#আমার_খাঁচায়_তুমি_বন্দি
#Avigya_Ayaat
#পর্ব:১৭
রাহি ডির্ভোস পেপারে সাইন করবে তখনি রিফাত রাহিকে থামতে বলে…
রিফাত: রাহি তুমি কি সত্যি আমাকে একটু ভালবাসো না….
রাহি রিফাতের কথার কোনো উওর না দিয়ে ডির্ভোস পেপারে সাইন করে দেয়।
রিফাতের অনেক কষ্ট লাগে রাহির এমন ব্যাবহারে।
রাহি রিফাতের কাছে গিয়ে পেপারটা এগিয়ে দিয়ে বলে….
রাহি: এইখানে সাইন করে দেন।
রাহি এমন ব্যবহারে রিফাত রেগে যায়। তাই রাগে রাহির কাছ থেকে পেপারটা নিয়ে সাইন করে দেয়।
রাহি পেপারটা নিয়ে রিফাতের বাসা থেকে বের হবে তখন রিফাত রাহিকে বলে….
রিফাত: রাহি শুন,তুই ডির্ভোস চাইছিলি তোকে দিয়ে দিলাম, তবে শুন তুই আমার খাচাঁয় বন্দি ছিলি আর থাকবি। তোর ১ম বিয়ে আমার সাথে হইছিলো আর মনে রাখ এরপর যদি বিয়ে করতে চাস সেইটাও আমার সাথে হবে। তোকে এই আমি ছুয়েছি আর আমি ছারা কেউ ছুতে পারবে না। তুই কাউকে তোর কাছে আসতে দিবি না তাহলে তার পরিনতি খুব খারাপ হবে মনে রাখিস। এতোদিন আমার রাগটা তুই দেখিস নাই আজ থেকে দেখবি। তুই আমার ভাল থাকার একমাএ
ঔষধ আর আমি তা আমার থেকে কখনো হারাতে দেবো না।
রাহি রিফাতের কথাগুলো শুনে সেখান থেকে চলে যায়।
এরপর থেকে প্রতিদিন রিফাত রাহিকে দেখার জন্য তার বাসার সামনে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করে। রাহি যেখানে যায় তার পিছু,পিছু রিফাত ও যায়। [গল্পের লেখিকার নাম আভিগ্যা আয়াত]
এক কথায়,রাহিকে কখনো নিজের থেকে দূরে যেতে দেয় না।
রাহি রিফাতের এমন কান্ডের জন্য বাসা থেকে তেমন বের হয় না। আজ একটু দরকারে রাহি বাসা থেকে বের হয়।
রিফাত ও তার পিছুপিছু যায়। রাহি রাস্তার পাশ দিয়ে হাটছে এমন সময় হুট করে সিয়াম এসে রাহির হাত ধরে।
রিফাতের তা দেখে অনেক রাগ হয়। তাই রিফাত রাগে রাহি আর সিফাতের কাছে যায়।
রিফাত: সিয়াম আর রাহির গালে ঠাস করে চড় মারে।
সিয়াম রিফাতকে দেখে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে দৌড়ে চলে যায়। রাহি সেখানেই গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে।
রিফাত: তোকে বলেছিলাম না আমি ছারা কেউ যেনো তোকে ছুতে না পারে, তো সিয়াম তোর হাত কেনো ধরলো।
রাহি : আমার হাত ধরছে আপনার না তাই এখান থেকে বিদায় হন।
রিফাত: হুমম বিদায় তো হবোই কিন্তু তার আগে তোর হাতের কিছু একটা তো করা উচিত যাতে এরপর থেকে কোনো ভুল না করিস।
এরপর রিফাত রাহির হাত ধরে টানতে টানতে নিজের গাড়ির ভিতরে নিয়ে বসায় তারপর রিফাত রাস্তার পাশের দোকানে যায় আর দোকান থেকে সিগারেট কিনে তা ধরিয়ে রাহির কাছে যায়। রাহির হাতটি রিফাত ধরে সেই হাতে জলন্ত সিগারেট চেপে ধরে।
রাহি জোরে চিৎকার দেয়।
রিফাত: আর কখনো কোনো ভুল করবি না। যদি করিস তাহলে এমন এমন শাস্তি তুই পাবি।
রাহি তার হাত ধরে কান্না করতে আছে।
রিফাত: কান্না করবি না, চুপ থাক। না হলে আবার দিবো..
এরপর রিফাত গাড়ি চালিয়ে রাহিকে তার বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে যায় ।
রাহি গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে বাসার ভিতরে যায়।
রাহির মা: রাহি কি হয়ছে?
রাহি: কিছু না।
রাহির মা: তোর হাতে কি হয়ছে?
রাহি আনমনে বলে দেয় রিফাত করছে।
তখনি রাহির বাবা তা শুনে নেন।
রাহির বাবা: রিফাত খুব বেড়েছে এর সাহস কি করে হয় তোর হাত এমন করার।
রাহি: বাদ দাও তো বাবা।
রাহির বাবা: রাহি আমি তোর আবার বিয়ে দিবো।
রাহি: বাবা আমি বলেছি কতো বার যে আমি বিয়ে করবো না।
রাহির বাবা: আমি কোনো কথা শুনবো না, দুই তিনদিন পর তোকে দেখতে আসছে আমার এক বন্ধুর ছেলে তো আর কোনো কথা আমি শুনতে চাই না।
এই বলে রাহির বাবা সেখান থেকে চলে যায়।
রাহি দুদিন তার পরিবারকে বুঝাতে চায় যে সে বিয়ে করবে না কিন্তু তার বাবা-মা তা মানতে রাজি না। তাই রাহি বাধ্য হয়ে শাড়ি পড়ে আর সাজে।
রাহি আবার বিয়ে করবে এই কথা শুনে রিফাত অনেক রেগে যায় আর রাগে রাহিদের বাসায় এসে রাহির রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে রাহির সাথে কথা বলে আর তরপর রাহিকে জোর করে নিয়ে রিফাত বিয়ে করে।
এরপরের কাহিনি তো জানাই…
বর্তমান…
রাহি বিছানায় বসে বসে অতীতের দিনগুলোর কথা ভাবছে তখনি বুলির ডাকে ধ্যান ফিরে।
রাহি: কি বলবি বল।
বুলি: ভাবী আপনারে নিচে খাইতে ডাকছে।
রাহি: আমি খাবো না।
বুলি: ভাই এখনো বাড়ি আসে নাই তাই নিচে যাইয়া খাইতে পারেন।
তারপর রাহি বুলির সাথে নিচে খাবার টেবিলে য়ায়। সেখানে রিফাতের দাদু আর খালামনি বসে।
রাহি কারো সাথে কথা না বলে চুপ করে খাবার খেয়ে নিজের রুমে চলে আসে।
রিফাত অনেক রাত করে বাসায় আসে। নিজের রুমে গিয়ে দেখে রাহি ঘুমিয়ে আছে।
রিফাত রাহির মায়া ভরা মুখের দিকে পলকহীন তাকিয়ে আছে।
রিফাত রাহির কাছে গিয়ে তার পাশে বসে
রিফাত: কতোটা রাত তোমার এই মায়া ভরা মুখটা আমি দেখেনি। জানো রাহি তোমাকে ছারা এতোদিন আমি অনেক কষ্টে ছিলাম। রাহি আমি তোমাকে কষ্ট দিতে কখনো চাই না। তবু তুমি আমাকে রাগিয়ে দাও, রাহি তুমি তো জানো আমার রাগ ওঠলে কি করি আমি নিজেই জানি না।
এই সব বলে রিফাত রাহির কপালে একটা চুমু দেয়,।তখনি রাহির ঘুম ভেঙ্গে যায় আর চোখ মেলে রিফাতকে এতো কাছে দেখে রাহি জোরে রিফাতকে ধাক্কা দেয়।
হঠাৎ এমন হওয়ায় রিফাত নিজেকে সামলাতে না পেরে ফ্লোরে পরে যায়।
রাহি বিছানা থেকে তাড়াতাড়ি ওঠে বলে….
রাহি: আপনার সাহস হয় কি করে আমার এতো কাছে আসার। এখনি রুম থেকে বের হন।
রিফাত: তোমার প্রতি আমার হক আছে তবু আমি চাইনা তা তোমার ওপর জোর খাটাতে।তুমি শুধু আমার চোখের সামনে থাকলেই হবে ।
এই বলে রিফাত রুম থেকে বের হয়ে যায়।
অনেক রাতে রাহির পানি পিপাসা লাগে। তাই রাহি পানি আনতে নিচে নামে তখন রাহি শুনে যে বাসার বাহিরে কেউ কথা বলছে…
রাহি চুপ করে কান পেতে তা শুনার চেষ্টে করে।
রাহি শুনে যে কেউ একজন বলছে….
-আমাদের এতো সুন্দর প্ল্যান সব নষ্ট করে দিলো রিফাত। না রিফাতকে পাগল করতে পারলাম, না বুইড়াকে মারতে পারলাম।
রিফাতের বাবা -মাকে তো তাও মেরেছি ।
রাহি মারার কথা শুনে জোরে বলে যে
রাহি: বাহিরে কে?
আর সাথে সাথে দরজা খুলে কিন্তু বাহিরে কাউকে দেখতে পায়না।
রাহি তাড়াতাড়ি নিজের রুমে চলে যায়।
বিছানায় বসে রাহি ভাবছে মনে মনে…
রাহি: কে ছিলো ওই খানে আর রিফাতের বাবা- মা কি ভাবে মরছে আমি তো কিছুই জানি না। আমাকে সব জানতে হবে….
পরেরদিন….
সকালে রাহি ঘুম থেকে ওঠে বুলির কাছে যায়।
বুলি: ভাবী আপনে এখানে কেনো?
রাহি: আচ্ছা বুলি তুই তো এই বাড়িতে অনেকদিন ধরে আছিস তাই না….
বুলি: হুমমম।
রাহি: এ বাড়ির সব বিষয়ে প্রায় জানোস…
বুলি: হুমম।
রাহি: আচ্ছা বুলি রিফাতের বাবা-মা কিভাবে মারা গেছিলো?
বুলি: গাড়ি এক্সিডেন্ট করে। তবে কেনো ভাবী?
রাহি: এমনি। তুই কাজ কর তোর।
এই বলে রাহি নিজের রুমে চলে আসে।
রাহি রুমের মধ্যে হাটছে আর ভাবতাছে….
রাহি: বুলি বললো এক্সিডেন্ট করছে তাহলে কাল কে বললো যে তারা রিফাতের বাবা-মাকে মেরে ফেলছে। আমার মাথায় কিছুই ঢুতকাছে না। আমার কাছে সব গোলমাল লাগছে। সবার আগে আমাকে এই বাসা থেকে বের হতে হবে।
তখনি রিফাত রাহির রুমে আসে আর শেষের কথাটা শুনে আর তখনি বলে…..
চলবে…..