#এক_সমুদ্র_ফুল
#পর্ব_14(#বিবাহ_স্পেশাল_2)🎉
Writer:: Shaanj Nahar Sanjida
।
।
বিকেলে বাবা বাড়ি আসলো
আমি যে কখন কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম খেয়াল ছিল না।বাবা এসে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে উঠালো
ফুল মা।(আরমান ফুলের মাথায় হাত বুলিয়ে)
উমমম।বাবা?(আমি চোখ কচলাতে কচলাতে)
উঠ।তোর সাথে কথা আছে।(আরমান)
হুম।তুমি বসো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
বলেই আমি ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে ঢুকলাম।
।
।
ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে
বলো বাবা।(আমি মনমরা হয়ে)
তুই কেঁদেছিস?(আরমান)
না।কেনো?(আমি)
তোর চোখ মুখ ফোলা কেনো?(আরমান)
এমনি।(আমি অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে)
তোকে সমুদ্র সব বলেছে তাই না?(আরমান)
হুম।বাবা।(আমি মাথা নেড়ে)
এখন তোর কি সিদ্ধান্ত?(আরমান)
বাবা।ও আমাকে বিয়ে করতে চায় না।তবে কেনো তুমি জোর করছো?জোর করলে সম্পর্কটা আরো খারাপ হয়ে যাবে।আমি আর সমুদ্র বেস্ট ফ্রেন্ড। ও আমাকে কোনো দিন বউয়ের নজরে দেখে নি।(আমি কাদতে কাদতে)
ও তোকে কি নজরে দেখে তা তুই এখন বুঝবি না ফুল।(আরমান মনে মনে)
কোন সম্পর্কের খারাপ হওয়ার কথা বলছিস তুই ফুল?সম্পর্ক কি কোনো দিন ভালো ছিলো?তুই আসার পর কি কোনো দিন দেখেছিস সমুদ্র নিজে থেকে আমাদের সাথে এক বার সময় কাটিয়েছে?কাটায় নি।ওর মনে পরিবারের জন্য কোনো মায়াই নেই।আর সেখানে ও যে সম্পর্কের টানে ফিরে আসবে তুই কি করে ভাবলি?(আরমান)
বাবা ও পরিবারের কেয়ার করে।(আমি)
হ্যা যখন তুই ওকে জোর করিস তখন করে।কিন্তু ফুল যখন ও চলে যাবে তখন তুই কি সেখানে গিয়ে ওকে জোর করতে পারবি ফিরে আসার জন্য?(আরমান)
হ্যা পারবো।ও সেখানেই যাক না কেনো?আমি ওকে ফিরিয়ে আনতে পারবো।সেটা জোর করেই হোক না কেনো!(আমি)
তাহলে ওকে বিয়ে কর।(আরমান)
বাবা!(আমি অবাক হয়ে)
তুই বিয়ে করলেই ও এই পরিবারের সাথে যুক্ত থাকবে।কারণ আমাদের থেকে বেশি ও তোর কেয়ার করে।আর এই জন্যই তুই আমার ভরসা।আমি জানি ও যেখানেই যাক তুই ওকে ঠিক ফিরিয়ে আনতে পারবি।কিন্তু আমি চাই না ও চলে যাক। ও চলে গেলে তোর জীবন চলে যাবে ওকে ফিরিয়ে আনতে আনতে।(আরমান)
বাবা আমি পারবো না।আমি ওকে কথা দিয়েছি।(আমি কাদতে কাদতে)
ফুল তুই আমার মেয়ের মতো।তবুও আমি তোর কাছে হাঁটু গেড়ে দুই হাত জোড় করে ভিক্ষা চাইছি।তুই আমার ছেলেকে বিয়ে কর ফুল।(আরমান ফুলের সামনে হাঁটু গেড়ে বসলো)
বাবা কি করছো তুমি উঠো!(আমি তাড়াতাড়ি বাবাকে ধরে)
না।ফুল।আজ তোর কাছ থেকে আমি আমার ছেলেকে চাইছি।এইবার সমুদ্র গেলে আর ফিরে আসবে না।ওর কোনো পিছু টান থাকবে না।প্লিজ ফুল।এইটা তো তোরও পরিবার।তুই তোর পরিবারকে ভাঙতে দিস না(আরমান হাত জোর করে)
আমি বাবার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে কেদে চলেছি।আমি কি করবো কিছুই ভেবে পাচ্ছি না!এক দিকে সমুদ্র আরেক দিকে আমার পরিবার।বাবার ভয়ও তো ভুল কিছু না।সমুদ্রের সম্পর্ক এই পরিবারের সাথে এমনিতেই ভাল না।তার উপর ও যদি চলে যায় কি হবে?বাবা তার ছেলেকে হারাবে!আমি এই পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ।সেই ছোটো বেলা যদি দাদুম আমাকে ঠাই না দিতো,কাছে টেনে না নিত তাহলে আজ আমি হয়তো বেচেঁ থাকতাম না।দাদুম কখনও তার পরিবারের সদস্যেদের আলাদা হওয়ার সহ্য করতে পারবে না।উনি তো উপর থেকে সব দেখছেন।আর বাবা!উনি তো আমাকে কখনো কোনো পালিত মেয়ের মতো দেখি নি।যা উনি সোনালী আপুর জন্য করেছে তা উনি আমার জন্যও করেছে।মাও তাই করেছে।উনি আমাকে কতো আদর করেছেন।আমি অসুস্থ হলে আমাকে নিজের মায়ের মত খেয়াল রেখেছে।সাগর ভাইয়া আর সোনালী আপুও ঠিক তেমনই।সবাই আমাকে এতো ভালোবাসা দিয়েছে।বিনিময়ে আমার থেকে কিছু চায় নি।উনারা চাইলে দাদুমের মৃত্যুর পর আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারতো কিন্তু উনারা করলো না। এতো কিছুর পরেও আমি কি করছি?শুধু উনাদের কাছ থেকে নিয়েই যাচ্ছি।ভালোবাসা,আদর,,যত্ন।সব শুধু আমি নিয়েই যাচ্ছি।আর যখন আজ বাবা হাত পেতে আমার কাছ থেকে কিছু চাইছে।আমি কি করছি,,উনাকে নিরাশ করছি।খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি।আমি কবে থেকে এতো স্বার্থ পর হয়ে গেলাম।আমি কি করে উনাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়ার কথা ভাবছি।উনি তো আমার বাবা।উনাকে নিজের সামনে এমন করে হাত জোড় হাওয়ার আগে আমি মারা গেলাম না কেনো?সমুদ্র যাই বলুক,, যাই করুক আমার তাতে কিছু আসে যায় না।আমি বাবাকে এইভাবে হাঁটু মুড়ে বসে থাকতে দেখতে পারবো না। এইজন্য আমার যা করার আমিই তাই করবো।(আমি মনে মনে)
বাবা!উঠো।আমি সমুদ্রকে বিয়ে করতে রাজি।তুমি বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করো।(আমি স্থির হয়ে)
আমি জানতাম মা তুই রাজি হবি।আমাকে মাফ করে দিস মা।স্বার্থ পর হয়ে তোর জীবনের সব চেয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছি।(আরমান উঠে দাড়িয়ে)
তুমি ক্ষমা চেও না বাবা।আমি ঠিক আছি।তুমি চিন্তা করো না।(আমি বেডে বসে)
তাহলে আমি যাই।কালকেই তোদের বিয়ে দেবো।শুধু আমাদের পরিবারই থাকবে।পড়ে বড়ো করে অনুষ্ঠান করবো।কি বলিস তুই রাজি তো?(আরমান)
তুমি যা বলো আমি তাতেই রাজি বাবা।(আমি)
ঠিক আছে।
বলেই আরমান চলে গেছে।
আই অ্যাম সরি সমুদ্র।আমি তোমার কাছে করা ওয়াদা রাখতে পারিনি।আমি বাবাকে ফিরাতে পারিনি।আমি কি করে উনাকে ফিরাবো!উনি তো আমার বাবা।কোনো মেয়েই নিজের সামনে বাবার হাঁটু মুড়ে বসে থাকা সহ্য করতে পারে না।আমিও পারি নি।আমি চাইনি আমার পরিবারটা ভেঙ্গে যাক।আমি জানি তুমি অনেক কষ্ট পাবে,,অনেক রেগে যাবে।দুতিনটা থাপ্পড়ও মারবে।কিন্তু আমি থাপ্পড় খেতেও রাজি আছি সমুদ্র।(আমি বেলকনিতে বসে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে কাদতে কাদতে কথা গুলো বললাম)
।
।
রাতে
সমুদ্র যেনো কোথা থেকে এলো।বাড়িতে এসেই দেখলো অনেক কিছু কিনা কাটা হয়েছে।আর তাই দেখে সমুদ্র প্রশ্ন করলো
এই সব কি?(সমুদ্র)
কালকে তোর আর ফুলের বিয়ে।(সোনালী শাড়ি দেখতে দেখতে)
মানে?বিয়েতে কি ফুল রাজি?(সমুদ্র অবাক হয়ে)
হুম।রাজি না হলে কি বিয়েটা হয়!(আয়শা গয়না ঠিক করতে করতে)
কি করে ও রাজি হলো?(সমুদ্র রেগে)
আমি জানি না।তোর বাবাকে গিয়ে প্রশ্ন কর।(আয়শা)
সমুদ্র আর কিছু না বলেই রাগে গজগজ করতে করতে আরমানের রুমে গেলো।
।
।
আরমানের রুমে
বাবা। হোয়াট দা হেল।কি হয়েছে কি তোমার?(সমুদ্র দরজা বারি মেরে খুললো)
কিছু হয়নি।তুই বিয়ের জন্য প্রস্তুত হো।(আরমান চেয়ারে বসে)
তুমি কি করেছো ফুলের সাথে?ওকে কি ভাবে রাজি করিয়েছো?(সমুদ্র আরমানের সামনে গিয়ে)
আমি কিছুই করিনি। ও নিজের ইচ্ছায় রাজি হয়েছে।যতই হোক এটাও তো ওরই পরিবার।(আরমান)
সমুদ্র কিছু না বলেই রেগে বেরিয়ে যেতে লাগলো তখনই আরমান বলে উঠলো,,
কোথায় যাচ্ছিস?ফুলের কাছে? ও তোর কথা শুনবে না।আর ও কালকের আগে তোর সাথে দেখাও করবে না।তোদের দেখা একবারে বিয়ের পর।(আরমান)
তুমি বেশি করে ফেলেছো বাবা!(সমুদ্র দাত চেপে)
আমার ছেলেকে কাছে রাখার জন্য যা করার আমি তাই করবো।(আরমান)
কিন্তু ফুলও তো তোমারই মেয়ে।তুমি কি করে ওকে এত ছোট বয়সে বিয়ে দিতে পারো!(সমুদ্র রেগে)
বাবারাও স্বার্থ পর হয় সমুদ্র।একবার বাবা হো তারপর বুঝবি।(আরমান)
যদি ফুলের জায়গায় সোনালী থাকতো তবুও তুমি এইটা করতে?(সমুদ্র)
হুম।করতাম।তুমি একদিকে কাবিন নামায় স্বাক্ষর করবে আরেক দিকে আমি তোমার প্রজেক্টের পারমিশন লেটারে সাক্ষর করবো।(আরমান)
আরমান শিকদার।আপনি খুব ভালো বিজনেস ম্যান।আমি এতো ছোট থেকে বিজনেস শিখেও আপনার মত চতুর হতে পড়লাম না।
বলেই সমুদ্র রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো।
আরমান চশমা খুলে চোখ মুছে
মনে মনে বললো
আমি সত্যিই ভালো বিজনেস ম্যান।কিন্তু হয়তো ভালো বাবা হয়ে উঠতে পারলাম না।যদি হতাম তাহলে আর বিজনেস ম্যানের মত করে ছেলেকে ধরে রাখতে হতো না।
।
।
সমুদ্র রুমে ঢুকেই দরজা ঠাস করে লাগিয়ে বেলকনিতে গিয়ে
তোর সাহস কি করে হলো ফুল আমার কথার অবাধ্য হওয়ার।তুই বাবার সাথে হাত মিলিয়ে আমার কথা রাখলি না।আমার কাছে করা প্রমিজ তুই ভেঙ্গে ফেললি!খুব শখ না তোর আমাকে বিয়ে করার!আমার পরিবারের সদস্য হওয়ার।এখন দেখবি আমি তোর কি হাল করি!তোর বিয়ে করার সাদ যদি আমি না মিটিয়েছি তবে আমার নামও সমুদ্র না।(সমুদ্র রেগে)
।
।
পরের দিন সকালে
খুব তড়িঘড়ি করে সমুদ্র আর আমার বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছে।সাগর ভাইয়াকে ফোন দিয়ে আমাদের বিয়ের কথা বলা হয়েছে।উনি শুনে খুব রাগ করলেন।বাবার সাথেও কথা বললেন কিন্তু কোনো কাজ হলো না।উনি উনার কথায় অটল।সোনালীও জানে না হটাৎ ওর বাবার কি হয়েছে!কিন্তু বাবাকে প্রশ্ন করার সাহস ওর নেই।তাই কথা মত কাজ করে যাচ্ছে।এইদিকে আয়শা নিজের ছেলেকে যাতে না হারাতে হয় যেই জন্য আরমানের কথাতে রাজি হয়েছে কিন্তু ফুলকেও ও নিজের মেয়ের মতো করে মানুষ করেছে।ফুলের বিয়ে নিয়ে ওর অনেক আশা ছিলো,,স্বপ ছিলো। ফুলেরও নিজের বিয়ে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল।ফুল প্রায়ই আয়শাকে বলতো ওর বিয়েতে ও এমন করতে,,তেমন করবে। সবার সাথে আনন্দ করে বিয়ে করবে।আবার মনমরা হয়ে যেতো ওকে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে বলে।মাঝে মধ্যে বলতো ওর জামাইকে ঘর জামাই করে রাখবে।কিন্তু এখন কিছুই নেই।নিজের হাতের মেয়েটার বিয়ে নিয়ে স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়েছে।এখন আয়শার মনে হচ্ছে ও ফুলের নিজের মা হয়ে উঠতে পারেনি।
লোকে বলে পর নাকি কোনোদিন আপন হয় না।এখন আয়শার তাই মনে হচ্ছে।
।
।
দুপুরের দিকে খাবার দাবার খেয়ে আমাদের বিয়ে সম্পূর্ন হলো।সারাদিন আমি সমুদ্রকে দেখি নি।দেখি নি বললে ভুল হবে আমি উনার সামনে আসে নি।উনার দিকে তাকাতেও আমার ভয় হচ্ছে।জানি উনি অনেক রেগে আছে।অবশেষে কবুল বলার সাথে সাথে আমি কারো স্ত্রী হয়ে গেলাম।কিন্তু স্ত্রী কাকে বলে আমি তাও জানি না।নিজের বিয়ে নিয়ে স্বপ্ন আমার যেনো ভেঙ্গে গেলো।স্বপ্ন গুলো একটা কাচের আয়নার মতো হয়ে গেলো।দেখতে খুব সুন্দর ছিল কিন্তু হটাৎ ভেঙ্গে গুড়িয়ে গেলো।
।
।
বিকেলে
এই নাও তোমার পারমিশন লেটার।
বলেই আরমান সমুদ্রের দিকে উনার সাক্ষর করা কাগজ এগিয়ে দিলো।সমুদ্র সেটা নিয়ে কিছু না বলেই চলে গেলো।
।
।
সারাদিন সমুদ্র কোথায় ছিল কেউ জানে না।এদিকে আমি শাড়ি গয়না খুলে, রাতের খাবার খেয়ে দেয়ে সোনালী আপুর সাথে ঘুমাতে গেলাম।আজ তাড়াতাড়িই ঘুমিয়ে পড়লাম।আমার ঘুমাতে ঘুমাতে রাত আটটা বেজে গেলো।
রাত দশটায় সমুদ্র কথা থেকে যেনো হন্তদন্ত হয়ে সোনালী আপুর রুমে ঢুকলো।সোনালী আপু তখন জেগে ছিলো তাই রুমের দরজা খোলাই ছিল।এসেই আমার হাত ধরে টেনে তুললো
আমি অবাক হয়ে গেলাম।
ভাই ওকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস?(সোনালী সমুদ্রকে আটকানোর চেষ্টা করে)
ও আমার স্ত্রী।আমার সাথে থাকবে।তোর সাথে না।
বলেই সমুদ্র আমাকে টানতে টানতে নিয়ে গেলো।
সমুদ্র!ফুলকে ছাড়।(আরমান বাহিরে ধমক দিয়ে)
আমার আর আমার স্ত্রীর মধ্যে আমি কোনো তৃতীয় ব্যাক্তিকে কথা বলার অনুমতি দেই নি।(সমুদ্র রেগে)
কিন্তু ফুল ভয় পেয়ে আছে।ওকে ছাড় সমুদ্র।(আয়শা ফুলকে কাছে আসার চেষ্টা করে)
সমুদ্র আমাকে টেনে ওর পিছনে নিয়ে গেলো।
মা আমাকে বেয়াদবি করতে বাধ্য করো না। সরো বলছি।
বলেই সমুদ্র আমাকে নিয়ে গেলো।
।
।
রুমে নিয়ে গিয়ে সমুদ্র দরজা বন্ধ করে দিলো।বাহিরে থেকে বাবা,,মা সোনালী আপুর ডাক দিতেও খুললো না।উনাদের আরো ধমক দিয়ে চলে যেতে বললো।তাই উনারা আর কিছু না করতে পেরে চলে গেলো।
সমুদ্র আমার কাছে আসতে লাগলো।
আমি ভয়ে ভয়ে বলতে লাগলাম
সমুদ্র,,,
বলতেই উনি কষে আমাকে একটা চড় মারলো।আমি গিয়ে ছিটকে ফ্লোরে পরে গেলাম।পরেই আমার চুলের মুঠি ধরে টেনে তুললো
খুব শখ না তোর!আমার স্ত্রী হাওয়ার।তুই জানিস স্ত্রী হতে হলে কি করতে হয়?(সমুদ্র দাত চেপে)
আমি ইচ্ছে করে করিনি।আমার কথা শুন।(আমি কাদতে কাদতে)
না।এখন আমি তোর কথাই শুনবো না।আজ আমাদের বাসর রাত।দেখ কি সুন্দর করে আমি খাটটা সাজিয়েছি।শুধু বাসর করবো বলে।তুই জানিস বাসর রাতে স্বামী স্ত্রী কি করে?(সমুদ্র)
সমুদ্র ছাড়ো আমায়।(আমি কাদতে কাদতে)
না।তুই না আমার স্ত্রী এখন তুই তোর স্ত্রীর কর্তব্য পালন করবি।
বলেই সমুদ্র আমাকে বেডে ছুঁড়ে মারলো।
আমি কিছু বলার আগেই।সব কিছু হারিয়ে ফেললাম।নিজের বন্ধুত্ব,,নিজের আত্মসম্মান সব।সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি সমুদ্রকে দেখতে পেলাম না।বেডের পাশে টেবিলে একটা ছোট্টো চিরকুট দেখতে পেলাম সেখানে লিখা “যেদিন আমি ফিরে আসবো ওইদিন তোর এই বাড়ির শেষ দিন।সেদিনই আমি তোকে ডিভোর্স দিবো””।সোনালী আপু দন্তদন্ত হয়ে রুমে ডুকেই এসেই আমাকে ধরে কাদতে শুরু করলো।আমি তাকে দেখেই চিরকুট লুকিয়ে ফেললাম।
আমি যেনো কাদা ভুলেই গিয়েছিলাম।
।
।
দুইদিন পর আমি জানতে পারলাম উনি বিদেশে চলে গেছে।আমি মানুষিক ভাবে অনেক দূর্বল।আমার সাথে এতো কিছু হয়ে যাওয়াতে আমি আবার চুপ হয়ে গেছিলাম।কোনো কথাই বলতাম না।এদিকে আমার কলেজে ভর্তি হওয়ার সময় চলে যাচ্ছিল।সোনালী আপু আমাকে এই কলেজ তো ওই কলেজ দেখাতে ব্যাস্ত।কিন্তু আমি কোনো কথাই বলি নি।
একদিন বাগানের দোলনায় বসে ছিলাম।কি যেনো হলো?চারপাশ অন্ধকার হয়ে গেলো।
।
।
চলবে,,