ছিলাম তো তোমারই পাশে পর্ব-১৩

0
2827

#ছিলাম_তো_তোমারই_পাশে
#পর্ব_13
Writer:: Shaanj Nahar Sanjida


কি হলো আস্থা তুমি একা বসে আছো যে?(আভি আমার কাঁধে হাত রেখে)

একা আকাশ দেখছি।খুব সুন্দর আজকের আকাশ।দেখো কত তারা!(আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে)

হুম।আজকের আকাশটা অনেক সুন্দর।আমি বসি তোমার পাশে আকাশ দেখি।
বলেই আভি আমার পাশে বসে পড়লো।

আমি আর আভি দুজনই চুপ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি।যেনো কোনো এক নিরবতা আমাদের ঘিরে ধরেছে।কখনও কখনও চুপ করে থাকার মধ্যে এক আলাদা প্রশান্তি অনুভব করা যায় তা সেদিন আমি আর আভি ঠিকই বুঝতে পেরেছি।নিচ থেকে খুব জোড়ে গান বাজছে সবাই নাচানাচি করছে হয়তো।অনেক চিল্লাচিল্লিও হচ্ছে।কিন্তু সেই চিল্লাচিল্লি যেনো আভি আর আমার নীরবতাকে ভেদ করতে পারছে না।

অবশেষে আমিই নিরবতা ভেঙ্গে আভি কে প্রশ্ন করলাম
আভি?(আমি)

হুম!(আভি)

কিছু না।(আমি)

আস্থা কি হয়েছে তোমার আজ কেমন যেনো অদ্ভুত ব্যাবহার করছো!কিছু কি হয়েছে?হলে আমাকে বলতে পারো।আমি তো তোমার বন্ধু তাই না!(আভি আমার দিকে তাকিয়ে)

আপনি এখানে এসেছেন তা কি তুলি জানে?না জানলে ও কিন্তু অন্য কিছু মনে করবে।(আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে)

আস্থা আমি আর তুলি ছয় বছর ধরে এক সাথে ছিলাম ঠিকই।কিন্তু কেনো জানি ওর সাথে আমার সম্পর্ক কেমন হয়ে গেছে।(আভি আকাশের দিকে তাকিয়ে)

মানে?কেমন হয়ে গেছে?(আমি অবাক হয়ে আভির দিকে তাকিয়ে)

দেখো আমাদের সম্পর্ক ছয় বছরের কিন্তু ও কতো সহজে ভেঙ্গে চলে গিয়েছিল।এই ছয় বছরে কি আমাদের সম্পর্কের শক্তি এতই দূর্বল ছিলো যে এত সহজে ভেঙ্গে গেলো।এখন তো মনে হচ্ছে ও আমার উপর বিশ্বাসই করে না।(আভি)

দেখো সম্পর্ক তো ও ভাঙ্গে নি।ভেঙেছে আমার জন্য। তোমাদের সম্পর্ক ভাঙার জন্য দায়ী তো আমি।আর এখন তো ও তোমার জীবনে ফিরে এসেছে এখন তো তোমাদের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না।তাহলে?(আমি)

আচ্ছা।বাদ দাও।আমাদের হয়তো একটু সময় লাগবে ঠিক হতে।(আভি আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে)

তুমি ওকে অনেক ভালোবাসো তাই না?(আমি নিচের দিকে তাকিয়ে)

হুম। ও আমার প্রথম ভালোবাসা।প্রথম ভালোবাসা কখনো। ভুলা যায়না।আমিও ভুলতে পারবো না।তাই ভাবছি নতুন করে শুরু করবো আবার ওর সাথে।(আভি)

নতুন করে শুরু করবে তুলির সাথে?কেনো?তুলিই কেনো?অন্য কেউ না কেনো?
আমি এইসব কি ভাবছি?উনি তো তুলির সাথেই সব শুরু করবে!এতে তো আর নতুন কিছু না।পুরনো স্মৃতি ভুলে নতুন করে শুরু করাই তো ভালো।আমি আর এইসব নিয়ে ভাববো না।যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়েটা শেষ করে আমি ঢাকায় চলে যাবো ছায়াকে নিয়ে।এখানে থাকা আমার আর ছায়া দুজনের জন্যই খুব খারাপ হবে।দুই বোন অর্ধেক পাগল হয়ে গেছি পুরো পাগল হতে বেশি দেরি নেই আমাদের।(আমি মনে মনে)

কী ভাবছো আস্থা?(আভি)

ভাবছি।গায়ে হলুদ কি শেষ?(আমি)

হুম।এখন সবাই নাচানাচি করতে ব্যাস্ত।তুমি নাচবে না সবার সাথে?(আভি)

আসলে আমার কোনো ইচ্ছে নেই এখন নাচার।তুমি বরং নাচো।(আমি)

আমি কি আমার বন্ধুকে রেখে নাচতে পারি,,,
বলেই আভি উঠে আমাকে টেনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো আর সাথে সাথে গান বেজে উঠলো

((তোর সাথে সারা নিশি ভিজবো জোছনায়
চাঁদের আলো পড়বে ঝরে তোর মুখটায়

আদরে আদরে অন্তরে অন্তরে
মিশে রবো দুজনায়
আদরে আদরে অন্তরে অন্তরে
মিশে রবো))

গানটা কিন্তু আমার খুব ভালো লাগে চলো নাচি!
বলেই আভি আমার হাত ধরে নাচতে শুরু করলো।

আ,,,আরে,,,
আমি অবাক হয়ে শুধু ওর তালে তাল মেলাতে শুরু করলাম।

((তোর সাথে ভিজবো অঝোর বৃষ্টিতে
রংধনু খুজবো তোর অবুঝ দৃষ্টিতে
এইভাবে মিলে মিশে দুজনে চল এক হয়ে যাই
আদরে আদরে অন্তরে অন্তরে
মিশে রবো দুজনায়
আদরে আদরে অন্তরে অন্তরে
মিশে রবো দুজনায়))

আর অবশেষে আজ সারাদিন পর আমার মুখে সত্যিকারের হাসি ফুটলো।আর তাও আভির কারণে।আভি আমার মুখে আবার হাসি ফুটালো?কি হচ্ছে? এ কি মায়ায় বাধা পড়ে যাচ্ছি আমি।কেনো নিজেকে আটকাতে পারছি না।আভি,,,,,!
(আমি মনে মনে)


অন্যদিকে
ছায়া
না ছায়া কাদলে চলবে না তোকে আসুপির মত স্ট্রং হতে হবে।বাবা মা সব সময় শিখিয়েছে আমাদের বোনদের স্ট্রং হতে যাতে আমরা এই কঠিন দুনিয়ার কঠিন সত্যিই গুলোকে নির্ভয়ে কাটিয়ে উঠতে পারি।আসুপি কি বলেছিলো মনে নেই তোর?অন্ধকারে নিজের ছায়াও সঙ্গ ছেড়ে দেয়।এই জন্য নিজেকেই নিজের ছায়া হতে হয়।হতে পারি তুই আয়ুশ এর মত মানুষকে ভালোবেসেছিস কিন্তু এখন এইটা ফেস কর।এই অন্ধকার ঘর শুধু তোকে অন্ধকারে নিয়ে যাবে।যে তোর ভাবনা নিয়ে খেলা করেছে তোর বন্ধুত্ব নিয়ে যে মজা করেছে তাকে এইভাবে ছেড়ে দিতে পারিস না তুই ছায়া।ভাব আসুপি থাকলে কিভাবে ফেস করতো।কি করতো?
(ছায়া আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে নিজে কথাগুলো বলতে লাগলো)

পেয়ে গেছি।আমি কি করবো!
বলেই রুমের দরজা খুলে ছায়া বাহিরে দৌড় দিলো।

বাগানে এসেই ছায়া আয়ুশকে খুঁজতে লাগলো।

তখনই কলি এসে
কিরে তোরা দুইবোন কোথায় ছিলি। একজনও গায়ে হলুদ দিতে আসলি না।কতো খুঁজেছি তোর বাবা আমি তোর আঙ্কেল কোথায় ছিলি তোরা দুইবোন।আর আস্থা কোথায়? ও তোর সাথে নেই কেনো?(কলি)

তুমি জানো আসুপি শোরগোল পছন্দ করে না।তাই হবে হয়তো কোথাও নিরব জায়গাতে।তুমি চিন্তা করো না।যেখানেই আছে ঠিক আছে।(ছায়া)

আর তুই?তুই কোথায় ছিলি?(কলি)

রুমে ছিলাম(ছায়া মুখ ফিরিয়ে)

এইদিকে তাকা তোর চোখ লাল কেনো? কেদেছিস তুই?কেনো কেঁদেছিস?(কলি ছায়ার থুতনি ধরে ওর মুখ নিজের দিকে ফিরিয়ে)

এখন কি করবো?ধরা পড়ে গেলাম মার কাছে। কোনো ভেবেই মাকে আসল কথা বলা যাবে না।তাই এখন একটা কিছু বানাতে হবে।(ছায়া মনে)

কী হলো?বলবি কেনো কেদেছিলি?কেউ কিছু বলছে?(কলি)

না।সবাই নাচানাচি করছি আর আমি করতে পারছি না এইজন্যে করেছি।(ছায়া জোরপূর্বক হাসি দিয়ে)

সত্যিই?(কলি সন্দেহর দৃষ্টিতে)

সত্যিই মা বিশ্বাস করো।(ছায়া)

পাগলী একটা তুই ছোটো রয়ে গেলি।আস্থা তোকে কোনো দিন বড়ো হতেই দিলো না।এতো ইমোশনাল হলে হয় মা।একটু আস্থার মত কঠিন হো।অল্পতেই কান্না করতে শুরু করে দিস।এতো সহজে কেউ কাদে?(কলি)

এইটাও শেষ কাদা মা।আর কোনো দিন কাদবো না।আর কেউ কোনো দিন আমাকে কাদাতে পারবে না।কখনও না মা।(ছায়া কলিকে জড়িয়ে ধরে)

ছায়া মা কিছু হয়েছে তোর?(কলি ছায়ার পিঠে হাত বুলিয়ে দিল)

না মা।এখন আসি অনেক বড়ো একটা কাজ করতে হবে।আর। থ্যাংকস মা আমাকে সাহস দেওয়ার জন্য এখন আমার সাহস অনেক দরকার ছিলো।
বলেই কলি কপালে একটা চুমু দিয়ে ছায়া দৌড় দিলো।


অনেকক্ষন পর অনেক খুঁজার পর ছায়া আয়ুশকে খুজে পেলো।আয়ুশ নেহার সাথে নাচছে। তা দেখে ছায়ার কোনো অনুভূতি হলো না।কারণ আয়ুশকে এখন ও ঘৃণা করে।
পেয়েছি!(ছায়া)

ছায়া আয়ুশ এর কাছে গিয়ে

আরে ছায়া কোথায় ছিলে?আমি তোমাকে খুঁজছি।কিন্তু কোথাও তোমাকে পেলাম না।(আয়ুশ)

কী খুজেছো আমি তা ভালো করেই জানি আয়ুশ!(ছায়া মনে মনে)

আয়ুশ একটু সাইডে আসবে তোমার সাথে কথা ছিলো একটু।(ছায়া নেহার দিকে তাকিয়ে)

কিন্তু,,,(আয়ুশ)

যাও।ডার্লিং।গিয়ে শুনো কি বলছে তোমার বন্ধু?(নেহা)

ডার্লিং?হাসকর। অবশ্য যে যেমন সে তো তেমনি ডিজার্ভ করে এতে আর নতুন কি?(ছায়া মনে মনে)

ওকে।ডার্লিং তুমি যেহেতু বলছো।চলো ছায়া।(আয়ুশ)

ছায়া নেহার দিকে তাকিয়ে একটা তাচ্ছিল্য হাসি দিল।


পুকুর পাড়ে
কী হয়েছে ছায়া ডেকেছো কেনো?(আয়ুশ)

আয়ুশ।আমি তোমাকে কিছু কথা বলবো।প্রমিজ করো তুমি আমার কথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চুপ করে শুধু শুনবে আর কিছু বলবে না।বলো।(ছায়া)

হুম।প্রমিজ এখন তাড়াতাড়ি বলো।(আয়ুশ)

আয়ুশ আমি তোমাকে ভালোবাসি।খুব ভালোবাসি।(ছায়া)

হোয়াট?(আয়ুশ অবাক হয়ে)

আয়ুশ তুমি আমাকে প্রমিজ করছো আমি বলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তুমি চুপ করে থাকবে।(ছায়া)

আয়ুশ চুপ।

আমি তোমাকে ভালোবেসে তোমার চেহারা দেখে না।তোমার কথা গুলো শুনে।যদিও এইটা অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে তোমার কাছে।তবে এইটাই সত্যিই।যদি চেহারা দেখে তোমায় ভালোবাসতাম তাহলে হয়তো তুমি আমার ভালোবাসার যোগ্য হতে না।(ছায়া)

ছায়া!(আয়ুশ চিৎকার করে)

ছায়া একটা দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে বলতে শুরু করলো
কথা শুনতে খারাপ লাগলেও আমি তোমার বলা প্রতিটা মিথ্যা কথার মায়ায় পরে তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম।কিন্তু তুমি শুধু একটা ছোটো ব্যাপার নিয়ে আমার সাথে খেললে। বাসে আমি তোমাকে অ্যাটিটিউড দেখায় নি আয়ুশ!একটা সত্যিই করে কথা বলবে এই দুদিন যে আমার সাথে ছিলে তোমার মনে হয় আমি কাউকে অ্যাটিটিউড দেখাতে পারি?তুমি তো আমার ব্যাপারে জানো।তুমি জানো না আমি কোনো অপরিচিত ছেলেদের সাথে তেমন মিশতে পারি না।তাহলে তুমি কি করে ভাবলে আয়ুশ যে আমি তোমাকে অ্যাটিটিউড দেখলাম?আসলে কি বলো তো তোমার সহ্য হয় না কোনো মেয়ে তোমার সুন্দর চেহারাকে ইগনোর করুক।এতই বড়াই তোমার তোমার চেহারা নিয়ে?একটা কাজের কথা বলি আয়ুশ ভবিষতে কাছে লাগবে চেহারার ভালোবাসা চেহারা সাথেই শেষ হয়ে যায়, মানুষের মনকে ভালোবাসতে শিখো।তাহলে কোনো একদিন জীবনের শেষ মুহূর্তে কাউকে কাছে পাবে।নাহলে তোমার থেকে দূর্ভাগ্য কারো হবে না।

আয়ুশ চুপ করে শুনতে লাগলো।

এখন এই সময় থেকে না আমাদের মধ্যে কোনো ভালোবাসা আছে না কোনো বন্ধুত্ব।এই পুকুর পাড় থেকে যেই বন্ধুত্ব শুরু হয়েছে। তা এই পুকুর পাড়েই শেষ করে দিলাম আয়ুশ।ভালো থেকো।
বলেই ছায়া সেখান থেকে চলে গেলো।

আয়ুশ সেখানেই দাড়িয়ে ভাবতে লাগলো,,
ছায়া চলে গেলো?আমার এতো খারাপ লাগছে কেনো?আমার বুকে ব্যাথা করছে কেনো?(আয়ুশ মনে মনে)

তখনই নেহা এসে
আয়ুশ।তুমি ঠিক আছো?

হ্যা।আমি ঠিক আছি।
বলেই ছায়ার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।

ছায়া,,,,(আয়ুশ আস্তে করে)


অন্যদিকে
এই হচ্ছে আমার ফ্রেন্ড আস্থা!কতো হাসিখুশি!(আভি হাসতে হাসতে)

সত্যিই।অনেক ভালো লাগলো তোমার সাথে নেচে।কাল সকালে যদিও মনটা খারাপ ছিল এখন শেষ হয়ে গেছে সব মন খারাপ। তোমাকে এতো গুলো ধন্যবাদ আভি।(আমি হাসতে হাসতে)

আরে এতো গুলো ধন্যবাদ কোথায় রাখবো।(আভি)

তা তো আমি জানি না ওইটা তো তোমার দায়িত্ব।(আমি)

বাহ।কিছু দিয়েই এখন দায়িত্ব শেষ!(আভি)

তাহলে আমাকে আমার ধন্যবাদ ফেরত দাও(আমি)

আমার ধন্যবাদ তোমাকে কেনো দিবো?(আভি)

তুমি এখন কোমর বেঁধে ঝগড়া করতে চাও?(আমি)

এই ভুলেও না।শাড়ি তুমি বেধেছো।কোমর বেঁধে ঝগড়া তুমি করতে পারবে আমি না।(আভি)

আপনিও কোমর বেঁধে ঝগড়া করতে পারবেন!(আমি)

কী করে?(আভি)

আমার মত শাড়ি পরে।
বলেই হাসতে শুরু করলাম।

আস্থা,,,(আভি)

ওকে ওকে সরি সরি।আর মজা না।এমনি নেচে গলা শুকিয়ে গেছে।এখন কিছু ঠান্ডা হলে ভালো হয়।(আমি)

ঠিকই।আমারও গলা শুকিয়ে গেছে।তোমার সাথে ঝগড়া করতে করতে।দাড়াও আমি কিছু ঠান্ডা নিয়ে আসি।
বলেই আভি উঠতে নিলো তখনই আমি ওকে আটকে ধরে বললাম
আভি দাড়াও আমি নিয়ে আসছি।আমার একটু নিচে যেতে হবে ছায়ার কাছে।আসার সময় নিয়ে আসবো (আমি)

ঠিক আছে।তাড়াতাড়ি এসো।নাহলে আমি পিপাসায় মারা যাবো।(আভি)

ওকে।বাবা আনছি।
বলেই সিড়ি দিয়ে নেমে দুতলায় আসলাম।রুমের দিকে হাঁটা দিবো তখনই দেখি একটা ছেলে দুটো কোল্ড ড্রিংকস এর বোতল নিয়ে দাড়িয়ে আছে।এখন এই ছেলে এখানে কি করছে আমি জানি না যেহেতু কোল্ড ড্রিংকস হাতে হয়তো এখানে কারও জন্য এনেছে।যেহেতু কেউ নিচ্ছে না তাই ভাবলাম আমিই নেই।বলেই ছেলেটাকে কাছে ডেকে কোল্ড ড্রিংকস এর বোতল নিয়ে রুমে না গিয়ে সোজা আবার ছাদে গেলাম।

আস্থা এতো তাড়াতাড়ি চলে আসলে?(আভি)

ভাবলাম এখন তৃষ্ণার্থ ব্যাক্তিকে কি করে রেখে যাই।(আমি)

তাই নাকি?তবে ধন্যবাদ কোল্ড ড্রিংকস এর জন্য।(আভি)

আমি আর আভি মুচকি হেসে কোল্ড ড্রিংকস খেতে শুরু করলাম।

কিছুক্ষণ পর
আস্থা তোমার কি ঘুম পাচ্ছে?(আভি ঘুম ঘুম চোখে)

হ্যা আভি।অনেক ঘুম পাচ্ছে।চোখের পাতা খোলাই রাখতে পারছি না।(আমিও ঘুম ঘুম চোখে)

আমারও চোখের পাতা ভার হয়ে আসছে।চোখের সাথে যেনো পেরে উঠতে পারছি না।(আভি)

আমিও আভি।
বলেই আমি চোখ বুজে আভির বুকে ঢলে পড়লাম।

আস্থা আস্থা।চোখ খোলো।
বলেই আভিও আস্থাকে বুকে নিয়ে চোখে বুজে সেখানেই লুটিয়ে পড়লো।


কিছুক্ষণ পরেই একজন লোক আভি আর আস্থার কাছে এসে শয়তানী হাসি দিয়ে বললো
এইবার দেখি আদি আর জিসানের মানসম্মান কোথায় যায়?


চলবে,,,