#ছিলাম_তো_তোমারই_পাশে
#পর্ব_18
Writer:: Shaanj Nahar Sanjida
।
।
কিরে কি ভাবছিস?(সুমাইয়া আস্থার মাথায় হাত বুলিয়ে)
কিছু না মা।(আমি মুচকি হেসে)
নিশ্চয়ই বাড়ির কথা মনে করে মন খারাপ হচ্ছে তাই না?(আদি আস্থার সামনে দাঁড়িয়ে)
আভিও আস্থার দিকে তাকালো। তাকিয়েই দেখলো ওর মুখ কেমন যেনো শুকনো হয়ে আছে।
আয়।খাবি।
বলেই সুমাইয়া আস্থাকে নিয়ে টেবিলে বসালো।
মা উনারা কি খেয়েছে?(আমি)
হুম।ওরা খেয়ে দেয়েই বাসর রাত নিয়ে শুরু করছে।(সুমাইয়া হাসতে হাসতে)
ও আচ্ছা।(আমি মুচকি হেসে)
পরেই আমি খেয়ে নিলাম।খাওয়ার পর সুমাইয়া মা আমাকে আমার ফোনটা দিলো।বললো আমার ফ্রেন্ড দের যেনো আজ ফোন করে রাতে খাবারে আসতে বলি।উনি নাকি আমার বাবা মাকেও বলেছেন আজ রাতে আসতে উনারা নাকি বলেছে আসবে।আমিও ভাবলাম এত কিছু হয়েছে আরশি,,পিয়ালী আর আকাশকে বরং জানানো দরকার।পড়ে ওরা অনেক রাগ করবে।সুমাইয়া মা রান্না করতে ব্যাস্ত।আমি হেল্প করবো নাকি জিজ্ঞেস করছিলাম কিন্তু উনি বলেছেন উনাকে হেল্প করতে নাকি সার্ভেন্ট আছে আমি যেনো আমাকে দেয়া কাজ সম্পূর্ন করি।আমি জোরাজুরি করেও উনার সাথে পেরে উঠতে পারি নি।উনি আমাকে বললো রান্নার করার নাকি অনেক সময় আমি পাবো!সত্যিই কি অনেক সময় পাবো?পাবো না।এখানে আমি কিছু দিনের মেহমান।আমি তা ভালো করেই জানি।যেদিন সত্যিটা চলে আসবে সেদিন আমি আর আভি দুজন আলাদা রাস্তায় চলে যাবো।তখন এই বাড়ি আমার কাছে অপরিচিত হয়েই থাকবে।কিন্তু এইসব ভেবেই আমার মন কেমন যেনো ভার হয়ে আসলো।আমি আর নিচে না দাড়িয়ে সোজা রুমে চলে আসি।নিচে আভি আর আদি আঙ্কেল মিলে লেপটপে কাজ করছে।অন্যদিকে আমি রুমে এসেই আরশিকে ফোন দিলাম।
হ্যালো আরশি?(আমি)
মহারানী এতক্ষণে হুশ ফিরল তোর।কাল থেকে তোর ফোন বন্ধ।আমি কল করি,,আকাশ আর পিয়ালী কল করে কিন্তু কেউই তোকে পায় না।অন্য সময় তো আমাদের ফোন করে বিয়েতে কি কি হয়েছে বলার জন্য উতলা হয়ে থাকতি।এখন এমন বিয়েই খেলি যে ফোন বন্ধ। তা হে রে কি হয়েছে?(আরশি এক্সসাইটেড হয়ে)
আমি একটা দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে বললাম
বিয়ে হয়েছে।
তাতো জানি।বিয়ে খেতে গিয়েছিস বিয়ে তো হবেই।(আরশি)
আরশি আমার বিয়ে হয়ে গেছে।(আমি এক দমে)
মজা করছিস?(আরশি অবাক হয়ে)
আমি চুপ।
আসু।এইটা মজা ছিলো তাই না?(আরশি কিছুটা ঘাবড়ে)
না।আমি সত্যি বলছি।আমার বিয়ে হয়ে গেছে।(আমি)
মানে?কি করে?কেমনে?(আরশি চিৎকার দিয়ে)
পরেই আমি আরশিকে সব খুলে বললাম।সব শুনি আরশি কিছুক্ষণ থম মেরে বসে রইলো।আমিও চুপ করে আছি।ফোনের এপাশ ওপাশ দুপাশেই নিরবতা।এই নিরবতা বেঁধ করেই আরশি বললো
তারমানে এখন তুই উনার স্ত্রী যার ব্রেক আপ তুই করিয়েছিস?
হুম(আমি)
তারমানে তোদের ফাঁসিয়ে বিয়ে পড়ানো হয়েছে?(আরশি)
হুম।(আমি)
ওয়াও।কি ফ্লিমি ঘটনা! ইস আমার সাথে যদি এমন হতো।(আরশি)
হুম,,,?(আমি অবাক হয়ে)
আচ্ছা।বাদ দে।এখন বল তুই কি করবি?(আরশি)
দেখি পরিস্থিতির কোথায় নিয়ে যায়?আচ্ছা শোন তুই আসবি তো?(আমি)
হুম।আমি তো আসবো।আচ্ছা তুই কি পিয়ালী আর আকাশ ভাইয়াকে বলেছিস?(আরশি)
না এখন বলবো।(আমি)
আচ্ছা।বল তাহলে এখন আমি রাখি।
বলেই আরশি ফোন কেটে দিলো।অন্যদিকে আমি পিয়ালী আর আকাশ ভাইয়াকে সব খুলে বললাম।উনারা প্রথমে একটু অবাক হলেও পরে বিষয়কে স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছে।এখন ওরাও আসবে।যাক ভালোই হলো অন্তত একটু মনটা ভালো লাগছে।আমি বরং আবার একটি গিয়ে দেখি নিচে যদি সুমাইয়া মা এখন আমাকে একটু কিচেনে ঢুকতে দেয়।
বলেই নিচে নেমে গেলাম।
।
।
অন্যদিকে আস্থার দের বাড়ির মোড়ে আয়ুশ এসে দাড়িয়ে আছে ছায়ার জন্য
এই মেয়ে গুলো কোনোদিন কি ঠিক মতো ঠিক সময়ে আসতে পারবে না?আর বাবাও আমাকে কি একজনের কাছে দিয়ে দিলো দূর ভালো লাগে না।(আয়ুশ বিরক্ত হয়ে)
সরি সরি।লেট হয়ে গেছে।(ছায়া পিছন থেকে)
আয়ুশ পিছন ফিরে অবাক হয়ে গেলো।
ছায়া একটা সাদা রঙের ঢিলা শেলোয়ার কামিজ পড়ছে।চুল গুলো ছেড়ে দাওয়া।আর চোখে সেই কালো ফ্রেমের চশমা।কাধে একটা সাইড ব্যাগ। হাতে একটা ডাইরি।
কী হলো? হা হয়ে দেখছেন কি?এখন লেট হচ্ছে না চলুন গাড়িতে গিয়ে বসি।
বলেই ছায়া গিয়ে গাড়িতে বসে পড়লো।
আয়ুশ গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে ড্রাইভ করতে শুরু করলো
ছায়া জানালার বাহিরে তাকিয়ে তাকিয়ে কি যেনো ভাবছে!আর কিছুক্ষণ পর পর তা ডাইরিতে লিখছে।আয়ুশ যে পাশে বসে আসে এতে ওর কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।ছায়ার কিছু না বলাতে আয়ুশই ছায়ার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলো
ছায়া।তুমি তো একটুও বদলাও নি।ঠিক আগে যেমন ছিলে ঠিক তেমনি আছো।(আয়ুশ)
ইউ মিন বেহেনজি!(ছায়া কলম মুখে দিয়ে)
না।আমি সেটা বলিনি।(আয়ুশ)
আয়ুশ দেখো।আমি তোমার কাছে কিছু বিষয় স্পষ্ট করে দেই।আমি তোমাকে কোনো এক সময়ে ভালোবাসতাম তুমি ভালোবাসো নি।কারণ আমি বেহেঞ্জি ওল্ড ফ্যাশন বলে।এখন হয়তো তুমি ভাবতে পারো আমাকে ওল্ড ফ্যাশন বলাতে আমি নিজেকে মর্ডান বানানোর চেষ্টা করবো।কিন্তু আমি এমন করবো না।কারণ আমি যেমন আমি চাই আমাকে মানুষ তেমন ভাবেই গ্রহণ করুক।যে আমাকে ভালবাসবে সে আমাকে এই ওল্ড ফ্যাশনেই ভালোবাসবে।এইটাই আমি চাই।আমার কাপড় পরার ধরন,,চলেফেরা এই সব ওল্ড ফ্যাশন হলেও এইসব আমি।আর আমার আমি কে আমি অনেক ভালোবাসি।আর আমি চাই আমার সেও আমার আমি কেই ভালোবাসুক।সো নিজেকে পাল্টানোর কোনো ইচ্ছেই আমার নেই।(ছায়া মুচকি হেসে)
আয়ুশ অবাক হয়ে ছায়ার দিকে তাকিয়ে ছিলো।সত্যিই ছায়া কথা গুলো ভুল বলেনি।অন্যর জন্য ও নিজেকে কেনো পাল্টাবে। ও যেমন তেমনই ভালো।(আয়ুশ মনে মনে)
ছায়া।দেখো আমি সরি বলছি আমার কৃতকর্মের জন্য।(আয়ুশ ছায়ার দিকে তাকিয়ে)
আমি তোমাকে মাফ করে দিয়েছি আয়ুশ।তোমাকে আর সেইসব বিষয়ে ভাবতে হবে না।(ছায়া মুচকি হেসে)
তাহলে আমরা আবার বন্ধু হতে পারি?(আয়ুশ)
আয়ুশ আমার মধ্যে যেটুকু শক্তি ছিলো তা দিয়ে আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।এখন আর আমার মধ্যে কোনো শক্তি নেই তোমার সাথে বন্ধুত্ব করার।তুমি আমার কাছে আমার বোনের দেবর আর আমার বাবার বন্ধুর ছেলে এই ছাড়া তুমি আর কিছুই না।(ছায়া)
এই কথা শুনে আয়ুশ এর বুকটা কেঁপে উঠলো।কেনো জানি কাটার মত প্রতিটা কথা বিধতে লাগলো আয়ুশ এর মনে।আয়ুশ আর কথা বাড়ালো না। জানে ছায়ার প্রতিটা কথাই এখন আয়ুশকে নিজের অজান্তেই বিষের মতো লাগবে।কিন্তু ক্ষমা যেহেতু পেয়েছে এটাই আর কম কি? ক্ষমা দিয়েই না হয় এইটুকু রাখা যাক।
ব্যাস্ত শহরের রাস্তা গুলোও ব্যাস্ত হয়।কোনো পথ ইচ্ছে হলেই শেষ হয় না আর কোনো পথ ইচ্ছেই হলেই শুরু করা যায় না।আর মাঝ পথে কতো উঠা নামা।একদম জীবনের মত।
আয়ুশ ড্রাইভ করছে তখন আবার ও খেয়াল করলো ছায়া যেনো কি লিখছে ডাইরিতে।
একটা প্রশ্ন ছিল ছায়া?(আয়ুশ ড্রাইভ করতে করতে)
কী?(ছায়া জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে)
তুমি এতক্ষন কি লিখছিলে?জানতে পারি।যদি তোমার কোনো আপত্তি না থাকে।(আয়ুশ কৌতূহল হয়ে)
ও এইটা।আসলে কি কি লাগবে তার একটা লিস্ট করছিলাম এই আর কি?আর রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে যা মনে হচ্ছে তাই লিখে রাখছি।(ছায়া এক গাল হেসে)
ও আচ্ছা।(আয়ুশ মুচকি হেসে)
পরেই আয়ুশ আর ছায়া মলে পৌঁছে গেলো।
ছায়া এখান থেকে কি কিনবে?(আয়ুশ অবাক হয়ে)
এখান থেকে আমরা ভাইয়া আর আপুর জন্য জামা কিনবো।আর দরকারি কিছু জিনিস এখন চলুন।
বলেই ছায়া গাড়ি থেকে নেমে গেলো।
তুমি এখানে থাকো আমি গাড়ি পার্ক করে আসছি।
বলেই আয়ুশ গাড়ি পার্ক করতে গেলো।
ছায়া রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ছিলো তখনই পিছন থেকে এখন কাধে হাত রাখলো।
ছায়ামনি?তুমি এখানে কি করছো?(আকাশ)
আরে আকাশ ভাইয়া।আপনি?আপনি এখানে কি করছেন?কতো দিন আপনাকে দেখি না।(ছায়া এক্সসাইটেড হয়ে)
হুম। তা ঠিক।আমি এখানে এসেছি আস্থার জন্য গিফট কিনতে আসলে আমিও জানতে পেরেছি।কি কি হয়েছে আস্থার সাথে।কি আর করবে বলো সবই ভাগ্য?তবে আস্থা অনেক স্ট্রং ও ঠিক সামলে নিবে।(আকাশ)
আমার মন বলে কথা!(ছায়া প্রাউড ফিল করে)
তাই নাকি?(আকাশ ছায়ার নাক টেনে)
আহ্!ভাইয়া লাগছে।(ছায়া আকাশের হাত ধরে)
লাগুক।পিচ্ছি কতো বড়ো হয়ে গেছে।(আকাশ)
অন্যদিকে আকাশ আর ছায়ার এই মিলন মেলা কেউ দেখছে আর লুচির মত ফুলছে।আর সে আর কেউ নয় আয়ুশ।যখন আকাশ ছায়ার নাক টেনে ধরে তখন আয়ুশ বৈদ্যুতিক বাল্ব এর মত জ্বলে উঠলো।
কী হচ্ছে? কি এখানে?(আয়ুশ ভ্রু কুঁচকে)
ও কে ছায়ামনি?(আকাশ ছায়ার কাধে হাত রেখে)
ও হচ্ছে আসুপির দেবর।আর উনি হচ্ছে আমাদের আকাশ ভাইয়া আসুপীর সিনিয়র আর বন্ধু।অনেক মজার মানুষ। (ছায়া হেসে হেসে)
দেখেই বুঝতে পারছি।(আয়ুশ ছায়ার কাধ থেকে আকাশের হাত সরিয়ে)
হ্যালো।আয়ুশ nice to meet you।(আকাশ হাত বাড়িয়ে দিয়ে)
Same here।(আয়ুশ হাত ধরে)
আচ্ছা ভাইয়া আপনি আপুর জন্য গিফট কিনতে এসেছেন তাই না?আপনি কি আপুর পছন্দ জানেন?(ছায়া)
ভালো কথা।আমি তো ওর পছন্দ জানিই না।(আকাশ)
কেনো গিফট কিনবে?(আয়ুশ অবাক হয়ে)
আরে আপনাদের বাড়িতে আজ ডিনারে দাওয়াত করা হয়েছে আকাশ ভাইয়া সহ আপুর সব ফ্রেন্ডদের।এখন উনি কি সেখানে গিফট ছাড়া যাবে নাকি?(ছায়া)
ঠিক।এইজন্য আমি এখানে এসেছি।আর এখানে যেহেতু ছায়াকে পেয়েই গেছি তাই ভাবছি।ওকে নিয়েই না হয় গিফট কিনি।কি ছায়া আমাকে হেল্প করবে না?(আকাশ হাত বাড়িয়ে)
অবশ্যই আকাশ ভাইয়া তা আর বলতে।(ছায়া আকাশের হাত তালি দিয়ে)
না ছায়া হেল্প করতে পারবে না।আমাদের আরো অনেক কেনাকাটা আছে।
বলেই আয়ুশ ছায়ার হাত ধরে টানতে শুরু করলো।
আমি তাহলে তোদের হেল্প করি।(আকাশ ছায়ার অন্য হাত ধরে)
থ্যাঙ্ক ইউ।কিন্তু লাগবে না।আমরা পারবো!
বলেই আয়ুশ ছায়াকে নিয়ে চলে যেতে লাগলো।তখনই
ছায়া আয়ুশ এর হাত হেচকা মেরে ফেলে দিয়ে বললো
আরে এটা তো আরো ভালো।আপনিও আপুর পছন্দ সম্পর্কে কিছু জানেন।আমিও জানি দুজনে মিলে করলে আরো ভালো হবে।
বলেই আকাশ আর ছায়া দুজনই মলেই ভিতরে ঢুকলো।
হে।কেউ কি দেখবে আমিও এখানে আছি।যতসব।
বলেই আয়ুশও রাগে ফুস ফুস করতে করতে ভিতরে ঢুকে গেল।
পরেই আস্থার জন্য শাড়ি আর আভির জন্য পাঞ্জাবি কিনলো।আর আকাশের গিফটও কেনা হলো।আকাশ আস্থার জন্য কানের দুল কিনেছে আস্থার কানের দুল অনেক পছন্দের।
এখন ফুল কিনার পালা।আস্থার জন্য ফুলের গয়না কিনবে বলে ঠিক করে ছায়া।এই ফুল গুলো রুম সাজানো ফুলের সাথেই কিনা হবে!এই জন্য ওরা ফুলের জন্য ফুলের মার্কেটে যাবে বলে বের হলো।
।
।
মলের বাহিরে
এখন তো উনার গিফট কিনা হয়ে গেছে।উনি চলে যাক।উনাকে আর কষ্ট করে ফুলের মার্কেটে যেতে হবে না।(আয়ুশ জোরপূর্বক হাসি দিয়ে)
এতে কষ্টের কি আছে!আস্থার জন্য এইসব কিছুই না।আমি ফ্রী আছি তোমাদের সাথে চলতে আমার কোনো সমস্যা নেই।(আকাশ)
ওকে ভাইয়া তাহলে চলুন।(ছায়া)
আয়ুশ রাগে মুষ্টি বদ্ধ করে আছে।
আমি গাড়ি নিয়ে আসছি।(আয়ুশ)
আরে গাড়ি আনতে হবে কেনো?ফুলের বাজার সামনেই হেঁটে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে।(আকাশ)
হ্যা তাই তো।চলো।তাহলে
বলেই আকাশ আর ছায়া হাঁটা শুরু করলো।
অন্যদিকে আয়ুশ আগ্নেয়গিরির মতো জ্বলছে যেকোনো সময়ে ফেটে যেতে পারে।
আকাশ আর ছায়া হেসে হেসে আগে আগে যাচ্ছে।আর আয়ুশ পিছু পিছু ওদের দেখছে আর নিজের রাগকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে।
ছায়া ফুচকা খাবে?(আকাশ)
ওয়াও।ভাইয়া আপনি তো জানেন ফুচকা আমার কতো পছন্দের।(ছায়া)
অবশ্যই।আস্থা বলেছিলো।তাহলে চলো খাওয়া যাক।(আকাশ)
না।এইসব অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ঠিক না।ছায়া এইসব কিছুই খাবে না।(আয়ুশ)
আপনাকে কে বলো আমি খাবো না?আমি তো খাবো।ভাইয়া আমি আর আপনিই খাবো চলুন।
বলেই আকাশ আর ছায়া খেতে শুরু করলো।আর এটা দেখে আয়ুশ এর রাগে নিজেই ফুচকার মতো ফুলে যাচ্ছে।
অবশেষে ফুচকা খেয়ে ফুল কিনে এখন যাওয়ার পালা।
আয়ুশ সব কিছু একে একে গাড়িতে তুললো।তুলার পর
ছায়া গাড়িতে উঠো(আয়ুশ)
ছায়া তুমি কি এখন বাসায় যাবে?(আকাশ)
হুম।(ছায়া)
তাহলে আমার বাইকে চলো।আমি তোমাকে পৌঁছে দিয়ে আসি।(আকাশ)
কেন? ও আমার সাথে এসেছে আমার সাথেই যাবে।অনেক উপকার করেছেন এখন আর না করলেও চলবে।ছায়া উঠো!(আয়ুশ দাত চেপে চেপে )
কিন্তু আয়ুশ আপনার তো বিপরীত পাশে পড়ে আমার বাসা।আপনার দুবার যেতে আসতে হবে।তার চেয়ে বরং আপনি বাসায় চলে যান।আমি বরং আকাশ ভাইয়ার সাথে যাই।উনার বাসা আর আমার বাসা এক পথে কোনো সমস্যা হবে না।(ছায়া)
কিন্তু এইসব কি গোছাবে?এই জন্য বলেছি তুমি আমার সাথে আমার বাড়ি যাবে(আয়ুশ)
আপনি এগুলো নিয়ে যান।আমি বরং বিকেলে একদম রেডি হয়ে এসে এগুলো ঠিক করে দিবো।আর তখন তো আমার সাথে আরশি আপু আর পিয়ালী আপুও থাকবে।সব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।আপনার চিন্তা করতে হবে না।চলো আকাশ ভাইয়া আমরা যাই।(ছায়া গিয়ে আকাশের বাইকে বসলো)
ওকে চলো।
বলেই আকাশ বাইক স্টার্ট দিলো।
।
।
চলবে,,,^_^