#কারণে_অকারণে_সে
#পর্ব:১৭
#লেখক:রিয়ান আহমেদ(ছদ্মনাম)
;
“শোনো ভাইয়া তোমার শালীকা গুলোকে একটু আমার থেকে দূরে থাকতে বলো।আমার তো বিশ্বাস হয় না এরা ভাবির বোন।একেকজন কি গায়ে পড়া স্বভাবের তা আর কি বলবো।”
আভাস সাভাশের শেরওয়ানি পড়িয়ে দিতে দিতে কথাগুলো বলল।সাভাশের বন্ধু বিছানায় বসে ফোন টিপছে আর মিটমিট হাসতে হাসতে বলে,
“যাই বল আমার তো একটা সেটিং হয়ে গেছে।শোন আভাস মেয়েরা যদি পটাতে চায় তাহলে পটে যেতে দোষ কোথায়?মেয়েদের মন হচ্ছে কোমল ফুলের মতো এদের কষ্ট দিতে নেই।”
সাভাশ নিজেকে আয়নায় দেখতে দেখতে বলল,
“আলিফ কোন মেয়ের সঙ্গে সেটিং করেছিস আমরাও শুনি।”
আলিফ ফোনে ম্যাসেজিং করতে ব্যস্ত তাই সে উত্তর দেয় না।আভাস মুখ ভেঙচি কেঁটে বলল,
“এমন মেয়েদের আমার কাছে অসহ্য লাগে।মেয়েদের যদি একটা স্ট্রং পারসোনালিটি না থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে কথা এগিয়ে নেয়ার ইচ্ছা আমার থাকে না।”
আলিফ মোবাইল থেকে মুখ উঠিয়ে এবার সাভাশকে বলে,
“ভাই সাভাশ তোর ভাবীকে কেন পছন্দ হয়েছে?”
সাভাশ চুল ব্রাশ করতে করতে বলে,
“আরুকে আমি পছন্দ করি নি ভালোবেসেছি।পছন্দ করা বলতে মানুষের যেকোনো একটা ভালো গুনকে পছন্দ করা বোঝানো হয়।কিন্তু ভালোবাসা বলতে সেই মানুষের ভালো খারাপ সবকিছুকেই ভালোবাসতে হয়।আমি ওর সবকিছু নিয়েই ওকে ভালোবেসেছি।ওর সবকিছুই আমাকে প্রেমে পড়তে বাধ্য করে।”
আভাস,আলিফসহ রুমের সবাই গভীর মনোযোগ দিয়ে কথাগুলো শুনে।আলিফের এখন মনে হচ্ছে আজ পর্যন্ত এতোগুলো মেয়েকে ভালোবাসি,ভালোবাসি বললেও আজ অব্দি সে কোনো মেয়েকেই ভালোবাসতে পারে নি।
সাভাশের মা রুমে প্রবেশ করেন।ছেলের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হেসে চোখের কোনের জল মুছে বলেন,
“তুই এতো বড় হয়ে গেলি কবে রে?আমার তো এখনো মনে হয় আজও সেই ছোট্ট সাভাশ গোসল করে আমার আঁচলে নিজের ভেজা চুল মুছে।তোকে ছোটবেলা থেকে যতটুকু সম্ভব আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা আমরা করেছি।আশা করি তুই কখনোই আমাদের সেই শিক্ষা ভুলে গিয়ে আরশির অমর্যাদা করবি না।আরশি এই পরিবারে তোর হাত ধরে আসবে আর তার পাশে সর্বদা থাকাটা তোর দায়িত্ব।”
তাসনিম বেগম কথাগুলো বলে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠেন।আসলে ছেলের মায়েদের কান্নাটা অহেতুক নয় তাদের মনে ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার সময় একটা ভয় থাকে ছেলেকে হারিয়ে ফেলার।তারা ভাবেন ছেলে যদি বিয়ে করে তাদের ভুলে যায়?এই ভাবনায় তাদের কাদিয়ে ফেলে।তাসনিম বেগমকে সাভাশ জড়িয়ে ধরে হেসে বলে,
“মা প্লিজ কান্না করো না।তুমি তো এমনভাবে কান্না করছো যেন আমি আরশিদের বাড়িতে ঘর জামাই থাকতে যাচ্ছি।”
তাসনিম বেগম হেসে দিয়ে বললেন,
“যাহ শয়তান ছেলে।সবসময় ফাজলামি করিস।”
তখনই পেছন থেকে কেউ নিজের গলা খাকাড়ি দেয়।সাভাশ মাকে ছেড়ে পেছনে তাকিয়ে দেখে তার বাবা সাদমান চৌধুরি দাঁড়িয়ে আছে।
সাদমান চৌধুরি সাভাশের সামনে এসে দাঁড়িয়ে গম্ভীর গলায় বললেন,
“এদিকে এসো।”
সাভাশ এগিয়ে যায়।সাদমান চৌধুরি একটা ছোট্ট বক্স খুলে সেটার থেকে একটা ব্রোচ নিয়ে সাভাশের শেরওয়ানিতে পড়িয়ে দিতে দিতে বলেন,
“আজ থেকে তোমার জীবনে একজন মানুষ যুক্ত হতে যাচ্ছে।তুমি যা করবে তার প্রভাব তার জীবনেও পড়বে এটা সবসময় মনে রাখবে।ঐ কাজটা ভালো হোক আর খারাপ তা আরশিকেও প্রভাবিত করবে।তার পাশে তার শক্তি হয়ে সারাজীবন থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।,,তাসনিম তোমার ছেলেকে পাগড়িটা পড়িয়ে দেও।”
তাসনিম বেগম ছেলেকে পাগড়ি পড়িয়ে দিয়ে।দইয়ের বাটি নিয়ে সাভাশকে দই খাইয়ে দেন।
সাভাশ রওনা হয় নিজের প্রেয়সীকে নিজের ঘরের এবং মনের রাণী হিসেবে স্থায়ীভাবে নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে।
;
;
;
;
“এই ক্যামেরাম্যান আপনি আমার ছবি না তুলে এদিক ওদিক কোথায় ঘুরছেন।”
আরশির কথায় ক্যামেরাম্যান ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়।সে জোরপূর্বক হেসে বলে,
“ম্যাম আসলে সবার ভিডিও করছিলাম।”
আরশি ভ্রু কুঁচকে বলল,
“সবার ভিডিও করে লাভ কি? বিয়ে আমার ভিডিও,ছবি সব আমারই হবে।শুনেন ভাই বিয়ে শাদি জীবনে একবার হয় তাই নো কান্নাকাটি বুঝলেন হাসিখুশি ভাবেই সবকিছু সম্পাদন করতে হবে।”
ক্যামেরাম্যান আরশির ছবি তুলতে তুলতে বিড়বিড় করে বললেন,
“ভাইরে ভাই জীবনে এমন অদ্ভুত কনে দেখি নি।না জানি এর জামাইর কি অবস্থা হবে।”
আরশি ছবি তুলতে তুলতে ক্লান্ত হয়ে গিয়ে ক্যামেরাম্যানকে বলে,
“হয়েছে আর ছবি তুলবো না এখন আমার বর আসলে ভিডিও করবেন এখন যান।”
লোকটা মাথা নাড়িয়ে চলে যায়।
;
;
;
সাভাশ আর আরশি পাশাপাশি বসে আছে।আরশি সাভাশের দিকে তাকিয়ে দাঁত বের করে হেসে বলল,
“আজকে তো এডভোকেট সাহেব বেশ চমকাচ্ছেন।আপনাকে অসাধারণ লাগছে কিন্তু আমার চেয়ে বেশি না।আজকে তো আমি চশমাও পড়ি নি লেন্স পড়েছি।”
সাভাশ কিছুই বলে না।কিছু অনুভূতি ভাষাহীন হয়।হাজার কোটি শব্দ এই অনুভূতিকে সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশ করতে পারে না।সাভাশের ক্ষেত্রেও তাই।এই নারীটি তাকে সব রূপে প্রেমের সাগরে ডুবে যেতে বাধ্য করে।সাভাশের ইচ্ছে করছে খয়েরি রঙে সজ্জিত নারীটিকে ছুঁয়ে দিতে।কিন্তু ছুঁয়ে দিলে যদি এই নারীটি অদৃশ্য হয়ে যায়?তখন বিয়ে হবে কি করে? এর আগেও আরশি বহুবার তার কল্পনায় এসেছে আর ছুঁয়ে দিতেই অদৃশ্য হয়ে গেছে।
আজ সাভাশ কল্পনা আর বাস্তবের মধ্যে পার্থক্য করতে ব্যর্থ হয়ে পড়েছে।ভয়ে সে নিজেকে আরশির থেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে নেয়।তার ধারণা এই নারীর শরীরের সাথে তার শরীর স্পর্শ হলে হয়তো ভয়ানক কিছু ঘটবে।আরশি এখন পর্যন্ত সাভাশের কন্ঠটা শুনতে পারে নি।আজকে তার মনটাও সাভাশের কন্ঠস্বর শোনার জন্য আকুল হয়ে পড়েছে।অবশেষে আরশির সব আকুলতা এবং অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটিয়ে সাভাশ মুখ খুলে।কিন্তু সাভাশ যে এমন কিছু বলবে তা আরশি আশা করে নি।সাভাশ ঘোর লাগা কন্ঠে বলল,
“তুমি কি বাস্তব নাকি কল্পনা আরু?”
আরশির ঠোঁট জোড়া নিজ গতিতে আলাদা হয়ে যায়।বিরক্তিতে ভ্রু জোড়া কুঁচকে আসে।এমন অদ্ভুত প্রশ্ন করার কোনো মানে হয় না।
আরশির রাগ হয় সে মনে মনে বলে,
“আমি ওনার এতো প্রশংসা করলাম আর উনি আমাকে এমন অদ্ভুত প্রশ্ন করলেন!ওনার এই প্রশ্নের উত্তর তো দেবোই না আর না ওনার সঙ্গে কথা বলবো।”
আরশি আর সাভাশের সঙ্গে কথা বলল না।কিছুক্ষণ পর কাজী সাহেব এলেন।
আরশি আর সাভাশকে আলাদা বসিয়ে মাঝখানে ফুলের পর্দা দেওয়া হলো।অবশেষে দুজনের বিয়ে সম্পন্ন হয়ে গেল।
আরশির বিদায় বেলা এলো সে সবাইকে একবার করে জড়িয়ে ধরে কান্না করলো।আরহামের জড়িয়ে ধরে কান্না করার সময় হুট তীব্রর সঙ্গে চোখাচোখি হয়ে গেল।সে এক কোনায় একটা নীল চেক শার্ট পড়ে গোমড়া মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে।আরশি আরহামকে ছেড়ে তীব্রর কাছে যায় তীব্রর দিকে তাকিয়ে কান্নার মাঝেই মুচকি হেসে আস্তে আস্তে বলল,
“তীব্র ভাই আপনার লাইফে অবশ্যই কেউ আসবে যাকে আপনি ভালোবাসবেন।আপনি প্লিজ মন খারাপ করবেন না।আমি সত্যিই কখনো আপনার খারাপ চাই নি।আমার শুভ কামনা সাথে রইলো।”
তীব্র ভেজা চোখে আরশির দিকে তাকিয়ে বলে,
“তোকে একবার জড়িয়ে ধরি?”
আরশি নিজেই তীব্রকে জড়িয়ে ধরে একজন বোন হিসেবে।তীব্র আরশিকে জড়িয়ে বলে,
“ধন্যবাদ আরু আমাকে জীবনের এতো বড় একটা শিক্ষা দেওয়ার জন্য।তুই নিজের নতুন জীবনে খুশি থাকিস এটাই আমি আশা করি।”
সাভাশ তীব্র আর আরশির দিকে তাকিয়ে আছে সে তীব্র আরশির কথাগুলো না শুনলেও ধারণা করতে পারছে তারা কি বলছে।সাভাশ আরশির দিকে তাকিয়ে নিজের হাতের আংটির দিকে তাকায়।সেটাকে ছুঁয়ে দিয়ে ভাবে,
“আমার বিশ্বাস তুমি মুভ অন করেছো এবং আমাকে নিজের আগামী দিনের সঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছো।তীব্রর জন্য তোমার মনে থাকা কোনো অনুভূতি কখনো মুছে দেওয়ার চেষ্টা করবো না।আমি নিজের জন্য তোমার মনে আলাদা একটা জায়গা করে নেব যেটা তীব্রর চেয়ে হাজার সিঁড়ি উপরে থাকবে।”
;
;
;
সব ফর্মালিটিস পূরণের পর আরশি এখন সাভাশের ঘরে।সাভাশ চুপচাপ বসে আছে সে আসলে বুঝতে পারছে না কি দিয়ে কথা শুরু করবে।অথচ কাল রাতেও কতো কথা গুছিয়ে রেখেছিল সে আরশিকে বলার জন্য কিন্তু এখন সব কথাই এলোমেলো হয়ে গেছে।সাভাশ বিড়বিড় করে বলে,
“এতো কথা গুছিয়ে রেখে লাভ কি হলো?কিছুই তো মনে নেই।”
সাভাশের আরশির সঙ্গে চোখ মেলাতে ভয় হচ্ছে।ইতোমধ্যেই সে বেশ ঘামতে শুরু করেছে অস্বস্তিতে।সাভাশ এবার নিজের চোখ আরশি থেকে অন্যদিকে ফিরিয়ে নিয়ে চেচিয়ে বলে,
“আরশি তুমি প্লিজ এই পরী বেশে আমার সামনে এভাবে ঘুরে বেড়ানো বন্ধ করো।আমি বোধহয় তোমার দিকে আর কিছুটা সময় তাকিয়ে থাকলে অন্ধ হয়ে যাব।অন্ধ স্বামী নিয়ে তখন সারাজীবন ঘর করতে তোমারই কষ্ট হবে।আমি কিন্তু তুমি হাজার চাইলেও তখন তোমাকে ছাড়বো না।”
আরশি সাভাশের এমন পাগলামি কথাবার্তায় কান দেয় না।লোকটার আচরণ আজ সারাদিন অদ্ভুত ছিল তাই বিষয়টা এখন আর তাকে প্রভাবিত করছে না।ওহ আরশি কি করছে তা বলে রাখা ভালো।
আরশি বিছানায় ঘোমটা দিয়ে বসে নেই।সে সাভাশের রুমে এটা ওটা দেখছে।আরশি টেবিলের থেকে একটা ছবি নিয়ে সাভাশের সামনে নিয়ে বলে,
“এই ছবির ছেলেটা কি আপনি?”
সাভাশ আরশির দিকে পিঠ করে বসে কারণ সে বোধহয় শপথ করে রেখেছে বধু সেজে থাকা আরশির দিকে তাকাবে না।সাভাশ বলে,
“হুম।”
“ওয়াও আপনি তো ছোটবেলা অনেক কিউট ছিলেন।আর পাশে এটা কে?আভাস ভাইয়া?”
“না এটা আমার খালাতো ভাই ফারহান ছোটবেলা পানিতে ডুবে মারা গেছে।”
“ওও সরি।”
আরশি সাভাশের পাশে বসে।সে সাভাশের মুখ না দেখেও বুঝতে পারছে সাভাশের মনটা হঠাৎ খারাপ হয়ে গেছে এমন একটা হৃদয়বিদারক স্মৃতি মনে করে।মানুষটাকে হাসাতে হবে আরশির যে করেই হোক।আরশি দুষ্টু হাসি দিয়ে বলে,
“খালামনি আপনার পাইলসের সমস্যাটা কি এখন গুরুত্বর?বসে থাকতে সমস্যা হচ্ছে না তো?”
সাভাশ কথাটা শুনে ফিক করে হেসে দিয়ে বলে,
“খালামনি ডাকছো কেন?কাল আমি তোমাকে দেখার ইচ্ছাটা দমিয়ে রাখতে পারি নি তাই ছদ্মবেশ ধরে গায়ে হলুদ দিতে গিয়েছিলাম।”
“তাহলে না দিয়ে চলে এলেন কেন?”
“তুমি যেভাবে বলছিলে আর কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থান করলে হয়তো আমাকে সবার সামনে এক্সপোজ করে দিতে।”
“লুকিয়ে আসার কোনো দরকার ছিল না সরাসরি গেলেই তো পারতেন।”
“ইচ্ছে তো ছিল কিন্তু সবাই মানা করেছিল।”
“ধন্যবাদ আমাকে এতোটা স্পেশাল ফিল করানোর জন্য।”
সাভাশ মুচকি হেসে বলে,
“দেখো আমরা এখন হাজব্যান্ড ওয়াইফ।তোমার কোনো সমস্যা হলে নির্দ্বিধায় আমাকে বলবে বুঝলে।”
“ওকে দেন আমার সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে আমি নিজের লাগেজ খুলতে পারছি না তাই আমাল লাগেজটা খুলে দেন এই বিশ কেজির লেহেঙ্গার বাধন থেকে মুক্ত হতে চাই।”
সাভাশ লাগেজ খুলে দিতেই আরশি সেখান থেকে সেলোয়ার কামিজ নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।
কিছুক্ষণ বাদে আরশি বের হতেই সাভাশ একটা বড় নিঃশ্বাস ছেড়ে,
“উফফ এখন একটু শান্তি লাগছে।,,আমার বুকে বোধহয় কোনো সমস্যা হয়েছে না হলে আজকাল এতো বেশি লাফাচ্ছে কেন হৃদপিন্ডটা?”
সাভাশের করা প্রশ্নের জবাব সাভাশের ভেতরের একটি সত্ত্বা দেয়।সেই সত্ত্বাটিকে আমরা না দেখলেও তার অস্তিত্ব আমাদের মাঝে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকে।সত্ত্বাটি বলে,”তোর বুকের ব্যাথার জন্য দায়ী তোর বউ তাকে জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষণ বসে থাক সব সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবি।”
সাভাশ নিজের ভেতরের সত্ত্বটির কথায় এতোটাই প্রভাবিত হয়েছে যে সে বাস্তবেই আরশিকে বলেই ফেলে,
“তোমাকে একটু জড়িয়ে ধরবো।বেশি না একটু,, আমার বুকের এই কম্পনটা স্বাভাবিক হতেই আবার ছেড়ে দেবো।”
আরশি সাভাশের এমন হুট করে দেওয়া প্রস্তাব শুনে হতবিহ্বল হয়ে যায়।চোখ জোড়া স্বাভাবিকের তুলনায় বড় হয়।
#চলবে!