গ্যাংস্টার লাভ পর্ব-২৯+৩০

0
810

#গ্যাংস্টার_লাভ
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
#পার্ট_২৯

মাঝ রাতে রিহার ঘুম ভেংগে যায়। পাশে রেহান ঘুমিয়ে আছে ।

রিহা : ধুর বাবা হটাৎ ঘুম ভাঙলো কেনো এখন কি করবো ঘুমানোর চেষ্টা করি

রিহা অনেকক্ষণ এপাশ ওপাশ করে শেষে না পেরে উঠে পরে।

রিহা : ধুর ছাই ঘুম আসে না কেনো এক কাজ করি ছাদে একটু হেটে আসি সেটাই ভালো হবে

রিহা আস্তে আস্তে উঠে দরজা খুলে ছাদে যায়। সিড়ি দিয়ে উঠার সময় কারোর আওয়াজ পায় । রিহা কিছু না বলে চুপ করে ছাদের দরজায় দাড়িয়ে শুনতে থাকে

রিহা : ধুর ছাই কে ওখানে আর কি কথা বলছে একটু দেখি ত দরজা ফাঁক করে

রিহা দরজা একটু ফাঁক করে দেখে অবাক।

অন্তরা আর একটা ছেলে দাড়িয়ে কথা বলছে । ছেলেটার মুখ ভালো ভাবে বুঝা যাচ্ছে না তবে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছে ছেলেটা না না করছে আর অন্তরা বুঝিয়ে যাচ্ছে ।

রিহার কানে একটা কথা আসলো ছেলেটা বলছে আমি এসব পারবো না ও মারেড

রিহা : কার সাথে এতো কথা বলছে না শুনা যাচ্ছে না ধুর একটু জোড়ে বললে কি হয়

রিহা কিছুক্ষণ ছটপট করে শেষে ওর মাথায় একটা বুদ্ধি আসে।

রিহা নিচে যায় একটু পর একটা লাঠি নিয়ে আসে আর জোরে জোরে বলে

রিহা : চোর চোর চোর (চিৎকার করে)

রিহার চিৎকারে অন্তরা আর ছেলেটা চমকে উঠে । রিহা চিৎকার করেই যাচ্ছে ছেলেটা পালাতে গেলে রিহা গিয়ে লাঠি দিয়ে বারি মারে

রিহা : কোথায় পালাচ্ছিস চোর আমাদের বাড়ি চুরি করবি তোর এত সাহস দেখ এখন কেমন লাগে (মারতে মারতে)

অন্তরা আর আর ছেলেটা দুর দাড়িয়ে কথা বলছিল ছেলেটা অনি ছাদে লাফ দিতে গেলে রিহা গিয়ে মারা শুরু করে অন্তরা পালাতে চাইলে রিহা ওকে চুলের মুঠি ধরে

রিহা : এতো চোর দেখছি কিন্ত কাপল চোর দেখিনি তোরা কি এক সাথে চুরি করতে আসিস দারা আজ তোদের দেখাচ্ছি মজা

এই সুযোকে ছেলেটা রিহা কে ধাক্কা মেরে অনি ছাদে চলে যায় আজ আবহাওয়া ভালো না থাকায় তেমন দেখা যায় না

রিহা : যা ছেলেটা তো চলে গেলো কিন্ত একে তো ছাড়বো না আমাকে পানিতে ডুবানো দেখাচ্ছি (মনে মনে)

রিহা অন্তরার চুলের মুঠি ধরে ইচ্ছা মত চর গুশি লাথি কিচ্ছু বাদ দিচ্ছে না আর জোরে জোরে চোর চোর বলছে

এতক্ষণে বাড়ির সবাই জেগে গেছে রেহান অনি রুশ মাইশা চৌধুরী এসে দেখে রিহা মারছে রুশ ও সাথে join দেয়।

দুই বান্ধবী মিলে ইচ্ছা মত মেরে যাচ্ছে বেচারি অন্তরা তো কিছু বলতে পারছে না শুধু ছেরে দাও ছেরে দাও বলছে ।

রুশ : আবে তোমরা কি করছো লাঠি নিয়ে আসো (অনি আর রেহান এর দিকে তাকিয়ে)
রিহা : আরে লাঠি পরে আগে আমরা তো মেরে নি
রুশ : ঠিক কইছিস অনেক দিন কাউরে মারি না

রুশ আর রিহা তো মেরে যাচ্ছে । অনি আর রেহান ওদের বউ এর কান্ড দেখছে । রাইসা খান ও চলে আসে ।

রাইসা : আরে বেশি করে মারো আরো জোড়ে
মাইশা : থাম তো রেহান যা ওদের আটকা
রাইসা : না আমি ও যাচ্ছি

রাইসা খান গিয়ে একটা চর মারে আর মারার আগে অন্তরা বলে

অন্তরা : আম্মু আমি (কাদতে কাদতে)
রাইসা : এই গলা চিনা চিনা লাগছে
রুশ : গলা কেমনে চিনবেন আমরা তো কিছু দেখতে পাচ্ছি না আপনি আবার গলা দেখলেন কেমনে
রাইসা : চুপ করো

রাইসা খান ফোনের লাইট অন করে একটা চিৎকার দেয়।

রেহান : খালা মনি কি হলো।
রাইসা খান: অন্তরা মা তুই এখানে

এতক্ষণে অন্তরা সেন্স হারিয়ে মায়ের বুকে ঢলে পরে।

রাইসা খান : এই কে আছিস আমার মেয়ে কে ধর এরা আমার মেয়েকে শেষ করে ফেললো

রাইসা খান এর কথায় রেহান আর অনি অন্তরা কে দেখে ধরে নিচে নিয়ে শুয়ে দেয়। বেচারি এতো মার খাবার পর বেচে আছে কি সন্দেহ ।

সবাই অন্তরার খাটের পাশে দাড়িয়ে আছে রাইসা খান ফুলছে। রিহা আর রুশ মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে ।

একটু আগে ডক্টর এসে দেখে গেছে ওষুধ ও লিখে দিয়েছে অন্তরা কে ঘুমের ওষুধ দিয়েছে। অন্তরার দাদী ঘুমের ওষুধ খায় সেই জন্য টের পাইনি।

রাইসা খান : দিলে তো আমার সোনামনিকে শেষ করে হেগো আমার আমার মেয়ে তোমার কোন পাকা ধানে মই লাগিয়েছিল
রুশ : আন্টি রিহা তো ধান লাগাইনি তাহলে
মাইশা চৌধুরী : রুশ চুপ করে থাক

রেহান আর অনি মুচকি মুচকি হাসছে।

অনি : ভাই যাই কস না কেনো আমার বউ কিন্ত খুব কিউট (ফিসফিসিয়ে)
রেহান : যা মার দিলো এখন ত অন্তরার করুন অবস্থা । তবে মার টা কিন্ত সেই ছিল
অনি : হা হা হা

রাইসা : আমার মেয়ে টাকে একদম শেষ করে দিয়েছে আমার মানিক কিভাবে শুয়ে আছে
রিহা : আন্টি আমরা কি বুঝতে পারছি অন্তরা আপু এতো রাতে ছাদে ছিল তার উপর আবার একটা ছেলের সাথে
রেহান : কোন ছেলে ?

রিহা কে বলতে না দিয়ে রাইসা খান বলে

রাইসা খান : চুপ থাকো আমার মানিক এর এই অবস্থায় তোমরা ওসব কথা বলছো আমার সোনামনিকে নিয়ে তোমাদের দেখি কোনো চিন্তা নেই আমার মানিক ঠিক আছে বলে ছেরে দিলাম কিছু হলে না তোমাদের সবার নামে কেস করতাম
রুশ : এতে আমাদের কি দোষ আপনি নিজে ও তো মারছেন
মাইশা চৌধুরী : রেহান তোমরা ঘরে যাও দরকার পরলে আমরা ডেকে নিবো
রেহান : আচ্ছা

রেহান , রিহা আর অনি, রুশ নিজেদের রুমে যায় ।

রিহা তোর মনে মনে ড্যান্স করতে ইচ্ছা করছে

রিহা : নাচ মেরে লেইলা নাচ মেরে লেইলা লেইলা 💃 (মনে মনে)

রেহান ভ্রু কুচকে রিহার দিকে তাকিয়ে আছে

রিহা : ওভাবে তাকিয়ে কি দেখছেন আমি কি ইচ্ছা করে করছি নাকি
রেহান: এতো রাতে ছাদে কি করতে গিয়েছিলে ?
রিহা : আমার বিএফ আসছিল তো তাই দেখা করতে গিয়েছিলাম আজব প্রশ্ন ঘুম আসছিলো না তাই গিয়েছিলাম আর আমি কি ইচ্ছা করে করছি আমি কি করে জানবো ওটা চোর না অন্তরা আপু (অভিমানী কণ্ঠে)

রেহান রিহাকে নিজের কোলে বসায়
রেহান : আমি তোমাকে কি কিছু বলছি আমি জানি তো তুমি কখনো ইচ্ছা করে কাউকে কষ্ট দিতে পারো না আমার রিহা ওমন না
রিহা : হ্ন সেই জন্য তো ঘরে ঢুকার আগেই প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন
রেহান : আমি তো ওভাবে বলিনি আমার কি জানার অধিকার নেই আর তোমার ঘুম ভাঙছে আমাকে ডাকতে পারতে
রিহা : আপনি তো কি সুন্দর করে ঘুমিয়েছে একদম বিড়াল ছানার মতো
রেহান : তাই (মুচকি হেসে)
রিহা : হুম
রেহান : আচ্ছা এখন ঘুমিয়ে পরো
রিহা : আচ্ছা

রিহা শুয়ে পরে সাথে রেহান ও। রিহাকে বুকে নিয়ে রেহান ঘুমের দেশে পাড়ি জমায়।

এদিকে
অন্তরা ঘুমিয়ে আছে। মাইশা চৌধুরী আর রাইসা খান অন্তরার মাথার কাছে বসে আসে।

মাইশা চৌধুরী : রাইসা তুই রিহার সাথে ওমন ব্যাবহার করে ঠিক করিস নি ও কি করে বুঝবে তুই বল
রাইসা খান : আমি এখন এই নিয়ে কথা বলতে চাই না আমার মেয়েটা এখন অসুস্থ এই নিয়ে পরে কথা বলা যাবে
মাইশা চৌধুরী : তোর কি একার মেয়ে আমার মেয়ে বুঝি না
রাইসা খান : মনে তো হচ্ছে না
মাইশা : রাইসু
রাইসা খান: এখন এসব বাদ দে কাল দেখা যাবে

সকালে
রিহা ঘুম থেকে উঠে দেখে দেখে রেহান ওর দিকে তাকিয়ে আছে

রিহা : ওভাবে তাকিয়ে কি দেখছেন ?
রেহান : আমার বউ কে দেখছি তোমার কোনো সমস্যা
রিহা : অন্তরা আপুকে দেখতে গেছেন ?
রেহান : না এক সাথে যাবো
রিহা : আচ্ছা আপনি দাড়ান আমি ফ্রেশ হয়ে আসি
রেহান : হুম

রিহা ফ্রেশ হয়ে আসে তখনই দরজায় টুকা পরে । রিহা দরজা খুলে দেখে রাইসা খান

রিহা ভাবছে হইতো কোনো বাজে কথা বলবে কালকের বেপারে জন্য রেহান ও উঠে আসে কিন্ত ওদের অবাক করে দিয়ে রাইসা খান রিহাকে জড়িয়ে ধরে।

চলবে

#গ্যাংস্টার_লাভ
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
#পার্ট_৩০

রিহা অবক হয়ে দাড়িয়ে আছে সাথে রেহান ও।

রাইসা খান : i am sorry বাচ্চা আমি বুঝতে পারিনি আমায় মাপ করে দাও সত্যি আমি খুব খারাপ নিজের মেয়েকে ওভাবে দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি সরি আমাকে মাপ করবে না আমি তো তোমার মা এর মত তাই না
রিহা….
রাইসা : কিহলো আমাকে মাপ করবে না

রেহান রিহার কাধে হাত রাখে রিহা নিজেকে ঠিক করে বলে

রিহা : আপনি ওভাবে বলছেন কেনো আপনার তো এতে দোষ নেই
রাইসা খান : কারোর দোষ নেই সব ভাগ্যের দোষ আগে বলো আমাকে মাপ করছো কি না ?
রেহান : আরে খালামণি মাপ করার কথা কেনো আসছে ও তো তোমার ছোটো আর একটু আগে বললে মেয়ে তাহলে সন্তান এর আছে কি মা মাও চায়
রিহা : রেহান তো ঠিক বলছে আপনি এভাবে আমাকে ছোটো করবেন না ভুল টা কারেন্ট এর ছিল নাহলে কি অন্তরা আপুকে চিনতে ভুল করি

সবাই হেসে দেয় ।
রাইসা খান : আমার মেয়ে টা তো অনেক কথা জানে দেখছি এখন তাড়াতাড়ি রেডী হয়ে নাও
রিহা : কোথাও কি যাচ্ছি
রাইসা খান : হা পাশের গ্রামে মেলা বসছে তোমরা তো আগে কখনো যাওনি
রিহা : কি মেলা wow আমি শুধু বই এ পড়ছি
রাইসা খান : আজ না হয় রিয়াল দেখো
রিহা : কিন্ত অন্তরা আপু
রাইসা খান : সবাই যাবো অন্তরা এখন অনেক টা সুস্থ
রেহান : তাহলে তো ভালো হলো
রাইসা খান : হুম রেডী হয়ে নাও
রেহান : আচ্ছা

রাইসা খান চলে যেতেই রিহা লাফিয়ে উঠে
রিহা : ইয়ে কত মজা হবে
রেহান : বাবা কত খুশি
রিহা : আমার কত দিন এর ইচ্ছা ছিল মামনি যখন আমাকে বলেছিল আমরা গ্রামে যাবো তখন থেকে ভেবে রেখেছিলাম মেলায় যাবো শহরে ত বই মেলা হয় আজ আমি অনেক ঘুরবো

রিহা : আচ্ছা রেহান কোনটা পড়বো বলেন তো
রেহান : একটা পরলেই হলো আমি তো দেখবো তোমাকে আর কেউ ত না
রিহা : হা আপনারে তো কইছে
রেহান : বলছে তো আমার বউ এর দিকে অন্য কেউ চোখ তুলে তাকালে চোখ তুলে নেবো
রিহা : শুরু আপনার #গ্যাংস্টার_গিরি
রেহান : হুম
রিহা : আপনার সাথে কথা বলে সময় নষ্ট করতে চাই না

রিহা একটা ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে যায়। রেহান কফি আনতে যায়। সকালে কফি না খেলে উনার দিন চলে না ।

রিহা রেডী হয়ে দেখে রেহান এখনও রেডী না

রিহা : কিহলো আপনি রেডি হন নি কেনো দেরি হয়ে যাবে তো হুম
রেহান : আরে বাবা সকালে খাবার খেয়ে তারপর বের হবো
রিহা : তাও আপনি রেডী হন যান আগে যান
রেহান : আরে এতো তাড়া কিসের
রিহা : কোনো কথা না যান

রিহা রেহান এর হাত থেকে কফি নিয়ে রেহান কে ঠেলতে ঠেলতে বাথরুমে পাঠায়। রিহা বসে রেডী হতে থাকে । চোখে কাজল ঠোঁটে লিপিস্টিক । পুরাই গ্রামের মেয়ের মতো হালকা সাজ।

(না মানে আগের গ্রামের মেয়ে গুলো এভাবে সাজত এখন মেকআপ এসে সব শেষ)

রিহা রেহান এর জন্য অপেক্ষা না করে নিচে যায়। সবাই নিচে বসে আছে অন্তরা ও আছে

রিহা : এখন কেমন লাগছে অন্তরা আপু (বসতে বসতে )
অন্তরা : ভালো আছি
রাইসা খান : আয় মা বস আমার মা কে তো একদম পরির মত লাগছে

রুশ কাশতে শুরু করে । অনি রুশ কে পানি দেয়।

মাইশা চৌধুরী : ঠিক আছিস তো ?
রুশ : হুম

রাইসা খান রিহা কে খাবার দিচ্ছে রুশ ইশারা করে রিহাকে বলছে। রিহা ও ইশারা করে চুপ থাকতে বলে

মাইশা চৌধুরী : রিহা রেহান কই
রিহা : উনি তো
অনি : ওই তো আসছে

সবাই তাকিয়ে দেখে রেহান আসছে । রিহার সাথে ম্যাচিং করে ব্লু শার্ট ব্ল্যাক জিন্স পড়েছে। রিহা তো হা করে তাকিয়ে আছে। যেমন প্রথম দিন ক্রাশ খাইছিল

রিহার খেয়াল নেই কখন রেহান ওর পাশে বসছে। রুশ এর কাশিতে রেহান এর হুস ফিরে।

রিহা লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে । রাইসা খান রিহার খাবার দিচ্ছে রেহান দুষ্টুমি করে বলে

রেহান : এটা ঠিক না শুধু ছেলের বউ কে দিলে হবে আমার দিকে কারোর নজর নেই
মাইশা চৌধুরী : ছেলে এখন পর বৌমা এখন সব বুঝছো
রেহান : ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি

রেহান উঠে দাড়ায়। রাইসা খান আটকাতে গিলে মাইশা চৌধুরী বারন করে

রেহান : আমি কিন্ত চলে যাচ্ছি
অনি : গাড়ির চাবি কি দেবো
রেহান : মজা করবি না আমি সত্যি সত্যি চলে যাচ্ছি
মাইশা চৌধুরী : অনি ওকে মনে হয় এগিয়ে দিয়ে আসতে হবে যা তো

রেহান বসে পড়ে
রেহান : কোথাও যাবো না আমি আমার বাড়ি আমার সব আমার বউ রেখে আমি কই যাবো

সবাই হেসে দেয়। রিহা রেহান এর কানে ফিসফিস করে বলে

রিহা : যেও তো দেখান পা কেটে আপনার হাতে ধরিয়ে না দিলে আমার নাম রিহা না
রেহান : আচ্ছা

বলে গালে ভালোবাসা দেয়। রিহা স্তব্ধ । আশে পাশে তাকিয়ে দেখে কেউ দেখেনি রিহা রেহান যে চিমটি কাটে

সবাই খাওয়া শেষ করে বের হবে।

রেহান রিহাকে ওর পাশে বসতে বলে কিন্ত ও রুশ এর সাথে বসে ।

রেহান : এই মেয়েকে নিয়ে যে আমি কি করবো

বেচারা আর কি করবে ড্রাইভিং সিটে বসে পরে । পাশে অনি । দুইজনের এক অবস্থা । অন্তরা রিহাদের সাথে বসতে চায় কিন্ত ওর শরীর ভালো না তাই ওর আম্মুর সাথে বসে

অন্য গাড়িতে মাইশা চৌধুরী আর রাইসা খান।

গাড়ি চলছে আপন গতিতে রুশ আর রিহা মনে হয় পিকনিক করছে । গান ছেরে গানের সাথে নাচছে ।

রেহান লুকিং গ্লাস এ রিহা কে দেখছে।

অনি : এই তোমরা কি শুরু করছি এমনি রাস্তা ভালো না তার উপর তোমরা এভাবে নাচ্ছো মনে হচ্ছে তোমাদের বিয়ে হবে
রুশ : এই তুমি বেশি কথা বলো না ধাক্কা মেরে গাড়ি থেকে বের করে দেবো
রিহা : ঠিক বলেছিস চল এই দুটোকে ধাক্কা মেরে ফেলে দি
রেহান : ওতো বল হয়ে পারেনি ফু মারলে যাবে উরে
রিহা : হ্ন আয়ছে বডি বিল্ডার( ভেংচি কেটে)
রেহান : তাই তো

রিহা : রুশ বাদ দে তো এদের সাথে কথা বলে নিজেদের টাইম নষ্ট করা ফাউ।
রুশ : ঠিক বলছিস
অনি : আমাদের ওতো ফালতু টাইম নেই

বলে অনি আর রেহান হাই ফাইভ করে।

রিহা আর রুশ ভেংচি কাটে।

কিছুক্ষণের মধ্যে ওরা চলে আসে । সবাই গাড়ি থেকে নেমে দাড়ায় । অনেক ভিড়

অনি রুশ এর হাত ধরে এতো ভিড়ের মধ্যে যদি হারিয়ে যায়। বেচারা রেহান এর তো পথ নেই রিহা ওর মামনির হাত ধরে আছে ।

সবাই যে যার মতো ঘুরছে রেহান রিহার হাত ধরে টেনে আনে।

রিহা : কিহলো ওভাবে আনলেন কেনো?
রেহান : চুপ

রেহান রিহার হাতে নিল কাচের চুড়ি পরিয়ে দেয়।
রেহান : তোমার মধ্যে তো কোনো ফিলিং নেই তাই আমাকে জোর করতে হয়।
রিহা : হইছে আমি কিছু কিনবো আমি দেখবেন
রেহান : যা হুকুম মহারানীর

রিহা অনেককিছু কিনে । ওর মামনির যেখানে বসে ছিল ওখানে যায় । রাইসা খান রিহাকে পানি দেয়। রিহা পানি খেয়ে বসে পরে। রেহান মাইশা চৌধুরী কে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছে । সাথে আন্তরা আছে ।

কিছুক্ষণ পর হটাৎ রিহার মাথা ঘুরে ।

রাইসা খান : কিহলো রিহা শরীর খারাপ লাগছে
রিহা : মাথা একটু ঘুরছে অনেক রোদ তো তাই রাইসা খান : বেশি বেশি করে খেতে হয় তাহলে আর কিছু হয় না । বেশি শরীর খারাপ লাগল বাসায় যাও
রিহা : রেহান
রাইসা খান : আমি ওকে বলে দেবো তুমি গাড়ি নিয়ে বাসায় যাও

রাইসা খান এর জোরাজুরিতে রিহা গাড়ি নিয়ে বাসার যায়।

মাঝ পথে যেতেই রিহার গাড়ির সামনে কেউ এসে দাড়ায় রিহা তাড়াতাড়ি ব্রেক মারে। গাড়ি থেকে নেমে বলে

রিহা : এই স্টুপিড দেখে চলতে পারো না ।

রিহা আর কিছু বুঝে উঠার আগেই সেন্সলেস হয়ে যায় । রাইহান একটা বাকা হেসে রিহাকে কোলে তুলে গাড়িতে উঠিয়ে বাড়ির দিকে যায়।

এদিকে
সবাই অনেকটা ঘুরার পর এক জায়গায় বসে পরে।

রুশ : রিহা কোথায় গেলো ? রেহান ভাইয়ার সাথে নাকি
অন্তরা : না রেহান ওর বন্ধুর সাথে আছে । ওর কোন বন্ধুর সাথে দেখা সেজন্যই ওদের সাথে আছে ।
রাইসা খান : রিহা তো বাড়ির দিকে গেছে
মাইশা চৌধুরী : কি একা একা কি করে গেলো
অন্তরা : আমি তো ওকে আমাদের বাড়ির পাশের রাইহান এর সাথে যেতে দেখলাম । ওর সাথেই গেছে হইতো
রুশ : আচ্ছা এখন বাসায় গিয়ে দেখি রিহা তো ওখানে থাকবে
মাইশা চৌধুরী : হুম চল

সবাই বাসার দিকে যায়। রুশ এর তো খুব টেনশন হচ্ছে । রিহা না বুঝে কোনো বিপদে পরে যাইনি তো ।

কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় পৌছে যায়।

রুশ : আমি দেখছি রিহা আছে কি না
রাইসা খান : চলো আমরা দেখছি ওর শরীর তো ভালো লাগছিলো না

সবাই মিলে রিহার রুমে যায় । রুমের দরজা খুলে সবাই স্তব্ধ । এমন কিছু দেখবে ওরা কখনই ভাবতে পারে নি । মাইশা চৌধুরী লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে

চলবে