#একটু_বেশিই_ভালোবাসি
#Maishara_Jahan
Part……………17
চোখের পানি গড়িয়ে পড়ছে রিমানের।রিমান পকেট থেকে রিংটা বের করে ফারিয়ার আঙুলে পড়িয়ে দেয়। সেখানে একটা কিস করে।
,,,,,,,, আই লাভ ইউ।
সকালে,,,,,,,
রিমান ফারিয়ার হাত ধরে তার বেডে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে৷ সকালে সূর্যের তীব্র আলো রিমানের চোখে পড়াতে ওর ঘুম ভাঙে। রিমান চোখ খুলে ফারিয়াকে দেখে কিছু ক্ষন ওর হাত ধরে চুপচাপ বসে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
তারপর ফারিয়ার হাতে তার ঠোঁট কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে কিস করে। রিমান ফারিয়াকে চেক করে বাহিরে যায়।
রিমান গিয়ে দেখে অয়ন আর ফারিয়ার বাবা বেঞ্চে বসে আছে। আর সবাইকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
অয়ন দেওয়ালে হেলান দিয়ে ঘুমাচ্ছে, আর ফারিয়ার বাবার চোখে ঘুম নেয়। যার এক মাত্র মেয়ের এ অবস্থা তার চোখে ঘুম আসবে কিভাবে। রিমান গিয়ে ওদের পাশে বসে। রিমানকে দেখে ফারিয়ার বাবা করুন ভাবে জিজ্ঞেস করে।
ফয়সাল শেখ,,,,,,,,, আমার মেয়ে কবে ঠিক হবে। রিমান ফারিয়া ঠিক হয়ে যাবে তো।
রিমান ফারিয়ার বাবার হাত ধরে বলে,,
,,,,,,,,, আপনি কোনো চিন্তা করবেন আমি ফারিয়ার কিছু হতে দিবো না। ওকে ঠিক হতেই হবে। আর খুব আপনাকে বাবা বলে ডাকবে।(বাবাকে তো সান্ত্বনা দিয়ে দিলাম কিন্তু নিজেকে কি বলে সান্ত্বনা দিবো)
অয়ন রিমানের কাঁধে হাত রাখে।
অয়ন,,,,,,,,,, চিন্তা করিস না ফারিয়া ভাবি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
রিমান,,,,,,,,, আমিন,,, বাসায় ফোন দিয়ে বলে দে আমি ফারিয়াকে নিয়ে বাসায় ফিরছি।
অয়ন,,,,,,,,, মানে।
রিমান,,,,,,,, মানে ওর চিকিৎসা আমি বাসায় করবো। ফারিয়াকে এখানে রাখবো না। ফারিয়ার হসপিটালে থাকতে ভালো লাগে না। ওর দেখা শুনা আমি বাড়িতে করবো।
অয়ন,,,,,,,,,, ঠিক আছে আমি এখনি বলে দিচ্ছি।
রিমান,,,,,,,,, বাবা আপনি ফারিয়াকে কেনো ডেকে ছিলেন।
ফয়সাল শেখ,,,,,,,,, আমি এখন প্রায় অসুস্থ থাকি, তাই মারা যাওয়ার আগে আমার সম্পত্তি ভাগ করে দাওয়ার জন্য ডেকেছিলাম।
রিমান,,,,,,,,,, ওওও।
রিমান সাইডে গিয়ে রাফিকে ফোন দিয়ে কি যেনো বলছে।
রিমান সবকিছু রেডি করে এম্বুলেন্স দিয়ে ফারিয়াকে বাসায় নিয়ে যায়। রিমানের রুমটাকে পুরো হসপিটালের রুমের মতো বানিয়ে ফেলেছে। মেঘা রুমে আসে।
মেঘা,,,,,,,,,, ভাইয়া তুই ঠিক আছিস তো।
রিমান,,,,,,,,,,, আমার কি হয়েছে, আমি ঠিকিতো আছি (মৃদু হেসে)
মেঘা রিমানকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে থাকে।
মেঘা,,,,,,,,, আমি জানি তুই ঠিক নেয়, তোর খুব কষ্ট হচ্ছে তাই নারে। তোর মুখ দেখে বুঝতে পারি আমি।
রিমান মেঘাকে ছাড়িয়ে, মেঘার দু বাহুতে ধরে একটু নিচু হয়ে হালকা হেঁসে বলে।
,,,,,,,,, আমি ঠিক আছি আর তোর ভাবি ও খুব তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে। আমিও দেখবো কতোদিন তোর ভাবি এভাবে শুয়ে থাকে।
অয়ন,,,,,,,,, আর কেও রিমানের সাথে থাকলে সে না হেঁসে থাকতেই পারবে না। রিমান কথায় কথায় একটা জোক বলবে আর ভাবি হেঁসে উঠে যাবে। (দরজায় দাঁড়িয়ে)
রিমান,,,,,,,,,, ঠিক। মেঘা যা গিয়ে তোর ভাবির জন্য সুপ পাঠিয়ে দিতে বল। ওর খাওয়ার সময় হয়ে গেছে৷ আর সুপটা একদম পাতলা করবি।
মেঘা,,,,,,,, ঠিক আছে।
অয়ন,,,,,,, আমি ও যাচ্ছি।
মেঘা রান্না ঘরে যায় সাথে অয়ন ও যায়।
অয়ন,,,,,,,,, এই সময় রিমানকে সান্ত্বনা না দিয়ে তুমি ওর সামনে কান্না করছো। তাহলে তো ও আরো ভেঙে যাবে৷
মেঘা,,,,,,,,,, আমি কি করবো কান্না আসলে (ঠোঁট বেকিয়ে কান্নার ভাব নিয়ে)
,,,,,,,,,,, তুমি এখনো ছোট নাকি যে এভাবে কান্না করছিস। সব ঠিক হয়ে যাবে, পাগলি মেয়ে। (মেঘার নাক ধরে টেনে)
,,,,,,,,,, তুমি হঠাৎ করে আমাকে তুমি করে ডাকছো।
,,,,,,,,,,, হুমমম,, ট্রাই করছিলাম তুমি করে ডাকার কিন্তু
,,,,,,,কিন্তু কি।
,,,,,,,,, তোকে তুই করে ডাকতেই বেশি আপন আপন লাগে। আর আমার ডাকতেও শান্তি লাগে।
,,,,,,,,, কিন্তু সব স্বামীরা তার বউকে তুমি করে ডাকে।
,,,,,,,,,,, আমি তোকে একটু বেশিই ভালোবাসি তাই আমার ডাকটাও একটু আলাদা।
,,,,,,,,,,, হুমম ভাইয়াও ভাবিকে বড্ড বেশি ভালোবাসে। আচ্ছা ফারিয়া ভাবির জায়গায় যদি আমার এমন হতো তাহলে,,,,,,
,,,,,,,,, চুপ (ধমক দিয়ে)
মেঘা চমকে যায়, অয়ন মেঘার মাথায় হাত দিয়ে তাকে বুকে জরিয়ে ধরে।
অয়ন,,,,,,,,,, পিল্জ এমন কথা কোনো দিন বলবি না। তোকে হারানোর কথা আমি ভাবতেও পারি না। আমার জীবনে তুই আর রিমান ছাড়া কে আছে। তোর কিছু হয়ে গেলে আমার বেচে থাকার কোনো কারন নেয়।
,,,,,,,,,,,,,
রিমান ফারিয়ার মাথার কাছে বসে, ফারিয়াকে উঠিয়ে, ফারিয়ার মাথা তার কাঁধে রাখে। আর একটু একটু করে খায়িয়ে দিচ্ছে আর বার বার মুখ মুছিয়ে দিচ্ছে।
রিমান,,,,,,,,, আমি জানি তুমি সব শুনতে পারছো, তুই ঠিক হয়ে যাও পরে আমাকে এভাবে খায়িয়ে দিবে, ঠিক আছে। তুমি চুপ করে আছো আর আমার মনে হচ্ছে আমার কানে তালা পড়ে গেছে।
রিমান ফারিয়াকে খায়িয়ে দিয়ে, তার গা মুছে দেয়। তারপর ফারিয়ার ড্রেস চেন্স করে দেয়। রিমান ফারিয়াকে আধ শোয়া করে তার চুলে দুটো বেনি করে দেয়। তারপর দুটো বেনি সামনে আনে।
রিমান,,,,,,,, জানো তোমাকে কতো কিউট লাগছে। একদম আমার কিউট পরীর মতো। আমাদের যদি মেয়ে হয় তাহলে যেনো তোমার মতো কিউট হয় আর ছেলে হলে আমার মতো হেন্সাম কি বলো।
অয়ন,,,,,,,,,, রিমান রাফি এসেছে, নিচে চল। অপরাধী ধরা পরেছে।
রিমান,,,,,,,,,, আমি ফারিয়াকে সেলাইনটা দিয়ে আসছি।
কিছু ক্ষন পর রিমান নিচে আসে।
রিমান,,,,,,,,,, রাফি আমি যাকে সন্দেহ করেছিলাম সে নাকি।
রাফি,,,,,,,,,, হুমমম।
ফয়সাল শেখ,,,,,,,,, কার কথা বলছো, কে আমার মেয়ের এই অবস্থা করেছে৷ তাকে আমি ছাড়বো না।
অয়ন,,,,,,,,, কার ভাবির সাথে এতো শত্রুতা যে এতো খারাপ কাজ করতে পারলো। কে সে।
রাফি,,,,,,,,,, আপনাদের জন্য এটা মানতে কষ্ট হবে,,,
মেঘা,,,,,,,, কে এই খুনি।
রাফি,,,,,,,,, ফারিয়ার মা,, মানে সৎ মা।
সবাই অভাক হয়ে যায়।
ফয়সাল শেখ,,,,,,,,, অফিসার এটা আপনি কি বলছেন। সাইলা এমন কাজ করতে পারে না। ও তো ফারিয়াকে অনেক ভালোবাসে সে এমন কাজ করতেই পারে না৷ আপনাদের মনে হয় কোথাও ভুল হয়েছে।
রিমান,,,,,,,,, বাবা কোনো ভুল হয়নি। ফারিয়ার সৎ মা ফারিয়াকে কোনো দিন ও ভালোবাসিনি। দিনের পর দিন অত্যাচার করেছে ফারিয়ার উপর। আমি তার সাক্ষি।
ফয়সাল শেখ,,,,,,,, এমন হলে ফারিয়া আমাকে বলতো। ও তো কোনো দিন আমাকে কিছু বলেনি।
রিমান,,,,,,,, তার ও কারন আছে।
রিমান সবাইকে সব কিছু বলে। এটা শুনে ফারিয়ার বাবা কান্না করতে থাকে।
ফয়সাল শেখ,,,,,,,,, ফারিয়ার সাথে এতো কিছু হয়ে গেলো আর আমি কিছু জানতেই পারিনি। আমার মেয়েটা এতো সহ্য করেছে। আর আমি বাবা হয়ে কিছুই করতে পারলাম না।
রিমান,,,,,,,,, বাবা আপনি ভেঙে পড়বেন না, আপনাকে এমন ভাবে দেখলে ফারিয়া খুব কষ্ট পাবে।
ফয়সাল শেখ,,,,,,,, কোথায় সাইলা তাকে চরম শাস্তি দেন। ওর আমি এমন অবস্থা করবো যে কোনো দিন ছাড়া পাবে না জেল থেকে। কোথায় ও।
রাফি,,,,,,,, জেলে, দেখা করতে পারেন।
,,,,,,,,, ওর মুখ ও দেখবো না।
মেঘা,,,,,,,,, আচ্ছা আপনি কি করে জানতে পারলেন এটা সাইলা আন্টিক কাজ।
রাফি,,,,,,,, সিসি ক্যামেরায় তাদের কান্ড ধরা পরে ছিলো। সেখানে তাদের গাড়ির নাম্বার দেখা যাচ্ছিলো। কিন্তু নাম্বারটা চুরির ছিলো। তাই যার গাড়ির নাম্বার চুরি গেছে তাকে খুঁজে বের করে। তারপর যে চুরি করেছে তাকে বের করি। পরে তো বুঝতেই পেরেছো।
মেঘা,,,,,,,, মানতে হবে রাফির অনেক বুদ্ধি আছে। (আস্তে বলে)
অয়ন পাশে দাঁড়িয়ে থাকায় অয়ন শুনে ফেলে। অয়ন মেঘার দিকে চোখ ছোট ছোট করে তাকায়। মেঘা অয়নকে দেখে ইনোসেন্ট একটা হাসি দিয়ে, অয়নের এক হাত জরিয়ে ধরে।
রাফি তাদের দিকে হীম চোখে তাকিয়ে একটা হাসি দেয়।
রাফি,,,,,,,,,,, (জান পাখি হেঁসে নাও যতো পারো।কারন এই হাসি আর থাকবে না, কালকের মধ্যে তোমাকে এমন জায়গায় নিয়ে যাবো যেখানে তোমাকে কেও খুঁজে পাবে না, এটা এই রাফির ওয়াদা) ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে।
সবাই উপরে যায় ফারিয়ার রুমে। ফারিয়ার বাবা ফারিয়ার হাত ধরে কাঁধতে থাকে।
,,,,,,, তুই আমাকে আগে বলিসনি কেনো ফারিয়া মা, তোর থেকে বেশি এই দুনিয়াতে আমার জন্য আর কেও না। আমি ভেঙে পড়বো এই ভয়ে তুই কিছু বলিসনি। আমি ভেঙে পরবো না। আমার কাছে তুই আছিস না। তুই থাকলে আমি সারা জীবন হাসি খুশি থাকবো। আমাকে নিয়ে কোনো চিন্তা করার দরকার নেয়। কারন আমি তোর মতো স্ট্রিং।
ফারিয়ার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। রিমান গিয়ে চোখের পানি মুছে দিচ্ছে।
রাফি,,,,,,,,,,(সবাইকে এমন কষ্টে দেখে আমার না একটু বেশিই ভালো লাগছে। রিমান তোমাকে এমন কষ্ট পেতে দেখে সত্যি খুব ভালো লাগছে। বউয়ের এই অবস্থা। তার মধ্যে বোনের কোনো খোঁজ পাওয়া না গেলে কি হবে। আচ্ছা এতো কষ্ট যখন তোমাকে দিবোই তাহলে এরেকটু দিয়)
সবাই চলে যেতে নেয়, হঠাৎ ফারিয়া কাঁপা শুরু করে। ফারিয়া ছটফট করছে। এটা দেখে সবাই ভয় পেয়ে যায়।
রিমান,,,,,,,,, কি হলো ফারিয়া, কি হলো তোমার।
রিমান চেক করে দেখে সেলাইনের লাইনে রক্ত উঠে গেছে৷ রিমান তাড়াতাড়ি সেলাইন খুলে ফেলে, তারপর একটা ইনজেকশন দেয়। কিছু সময় পর ফারিয়া ঠিক হয়ে যায়।
অয়ন,,,,,,,,, কি হয়েছে।
রিমান,,,,,,,,,, আমি সেলাইনের পরিমান তো ঠিক করেই দিয়েছিলাম এটা আবার বারালো কে। কেও কি সেলাইনের পাইপে হাত দিয়েছে।
মেঘা,,,,,,,,,, এমন কে করবে। হয়তো এমনি লেগে টেগে গেছে৷
রাফি দাঁড়িয়ে বেকা হাসি দিচ্ছে।
রাফি,,,,,,,,,, (সরি রিমান তবে আমার অনেক আনন্দ লাগছে কি করবো)
সবাই চলে যায়। অয়ন আর মেঘাও চলে আসে তাদের বাসায়।
মেঘা,,,,,,,,,,, আমার না ভালো লাগছে না, কি থেকে কি হয়ে গেলো। (শুয়ে শুয়ে)
অয়ন,,,,,,,,, এসব চিন্তা বাদ দে, রাত হয়েছে ঘুমা।
মেঘা,,,,,,,,, ঘুমি তো আসছে না।
অয়ন,,,,,,,, চুপচাপ শুয়ে থাকলেই ঘুম আসবে।
অয়ন মেঘাকে বুকে জরিয়ে ধরে শুয়ে থাকে। মেঘা তার এক আঙুল দিয়ে অয়নের বুকে ঘুরাচ্ছে আর কি জেনো মনোযোগ দিয়ে ভাবছে।
অয়ন,,,,,,,,,, চুপচাপ ঘুমা না।
মেঘা,,,,,,,,, তুমি চুপচাপ শুয়ে থাকো না।
,,,,,,,,,,,,,,,
রিমান,,,,,,,,,,, কি জান ঘুম আসছে না, আমারো আসছে না জানো। দুজনে এক সাথে গল্প ও করতে পারবো না। তো এক কাজ করি, তোমার তো রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প পরতে খুব ভালো লাগে তাই না। তাহলে আজ আমি তোমাকে একটা ভালোবাসার গল্প পড়ে শুনাবো।
এই গল্পের বইটা আমি মেঘার রুম থেকে এনেছি। চুরি করে আনি নাই। শুধু আনার সময় রুমে কেও ছিলো না। গল্পের নামটা কি জানো একটু বেশিই ভালোবাসি। যেমনটা আমি তোমাকে ভালোবাসি।
রিমান বিছানায় অর্ধেক শুয়া অবস্থায় ফারিয়াকে তার বুকে শুয়ায়। তারপর রিমান গল্প পড়তে থাকে। গল্প পড়ছে নিজে নিজে হাসছে নিজে নিজে কথা বলছে। এমন ভাবে গল্প পরতে পরতে এক সময় রিমানের চোখ লেগে আসে। সে ঘুমিয়ে যায়।
সকালে,,,
ঘুম চোখ থেকে সরছেই না। এতো ঘুম কেনো চোখে কে জানে।
চোখ বন্ধ করে মেঘা এক হাত দিয়ে অয়নকে খুজছে। যখন পায় না তখন আস্তে আস্তে চোখ খুলে। মেঘা চোখ খুলে অভাক হয়ে যায়। উঠে বসে চোখ কচলাচ্ছে।
ভালো করে তাকিয়ে দেখি, এটা তো আমার রুম না। কোথায় আমি। এমন রুমতো আমাদের বাসায় নেই। আমি স্বপ্ন দেখছি নাকি। কোথায় আমি অয়ন কোথায়।
মেঘা,,,,,,,,, অয়ন অয়ন কোথায় তুমি।
মেঘা গিয়ে দরজা খুলার চেষ্টা করে কিন্তু দরজা বাহিরে থেকে বন্ধ। মেঘা কিছু খন অয়ন অয়ন বলে ডাকা ডাকি করে৷ তারপর জালানা দিয়ে উকি মেরে দেখে।
মেঘা,,,,,,,,,, কোথায় আমি,,, এটা কোন জায়গা, কারা এরা সবাই। আমি স্বপ্ন দেখছি নাকি পাগল হয়ে গেছি।
চলবে,,,,,,,,,,,,,
ভালো লাগলে like, comment করে সাথে থাকুন ধন্যবাদ।