একটু বেশিই ভালোবাসি পর্ব-২৩ এবং শেষ পর্ব

0
4923

#একটু_বেশিই_ভালোবাসি
#Maishara_Jahan
Part……………23 (শেষ পর্ব)

রিমান,,,,,,,,, যে হারে মারতাছে কমর নিয়া দাঁড়ানো যাবো কি না সন্দেহ।

অয়ন,,,,,,,,,,, বাস হয়ে গেছে।

অয়ন হাত ছুটিয়ে গুন্ডাদের লাঠি ধরে ফেলে। অয়ন উঠে সবাইকে পিটাতে থাকে, ঐ দিকে রিমান মাটিতে পরে চিল্লাচ্ছে।

রিমান,,,,,,,,, ঐ আগে আমাকে তো খুল। হালা ঘরের হালা আমার কারনে ছুটেছিস এখন আমাকেি চিনিস না। হারামি খুল (জোরে চিৎকার করে)

অয়নের ঐ দিকে কোনো খেয়াল নেয়। রিমান মাটিতে গড়া গড়ি খেয়ে কোনো মতে উঠে বসে। উঠার চেষ্টা করেও উঠতে পারছে না। তাই বসে বসেই অয়নের দিকে যাচ্ছে। রিমান কষ্ট করে অয়নের কাছে পৌঁছায় আর অয়ন অন্য দিকে চলে যায় মারামারি করতে। রিমান গড়াগড়ি করতে করতে সেখানে যায়, আর অয়ন অন্য দিকে চলে যায়।

রিমান,,,,,,,,,,,, ঐ শালা এক জায়গায় থাকতে পারোছ না। নিজেকে কেঁচো কেঁচো মনে হচ্ছে। ঐ অয়নের বাচ্চা খুল কইলাম,ব্যাথা লাগতাছে। অয়ননননন

রিমানের চিৎকার শুনে সবাই ওর দিকে তাকায়।

অয়ন,,,,,,,,, কি হয়ছে।

রিমান,,,,,,,,, কি হয়ছে, এতো ক্ষনে (অভাক হয়ে) তোর ভাইস্তা হয়ছে। আগে আমার বাঁধন খুল। না হলে তোর একদিন কি আমার একদিন।

অয়ন কোনো মতে সবাইকে সামলে রিমানের রশি খুলে দেয়। রিমান ছাড়া পেয়েই অয়নকে আগে একটা লাথি দেয়।

অয়ন,,,,,,,, উপকারীর ঘাড়ে লাথি।

রিমান,,,,,,,,, ওরে আমার উপকারীটা, আমি কতো ক্ষন ধরে কেঁচো মতো গোড়া গড়ি খাচ্ছি সেটা কি। এভাবে যেতে যেতে আমার পিছনটা ব্যাথা হয়ে গেছে। আচ্ছা যাই হোক এবার সবাইকে মেরে ফাটিয়ে দিবো।

রিমান তাকিয়ে দেখে সবাই নিচে পড়ে আছে, অলরেডি অয়ন সবাইকে মেরে তক্তা বানিয়ে ফেলেছে৷

রিমান,,,,,,,, তুই এটা কি করলি আমার জন্য একটাকেও রাখলি না। শালা বেইমান, আমি এখন কাকে মেরে নিজের রাগ মিটাবো।

তখনি আরেকটা গুন্ডা আসে, মোটা লাঠি নিয়ে। রিমান খুশি হয়ে মারতে যায়। কিন্তু অয়ন ঐ লোকের ঘাড়ে একটা জোরে লাথি দেয়। লোকটা ঐখানেই চিত হয়ে পড়ে যায়। রিমান মারার জন্য এখনো হাত বাড়িয়েই রেখেছে।

রিমান অয়নের দিকে কিছু ক্ষন তাকিয়ে তারপর উল্টো পাল্টা লাথি ঘুষি দেওয়া শুরু করে অয়নকে।

অয়ন,,,,,,,,, দাঁড়া কি করছিস।

রিমান,,,,,,,,,, বন্ধু হয়ে শত্রুর মতো কাজ করতে শরম করে না।

অয়ন,,,,,,,,, আমি তো তোকে বাঁচাচ্ছি।

রিমান,,,,,,,,, কে কইছে তোরে আমাকে বাঁচাইতে, আল্লাহ কি আমাকে হাত পা দেয় নাই। (অয়নকে মারতে মারতে)

অয়ন,,,,,,,,,,,, ঠিক আছে, ঠিক আছে। পড়ে মারিছ, এখন মেঘা আর ফারিয়া ভাবিকে বাঁচাতে হবে।

রিমান মারা থামায়।

রিমান,,,,,,,, ঠিক আছে, এবারের মতো মাফ করে দিলাম। কিন্তু যাওয়ার আগে এই হালার পুতরে কয়েকটা মার না দিলে আমার মরেও শান্তি লাগতো না। এই হারামি অনেক মারছে।

বলে একটা লাঠি নিয়ে উল্টা পাল্টা পিটাতে থাকে। অয়ন গিয়ে ফিরায়।

অয়ন,,,,,,,,, এবার চল, এ মরে যাবে না হলে।

রিমান,,,,,,,, চল চল।

অয়ন আর রিমান বেরিয়ে পরে, মেঘা আর ফারিয়া কে খুঁজতে।

ওরা দৌড়াতে দৌড়াতে একটা পুরোনো বাড়ি দেখতে পায়।

অয়ন,,,,,,,,, ঐখানে মনে হয় রেখেছে মেঘা আর ফারিয়াকে।

রিমান,,,,,,,, চল দেখি।

রিমান আর অয়ন দৌড়ে যায় কিন্তু কাওকে দেখতে পায় না।

রিমান,,,,,,,,, এখানে তো কেও নেয়। রাফি তার মানে তাদের অন্য কোথাও রেখেছে।

অয়ন,,,,,,,,, এখানেই রেখেছিলো দেখ চেযারের পাশে রশি আছে। যেভাবে আছে মনে হয় কাওকে বেধেঁ রেখেছিলো।

রিমান,,,,,,,, হয়তো তাদের অন্য কোথাও নিয়ে গেছে। চল চল বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগে।

রিমান আর অয়ন বাহিরে বের হয়ে খুঁজতে থাকে। তারা আশপাশে খুজছে। একটু দূরে গিয়ে রাফি চর ওদের লোকদের দেখা যায়। ওরা মেঘা আর ফারিয়া বলে চিৎকার করছে।

অয়ন,,,,,,,,,,, মনে হয় মেঘা আর ফারিয়া ওদের হাত থেকে পালিয়ে গেছে।

রিমান,,,,,,,,,,, সাব্বাশ বাপের বেটি,, এটাকে বলে আমার বোন আর বউ। (একটা ভাব নিয়ে)

অয়ন,,,,,,,,, চুপ,,, ওদের আগে আমাদের মেঘা আর ফারিয়াকে খুঁজতে হবে৷ না জানি কোথায় আছে। এখানে আশপাশে তো কোনো বাড়ি ও নেয়।

রিমান,,,,,,,,, ওদের তাড়াতাড়ি খুঁজতে হবে৷ আমার এখনি নিজেকে কানা কানা লাগতাছে। আরেকটু পর ফুল অন্ধকার হয়ে আসলে, এখানে যে বড় বড় গাছপালা ধাক্কা খেতে খেতেই মরে যাবো।

রিমান আর অয়ন ওদের থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে খুঁজতে থাকে।

অয়ন,,,,,,,,, মেঘা ফারিয়া কোথায় তোমরা,, আমি অয়ন (সীমিত আওয়াজে)

রিমান,,,,,,,,, তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসো, এই জঙ্গলে ভয় লাগতাছে।

অয়ন,,,,,,,,, সিরিয়াসলি রিমান।

রিমান,,,,,,,,, এমন করে তাকানোর কিছু নাই। ভয় লাগতাছে তো কি করমু৷ এতো হেন্সাম একটা ছেলে জঙ্গলে ঘুরছে যদি কোনো পেত্নী পিছনে পড়ে যায়, তখন।

অয়ন,,,,,,,, চুপচাপ খুঁজ ওদের। না হলে পেত্নীর মতো আমি তোর গাঢ় মটকে দিবো।

এ কথা শুনার পর রিমান অয়নের পায়ের দিকে তাকায়।

রিমান,,,,,,, সোজায় আছে তার মানে তুই অয়ন,, আচ্ছা চল খুঁজি শুধু শুধু টাইম নষ্ট করছিস।

রিমান আর অয়ন আবার খুঁজতে থাকে। হঠাৎ কে জেনো রিমানের পায়ে খুঁচা দেয়। রিমান ভুত বলে চিৎকার দিয়ে অয়নের কোলে উঠে যায়।

রিমান,,,,,,,, ভুত ভুত।

মেঘা,,,,,,,,, ভুত না আমরা আমরা (ঝাড় থেকে বেরিয়ে এসে)

রিমান অয়নের কোল থেকে নামে। নেমে মেঘার মাথায় মারে।

রিমান,,,,,,,, সোজা সোজি বের হয়ে আসতে পারলি না।

অয়ন,,,,,,,,, তোমরা ঠিক আছো।

রিমান,,,,,,,, ফারিয়া কোথায়,, ও ঠিক আছে তো।

মেঘা,,,,,,,, ভাইয়া ভাবি এখানে অজ্ঞান হয়ে গেছে।

রিমান,,,,,,,,, কোথায় দেখি।

ফারিয়াকে একটা গাছে হেলান দিয়ে রেখেছে। রিমান তাড়াতাড়ি ফারিয়ার কাছে যায়।

রিমান,,,,,,, ফারিয়া ফারিয়া,, দেখো আমি এসে গেছি।

রিমান খেয়াল করে তার হাতে রক্ত লেগে গেছে।

রিমান,,,,,,, কি হয়েছে ওর গায়ে রক্ত কেনো।

মেঘা,,,,,,,, রাফি ফারিয়া ভাবির বুকে ছুরি মেরেছে।

এটা শুনে রিমান রাগে আগুন হয়ে যায়।

রিমান,,,,,,, একে আমি মেরেই ফেলবো।

অয়ন,,,,,, আগে ভাবিকে দেখতে হবে।

রিমান,,,,,,, আমাদের যেখানে আটকে রেখেছিলো, মানে ক্যাম্পে ঐখানে আমার বেগ আছে। ঐখানে যেতে হবে।

অয়ন,,,,,,,,, চল তাহলে।

রিমান ফারিয়াকে কোলে উঠিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। তারা ক্যাম্পে পৌঁছে যায়। সেখানে কেও নেয়।

অয়ন,,,,,,, মনে হয় ওরা এখান থেকে চলে গেছে।

রিমান ফারিয়াকে নিয়ে শুয়িয়ে দেয়। অয়ন রিমানের বেগটা এনে দেয়।

রিমান,,,,,,,, তোরা বাহিরে খেয়াল রাখ কেও আসছে কিনা, আমি ফারিয়ার চিকিৎসা করছি।

অয়ন আর মেঘা বাহিরে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে।

রিমান ফারিয়ার ক্ষত স্থান ব্যান্ডেজ করে দেয়। তাকে একটা পেনকিলার ইনজেকশন দেয়। ফারিয়ার জ্ঞান ফিরে। মৃদু মৃদু ভাবে তাকায়।

রিমান,,,,,,,,, এখন কেমন লাগছে তোমার।

ফারিয়া,,,,,,,,, তোমায় দেখে এখন ভালো লাগছে।

রিমান ফারিয়াকে জরিয়ে ধরে।
,,,,,,,,

অয়ন,,,,,,,,, তুমি ঠিক আছো তো, তোমাকে কিছু করেনি তো আবার।

মেঘা,,,,,,,,, না আমি ঠিক আছি।

অয়ন,,,,,,,,, পালালে কিভাবে।

মেঘা অয়নকে সবকিছু বলে।

অয়ন,,,,,,,, এর একটা কিছু তো কারায় লাগবে।

রিমান,,,,,,,,,, এর একটা অনেক কিছু করা লাগবে।

মেঘা,,,,,,,,, ভাবি এখন কেমন আছে।

রিমান,,,,,,,, জ্ঞান ফিরছে।

মেঘা ফারিয়ার কাছে যায়।

রিমান,,,,,,, তুই ফারিয়ার কাছে থাক আমরা আসছি৷

অয়ন আর রিমান একটু যেতেই রাফির সাথে দেখা হয়।

রাফি,,,,,,,, উফফ, গর্দভের দল গুলো তোদের আটকে রাখতে পারলো না৷

রিমান,,,,,,,, হুহহ তুই তো মানুষ তাহলে দুটো মেয়েকে আটকে রাখতে পারলি না।

রাফি,,,,,,,,,, তার মানে ওরা তোদের কাছে। এই কে আছিস মার ওদের।

অয়ন আর রিমান মার শুরু করে দেয়। তারা যেমন মার খাচ্ছে তেমন দিচ্ছে।

রিমান,,,,,,,, অয়ন শুন এভাবে পারা যাবে না, এক কাজ কর সুযোগ পেলে ওদের চোখে দিবি, গাঢ়ে দিবি আর ঐ জায়গায়। আর জোরে দিবি যাতে আর উঠতে না পারে।

অয়ন,,,,,,,,, ওকে ডান।

দুজন আবার শুরু করে মারামারি,, এবারের পদ্ধতি কাজে লাগে। সব গুলো নিচে পড়ে যায়। আর উঠতে পারছে না।

রাফি একা দুজনের সাথে লড়ছে। মনে হচ্ছে রাফি পান্চিং বেগ আর অয়ন আর রিমান বক্সার। রাফি আর না পেরে পালিয়ে যেতে নেয়। আর দুজনে তাকে ধরে ফেলে।

অয়ন,,,,,,,, এভাবে কি করে যেতে দিবো, তোর উপর যে রাগ আছে সেটা তো মিটাতে হবে।

রিমান,,,,,,,, দূরর কথা বলে টাইম নষ্ট করে লাভ নেয়।

বলে রাফি এক হাত গাছে ঠেকিয়ে হাতের তালায় ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। রাফি চিৎকার করে উঠে।

রিমান,,,,,,,,, বএই হাত দিয়ে মেঘার গলা ধরে ছিলি না।

এবার রিমান ছুরিটা বের করে রাফির বুকে চেপে ধরে। রাফির বুক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। রাফি চিৎকার করছে।

অয়ন,,,,,,,,,,, তুই কি সাইকো, তোর থেকে বড় সাইকো আমরা। কয়েকটা খুন করে নিজেকে মাফিয়া ভাবিস৷

।রিমান,,,,,,,,, এখনো যদি কলেজে যায় না, তাহলে সবাই আমাদের দেখে ভয়ে কাপে। নাম্বার ওয়ান মাফিয়া ছিলাম। ভেবেছিলাম ডক্টর হয়েছি। এখন ভালো হয়ে যাবো। কিন্তু দেখা যায় আগের রুপটা তোকে দেখাতেই হবে।

অয়ন রাফির বুক থেকে ছুরিটা বের করে রাফির চোখের সামনে ধরে।

অয়ন,,,,,,, মনে তো চাচ্ছে এই ছুরি দিয়ে তোর দুটো চোখ উঠিয়ে ফেলি, যেটা দিয়ে মেঘার দিকে নজর দিয়।

রাফি,,,,,,,,, যতো দিন বেঁচে থাকবো তোদের শান্তিতে থাকতে দিবো না।

রিমান,,,,,,, ও এভাবে মানবে না। এটা ওর নজরে দোষ না। এটা ওর লিঙ্গের দোষ। ওর এটাই আজ কেটে ফেলবো। এটা না তাকলে মেয়েদের দিকে নজর দিলেও লাভ হবে না।

রাফি,,,,,,,,, মানেহহহ।

রিমান,,,,,,,, মানে এখনি বুঝাচ্ছি, ঐ ওর প্যান্ট খুল আজ এর ওটাই কেটে ফেলবো।

রাফি ছটফট করছে, অয়ন রাফিকে শক্ত করে ধরে রেখেছে।

রিমান,,,,,,,,, ইতিহাসে প্রথম বার কোনো হার্ট সার্জারান লিঙ্গ অপারেশন করবে। হালা দেখমু এটা ছাড়া কিভাবে মেয়েদের দিকে নজর দিস।

রাফি জোরে ধাক্কা দিয়ে অয়নের থেকে নিজেকে ছুটিয়ে, রিমানের হাত থেকে ছুরিটা নিয়ে, রিমানকে ঢুকাতে যায়, অয়ন রাফির হাত ধরে ছুরিটা নিয়ে তার গলায় পোস দেয়।

রাফি নিচে পড়ে যায়৷ রিমান রাফির নালি চেক করে।

রিমান,,,,,,,, এই হালা তো দেখি অক্কা পেয়েছে। তোকে মারতে কে বলছিলো।

অয়ন,,,,,,,,,, ইচ্ছে করে মারিনি, পরিস্থিতিতে হয়ে গেছে৷ এ নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেয়, পুলিশে কিছু ধরা পড়লে আমি সামলে নিবো। চল মেয়েরা একা আছে।

রিমান,,,,,,,, চল চল, তাড়াতাড়ি চল। এই রাফি যদি আবার ভুত হয়ে আসে।

অয়ন,,,,,,, গলা কেটে মৃত্যু হয়েছে, এর আত্মা আশেপাশেই আছে।

রিমান,,,,,,,,,, রিমান দোয়া পড়া শুরু করে দেয়। আল্লাহ তাড়াতাড়ি চল, আমার ভয় করতাছে। হালার পুত চোখ ও বন্ধ করে নায়, দেখ কেমনে চাইয়া রয়ছে। চল এখান থেকে।

রিমান আর অয়ন মেঘা আর ফারিয়ার কাছে যায়। তাদের সব বলে।

মেঘা,,,,,,,যাক ভালো হয়েছে মরেছে।

রিমান,,,,,,,,, শালার পুত শালা অনেক জ্বালায়ছে।

ফারিয়া,,,,,,,,,, তুমি না ডক্টর, তোমার মুখে এসব ভাষা মানায় না।

অয়ন গালি দিতে নিয়ে, মুখে আটকে ঢোগ গিলে ফেলে৷

অয়ন,,,,,,,, এসব বলা উচিত না।

রিমান,,,,,,,,, ডক্টর হয় আর যায় হয়, গালি দেওয়া ছেলেদের জম্মগত অধিকার। আর অয়ন এতো সাধু সেজো না, হুহহ তুমি যে কোন কাছের মুলা আমি ভালো করে জানি।

অয়ন,,,,,,, হয়ছে এখন চল বাসায় যায়,একটু দূর গেলেই আমাদের গাড়ি পেয়ে যাবো।

পাঁচ বছর পর,,,,,,,,,,,

অয়ন এক সাইডে শুয়ে আছে আর আমি আরেক সাইডে। আর আমাদের ছোট পরীটা আমাদের মাঝখানে শুয়ে আছে।

পরী আমার মেয়ের নাম। অয়ন রেখেছে, নাম নিয়ে বিশাল ঝগড়ার পর এই নাম রাখা হয়। আমাদের ছোট্ট পরীর এখন তিন বছর বয়স।

একটু পর অয়ন আস্তে করে উঠে আমার সাইডে এসে শুয়ে পড়ে।

মেঘা,,,,,,,, কি করছো, পরী উঠে যাবে।

অয়ন,,,,,,,, পরীর ঘুম তোমার মতো, এখন কেও ওকে উঠিয়ে নিয়ে গেলেও টের পাবে না। (মেঘাকে জরিয়ে ধরে)

মেঘা,,,,,,, ছাড়ো আমাকে আর চুপচাপ ঘুমিয়ে পরো।

অয়ন,,,,,,, তোর না তিনটা বেবি লাগবে, এমন করলে কিভাবে হবে আর দুটা।

মেঘা আর কিছু বলতে নিলেই অয়ন মেঘার ঠোটে ঠোঁট মিলিয়ে দেয়।

পরী,,,,,, পাপ্পা (চোখ বন্ধ করে)

মেঘা সাথে সাথে অয়নকে ধাক্কা দেয়, অয়ন নিচে পড়ে যায়। পরী উঠে বসে।

পরী,,,,,,,,, পাপ্পা কোথায় মাম্মা। (ঘুমে ঘুমে)

অয়ন,,,,,,, এই তো মামনি আমি এখানে। (কমর ধরে উঠে)

পরী,,,,,,, তুমি ঐকানে কেনো।

অয়ন,,,,,,,, এই তো আমি তোমার কাছে আসছি।

অয়ন পরীর কাছে গিয়ে, পরীর পাশে শুয়ে পড়ে। পরী তার পাপ্পাকে জরিয়ে ধরে শুয়ে পড়ে। অয়নও তার মেয়েকে জরিয়ে ধরে ঘুম পারাচ্ছে। মেঘা হাসছে।

অয়ন,,,,,,,, এখন হেঁসে নে পড়ে বুঝাবো।

,,,,,,,,,,,

রিমান হসপিটাল থেকে রাত করে ফিরে।,

ফারিয়া,,,,,,, তুমি এসে গেছো।

রিমান,,,,,,, তুমি এখনো ঘুমাও নি।

ফারিয়া,,,,,,,,, তুমি না আসা পর্যন্ত আমি কোনো দিন ঘুমিয়েছি।

রিমান,,,,,,,,, রিয়াদ ঘুমিয়ে গেছে।

,,,,,,,, তোমার ছেলে আমাকে জ্বালিয়ে তারপর ঘুমিয়েছে।

,,,,,,, এ জন্যই তো বাড়িটা শান্তি শান্তি লাগছে।

,,,,,,, আমি খাবার গরম করে দিচ্ছি, ফ্রেশ হয়ে খেতে আসো৷

,,,,,হুমম

রিমান খেয়ে নেয়।

রিমান,,,,,,, অনেক ঘুম পাচ্ছে, চলো।

দুজনে রুমে যায়। রিমান ফারিয়াকে কিস করতে যায়। আর রিয়াদ উঠে পড়ে।

রিয়াদ,,,,,,,,বাবা কি করছো।

ফারিয়া সরে যায়, রিমান ঠোঁট ভাজ করে এখনো দাঁড়িয়ে আছে।

রিয়াদ,,,,,,,, তুমি তি মাম্মাকে পাপ্পি দিচ্ছো। (মুখ ধরে হেসে)

ফারিয়া,,,,,,,, তোমার ছেলে একদম তোমার মতো হয়েছে।

রিমান,,,,,,,, আমিও এক সময় এমন করতাম, এখন বুঝতে পারছি আমার মা বাবার কেমন লাগতো।

রিমান ও এসে বিছানায় বসে।

রিয়াদ,,,,,,, বাবা কাল আমরা পরীর সাতে গুততে যাবো না।

রিমান,,,,,,,,, হ্যাঁ তুই ঘুমালে তো যাবো। ঘুমা চুপচাপ বদমাইশ।

রিয়াদ,,,,,,,, না আগে বলো যাবো না।

ফারিয়া,,,,,,,, হ্যাঁ যাবো। সারা ক্ষন পরী পরী করে। এখন ঘুমাও।

রিয়াদ শুয়ে টক্কর মেয়ে চেয়ে আছে। রিমান হাত দিয়ে রিয়াদের চোখ ঢেকে ফারিয়াকে একটা কিস করে।

আগামী কাল,,,,,,,,,

অয়ন, মেঘা, ফারিয়া, রিমান আর তাদের ছোট ছোট দুই বাচ্চা ঘুরতে যায়। রিয়াদ আর পরী খেলছে।

একটু পর পরী কান্না করতে করতে আসে।

মেঘা,,,,,,,, কি হয়েছে মাম্মা

পরী,,,,,,,, রিয়াদ আমাকে মেরেছে।

রিমান,,,,,,,,, এ দিকে আয়।

ফারিয়া,,,,,,,, কেনো মেরেছো পরীকে, দেখো ও কান্না করছে।

রিয়াদ,,,,,,, ও আমাকে রেখে অন্য ছেলের সাথে কেনো খেলছিলো৷

রিমান,,,,,,,, ওরে বাপরে।

অয়ন,,,,,,,, রিয়াদ বাবা তোমার কেমন লাগছে সেটা আমি বুঝতে পারছি। (দুঃখতা প্রকাশ করে)

মেঘা,,,,,,,,, আর আমার মেয়ের কেমন লাগছে সেটা আমি বুঝছি।

রিমান,,,,,,,,, অয়ন ভবিষ্যৎতের তোর মেয়ের জামাইকে ভালো করে দেখে নে।

রিয়াদ,,,,,,,, আয় তোকে আর মারবো না, সরি। শুধু আমার সাথে খেলবি। (একটা ললিপপ পরীকে দিয়ে)

পরীও চুপ হয়ে যায়, আবার রিয়াদের সাথে খেলতে থাকে।

রিমান,,,,,,,,,, সম্বন্ধ পাক্কা।

সবাই হেসে দেয়৷

… .. .Happy Ending……

পুরো গল্পটা কেমন লেগেছে জানাবেন😊। আপনাদের ভালোবাসা মানে লাইক কমেন্ট করতে কিপটামি করবেন না 😁।

Thanks for Reading…………