাওকে কিছু বলিনি। (ভয়ে)
ফারহান দূর থেকে সব কিছু দেখছে। সব কিছু ভালো করে নোটিশ করছে।
রিমান পিছন থেকে এসে ফারহানকে ঝাঁকিয়ে বলে ,,,,,, কি করছিস,।
ফারহান চমকে যায়, আর ভয়ে বলে,,,,, পাগল তুই এভাবে কে জিজ্ঞেস করে।
রিমান,,,,,,,, আমি করি।
আরাব,,,,,,, তুই এভাবে লুকিয়ে কি দেখছিস।
ফারহান,,,,,,,,, রিমিকে,, আমার মনে হয় কিছু তো একটা গড়বড় আছে। রাগের মাথায় আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে তোর বোনের চেহেরা দেখে মনের খবর বলতে পারি। এখন যখন দেখলাম মনে হলো রিমি কিছু একটা নিয়ে ভয়ে আছে।
আরাব,,,,,,,, অনি রিমিকে ভয় দেখিয়ে এসব করছে না তো।
রিমান,,,,,,,, আমার বোনকে ভয় দেখাচ্ছে আমি এখনি তার খবর নিচ্ছি।
ফারহান,,,,,,, আরে দূরর এতো সহজে যদি বলে দেওয়ার মতো কথা হতো তাহলে রিমি এতো ভয়ে থাকতো না। নিশ্চয়ই কিছু বড় কাহিনি আছে।
আরাব,,,,,,,,, আমি আমার লোক লাগাচ্ছি অনির পিছনে, ওর সব ডিটেল্স বের করছি।
রিমান,,,,,,, তুই যেমন ভাবছিস তেমন যদি না হয় তাহলে।
ফারহান,,,,,,,, শালা তোর মুখে ঝাঁটার বাড়ি। এমন হলে আমি আগেই বলে দিলাম, আমি আগে পিছনে কিছুই দেখবো না সোজা তোর বোনকে উঠিয়ে নিয়ে যাবো।
আরাব,,,,,,,,,, এর থেকে বেটার আইডিয়া আছে আমার কাছে,, যদি এমন কিছু হয় তাহলে,,ঐ অনিকে আটকিয়ে রাখবো তারপর খালা খালুর মগজ দুলায় করে তোর সাথে বিয়ে দিয়ে দিবো।
রিমান,,,,,,,, শালারা আমার সামনে তোরা কিভাবে আমার বোনকে কিটনাপ করবি তার বিয়ে ভাঙবি এসব আলোচনা করতাছস।
ফারহান,,,,,,,, এমন কিছু যদি হয়না, তাহলে তুই তোর বোনকে কিটনাপ করতে সাহায্য করবি, না হলে তোকে সবার আগে মেরে ফেলবো। (রিমানের কর্লার ধরে)
এটা বলে ফারহান চলে যায়।
রিমান,,,,,, যে দেখো শুধু আমার জানের পিছনে পড়ে আছে। জীবনরাই তেজ পাতা হয়ে গেলো।
ফারহান গিয়ে আবার সেখান বসে। তাদের দুজনের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দেয়।
ফারহান,,,,,,,, রিমি যা তো আমার জন্য এক কাপ কফি বানিয়ে নিয়ে আয়।
অনি,,,,,,,,,, আমরা কথা বলছি, তুমি অন্য কাওকে বলো।
ফারহান,,,,,,,, ইশশ মাথাটা ব্যাথা করছে, এখানে আসলে ওর হাতের কফি খাই,, থাক আজ না হয় খাবো না। দূরর মাথাটা এতো ব্যাথা করছে কেনো (মাথা ধরে ঢং করে)
রিমি,,,,,,,,,, তুমি বসো আমি এখনি কফি বানিয়ে আনছি। (রিমি তাড়াহুড়ো করে চলে যায়)
রিমি যেতেই ফারহান ঠিক হয়ে বসে।
অনি,,,,,,,,, আজ আমাদের এনগেজমেন্ট, ভুলে গেলে নাকি। আর তোমার না মাথা ব্যাথা করছিলো।
ফারহান,,,,,,,, এখন ঠিক হয়ে গেছে। ও আজ তোমাদের এনগেজমেন্ট। (আমিও দেখবো রিমিকে আন্টি কিভাবে পড়াস)
রিমি তাড়াতাড়ি ফারহানের জন্য কফি নিয়ে আসে। ফারহান কফিটার এক চুমুক খেয়ে বলে,,,,, হুমম এতে আগের মতোই ভালোবাসা আছে। যাই হোক আজ তোর এনগেজমেন্ট এর জন্য রেডি থাকিস। বলে হাসি দিয়ে চলে যায়।
রিমি,,,,,,,, (ফারহান যখনি এমন হাসি দেয়, তখনি কিছু না কিছু একটা শয়তানি করে, অনি মনে হয় না তোমার সাথে এনগেজমেন্টটা হবে, না জানি কি করবে। আর যায় করবে তার সাথে দেওয়ার জন্য আমার দুই ভাই তো আছেই)
ফারহান আরাব আর রিমানের কাছে যায়।
ফারহান,,,,,,,,, কিরে কি শুনছি এসব।
রিমান,,,,,,,,,, তুই কি শুনছিস তুই জানিস আর তোর কান জানে আমরা কি জানি।
ফারহান,,,,,,,,, আমাকে দেখে কি মনে হয় আমি মজা করার মুডে আছি। (রিমানের দিকে সিরিয়াস ভাবে তাকিয়ে)
আরাব,,,,,,,, বাদ দে ওর কথা, কি শুনেছিস আগে সেটা বল।
ফারহান,,,,,,,,,, আজ বলে রিমির এনগেজমেন্ট।
আরাব,,,,,,,,, এটা অনেক দিন ধরেই আলোচনায় আছে, আর তুই আজ শুনলি।
ফারহান,,,,,,,,, আজ অনির জায়গা আমি রিমিকে আংটি পড়াবো।
আরাব,,,,,,,, কিভাবে।
ফারহান,,,,,,,, সেটা তোরা আমাকে বলবি, তোদের মতো বন্ধু থাকলে যদি এটা আমার ভাবা লাগে তাহলে দরকার নেয় তোদের মতো বন্ধু। আর যদি ভুলেও ঐ অনি রিমিকে আংটি পড়িয়ে দেয়, তাহলে তোদের আঙুল আমি কেটে ফেলবো।
রিমান,,,,,,,,৷ আই হেব এ ধামাকাদার প্ল্যান। (শয়তানি হাসি দিয়ে)
ফারহান,,,,,,,, আমি জানতাম এসব শয়তানি বুদ্ধি তোর মাথায় আসবে। সাব্বাশ।
রিমান,,,,,,,, তুই কি আমার তারিফ করলি নাকি।
আরাব,,,,,,,,,,এটা ছাড় প্ল্যান বল।
রিমান সব প্ল্যান খুলে বলে।
আরাব,,,,,,,,, প্ল্যানটা সেই,, এবার হবে খেলা।
ফারহান,,,,,,,, প্ল্যানটা শুনে ভালো লাগছে, তবে রিধি রাজি হবে।
আরাব,,,,,,,, রিধি রাজি না হলে রিধির কাজ রিমান করবে।
রিমান,,,,,,,,, একটা লাথি দিয়া উগান্ডা পাঠায়া দিমু শালা,,কেনো ও রাজি না হলে তুই করবি রিধির কাজ।
আরাব,,,,,,,,, আরে রিধি রাজি হবে হবে।
,,,,,,,,,,,
অনি,,,,,,,,, হ্যালো,, তুই আজ সন্ধ্যায় আসবি তো আমার এনগেজমেন্ট এ।
,,,,,,,,,,,,, আসবো মানে, আমি না আসলে মজা হবে কিভাবে। সব প্ল্যান আমার আর আমিই আসবো না। এটা কি করে হয়।
অনি,,,,,,,,, আমি সব রেডি করে রেখেছি, তুই আসলে কোনো সমস্যা হবে না।
,,,,,,,,আসবো আসবো,, আমি না আসলে খেলা জমবে কি করে। আমার যে ক্ষতি তারা করেছে তার ডাবল করতে আসছি। আর রিমান তার থাপ্পড় এর জবাব ওর বোনকে দিয়ে নিবো।
অনি,,,,,,, ওকে,, এখন রাখি।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………….26
,,,,,,,,আসবো আসবো,, আমি না আসলে খেলা জমবে কি করে। আমার যে ক্ষতি তারা করেছে তার ডাবল করতে আসছি। আর রিমান তার থাপ্পড় এর জবাব ওর বোনকে দিয়ে নিবো।
অনি,,,,,,, ওকে,, এখন রাখি।
সন্ধ্যায়,,,,,,,
পুরো বাড়ি সাজানো হয়েছে, আলোয় ঝলমল করছে। মেহমানে ভরে গেছে।
মুন কালো একটা জর্জেট শাড়ি পড়ে, চুল গুলো খোঁপা করা, হালকা সাজে। মুন শাড়ির কুঁচি ঠিক করতে করতে নিচে নামচ্ছে আরাব মুনকে দেখে দাঁড়িয়ে যায়।ওর দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে। মুন নিচে নেমে আরাবের দিকে তাকায়। আরাবকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে মুন আরাবের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।
আরাব এখনো এক নজরে মুনের দিকে তাকিয়ে আছে।
মুন,,,,,,,,,,,, আমাকে কেমন লাগছে (হাসি দিয়ে)
আরাব এখনো মুনের দিকে তাকিয়ে আছে, শুধু মাথা নাড়াচ্ছে। মুন এবার আরাবের সামনে তুরি মারে। তখন আরাবের হুশ আসে। অন্য দিকে তাকিয়ে বলে,,,,কি হয়েছে।
মুন,,,,,,,, কোন জগতে আছেন, কতো ক্ষন থেকে জিজ্ঞেস করছি আমাকে কেমন লাগছে কানে যাচ্ছে না। বলেন এবার আমাকে কেমন লাগছে (রাগে)
,,,,,,,,, যেমন লাগার তেমনি লাগছে।
,,,,,,,, এটা আবার কেমন কথা ভালো করে বলেন, ভালো লাগছে নাকি সুন্দর লাগছে। (রাগে)
,,,,,,,,,,, অন্য কোনো অপশন নেয়।
,,,,,,,,,, ও এখন আমার বেলায় অন্য অপশন, কিছু ক্ষন আগে রিধিকে কি কি জেনো বলছিলেন,, ওয়াও সো প্রিটি,, অনেক সুন্দর লাগছে। একদম নাইকা। আর এখন আমার বেলায় আপনার তারিফের বান্ডার ফুরিয়ে গেছে। (রাগে)
,,,,,,,,,, ওকে ভালো লাগছিলো তাই বললাম।
,,,,,,,, কি বলতে চান কি আমাকে ভালো লাগছে না। করা লাগবে না আমার তারিফ আপনাকে, আমার তারিফ করার মতো অনেক লোক আছে। বুঝেছেন আপনি (জোরে ধমক দিয়ে দিয়ে)
,,,,,,,,, আস্তে বলো, আমার কানে কোনো সমস্যা নেয়।
,,,,,,,,, আমার রাগ উঠলে এভাবেই কথা বলি বুঝেছেন।
আরাব মুনের দিকে ঝুঁকে তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,,,,, রাগটা এ কারনে যে, আমি তোমার তারিফ করিনি নাকি এ কারনে যে, আমি রিধির তারিফ করেছি হুমম।
মুন আরাবের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে বলে,,,,,,, রিধির কারনে আমি রাগ কেনো করবো। আপনি যার খুশি তারিফ করেন, তাতে আমার কি। আমি কি আপনাদের দেখে জেলাস ফিল করি নাকি হুহহ।
আরাব,,,,,,,, আমি তো একথা বলি নি। জেলাস ফিল করার কথা তো তুমি বলছো।
,,,,,,,,,,, শুনুন আপনার সাথে ফালতু কথা বলার সময় আমার নেয়। আমি রিমিদের বাসায় যাচ্ছি। আর হ্যাঁ আপনাকে একদমি ভালো লাগছে না কালো কোর্টে হুহহ।
বলে রাগে হনহন করে চলে যায়। আরাব হেসে মুনের পিছনে পিছনে যায়।
ফারহান সাদা কোর্ট প্যান্ট পড়ে দাঁড়িয়ে আছে। আরাব আসে এসে ফারহানকে ভালো করে দেখে বলে,,,,,, আজ তো তোকেই সবাই জামাই ভেবে বসে থাকবে।
ফারহান,,,,,,,,, বিয়েটা তো আমার সাথেই হবে, তাহলে ভাবলে সমস্যা কি। রিমান কোথায় ওকে দেখি না।
আরাব,,,,,,,, আংটি আনতে গেছি।
ফারহান,,,,,,,,,, একদম হুবুহু আনতে বলবি।
আরাব,,,,,,, হুমম,,, একদম হুবুহুই নিয়ে আসবে রিমান।
রিমান,,,,,,,,, আনবে না,এনে ফেলেছি।
ফারহান,,,,,,,,, ভেরি গুড,,, এখন হবে খেলা।
মাহুয়া,,,,,,,,, রিমান (মিষ্টি করে ডাক দেয়)
রিমান মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে ফ্লেট হয়ে যায়।
রিমান,,,,,,,,, আমার পরী এসে গেছে (বলে আংটির বক্সটা পিছন দিকে ফারহানের দিকে ছুঁড়ে মারে)
ফারহান কোনো মতে ধরে। মাহুয়া হালকা মিষ্টি কালারের একটা গ্রাওন পড়ে।
মাহুয়া,,,,,,,,, আমাকে কেমন লাগছে৷
বলে হাঁটতে নেয়, আর জামা পায়ের সাথে বেঝে পড়ে যেতে নেয় রিমান ধরে ফেলে।
মাহুয়া,,,,,,,, কি জামা এতো লম্বা কেন। এটা পড়ে মানুষ হাঁটে কিভাবে। অদ্ভুত লাগছে আমাকে (ঠোঁট বেকিয়ে রিমানের দিকে তাকিয়ে)
রিমান,,,,,,,,,, তোমাকে এতো সুন্দর লাগছে যে, বলে বুঝাতে পারবো না। আমার মিষ্টি পরী। আমি জানি তোমার এসব জামা পড়তে ভালো লাগে না, তাও আমার জন্য পড়ো তাই না।
মাহুয়া,,,,,,,,, যেটা তোমার ভালো লাগে ঐটাই আমার ভালো লাগে। তোমার জন্য আমি যে কোনো কিছু করতে পারি, এটা আবার এমন কি।
রিমান,,,,,,,,,, তুমি কতো কিউট,, আর এখন তো আরো কিউট লাগছো, ইশশ কি যে করি, মনে যাচ্ছে এখনি
আরাব+ফারহান,,,,,,,,,,,, এখনি কি (রিমানের দিকে বেটকি দিয়ে তাকিয়ে)
রিমান,,,,,,,, তোরা এখনো এখানে কি করছ। লজ্জা করে না মানুষের পার্সোনাল কথা শুনতে।
আরাব,,,,,,,, তোর লজ্জা করে না পার্সোনাল কথা পাবলিক প্লেসে করতে।
রিমান,,,,,,,, না করে না৷ ছোট থেকেই আমার লজ্জা কম।
ফারহান,,,,,,,,, কম না, তোর লজ্জা নাইয়ি।
রিমান,,,,,,,,, হ আমি বেশরম তোর কোনো সমস্যা (বুক ফুলিয়ে)
আরাব,,,,,,,,,, এমন ভাবে বলছিস যেনো এটা কি একটা গর্বের বিষয়।
রিমান,,,,,,,,, এই যা রে,, তোরা তোদের কাজ কর আর আমাকে আমার কাজ করতে দে। মাহু,,
বলে পিছনে তাকায়, তাকিয়ে দেখে মাহু আর সেখানে নেয়৷ এটা দেখে দুজনে হাসতে থাকে।
রিমান,,,,,,,,, কোথায় গেলো।
আরাব,,,,,,, স্বর্গে যা গিয়ে দেখে আয়।
রিমান,,,,,,,,, ফারহান তুই কি হাসছিস, ঐ দেখ তোর স্বতা এসে গেছে।
ফারহান তাকিয়ে দেখে অনি এসেছে। দেখেই ফারহানের মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে।
আরাব,,,,,,,,,,, এটা তো অনি, স্বতা আবার কি।
রিমান,,,,,,,,, মেয়েদের যদি স্বতীন হয় তাহলে ছেলেদের স্বতা হবে। সেই হিসাবে৷
অনি,,,,,,,,, হায়,, কি অবস্থা।
রিমান,,,,,,,,,,, আলুর বস্তা
অনি,,,,,,,,, কিহহ
রিমান,,,,,,,, না মানে, ভালো আছি।
অনি,,,,,,, তোমাদের জন্য একটা সাপরাইজ আছে।
আরাব,,,,,,,, কি।
অনি,,,,,,,, আসলেই দেখতে পাবে৷
ফারহান,,,,,,,,, ঠিক আছে আমরাও দেখে নিবো কতো বড়ো সাপরাইজ।
মুন,,,,,,,,, আসল জলক তো এখানে।
সবাই তাকিয়ে দেখে মুন আর মাহুয়া রিমিকে নিয়ে নামছে। রিমি সাদা একটা গ্রাওন পড়েছে। গ্রাওনটা প্রিন্সেস এর মতো।
ফারহান আর অনি এক সাথে হা করে দাঁড়িয়ে আছে। রিমি প্রথমে চোখ তুলে ফারহানের দিকে তাকায়। রিমিকে ফারহানের দিকে তাকাতে দেখে অনি ফারহানের সামনে এসে দাঁড়ায়। রিমান এটা দেখে অনির সামনে এসে দাঁড়ায় আর বলে,,,,,,, প্রথম বার তোকে দেখতে একটু সুন্দর লাগছে।
রিমি,,,,,,,,, শয়তান।
ফারহান,,,,,,,,, এই ড্রেসে সত্যিই সুন্দর লাগছে, আর লাগারি কথা। (নিজের কোর্টটা ঠিক করতে করতে)
রিমি খেয়াল করে তার ড্রেসের সাথে একদম মেচিং করা ফারহানের কোর্ট। অনিও বিষয়টা খেয়াল করে।
অনি,,,,,,,,, রিমি তুমি এই ড্রেসটা কেনো পড়েছো, আমি যেটা দিয়েছি, সেটা কেনো পড়োনি।
রিমি,,,,,,,,,,, এটা তোমার পাঠানো ড্রেস না।
অনি,,,,,,,,, না।
রিমি ফারহানের দিকে তাকায়, ফারহান রিমির দিকে তাকিয়ে ইনোসেন্ট একটা হাসি দেয়।
রিমি,,,,,,, (এটা ফারহান ছাড়া আর কারো কাজ হতেই পারে না)
আরাব,,,,,,,, আরে যা হয়েছে সেটা নিয়ে ভেবে লাভ নেয়। চলো এনগেজমেন্টটা সেরে ফেলি।
অনি,,,,,,,,, আরে এতো তাড়া কিসের, আমার আসল মেহমান আর তোমাদের সাপরাইজ তো আসলো না।
,,,,,,,,,,, আমি এসে গেছি।
সবাই তাকায় তাকিয়ে দেখে রাইসা দাঁড়িয়ে আছে। রাইসাকে দেখে কেও একটুও অভাক হয় না। বরং স্বাভাবিক ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।
রাইসা,,,,,,,,,, সবাই কেমন আছো। (বড় করে একটা হাসি দিয়ে)
আরাব,,,,,,,,,, আমরা সবাই ভালো আছি, তুমি কেমন আছো। (হাসি দিয়ে)
রিমান,,,,,,,,,,, ধন্যবাদ আমার বোনের এনগেজমেন্ট এ আসার জন্য।
ফারহান,,,,,,,,, আর তুমি আসবেই তোমার ভায়ের বিয়ে।
আরাব,,,,,,,,, আরে শুধু ভাই না চাচাতো ভাইয়ের বিয়ে।
রাইসা,,,,,,,,,,, তোমরা সবাই কি করে জানলে।
রিমান,,,,,,,,, বোন বিয়ে দিবো আর বর সম্পর্কে খোঁজ নিবো না এটা কি করে হয়।
অনি,,,,,,, তোমাদের রাগ হচ্ছে না।
ফারহান,,,,,,,, না বরং ভালো লাগছে,,রিমি কেইস উঠিয়ে নিয়েছে।
রিমি,,,,,,,,,, তোমরা জানতে যে,আমি কেইস উঠিয়ে নিয়েছি।
আরাব,,,,,,, হুমম আমরা সবাই জানি।
ফারহান,,,,,,,,, আর ভালোই করেছো উঠিয়ে,,, রাইসা তোমাকে কিন্তু আজ সুপার হট লাগছে।
রিমি ফারহানের দিকে কটমট করে তাকায়।কিন্তু ফারহান কোনো পাত্তা দেয় না।
রাইসা,,,,,,,,,,, সত্যি,, থেংক ইউ (খুশি হয়ে) আচ্ছা তোমরা কেও আমার উপর রেগে নেয়।
ফারহান,,,,,,,, না, তুমি যা করেছো আমাকে ভালোবেসে করেছো। আর এতো ভালো আমাকে কে ভাসবে যে কিনা আমার জন্য অন্যের জান নিতেও পারে। এটা আমি কিছু দিন ধরে অনুভব করলাম।
রাইসা,,,,,,,,,,, সত্যি (খুশিতে লাফিয়ে)
ফারহান,,,,,,,,,,, কিন্তু তোমার সাথে যা করেছি, তোমাকে জেলে পাঠিয়েছি, তোমার কোম্পানি ডুবিয়ে দিয়েছি এর পরেও কি তুমি আর আমাকে ভালোবাসবে।
রাইসা,,,,,,,,,,,, হ্যাঁ আমি তোমাকে এখনো ভালো বাসি।
অনি,,,,,,,,,,, কি বলছিস রাইসা।
রাইসা,,,,,,,, তুই চুপ থাক।
ঐদিকে রাগে রিমির চোখে পানি এসে গেছে। জামা খামচে ধরেছে। রিমি রাগে অন্য দিকে চলে যায়। সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে। রাইসা ফারহানের এক হাত জরিয়ে ধরে।
অনি,,,,,,,,, রাইসা আমার সাথে চলো, কথা আছে।
অনি রাইসাকে জোর করে নিয়ে যায়।
রাইসা,,,,,,,,, অনি কি হয়েছে। (রাগে)
অনি,,,,,,,,,, কি হয়েছে মানে, কি করছিস তুই, আমাদের প্ল্যান কি ছিলো।
রাইসা,,,,,,,,, যা ছিলো তাই আছে, শুধু একটু চেঞ্জ হয়েছে। আমি ফারহানের কোম্পানির বিষয়ে কিছু করবো না। ওকে বিয়ে করবো। আর তুই ঐ রিমিকে বিয়ে করে ১/২ মাস নিজের কাছে রেখে ওর বেহাল করে ছেড়ে দিস।
অনি,,,,,,,,,, প্ল্যান একটু আমিও চেঞ্জ করেছি।
রাইসা,,,,,,,,, কি।
অনি,,,,,,,,, রিমিকে আমি ছাড়বো না, ওকে আমার কাছে রাখবো। তুই আগে বলিস নি কেনো যে,তোর শত্রু এতো সুন্দর। ওকে দেখার পর আমার মন পাল্টে গেছে।
রাইসা,,,,,,,,, কি আবল তাবল বকছিস,ঐ রিমিকে আমি একদম দেখতে পারি না। আর তুই,(রাগে ফুলতে ফুলতে)
অনি,,,,,,,,, এতো কিছু জানি না, আমার ওকে চাই মানে চাই। ওকে নিজের করতে আমাকে কেও আটকাতে পারবে না, তুই ও না।
রাইসা,,,,,,,,ঠিক আছে তুই এখন এনগেজমেন্টটা তো কর।ফারহান আমার হলে আমার আর কিছু লাগে না।
রিমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে কোনো কথা নেয়, শুধু রাগে ফুলছে। ফারহান রিমির সাইডে এসে দাঁড়িয়ে বলে,,,,,,,কি রাগ হচ্ছে কিন্তু কেনো তুই না আমাকে ভালোবাসিস না, তাহলে আমাকে রাইসার সাথে দেখে এতো রাগার কি আছে। (হেসে)
রিমি,,,,,,,,,, কে বলেছে আমি রেগে আছি হুমম, আমি কেনো রাগবো। আমি রেগে নেয়। (প্রচন্ড রাগে)
তখনি রিমান রিমিকে ডাক দেয়।
রিমান,,,,,,,,, ঐ রিমি শুন।
রিমি,,,,,,,,, কি হয়েছে হুমম আমি কি কানে কম শুনি, এতো চিল্লানোর কি আছে, এখানেই তো আছি কোথাও চলে তো আর যায়নি। (রাগে)
রিমান,,,,,,,,, কি হলো তুই এতো রেগে আছিস কেনো।
রিমি,,,,,,,,, ঐ আমি রেগে আছি, কোথায় রেগে আছি হুমম( রাগে জোরে বলে কথা গুলো)
রিমান,,,,,,,, না, কে বলেছে তুই রেগে আছিস, তোর মতো শান্ত মেয়ে আমি আর একটা দেখি নি।
ফারহান,,,,,,,, তোরা থাম,,তোর এনগেজমেন্ট এর জন্য৷ ডাকছে,যা।
রিমি,,,,,,,,, হুমম শুনেছি,, আমার এনগেজমেন্ট হবে এখন আপনি শুনেছেন তো৷
ফারহান,,,,,,,, হুমম শুনেছি। যা না হলে লেইট হয়ে যাবে।
রিমি,,,,,,,, হুমম যাচ্ছি আমি (জোরে)
রিমান,,,,,,, হুমম আমরা শুনেছি,, যা তাড়াতাড়ি।
রিমি রাগ দেখিয়ে চলে যায়। সবাই অনেক আনন্দের সাথে অনি আর রিমির দিকে তাকিয়ে থাকে। রিমি দাঁড়িয়ে আছে তার মুখে স্পষ্ট ভয়ে ছাপ নজর আসছে। তাদের পাশে রিমান, আরাব মুন,রিধি,ফারহান মাহুয়া গোল করে দাঁড়িয়ে আছে।
তাদের ডেকে এনগেজমেন্ট এর ঘোষণা দেওয়া হয়। অনি আর রিমি সামনা সামনি দাঁড়িয়ে আছে। অনি রিং নিয়ে রিমির হাতের দিকে এগোচ্ছে, আর রিমি বার বার ফারহানের দিকে তাকাচ্ছে।
যেই আংটি পড়াতে যাবে অমনি লাইট চলে যায়। পুরো বাড়ি অন্ধকার হয়ে যায়। ১ মিনিট পড়ে আবার লাইট চলে আসে।
সবাই দেখে অনি আর রিমির হাতে আংটি পড়ানো হয়ে গেছে। সবাই হাত তালি দিচ্ছে। ফারহান, আরাব,রিমান তো জোরে জোরে হাত তালি দিচ্ছে।
অনি,,,,,,,, রিমি এতো তাড়াহুড়ার কি ছিলো, এতো তাড়াতাড়ি আংটি কেনো পড়ালে।
রিমি কিছু বলছে না শুধু ফারহানের দিকে তাকিয়ে আছে।
রিমান,,,,,,,,,, প্ল্যান সাক্সসেস ফুল।
ফারহান,,,,,,,,, হুমম।
কিছু ক্ষন আগের ঘটনা,,,,,,
চারদিক অন্ধকার হয়ে যাওয়াতে, ফারহান রিমির সামনে আসে আর রিধি অনির সামনে। ফারহান তাড়াতাড়ি রিমিকে আংটি পড়িয়ে দেয়। আর রিমির হাত জোর করে নিয়ে নিজের হাতে আংটি পড়ে।আর রিধি তাড়াতাড়ি অনির হাত থেকে আংটি পড়ে আর তাড়াতাড়ি আংটি পড়িয়ে দেয়।
,,,,,,,,
রিমি তার হাতের দিকে তাকিয়ে আছে,,,, (আমি জানি এটা অনি ছিলো না, ফারহান তোমার হাতে স্পর্শ আমার বড্ড চিনা, আংটিটা যে কে পড়িয়েছে সেটা আমি ভালো করে জানি) মুশকি মুশকি হেঁসে।
ফারহান,,,,,,,,, কাল হবে আসল খেলা।
আরাব,,,,,,,,,, একদম।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,