এক সমুদ্র ফুল পর্ব-১১

0
4491

#এক_সমুদ্র_ফুল
#পর্ব_11
Writer::Shaanj Nahar Sanjida


সকাল সকাল সমুদ্র তৈরি হয়ে গেলো।
সমুদ্র,,তোকে কি যেতেই হবে?(আয়শা মনমরা হয়ে)

আমি তো আগেই বলে দিয়েছি আমি যাবো।এতে আর এতো প্রশ্ন করার কি আছে?(সমুদ্র)

কিন্তু ফুল?(আয়শা)

ওই মেয়ের খেয়াল রাখার জন্য তো তোমরা আছো।আমি না থাকলেও চলবে।ওর জ্বর কমে গেছে। সন্ধ্যায় ডক্টরের কাছে নিয়ে গেলে কিছু দিন পর ও এমনি ঠিক হয়ে যাবে!(সমুদ্র ব্যাগ কাধে নিয়ে)

তবু,,,(আয়শা কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলো)

বাবা আমি যাই।(সমুদ্র)

নিজের খেয়াল রেখো।(আরমান)

হুম।
বলেই সমুদ্র ড্রাইভারকে নিয়ে চলে গেলো।


আয়শা আর আরমান তৈরি হচ্ছে ফুলকে ডক্টরের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

দেখলে ফুলও ওকে আটকাতে পারলো না।(আয়শা)

আরমান একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেললো।


ফুলকে ডক্টরের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো।ডক্টর ফুলকে দেখে ওকে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বললো।ওকে যেনো একা ছাড়া না হয়।সারাক্ষণ ওর সাথে কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে বললো।ওকে বেডে শুয়ে রাখার বদলে বাহিরে হাঁটতে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছে।ডক্টর নিজেও ফুলের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে ফুলকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।

এইভাবে কেটে গেলো পনেরোটা দিন।এই পনেরো দিন প্রতিদিন ফুলকে থেরাপি দেয়া হয়েছে।এখন ফুল একটু একটু সুস্থ। ও বুঝতে পেরেছে দাদু আর নেই।এখন নিজে হাঁটা চলা করতে পারে,,নিজের হাতে খেতে পারে।কিন্তু কারো সাথে কথা বলে না।তাই সবাই মিলে ঠিক করলো তারা ফুলকে নিয়ে বেড়াতে যাবে।কিন্তু দুই একদিনের মধ্যে সমুদ্র আসবে।তাই আয়শা আর আরমান যাবে না।ফুলের সাথে বেড়াতে যাবে সাগর আর সোনালী।সাগরের পরীক্ষা শেষ।পনেরো দিন পরে রেজাল্ট।তারপরই ট্রেনিং।তাই ও ভাবলো যাওয়ার আগে একটা ছুটি কাটানো যাক।তাই সাগর নিজেই সোনালী আর ফুলকে নিয়ে কক্স বাজার ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে।
যাওয়ার দিন
এক দিকে সাগর আর সোনালী ফুলকে নিয়ে বের হলো।আরেক দিকে সমুদ্র বাড়ি ফিরলো।দেখা হয়েও দুজনের দেখা হলো না।


পনেরো দিন পর
আজ সকালে সাগর ফুলকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।ফুল এখন সম্পূর্ন স্বাভাবিক। দাদুমের মৃত্যু ওর মনে ক্ষত সৃষ্টি করলেও এখন ও এই ক্ষত নিয়ে বাঁচা শিখে গেছে।এখন ও আগের মতো দুষ্টামি করে।
অন্যদিকে আজকেই তারা খবর পেলো সাগর পরীক্ষায় খুব ভালো করেছে।এখন ওর ট্রেনিং দুইদিনের মধ্যে ওর বগুড়া যেতে হবে।সেখানেই ওর ট্রেনিং।তাই ছুটি থেকে এসেই আবার প্যাকিং শুরু করে দিয়েছে।সাথে আয়শা আর আরমানও অনেক বেস্ত।কালকে সকালেই সাগর চলে যাবে।প্রায় ছয় মাসের জন্য।


আমি(ফুল) বাড়িতে এসেই চুপি চুপি আরমান আংকেলের রুমে ঢুকলাম।উনি সাগর ভাইয়াকে নিয়ে চিন্তিত মনে হচ্ছে।আমি এসে উনার চিন্তা হয়তো বাড়িয়ে দিলাম।না আমার কথা বলতে হবে আরমান আংকেল এর সাথে।
আরমান আঙ্কেল!এখন তো আমি সুস্থ এখন কি আমি গ্রামে চলে যাবো?(আমি হাত কচলাতে কচলাতে)

কেনো মা?এখানে থাকতে কি তোর খুব অসুবিধা হচ্ছে?(আরমান ফুলের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে)

না হচ্ছে না।তবু দাদুমকে ছাড়া থাকি নি তো।(আমি মুখ ফুলিয়ে)

বাবাকে ছাড়া থাকতে তোর কষ্ট হয়।আমাদের ছাড়া থাকতে তোর কষ্ট হবে না?(আরমান)

আমি তো তোমাদের খালি বিরক্ত করবো!তোমরা,,,(আমি আরো কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলাম)

আমরা যদি বিরক্ত হই!এইটা নিয়ে তোর চিন্তা?দেখ ফুল বাবাকে তুই যতটা ভালোবাসিস তার অর্ধেক ভালোবাসা কি তুই আমাদের দিতে পারবি না!(আরমান)

আঙ্কেল?(আমি উনার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম)

আঙ্কেল না।বাবা আজ থেকে আমি তোর বাবা।তোর যতো দুষ্টামি যতো আবদার যতো বায়না তুই আমার কাছে করতে পারিস।আমি মন দিয়ে তোর সব বায়না শুনবো,,আবদার পূরণ করবো,, তোর দুষ্টামি সহ্য করবো।শুধু একটাই শর্ত তুই আমাকে তোর বাবার স্থানে স্থান দিবি।পারবি তো?(আরমান ফুলের মাথায় হাত দিয়ে)

বাবা।
বলেই আমি বাবাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে দিলাম।

আমি কিন্তু মানবো না!(আয়শা রুমে ঢুকে)

আয়শা?(আরমান অবাক হয়ে)

আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।

তুই উনাকে বাবা বলবি!আমাকে মা বলবি না।তাহলে আমি কেনো মানবো!(আয়শা নাক ফুলানোর ভান করে)

আন্টি?(আমি অবাক হয়ে)

আবার আন্টি?(আয়শা খানিকটা রেগে)

মা,,
বলেই আমি আয়শা আন্টিকে জরিয়ে ধরলাম।

আমাদের আরেকটা মেয়ে হলো।মেয়ের মা হওয়া ভাগ্যের ব্যাপার জানিস ফুল!(আয়শা ফুলের কপালে চুমু দিয়ে)

হুম।আমরা সব সময় চাইতাম তুই আমাদের কাছে থাক।কিন্তু তুই বাবাকে ছেড়ে থাকতে চাস নি।তবে এখন আর কোনো সমস্যা নেই।তুই এখন আমাদের মেয়ে হয়েই থাকবি।(আরমান ফুলের কপালে চুমু দিয়ে)

কিন্তু তোমরা আমাকে এত ভালোবাসো কেনো?এতো আদর করো কেনো?আমি তো তোমাদের কিছু না।(আমি কৌতূহল নিয়ে)

কারণ তুই আমাদের ফুল।কে বললো তোর কেউ নেই তোর তো পুরো পরিবার আছে।এটা তো তোর পরিবার।(আরমান)

আমার পরিবার?(আমি অবাক হয়ে)

হুম।তোর পরিবার!(আয়শা ফুলের গালে হাত রেখে)

যা এখন গিয়ে বিশ্রাম কর।সারারাত জার্নি করে এসেছিস।(আরমান)

সাগর ভাইয়া আর সোনালী আপু কোথায়?(আমি)

সোনালী এসেই নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।সাগরের ওর বন্ধু বান্ধবের সাথে দেখা করতে গেছে।কালকে সকালে চলে যাবে তো সময় পাবে না তাই।তুই গিয়েও ঘুমা।(আয়শা)

আচ্ছা।তাহলে আমি যাই।
বলেই আমি সোনালী আপুর রুমে গেলাম।সোনালী আপু আর আমি এক রুমে ঘুমাই।

সমুদ্র কোথায়?(আরমান)

স্কুল শেষ করে,, অফিসে যাবে।(আয়শা)

ফুল সুস্থ হয়ে এসেছে ও ফুলের সাথে দেখা করবে না?(আরমান)

জানি না।এক মাস তো হয়ে গেলো।সমুদ্র আর ফুলের মধ্যে কোনো কথা তো দূরে থাক দেখাও হয় নি ওদের।(আয়শা)

হুম।সমুদ্র যখন ফুলের খেয়াল রেখেছে তখন তো ফুল নিজে হুশ এর মধ্য ছিলো না।মনে হয় না ওর সমুদ্রের ব্যাপারে কিছু মনে আছে?(আরমান)

হুম।আর ঐদিনের পর থেকে তো সমুদ্রও ফুলের কথা জিজ্ঞেস করা বন্ধ করে দিয়েছে।(আয়শা)

ওর ভয় হচ্ছে। ও যদি ফুলের কাছে চলে আসে তাহলে ফুল ওর দুর্বলতা হয়ে যাবে।এমনি ও বুঝে গেছে ফুল ওর দুর্বলতা হয়ে উঠেছিল।এই জন্য দেখো নি কিভাবে পালিয়ে গেলো।(আরমান)

সব সময় বুদ্ধি থাকা ভালো লক্ষণ হয় না।(আয়শা)

বাদ দাও।সাগরকে নিয়ে এখন ভাবো।ছেলেটা ছয় মাসের জন্য চলে যাবে(আরমান আয়শাকে জরিয়ে ধরে)

হুম।(আয়শা মন খারাপ করে)


বিকেলে
মা সাগর ভাইয়ার ব্যাগ গচ্ছাছে।বাবা অফিসে।সোনালী আপু এখনও ঘুমাচ্ছে।সাগর ভাইয়া এখনও বাড়ি আসে নি।আমার একা একা থাকতে ভালো লাগছে না।তাই ভাবলাম বাড়িটা একটু ঘুরে দেখি।যদিও আগেও দেখেছি।তবুও ঘুরাঘুরি করতে মন চাইছে।আমি ঘুরতে ঘুরতে স্টোর রুমের কাছে চলে আসলাম।কৌতূহল নিয়ে স্টোর রুমে ঢুকতেই দেখলাম একটা বড়ো দড়ি।এই দড়ি দেখেই আমার মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো।আমি দড়িটা নিয়ে দৌড়ে বাগানে চলে গেলাম।বাগানে অনেক গুলো বড়ো বড় গাছ আছে।তাদের একটায় দড়ি বেঁধে আমি দোলনা বানাবো।


বাগানে
অনেক খোজার পর আমি একটা দোলনা বাধার জায়গা পেলাম।সেটা একটা আম গাছ।খুব খুশি হয়ে দৌড়ে সেখানে যেতেই দেখি একটা ছেলে বসে বসে বই পড়ছে।আমি আরো কাছে গিয়ে দেখতেই দেখি ছেলেটা খুব মনোযোগ দিয়ে বই পড়ছে।দেখতে বেশ সুন্দর।তবে ও কে?আমি তো ওকে চিনি না! ও কি এই বাড়ির কেউ?জিজ্ঞেস করে দেখি।
যেই ভাবা সেই কাজ।আমি ছেলেটার কাছে গিয়ে বললাম
ভাইয়া?আপনি কে?

সমুদ্র বই বন্ধ করে অবাক চোখে ফুলের দিকে তাকিয়ে আছে।

এই প্রথম আমি ওর গলা শুনলাম।কি মিষ্টি সুর!তবে সুরেই দুষ্টামি মিশে আছে!(সমুদ্র ফুলের দিকে তাকিয়ে)

ভাইয়া?(আমি ছেলেটার হাত ঝাকিয়ে)

হুম?(সমুদ্র)

আপনি কে?আপনার নাম কি?(আমি)

তাহলে ও ভুলে গেছে আমার কথা! অবশ্য ও তো তখন নিজের মধ্যেই ছিলো না।(সমুদ্র মনে মনে)

ভাইয়া?(আমি আরো জোড়ে হাত ঝাকিয়ে)

আমার নাম জানতে হলে তোমাকে আগে নিজের নাম বলতে হবে।(সমুদ্র ফুলের সামনে হাঁটু মুড়ে বসলো)

আমার নাম ফুল।(আমি)

ফুল!কি ফুল?(সমুদ্র)

মানে?(আমি অবাক হয়ে)

মানে গোলাপ ফুল, গন্ধরাজ ফুল,,সূর্যমুখী ফুল,,শাপলা ফুল,যেমন তেমন তুমি কি ফুল?(সমুদ্র)

উনার প্রশ্ন শুনে আমি একটু চিন্তিত হয়ে গেলাম।সব ফুলের তো কোনো না কোনো নাম আছে।সব ফুলের কোনো না কোনো স্থান আছে।কোনো ফুল বাগানের তো কোনো ফুল বনের।কিন্তু আমি কি ফুল?আমার তো কোনো স্থানও নেই।তাহলে আমি কি ফুল?(আমি গভীর চিন্তায় মগ্ন)

কি হলো বলো?(সমুদ্র ফুলের সামনে তুড়ি বাজিয়ে)

আমি #এক_সমুদ্র_ফুল।(আমি এক গাল হেসে)

আমার উত্তর শুনে উনি অনেক অবাক হয়ে গেলো।

মানে?(সমুদ্র অবাক হয়ে)

দাদুম বলেছে সমুদ্রের কোনো ঠিকানা নেই।তার কোনো কূল কিনারা নেই।তেমনি আমারও কোনো ঠিকানা নেই।তাই আমি এক সমুদ্র ফুল।(আমি হেসে)

আমার কথা শুনে উনি কিছুক্ষণ অবাক হয়ে।তারপর হাসতে হাসতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো।

আপনি হাসছেন কেনো?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

তোমার কথা শুনে!তুমি জানো আমার নাম কি?(সমুদ্র ফুলের গাল টেনে)

আপনি বললে তো জানবো?(আমি ঠোঁট ফুলিয়ে)

আমার নাম সমুদ্র।(সমুদ্র ফুলের গালে হাত রেখে)

কিহ!(আমি অবাক হয়ে)

হুম।তবে তুমি যেই সমুদ্রের ফুল সেই সমুদ্র না।আমি সমুদ্র শিকদার।তোমার আরমান আঙ্কেলের ছোটো ছেলে।(সমুদ্র হাসতে হাসতে)

ও তাহলে আপনিই সেই একঘরে,,বদ মেজাজী,,রাগী ছেলেটা।(আমি এক দমে)

সমুদ্র ফুলের কথা শুনে খানিকটা কষ্ট পেলো।পরেই ফুলের গাল জোরে টেনে ধরে বললো
এই মেয়ে আমার বাড়িতে থেকে আমারই এতো সুনাম করছো সাহস তো কম না।আমি একঘরে,,বদ মেজাজী,,রাগী?খুব ভালোই তো সুনাম রয়েছে আমার তোমার কাছে।তবে তোমার সাহস আছে বলতে হবে আমারই সামনে আমারই বদনাম করছো!

আহহ! দাদুম বলছে কাউকে কিছু বললে সামনা সামনি বলতে।পিছে কথা বাজে লোক বলে।আমি তো ভালো মেয়ে।(ফুল সমুদ্র থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে)

দেখতেই পাচ্ছি কি ভালো! তা এখানে কেনো এসেছো?
বলেই সমুদ্র ফুলের গাল ছেড়ে দিল।

আমি দোলনা বানাবো।এই গাছে দড়ি বেঁধে।(আমি দড়ি দেখিয়ে)

তুমি গাছে উঠে দড়ি বাঁধবে?(সমুদ্র অবাক হয়ে)

হুম।গ্রামে আমি কত্তো গাছে উঠেছি।দড়ি বেঁধে দোলনা বানিয়েছি।
বলেই আমি গাছে উঠতে যাবো তখনই সমুদ্র আমাকে আটকে বললো
তোমাকে উঠতে হবে না।আমি কাউকে বলে দড়ি বেঁধে দিচ্ছি।

না।সবাই ব্যাস্ত।আর আমি যখন পারবো তখন অন্য কাউকে কেনো বলতে যাবো।সরুন তো দেখি।(আমি সমুদ্রকে সরানোর চেষ্টা করে)

তুমি শুনবে না আমার কথা?(সমুদ্র রেগে)

না শুনবো না।
বলেই আমি গাছে উঠতে লাগলাম।

যা খুশি করো।
বলেই সমুদ্র বই নিয়ে নিচে বসে বসে পড়তে লাগলো।

এদিকে আমি সুন্দর করে বান্ধরের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে গাছে উঠে গেলাম। গাছে উঠে ঠিক মত দড়ি বেঁধে দোলনা বানিয়ে যেই নামতে যাবো তখনই পা ফসকে নিচে পড়ে গেলাম।আর সাথে সাথেই চিৎকার করে চোখ বন্ধ করে ফেললাম।

আমি পড়লাম কিন্তু ব্যাথা পেলাম না কেনো?(আমি চোখ বন্ধ করে)

এই মেয়ে চোখ খুলে দেখো তাহলেই সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবে।(সমুদ্র)

আমি চোখ খুলে দেখি আমি সমুদ্রের কোমরের উপর বসে আছি।আর উনি মাটিতে মুখ উবু করে শুয়ে আছে।

আপনি এমন করে উবু হয়ে শুয়ে আছেন কেনো?(আমি মুখে হাত দিয়ে)

সব তোমার কৃতিত্ব।তুমি উপর থেকে আমার কোমর বরাবর পড়ছো। আহ!আমার কোমর শেষ।(সমুদ্র ব্যাথায়)

আমি হাসবো না কাদবো জানি না।

আপনি ঠিক আছেন?ব্যাথা পেয়েছেন?(আমি সমুদ্রের কোমরে বসে বসে)

কোমর থেকে নেমেও তো প্রশ্ন করতে পারো।(সমুদ্র)

ও হ্যা।
বলেই আমি উনার কোমর থেকে উঠে দাড়ালাম।উনি কোমর ধরে ধরে উঠলো।

তোমাকে এখন আমার গিলে খেতে ইচ্ছে করছে।উপর থেকে আমার কোমরই পেলে ল্যান্ড করার জন্য।(সমুদ্র কোমরে হাত দিয়ে)

দোষ তো আপনারই আপনি সেখানে বসে ছিলেন কেনো যেখানে আমি ল্যান্ড করবো?(আমি)

তোমাকে তো আমি,,,আহহ!তোমার নাম এক সমুদ্র ফুল না।এক বন্য ফুল রাখা দরকার।বন্য বানরের মত গাছে গাছে দৌড়াও।আর ল্যান্ড করার জন্য আমারই কোমর পাও।যতসব।
বলেই সমুদ্র কোমর ধরে আস্তে আস্তে ভিতরে চলে গেলো।

আমি উনার রেখে যাওয়া বই হাতে নিয়ে উনার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ভাবলাম
খুব জোরেই লেগেছে মনে হয়।তবে মাথায় লেগেছে না কোমরে তা নিয়ে আমার সন্ধেহ।


চলবে,,