এক সমুদ্র ফুল পর্ব-১২

0
4379

#এক_সমুদ্র_ফুল
#পর্ব_12
Writer:: Shaanj Nahar Sanjida


কি হয়েছে সমুদ্র?তুই এমন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিস কেনো?(আয়শা অবাক হয়ে)

কিছু না মা!(সমুদ্র খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে নিজের রুমে চলে গেল)

কিছু না!এইতো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চল ছিলো।কি যে করে ছেলেটা বুঝি না!
আয়শা মনে মনে বলছিলো।তখনই পাশ দিয়ে নাচতে বাড়িতে ঢুকলো ফুল।ওর হাতে সমুদ্রের বই দেখে আয়শা ফুলকে প্রশ্ন করলো

কিরে ফুল!সমুদ্রের বই তোর কাছে কেনো?আর তুই কি জানিস সমুদ্র কেনো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।(আয়শা)

এইরে উনার ছেলে আমার জন্য ব্যাথা পেয়েছে!এখন তো নির্ঘাত আমাকে বকবে!কি করবো আমি?(আমি মনে মনে)

কিরে?তোকে কিছু জিজ্ঞেস করছি?কিছু জানিস তুই?(আয়শা)

হ্যা।
পরেই আমি মাকে ভয়ে ভয়ে সব খুলে বললাম।

কি করিস ফুল?(আয়শা রেগে)

সরি মা।আমি ইচ্ছে করে ওকে ব্যাথা দেই নি।(আমি কান্না কান্না ভাব নিয়ে)

ওর কথা বাদ দে।সমুদ্র সেখানে না থাকলে তো পরে তোর পা ভাঙত!তখন কি হতো?এমনি কতো কষ্ট হয়েছে তোকে সুস্থ করতে।তোর যদি দোলনা খেলতে ইচ্ছে করে আমাকে বলতে পারতি।আমিই কাউকে বলে তোর দোলনা খেলার ব্যাবস্থা করে দিতাম।(আয়শা)

উনি আমার কথা এতো ভাবে?এইটাই মনে হয় মায়ের ভালোবাসা!
এইটা ভেবেই আমি মাকে জড়িয়ে ধরলাম।

কি হলো? হটাৎ জড়িয়ে ধরলি যে।(আয়শা অবাক হয়ে)

কিছু না।আমার ভুল হয়ে গেছে আমি আর এমন করবো না।প্রমিজ।(আমি মাকে জড়িয়ে ধরে)

গুড গার্ল।এখন চল আমি গরম পানি করে দিচ্ছি আর মলম দিচ্ছি।তুই গিয়ে সমুদ্রের ঘরে গিয়ে ওকে গরম পানির সেক নিতে বল।(আয়শা)

ওকে মা।
বলেই আমি মায়ের আঁচল ধরে উনার পিছু পিছু গেলাম।


কিছুক্ষণ পর
আমি চুপি চুপি সমুদ্রের রুমে ঢুকলাম।
রুমে তো কেউ নেই।উনি কোথায় গেলো ভাঙ্গা কোমর নিয়ে।
বলেই পিছনে তাকাতেই দেখি সমুদ্র।

আহ্।আমার আত্মা বের হয়ে গেল।(আমি বুকে থুতু দিয়ে)

তুমি এখানে কি করছো?আমার কোমর ভেঙ্গে শান্তি হয় নি তোমার?(সমুদ্র আমার কাছে এগুতে লাগলো)

দেখুন আমি সরি বলছি।আর এই দেখুন আমি আপনার জন্য গরম পানি এনেছি।আর এই যে মলম এইটা দিলেই আপনার ব্যাথা হাওয়া হয়ে যাবে।(আমি গরম পানির বোল দেখিয়ে)

এইসব নিয়ে যাও আমার লাগবে না।এইসব।
বলেই সমুদ্র আমাকে এড়িয়ে চলে যেতে লাগলো।

আমিও নাছোড়বান্দা। হাল ছাড়ার পাত্র না।তাই আমি পানির বোলটা রেখে উনার হাত ধরলাম।

আপনি কথা শুনেন না কেনো?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

তুমি যেনো শুনো!ছাড়ো আমায়।
বলেই সমুদ্র আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলো।

আমি ছাড়বো না।আমি আপনাকে ব্যাথা দিয়েছি আমি ঠিক করবো।
বলেই দু হাত দিয়ে সমুদ্রের হাত আরো শক্ত করে চেপে ধরলাম।

ছাড়ো বলছি।
বলেই সমুদ্র ছুটার চেষ্টা করতে লাগলো।এমন করে জোরাজুরিতে এক পর্যায়ে সমুদ্র পা ফসকে বেডে গিয়ে পড়লো আর আমিও গিয়ে উনার বুকের উপর উঠলাম।

আহহ!দূর।এই মেয়ে তুমি কি খালি আমার উপরেই পড়তে পছন্দ করো?(সমুদ্র)

আর আপনি আমাকে ক্যাঁচ করতে পছন্দ করেন?(আমি উনার বুকে শুয়ে মাথা উচু করে)

এই শুনো।উঠো আমার উপর থেকে।এমনি আমার কোমরে ব্যাথা।(সমুদ্র)

উঠবো এক শর্তে যদি আপনি আপনার কথা মত কাজ করেন।গরম পানির সেক দেন।আর মলন দেন।বলুন দিবেন?(আমি উনার বুকে শুয়ে শুয়ে)

ওকে ওকে তুমি জিতেছ।আমি হারছি।ওকে?এখন উঠো।পড়ে যা করার কর।(সমুদ্র)

ওকে।
বলেই আমি উঠে বসলাম।

সমুদ্র উঠেই আমার সামনে শার্ট খুলতে শুরু করলো।অর্ধেক খুললে আমার দিকে তাকিয়ে বললো
তুমি রুম থেকে বের হও।(সমুদ্র)

কেনো?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

আমি শার্ট খুলবো!(সমুদ্র)

তো খোলেন।আমি কি না করেছি নাকি?(আমি)

তোমার সামনে আমি শার্ট খুলবো?(সমুদ্র কিছুটা রেগে)

তো কি হয়েছে?আমিও তো ফ্রক খুলতে পারি দেখবেন।
বলেই ফ্রক খুলতে লাগলাম।তখনই উনি আমাকে আটকে বললো
এই তোমার কি লজ্জা লাগে না?একটা ছেলের সামনে ফ্রক খুলছো?(সমুদ্র ফুলের হাত ধরে)

লজ্জার কি?(আমি অবাক হয়ে)

সমুদ্র একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে ভাবলো
একটা আট বছরের বাচ্চার কাছ থেকে আমি আর কি আশা করতে পারি?

কি হলো?হাত ছাড়ুন।(আমি)

হুম।
বলেই সমুদ্র আমার হাত ছেড়ে শার্ট খুলে পানির সেক দিতে লাগলো।কিন্তু উনার হাত ঠিক মত পৌঁছাতে পারছিলো না।

দিন আমি করে দিচ্ছি।(আমি)

না থাক আমি পারবো!(সমুদ্র)

বলছি না দিন।
বলেই জোরাজুরি করতে লাগলাম।অনেকক্ষন জোরাজুরি করার পর আমি জিতে গেলাম।আর উনি হেরে আমার কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হলো।

আমি সেক দিচ্ছি।কিন্তু আমার ধরাতেই উনি কেমন যেনো কেপে উঠে।

আচ্ছা আপনার কি শীত করছে?আপনি কাপছেন কেনো?(আমি উনার সামনে উকি দিয়ে)

কিছু না তুমি তোমার কাছ করো!(সমুদ্র)

আইচ্ছা।
বলেই আমি উনার সেবা করতে শুরু করলাম।

ইডিয়ট মেয়ে একটা।কোনো কমন সেন্স নেই।(সমুদ্র মনে মনে)

সমুদ্র কোনো দিন কারো সাথে এমন ক্লোজ হয়নি।তার উপর আজ ফুলের সামনে শার্ট খুলে বসে আছে।আবার ফুল ওর কোমরে স্পর্শ করছে।সব মিলিয়ে ও যেনো লজ্জায় শেষ।

নিন হয়ে গেছে।(আমি মলম লাগিয়ে)

হয়েছে এখন যাও।(সমুদ্র তাড়াতাড়ি শার্ট পরে)

আচ্ছা।আপনি আমার বন্ধু হবেন?(আমি সমুদ্রের বিছানায় শুয়ে শুয়ে)

কেনো তোমার বন্ধু নেই?(সমুদ্র বিছানার এক পাশে বসে)

না।আপনি হবেন?(আমি উনার কাছে গিয়ে)

আমিই কেনো?(সমুদ্র)

জানি না।মনে হলো।এই আরকি।(আমি সমুদ্রের কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লাম)

তোমার ক্লোজ কোনো বন্ধু নেই?(সমুদ্র ফুলের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে)

না।তাই তো আপনাকে জিজ্ঞেস করছি।হবেন আমার বন্ধু?(আমি)

উমমম।
সমুদ্র কিছুক্ষণ ভেবে বললো
হুম হবো।কিন্তু তোমার আমার কথা শুনতে হবে।(সমুদ্র)

তাহলে আপনিও আমার কথা শুনবেন!(আমি)

তোমার কি কথা?(সমুদ্র)

জানি না।(আমি মুচকি হেসে)

আচ্ছা তাহলে আজ থেকে আমি আর তুমি বেস্ট ফ্রেন্ড।(সমুদ্র আমার গাল টেনে)

সত্যিই?(আমি উনার কোল থেকে উঠে)

হুম।(সমুদ্র মুচকি হেসে)

থ্যাঙ্ক ইউ।
বলেই আমি সমুদ্রকে জড়িয়ে ধরলাম।


কিছুক্ষণ পর
আমি আর সমুদ্র বিছানার দুদিকে দুজন শুয়ে আছি।

ফুল!(সমুদ্র)

হুম।(আমি)

আমরা তো বেস্ট ফ্রেন্ড তাই না?তাহলে আমি তোমাকে তুই বলে ডাকবো।(সমুদ্র)

তাহলে আমি আপনাকে তুমি বলে ডাকবো।
বলেই ফিক করে হেসে দিলাম।

কিছুক্ষণ পর সমুদ্র ফুলের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ফুলের কাছে গিয়ে দেখলো ও ঘুমিয়ে পানি হয়ে গেছে।সমুদ্র মুচকি হেসে ওকে ঠিক করে শুয়ে কপালে একটা চুমু দিয়ে দিলো।


রাতে
ফুল এই ফুল।(সমুদ্র)

উমমম।(আমি ঘুমে)

উঠ খাবি না?(সমুদ্র)

না।আমি ঘুমাবো।(আমি অন্যপাশ করে শুয়ে)

এই কুম্ভকর্ণ উঠ।এমনি অসুস্থ ছিলো বলে খাওয়া হয়নি এখন আবার খাওয়া বন্ধ করে দিতে চাইছে।(সমুদ্র ফুলকে টেনে তুলে)

উঠছি তো।
বলেই উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হতে গেলাম।


ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে
তুমি যাবে না খেতে?(আমি)

না।আমি উপরে খাবো!(সমুদ্র)

একা?(আমি)

হুম।(সমুদ্র)

তাহলে আমিও উপরে খাবো।আমার বেস্ট ফ্রেন্ডকে রেখে আমি একা একা গিয়ে খাবো! কখনও না।
বলেই বসে পড়লাম।

ফুল।জেদ করিস না।যা।(সমুদ্র ভ্রু কুঁচকে)

না আমি যাবো না। মানে যাবো না।(আমি)

দূর এই মেয়ের জেদের কাছে সব সময় আমায় হেরে যেতে হয়।এমনি অসুস্থতায় শরীর দূর্বল এখন না খেলে আরো শরীর খারাপ হবে।তার চেয়ে ভালো।কথা মেনে নেয়াই।(সমুদ্র মনে মনে)

আমি গেলে যাবি?(সমুদ্র)

হুম।(আমি মাথা নেড়ে)

আচ্ছা চল।
বলেই সমুদ্র আমার হাত ধরে নিয়ে গেল।আমিও বাধ্য মেয়ের মত তার সাথে সাথে গেলাম।


নিচে সবাই খাবারের টেবিলে সমুদ্রকে দেখে যেমন ভুত দেখার মত চমকে গেলো।

সমুদ্র?(আয়শা অবাক হয়ে)

আমাকে চিমটি কাট তো।(সাগর)

সোনালী হা করে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে সাগরকে জোরে চিমটি কাটলো।

আহহ।এইটা তো স্বপ্ন না।(সাগর)

Same অনুভূতি ব্রো।(সোনালী অবাক হয়ে)

আরমান খুক খুক করে কাশি দিয়ে বললো
সবাই খেতে বসো।

হুম।(আমি সমুদ্রকে নিয়ে খেতে বসলাম)

মা আমি তো চলে যাবো।আমাকে খাইয়ে দাও।(সাগর আয়শার কাছে বায়না ধরে)

ভাইকে খাইয়ে দিলে আমাকেও কিন্তু খাইয়ে দিতে হবে।(সোনালী মুখ ফুলিয়ে)

তোদের খাইয়ে দিলে আমার আরেক মেয়ে কি করছে? কিরে ফুল খাবি আমার হাতে?(আয়শা)

আবার জিগায়।(আমি খুশি হয়ে)

মা আমাদের ভাই বোনকে খাইয়ে দিতে লাগলো।

মা।সমুদ্রকে খাইয়ে দাও।(আমি)

সমুদ্র এই নে বাবা খা।
বলেই আয়শা খাবারটা মুখে দিতেই সমুদ্র টেবিল থেকে উঠে বললো
আমার খাওয়া শেষ।আমি উপরে গেলাম।
বলেই চলে গেলো।

কিন্তু তুই তো কিছুই খেলি না।(আয়শা)

সমুদ্র কিছু না বলেই চলে গেলো।

সবাই মনমরা হয়ে বসে আছে।আমি কেমন করে জানি কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি।সমুদ্রের সাথে ওর পরিবারের সম্পর্ক তেমন ভালো না।তবে সমুদ্র তো অনেক মিশুক তাহলে এমন কেনো? যাই হোক।আমি তো আমার বেস্ট ফ্রেন্ডকে হেল্প করবোই।


পরেরদিন
আজ ভোরে সাগর ভাইয়া চলে যাবে।তাই বাড়িতে সবাই একটু মনমরা হয়ে আছে।সবাই এসেছে নিচে সাগর ভাইয়াকে বিদায় দিতে এক মাত্র আমার বেস্ট ফ্রেন্ড সমুদ্র ছাড়া।সোনালী ডাকতে গেলো।কিন্তু উনি কড়া গলায় বলে দিয়েছে উনি আসবে না।উনি নাকি এখন স্কুলে যাবে।উনার অনেক কাজ।উনাকে কেউ যেনো বিরক্ত না করে!
কিন্তু আমি তো আর কেউ না ফুল।আমি তো বিরক্ত করবোই।তাই সোজা নিচ থেকে দৌড়ে উপরে চলে গেলাম।
কিছু না বলেই হুট করে উনার রুমে ঢুকে গেলাম।রুমে গিয়ে দেখি উনি লেপটপে কাজ করছে।

এই ভোর বেলা কি কেউ গেমস খেলে?(আমি)

আমি গেমস খেলছি না।আমি কাজ করছি।(সমুদ্র)

আমি জানি ঐটাতে খালি গেমস খেলা যায়(আমি)

তুই যে অশিক্ষিত।(সমুদ্র)

হুহ! খালি কাজ আর কাজ।আজকে কাজটা রেখে একটু নিচে গিয়ে ভাইয়াকে বিদায়ও তো দিতে পারো।(আমি উনার পাশে বসে)

আমার ওতো সময় নেই।সবাই আছে বিদায় দেয়ার জন্য। আমি না দিলেও চলবে।আর তুই আমার রুমে বিনা অনুমতিতে ঢুকবি না।বেস্ট ফ্রেন্ড বলে আজ তোকে ছেড়ে দিয়েছি।(সমুদ্র)

এইরে বেস্ট ফ্রেন্ডটা রেগে আছে।তবে যাই হোক বকা খাই আর যাই খাই।ওকে তো নিচে আমি নিয়ে যাবোই।(আমি মনে মনে)

আচ্ছা করবো না।তবে এক শর্তে তুমি যদি এখন আমার সাথে নিচে চলো।(আমি)

সমুদ্র লেপটপ বন্ধ করে উঠে এসে আমার সামনে দাড়িয়ে বললো
দেখ ফুল। বন্ধুত্ব করেছি বলে যে তোর সব কথা মানবো তেমন কিন্তু কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।আর আমাকে শর্ত দেয়ার ভুল করিস না।তাহলে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না।(সমুদ্র কড়া গলায়)

এখন তো তোমার থেকে খারাপ আমাকে কারো লাগছেও না।কিন্তু এখন কি করা যায়?।(আমি মনে মনে)

যা এখন আমার চোখের সামনে থেকে।(সমুদ্র রেগে)

আমি একটা দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে
সমুদ্রের পায়ে ধরে কাদতে শুরু করলাম।
আমি যামু।তোমারে ছাইড়া আমি যামু না।তুমিও যাইবা আমার লগে।

সমুদ্র হকচকিয়ে গেলো। ও কখনও ভাবতেও পারেনি ফুল এমন একটা কান্ড করে ফেলবে।

এই ফুল পা ছাড়।আর এই কি ক্ষেতের মত কথা বলছিস?(সমুদ্র ফুলকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে)

ফুল যখনই এমন কিছু অবিশ্বাস্য কান্ড করে তখনই ও এমন ভাষায় কথা বলে।

আমি ছাড়ুম না।তুমি লগে যাইবা।নাইলে আমি পা ছাড়ুম না। কানতে কানতে আমি কিন্তু তোমার প্লান্ট ভিজায় লামু।
বলেই আরো কাদতে শুরু করলাম।

মানুষকে বলতে শুনেছি কাদতে কাদতে শার্ট ভিজায় আর ও নাকি আমার প্লান্ট ভিজাবে! হায় আল্লাহ!(সমুদ্র বিরক্ত হয়ে)

তুমি চলো।নাইলে কিন্তু আমি আরো কানমু।
বলেই আমি সমুদ্রের প্যান্টে নাক মুছতে লাগলাম।

ইয়াক।ফুল disgusting! থাম বলছি।(সমুদ্র নিজেকে ফুলের কাছ থেকে সরানোর চেষ্টা করে)

না আগে কও।যাইবা।(আমি নাক টানতে টানতে)

আচ্ছা আচ্ছা।যা।যাবো।(সমুদ্র দীর্ঘ শ্বাস ফেলে)

হুররে।কি মজা?(আমি খুশি হয়ে)

সমুদ্র মাথায় হাত দিয়ে বললো
আমি আবার হেরে গেলাম।তোর কাছে।

হিহি।
বলেই আমি উনাকে নিয়ে নিচে নেমে আসলাম।


সবাই নিচে
আবারও ভুত দেখার মতো দেখার মত তাকিয়ে আছে।

সোনালী আবার সাগরকে চিমটি দিলো।

এই তুই আমাকে চিমটি দিলি কে?(সাগর)

আমি জানি তুই আমাকে বলবি চিমটি দে।তাই আমি আগেই চিমটি দিয়ে দিলাম।(সোনালী)

খুব উপকার করলি পেত্নী বোন আমার।(সাগর)

সমুদ্র সাগরের সামনে এসে
ভালো করে থাকিস!ভালো করে ট্রেনিং করিস।যেই পথ তুই বেছে নিয়েছিস সেই পথ যেনো ভালো হয়।এই কামনা করি।

Thanks ভাই।
বলেই সাগর সমুদ্রকে জড়িয়ে ধরলো।

হুম।
বলে সমুদ্রও ওকে জড়িয়ে ধরলো।

ফুল এই অসম্ভবকে সম্ভব করলি কি করে?(আয়শা ফিস ফিস করে)

আমি শুধু মুচকি হাসি দিলাম।যেই ভাবে রাজি করিয়েছি জানলে আমার মান সম্মান সব শেষ হয়ে যাবে।লোক আমাকে পাগল ছাড়া আর কিছু বলবে না?(আমি মনে মনে)


চলবে,,