#ছিলাম_তো_তোমারই_পাশে
#পর্ব_30
Writer::Shaanj Nahar Sanjida
।
।
আমি গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে আর ভাবছি আমি কবে থেকে বাবার বিরুদ্ধে কথা বলতে শিখলাম!যেই আমি বাবার কথা মত নিজের স্বপ্ন ছেড়ে দিয়েছি আজ সেই আমিই বাবার মুখের উপর না বলে আসছি।সত্যিই আভি তোমার ভালোবাসা আমাকে দিয়ে কি কি করাচ্ছে দেখছো?(মুচকি হেসে)
শুধু মাত্র বাবা মার এই কথার জন্য আমি ওই বাড়ি ছেড়েছি।খান কোম্পানিও ছেড়ে অন্য জায়গাতে জব করছি।আদি আঙ্কেল আর সুমাইয়া আন্টির কাছেও থাকি না।যদিও উনারা অনেক বলেছে তাদের সাথে থাকতে কিন্তু আমি কি করে থাকবো!আমাকে দেখলেই তো তাদের আভির কথা মনে হবে।আমাকে বাঁচাতেই তো আভি আজ,,,
এইটাই ভাবতেই গলা ধরে আসলো।আমি এইসব ভাবনা বন্ধ করে আবার ড্রাইভিং এ মনোযোগ দিলাম।তখনই ছায়া ফোন দিলো
হ্যালো আসুপি(ছায়া)
নির্ঘাত আজ যা হয়েছে তা বলে মা তোকে ফোন দিয়ে কান্না করেছে!(আমি হেসে)
উনি তো আমাদের মা আপু।উনার এই ভাবনা স্বাভাবিক।(ছায়া)
তুই কি এখন মার কথা মত আমাকে বিয়ের জন্য মানানোর চেষ্টা করছিস?(আমি)
না।করছি না। আমি জানি তুমি কিছুই শুনবে না।আর আভি ভাইয়াকে তোমার মন থেকে মুছে ফেলা অসম্ভব।তাই আমি শুধু এইটা জানতে ফোন দিয়েছি যে তুমি ঠিক আছো তো?(ছায়া)
হুম।আমি ঠিক আছি।তুই বল তোরা কেমন আছিস?আয়ুশ,, আয়ুশী,,বাবা মা সবাই কেমন আছে?(আমি)
সবাই ঠিক আছে। আয়ুশি এখন হাঁটতে পারে।একদিন এসে দেখে গেলেও তো পারো।(ছায়া)
হুম।আচ্ছা শোন আমিও তোকে ফোন দিতাম।আজ তুই আভাকে স্কুল থেকে নিয়ে যাস।আমি আজ একটু বেস্ত।(আমি)
আজকেও সেখানে যাবে?(ছায়া)
ঐটাই তো এখন আমার আসল বাড়ী।(আমি)
আচ্ছা।নিয়ে যাবো তুমি চিন্তা করো না।(ছায়া)
ওকে রাখি।
বলেই ফোনটা কেটে দিলাম।
পরেই আমি অফিসে চলে গেলাম।
।
।
চৌধুরী বাড়িতে
ছায়া কোথায় যাচ্ছো?(সুমাইয়া আয়ুশিকে কোলে নিয়ে)
মা আমি একটু আভাকে আনতে যাচ্ছি।(ছায়া জুতো পড়তে পড়তে)
আজকেও আস্থা সেখানে যাবে?(সুমাইয়া)
ছায়া একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে
হুম মা।আপনি একটু আয়ুশির খেয়াল রাখেন।আমি আসছি।
বলেই ছায়া বেরিয়ে পড়লো।
।
।
গাড়িতে
হ্যালো আয়ুশ।(ছায়া ড্রাইভ করতে করতে)
হায় মেরি জান।(আয়ুশ রোমান্টিক কন্ঠে)
হইছে?এখন শুনো আভার স্কুলে আসো।মেয়েটাকে বাসায় নিয়ে যাবো।তুমি আসলে ওর ভালো লাগবে।(ছায়া)
হুম।বুঝতে পারলাম ভাবী,,,(আয়ুশ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে)
হুম।(ছায়া)
আচ্ছা।আমি আসছি।(আয়ুশ)
আর শুনো আই লাভ ইউ।(ছায়া)
আই লাভ ইউ টু।(আয়ুশ মুচকি হেসে)
।
।
স্কুলে
আভা বেরিয়ে আস্থাকে খুঁজতে লাগলো।সব সময় আস্থা ওকে নিতে আসতো।কিন্তু আজ ওকে খুজেই পাচ্ছে না।
আভা মা।বাবা এইখানে!(আয়ুশ হাত বাড়িয়ে)
তোমরা এখানে কেনো?আম্মু কোথায়?(আভা ঠোঁট ফুলিয়ে)
আয়ুশ নিরাশ হয়ে গেলো।ওর মেয়ে এখন ওর থেকে বেশি এখন খালামনির(আস্থা)।
মা একটু নিজের মা বাবার সাথেও তো থাকতে পারো।(ছায়া আয়ুশকে শান্তনা দিয়ে)
তোমরা খালি আমাকে বকো।আম্মু আমাকে কতো আদর করে।(আভা আদো আদো গলায়)
ওকে এখন বকব না।বরং আইস ক্রিম খাবো।চলো।আজ আমরা তিনজন মিলে অনেক মজা করবো ঘুরবো,,পার্কে যাবো।(আয়ুশ আভাকে কোলে নিয়ে)
সত্যিই বাবা?(আভা খুশি হয়ে)
হুম। আভা প্রমিজ।(আয়ুশ আভার নাক টেনে)
ছায়া বাবা মেয়ের কথা শুনে হাসছে আর অতীতের কথা চিন্তা করছে।আস্থার কারণে ওদের বিয়ে করতে হয়েছে সাড়ে পাঁচ বছর আগে তার ঠিক এক বছর পর আভা ছায়ার কোল জুড়ে এসেছে।কিন্তু বোনকে স্বাভাবিক করার জন্য নিজের মাতৃছায়া ত্যাগ করতে হয়েছে।কিন্তু এতে ওর কোনো আফসোস নেই।যে বোন মায়ের মত ওকে আগলে রেখেছে সেই বোনের জন্য তো এই টুকু করাই যায়।এখন আভা আস্থা আর আমাদের চোখের মণি।
ছায়ার ধেন ভাঙলো আয়ুশ এর কথায়
ছায়া চলো।(আয়ুশ)
হুম মা।চলো চলো।(আভা ছায়ার কোলে এসে)
হুম মা চলো।
বলেই ছায়া আভাকে একটা চুমু দিলো।
।
।
অন্যদিকে
আমার কাজ শেষ করে। সন্ধ্যার একটু আগে বাসায় আসলাম।আজ আভা নেই বলে বাড়িটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।
আমি ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা খেয়ে ডাইরি লিখতে বসলাম।আজ যা যা হয়েছে সব ডাইরির পাতায় লিখে রাখলাম।আজ পাঁচ বছর ধরে ডায়রি লিখি।
ভাবা যায়।আমার মতো এতো ধৈর্য্যহীন মেয়ে কোনো দিন বসে বসে ডাইরি লিখবে।ছায়া ডাইরি লিখত,গল্প লিখত বলে আমি অনেক মজা নিতাম।এখন এইসবের মানে খুব ভালো বুঝতে পারলাম।
ডাইরি লিখা শেষ করেই সেটা হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।আমার উদ্দেশ্য।
।
।
হসপিটালের কেবিনে গিয়ে আমি জানালার পর্দাটা খানিকটা টেনে দিলাম।একটু ফাঁকা রাখলাম চাঁদের আলো আসার জন্য।এখন রাত নয়টা বাজে।
আভির হাত ধরে ওর কপালে একটা চুমু দিয়ে দিলাম
আভি।মিস করছো আমায়?আমি তো সারাদিন তোমায় মিস করছি।(আমি মুচকি হেসে)
সেদিন গুলিটা আভির মাথায় লেগেছিলো।অপারেশন করে গুলিটা বের করা গেলেও আভি তারপর থেকে এখন পর্যন্ত কোমায়।ছয় বছর হলো ও কোমায় চলে গেছে।সেইদিন আমি আভির নিস্তেজ দেহ দেখার পর শকড এ চলে যাই। কারো সাথে কোনো কথা নেই,,খাওয়া নেই,,মুখে কোনো হাসি নেই।যেনো এক অনুভূতিহীন রক্ত মাংস দিয়ে তৈরি একটা জড়ো পদার্থ।অনেক সাইকোলিস্টদের দেখানো হয়েছে তারা কেউ কিছু করতে পারলো না।কি করে করবে?আমার অনুভূতি ছিলো আভি ওর সাথে আমার অনুভূতি গুলোও চলে গেছে।ছয় মাস আমি এমন ছিলাম।কেউ কিছু ধরতে পারেনি।অবশেষে একজন বললো কোনো বাচ্চার সাথে আমার সময় কাটাতে হতে পারে এতে কোনো কিছু হয়।আমার কথা ভেবেই ছায়া আর আয়ুশ বিয়ে করে।ওদের বিয়েটা একদম সাদামাটা ছিলো।একবছর পর ওদের কোল জুড়ে আভা আসে।কিন্তু আভাকে আমার কোলে তুলে দিলো ছায়া।
সেই ছোট্ট আভার মন ভুলানো হাসি দেখে আমিও দেড় বছর পর প্রথম হেসেছিলাম। আভার দুই বছর পর্যন্ত ছায়া আয়ুশ আমার সাথে আমার ফ্ল্যাটে ছিলো। যদিও সবাই বলেছিলো খান বাড়িতে না চৌধূরী বাড়িতে থাকতে কিন্তু আমারই জন্য থাকা হয় নি আমিই থাকতে পারি নি।ওই দুই বছরে আমি যথেষ্ট স্বাভাবিক হয়ে যাই।ছায়া আয়ুশ চৌধুরী বাড়িতে চলে যায়।এখন আয়ুশ আর বাবা(আদি)মিলে কোম্পানির দেখাশোনা করে।আর আমি নিজের পড়া কন্টিনিউ করি।বাবার কোম্পানি ছেড়ে অন্য কোম্পানিতে জব করি।আর আভাও বেশির ভাগ সময়ই আমার কাছে থাকে।কিন্তু যখন আভীর কাছে আমি হসপিটালে থাকতে আসি তখন ওকে আমি ছায়ার কাছে পাঠিয়ে দেই।আজও আমি আভির সাথে হসপিটালে থাকবো।মাসের 20 থেকে 25 দিনই আমি হসপিটালে থাকি।কারণ যেখানে আভি সেখানেই আমার বাড়ি।
আভির এই অবস্থার জন্য তুলি নিজেকে দাবি করে।এই জন্য তার এক মাস পরেই ও আত্মহত্যা করে।রাইসা আর তিশা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এখন কোথায় আছে কেউ জানে না।উনারা দুজনই অনুতপ্ত।রামিন এখন মেন্টাল হসপিটালে।গ্রামের প্রধান ছাড়া পেয়েছে কিন্তু তাকে গ্রামের লোক গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।এখন সে কোথায় কেউ জানে না।উনার ছেলে মুক্তি পাওয়ার পরেও শুনেছি মাদক ব্যবসা করার কারণে আবার জেলে গেছে।
আভির দিকে তাকিয়ে আজ অতীত গুলো স্মরণ করছিলাম।আভির হাত ধরে আমি একটা চুমু দিলাম।
আভি জানো।আজও না বাবা আমাকে বিয়ের কথা বলেছে।কিন্তু আমি তো জানি আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভালোবাসতে পারবো না।আচ্ছা তুমিও কি চাইবে আমি অন্য কাউকে বিয়ে করি?আমি নিশ্চিত তুমি চাইবে না।তুমি তো খুন করে দিবে তাই না।(আমি মুচকি হেসে)
আভি তুমি কবে উঠবে?আমি যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি। জানো ছায়া আর আয়ুশ এর ছোটো মেয়ে আয়ুশী হাঁটতে শিখে গেছে।আমরা কবে মা বাবা হবো?তবে তুমি এইটা ভেবো না আমি তোমার থেকে দূরে চলে যাব।আমি তো ছিলাম তোমারই পাশে। আর তোমার পাশেই থাকবো।কোনো দিন তোমাকে ছেড়ে যাবো না।
আভি একটা গান শুনবে?
বলেই আমি মুচকি হেসে গান গাইতে শুরু করলাম।
যেটুকু সময় তুমি থাকো পাশে
মনে হয় এদেহে প্রাণ আছে
বাকিটা সময় যেনো মরণ আমার
হৃদয় জুড়ে অথৈ আঁধার
বাকিটা সময় যেনো মরণ আমার
হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আঁধার
যেটুকু সময় তুমি থাকো পাশে
মনে হয় এদেহে প্রাণ আছে
বাকিটা সময় যেনো মরণ আমার
হৃদয় জুড়ে অথৈ আঁধার
বাকিটা সময় যেনো মরণ আমার
হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আঁধার
ব্যাথার সমাধিতে বসে এই মন
ফোঁটায় আশার ফুল রাশি রাশি
তোমার ঐ মুখের হাসি
স্বপ্ন থেকে আসো নয়নতে
নয়ন থেকে তুমি স্বপ্নে হারাও
জগণরে এসে কাছে দাড়াও
যেটুকু সময় তুমি থাকো পাশে
মনে হয় এদেহে প্রাণ আছে
বাকিটা সময় যেনো মরণ আমার
হৃদয় জুড়ে অথৈ আঁধার
বাকিটা সময় যেনো মরণ আমার
হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আঁধার
আমি গাইতে গাইতে কেঁদে উঠলাম।সেদিন সারারাত আমি আভির হাত ধরে ওর পাশে বসে ছিলাম।
।
।
সকালে
আমি ডক্টরের সাথে কথা বললাম।আভির অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।খুব শিঘ্রই ও কোমা থেকে জেগে উঠবে।এইটা শুনতেই আমার দিন ভালো হয়ে গেলো।আমি ডক্টরকে বিদায় দিয়ে।
আমি আভির কপালে চুমু দিয়ে বললাম
শুনলে আভি তুমি খুব তাড়াতাড়ি উঠবে।আমার আভি আবার আমার কাছে চলে আসবে।এখন তুমি থাকো আমি আসছি।আজ অফিসে যেতে হবে।আর আভার কাছেও।
বলেই আমি বেরিয়ে পড়লাম।
।
।
দুপুরে
আজ কেনো জানি হাফ বেলা ছুটি নিয়ে মন চাইলো।আমি আজ অফিস থেকে বের হয়ে আভাকে স্কুল থেকে নিয়ে এখন আমরা হাঁটছি।
আম্মু।আমরা আজ হেঁটে হেঁটে বাসায় যাবো?(আভা)
কেনো মা হাটতে কষ্ট হচ্ছে?(আমি আভাকে কোলে নিয়ে)
না।আম্মু।এমনি আমার তো হাঁটতে সেই ভালো লাগে।মিস বলেছে হাঁটতে।হাঁটলে নাকি শরীর ভালো থাকে।
বলেই আভা আমার কোল থেকে নেমে গেলো।
পিচ্ছি মেয়ে জানে আমার কষ্ট হবে ওকে কোলে নিয়ে হাঁটতে।তাই নেমে গেছে।(আমি মনে মনে)
আমরা সারাদিন বিভিন্ন জায়গাতে ঘুরেছি।এখন বিকেলে পার্কে বসে আছি। আভা বসে বসে পা দুলিয়ে আইস ক্রিম খাচ্ছে।আমিও খাচ্ছি ওর সাথে।ঠিক তখনই আমার ফোনে একটা ফোন আসলো।ফোনটা ধরতেই আমি পাথর হয়ে গেলাম।
আমি তাড়াতাড়ি আভাকে নিয়ে গাড়িতে বসালাম।
আম্মু?আমরা কোথায় যাচ্ছি?(আভা)
গেলেই বুঝতে পারবে মা।(আমি)
।
।
হসপিটালে কেবিনের দরজা ধাক্কা দিবো তার আগেই আভির গলা শুনতে পেলাম।আভি হাসছে তার মানে ও উঠেছে।
আমি কেবিনের দরজা খুলতেই দেখলাম বাবা মা,,আদি আঙ্কেল,, সুমাইয়া আন্টি আয়ুশ ছায়া সবাই ছিলো।
ওই দেখো!এসে পড়েছে তোর আস্থা(আদি)
আমাদের বরং যাওয়া উচিত।ওদেরকে একা থাকতে দেয়া দরকার।(জিসান)
ঠিক বলছেন বাবা। চলো মা।এখন আমরা যাই।
বলেই আয়ুশ সুমাইয়া আন্টিকে নিয়ে বাহিরে চলে গেলো।
সুমাইয়া আন্টিকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে উনি অনেক কেঁদেছে। ছয় বছর পর ছেলের গলা শুনলে তো মা কাদবেই।
যাও আপু কথা বলো গিয়ে।ভাইয়াও এতক্ষন তোমার অপেক্ষায় ছিলো।উনি চোখ খোলার পর তোমাকে খুঁজছে।তোমার কথা আমাদের জিজ্ঞেস করে করে কান ব্যাথা বানিয়ে ফেলেছে।(ছায়া আমার কানে ফিসফিস করে)
আমি মাথা নেড়ে হ্যা বললাম।
ও মুচকি হেসে আয়ুশিকে কোলে নিয়ে বাহিরে চলে গেলো।আর মা বাবা আভাকে কোলে নিয়ে বাহিরে চলে গেলো।
আমি দাড়িয়ে দাড়িয়ে আভিকে দেখছি
আভি আমার দিকে মুচকি হেসে হাত বাড়িয়ে দিলো
আমি দৌড়ে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলাম।
অনেকক্ষন পর আভি আমাকে শান্ত করলো।আমি আভির বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছি।আজ ছয় বছর পর এতো শান্তি আমার লাগছে।
ছয় বছর অনেক বেশি হয়ে গেছে তাই না?(আভি আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে)
আমি ওর বুক থেকে মাথা উচু করে
না।যদি আরো ছয় বছর তুমি কোমায় থাকতে তাহলেও কম হতো।আমি সব সময় তোমার জন্য অপেক্ষা করতাম।
থ্যাঙ্ক ইউ।আমার জন্য অপেক্ষা করার জন্য।সব সময় আমারই থাকার জন্য।
বলেই আভি আমার ঠোটে ঠোট মিলিয়ে দিলো।
পরেই আমার কপালে কপাল ঠেকালো
আমি শুধু কেঁদেই যাচ্ছি।
আসু।এখন কেনো কান্না করছো?(আভি)
এইটা আমার খুশির কান্না।(আমি)
।
।
চলবে,,