অদ্ভুত তোমার নেশা পর্ব-১৩

0
956

#অদ্ভুত_তোমার_নেশা
#লেখিকা_লায়লা_আঞ্জুমান_ইতি
#পার্ট_____________১৩




বিভোর খুব মনোযোগ সহকারে খুব যত্ন করে কুচি গুলো ঠিক করছে, বিভোরের চোখ হঠাৎ কুহুর উন্মুক্ত পেটের দিকে পড়লো, বিভাের সাথে সাথে চোখ সরিয়ে ফেলল,বিভোর নিজেরই লজ্জা পেয়ে গেল, কুচি গুলো ঠিক করে বিভোর উঠে দাড়ালো তারপর কুহুকে বলল,নেও ঠিক হয়ে গেছে অনেক সময় লাগলো।কুহু বলল,হুম।বিভোর ভ্রু কুচকে বলল,হুম মানে কি নেও। কুহু বিরক্ত হয়ে বলল,কি নেবো আমার হাতে মেহেদী তো।বিভোর আর উপায় না পেয়ে বিদুতের গতিতে কুচি গুলো গুজে দিয়ে দূরে সরে গেলো,বিভোরের হাত কুহুর পেটে লাগতেই কুহুর সম্পূর্ণ শরীর কেপে উঠলো,দুজন বেশ কিছু খন চুপ হয়ে দাড়িয়ে রইলো,সব নিরবতার ইতি টেনে বিভোর বলে উঠল, আমাদের যাওয়া দরকার।কুহু আস্তে বলল,হুম।

দুজন বের হয়ে গেল রুম থেকে, কুহু আবার বলল,ওয়েট আপুকে তো বলাই হয় নিই।বিভোর বলল,বিভাকে তো দেখলাম না।কুহু বলল,হয় তো ওয়াসরুমে আমি বলে আসছি।বলেই কুহু রুমে ঢুকে ওয়াসরুমের কাছে গিয়ে বলল,আপু আমরা চলে যাচ্ছি। বিভা বের হয়ে বলল,ঠিক আছে সাবধানে যাও।

কুহু বেড়িয়ে আসলো, বাড়ির বাহিরে গিয়ে দেখলো বিভোর গাড়িতে বসে আছে,কুহু গাড়ির দরজার কাছে গিয়ে দাড়িয়ে আছে,বিভোর বলল,ভিতরে আসো।কুহু বলল,দরজা।বিভোর বলল,ওহ।বিভোর গাড়ির দরজা খুলে দিল, কুহু ভিতরে বসলো,বিভোর আবার দরজাটা আটকে দিল,কুহু ইশারায় বলল,সীটব্যাল্টের কথা।বিভোর কুহুর কাছে গিয়ে ওর সীট ব্যাল্টটা বেধে দিল হঠাৎ বিভোরের চোখ কুহুর চোখের দিকে পড়লো,আর সাথে সাথে বিভোর কুহুর চোখের মায়ায় জড়িয়ে পড়লো, কুহুও এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, বিভোর কুহুর চোখের দিকে তাকিয়ে আছে আর মনে মনে ভাবছে,কি আছে এই কাজল কালো আখিতে এত টা মায়ায় কেন জোড়ায় আমায়।হঠাৎ আকাশকে জোরে বিদুৎ চমকালো আর সাথে সাথে বিভোর কুহুর কাছে থেকে সরে আসলো,দুজনই বেশ লজ্জায় পড়লো।

বিভোর কি বলবে বুঝে পাচ্ছে না, তাই হঠাৎ বলে উঠল, এখন তো ঝড় বৃষ্টির সময় তাড়াতাড়ি বাড়ি যাওয়া দরকার। কুহু বলল,হুম।তারপর বিভোর গাড়ি চালানো শুরু করলো, সারা রাস্তা আর কেউ কিছু বলে নিই,বাড়ীতে এসে যে যার রুমে চলে গেল।কুহু নিজের হাতের দিকে তাকালো মেহেদী শুকিয়ে গেছে, কুহু গিয়ে হাত ধুয়ে নিলো, মেহেদীর রঙ দেখে কুহুর মন আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে উঠলো, কুহু বলল,আগে তো মেহেদী দিয়েছি এতটা সুন্দর রঙ কখনোই হয় নিই এবার এত সুন্দর রঙ হলো যে, কুহু হাতের দিকে তাকালো কুহু নিজেই অবাক হলো কারণ এত ডিজাইনের মাঝে বিভোরের বি টা বেশ গোপনীয় ভাবে লেখা আছে সহজে কেউ বুঝতে পারবে না,কিন্তু কুহু এ কাজ টা কেন করিয়েছে সে জানে না, নিজের এ রুপ কান্ডে কুহু নিজেই অবাক।

বিভোর নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়লো, হঠাৎ বিভোরের মস্তিষ্কে কুহু সম্পূর্ণ রাজত্ব করে নিলো,বিভোর না চাইতেও কুহুর কথা ভাবছে।হঠাৎ বিভোরের ফোন বেজে উঠল, বিভোর দেখলো অপরিচিত নাম্বার, রিসিভ করে বলল,,,,
– হ্যালো
– বিভোর
-……………….
– প্লিজ কথা বল
– এত নাম্বার পাও কোথার থেকে
– কি করব বল একবার যেই সিম কার্ড দিয়ে তোমাকে কল করি তুমি ওইটাই ব্লাক লিস্টে ফেলো দেও।
– ফোন দেওয়ার কারণ কি এটা বল
– তুমি তো জানো কেন ফোন দেই, আচ্ছা আমি আর ওসব বলব না কেমন আছো
– আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো, আল্লাহ তায়ালার রহমতে খুব ভালো আছি।শুনেছো বায়
– আমাকে জিজ্ঞেস করবে না
– কেমন আছো
– কেমন থাকবো বল, আমি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি একটা বার কি মাফ করা যায় না
-…………………………………………….
– ঠিক আছে অনেক রাত হয়েছে আজ আর ডিস্টার্ব করব না, বায়
– টু-টু-টু-টু

পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কুহু বিভার বাড়ী চলে গেল,আজও সারা টা দিন বিভার সাথে থাকবে।সারা বাড়ীতে আত্মীয়সজন দিয়ে ভরা।কুহু বিভার কাছে বসা হঠাৎ কয়েকটা ছেলে এসে ওদের সামনে বসলো, হঠাৎ এত গুলো ছেলে দেখে কুহু ভয় পেয়ে চমকে উঠলো, কুহুর এমন ফেস দেখে একটা ছেলে এসে বলল,আরে বেয়ান দেখি ভয় পেয়েছে হাহাহা।বিভা বলল,ওই ও তোদের বেয়ান না ছোট বোন বুঝলি ওর সাথে ফাজলামি করিস না পিয়াস।পিয়াস মুচকি হেসে বলল,ছোট বোন মানা কষ্টের ওগো সুন্দরী বউ হবা হাহাহাহা।বিভা রেগে বলল,তোরা যাবি ফাজিলের দল।ওরা হাসাহাসি করতে করতে বের হলো যাওয়ার সময় পিয়াস কুহুকে চোখ মেরে হেসে চলে গেল।কুহু পুরো শকট হয়ে আছে।

কুহু অবাক হয়ে বলল,আপু এরা কারা।বিভা বলল,কিছু মনে না ওরা একটু বেশী ফাজলামো করে ওরা আমার কাজিন হয়। কুহু বলল,ওহ ভিশন দুষ্টু প্রকৃতির। বিভা বলল,বদা দাও আচার খাবে।কুহু বলল,কি আচার।বিভা বলল, আমের আচার মামী গ্রাম থেকে এনেছে খুব ভালো খেতে।কুহু বলল,দাও আচার তো আমার অনেক পছন্দ। কুহু আচার নিয়ে খেতে লাগলো, বিভা দুষ্টুমি করে বলল,কুহু টক কি খুব ভালো লাগে।কুহু বলল,হুম খুব ভালো লাগে শুধু টক ঝাল খেতে ইচ্ছে করে। বিভা বলল,কুহু তুমি প্রেগন্যান্ট না তো।কথা টা শুনে কুহুর হাত থেকে আচার পড়ে গেল,অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে বিভার দিকে, তারপর বলল, আপু কি বল এইসব আমি প্রেগন্যান্ট। কুহুর এমন ফেস দেখ বিভা আর নিজের হাসি আটকে রাখতে পারলো না হিহিহি করে হেসে উঠলো।

অফিসে বিভোর নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হঠাৎ বিভোরের ফোন বেজে উঠল, দেখলো আকাশ কল করেছে, বিভোর রিসিভ করলো,,,
– হ্যালো বল
– তুই কই
– অফিসে
– আরে আয় তাড়াতাড়ি
– দোস্ত অনেক কাজ আছে আসতে পারব না
– কি বললি আমার গায়ে হলুদ আর তুই আসবি না, কিন্তু রাত হলে তো যত কাজই থাকুক নিজের বউকে নিয়ে আসতে যাস
– এই তুই এইসব কি বলছিস
– তো কি বলব
– আরে রাগ করছিস কেন একটু কাজ বাকি আছে সেরে আসছি
– হুম তাড়াতাড়ি আয়
– আসছি বাবা ফোন রাখ

রাতের দিকে আকাশের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষ করে, বিভোর বিভার বাড়ির দিকে রওনা হলো।বিভোর ওদের বাড়ি পৌছিয়ে দেখলো এখনো সবাই আনন্দে মেতে আছে।বিভোর বাড়ির ভিতরে ঢুকে এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো,হঠাৎ ওর চোখ স্থির হয়ে গেল, সামনের হলদে টিয়াকে দেখে কি অপরুপ দেখতে যেন হাজার বছর তাকিয়ে থাকলেও ক্লান্তি আসবে না।কুহু ওর সামনে এসে বলল,এভাবে কি দেখছেন আমাকে চিন্তে পারছেন তাই না হিহি চিনবেন কিভাবে কি সাজাটা না সেজেছি, আমি তো নিজেই নিজেকে চিন্তে পারছি না হিহিহিহিহি। বিভোর নিজেকে সাভাবিক করে বলল,বাড়ি যাবে না।কুহু বলল,আর কিছুখন থাকি।বিভোর বলল,ওকে।হঠাৎ বিভার মামা এসে বলল,আপনি বিভোর চৌধুরী তাই না বিভার স্যার।বিভোর বলল,জ্বি। বিভার মামা হেসে বলল,আসুন বসুন বিভার মুখের আপনার কথা অনেক শুনেছি আকাশ তো আপনারই বন্ধু।বিভোর বলল,হ্যা।

বিভার মামা বিভোরকে টেনে এক দিকে নিয়ে কথা শুরু করে দিল,আর কুহু বিভোরের দিকে তাকিয়ে রইলো, ব্লাক কালারের পাঞ্জাবীতে অসাধারণ দেখাচ্ছে বিভোরকে, আশপাশের মেয়েরা তো চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে। হঠাৎ বিভোর কুহুর দিলে তাকালো, দুজনের চোখ একে অপরের উপর পড়তেই কুহু সাথে সাথে চোখ সরিয়ে নিলো, নিজেই লজ্জায় পড়ে গেল।কুহু বিভার কাছে গিয়ে বসলো। বিভা বলল,কি হয়েছে কুহু।কুহু বলল,উনি চলে এসেছেন বাড়ী যেতে হবে।বিভা বলল,ওহ। হঠাৎ পিয়াস এসে কুহুর পাশে বসে পড়লো, অনেকটাই কাছে।কুহু দেখে যেই উঠতে গেল ওমনি পিয়াস কুহুর হাত ধরে টেনে বসিয়ে দিয়ে বলল,আরে এত কিসের তাড়া। কুহু বলল,এমন করছেন কেন আমাকে যেতে দেন।পিয়াস বলল,কেন না আগে চলেন ফ্রেন্ডশিপ করি। কুহু কিছু না বলে চুপ হয়ে রইলো আর পিয়াস হাত বাড়িয়েই রেখেছে।কুহু ধরছে না।বিভা বলল,পিয়াস কি শুরু করেছিস।পিয়াস বলল,তোর ছোট বোনকে বল হ্যান্ডশেক করতে তাহলেই তো হয় আর কতখন হাত বাড়িয়ে রাখবো।বিভা বলল,হাত মিলিয়ে নেও নইলে ও এভাবেই বিরক্ত করতে থাকবে।কুহুর খুব বিরক্ত লাগছে না চাইতেও হাত মিলালো।

বসে থেকে বিভোর এই গুলো দেখে ওর মেজাজ টপফ্লোরে উঠে গেল,বিভোর উঠে বাহিরে চলে গেল।কুহু বিভোর কে খুজতে লাগলো,কিন্তু কোথাও দেখতে পেল না , কুহু বিভোরকে খুজতে খুজতে বাহিরে চলে গেল, বাহিরে গিয়ে দেখে বিভোর গাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে, কুহু বিভোরের সামনে গিয়ে বলল,আপনি না বলে চলে আসলেন কেন।বিভোর কুহুর দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে কুহুকে এক প্রকার জোর করে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে ড্রাইভ করতে লাগল,আর কুহু বিভোরের হঠাৎ এমন আচরণের কারণ বুঝতে পারছে না।কুহু একেরপর এক প্রশ্ন ছুড়েই চলেছে, আর বিভোরের মাথা আরও গরম হয়ে যাচ্ছে।কুহু অবাক হয়ে বলল,কি হয়েছে আপনার কিছু বলছেন না কেন এমন করে নিয়ে আসলেন কেন। বিভোর কিছু না বলে সামনের দিকে তাকিয়ে ড্রাইভ করেই চলেছে।কুহু আবার বলল,বলছেন না কেন কি হয়েছে।
বিভোর হঠাৎ ব্রেক করলো তারপর কড়া গলায় বলল,নামো গাড়ি থেকে।কুহু অবাক হয়ে বলল,কি?????

বিভোর রেগে ধমক দিয়ে বলল,কি বলেছি তোমাকে নামো গাড়ি থেকে। কুহু বিভোরের ধমক শুনে কেপে উঠলো, তারপর ধিরে ধিরে গাড়ি থেকে নামলো,বিভোর আবার গাড়ি স্টার্ট দিল কুহু অবাক হয়ে বলল,আমাকে রেখে যাচ্ছেন আমি বাড়ি যাব কি করে।বিভোর না তাকিয়েই বলল,জানি না।বলেই গাড়ি নিয়ে কুহুর সামনের থেকে চলে গেল।কুহু পুরো অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো, আস্তে আস্তে অন্ধকারে গাড়িটা অদৃশ্য হয়ে গেল, কুহু চারপাশ তাকিয়ে ভয়ে ওর শরীর শিউরে উঠলো, সম্পূর্ণ রাস্তা ফাকা একজনকেই দেখা যাচ্ছে না তার উপর রাত, বিভোরের উপর এখন কুহুর ভিশন রাগ হচ্ছে সাথে কুহুর মনে টুকরো টুকরো অভিমানের কালো মেঘ জোড়ো হতে লাগল, বিভোর ওকে এমন নির্জন একটা জায়গায় একা ফেলে যেতে পারলো, কষ্টে অভিমানে কুহুর চোখ দিয়ে অশ্রু পাত শুরু হলো।

কিছুটা দূর আসতেই বিভোর গাড়ি থামালো তারপর রেগে গাড়িতে কয়েকটা লাথি মেরে বলতে লাগল,ওফ আমার হয়েছে টা কি কেন এত রাগ দেখালাম ওর সাথে এতে ওর দোষ কোথায়।এর মাঝেই এক দল ছেলে বাইক করে ওদিকে যেতে দেখে বিভোর সাথে সাথে গাড়ি ঘুরালো, বিভোরের মনে এখন এক রাজ্য আতংক, বিভোর বুঝতে পারছে রেগে এভাবে কুহুকে মাঝ রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে ঠিক করে নিই,বিভোর যতদ্রুত সম্ভব গাড়ি চালিয়ে ওখানে গেল, গাড়ি থেকে নেমে আশেপাশে কুহুকে খুজতে লাগল কিন্তু কুহুকে কোথায়ও দেখতে পেল না।
বিভোরের মনে ভয় বেড়েই চলেছে মেয়েটার কোনো বিপদ হলো না তো।হঠাৎ কারও কান্নার আওয়াজ বিভোরের কানে আসলে, বিভোর আওয়াজটাকে অনুসরণ করে এগোতে লাগলো একটা গাছের পিছন থেকে আওয়াজ টা আসছে বিভোর গাছের পিছনে গিয়ে দেখলো কুহু বসে মুখ গুজে কাদছে,বিভোরের ঠোটের কোণে এক প্রশান্তির হাসি ফুটে উঠলো,তারপর বিভোর বলল,কুহু চল।কুহু একবার মাথা তুলে তাকিয়ে আবার অন্য দিকে তাকালো।

বিভোর আবার বলল,আই এম রিয়েলি সরি চল। কুহু না শোনার মতো অন্য দিকে তাকিয়ে আছে।বিভোর বুঝতে পারলো কুহু ভিশন রেগে আছে।বিভোর কুহুকে আর কিছু না বলে হঠাৎ কোলে তুলে নিলো,কুহু অবাক হয়ে বিভোরের দিকে তাকালো পরক্ষণেই আবার নিজের চোখ সরিয়ে ফেলল,বিভোর কুহুকে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে ড্রাইভ করে বাড়ি চলে গেল।বাড়ীর সামনে গাড়ি থামাতেই কুহু নিজ থেকে দরজা খুলে বাড়ির ভিতরে চলে গেল, নিজের রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিল।বিভোর দরজার কাছে এসে বলল, কুহু আই এম রিয়েলি সরি তখন এমন করা ঠিক হয় নিই আমার সরি।কিন্তু ভিতর থেকে কোনো উওর আসলো না। বিভোর আর কিছু না বলে নিজের রুমে চলে গেল।

চলবে………..
ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 💙