#ঠোঁট
৯+১০
আমি তখন ঝর্নার সাথে লেপ্টে ঘুমিয়ে আছি। ও আমার নগ্ন বুকে বিভর ঘুমে মগ্ন। আমিও সপে আছি তার সাথে। কিন্তু আমার ঘুমটা অত গভীরে নেই।
ঠিক মাঝ রাতে একটা শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। ঘুমটা ভালো করে ভাঙ্গার পর বুঝতে পারি। একটা দড়ি টান এর শব্দ আসছে বারান্দা থেকে। আমি প্রথমে ভয় পেয়ে যায়। হঠাৎ বারান্দা থেকে এমন শব্দ আসছে কেন?
ঝর্নাকে তখন আস্তে করে বুক থেকে সরিয়ে বিছানায় রাখি। আমি ধীরে ধীরে হাঁটা দিলাম বারান্দার দিকে।
বারান্দা যাওয়ার পর মারাত্মকভাবে চমকে যায়।
একটা সাদা চিকন দড়ির বাহির থেকে এসে আমার বারান্দায় পড়েছে। এমনকি এই সাদা চিকন দড়ির মাথায় একটা সাদা কাগজ মোড়ানো। তাও আবার একটি ছোট্ট ঢিলের সাথে।
ঠিক তখনই খেয়াল করি বাসার সামনে থেকে একটা লোক হেঁটে চলে গেল।তবে সেইেলোকটা বেশ কয়েকবার পিছন ঘুরে ছিল আমার বারান্দার দিকে তাকিয় । ব্যাপারটা আমার বুঝতে বাকী নেই।
আমি তখন সেই কাগজটা হাতে নেই। খারাপ আর যা দেখি তা কখনো আমার কল্পনাতেও ছিল না।
লেখা আছে-
‘এস আই’ তুমি নিশ্চয় চাও একটা নিরাপদ জীবন। একটা সুখী জীবন। একটা ভালবাসা ময় জীবন। এমন কি সবগুলো ঝরনার সাথে। তবে সত্যিই যদি চেয়ে থাকো। তাহলে আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে ফেলো। আমরা তোমার কোন ক্ষতি করব না এমনকি তোমার ঝর্নারো না। তোমার যা উত্তর। উত্তরটা উল্টো পিঠে লিখে আগামীকাল এই সময়ে এই কাগজটা বাইরে ফেলে দিবে। তাহলে তুমি ও নিরাপদ থাকবে তোমার ঝরনা নিরাপদ থাকবে। এবং উপকার হবে আমাদেরও। সালাম।
কথাগুলো পড়ার পরে আমার পুরো শরীর কাঁপছিল। যেন আমার পায়ের তলা থেকে দুনিয়ায় সরে গেছে। আমি কিছু ভেবে পাচ্ছিলাম না। সুখে থাকা ইচ্ছার পরেও যদি এমন একটা বিপদ আসে। যেটা আমার পক্ষে সামলানো মোটেও সম্ভব না। তাহলে নিজেকে মৃত্যু অবস্থায় দেখতে পাই। এখানে যদি আমাকে হুমকি দেয়া হতো আমি মেনে নিতাম। কিন্তু এখানে ঝর্ণাকে টানা হয়ে গেছে। যেটা আমার জন্য সবচেয়ে বড় দুর্বল একটা জায়গা।
আমি ঠিক কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। হাতের মুঠোয় কাগজটা নিয়ে গ্রিলে হাত দিয়ে ভাবছি গভীরভাবে।
ঠিক এমন সময় আচমকা ভাবে ঝরনা পেছন থেকে আমাকে চেপে ধরে। তার নরম হাত ধীরে ধীরে টেনে নিয়ে যায় আমার তলপেটের দিকে। পুরো শরীর ঝাকুনি খায় আমার।
আমি তখন ভয় পেয়ে যায়। এখন যদি ঝরনা আমার এই কাগজটা দেখে ফেলে। তাহলে পরিস্থিতি টা কোন দিকে যাবে ভেবে পাচ্ছি না।
হাতের মুঠোয় কাগজটা নিয়ে ঝর্ণার দিকে ঘুরলাম।
খুব শক্ত করে লেপ্টে নিলাম আমার সাথে। দুটো নগ্ন বুক। যেন একই দেহে পরিণত হয়ে গেছে। তার গালে একটা চুমু খেয়ে বলি। উঠে গেলেন যে ?
ঝরনা তখন অভিমানী সুরে বলে। কথা বলবো না আপনার সাথে আমি। নিজে আমাকে একা ফেলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। সেটা কিছুই না। এত রাতে কাকে দেখছেন বারান্দায় দাঁড়িয়ে। তাও আবার কাপড় ছাড়া। কি কাহিনী টা কি।
আমি তখন হাসি। হেসে বলি।
ধুর পাগলী। তোকে খুলে খুলে দেখি তাও আমার মন ভরে না। আবার এত রাতে অন্য কাউকে দেখতে আসবো। পাগল নাকি।
হুহু , বিশ্বাস নাই। আপনাকে আমার এমনিতেই ভয় লাগে। কখন না জানি বলে বসেন। ঝরনা আপনাকে আমার আর ভাল লাগছে না। তখন তো আমি মরে যাব।
এই কী বলছেন এসব।
আমি তখন তাকে আরও শক্ত করে চেপে ধরি।
আমার পা টা তখন তার দুই পায়ের নিচে ঠেলে দিই। তার পুরো ভারটা উঠিয়ে নিই আমার দুই পায়ের মধ্যে।
কৌশলে হাতের কাগজটা বারান্দায় ফেলে দিই। সকালের আগে উঠে হয়তো সে কাগজটা আমার লুকাতে হবে।
কিন্তু এখন তো ঝর্ণাকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে ঘরে নিয়ে যেতে হবে। দুটো ঠোট ডুবিয়ে তাকে ধীরে ধীরে ঘরে নিয়ে যাচ্ছি। খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাকে বিছানায় ফেলে দিই। ধীরে ধীরে উঠিয়ে নিই আমার উপরে।
তবে খুব গভীরে নিয়ে যায় না। কারণ আমার ভেতরের অবস্থা এখন ভালো নেই। ঝর্নাকে ওভাবে পাগল করতেও চাইনা। যদি সে মন থেকে আমার ভালবাসার উষ্ণতা না পায়। তাহলে সে তৃপ্ত হবে না।
ঝরনা তখন আমার গালে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে। ইমতি, আপনি আমার থেকে খুব বড় কিছু লুকাচ্ছেন। আমি আপনার চেহারা দেখে বুঝতে পারছি।
আমার তখন ভিতরের কলিজা টা চমকে ওঠে।
তবুও তাকে মিথ্যা বলি। নাগো আমার কিচ্ছু হয়নি। শুধু একটা কথাই ভাবছি। আপনাকে আমি সুখ দিতে পারছি কিনা। আপনি আমার সুখে তৃপ্ত হচ্ছেন কি না।
ঝরনা তখন বলে।
আপনাকে আমি কতবার বলেছি এই কথা। আপনার থেকে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সুখ পায়। যা কোনদিন পাইনি হয়ত পেতাম না আপনাকে না পেলে।
এটা কি সত্যি ঝরনা?
হ্যাঁ একদম খাঁটি সত্যি।
আমি তখন আস্তে করে হাত বুলিয়ে দিই বুকের উপরে। তারপর বলি। আমি এখন এই বুকে ঘুমাতে চাই। দিবেন ঘুমাতে।
এটা চাইতে হবে না। আমি এখন আপনাকে দিব আমার বুকে ঘুমাতে।
ঝরনা নরম বুকে মাথা রেখে আমি হালকা ঘুমে নিজেকে মগ্ন রাখি। যেন ঝর্না উঠার আগে আমি উঠে সেই কাগজটা আড়াল করতে পারি।
সারাটা রাত কেটেছে সেই একই চিন্তায়।
সকাল বেলায় যখন ঝরনার ঘুম ভেঙে যায়।
ও তখন ধীরে ধীরে আমার মাথাটা বালিশে রাখতে চাচ্ছিল। কিন্তু তার চোখ টা আমার মুখের দিকে আটকে যায়। আমি ঘেমে পুরো জবজবে হয়ে গেছি।
ঝরনা তখন আমার পুরো মুখটা মুছে দিতে দিতে বলে। একি, আপনি এত ঘেমে গেছেন কেন। পুরোটা মুখ আপনার ঘামের পানি। যেন মনে হচ্ছে মুখটা ধুয়ে এসেছেন পানি দিয়ে।
ঝরনা মারাত্মক চিন্তায় পড়ে যায়। অস্থির হয়ে যায় পুরো ভাবে।
আমি তখন বলি। ঘুমের মধ্যে হয়ত ঘেমে গেছি।
কিন্তু ঝরনা এটা মানতে রাজি না। ওর ধারনা আমার জ্বর এসেছিলো। সেইজন্য জ্বর সারার সাথে সাথে হয়তো আমি ঘেমে গেছি।
আমাকে খুব আহলাদে তার বুকের সাথে লেপ্টে ধরে। তার নিজেকে খুব অপরাধী লাগে। তার বুকের সাথে সারাটা রাত লেপ্টে ছিলাম। এরমধ্যে আমার জ্বর এসেছিলো । কিন্তু সে বুঝতে পারেনি। এটা তার ধারণা। কিন্তু আসলে ও তো আমার জ্বর আসেনি। কেন ঘেমে গেছি তাও বলতে পারব না। হতে পারে চিন্তার কারনে ঘেমে গেছি।
ঝর্নাকে তখন বলি। আপনি ফ্রেশ হয়ে আসেন। সারারাত আপনার কাপড় ছাড়া দেখেছি।এখন একটু থ্রি পিস পড়ে আমার জন্য হালকা সাজবেন। আপনাকে সাজানো অবস্থায় দেখব।
আমার মুখে হঠাৎ এমন কথা শুনে ঝরনা যে কত আনন্দ পায়। তা সে নিজেও জানে না। খুব একটা দেরি করে না। আমাকে ছোট্ট একটা আদর দিয়ে চলে যায় আমার পছন্দের জিনিস করতে।
কিন্তু সে যখনই বাথরুমে ঢুকে ফ্রেশ হতে। আমি তখন সুযোগটা পেয়ে যায়। আমিও তড়িঘড়ি করে বারান্দায় যায় সে কাগজটা লুকোতে।
কিন্তু বারান্দায় যাওয়ার পরে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।
চলবে*
#ঠোঁট
দশ,
আমি বারান্দা যাওয়ার আগ পর্যন্ত ভেবেছিলাম। কাগজটা হয়ত সেই জায়গাতেই পাব। কিন্তু এখন দেখি কাগজটা সেই জায়গাতেই নেই। আমার মাথা ঝিম ধরে উঠলো। চোখের সামনে সব আবছা হয়ে আসছে।
কিন্তু যখন গ্রিলের দিকে তাকিয়ে দেখি। সেই চিকন দড়িটা তখনো ঠিক একই আছে। তখন একটু টনক নড়ে ওঠে আমার।
আমি আবার খুঁজি পুরো বারান্দা।
তবে অনেকক্ষণ পর আমার স্বস্তি মিলে। বারান্দার একটি চেয়ারের কোনে সেই কাগজটা লেগেছিল। হয়তো বাতাসে উড়ে গেছিল। কিন্তু এই ছোট কাগজটা যে আমাকে কতটা হয়রান করল। তা বোঝানো সম্ভব নয়।
আমি তখন সেই কাগজ আর চিকন দড়িটা। বারান্দার চেয়ারের পাটাতনের নিচে লুকিয়ে রাখি। যেন ঝর্ণা কোনভাবে বুঝতে না পারে।
ঘরে এসে লুঙ্গি পরি আমি। নিজেকে হালকা গুছাতে চায়। ঝরনা এমনিতেই আমার চেহারা দেখে বেশ চিন্তিত। ও ভাবছে আমার না জানি কি হয়ে গেছে।
কিন্তু নিজেকে এত টেনশন থেকে মুক্ত করবো কি করে আমি। সম্ভবত আমার জন্য হচ্ছে না। কৃত্রিম ভালোবাসায় কি আর সব কিছু লুকানো যায়। লুকানো যায়না। কারণ সে সব সময় পেয়ে এসেছে প্রকৃত ভালোবাসা। এখন সে কিছুটা হলেও বুঝতে পারছে তার সেই ভালোবাসার কমতি ঘটে গেছে। অথবা সে সেই টানটা পাচ্ছে না। যেটা আগে ভালোবাসার মধ্যে ছিল। আমিও তো চাই তাকে সে ভালোবাসাটা দিতে। কিন্তু সেই ভালোবাসার মাঝখানে আমার দেওয়াল হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই চিন্তাটা। যাকে ফেলাও যাবে না। গিলা ও যাবে না।
এসব ভাবতে ভাবতে ঝরনা বাহির হয়ে আসে বাথরুম থেকে। গোসল করেনি। তবে তার শরীরটা হাল্কা ভেজা। পানিতে ধোয়া নতুন মুখ। ঘুমের সেই আভাস। অসম্ভব সুন্দর লাগছিল তাকে।
এখন মনে হচ্ছিল তাকে জড়িয়ে ধরে খুব উষ্ণতায় ডুবে যেতে। কিন্তু তাকে তো আমি বলেছিস সাজতে। হয়তো তাকে সাজানোর পরে আমি উষ্ণতায় ডুবে যাব।
ঝর্নাকে আমি তখন বলি। যেভাবে হালকা সাজে সাজতে বলেছি। ঠিক তেমনই যেন আমি ফ্রেশ হয়ে আসার পরে দেখতে পাই।
এই কথা বলার পরে আমি চলে যায় বাথরুমে। নিজেকে হালকা পানিতে মুক্ত করি কিছুটা চিন্তা থেকে। তবুও ভেবে পাচ্ছি না কি উত্তর দিব সে কাগজে। নাকি দুপুরের মধ্যেই চলে যাবে ঝর্নাকে নিয়ে এই এলাকা থেকে। চলে গিয়ে লাভ যে হবে মনে হয় না। হয়তো ওরা আবার পিছু নিয়ে নিতে পারে।
কিছুই ভেবে পাচ্ছি না আমি। একা যেটা সিদ্ধান্ত নিব। সেটার উপরে কোন ভরসা পাচ্ছি না। যদি আমার সিদ্ধান্ত না ঠিক হয়। অথবা ঝরনার সাথে পরামর্শ করে যদি এমন একটা সিদ্ধান্ত পায়। যা আমার একার সিদ্ধান্ত থেকে তার সিদ্ধান্তটাই অনেক বড় হবে। এই চিন্তা থেকে কিছু করতেও পারছি না। এমনকি ঝরনা কেউ বলতে পারছি না। এটাতো ঝর্নাকে বলা কোনভাবেই সম্ভব না।
পারছি না আমি এখন আর ভাবতে।
ফ্রেশ হয়ে ঘরে যায় আমি। ঘরে এসে দেখি। ঝরনা আমার পছন্দ মত সেজেছে। দারুন লাগছে তাকে।
আমি তখন ধীর পায়ে তার দিকে এগিয়ে যায়। তার পাশে আস্তে করে বসি। তারপর খুব নরম চোখে তার দিকে তাকায় একবার। তাকিয়ে দেখি। কত গভীর ভালোবাসা মাখানো হয়েছে এই চেহারাতে। যার সব হক এবং অধিকার আমার। একটু একা চিন্তা করলে খুব হিংসা হয় আমার। এই ঝরনা কে যদি আমি না পেয়ে অন্য কেউ পেত। তাহলে কি হতো আমার। আমিও তো হতাশ হয়ে নিজেকে দুর্ভাগ্য বলে শেষ হয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু আমার খোশ নাসিব। এমন ভালোবাসাটা শুধু আমি পেয়েছি।
আমি তখন ঝরণার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি।
তারপর হাসতে হাসতে নিচের দিকে তাকায়। আবারও কিছু ভাবতে যায় আমি। কিন্তু তা আর ভাবা হয় না।
ঝরনা তার হাতটা দিয়ে আমার হাত টেনে নেয় তার হাতের মুঠোয় । তারপর আমার হাতের উপরে আদর দিতে থাকে তার হাত দিয়ে। খুব শক্ত করে চেপে ধরে আমার হাতটা। এটার দ্বারা বোঝাতে চায়। আমি আপনাকে কোনদিন ছাড়বোনা। এমন শক্ত বাঁধনে বেঁধে রাখবো আপনাকে সারা জীবন।
আমার চোখ দুটো তখন ঝিলিক মেরে উঠে। হয়তো ভেতর থেকে আমার কান্না আসতে চায়। কেন আসতে চাই তা হয়তো ভেঙ্গে বলা যাবে না। তবে খুব গভীর অনুভব এর একটি কারণে।
ঝরনা তখন আমার কানের কাছে এসে বলে। আমাকে কি একটু খুব শক্ত করে চেপে ধরা যায় না।
এই সুন্দর সকালটা আপনার হতে চাচ্ছিলাম আমি। আপনাকে খুব ভিতরে নিয়ে। একদম ভিতরে।
আমি তখন তাকে চেপে ধরে খুব শক্ত করে। ও আমার চাপ অনুভব করে হালকা মৃদু সর বাহির করে। যা খুব স্পর্শ কাতর। কিন্তু আর কিছু বলতে চায় না। নিজেকে ছেড়ে দিচ্ছিল আমার ওপরে। যার মানে দাঁড়ায়। আপনার মন মত আমাকে আদর করুন। যার গভীরতা অনেক।
আমি তখন ধীরে ধীরে তার কানের দিকে যায়। আমার দুই ঠোঁট দিয়ে তার ঘাড়ের কাছে খেলছিলাম আস্তে আস্তে। উষ্ণ নিঃশ্বাস ছাড়ছি বারবার। তাকে পাগল করে দিতে ইচ্ছা করছিল । কোন বাধা নেই সামনে।
তারপর ধীরে ধীরে ঠোঁট নিয়ে যায় তার গালের দিকে। হালকা ভিজিয়ে দি। আর অনুভব করতে পারি। তার গলা থেকে ভেসে আসা গঙ্গানির শব্দ। যা আমার ভেতরে ঝড় তুলছিলো এক উষ্ণতার।
খুব আস্তে করে ডুবিয়ে দি তার ঠোটের ভিতর। পাগল করে দিতে থাকি তার ভালোবাসায়। সে যেন আর ছাড়তে চায় না। আমাকে খুব গভীরে ঢুকিয়ে নিতে চায় সে।
আমি আস্তে আস্তে তার ভিতরে ঢুকে যেতে চায়। গভীর ভালবাসায়। ভালোবাসাগুলো উষ্ণতায় মাখিয়ে দি তার বুকের ভেতর। ধীরে ধীরে আরো গভীরে যায়। যার গভীর এর কোনো শেষ নেই। কিন্তু চরম একটি তৃপ্তি আছে। ঝরনা এর মাঝে একটি বার কথা বলে।
তবে খুব উত্তপ্ত উত্তেজনা হয়ে।
ইমতি, ভালোবাসি। আরো ভিতরে চাই আপনাকে আমি আরও ভিতরে।
আমি তখন তাকে নিয়ে যায় খুব গভীর ভালবাসায়। যা সে চেয়েছিল।
বুঝেনা তৃপ্তিকর ভালোবাসা শেষে একসাথে লেপ্টে আছি।
আমি তখন হাত বুলিয়ে দিচ্ছি তার নগ্ন বুকে। মাঝে মাঝে চুমু খাচ্ছি তার নরম গালে।
অনেকক্ষণ পর তার কানের কাছে একটা কথা বলি।
ঝরনা, আমরা যদি কোনদিন এ দুজনের সাক্ষাৎ না পেতাম। তাহলে কি হতো আমাদের।
আমার এমন কথা শোনার পর ঝরনা অনেকক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। তারপর ঠোট দুটো হাল্কা বাকিয়ে বলে। জীবনটা অপূর্ণতায় ভরে থাকতো। যার আফসোস হয়তো আমি জীবনেও শেষ করতে পারতাম না।
আমেরিকা তৃপ্তি করে হাসি মাখা মুখ তার দিকে ছড়িয়ে দিই।
হালকা করে ছুয়ে দিই তার ঠোঁটটা।
সেদিনটা আমার খুব ভালোই কেটেছিল। সারাদিনই বলতে গেলে ভালবাসায় ডুবে ছিলাম। আর যাই হোক। জীবনে যে আমার এমন একটা মানুষ পাবো। আর সে মানুষটা আমাকে সারাটা দিন সুখের মধ্যে রাখবে। সেটা কল্পনা খুব কমই করেছি।
কিন্তু আমি তখনো ভাবি নি। আমার জন্য একটা ভয়ঙ্কর মুহূর্ত অপেক্ষা করছে।
রাতে শুরুর ভাগে আমি এটা চিন্তা পরে গেলাম। ঠিক কি উত্তর দিব তাকে। আমার মাথা ঘেমে আসছিল।
কোন চিন্তা করে উত্তর খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
ঝরনা এতক্ষণে আমার বুকে ঘুমিয়ে গেছে। সারাদিনের ক্লান্তি শরীর তার। এতকিছুর পরে তাকেও আমি জোর করি না উষ্ণতার জন্য। সে আমার বুকে শান্তির ঘুম ঘুমাক। এটাই অনেক কিছু।কিন্তু এখন ঝর্ণাকে বুক থেকে সরিয়ে কিছু একটা লিখব সেই কাগজে। সেই সুযোগটা পাওয়া আমার জন্য দুষ্কর ব্যাপার।
ঘুমা তখনও আসছিল না। তবে ডাইনিংয়ের ঘড়ির শব্দ বোঝা যায়। এখন রাত বারোটা বেজে গেছে।
আর কিছুক্ষণ পরে হয়তো সেই লোকটা হাজির হবে উত্তর নেওয়ার জন্য।
তবে কি উত্তর দিব।
হঠাৎ আমার মনে পড়ে। ধরি মাছ না ছুঁই পানি। এমন একটা উত্তর দিতে হবে।
কিন্তু ঝরনা?
তাকে তো বুক থেকে সরিয়ে খুব একটা বেশি সময় পাবনা। তার ঘুম ভাঙ্গার পরে যদি তার পাশে আমাকে না দেখে। সে মারাত্মক চিন্তায় পড়ে যাবে।
তবে উত্তরটা আমাকে দিতে হবে।
আমি তখন ধীরে ধীরে ঝর্ণাকে বুক থেকে সরিয়ে বালিশের মাথায় রাখি।
আস্তে করে বিছানা থেকে নিজেকে সরাই।
চলবে*
Written by-Ibna Imtiaj ( Abdullah bin imtiaj)