ছিলাম তো তোমারই পাশে পর্ব-১১

0
2818

#ছিলাম_তো_তোমারই_পাশে
#পর্ব_11
Writer::Shaanj Nahar Sanjida


কি হলো বলবি?(কলি ভ্রু কুঁচকে)

খেতে দাও।এইভাবে খুন্তি নিয়ে দাড়িয়ে থাকার তো কোনো মানেই হয় না!(আমি মুখে নুডুলস নিয়ে)

তাই নাকি? তাহলে খাওয়া হলে এখান থেকে যা।আর শুন ছায়া পড়ে গিয়ে পা মচকে ফেলেছে।গিয়ে দেখে আয়!এখানে বসে বসে আমাকে না জ্বালিয়ে।(কলি)

ও আবার কি করে পা ভাঙলো?(আমি অবাক হয়ে)

আমাকে কেনো জিজ্ঞেস করছিস?নিজে ওকেই জিজ্ঞেস কর!(কলি চেঁচিয়ে)

যাচ্ছি যাচ্ছি।এতো চেঁচানোর কি আছে?
বলেই আমি নুডুলসের বাটি রেখে বাহিরে হাঁটা ধরলাম।

আজ কি হয়েছে একে তো হাসতে পারছি না।অন্যদিকে মাও এতো গুলো বকা দিয়ে দিলো।এখন কি হবে আমার?দেখি ছায়াছবি আমাকে কোনো ভাবে হাসাতে পারে কি না?

বলেই ছায়ার কাছে গেলাম।গিয়ে দেখি উনি আয়ুশ এর সাথে গামের মতো লেগে আছে।যে ছায়া আমাকে ছাড়া কিছু বুঝতো না।সেই ছায়া এখন যেমন আমাকে চেনেই না।সবাই সেলফিশ হয়ে গেছে।এদিকে আমি এসেছি যাতে ও আমাকে হাসাতে পারে অন্যদিকে ওর কান্ড দেখে আমি হাত পা ছড়িয়ে কাদতে ইচ্ছে করছে।তবুও আমি ছায়ার কাছে গেলাম
তুই নাকি পরে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছিস?কি করে হলো এইটা? (আমি ওর পাশে বসে)

আসলে আমি ক্ষেত দিয়ে হাঁটতে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছি।(ছায়া ভয়ে ভয়ে)

তোকে কে খেতে গিয়ে নাচতে বলেছে?(আমি রাগে)

আসলে আস্থা আমি বলেছিলাম।(আয়ুশ মাঝ খানে ঢুকে)

নাচতে?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

না। খেতে হাঁটতে।(আয়ুশ অবাক হয়ে)

কেনো?(আমি রাগে)

পরেই আয়ুশ আমাকে সব খুলে বললো আয়ুশ।
সব ঠিক আছে আমার জন্য খেজুরের রস আনো নি কেনো?(আমি ঠোঁট ফুলিয়ে)

আয়ুশ আর ছায়া আমার কথা শুনে অবাক।
একটু আগে তো তুমি আমার ব্যাথা পাওয়া নিয়ে অনেক চিন্তিত ছিলে।কিন্তু এখন তোমার রস নিয়ে চিন্তা হচ্ছে।(ছায়া)

তুই ঠিক হয়ে যাবি তোর উপর আমার ভরসা আছে।কিন্তু আমার খেজুরের রস।
বলেই আমি আবার বিরহ নিয়ে উঠে পড়লাম।এখানেও এসেছিলাম হাসতে কিন্তু মন খারাপ নিয়ে চললাম।সবাই আমার দুশমন।ছায়া আর আয়ুশ অবাক হয়ে আমার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।

এইভাবে বাবার কাছেও গেলাম।উনি রীতিমত আমাকে ধমক দিয়ে দিলো।এভাবে সবাইকে জ্বালাতে জ্বালাতে আমি সারা বিকেল পার করলাম।


সন্ধ্যায়
সব ছোটো গুলো যেমন আমি,,ছায়া,,আভি,আয়ুশ,,তুলি,,তিশা,,ডালিয়া,,নিহাল ভাইয়া,,নিহাল ভাইয়ার ছোটো বোন নেহা আর উনাদের পক্ষের আরো ছেলে মেয়েরা এক সাথে বসে বসে ভাবছি হলুদে কি করা যায়?নিহাল ভাইয়া আর ডালিয়ার হলুদ একদিনে।তাই এতো আয়োজন। আমি তো খুব খুশি গ্রামের এই প্রথম দেখা।কিন্তু আমি তো সেই একটুও হাসতে পারছি না।তাই চুপ করে বসে আছি।
আস্থা।কি হয়েছে?তুমি এত চুপচাপ এইটা তো তোমার স্বভাব না?(আভি,,আমার আর তুলির মাঝখানে বসেছে।)

আমি নিজেও ভুলে গেছি আমার স্বভাব কেমন?(আমি অন্যমনস্ক হয়ে)

মানে?(আভি অবাক হয়ে)

কিছু না।আমার মন খারাপ তো তাই!(আমি নখ কামড়াতে কামড়াতে)

কেনো মন খারাপ আমাকে বলো?আমি ঠিক করে দিচ্ছি!(আভি মুচকি হেসে)

কারণ জানলে তো আমিই ঠিক করে নিতাম!(আমি আভির দিকে তাকিয়ে)

মানে?(আভি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে)

মানে কিছু মন খারাপের কারণ অজানা থাকে।এখন ওদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন!(আমি সামনের দিকে তাকিয়ে)

এই মেয়েকে সত্যিই আমি বুঝি না।কখনও বাচ্চাদের মত পাগলামি করে কখনও আবার বড়োদের মত কথা বলে।কি যে কখন করে মেয়েটা বুঝতেই পারি না।(আভি মনে মনে)

আভি কি হলো কি ভাবছো?(তুলি)

কিছু না।(আভি)

আমি জানি তোমার মনে এখন আস্থা চলছে।কিন্তু আমি থাকতে আস্থাকে কিছুতেই তোমার জীবনের সাথে জড়াবে না।(তুলি মনে মনে)


অবশেষে সবাই মিলে ঠিক করলো নাচের কম্পিটিশন হবে।সবাই জুটি হয়ে নাচবে।যেহেতু ছায়ার পা ব্যাথা তাই ও নাচতে পারবে না।তাই আমিও ভাবলাম নাচবো না।তাই জুটি তৈরি হলো আভি আর তুলির,,আয়ুশ আর তিশার,,ডালিয়া আর নিহাল তো আছেই এইরকম করে আরো কয়েকটা জুটি তৈরি হলো।
কিন্তু বাদ পড়ে গেলো একটা মেয়ে।এইটাই সেই মেয়ে যার আমাদের সাথে থাকার কথা।নিহাল ভাইয়ার কাজিন।মেয়েটার নাম নিতু।আর ওর জুটিহীন থাকার কারণ হচ্ছে ও অনেক মোটা।বলতে গেলে অতিরিক্ত মোটা।যার কারণে সবার ভয় ওর সাথে থাকলে নির্ঘাত হারবে।সবাই তো জিতেই চায়।এইটাই মানুষের স্বভাব।

নিতু আপু তুমি বরং চেয়ারে বসে বসে আমাদের জন্য হাত তালি দিবে!(তিশা মজা নিয়ে)

হ্যা।এইটাই তোমার দ্বারা হবে।নাচতে তো পারবে না।(বর পক্ষের একটা মেয়ে)

আরে ও নাচলে তো স্টেজ ভেঙ্গে পড়বে!সবারই তো হারার ভয় আছে।ওর সাথে থাকলে নির্ঘাত হারবে(কনে পক্ষের একটা ছেলে)

এইজন্যই কেউ উনার জুটি হতে চায় না।(তিশা)

নিতু নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।ওর তো দোষ না। ও মোটা এতে ওর দোষ কি? মোটা মানুষের কি আনন্দ করার ইচ্ছে নেই।উনাদের কি নাচ গান করার ইচ্ছে নেই।আছে তো।এই পৃথিবীতে সবারই হাসি খুশি আনন্দে থাকার অধিকার আছে।
আর কেমন লোক এরা।মানুষের বাহিরের টাই সব সময় দেখলো।ভিতরটা দেখলো না।আর পৃথিবীতে তারাই ব্যার্থ যারা মানুষের বাহির আস্তরণ দেখে মানুষকে বিচার করে।আর আফসোস আমার আশে পাশে এখন এই মানুষ গুলো ভরে আছে।কিন্তু আমি তো আর এদের মতো না।তাই আমি সবার সামনে গিয়ে উঠে গিয়ে নিতু আপুর কাছে গিয়ে বসলাম।আভি সহ সবাই আমার কান্ড দেখে অবাক হয়ে গেলো।
নিতু আপু।আমি তোমাকে আপু বলে ডাকি।তুমি তো আমার বড়ো তাই না?তুমি কি আমার ডান্স পার্টনার হবে?(আমি)

কিন্তু ডান্স পার্টনার এ মেয়ে আর ছেলে জুটি লাগে!(তুলি)

হুম।এখানে শুধু জুটির কথা বলছে।বোনের জুটিও তো জুটির মধ্যে পড়ে!তাই না ডালিয়া?(আমি)

হুম।এখানে তো আর রুলস্ নেই যে ছেলে আর মেয়েই জুটি হতে হবে।মেয়ে মেয়েও হতে পারে।(ডালিয়া)

ইস।এই মুটির সাথে ডান্স করে জিতবে নাকি?মজা করছো?(কণে পক্ষের ছেলেটা)

তুমিই না বলেছিলে সবার ভয় ওর সাথে থাকলে নির্ঘাত হারবে।তোমার জানার জন্য বলছি আমি ভয় পাই না।না হারার ভয় আমার আছে না জিতার লোভ তোমাদের মতো।কিন্তু হা মাথা থেকে পা পর্যন্ত কিন্তু রাগ ঠিকই আছে।আরেকটা বাজে কথা বললে এমনভাবে হাত পা ভাঙ্গবো যে নাচার শখ মিটে যাবে।(আমি দাত চেপে চেপে)

ছেলেটা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে চুপ হয়ে গেলো।

কিন্তু আমার সাথে নাচলে সবাই তোমায় নিয়ে হাসবে!তুমি জিতেও পারবে না।(নিতু)

তুমি নাচতে চাও তো তাই না?(আমি)

হুম।কিন্তু।(নিতু)

কোনো কিন্তু না।এখন শুনো আমরাও জিতবো!(আমি)

সবাই আমার দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে।

আমরা জিতবো কি জানো?আমার জিতবো আমাদের খুশি আমাদের আনন্দ।বিয়ে বাড়ীতে মানুষ কেনো আসে বলতো?মজা করতে আনন্দ করতে।আমরা মজা করবো,,আনন্দ করবো।আর এইটাই হবে আমাদের পুরস্কার।তুমি এই পুরস্কার পেলে খুশি তো?(আমি)

হুম(নিতু মনমরা হয়ে)

আরে পুরো লাইফটাই তো একটা কম্পিটিশন।ওই কম্পিটিশনের না হয় হার জিত রেখে দিলাম।এই কম্পিটিশনে না হয় আমাদের খুশিই প্রধান হলো।(আমি)

থ্যাঙ্ক ইউ।তোমার নাম যেনো কি?(নিতু খুশি হয়ে)

আমি আস্থা।(আমি হেসে)

তাহলে তো আরেকটা জুটি এসেই পড়লো।তাহলে আর কি সবাই কম্পিটিশনের জন্য তৈরি হও।(ডালিয়া)

হ্যা।এখন আমরা অন্য টপিকে যাই।(তুলি)
পরেই আমরা অন্য কিছু নিয়ে কথা বলতে শুরু করলাম।

আস্থা সত্যিই তুমি অসাধারণ।সব কিছু কি সহজেই বুঝে যাও তুমি।সব কিছু কতো সহজেই মানিয়ে নাও।প্রতিটা মুহূর্ত যেনো একটা চ্যালেঞ্জ হয় তোমার কাছে।তোমাকে যত দেখছি তত মুগ্ধ হচ্ছি আস্থা।তোমাকে কেনো জানো খুব জানতে ইচ্ছে করছে।তুমি কি রাগের মাথায় আমার ব্রেক আপ করিয়ে দেয়া আস্থা।নাকি বিকেলে বাচ্চাদের মত ঠোঁট ফুলিয়ে বসে থাকা আস্থা।নাকি একটু আগে বড়োদের মত কথা বলে এক গম্ভীর আস্থা।আর নাকি এখন নিতুর সামনে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়া আস্থা।
কেনো জানি মনে হচ্ছে তুমি #আমার_পাশেই_আছো_কিন্তু_আমিই_চিনতে_পারছি_না।কেনো হচ্ছে আমার।কিছু যেনো আমাকে আকর্ষণ করছে আস্থার দিকে।কিন্তু কি সেই জিনিস?কি সেই ফিলিংস? সব কিছুই কেমন যেনো হয়ে যাচ্ছে।সব কিছু কেমন যেনো গুলিয়ে যাচ্ছে।

আভির হুশ ফিরল তুলির ধাক্কায়।
কী হলো আভি? বলো আমরা কি গানে নাচবো?(তুলি)

তুমি যেই গান ভালো বুঝো।আমি তো গান বেশি বুঝি না।(আভি)

ওকে।(তুলি)

আমি আর নিতু আপু গান নিয়ে কথা বলছিলাম তখনই ছায়া ডাক দিলো

আসুপি?(ছায়া)

হুম।ছায়া বল।(আমি)

আমি একটু রুমে যাবো।আমার ঘুম পেয়েছে।আমাকে নিয়ে চলো।(ছায়া)

আমরা বরং রুমে গিয়েই ঠিক করি কি গানে নাচবো।(নিতু)

ওকে আপু।চলো আমরা বরং যাই।আচ্ছা ডালিয়া অনেক রাত হয়ে গেছে আমরা বরং রুমে যাই।(আমি)

এখনই যাবে?(ডালিয়া)

ছায়ার ঘুম পেয়েছে।এখন ওর রেস্ট দরকার।(আমি)

ও।আচ্ছা যাও।(ডালিয়া)

তোমরা থাকো মজা করো।
বলেই আমি ছায়াকে তুলে ছাদ থেকে নামতে যাবো তখনই আমি ওকে বললাম
আয়ুশকে বলবি না তুই চলে যাচ্ছিস?(আমি)

আমি কি বাচ্চা নাকি?আর ও কে আমার বন্ধুই তো। ওকে কেনো আমায় সব কথা বলতে হবে।তুমি যদি নিয়ে যেতে পারো নিয়ে যাও।না হলে আমি একাই যেতে পারবো।(ছায়া রেগে)

সিড়ি থেকে এমন ধাক্কা দিবো।আগে তো পায়ে ব্যাথা পেয়েছিস এখন হাড্ডি ভাঙবে।একদম মেজাজ দেখাবি না।রুমে চল সেখানে গিয়েই বলবি কি হয়েছে তোর?(আমি আরো রাগ দেখিয়ে)

কই তুমি আমাকে শান্তনা দিবে তা না আরো হাড্ডি ভাঙার কথা বলছো।(ছায়া)

আমি।এমনি এখন চল।
বলেই আমি ছায়া আর নিতু রুমে চলে আসলাম।


এখন বল কি হয়েছে?(আমি ছায়াকে বসিয়ে ওর গালে হাত দিয়ে ওর সামনে হাঁটু গেড়ে বসলাম)

আসুপি।আয়ুশ না,,, কেমন যেনো?(ছায়ার চোখ ছলছল করছে)

কেমন?(আমি সন্দেহর দৃষ্টিতে)

ও যখনই আমার পাশে তখনই অন্য মেয়েদের কথা বলে।মাঝে মধ্যে আমার সামনেই মেয়েদের সাথে ফ্লাট করে।আমার খুব খারাপ লাগে!(ছায়া কাদতে কাদতে)

আমি আর নিতু একে অপরের দিকে তাকালাম।

ছায়া আবার বলতে শুরু করলো
আজকে আমার পায়ে ব্যাথা পেয়েছি বলে আমি নাচতে পারছি না।কিন্তু আয়ুশ কেনো নাচছে জানো?(ছায়া)

কেনো?(নিতু)

আমি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।

কারণ বর পক্ষের একটা মেয়েকে ওর অনেক পছন্দ হয়েছে।মেয়েটা নাম নেহা।ওকে পটানোর জন্য।আমার সামনে ও অন্য মেয়েকে পছন্দ করে ওকে পটানোর চেষ্টা করছে।আমার খুব খারাপ লাগছে আসুপি।
বলেই ছায়া আমাকে জড়িয়ে ধরে কাদতে শুরু করলো।

নেহা।নিহাল ভাইয়ার ছোটো বোন!(নিতু)

আমি নিতু আপুর দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম।পরেই নিজেকে স্বাভাবিক করে ছায়াকে সামলাতে শুরু করলাম।
ছায়া তুই কি কোনো ভাবে আয়ুশকে ভালোবেসে ফেলেছিস?(আমি ওকে সামনে বসিয়ে)

ছায়া মাথা নিচু করে আছে।আমাদের বোনদের সম্পর্ক এমন যে আমাদের বলতে হয় না একে অপরের মনের কথা আমরা এমনি জেনে যাই।আমি ছায়ার এই চুপ করে থাকার অর্থ জেনে গেছি।

ছায়া শুন।তুই আর আয়ুশ একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।যা কখনো এক হতে পারে না।আয়ুশ তোকে শুধু বন্ধু হিসেবে দেখে তুই যদি ওকে অন্য নজরে দেখিস তাহলে তা কিন্তু বোকামি।আয়ুশ একজন প্লে বয়।মানুষ যেমন জামা পাল্টায় ও তেমন করে মেয়ে পাল্টায় আর তুই জীবনে ছেলেদের সাথে কথা বলা তো দূরে থাক জীবনে তাদের কাছেও যাস নি।তুই আর আয়ুশ অসম্ভব।তাই নিজের অনুভুতি গুলোকে সংযত কর।নাহলে কষ্ট পাবি। ও কোনো দিন তোর ছিলো না ওকে তোর বানানো বোকামি ছাড়া কিছু না।(আমি)

কিন্তু আসুপি।আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি এখন কি করবো?(ছায়া)

ভালোবাসা তোর একে কাবু করার দায়িত্বও তোর।(আমি)

আমি একটা চেষ্টা করি আপু?(ছায়া)

কিন্তু,,,
আমাকে থামিয়ে নিতু আপু বললো,,
আস্থা একটা চেষ্টা করতে দাও।নাহলে আফসোস থাকবে ওর।(নিতু)

ঠিক আছে।কিন্তু আমাকে প্রমিজ কর।এই চেষ্টায় যদি সফল না হোস তাহলে সারাজীবনের জন্য আয়ুশ এর ভুত মাথা থেকে ফেলে দিবি!(আমি)

প্রমিজ করছি।যদি আমি সফল না হয়ে তাহলে কখনও আয়ুশ এর কথা নিজের মুখেও আনবো না।(ছায়া)

ওকে
বলেই আমি ছায়াকে জড়িয়ে ধরলাম।ছায়াও আমাকে জড়িয়ে ধরলো। নিতু আপু আমাদের দেখে হাসতে লাগলো।


চলবে,,,