#আপনিময়?তুমি [ An unexpected crazy love ]
#Written By: Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr [ Mêhèr ]
Part: 18………
.
.
.
আনহা টিপ টিপ করে চোখের পাতা খোলার চেষ্টা করে। মাথায় ভিষণ যন্ত্রনা করছে আনহার। মাথায় হাত দিতেই বুঝতে পারে মাথায় ব্যান্ডেজ করা। মাথাটা চেপে ধীরে ধীরে উঠে বসার চেষ্টা করে। তারপর বোঝার চেষ্টা করে ও কোথায়। কালকে রাতের কথা যতদুর মনে পরছে তাতে আনহা রাস্তায় ছিল। হঠাৎ একটা আলোর ঝলকানি সামনে দেখে আর প্রচন্ড গতিতে ধাক্কা খায় কোনো কিছুর সাথে তারপর আর কিছু মনে নেই ওর…..
কিন্তু কোথাও আছে….. আর ও এখানে কিভাবে এলো। তখনি আনহার নজর নিজের কাপরের দিকে যায়। গত রাতে অন্য কিছু পরে ছিল ও। কিন্তু আজ ওর পরনে অন্য কাপর। বুঝতে পারে কেউ তার কাপর বদলেছে। কিন্তু কে ভেবেই আনহার বুকের ভিতর একটা মোচর দেয়। আনহা চারপাশটা দেখে বোঝার চেষ্টা করে৷
চারপাশে তাকিয়ে কলিজা কেপে উঠে আনহার। কোথায় আছে সেটা বুঝতে একটুও বেগ পেতে হয় না ওকে। এইটা তো ওর খুব চেনা জায়গা…..
আনহা: আমি ইহানের বাড়িতে…… [ অবাক হয়ে ]
হুমম ও ইহানের রুমে ওর বেডেই শুয়ে আছে….. কিন্তু ও এখানে কিভাবে আসল…..তবে কি কাল ইহানই ওকে নিয়ে এসেছে৷ কিন্তু ইহান আনবে কেন??? কিছুই বুঝতে পারছে না আনহা………
আনহা পাশের টেবিলের দিকে তাকাতেই ইহানকে দেখতে পায়। ইহান টেবিলের উপর মাথা নিচু করে রয়েছে। ইহান হাতে একটা গ্লাস ধরে আছে। দেখে বুঝাই যাচ্ছে ইহান ড্রিংক করে ওভাবেই ঘুমিয়ে গেছে। ইহানকে এভাবে ঘুমাতে দেখে আনহা অনেক কষ্টে বিছানা থেকে নামে। কিন্তু শরীরে প্রচন্ড ব্যাথার কারনে ওর খুব কষ্ট হয়। নিজেকে সামলাতে পারে না যার কারনে ও মাটিতে পরে যেতে নেয় ঠিক তখনি ইহান এসে ওকে ধরে।
ইহান আনহাকে ধরার সাথে সাথে আনহা ইহানের থেকে নিজেকে ছাড়াতে চায়। এটা দেখে ইহান আনহাকে কোলে তুলে নেয়…..
ইহান: বাহহ খুব ভালো দারাতে পারছেন না অথচ আমার থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছেন….
[ আনহাকে কোলে তুলে মুচকি হাসি দিয়ে। আর আনহা ইহানের শার্ট খামচে আছে যদি পরে যায়। কিন্তু আনহা ইহানের দিকে তাকাতে পারছে না। ও ইহানকে ছাড়াতে পারবে না বলে নিচের দিকে তাকিয়ে নিজের চোখে পানি ঝরাতে থাকে…. ]
ইহান: বাহহ কাল আমি আপনার ড্রেস চেঞ্জ করেছি বলে এখন কি আমার ড্রেস খামচে ছিড়বেন…. [ চোখ টিপ মেরে ] আচ্ছা সমস্যা নেই আমার লজ্জা করবে না।
আনহা ইহানের এমন কথায় রেগে যায়..
ইহান: দেখুন ড্রেস চেঞ্জ নিয়ে কিছু বলবেন না কারন আমি কিন্তু এর আগেও কাজটা করেছি.. [ কিছুটা মজা করে ]
আনহা:……..
ইহান: কিহল….???
ইহান দেখে আনহার চোখ দিয়ে টপটপ পানি গড়িয়ে পড়ছে…….
ইহান: কাদছেন কেন???
আনহা:….. [ মাথা নিচু করে ]
ইহান আনহার কোনো উত্তর না পেয়ে ওকে আলত করে বিছানায় রাখে। তারপর ওর পাশে খুব কাছে গিয়ে বসে… আর এটা দেখে আনহা গুটিশুটি মেরে বসে….
ইহান আনহার হাতটা ধরতে আনহা হাতটা ছাড়িয়ে নিতে চায়। কিন্তু ইহান ওর হাত টেনে পাশে থাকা মলমটা ওর হাতে লাগিয়ে দিয়ে বলে…..
ইহান: এখনি চোখের পানি ফেলার কিহল তারজন্য এক্সট্রা টাইম পাবেন আপনি। তখন যতপারেন কেদে নিবেন……. [ বুড়ো আঙুল দিয়ে আনহার চোখের পানি মুছে….. ]
এইটা দেখে আনহা করুন চোখে ওর দিকে তাকায়……..
ইহান: আচ্ছা একটা কথা বলুন তো মরার এত কি তারা ছিল যে ট্রাকের তলে পরতে হলো…. অন্য উপায় তো ছিল। আমাকে বললেই পারতেন আপনি মরতে চান ব্যবস্থা করে দিতাম…….
আনহা:…….
ইহান: আপনি জানেন আপনাকে বাচাতে গিয়ে আরেকটু হলে আমি মরতাম…….
আনহা: কে বলেছিল আমাকে বাচাতে…. [ অভিমানী কন্ঠে ]
এইটা শুনে ইহান খুব মজা পায়। নিচের দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হাসে……
ইহান: হাজার হলেও আপনি ইহান আহমেদের এক্স ওয়াইফ বলে কথা। এভাবে রাস্তায় ট্রাকের নিচে পরে মরাটা আপনাকে মানায় না। একটু আমার সন্মানের কথা ভেবে স্ট্যান্ডার্ড কোনো উপায় পেলেন না….
এইটা শুনে আনহা বেশ অবাক হয়ে ইহানের দিকে তাকায়….. মরার আবার স্ট্যান্ডার্ড হয়…..
ইহান: এভাবে তাকাবেন না কেমন জানি নেশা লাগে…..
আনহা:….. [ অন্যদিকে মুখটা ঘুড়িয়ে নিল ]
ইহান আনহার মুখটা নিজের দিকে ঘুড়িয়ে নিল তারপর বলল…..
ইহান: কি বিশ্বাস হলো না। জানেন কাল রাতে আপনাকে এনে আমি অনেক ড্রিংস করেছি কিন্তু নেশা হয়নি। কিন্তু অবাক করা বিষয় যখন আমি আপনার কাছে এসে আপনার মুখটা দেখেছি অদ্ভুত এক নেশা গ্রাস করেছে আমাকে….. আর আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা সেই নেশার ঘোর আমার এখনো কাটেনি বরং ক্ষনে ক্ষনে তা ক্রমশ বেড়েই যাচ্ছে…. [ আনহার মুখের কাছে গিয়ে গালে স্লাইড করে ] নেশাক্ত হয়ে গেছি আপনাতে।
[ আনহা ইহানকে এভাবে দেখে ওকে ধাক্কা দিয়ে নিজের থেকে সরিয়ে দেয় ]
আনহা: এখানে কেন এনেছিস আমাকে…..
ইহান উঠে দাঁড়ায়….
ইহান: শুনতে চান…..
আনহা: হুমম…. [ নিজের ঠোঁট কামরে কান্না আটকিয়ে ]
ইহান: আপনাকে মারতে…. [ আনহার মুখের দিকে ঝুকে বাকা হেশে ]
আনহা: মানে…..[ অবাক হয়ে ]
ইহান: ওইযে বললাম এক্স মিসেস. ইহানের জন্য মরার একটা স্ট্যান্ডার্ড কিছু দরকার… আর সে রকম ভাবে মারতে……[ আনহাকে চোখ টিপ মেরে ]
ইহান যা বলছে তা আনহার মাথার কয়েক মিটার উপর দিয়ে যাচ্ছে…
আনহা: ইহান তুই… [ উত্তেজিত হয়ে চোখের পানি ছেড়ে ]
ইহান: হুসসস… কোনো কথা না। এখন একটু রেস্ট নিন….. [ আনহার ঠোঁটে আঙুল ছুইয়ে ]
আনহা লম্বা লম্বা নিশ্বাস নিচ্ছে। ওর কষ্ট হচ্ছে শ্বাস টেনে তুলতে…..
ইহান: শুয়ে পরুন। নাইলে আমায় প্রেসার পরবে আপনার মাথায় ব্যান্ডেজ….
আনহা: আমি থাকব না এখানে…… [ বিছানা থেকে নামতে নামতে ]
এইটা দেখে ইহান একটু বিরক্ত হয়…. ধাক্কা দিয়ে আনহাকে বেডে ফেলে আনহার দুহাত বেডের সাথে চেপে ধরে….
আনহা: ছাড় আমাকে…..
ইহান: একবার ছেড়ে দিয়ে যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে। মাথা ফাটিয়ে কি হাল করেছেন নিজের…. আরে আজব আমি আপনাকে বাবার বাড়ি থেকে ঘুরে আসতে বলছি না ট্রাকের নিচে আসতে বলছি….. পাগল আমি আপনাকে মরতে দি। আর আপনি এখন আত্নহত্যা করলে আপনাকে ডির্বোস দিয়ে মৃত্যুর প্ররোচনায় পুলিশ আমাকে জেলে পরুক। আমাকে দেখে এতটা বোকা মনে হয়…. [ তাচ্ছিল্যের সুরে মুচকি হেসে ] এবার ছাড়ার কথা বললে ঠেং ভেঙে ঘরে বসিয়ে রাখব…. তখন আমাকে ছাড়া ঘর কেন ওয়াসরুমেও যেতে পারবেন না……
আনহা: আমি থাকব না এখানে…..
ইহান: কোথায় যাবেন??? আদ্র তো মেনে নিবে না। আর আপনার বাবা আমি যা বলব তাই শুনবে। You know that….. [ আনহার কানে কাছে গিয়ে ] যা বলব সত্যি মিথ্যা সবটা বিশ্বাস করে নেবে….
আনহা: কেন এনেছিস আমাকে??? আমার উপর কোনো অধিকার তোর এখন নেই। তুই নিজেই আমাকে ডির্বোস দিয়ে দিয়েছিস….এবার মুক্তি দে….
ইহান: আগেও বলেছি এখনও বলছি আপনার উপর সবচেয়ে বেশি অধিকার আমার…. আমি তো আমার থেকে মুক্ত করে দিতে চেয়েছিলাম… কিন্তু আপনি দুনিয়া থেকে মুক্তি নিতে চাইবেন কে জানত……. আর তাই আপনি আর এইটা পাবেন না….. সুযোগ একবারই আসে….
আনহা: তাহলে ডির্বোসের পর আমি তোর সাথে কেন থাকব…
ইহান: ডির্বোস…. [ বাকা হেশে ] হুমম তা ডির্বোসের আগে যেভাবে ছিলেন সেভাবে।
আনহা: মানে….
ইহান: ডির্বোসের আগেই বা আমার বউ ছিলেন কই….
আনহা: এসবের সত্যি কি মানে হয় ইহান….
ইহান: জানিনা….
আনহা: কেন জানবি না তোকে জানতে হবে। কেন এনেছিস আমাকে এখানে…..
এইটা শুনে রেগে গিয়ে ইহান আনহাকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়৷ আনহা কষ্ট পাবে জেনেও…..
ইহান: আপনার কি মনে হয় এত সহজে আমি আপনাকে ছেড়ে দেব। আপনাকে কাল বাবার বাড়ি পাঠিয়ে জাস্ট এটা বুঝাতে চেয়েছিলাম এই ইহান ছাড়া আপনার আর কোনো যাওয়ার জায়গা নেই… আর ইহানের হাত থেকে বাচার একমাত্র পথ মৃত্যু। কিন্তু আপনি এত তাড়াতাড়ি সেটা নিতে চাইবেন আমি ভাবিনি…. আর এই ইহানের সবটা সহ্য না করে আমি যে আপনাকে মরতে দেব না আনহা…. আপনাকে যে আমার সবকিছু সহ্য করতে হবে…….
আনহা: তাহলে ডির্বোস দিয়েছিস কেন???
এবার ইহান আনহাকে ছেড়ে খুব জোরেই হাসে……
ইহান: আমি আপনাকে ডির্বোস দিয়েছি। আপনার হাতে ডির্বোস লেটার টাও সত্যি কিন্তু আমি খুব ভালো করেই জানি আপনি তাতে সাইন তো দুরে খুলেও দেখেননি। তাই সিমপল ভাবে আমার সাথে এখনো আপনার ডির্বোস হয়নি আপনি লিগেলি আমার বউ…. একমাত্র আদরের ছোট…. ধুর কি বলি আমার কি বড় বউ আছে.. মানে আদরের পিচ্চি একটা বোকা বউ….. ???
আনহা আর কোনো কথা না বলে শুয়ে পড়ল ওপাশ ফিরে।।। আর ইহান আনহার দিকে তাকাল….
ইহান: আপনাকে কয়েকঘন্টা নিজের চোখে দুরে রেখেছি তাতে আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল…. আর যদি কাল রাতে আপনার কিছু হয়ে যেত কি নিয়ে বাচতাম আমি। কাল যখন ট্রাকে আপনাকে ধাক্কা মারতে গিয়েছিল আমি তখনি বুঝতে পারছি আনহা ছাড়া ইহানের জিবনের কোনো মুল্য নেই…. ইহান অচল….. কাল আপনার কিছু হলে..
কাল রাতের কথা ভাবতেই সিউরে উঠে ইহান……..
কাল যখন আনহা ড্রাইভারের সাথে গিয়েছিল ইহানো নিজের গাড়ি চালিয়ে আনহার গাড়িকে ফলো করে। কারন ও খুব ভালো করেই জানত ওর বাবা মা ওকে মেনে নিবে না। এটা আগের দিন ওনাদের সাথে কথা বলে বুঝতে পেরেছিল ইহান… ও জাস্ট আনহাকে সত্যিটা রিয়ালাইজ করাতে চেয়েছিল।
যদিও ইহান খুব ভালো করেই জানত বাড়িতে কিছু শোনার পর আনহা ওইখানে থাকবে না। আর না নিজের আত্নসন্মান ভুলে ইহানের কাছে ধরা দেবে….. কিন্তু এটা জানত না যে আনহা নিজেকে শেষ করে দেওয়ার মত এমন একটা স্টেপ নেবে।।। এটা ইহানের কল্পনার বাইরে ছিল। ও শুধু দেখতে চেয়েছে এসবের পর আনহা করে কি……..
কিন্তু যখন ইহান দেখল আনহা সেই ট্রাকের নিচে চলে যাচ্ছে। কিছুক্ষনের জন্য ইহানের পুরো দুনিয়াই শেষ হয়ে গিয়েছিল…….
ট্রাকে ধাক্কা লাগার আগেই ইহান আনহাকে ধাক্কা দিয়ে ওপাশে ফেলে দেয় যার কারনে আনহা কিছু একটার সাথে বাড়ি খায়…. কিন্তু ঘটনাটা এতটাই দ্রুত ঘটে আনহা কিছু বোঝার আগেই ও সেন্সলেস হয়ে যায়। আর ইহান আনহাকে কোলে তুলে নিজের বাড়িতে আনে…. তারপর আনহাকে ঠিক ভাবে শুইয়ে মেডিসিন দিয়ে ও ড্রিংক করে।।।। কিন্তু ড্রিংকটা ওর কাছে ততটাও নেশাক্ত নয় যতটা আনহা….
পুরোটা রাত ইহানের ড্রিংক আর আনহাকে দেখেই কেটে যায়…….
,
,
,
,
ইহান: [ আপনি এটা ভাবলেন কি করে আনহা ইহানের জমিয়ে রাখা শৈশবের ভালোবাসা মাত্র কয়েকদিনে শেষ হয়ে যাবে। আপনার নেশা আমার মাথায় চড়ে আছে এটা আমি কিভাবে নামাব। এতদিনের পাগলামি যদি আমার শেষ হয়ে যেত বা অন্য কারো উপর আসক্ত না শুধু মন আসত তবে আমি আপনাকে ছেড়ে দিতাম। কিন্তু তা হয়নি আর হবেই বা কি করে আনহা…. আমার পাগলামোর “””#আপনিময়?তুমি””””” যে শুধুই আপনি………যা চাইলেও আমি বদলাতে পারব না…….. ]
কথাগুলো ভাবতে ভাবতে মুচকি হাশে ইহান……..
ইহান: এতোদিনে আপনার সাথে সংসার করে এটা তো বুঝেই গেছি আপনি বয়সে অনেক বড় হলেও আপনার রাগ, অভিমান,জেদ কোনো ৫ বছরের বাচ্চার চেয়ে কম না….. যাক বয়সে বড় হলেও আমি পিচ্চি বউ পেয়েছি………. এতটা পিচ্চি হয়তো কেউ পাবে না………আর কি চাই [ মনে মনে মুচকি হাসে ]
তাই বলে এটা ভুলে যাবেন আনহা আপনাকে কোনো মাসুল দিতে হবে না। শাস্তি আপনাকে পেতেই হবে….. যা আপনি কল্পানাও করতে পারবেন না। কিন্তু সেটা আপনাকে ছেড়ে দিয়ে নয়। আমি আপনাকে কষ্ট দিতে গিয়ে নিজের ভালোবাসা নিজের #আপনিকে হারাতে পারব না…….. আর বাকি আগে আপনি সুস্থ হন তারপর এক এক করে শোধ তুলব আমি…….
,
,
,,
,
,
,,
,
তারপর ইহান ব্রেকফাস্ট রেডি করে আনহার জন্য নিয়ে আসে… আনহা ঘুমিয়ে আছে…. ইহান আস্তে করে আনহাকে ডাকে…….
ইহান: আনহা খেয়ে নিন…..
আনহা: আমি খাব না….
ইহান: খাবেন না মানে….. [ প্রচন্ড রেগে ]
আনহা: আরে আজব তো আমি মুখ ধুইয়ে, ব্রাশ ও করিনি। তাই ফ্রেশ না হওয়া পর্যন্ত আমি খেতে পারব না….. আমি আমি বিছানা থেকে উঠতে পারছি না……এখন কেউ তো আমাকে কোলে নিয়ে যাবে না। যত্তসব???
ইহান: এই ব্যাপার আগে বলবেন তো….. [ বলেই আনহাকে কোলে তুলে নেয় ]
আনহা: কি হচ্ছেটা কি???
ইহান: এরকম একজন হাসবেন্ড থাকতে আপনি কোলে উঠার মানুষ পাননা। সবাই শুনলে কি ভাববে….
তারপর ইহান ওকে ফ্রেশ করিয়ে এনে নিজ হাতে ব্রেকফাস্ট করায়। তারপর আনহাকে মেডিসিন দিয়ে বাইরে চলে যায়…
ইহান: ও আরেকটা কথা আজকে হয়ত বাবা মা আসতে পারে… সিউর না তবে যদি আসে। তাই বলে রাখলাম…….
এটা বলে ইহান বাইরে যেতে ধরে তখনি একটা ঘটে অন্য কাহিনী….. যা দেখে আনহার চোখ কপালে………
,