#you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 33
সকালে
আজ কে এনগেজমেন্ট ,,
আমি ঘুমাচ্ছিলাম,,, খুব সুন্দর স্বপ্ন দেখতেছিলাম,,, এমন সময় বার বার কল আসতেছিলো কিছুক্ষন পর কেটে যাচ্ছিলো,, একরাশ বিরক্তি নিয়ে রিসিভ করলাম করেই বলা শুরু করলাম।
আমিঃকোন হাদারাম রে আমার ঘুমের বারোটা বাজালি,,,,,তোরে আমি টিকটিকির স্যুপ, তেলাপোকার চাটনি,,,,হাতির ডিম,,,, কেচোর আচার খাওয়ামু ওই কথা কছ না কেন।
রুদ্রঃচুপ,,,,একদম চুপ,, আরেকটা কথা বললে দিবো এক থাপ্পর। ইয়াক ছি এসব কিসের নাম বললা তুমি এসব কি ধরনের ভাষা বলতেছো।
আমিঃআ…..আ….আ….
রুদ্রঃকি আ আ আ করতেছো। আন্সার মি (চিল্লিয়ে….).
আমিঃআসলে আমি বুঝতে পারি নি তুমি ফোন করেছো।
রুদ্রঃএভাবে উল্লুক এর মতো না শুনেই কথা বলছিলে কেনো,,আর কাকে আশা করেছিলে সাহস কি করে হয় অন্য কাউকে আশা করার এর শাস্তি তুমি আজ পাবে বলেই কেটে দিলো।
আমিঃহ্যালো,, হ্যালো।যাহ,,, এখন কি হবে কেন যে এতো কিছু বলতে গেলাম। আজ যে আমার কপালে কি আছে কে জানে,,,, এসব ভাবতে ভাবতে ফ্রেশ হয়ে নিলাম নিচে গিয়ে দেখি সবাই কাজে ব্যাস্ত,,, বিশাল আর ভাবিন বসে আছে সারা আর সামিয়া কে দেখলাম না হয়তো ওরা কাজে ব্যাস্ত।
বিশাল-ভাবিনঃ যাক তাহলে মহারানির ঘুম ভাঙলো আমরা তো ভাবছি আজ তোর ঘুম ভাঙবে না,,, আর এদিকে রুদ্রকে আরেকজন বিয়ে করে নিয়ে চলে যাবে।
আমি তেড়ে গেলাম ওর চুল টেনে বললাম কি বললি তুই।
বিশালঃআহ ছাড় লাগছে তো,, আমি তো মজা করলাম ছাড়,,,
আমিঃএবার এর মতো ছেড়ে দিলাম যাহ
সামিয়াঃ আমি তোমাকে ডাকতে গিয়েছিলাম তুমি ঘুমিয়ে ছিলে তাই আর ডাকি নি।
ভাবিনঃকথায় আছে না যার বিয়ে তার ঘুম নেই পাড়া পড়শির ঘুম নাই।।। আমাদের ও দিন আসবে দেখিস তোকে কি করি।
আমিঃযাহ দেখা যাবে।
আমাদের কথার মাঝেই বড়ভাইয়া আসলো।
বড় ভাইয়াঃহয়েছে তোদের ঝগড়া? টুকু কে আর জালাস না। যাহ খেয়ে দেয়ে রেষ্ট নে।আর টুকু তোকে আর সামিয়া,সারাকে সাজাতে লোক আসবে একটু পর।
বলেই ভাইয়া চলে গেলো।
সবাই খেয়ে দেয়ে চলে আসলাম সবার রুমে।
আমি খেয়ে দেয়ে ফ্রেশ হয়ে বসলাম ফোন হাতে নিয়ে দেখলাম রুদ্র একটা কল ও করে নি।
সকালের বিষয় নিয়ে রাগ করে আছে,,যাই দেখি আমি কল দিয়ে রাজা মশাই এর রাগ ভাঙাই.
In khan ভিলা
রুদ্র শুয়ে আছি তখন ফারিয়া কল দিচ্ছে ধরলাম না দেখি আমার রানী আমার রাগ ভাঙানোর জন্য কি কি করতে পারে,,,,ফোন বেজেই যাচ্ছে
আমিঃএতো কিসের রাগ।,, এতোবার কল দিচ্ছি তাও ধরছে না,,,,,আমাকেই রাগ ভাঙাতে হবে অনুষ্ঠানে রাজা মশাই এর রাগ ভাঙাবো।।
কিছুক্ষন পর পার্লারের লোক আসছে আমাদের সাজাতে,,, সারা আর সামিয়া এসেছে আমার সাজ দেখতে
আমি: সারা – সামিয়া তোমরা সাজবা না
সারা-সামিয়াঃনা আপু আমরা এমনি সাজবো।
আমিঃতা বললে হবে না তোমরা ও সাজবা আমার সাথে জোর করলাম ওরা আর না পেরে সাজলো।
সামিয়া আর সারাকে বিশাল আর ভাবিন দুটা শাড়ি গিফট করেছে খুব সুন্দর শাড়ি দুটা।
আমাদের সবার সাজানো শেষ।
আমিপাতা কালার খুব সুন্দর একটা গাউন
পরেছি।চুলগুলা একসাইডে নিয়ে খুব সুন্দর করে খোপা করা হয়েছে।ভারী মেকআপ আর কানে ডায়মন্ডের বড় বড় ঝুমকো। গলায় সিতা হারের মতো বড় একটা ডায়মন্ডের হার।ওড়না খোপায় আটকে রাখা হয়েছে।
আর সারা -সামিয়া শাড়ি পরেছে।সামিয়া লাল শাড়ী আর সারা কালো শাড়ী পরেছে। চুলগুলা ছাড়া আর কানে বড় বড় ঝুমকো।
ভারী মেকআপ।
আমাদের সাজ শেষ হতেই বড়ভাইয়া আর ছোট ভাইয়া এলো।
বড় ভাইয়া-ছোট ভাইয়াঃ বাহ আমাদের টুকু কত বড় হয়ে গেছে আজ তার এনগেজমেন্ট। তারপর বিয়ে শশুর বাড়ি চলে যাবে,,,
আমি ভাইয়ার কথা শুনে ভাইয়াদের জড়িয়ে ধরে কেদে দিলাম। কিছুক্ষন পর
ছোট ভাইয়াঃ এহহ আর কাদিস না তোর সব মেকাপ নষ্ট হয়ে গেছে পেত্নী হয়ে গেছিস রুদ্র তোকে এভাবে দেখলে পালাবে।
ভাইয়ার কথা শুনে সবাই একসাথে হেসে দিলো😂😂😂
আমিঃরাগে ফুসতে লাগলাম।
In khan ভিলা
রুদ্র দের পরিবারের সবাই তৈরি আমাদের বাসায় আসার জন্য।রুশা আর মেহেক কেও দারুন লগতেছে।রুশা মিষ্টি কালার গাউন পড়ছে আর মেহেক গোল্ডেন কালার।
দুইজনের চুলগুলা ছাড়া। কানে বড় বড় ঝুমকো আর ভারী মেকআপ।
আজকে রুদ্রকে একদম হিরোর মতো লাগছে।
আজ রুদ্র একটা পাতা কালার আর সাদা কালারের একটা ব্লেজার পরেছে।সাদা শার্ট আর কালো কালারের জিন্স।হাতে ঘড়ি,চুলগুলা একসাইডে স্পাইক করা।
রুদ্রঃজান পাখি আমি আসতেছি😎
এসব ভেবেই সকলে রওনা দিলো
এদিকে আমরা বসে আছি বিশাল আর ভাবিন আমাদের কাছে আশার সময় পাই নি কাজে ব্যাস্ত।আমার দুই ভাইকেই আজ দারুন লাগতেছে।
বড়ভাইয়া আজকে হলুদ আর সাদা কালারের একটা ব্লেজার পরেছে আর কালো কালারের শার্ট আর সাদা কালারের জিন্স। হাতে ঘড়ি আর চুলগুলো ওপরের দিকে স্পাইক করা।
আর ছোটভাইয়া আজকে মিস্টি কালারের
ব্লেজার পরেছে। সাদা শার্ট আর কালো জিন্স পরেছে।হাতে ঘড়ি আর চুলগুলা ওপরের দিকে স্পাইক করা
রুদ্র রা আমাদের বাসায় পৌছে গিয়েছে। সকলের সাথে কুশল বিনিময় করে রুদ্রকে স্টেজ এ বসানো হলো বড় ভাইয়া আর ছোট ভাইয়ার চোখ আটকে রয়েছে তাদের পরীর উপর চোখ সরছেই না তাদের।
এতে রুশা আর মেহেক খুবই লজ্জা পাচ্ছে তাদের ড্রেস এর সাথে ভাইয়া দের ড্রেস মেচিং করে পড়া।
ভাবিন আর বিশাল আড় চোখে তাকিয়ে আছে সারা আর সামিয়ার দিকে সকলকে খুব সুন্দর লাগতেছে
রুদ্রঃজান পাখি কই তুমি রুদ্রর চোখ শুধু একজন কেই খুজছে।
সকলের অবসান ঘটিয়ে সারা আর সামিয়া আমাকে নিচে নিয়ে গেল। রুদ্র আমাকে দেখে দাড়িয়ে গেলো হা হয়ে আছে
রুদ্রঃএই মেয়ে যতো দেখি ততোই ভালোবাসতে ইচ্ছে হয়,,,
সকলে তাকিয়া আছে আমার দিকে,,,,
বিশাল -ভাবিনঃ আরে দুলাভাই হা করেছেন কেনো হাতি ঢুকে যাবে তো,,, আমাদের মেয়ে কে খেয়ে ফেলবেন নাকি, বসেন বসেন। ওকে দেখার আরো সুযোগ পাবেন।
বলেই হাসা শুরু করলো
আমি খুব লজ্জা পেলাম।একদম রাজপুত্রর মতো লাগছে তাকে দেখতে…সবাই কে সবার জোড়ার সাথে বসানো হলো আমাকেও রুদ্রর পাশে বসানো হলো।
আমি আড় চোখে রুদ্র কে দেখছি। কিন্তু রুদ্র আমাকে দেখছে না কি হলো আজ এতো ভালো কি করে হলো আমাকে দেখছেই না ভাবতে লাগলো না
রুদ্র: এতো ভেবো না অনুষ্ঠান উপভোগ করো।আর তোমার শাস্তি তোমাকে পেতে হবে।
আমি : শা শাস্তি??
রুদ্র: হ্যা শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে। বলেই চোখ টিপ দিলো।
আর আমি ভয় পেয়ে রুদ্রের দিকে তাকিয়ে আছি।
সামিয়া আর সারার সাথে মিল রেখে বিশাল আর ভাবিন একই কালারের শার্ট পরেছে।
চলবে…….
#you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 34
পাশেই মিউজিল বাজচ্ছিলো সবাই কাপাল ডান্স করতেছে রুদ্র আমাকে নিয়ে ডান্স করতে গেলো রুদ্র আমার কোমড় জড়িয়ে ধরে আমি একটু কেপে উঠি।সেই সুযোগে রুদ্র আমার গালে একটা চুমু দিলো।
আমি বেশ লজ্জা পেলাম,
রুদ্রঃএভাবে লজ্জা পেও না ইচ্ছা করে খেয়ে
আমি কিছু বললাম না।
এবার সবাই কে ডাকা হলো এনগেজমেন্টের জন্য….
বড় ভাইয়া মেহেক কে আংটি পড়িয়ে দিলো
আর ছোট ভাইয়া রুশা কে।
এবার আমার আর রুদ্রর পালা রুদ্রর মা এগিয়ে দিলো আংটি
রুদ্রঃআমি একটু ফারিয়ার সাথে আলাদা কথা বলতে চাই
রুদ্রের মাঃ যা বলার আংটি পড়ানোর পর বলিস।
রুদ্রঃনা মা আমি এখনি বলবো।
আমি আমি অবাক হয়ে শুনছি।
রুদ্রঃ চলো আমার সাথে।।।
এই বলে রুদ্র আমাকে হাত ধরে নিয়ে গেল আমার রুমে।
সবাই চেয়ে আছে আমাদের দিকে।
বড়ভাইয়া আর ছোটভাইয়ার মুখ রাগে লাল হয়ে গেলো।
ছোট ভাইয়াঃ ভাইয়া চল আমরাও যাই।(রেগে)
বড়ভাইয়াঃছোটু শান্ত হ।আগে দেখি রুদ্র কি বলে।
আমরা রুমে
রুদ্র দরজা বন্ধ করে দিল।
আমিঃকি বলবা বলো কিসের জন্য এভাবে আংটি পড়ানো বাদ দিয়ে উপড়ে আনলে
রুদ্রঃআমি তোমাকে বিয়ে করতে পাবো না
ফারিয়াঃমা,, মানে?
রুদ্রঃমানে পরিষ্কার
আমি রুদ্রর কথা শুনেই খুব কষ্ট হচ্ছে,,,,বুকে খুব ব্যাথা হচ্ছে,,,
আমিঃকেনো করছো এরকম কি দোষ আমার যে এরকম করছো,,,,,
রুদ্রঃকোনো দোষ নাই এমনি অন্য একজন কে ভালো বাসি
আমি চুপ করে আছি
বেশ কিছুক্ষন পর
রুদ্র হাসতে লাগো,,😂😂😂😂
আমি অবাক চোখে তাকিয়ে আছি
রুদ্রঃ বোকা মেয়ে।তোমাকে ছাড়া আমি এক মুহুর্ত থাকতে পারি না।আর তুমি ভাবলে কি করে অন্য একজন কে ভালোবাসব।#you_are_only_my_queen.
আমিঃআমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম।
বলেই মুখ ফুলালাম
রুদ্রঃওরে আমার বাবু টা রাগ করেছে,,, ওকে রাগ কিভাবে ভাঙানো যায় আমার জানা আছে বলে আমার দিকে এগিয়ে এলো।
আমিঃ এই তুমি আমার দিকে এগোচ্চো কেনো আমি কোনো রেগে নেই এই দেখো আমি হাসছি
রুদ্রঃতা বললে হবে জান পাখি আমি তো আমার কাজ করবোই তোমার শাস্তি টাও তো পেতে হবে,,,,
আমিঃ সরি আর… আমাকে আর বলতে না দিয়ে ই আমাকে দেয়ালের মাঝে তার হাত দিয়ে আবদ্ধ করে নিলো
আমি ভয় পেয়ে যাই হাত পা কাপতে থাকে
রুদ্রঃতখনি আমার ঠোট দিয়ে ও র ঠোট জোড়া দখল করে নিলাম
আমি খুব ছটফট করতে লাগলাম রুদ্র কে সরানোর চেষ্টা করলাম পারলাম না একসময় চুপ হয়ে গেলাম
রুদ্রঃবেচারি আমার সাথে না পেরে চুপ হয়ে গেলো,,,,,( মনে মনে)
অনেক্ষন পর ছেড়ে দিলো
দুজনেই জোড়ে জোরে শ্বাস নিচ্ছি। রুদ্র আমাকে দেখে হাসছে।
আমি বেশ লজ্জা পেলাম
রুদ্রঃ হয়েছে আর লজ্জা পেতে হবে না।আমার সমস্যা নেই এরকম লজ্জা পেলে আবার একি কাজ করবো তুমি কি চাও আমি আবার তোমাকে কিস করি??
আমিঃমুখে কিছুই আটকায় না( মনে মনে)
রুদ্রঃচলো নিচে সবাই অপেক্ষা করছে।
আমরা দুজনে নিচে চলে গেলাম সবাই আমাদের দেখার সাথে সাথে
বড়ভাইয়া আর ছোট ভাইয়া দৌড়ে চলে এলো আমার কাছে
বড় ভাইয়াঃকি হয়েছে টুকু এতক্ষণ লাগলো কেনো
ছোট ভাইয়াঃকি হয়ে মিষ্টি চুপ করে আছি
রুদ্রকে ওর মা বাবা জিজ্ঞাসা করতেছে
আমিঃকিছু হয় নি, সব ঠিক আছে
সবাই স্বস্থির নিশ্বাস ফেললো।
বিশাল-ভাবিনঃ তাহলে শুভ কাজ শুরু করা যাক।
রুদ্রকে স্টেজ এ তোলা হলো,আমাকে সারা-সামিয়া রুদ্রর পাশে দাড় করালো। তারপর আমাদের আংটি পড়ানোর অনুষ্ঠান শুরু হলো রুদ্র আমাকে আংটি পড়িয়ে আমার হাতে চুমু দিলো আর সাথে সাথেই সবাই হাত তালি দিতে লাগলো,,,,
আমি বেশ লজ্জা পাচ্ছিলাম। আমার কানের কাছে এসে বললো।
রুদ্রঃএতো লজ্জা পেওনা জান পাখি এখনো তো কিছুই করলাম না,,,ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলি
আমিঃ অসভ্য কিছুই আট কায় না মুখে।
আমাদের সবাই আংটি পড়ানো শেষ।
সবাই কথায় ব্যাস্ত এর মধ্য বিশাল সামিয়া কে খুজতেছে তার মনের কথা বলার জন্য কিন্তু পাচ্ছে না।
বিশালঃএই মেয়ে টা গেলো কই। কখন থেকে খুজছি পাচ্ছি না কেনো যাই দেখি ওর রুমে।রুমে এসে দেখি ওয়াশরুমের দরজা লাগানো তাই দরজা বন্ধ করে দিয়ে ওর বিছানায় শুয়ে আছি তাতেই দেখলাম দরজা খুলছে।
সামিয়াঃএই আপনি আমার রুমে কি করছেন??বের হন আমার রুম থেকে।
বিশালঃএসেই চিল্লানো শুরু করছে এই মেয়ে।
সামিয়াঃএই যে কি হলো বেরোতে বলছি না। আমি কিন্তু চেঁচাবো।।।আ আ আ
বিশালঃওকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে ওর মুখ চিপে ধরলাম। আর বললাম এই মেয়ে এই চেচাচ্ছো কেনো আমি কিছু বলার সুযোগ দিবে তো
সামিয়াঃউম উম
বিশালঃকি উম উম করতেছো
সামিয়াঃশালা আমার মুখ চেপে ধরে আছিস কি কথা বলবো চোখ দিয়ে ইশারা করলাম মুখ থেকে হাত সরাতে
বিশাল মুখ ছেড়ে দিল।
সামিয়াঃআপনি আমার রুমে কি করছেন?? বের হন আমাকে এভাবে ধরেছেন কেনো ছাড়ুন
বিশালঃছাড় বার জন্য তো ধরি নি।
সারাঃমা মানে?
আচমকা আমার গলার মুখ ডুবিয়ে দিলো। আমি পুরা ফ্রিজড হয়ে গেলাম
বিশাল ওর গলায় মুখ ডুবিয়ে দিল।সামিয়া পুরা ফ্রিজড হয়ে গেছে।বিশাল নাক ঘষতে ঘষতে বলল
বিশালঃআমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলছি সেই প্রথম দেখাতে। আর আমি তোমার থেকে জানতে চাই নি তুমি আমাকে ভালোবাসো কি না। আমি শুধু তোমাকে চাই।।। বলেই চুমু দিয়ে চলে আসলাম।
সামিয়াঃ কি বলে গেলো ভালোবাসার কথা বলে গেলো নাকি থ্রেট দিয়ে গেলো।
এদিকে
ভাবিন লক্ষ করতেছে একটা ছেলে সারার দিকে অনেক্ষন থেকে তাকিয়ে আছে
ভাবিনের রাগে শরীর ফেটে যাচ্ছে।।রেগে সারা কে টানতে টানতে উপরে নিয়ে গেলো বিছানায় ফেলে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো।
সারাকে আচমকা এভাবে টেনে এনে বিছানায় ফেলে দিলো।সারা খুব ভয় পেয়ে যায়।
ভাবিন ওর হাত দুটো বিছানার সাথে চেপে ধরে ওর উপর আধ সোয়া হয়ে জোরে চেপে ধরল
সারাঃ কি করছেন কি ছাড়ুন আমাকে। (কান্না জড়িত কন্ঠে)
ভাবিনঃএই মেয়ে একদম কাদবে না আর এতো সেজেছো কেনো অন্য কে দেখানোর জন্য আর তোমার পেট দেখা যাচ্ছে কেন? খুব সখ না অন্য কে শরীর দেখানোর
সারাঃ কি বলছেন এসব আমি সাজতে চাই নি ফারিয়া আপু জোর করেছে তাই।
ভাবিনঃতাহলে তোমার পেট দেখা যাচ্ছে কেনো। তোমাকে দেখার অধিকার শুধু আমার আর কারো নেই।।। (রেগে চিল্লিয়ে)
সারাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে ওর ঠোট জোড়া দখল করে নিল।
(বুঝলাম না আজকে সবাই এতো রোমেন্টিক মুডে আছে কেন??)
সারা বুঝতে পেরে সরানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু পারল না।না পেরে চোখ বুঝে নিলাম
ভাবিন অনেক্ষন পর ছেরে দিল। আর অর ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে দিল।তারপর বলল
ভাবিনঃআমি ছাড়া তোকে আর কেও দেখতে পারবে না।
বলেই জোরে একটা কামড় দিল।
সারাঃআহহহহহ
ভাবিন কামড় দেয়ে যায়গায় চুমু দিয়ে চলে আসল।
সারাঃবেটা রাক্ষস এতো জোড়ে কেউ কামড় দেয়?ইস কত ব্যাথে পাইছিস।।।। থাম আমারো দিন আসবে।
অন্যদিকে
বড় ভাইয়া মেহেক কে একটা চিরকুট দিয়ে উঠে গেলো
মেহেক চিরকুট খুলে দেখল। তাতে লিখা আছে ছাদে আসো
চলে গেল ছাদে।
ছোট ভাইয়া রুশার কানে কানে বললো বাগানে আসো।
রুশাঃকেনো
ছোট ভাইয়াঃআসতে বলছি আসো ধমক দিয়ে উঠে চলে এলাম
রুশাঃবাব্বাহ কি রাগ যাই দেখি।
মেহেক ছাদে গিয়ে দেখি পুরো অন্ধকার। পিছন থেকে কে জেনো দরজা লাগিয়ে দিলো। ভয় পেয়ে যাই,,,দোয়া পড়তে থাকি আচমকা কে জেনো আমাকে টান দিয়ে তার বুকে মিশিয়ে নিলো।
বড়ভাইয়াঃআরে ভয় পাচ্ছো কেনো। আমি আর কেউ নেই
মেহেকঃউফ আপনি আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম।
বড়ভাইয়াঃ নিশ্চুপ
মেহেকঃআমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো।
বড়ভাইয়াঃ তোমায় দেখছি।
এই বলেই আস্তে আস্তে ওর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
মেহেকঃএকি এভাবে এগোচ্ছেন কেনো
বড় ভাইয়া মেহেকের কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিয়ে ওকে টাইট করে জড়িয়ে ধরল।
মেহেকঃএটা কি হলো।। কিন্তু খুব ভালো লাগলো ( মনে মনে)
মেহেক আর কিছু বলল না
বড় ভাইয়াঃ জানো আজ তোমায় অনেক সুন্দর লাগছে একদম আমার ছোট্ট পরী। তোমায় প্রথম দেখাতেই আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।।তুমি আমাকে কি ভেবেছিলে?
মেহেকঃআমি আপনাকে বড়ভাইয়া ভেবে ছিলাম।
বড় ভাইয়াঃকিইইইইইইই?
মেহেক হাসতে লাগল..
বড়ভাইয়া ওর দিকে রাগিভাবে তাকিয়ে আছে।
মেহেক সেটা বুঝতে পেরে বলল
মেহেকঃ সরি আমি মজা করছিলাম।
বড় ভাইয়াঃমজা তাই না এর শাস্তি পাবা। ওয়েট…
বলেই মেহেকের ঠোট চেপে ধরে খুব জোড়ে কিস করতে লাগল। মেহেক খুব ছট ফট করতে লাগলো।তাই ভাইয়া আরো জোরে কিস করতে লাগলো । আর মেহেক ভাইয়ার সাথে আর না পেরে থেমে গেলো
মেহেকঃনা পেরে থেমে গেলাম আর সে ও খুব যত্নে কিস করছে এখন।(মনে মনে)
রুশা বাগানে গিয়ে দেখে কেউ নেই। দাড়িয়ে আশে পাশে তাকাচ্ছে।হঠাৎ কেউ জেনো তাকে জড়িয়ে ধরলো।
ছোট ভাইয়া ওকে জড়িয়ে ধরল।ও ভয় পেয়ে গেলো।
ছোটভাইয়াঃ ভয় পাওয়ার কি আছে?
এই বলেই ওর কানে চুমু দিল আর বলল ছোটভাইয়াঃতুমি আসতে চাইছিলে না কেনো?
রুশাঃকই চাইছিলাম আমি তো (ভয় পেয়ে)
ছোট ভাইয়া ওর ঠোটে হাত দিয়ে বলল ছোটভাইয়াঃ চুপ
রুশা চুপ করে গেল।
ছোট ভাইয়া কিছু না বলেই আস্তে আস্তে ওর গলায় মুখ নিয়ে গেল আর নেশা মিশ্রিত কণ্ঠে বলল
ছোটভাইয়াঃ বাবুর আম্মু তোমায় খুব ভালোবাসি।আমার ছেড়ে যাবে না তো।
রূশাঃনা বাবুর আব্বু আমি তোমাকে ছেরে কোথাও যাবো না।
আমি ও তোমাকে ছেরে কোথাও যাবো না বলে টাইট করে ধরল আমার ভাইয়াকে।
এদিকে আমি একাই বসে আছি।। রুদ্র ও কোথায় জেনো গেলো,,,, আমি উঠে মেহেক আর রুশা কে খুজতে লাগলাম কোথাও পেলাম না হঠাৎ কে জেনো আচমকা টান দিয়ে তার সাথে মিশিয়ে নিলো।
আমি মাথা তুলে দেখি রুদ্র, দাত বের করে হাসছে।ইচ্ছে করছে দেই দাত ভেঙে।
রুদ্রঃ এভাবে কি দেখছো আমাকে খুব হ্যান্ডসাম লাগছে বুঝি?সেতো আমি জানি আমি হ্যান্ডসাম। কতো মেয়ে আমাকে লাইন মারতো জানো তুমি?সেতো আমি তোমাকে পছন্দ করতাম বলে ওদের পাত্তা দেই নি।
আমি খপ করে গিয়ে রুদ্রর কলার ধরে বললাম।
আমিঃকি বললি তুই? সাহস খুব বেড়েছে না আমার সামনে এসব বলিস না,,, তোর ঠ্যাং ভেঙেদিবো।
রুদ্র মুচকি হেসে আমাকে জড়িয়ে ধরল।
চলবে…………..