#একটু_বেশিই_ভালোবাসি
#Maishara_Jahan
Part……………16
বলে অয়ন মেঘাকে কোলে করে রুমে নিয়ে যায়। সেখানে অয়ন মেঘাকে নামিয়ে মেঘাকে কিস করতে থাকে। ডুবে যায় ভালোবাসার সাগরে।
সকালে হালকা রোদের আলো চোখে পড়াতে ঘুমটা ভেঙে গেলো। চোখ খুলেই প্রথমে অয়নের চেহেরা সামনে ভাসলো।
মেঘা হালকা হেঁসে উঠে বসে একটা টানা দিলো। পরে নিজের দিকে তাকিয়ে লজ্জায় আবার কম্বলের নিচে ডুকে গেলো। খাটের নিচে পাশে থাকা অয়নের শার্টটা কোনো রকমে উঠিয়ে নিয়ে গায়ে দিলো।
মেঘা,,,,,,,,, আরে বা, কাল রাতে তো শার্ট ভিজা ছিলো আজ শুকিয়ে গেছে ভালোই।
অয়ন একটু নড়ে উঠে। মেঘা অয়নের দিকে তাকায়। মেঘা বুকে সাহস নিয়ে অয়নের কাছে যায়।
মেঘা,,,,,,,,, হায় আমার স্বামীটা কি হেন্সাম। আমি ভাবলাম তুমি আমার হয়েও আমার না এখন অনেক শান্তি লাগছে, তুমি আমার শুধু আমার। হায় কতো কিউট লাগছে (আরেকটু কাছে গিয়ে) একটা গোপন কথা বলবো, আপনি আমার প্রথম ক্রাস। আমি যখন নাইনে ছিলাম তখন থেকে আপনি আমার ক্রাস৷ ঐ দিন তোমার বডি দেখে আবার ক্রাস খাইছি৷
আপনার ঠোঁট দেখি আমার থেকেও গোলাপি, লিপস্টিক মারছে নাকি। (আঙুল দিয়ে ঠোঁট ঘেঁষে দেখে) এখন আমার কিস করতে ইচ্ছে করছে। না থাক লোকে কি বলবে৷ করেই ফেলি কে দেখবে। আর এটা তো আমারি প্রপার্টি।
মেঘা প্রথমে কপালে কিস করে, পরে দু গালে, পরে নাকে এর পরে ঠোঁটে করতে যায় আর অয়ন চোখ খুলে ফেলে। মেঘা ঠোঁট ভাজ করে তাকিয়ে আছে।
অয়ন,,,,,,,,,, কি হলো কর,, ভালো লাগছিলো। আমি জানতাম আমার উপর তোর এতো কু নজর ছিলো৷
মেঘা একটু সরে যায়।
,,,,,,,,,, এটাকে কু নজর বলে৷
,,,,,,,,, তাহলে কি, তুই আমার ঠোঁট দেখছিস, আমার বডি দেখছিস সে গুলোর উপর আবার কমপ্লিমেন্ট দিচ্ছিস। লুচু নজরে তাকাতি আমার দিকে।
,,,,,,,, কি আমি লুচু তার থেকে ভালো লিচু বলে দিতেন। আমি লুচু হলে তুমি ডাবল লুচু। আমার দিকে মনে হয় কু নজর দেওনি।
,,,,,,,, হুমম দিয়েছি, এখনো দিচ্ছি।
অয়ন ধরার আগেই মেঘা দৌড়ে ওয়াশ রুমে চলে যায়।
অয়ন,,,,,,,,,, বেবি আমাকে দরকার লাগলে ডাক দিয়ো।
,,,,,,,,, লাগবে না।
,,,,,,,,,,,
ফারিয়া আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রেডি হচ্ছে। রিমান পিছন থেকে এসে জরিয়ে ধরে।
রিমান,,,,,,,, এতো সেজেগুজে কোথায় যাচ্ছো জানেমান।
ফারিয়া,,,,,,,,,,, অনেক দিন হলো বাবার সাথে দেখা করি না। আর বাবাও ডেকেছে তাই যাচ্ছি।
রিমান,,,,,,,,,, আমাকে বললে না কেনো।
,,,,,,,,, আজ সকালেই ফোন দিয়েছিলো। আর আপনার তো কাজ আছে।
,,,,,,,,,হুমম কাজ তো আছে, কিন্তু কেনো জানি তোমাকো একা ছাড়তে মন চাইছে না। চলো আমিও যাই সাথে।
,,,,,,,,,আমার থেকে তোমার কাজ আগে।
,,,,,,,,, তোমার আগে আমার কিছু আগে না। আমি নিজেও না।
,,,,,,,,,, মিঃ রিমান ভুলে যাবেন না আপনি একজন ডক্টর, আগে আপনার কর্তব্য পরে সব।
,,,,,,,,,,, হুমমম,,,আচ্ছা আজকে তোমার যাওয়া লাগবে না। আমার না কেমন জানি লাগতাছে,ভালো লাগছে না।
,,,,,,,,,, আমি কিছু ক্ষনের জন্য যাচ্ছি, সারা জীবনের জন্য না।
,,,,,,,,, সারা জীবনের জন্য যেতেও দিবো না। ঠিক আছে চলো তোমাকে ড্রপ করে আমি চলে যাবো।
,,,,,,,,,, ঠিক আছে চলো।
রিমান ফারিয়াকে তাদের বাসার সামনে এনে নামায়।
রিমান,,,,,,,,,,, আমি নিতে না আসতে পরলে কাওকে পাঠাবো তোমাকে আনতে। তার আগে কিন্তু বের হবে না।
,,,,,,,,ঠিক আছে,আমার ডক্টর সাহেব। উম্মাহ (রিমানের গালে কিস করে চলে যায়)
রিমান গাড়িতে বসে হসপিটালে চলে যায়। হসপিটালে গিয়ে অয়নকে ফোন দেয়।
রিমান,,,,,,,,,,, হ্যালো অয়ন কি অবস্তা, আলুর বস্তা।
,,,,,,,,,,ভালো, কি জন্য ফোন করছস সেটা বল।
,,,,,,,,, কেনো আমি এমনি ফোন করতে পারি না।
,,,,,,,,,হতেই পারে না, হয়তো কোনো দরকার আছে, না হলে আনতাজে প্যাচার, আর কিছু না।
,,,,,,,,,,, এতো বিরক্ত নিয়ে কথা বলছিস কেনো। তুই এখন কি এমন ঘোড়ার আন্ডা করতাছস যে,কথা বলতে ভালো লাগছে না, তাও আবার আমার সাথে।
,,,,,,,,,,সেটা তোকে বলা যাবে না। (অয়ন সোফায় মেঘার কোলে শুয়ে আছে। আর মেঘা অয়নকে ফ্রুটস সালাত খাওয়াচ্ছে)
,,,,,,,,,,, ওওও এখন বোনকে দিয়ে দিছি তো তাই শালাকে আর মজা লাগছে না। আচ্ছা আচ্ছা দিন আমারো আসবে। শুন একটা কাজ আছে।
,,,,,,,,,, এবার লাইনে আইছো, আমি কোনো কাজ করতে পারমু না।
,,,,,,,,,,,, পারবি না মানে, আমি তোর জন্য কতো কিছু করছি।
,,,,,,,,,,, কি কি করছস।
,,,,,,,,,, এটা করছি, সেটা করছি, ওটা করছি।
,,,,,,,, হুমম, এটা সেটা ওটার নাম কি।
,,,,,,,, তোর জন্য এতো কিছু করছি যে, নাম ও মনে নাই।
,,,,,,, কচু করছস৷ কি কাজ সেটা বল।
,,,,,,,,,, রাতে
,,,,,,,রাতে কিছু করতে পারবো না, রাতে আমার কাজ আছে।
,,,,,,,,,কি কাজ আছে সেটা আমি জানি, শুন আগে। কাল ফারিয়ার জম্মদিন। তাই আজ রাতে একটা প্ল্যান করছি। ওকে একটা সারপ্রাইজ দিবো। ফারিয়া ওর বাপের বাড়ি গেছে। আমি আমাদের ফার্মহাউসে সব রেডি করে রাখবো। তুই ১০ টা ১১ টার দিকে ওকে গিয়ে নিয়ে আসবি। ১২ টা বাঝলে আমরা দুজন এক সাথে সেলিব্রেট করবো।
,,,,,,,,,,,, ভাবির জন্য তো এটা করা যেতেই পারে।
,,,,,,,,,, ভাবির জন্য মানে, আমার জন্য করবি না।
,,,,,,,,, এক দমি না। শুন ফার্মহাউসে আমরা ও এসে পরি এক সাথে সেলিব্রেট করবো।
,,,,,,,,,, আমার কাবাব ভালো লাগে তার মধ্যে থাকা হাড্ডি না।
,,,,,,,,,, শালা হারামি। ফোন রাখ। কাজ হয়ে যাবে।
,,,,,,,,,,,,,
রিমান,,,,,,,,,,, আমাদের বিয়ের এতো দিন হয়ে গেলো অথচ আজ পর্যন্ত বলিনি তোমাকে কতোটা ভালোবাসি। কোনো দিন আই লাভ ইউ বলি নি। কিন্তু আজ আমি তোমার সাথে কেন্ডেলাইট ডিনার করবো। তারপর রোমান্টিক প্রপোজ তারপর তোমার বার্থডে সেলিব্রেড। কখন যে রাত হবে।
,,,,,,,,,,,,,
মেঘা,,,,,,,,,, ওয়াও ভাইয়া কি সুন্দর ভাবির জন্য প্লানিং করছে। ছো রোমান্টিক।
অয়ন,,,,,,,,,, আমিও ভাবছি, আমরা ১০/১২ দিনের জন্য কোথাও ঘুরতে যাবো।
মেঘা,,,,,,,,, সত্যি,,, (খুশিতে লাফিয়ে)
,,,,,,,,,, হুমম কোথায় যাবে বলো।
,,,,,,,,,, কক্সবাজার যাবো।
,,,,,,,,,, না, কক্সবাজার অনেক বার গেছি , এবার ভাবছি দেশের বাহিরে যাবো। কোথায় যাবি বল।
,,,,,,,, আমি কি জানি, আমি কোনো দিন বিদেশে যায়নি তুমিই বলো।
,,,,,,,, তাহলে আমরা গ্রিসে যাবো। পৃথিবীর সবচেয়ে রোমান্টিক জায়গা।
,,,,,,,,,,, চলো যায়।
,,,,,,,,, এখনি, কিছু দিন পরে যাবো।
,,,,,,,,,,ঠিক আছে। আচ্ছা অয়ন তুমি আমাকে কবে থেকে ভালোবাসো।
,,,,,,,,,,, যবে থেকে ভালোবাসা ভালোলাগা বুঝেছি তবে থেকে।
,,,,,,,,,,,, তাহলে আমার উপর এতো অত্যাচার করতেন কেনো। (হঠাৎ করেই মুখ থেকে বেরিয় যায়)
অয়ন মেঘার দিকে তাকায় মেঘা একটা ইনোসেন্ট হাসি দেয়।
অয়ন,,,,,,,,,,হুমমম(লম্বা একটা নিশ্বাস নিয়ে) কারন আমি আমার ভাগ্যকে নিয়ে অনেক বেশি ভয় পেতাম। ভয় পেতাম যদি অন্য কেও এসে তোকে নিয়ে যেতো। তোকে যদি হারিয়ে। এই ভয়ে তোকে সবসময় আমার কাছে রাখার চেষ্টা করেছি। কারন আমি তোকে একটু বেশিই ভালোবাসি।
মেঘা,,,,,,, আমি ও অনেক বেশি ভালোবাসি।
,,,,,,,, আচ্ছা প্রমান দে।
,,,,,,,,, কিভাবে দিবো। আচ্ছা তুমি যে আমাকে ভালোবাসো তার প্রমান দাও।
,,,,,,,,,, ঠিক আছে, এখনি দিচ্ছি।
বলে মেঘাকে এক হাত দিয়ে কাঁধে উঠিয়ে ফেলে।
,,,,,,, আআআ ছারো পরে যাবো। লাগবে না আমার প্রমান।
,,,,,,,,চল তোকে প্রমান দিচ্ছি। (বলে বেড রুমে নিয়ে যায়)
,,,,,,,,, সারাদিন কেটে যায়,,,,,,,,,
রিমান তাড়াতাড়ি তাদের ফার্মহাউসে গিয়ে সুন্দর করে সাজায়। ফার্মহাউসের বাগানে চারপাশ ছোট বড় মোমবাতি আর ছোট ছোট লাইট দিয়ে সাজানো হয়। একটা ছোট টেবিল আর দুটো চেয়ার রাখে। যেটা সাদা কাপড় দিয়ে মুড়ানো। চারপাশে গোলাপ দিয়ে সাজানো।
রিমান সাদা শার্ট কালো কোর্ট প্যান্ট পড়ে হাতে একটা রিং এর বক্স নিয়ে ফারিয়ার অপেক্ষা করতে থাকে।
অয়ন রাতে ফারিয়াকে আনতে তাদের বাসায় যায়।
অয়ন,,,,,,,,, হ্যালো আংকেল। ফারিয়া ভাবি কোথায় রিমান আমাকে ভাবিকে নিতে পাঠিয়েছে।
,,,,,,,,,,, কিন্তু ফারিয়াতো সন্ধ্যা ৬ঃ৩০ এ বেরিয়ে গেছে। কেনো ফারিয়া এখনো বাসায় যায়নি।
,,,,,,,,,, আসলে আংকেল আমি বাসায় দেখিনি হয়তো বাসায় পৌঁছে গেছে। আমি দেখছি। এখন আসি আংকেল।
অয়ন বের হয়ে ফারিয়াকে ফোন দেয়। কিন্তু ফারিয়ার ফোন বন্ধ। অয়ন বাসায় ফোন দেয়। সেখানে জানা যায় ফারিয়া এখনো বাসায় যায়নি।
অয়ন,,,,,,,,,, হ্যালো রিমান।
,,,,,,, হ্যাঁ বল তোরা কতো দূর।
,,,,,,,,,, রিমান ফারিয়াকে তো পাচ্ছি না।
,,,,,,,,,, কি বলছিস পাচ্ছি না মানে। (হেঁসে)
,,,,,,,,,, ভাবি নাকি অনেক আগেই বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে, তোদের বাসাও যায়নি আবার ভাবির ফোন ও বন্ধ আসছে।
,,,,,,,,,,,, কি বলছিস, ও কোথায় গেলো।
,,,,,,,,,, তুই ব্যাস্থ হয়ছ না। আমি ভাবিকে খুঁজছি।
,,,,,,,,,,,, আমিও গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছি।
অয়ন আর রিমান ফারিয়াকে খুজছে। রিমান বার বার কল দিচ্ছে ফারিয়াকে। কিছু ক্ষন পর রিমানের কাছে রাফির কল আসে। রিমান ফোন রিসিভ করে।
রাফি,,,,,,,,,, রিমান তোমার জন্য একটা খবর আছে।
রিমান,,,,,,,,,, কি তাড়াতাড়ি বলো,এমনি আমি ফারিয়াকে খুঁজে পাচ্ছি না।
রাফি,,,,,,,,, ফারিয়াকে খুঁজে পাওয়া গেছে।
রিমান,,,,,,,,, কোথায় সে, তার কাছে ফোনটা দিন তো।
রাফি,,,,,,,,,, সে কথা বলতে পারবে না, তুমি তোমার হসপিটালে আসো, আমরা ফারিয়াকে সেখানেই নিয়ে যাচ্ছি।
রিমান,,,,,,,,,,,,, মানে কেনো, কি হয়েছে আমার ফারিয়ার (ভয়ে)
রাফি,,,,,,,,,, তুমি আগে আসো। আর তাড়াতাড়ি আসো।
রিমান গাড়ি ঘুরিয়ে হসপিটালে যেতে থাকে। রিরিমান তাড়াতাড়ি হসপিটালে যায়। হসপিটালে ঢুকার সময় দেখে একটা এম্বুলেন্স আসে আর তার সাথে একটা পুলিশের গাড়ি। রাফি বেরিয়ে আসে। রিমান তার কাছে দৌড়ে যায়।
রিমান,,,,,,,,,, রাফি ফারিয়া কোথায়।
রাফি চুপচাপ দাঁড়িয়ে এম্বুলেন্স এর দিকে ইশারা করে।
রিমান,,,,,,,,,, ফা ফা ফারিয়ার কি হয়েছে ও এম্বুলেন্স এ কেনো।
ভয়ে ভয়ে রিমান এম্বুলেন্সের দিকে যেতেই ফারিয়াকে গাড়ি থেকে বেডে শুয়িয়ে বের করা হয়। ফারিয়াকে দেখে রিমান নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মনে হচ্ছে কোনো অনুভূতি নেয়।
রাফি,,,,,,,,,, রিমান তুমি ঠিক আছো।
রাফির কথায় হুশশ ফিরে রিমানের, সে দৌড়ে গিয়ে ফারিয়াকে ধরে।
রিমান,,,,,,,,, এই ফারিয়া এই ফারিয়া কি হয়েছে তোমার, উঠো না পিল্জ। (জোরে কান্না করে)
ফারিয়ার রক্তে সাদা বেড লাল হয়ে যায়। রিমানের গাঁ রক্তে মেখে যায়। ফারিয়াকে তাড়াতাড়ি করে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অয়ন, মেঘা সবাই আসে। রিমান ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে।
মেঘা,,,,,,,,,,,,, কি হয়েছে ভাবির।
রিমান,,,,,,,,,, ফারিয়ার বুকে দুটো গুলি লেগেছে। অবস্থা খারাপ, এখনি ইমারজেন্সি অপারেশন করতে হবে।
বলে তাড়াতাড়ি অপারেশন এর জন্য রেডি হয় রিমান। অনেক রক্ত ক্ষরনের জন্য ফারিয়াকে রক্ত চড়ানো হয়।
অপারেশন রুমে ফারিয়ার বুক নাইফ দিয়ে কাটার সময় রিমানের হাত কাঁপছে। মাথায় বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে গেছে। রিমান নিজেকে জোর করে নাইফটা ফারিয়ার বুকে রাখে কিন্তু কাটতে পারছে না। রিমান অপারেশন রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
অয়ন,,,,,,,,,, কি হলো।
রিমান অয়নকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে থাকে।
রিমান,,,,,,,,,,, আমি পারবো না অপারেশন করতে। ফারিয়ার বুকে ছুরি চালাতে আমার হাত কাঁপছে। আমার বুকে ব্যাথা করছে। আমার দ্বারা হবে না। (জোরে কান্না করে)
অয়ন,,,,,,,,, তোকে এটা করতেই হবে, বেশি সময় নেয়। বেশি দেড়ি হয়ে গেলে ফারিয়া ভাবিকে আর ফিরে পাওয়া যাবে না।
,,,,,,,,, না এটা আমি হতে দিবো না। ফারিয়াকে ছাড়া আমি বাচবো না।
,,,,,,,,,,,, তাই বলছি, এখনো সময় আছে যা ভিতরে যা। মনে কর তুই ফারিয়া ভাবির কষ্ট দূর করছিস।
মেঘা,,,,,,,,, ভাইয়া, বেশি দেড়ি হয়ে যাওয়ার আগে যা, আল্লাহর নাম নিয়ে অপারেশন কর। সব ঠিক হয়ে যাবে।
রিমান তাড়াতাড়ি ভিতরে যায়, নিজের মনকে শক্ত করে অপারেশন শুরু করে। দুটো গুলি বের করে। অপারেশন শেষ করে রিমান বাহিরে এসে বসে মাথায় হাত দিয়ে মাথা নিচু করে বসে আছে।
ফয়সাল শেখ,,,,,,,,,,, কি হয়েছে রিমান, আমার মেয়ে ঠিক হয়ে যাবে তো।
রিমান ফারিয়ার বাবার দিকে তাকায় চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।
ফয়সাল শেখ,,,,,,, কি হলো বলো আমার মেয়ে ঠিক আছে তো, নাকি (কান্নায় ভেঙে পড়ে)
রিমান,,,,,,,,,, ফারিয়া কোমায় চলে গেছে। জানি না কবে ফিরে আসবে।
সবাই কান্নায় ভেঙে পড়ে।
রাফি,,,,,,,,, রিমান দুটো গুলি আমাকে দাও, আমি পরিক্ষা করাচ্ছি।
রিমান,,,,,,,,,,,, যে ফারিয়ার এ অবস্থা করেছে সে যেনো কোনো মতে ছাড়া না পায়। তাদের আমি ছাড়বো না।
রাফি,,,,,,,,, যারা এ কাজ করেছে তাদের চেহেরা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, কালকের মধ্যে আসামি তোমার সামনে থাকবে এটা রাফি খানের ওয়াদা।
রিমান ফারিয়ার বেডে যায়। ফারিয়ার পাশে একটা চেয়ার নিয়ে বসে। রিমান ফারিয়ার হাত ধরে চোখের পানি ভাসাতে থাকে।
,,,,,,,,, হেপি বার্থডে জান, (কান্না করে) পিল্জ তাড়াতাড়ি উঠে যাও। দেখো তোমার রিমান তোমার জন্য কতো কষ্ট পাচ্ছে। তুমি আমার মুখ থেকে ভালোবাসি কথাটা শুনার জন্য ব্যাস্থ হয়ে ছিলো। আজ যখন বলছি তখন তার কোনো জবাব দিচ্ছো না।
(কান্না করে) পিল্জ উঠে যাও। আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি। তোমাকে ছাড়া নিজেকে শূন্য মনে হচ্ছে। প্লিজ ঠিক হয়ে যাও। (ফারিয়ার হাত শক্ত করে ধরে)
চোখের পানি গড়িয়ে পড়ছে রিমানের।রিমান পকেট থেকে রিংটা বের করে ফারিয়ার আঙুলে পড়িয়ে দেয়। সেখানে একটা কিস করে।
,,,,,,,, আই লাভ ইউ।
সরি ফেসবুকে ডুকতে পারিনি কালকে তাই গল্প ও লিখতে পারিনি৷
চলবে,,,,,,,,,,,,,
ভালো লাগলে like, comment করে সাথে থাকুন ধন্যবাদ।