#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………….27
রিমি তার হাতের দিকে তাকিয়ে আছে,,,, (আমি জানি এটা অনি ছিলো না, ফারহান তোমার হাতে স্পর্শ আমার বড্ড চিনা, আংটিটা যে কে পড়িয়েছে সেটা আমি ভালো করে জানি) মুশকি মুশকি হেঁসে।
ফারহান,,,,,,,,, কাল হবে আসল খেলা।
আরাব,,,,,,,,,, একদম।
রিধি,,,,,,,,, এই আংটি কি এখনো পড়ে থাকা লাগবে।
রিমান,,,,,,,, না, চাইলে খুলে ফেলো যদি খুলতে মন চাই।
রিধি,,,,,,,, মন চাইবে না কেনো।
রিমান,,,,,,,,,, আচ্ছা রিধি তুমি এক কথায় রাজি হয়ে গেলে অন্য জনের সাথে এনগেজমেন্ট করতে এর কি কোনো বিশেষ কারন৷
রিধি,,,,,,,,, নো,,,এটা কোনো ব্যাপার হলো। এসব আংটি বদল আমি মানি না। একটা আংটি বদল করে বিয়ের প্রতিশ্রুতি কিভাবে দেয় আমি এটাই বুঝি না। সো একটা আংটি পড়ালে মহা ভারত অসুদ্ধ হবে।
রিমান,,,,,,,,, তোমাকে পেয়ে আমরা ধন্য৷ তুমি না থাকলে হালারা আমার হাতে জোর করে আংটি পড়াতো। তারপর কি হতো একটা ছেলের সাথে আমার এনগেজমেন্ট হয়ে যেতো। পরে আমি সবাইকে মুখ দেখাতাম কিভাবে। (অসহায় ভাবে)
আরাব,,,,,,,,,, বেশি কথা বললে রিমির বাসর ঘরে রিমির জায়গা তোকে বসিয়ে দিবো শারী পড়িয়ে।
ফারহান,,,,,,,,, কেনো আমার রাতটা নষ্ট করতে চাস। এক কাজ করিস রিমানের বাসর ঘরে অনিকে ডুকিয়ে দিস।
রিমান,,,,,,,,,, তাহলে অনিকে তো পিটাবো, পিটাবো সাথে তোদের কবর দিয়ে দিবো। না তার থেকে ভালো বুদ্ধি এক দুমাস এমন ব্যবস্থা করবো যাতে তোরা তোদের বউ এর সাথে দেখা করতে না পারিস।
ফারহান,,,,,,,, হেহহ বললেই হলো।
রিমান,,,,,,,,, তুই বললে আমি রিমির এমন ব্যবস্থা করবো যে এক দু মাস তার দেখায় পাবি না। শুধু বল করবো নাকি।
ফারহান,,,,,,,,, দূরর তুই কি বলিস,আমি জানি তোর দারা সব সম্ভব। আমি তোকে কতো ভালোবাসি।
অনি,,,,,,,,,, এখানে সবাই কি কথা হচ্ছে।
রিমান,,,,,,,,, এইতো এই, সেই,ঐ কথা হচ্ছে।
অনির চোখ ফারহানের আঙুলের দিকে যায়।
অনি,,,,,,,, তোমার এই হাতে আংটি কোথা থেকে এলো।আগে তো ছিলো না।
সাথে সাথে রিধি তার হাত লুকিয়ে ফেলে আর অনিও দেখে ফেলে।
ফারহান,,,,,,,, আমার দিকে দেখি অনেক খেয়াল করো।
অনি,,,,,,,,,,, তুমি খেয়াল করার জিনিস তাই খেয়াল করি।
রিমান,,,,,,,,, অনি তোমার কি কোনো সমস্যা আছে নাকি৷ থাকলে আগে থেকে বলে দাও।
অনি,,,,,,,,, সমস্যা মানে।
রিমান,,,,,,,,, না মানে মেয়েদের ছেড়ে ছেলেদের দিকে খেয়াল করছো তাই বললাম।
অনি,,,,,,,,রিমান তুমি তো সব সময় বেশি বুঝো। আচ্ছা রিধি তুমি হাত লুকালে কেনো। দেখি তোমার হাতটা।
রিমান,,,,,,,,,যাক ভাবা আমি তো দেখি বলেও ভুল করলাম।থাক তুমি যে মেয়েদের পছন্দ করো সেটা আমাদের বুঝাতে রিধির হাত দেখতে হবে না। রিমির হাত দেখো গিয়ে।
এ কথা বলতেই ফারহান রিমানের কাঁধে হাত রেখে জোরে চাপ দেয়। আর রিমানের দিকে তাকিয়ে একটা বড় হাসি দেয়।
রিমান,,,,,,,,, না না আমার বোনের হাত ধরা যাবে না এখন, খবরদার যদি আমার বোনের হাত ধরো, বা দেখো তো।
অনি,,,,,,,,,, একদিন তোমার বোনের হাত ধরবো আর দেখবোও। এখন একটু রিধির হাতটা দেখি, রিমির মতো এনগেজমেন্ট আংটি দেখলাম মনে হলো।
রিধি,,,,,,,,,,,, হুমম তো কি হয়েছে। এই দেখো আংটি একদম রিমির মতো এখন কি করবে বলো হুমম (হাতটা বাড়িয়ে)
অনি,,,,,,,,,, তোমাদের আংটি একদম আমাদের মতো৷ আর হঠাৎ আবার তোমাদের দুজনের হাতে কোথা থেকে এলো।
রিধি,,,,,,,,, আমাদের দুজনের এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে।আমরা একা একা করে ফেলেছি, এখন বলেন আপনার কোনো সমস্যা (রাগ দেখিয়ে)
অনি,,,,,,,, না কোনো সমস্যাই নেয়।
ফারহান,,,,,,,,, আমরা একটু কথা বলবো তুমি একটু পড়ে আসো।
অনি,,,,,,,,, ঠিক আছে, আমি যাচ্ছি এখন, তোমরা কথা বলো।
অনি চলে যায়। সবাই বিরক্তি ভাবটা মুখ থেকে সরাই।অনি রিমির কাছে যায়। গিয়ে বলে,,,,,,,,,জানো আমার মনে হয় ফারহান আর রিধি দুজন দুজনকে বিয়ে করতে চাই।
রিমি,,,,,,,,,, হঠাৎ একথা মনে হলো কেনো।
অনি,,,,,,,,,, আরে ওরা নিজেরা বলেছি যে,ওরা নাকি নিজে নিজে এনগেজমেন্ট করে ফেলেছে।
রিমি,,,,,,,,,,,, ও
অনি,,,,,,,,,, শুধু ও,, তুমি অভাক হলে না।
রিমি,,,,,,,,,, হুমম অনেক অভাক হয়েছি। (গাধা)
বলে চলে যায়। অনি অভাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে৷ তারপর রাইসাকে দেখে, রাইসাকে ডাক দেয়।
রাইসা,,,,,,,,, কি হয়েছে।
অনি,,,,,,,,, আরে রিধি আর ফরহান দুজন দুজনকে পছন্দ করে। দুজন দুজনকে আংটি পড়িয়েছে।
রাইসা,,,,,,,,,,, যা মুখ দিয়ে আসে সেটাই বলিস না।
অনি,,,,,,,,,,, ওরা নিজে আমাকে বলেছে, বিশ্বাস না হলে ওদের হাতে এনগেজমেন্ট আংটি দেখে আয়।
রাইসা,,,,,,,,,,, যদি এমন হয় তাহলে সবার আগে রিধিকে মরতে হবে। ফারহানের কাছে যে আসবে তাকে আমি ছাড়বো না। I kill him.(প্রচন্ড রাগে)
অনি,,,,,,,,,, এখন না পড়ে। এখন মাথা ঠান্ডা কর।
,,,,,,,,,
রিমি দেওয়ালে হেলান দিয়ে বারান্দা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছে, ফারহান সেখানে আসে৷
ফারহান,,,,,,,,,,,,, কংগ্রাচুলেশনস, এনগেজমেন্ট হয়ে গেলো ।
রিমি,,,,,,,, ধন্যবাদ।
ফারহান,,,,,,,,, অনেক খুশি খুশি লাগছে।
রিমি,,,,,,,,,, লাগবেই তো আমার এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে, কিছু দিন পরে অনির সাথে বিয়ে।
ফারহান রিমির দুবাহুতে চেপে ধরে। রিমি ভয় পেয়ে যায়।ফারহান রাগে বলে,,,,,,,,,,অনেক খুশি মনে হয় অনির সাথে বিয়ে হলে।
রিমি,,,,,,,,,, খুশিইতো। আমার পছন্দের ছেলের সাথে আমার বিয়ে হবে।
,,,,,,,,,, খুব পছন্দ তাই না অনিকে ঠিক আছে করাবো বিয়ে তোকে।
রিমি,,,,,,,,, কি তুমি আমাকে অনির সাথে বিয়ে করাবে।
,,,,,,,,,,,,, বিয়ে তো তোকে আমিই করবো৷ ভেবেছিলাম বিয়ের পর আদর করবো। কিন্তু দেখা যায় বিয়ের পর আগে তোকে মেরে ঠিক করতে হবে। তারপর আদর।
,,,,,,,,, কিহহহ তুমি আমাকে বিয়ের পর মারবে। মারতে পারবে আমাকে।
,,,,,,,,,, ও তার মানে বিয়ে করার ইচ্ছে আছে আমাকে।
,,,,,,,,,, না আমি তো এমনি বললা।
,,,,,,,,,,,,,, শুধু শুধু নিজের কপালে দুঃখ টেনে আনিস। বিয়ের পর আমার প্রতেকটা চোখের পানির হিসাব আমি নিবো। (ডেবিল হাসি দিয়ে)
,,,,,,,, কেনো মারবেন নাকি আমাকে।
,,,,,,,,,, না মারবো না, তোমার সাথে অন্য ভাবে আমার হিসাব মিলাবো।
রিমান,,,,,,,,, কিসের হিসাব।
ফারহান তাড়াতাড়ি রিমির থেকে দূরে সরে গিয়ে বলে,,,,,,,,, ঐটা তুই বুঝবি না৷
রিমান,,,,,,,, সব বুঝতে পারছি৷ যাই হোক আরাব কোথায় ।
ফারহান,,,,,,,,, জানি না।
রিমান,,,,,,,, চল, খুঁজি আরাবকে দরকার আছে।
ফারহান,,,,,,,,,, আমি পারবো না। তুই খুঁজে বের কর।
রিমান,,,,,,,,,, ঠিক আছে খুঁজা লাগবে না। আমার কি আমি তো তোর কাজের জন্যই খুঁজছিলাম।
ফারহান,,,,,,,,,, চল চল আরাবকে অনেক ক্ষন ধরে দেখি না৷
রিমান,,,,,,,, সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে একটু বেকা করতেই হয়।
রিমান আর ফারহান আরাবকে খুঁজতে বের হয় তখনি মুনকে দেখতে পেয়ে ফারহান ডাক দেয়।
ফারহান,,,,,,,,,,, মুন শুনো।
মুন,,,,,,,,,হুমম বলো।
রিমান,,,,,,,,,,,,, আরাব কোথায়, অনেক ক্ষন ধরে দেখি না।
মুন,,,,,,,, আমি জানি আরাব কোথায়, আমি কি কোলে নিয়ে বসে থকি নাকি। দেখো রিধির সাথে আছে হয়তো। অনেক ক্ষন ধরে তাকেও দেখছি না। (রাগে)
রিমান,,,,,,,,,, আস্তে আস্তে,,, কি হয়েছে, আরাব রিধির সাথে কথাও বলে না।
মুন,,,,,,,,, না বলে না,, কিছু ক্ষন আগেই রিধির সাথে কোথায় জেনো যাচ্ছিলো আমি ডাক দিতেই বলে,আমি একটা জরুরি কাজে যাচ্ছি। কি যে তার জরুরি কাজ আমি মনে হয় জানি না হুহহ (রাগে গজগজ করে)
এটা বলে মুন রাগে তাড়াতাড়ি চলে যায়৷ রিমান আর ফারহান শুধু হা করে তাকিয়ে থাকে।
রিমান,,,,,,,,,, মারহাবা,, এতো রাগ ফারহান বুঝতে পারছিস।
ফারহান,,,,,,,,,,, আমাদের আরাবের কি হবে।
,,,,,,,,
মাহুয়া দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার চুল ঠিক করছে। তখনি একটা ছেলে আসে।
,,,,,,,,,,,, কি মেম কোনো হেল্প লাগবে।
মাহুয়া ছেলেটার দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,,,,, নো থেংস।
,,,,,,,,,,, আরে আপনার চুলের সাথে কানের দুল লেগে গেছে একা ছুটাতে পারবে না, আমাকে দাও আমি ছুটিয়ে দিয়।
মাহুয়া,,,,,,,,,, বললাম তো লাগবে না,আমি একা করে নিবো৷
,,,,,,,,,,, আচ্ছা আপনার নামটা জেনো কি বলেছিলেন্
মাহুয়া,,,,,,,,, আমি তো বলিই নি।
,,,,,,,,,,আচ্ছা তাহলে বলে দিন কি নাম।
,,,,,,,,,,ভালোই ভালোই এখান থেকে যাবেন নাকি।
,,,,,,,,,, আরে এমন করেন কেনো নামি তো জানতে চেয়েছি। আর আপনি যেমন সুন্দর আপনার কন্ঠও অনেক সুন্দর। আপনার নামটাও সুন্দর হবে হয়তো।
,,,,,,,,,,,, আমার জুতোআরো সুন্দর। যে একবার এর মার খেয়েছে সে আর কোনো দিন আমার কাছে আসে নি।
,,,,,,,,,,,,, আরে, আমি তো আপনার সাহায্য করে এসেছিলাৃ আপনি তো দেখি রাগ হচ্ছেন। আপনার বয় ফ্রেন্ড আছে নাকি।
রিমান,,,,,,,,, হুমম আছি,,, আপনি যেতে পারেন, একে আপনি সামলাতে পারবেন না। আর হ্যাঁ এর আশপাশেও যদি দেখি তাহলে তো বুঝতেই পারছেন।
,,,,,,,,,, ওনার চুলে কানের দুল বেঝে গেছে তাই সাহায্য করতে,,।
রিমান,,,,,,,,,,, ওটার জন্য আমি আছি,, এখন এখন থেকে যাবেন নাকি আবার। (শার্টের কলার উপরে করতে করতে)
ছেলেটা তাড়াতাড়ি ভয় পেয়ে চলে যায়।
রিমান,,,,,,,,,, দাও দেখি কোথায় কি হয়েছে।
মাহুয়া,,,,,,,, একটু ছুটিয়ে দাও।
রিমান আস্তে আস্তে চুল ছুটিয়ে দিচ্ছে। অতি যন্তে কানের দুল ছুটিয়ে দেয়। মাহুয়া একটুও ব্যাথা পায় না।
রিমান,,,,,,,,,, নাও হয়ে গেছে।
মাহুয়া,,,,,,,,, থেংক ইউ উম্মা (রিমানকে হঠাৎ গালে কিস করে দৌড় দেয়।
রিমান মাহুয়ার পিছনে দৌড় দিতে নেয় আরাব পিছন থেকে কলার টেনে ধরে। রিমান পড়তে পড়তে বাঁচে। পিছনে রাগে তাকায়।
রিমান,,,,,,,,,, কে রে।
আরাব,,,,,,, আমি রে,,
রিমান,,,,,,,, কি হয়ছে ভাই।
আরাব,,,,,,,,,, কাজ হয়ে গেছে। কাল হবে মজা।
ফারহান,,,,,,,,,,, তাহলে তো হলোই৷
,,,,,,,,,,
রাইসা,,,,,,,,, অনি যে কাজ দিয়ে ছিলাম সেটা হলো।
অনি,,,,,,,,, হয়ে গেছে।।
রাইসা,,,,,,,, এবার আমিও দেখবো, রিধিকে কে বাঁচায়।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………….28
রাইসা,,,,,,,,, অনি যে কাজ দিয়ে ছিলাম সেটা হলো।
অনি,,,,,,,,, হয়ে গেছে।।
রাইসা,,,,,,,, এবার আমিও দেখবো, রিধিকে কে বাঁচায়।
অনেক নাচ গানের মধ্যে আজকের রাতটা শেষ হয়। সবাই অনেক ক্লান্ত তাই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে মুন ঘুম থেকে উঠেই মাটিতে পা রাখতেই পড়ে যায়। ঘুম ঘুম চোখে মাটিতে বসে চোখ বন্ধ করে বাচ্চাদের মতো কান্না শুরু করে দেয়।
মুনের কান্না শুনে আরাব লাফিয়ে উঠে। উঠে দেখে মুন মাটিতে বসে চোখ বন্ধ করে কান্না করছে। এখন আরাব হাসবে না কি করবে বুঝে পাচ্ছে না। আরাব মুনের কাছে গিয়ে বসে কপালে টুকা দেয়। মুন কান্না বন্ধ করে চোখে মেলে তাকায়। আর চোখ মুছতে মুছতে আর নাক টানতে টানতে বলে,,,,,,,, আপনি আমার কপালে টুকা দিচ্ছেন কেনো হুমম আমি কি দরজা নাকি।
আরাব,,,,,,,,,, এভাবে মাটিতে বসে কান্না করার কারনটা কি জানতে পারি।
মুন,,,,,,,,,, আমি বিছানা থেকে নামতে গিয়ে পড়ে গেছি। (কান্নার ভাব নিয়ে)
আরাব,,,,,,,,,, কোথাও লাগে নি তো। একটু আস্তে নামতে পারো না, সব কিছুতে তাড়াহুড়ো করা লাগে। এখন দেখাও কোথায় লেগেছে। (ব্যস্থ হয়ে)
,,,,,,,,,,,,, না লাগেনি।
,,,,,,,,,, তো কান্না করছো যে।
,,,,,,,পড়ে গেছি তাই।
,,,,,,,,, আচ্ছা উঠো।
মুন উঠতে নেয় আর ব্যাথায় আবার পড়ে যায়।
আরাব,,,,,,,,,,,, কি হলো।
,,,,,,,,,,, পায়ে ব্যাথ লাগছে,উঠতে পারছি না।
,,,,,,,,,,, কিহহ, তুমি না বললে লাগে নি। কি শরীর নিয়ে থাকো হুমম ব্যাথা লাগলেও কোনো হুশশ থাকে না। ইস্টুপিট।
বলে মুনকে কোলে উঠিয়ে নেয়, কোলে উঠিয়ে দাঁড়িয়ে বলে,,,,,,,,,, মনে চাচ্ছে এখনি কোল থেকে আবার ফেলে দিয়।
এ কথা বলার সাথে সাথে মুন আরাবকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে বলে,,,,,,,, নাআআ ব্যাথা পাবো।
,,,,,,,,,,,, ইস্টুপিট
বলে বিছানায় শুয়িয়ে ডক্টর কে ফোন দেয়৷ ডক্টর আসতেই মুন বলে,,,,,,,,, ইনজেকশন ছাড়া যা চিকিৎসা করার করবেন।
ডক্টর পায়ে হাত দিয়ে চেক করছে, আর আরাব আস্তে আস্তে করছে।
ডক্টর,,,,,,,,, আপনি এমন করলে পেশেন্ট কি করে সামলাবো।
আরাব,,,,,,,,, ঠিক আছে কিছু বলবো না।
ডক্টর মুনের পা দেখে হঠাৎ করে জোরে পা মোচর মারে আর মুন জোরে চিৎকার দেয়।আরাব ব্যস্থ হয়ে মুনের পাশে যায়।
আরাব,,,,,,,,,, কি হয়েছে, কি হয়েছে।
মুন,,,,,,,,,, আমার পা ভেঙে ফেললো গোওও (কান্না করে)
আরাব এটা দেখে ডক্টরকে বকাবকি লাগিয়ে দিয়েছে। ডক্টরকে হুমকি দিচ্ছে। ডক্টর বুঝানোর চেষ্টা করছে কিন্তু আরাব কিছু শুনছেই না ৷ তখনি মুন দৌড়ে ওয়াশ রুমে যায়। মুনকে দেখে আরাব চুপ হয়ে যায়।হা করে শুধু তাকিয়ে থাকে।
ডক্টর,,,,, আমি এটাই তো বলছিলাম, ওর পায়ের হাড় এক জায়গায় আটকে গেছিলো,ছুটিয়ে দিয়েছি, এখন আর ব্যাথা করবে না৷
আরাব বোবা হয়ে যায় কি বলবে বুঝতে পারছে না। আরাব ডক্টরকে সরি বলে।
ডক্টর,,,,,,,,,, ইট’স ওকে, আপনি আপনার ওয়াফকে অনেক ভালোবাসেন বুঝতে পেরেছি। তাহলে এখন আমি আসি, আর কোনো দরকার লাগলে বলবেন।
ডক্টর চলে যায়, কিছু ক্ষন পর মুন আসে, এসে আরাবকে বলে,,,,,,,,, ডক্টর চলে গেছে, আমি বলতে ভুলে গেছি আমার ব্যাথা নেয়, আমার পা ভালো হয়ে গেছে৷
আরাব,,,,,,,,, সে তো আমি দেখতেই পারছি।
মুন,,,,,,,,,, আচ্ছা তাড়াতাড়ি রেডি হোন,,, আজকে রিমিকে নিয়ে শপিং এ যেতে হবে, কালকে ওর গায়ের হলুদ তাই না। যদিও জানি না হলুদ হবে কি না।
,,,,,,,,, হুমম৷
,,,,,,,,,,,,
রিমান তাড়াতাড়ি নিচে আসছে, এটা দেখে ফারহান ভয় পেয়ে যায়৷ রিমান নিচে আসতেই ফারহান তাড়াতাড়ি রিমানকে জিজ্ঞেস করে,,,,,,,,,,,, কিরে কি হয়েছে, কোনো গন্ডগোল লাগলো নাকি।
রিমান,,,,,,,,,,, না তো।
,,,,,,,, তাহলে এতো তাড়াহুড়ো করে নিচে নামছিলি কেনো।
,,,,,,,,,,,, এমনি আমার তাড়াতাড়ি নামতে মন চাই ছিলো। তা তুই এতো সকালে কি করিস এখানে, ঘুমাস না, নাকি, সারা দিন এখানে পড়ে থাকিস।
,,,,,,, তুমি কি বুঝবা, চোখের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এখন তো তোর বোনকে নিয়েই ঘুমাবো তার আগে না।
,,,,,,,,,,(একটা কাশি দিয়ে) বুলে যাস না, আমি রিমির ভাই,,আর ভাইয়ের সামনে এই ধরনের কথা।
,,,,,,,,,,,, রাখ তোর ভাই,, তুই এটা বুলিস না আমি তোর বন্ধু, যদি কিছু উল্টা পাল্টা হয় তাহলে আমি তোর জান নিয়ে নিবো।
,,,,,,,,,,,, এটা আমার জান না তরকারি হয়ে গেছে সবাই নিতে চাই। শালার জীবনটাই তেজ পাতা হয়ে গেলো।
তখনি রিমি গুন গুন করে নিচে নামছে। মনে হচ্ছে তার কোনো টেনশনি নেয়।
রিমান,,,,,,,,, এই দেখ কি অবস্থা, আমরা টেনশনে মরে যাচ্ছি আর যার জন্য টেনশন করছি সে কি সুন্দর গান গায়ছে। কেও ওরে মাইরালা।
ফারহান,,,,,,,,,, এহ মেয়েটা আমার হাতে মার খাবার জন্য এমন করছে। ওর জন্য টেনশন করতে করতে অর্ধেক হয়ে গেলাম আর ওকে দেখ।
রিমি,,,,,,,,,, তোমরা কি আমাকে কিছু বলছো।
রিমান,,,,,,,,,, আমরা কি তোকে কিছু বলতে পারি।
রিমি,,,,,,,, আমার প্রচন্ড ক্ষুধা লাগেছে, আমি খেতে যাচ্ছি। তোমরা কেও কিছু খাবে।
রিমান,,,,,,,,,,, আমার ক্ষুধা লাগেনি তাও খেতে ইচ্ছে করছে, যা কিছু নিয়ে যায়।
রিমি,,,,,,,,, ঠিক আছে। (বলে চলে যায়)
ফারহান রাগে রিমানের পিঠে একটা ঘুষি মারে। রিমান পিঠ বেকিয়ে দেয়৷
রিমান,,,,,,,,,,,, কি হয়ছে ভাই, এখন কি আমি খেতেও পারবো না, নাকি। (রাগে)
ফারহান,,,,,,,,,, আরে আমার রাগ উঠছে, এখন তো আর রিমিকে মারতে পারবো না তাই তোকে মারছি।
,,,,,,,,,,,, আমাকে কেনো।
,,,,,,,,,, কারন তুই রিমির ভাই তাই।
তখন রিমান ফারহানকে একটা লাথি দেয়। ফারহান পড়তে পড়তে বাঁচে।
,,,,,,,,,, তুই আমাকে লাথি কেনো মারলি।
,,,,,,,, কারন আমারো রিমির উপর রাগ হচ্ছে, এখন ওকে তো আর মারতে পারবো না তাই তার হবু স্বামীকে মারছি।
,,,,,,,,,ব্যাথা লাগছে কিন্তু হবু স্বামী শুনতে ভালো লাগছে।
,,,,,,,,,, ঐ সাব্বাশ, তোকে দেখা যায় জুতা মেরে রিমির স্বামী বললে ছেড়ে দিবি।
,,,,,,,,, শুধু মেরে দেখ কি করি তোকে।
,,,,,,,,, মারলে তো জুতা কেনো মুজাও মারতে পারি কিন্তু তুই বন্ধু বলে ছেড়ে দিলাম। দয়ার শরীর আমার কি আর করবো।
,,,,,,,,,,, তোর এই দয়ার শরীরে এতো মার মারবো না যে, দাগ হয়ে যাবে।
,,,,,,,,,, আর আমি তো ছেড়ে দিবো।
তখনি আরাব আর মুন আসে।
আরাব,,,,,,,,,, তোরা সবাই রেডি তো,,,,ঐ সাব্বাশ তোরা এখনো কেও রেডি হোসনি।
রিমি,,,,,,,,,, রেডি শুধু একটু খেয়ে বেরিয়ে পড়বো।
আরাব,,,,,,,,,,, এখনো রিধি আসে নি।
মুন,,,,,,,,,, আরে হ্যাঁ এখনো রিধি আসে নি। ইশশ রিধি এখনো কেনো আসলো না, তাকে না-পেয়ে কতো মানুষের মন খারাপ হয়ে যাবে, ইশশশ আহারে। (ঢং করে)
রিমান,,,,,,,,, আরে বাপরে৷,,,, আমাদের আরাবের রিধির জন্য আলাদা একটা টান আছে।
মুন,,,,,,,,, সে তো আমি জানি। (রাগে কটমট করে)
আরাব রিমানের দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে।
রিধি,,,,,,,,, তোমরা সবাই রেডি তো, আমি এসে গেছি।
রিমান,,,,,,, মারহাবা।
অনি,,,,,,,,, আমিও এসে গেছি। আমরা এক সাথে যাবো।
রিমান,,,,,,,,,, ঐ হয়৷
রাইসা,,,,,,,,,,, আমিও এসে গেছি।
রিমান,,,,,,,,, মারডালা। আরো কেও আসার বাকি আছে।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, আমি আছি না, আমাকে ভুলে গেলে নাকি৷
রিমান,,,,,,,,,,, তুমাকে কি ভুলে থাকা যায় ও সখি তোমাকে কি ভুলে থাকা যায়। (গান গেয়ে) তুমি কোথায় ছিলে এতো ক্ষন কতো মিস করছি। ইশশ মনে হচ্ছে কতো বছর ধরে দেখি না। (মাহুয়াকে জরিয়ে ধরে)
ফারহান,,,,,,,,, ওদের আল্লাদ দেখে বাঁচি না।
রিমান,,,,,,,,, কেনো হিংসে হয়।
রিমি,,,,,,,,, আমার খাওয়া শেষ চলো যায়। এবার চলো শপিং এ যায়।
ফারহান,,,,,,, আমার ধৈর্যের সীমানা পার হওয়ার আগে এই মেয়েকে শপিং এ নিয়ে যা কেও।
অনি,,,,,,,, কাওকে লাগবে না আমি তো আছি।
রিধি,,,,,,,,,,, আমরা সবাই যাবো, তাই না ফারহান।
ফারহান ,,,,,,,,, হুমম।
রাইসা,,,,,,,,, হ্যাঁ চলো,আমিও যাবো। (ফারহানের এক হাতের বাহুতে ধরে।
রিমি,,,,,,,, তাড়াতাড়ি চলো তো (রাগে) ( মনে তো চাচ্ছে এই রাইসাকে ড্রেনে চুবিয়ে মারি, শালি কুত্তি পৃথিবীতে মনে হয় আর কোনো মেয়ে নেয়।আমি নিশ্চিত ফারহান আর ভাইয়ারা কিছু একটা আনতাজ করতে পেরেছে, আর তারা খুব তাড়াতাড়ি আমাকে এ থেকে রক্ষা করবে)
সবাই শপিং করতে যায়। ইচ্ছে মতো সবাই শপিং করছে, শুধু রিমান, আরাব দেখছে। ফারহান রিমির পাশে বসে, যেটা অনির পছন্দ হয় সেটা ফারহান ইশারায় কিনতে না করে দেয়।
সবাই কসমেটিক কিনতে যেতে নিলে মাহুয়ার এক বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে যায়।
,,,,,,,,,,,, ঐ মাহুয়া তুই এখানে,,
,,,,,,,,আরে আসাদ তুই, কতো দিন পর দেখা।
দুজনে দুজনকে জরিয়ে ধরে। রিমান সেখানে হাত মুঠ করে দাঁড়িয়ে থাকে। ফারহান আর আরাব সেখানে রিমানের পিঠ থাপ্পড়িয়ে শান্তনা দিচ্ছে।
আসাদ,,,,,,,,,,, তোর এতো পরিবর্তন। আমি তো ভাবতেও পারিনি যে তুই থ্রি পিজ পড়বি।
মাহুয়া,,,,,,,,, কেমন লাগছি সেটা বল।
আসাদ,,,,,,,,,, অসম্ভব সুন্দর। ইচ্ছে করছে এখনি প্রপোজ করে ফেলি।
রিমান,,,,,,,,,, সেটা করে কোনো লাভ নেয়। আমি মাহুয়ার বয়ফ্রেন্ড আছি, কিছু দিন পর বিয়ে করবো।
আসাদ,,,,,,,,,, রিমান খান রাইট,,,,,মাহুয়া তোর বয়ফ্রেন্ড রিমান খান৷ আমি তো ভেবেছিলাম তোর কপালে কোনো ছেলে জুটবে না, শেষ মেষ আমাকেই তোকে বিয়ে করতে হবে।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, কিন্তু জুটে তো গেছে, আর কেমন জুটেছে সেটা তো দেখ৷
আসাদ,,,,,,,,,,, একদম একের, তবে আমার থেকে কম।
রিমান,,,,,,,,,, ওদের কথা শুনে আমার কলিজা বেড়িয়ে গেলো। (আস্তে আস্তে)
আসাদ,,,,,,,, আমার এখন একটু তাড়া আছে, তুই তোর ফোন নাম্বারটা দে। আগেরটাতে তোকে খুঁজে পায় না।
মাহুয়া,,,,,,,, হুমম বলছি তুই সেফ কর।
আসাদ নাম্বার সেফ করে বিদায় নেয়, রিমান তার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে ছিলো।
রিমান,,,,,,, কে এটা।
মাহুয়া,,,,,,,,, আরে ও আমার খুব ভালো বন্ধু ছিলো, আমার স্কুল ফ্রেন্ড ছিলো। আর কেও না বুঝলেও ও আমাকে বুঝতো৷ ওর মতো মানুষ হয় না।
রিমান,,,,,,,,, হ বুঝছি,, এই সবাই কি কিন বা তাড়াতাড়ি কিনো ভালো লাগে না।
আরাব,,,,,,,, তোর জন্য এক বালতি দুঃখ লাগলো।
রিমান,,,,,,,,, তোর কচুর দুঃখ তোর কাছে রাখ।
সবাই শপিং শেষ করে, এখন বিল দেওয়ার পালা। অনি তার কার্ড বের করে দেয়।
,,,,,,,,,, সরি স্যার আপনার ব্যাংকে কোনো টাকা নেয়।
অনি,,,,,,,,,,, হোয়াট,,, টাকা নেয় মানে। ভালো করে চেক করুন।
,,,,,,,,,,সরি স্যার নেয়।
আরাব,,,,,,,,, এতো মাত্র শুরু।
ফারহান,,,,,,,,, আগে আগে দেখো হতা হে কেয়া।
অনি অনেক জায়গা কথ বলে কিন্তু কোনো লাভ হয় না, তার ব্যাংকে কোনো টাকা নেয়।
রিমান,,,,,,,,, কোনো ব্যাপার না, আমার বোনের বিয়ের খরচ আমিই দিচ্ছি। পড়ে না হয় তুমি দিয়ে দিয়ো।
রিমান টাকা পরিশোধ করে। জিনিস সব গাড়িতে ডুকায়৷ তখনি অনি ফোন আসে।
,,,,, হ্যালো স্যার আমাদের কোম্পানির অনেক বড়ো ক্ষতি হয়ে গেছে। কিভাবে জেনো আমাদের কোম্পানির সব সিক্রেট ডক্যুমেন্টস ফাস হয়ে গেছে। আপনাকে একবার আসতে হবে।
অনি,,,,,,,, হোয়াট আমি এখনি আসছি। (ফোন রাখে) একটা বড় প্রবলেম হয়ে গেছে আমি এখন আসি, পড়ে কথা হবে৷
রাইসা,,,,,,,,, দাঁড়া আমিও আসছি।
দুজনে চলে যায়।
আরাব,,,,,,,,,, এখন বুঝবে মজা,সবাই গাড়িতে উঠো।
রিমান,,,,,,,,, এক মিনিট রিধি কোথায়।
আরাব,,,,,,, ঠিকি তো অথবা ক্ষন হয়েছে ওকে দেখছি না। দাঁড়া ফোন করি।
আরাব কয়েক বার ফোন করে কিন্তু ফোনে পাচ্ছে না।সবাই রিধিকে অনেক খুজা খুজি করে কিন্তু কোথাও পায় না।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,