তার জন্য অন্তিম পর্ব (দ্বিতীয় এবং শেষ অংশ)

0
1233

গল্গ #তার জন্য

#অন্তিম পর্ব(দ্বিতীয় এরং শেষ অংশ)

লেখিকা#আফিফা আনতারা হুমায়রা

মাসজিদ থেকে আযানের মিষ্টি সূর ভেসে আসছে।ফজরের সময় কোন যান্ত্রিক বা মানব তৈরি কোলাহল থাকে না,,থাকে পাখির কিচিরমিচির শব্দ তাই সেই
সময়ের আযানের সূর হ্রদয়ের গভীরে প্রবশ করে আর দেয় মানসিক প্রশান্তি।

আনতারা:ফজরের আযান হয়েছে যান নামায পড়ে আসেন।আমিও অযু করে আসি।
বলে আনতারা উঠে যেতে ধরলে গাসসান তার হাত ধরল।
গাসসান :আমার প্রশ্নের উত্তর কোই দিলা।
আনতার:কোন প্রশ্ন..?
গাসসান :এই যে আমাকে কখন ছেড়ে যাবে না।
আনতারা:মরনের আগ পর্যন্ত আপনার সাথে থাকব,কখন ছেড়ে যাবনা Inshaallah..আর আপনাকে ছেড়ে আমি কোথায় যাব।বাবার বাসাও তো নেই যে ভয় দেখিয়ে বলব বাবার বাসায় চলে যাব(ছলছল চোখে)।
গাসসান :দেখ,আমার দিকে তাকাও।মন খারাপ করো না কেউই তো চিরদিন বেঁচে থাকবে। তুমি ওনাদের জন্য দোয়া কর।
আনতারা:হু,,অনেক কথা হয়েছে এবার নামায পড়তে যান নাহলে জামাত পাবেন না।
গাসসান মাসজিদে গেল নামায পড়তে আর আনতারা অযু করতে।

বাথরুমে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে দিল আনতারা।এতখন অনেক কষ্টে কাঁন্না আটকে রেখেছিল সে।সে চায়না গাসসান তার চোখের পানি দেখুক।সে যেমন গাসসানের চোখের পানি সহ্য করতে পারেনা গাসসানও ঠিক ওর চোখের পানি সহ্য করতে পারে না।

আনতারা মনে মনে বলে, সে কখন বাবা হতে পারে না গাসসান। যে নিজের সন্তানকে মারতে চায় সে কখন বাবা হতে পারে না।আপনিই আশু পরীর বাবা।শুধু কথা দিয়েছিলাম বলেই মেয়র নাম আশু পরী রেখেছি, কারন আনতারা যে কথা দিয়ে কথার খেলাপ করনা।

হু আনতারা সব জানে সবটা।আয়ূশীর সাথে আয়ূশের সম্পর্কের কথা। প্রথম থেকেই,কারন সে তো আয়ূশকে মন থেকে ভালোবেসেছিল। তার প্রথম ভালোবাসা তার স্বামীই ছিল তাই হয়ত আয়ূশ না বললেও সব বুঝে যেত।প্রথম বার আয়ূশী কালো মেঘের মত তার সংসারটাকে ঘিরে ধরেছিল তাই হয়ত অনেক কষ্টে কালো মেঘটাকে সরাতে পেরেছিল,কিন্তু পরের বার সে এসেছিল কাল বৈশাখীর ঝড় রূপে যেটা তার সংসারটাকে লন্ড-ভন্ড করে দিয়েছিল।কেড়ে নিতে চোয়েছিল একটি ছোট প্রান তাও আবার প্রানের অস্তিত্ব দাতার হাতে।হয়ত আল্লাহ চেয়েছিল তাই ছোট প্রানটা পৃথিবীতে এসতে পেরছে।

গাসসান:আনতারা,আনতারা তুমি কি বাথরুমেই ঘুমিয়ে গেলে নাকি।আমি নামায পড়তে গেলাম আবার আসলাম আর তুমি এখনও বাথরুমে।
গাসসানের ডাকে আনতারা হুস ফেরে।সে তাড়াতাড়ি অযু করে বের হয়ে আসে।
গাসসান :কি ব্যাপার, বলত।অযু করতে এত সময় লাগে নাকি মানুষের।
আনতারা:হয়েছে আপনাকে ভাবার লাগবে না অতকিছু যান গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
গাসসান :হু যাচ্ছি।
গাসসান ঘুমাতে গেল আর আনতারা নামায পড়ে এক মগ কফি নিয়ে বেলকনিতে দাড়াল।ডুব দিল অতীতে।

অতীত….

আয়ূশ যখন আয়ূশীর সাথে ফোনে কথা বলছিল বেবিটা নষ্ট করার ব্যাপারে আনতারা ভাগ্যক্রমে সেটা শুনে ফেলে।সেদিন সে খুব কেঁদেছিল খুব।কষ্ট পেলে মানুষ কাঁদে আর সেটা যদি নিজের আপনজনদের দেয়া হয় তাহলে তো সেটা আরও বেশি যন্ত্রনাদায়ক।আনতারাকে ও তো ওর সবথেকে কাছের মানুষটাই কষ্ট দিয়েছিল। খুব ভেঙ্গে পড়েছিল সে কিন্তু অনাগত সন্তানের কথা ভেবে নিজেকে শক্ত করে নিয়েছিল, কারন তাকেই তো তার দায়িত্ব নিতে হবে যাতে ভালোভাবে পৃথিবীতে আসতে পারে।যেদিন আয়ূশ তেল আর পানি ছড়িয়ে রেখেছিল ফ্লোরে আনতারা সবটা দেখেছিল। তাই সে সেই জায়গায় গিয়ে পড়ার অভিনয় করে আর তার আশেপাশে আলতা ছড়িয়ে দেয় যাতে আয়ূশ তা রক্ত মনে করে। ডাক্তার কে সেই বলেছিল সত্যটা গোপন রাখতে।সে ভেবেছিল আগের বারের মত আবার সবটা ঠিক হয়ে যাবে আর ও পরে আয়ূশকে সত্যিটা জানাবে,কিন্তু এবার আর কিচ্ছু ঠিক হয়নি সবটা শেষ হয়ে গেছে।আয়ূশী হাসপাতাল থেকে আয়ূশদের বাড়িতে যায় আর সব শেষ করে দেয়।সেই আয়ূশের মায়ের কান ভাঙ্গাত আনতারার নামে যার ফলস্বরুপ তিনি আনতাকে চড় মেরেছিলেন।তবে সেটা শুধু বাহিরেরর ঘটনা ছিল। ঘরের দরজার ওপারের ঘটনা ছিল আলাদা।

সেদিন আয়ূশের মা আনতারাকে ঘরে নিয়ে গিয়ে তার হাত ধরে কেঁদে দেয়।

আয়ূশের মা:আমি তোর জীবনটা নষ্ট করে দিলাম তাইনারে মা।
আনতারা কিছুটা অবাক হয়ে ভাবছে,,যেই মানুষটা কিছুক্ষণ আগে তাকে চড় মারল সেই মানুষটাই এখন কাঁদছে তাও আবার তার জন্য।আনতারা এতদিনের সংসারে ওর শাশুড়ি মাকে এতটা চিনেছে যে তিনি কখন ওকে চড় মারতে পারে না।তারপরও মেরেছে এখন আবার নিজেই কাঁদছে কিন্তু কেন ভেবে পায়না আনতারা।
আয়ূশের মা: (আনতারার কোন সাড়া না পেয়ে)কিরে কথা বলছিস না কেন।তোর এই মায়ের উপর রাগ হচ্ছে বুঝি মেরেছি বলে।জানিস আমারও হয়েছিল তোর উপর যখন সবকিছু যেনেও আমাকে কিছু বলিসনি।
আনতারা:(মনেমনে ভাবে মা কি সব জেনে গেছে)কি… কি বলিনি আমি(আমতা আমতা করে)।
আয়ূশের মা:আমার ছেলের কু-কর্মের কথা।আয়ূশী যত যা বলুক আমি তো আমার মেয়েকে চিনি কোন ভুল করতে পারেনা সে।তোর এই মায়ের একটা কথা রাখবি,,তুই আয়ূশকে তালাক দিয়ে নতুন করে তোর জীবনটা শুরু কর।
আনতারা:কি….ই বলছ মা তুমি এসব।
আনতারা ভেবেছিল বাচ্চাকে মারার কথাো হয়ত ওর শাশুড়ি জেনে গেছে কিন্তু না তিনি মনে হয় জানেন না।আনতারার ভাবনার মাঝেই তিনি বলে উঠলেন,,
আয়ূশের মা:কি ভেবেছিস আমি মনে হয় বাচ্চাটার কথাটা জানিনা কিভাবে নষ্ট হলো।আমি সব জানিরে মা।কিন্তু কিভাবে জানতে চাসনা।তাইতো বলছি তালাক দিয়ে দে।শয়তান হয়ে গেছে ও না হলে নিজের সন্তানকে কেউ…এতটুকু বলে উনি ফুঁপিয়ে উঠলেন।
আনতারা আসংকাটাই সত্যি হল ওর শাশুড়ি মা জেনে গেল।আনতারা কাউকে কিছু বলতে চায়নি বিশেষত ওর শাশুড়ি মা কে, বললে যে এমন কিছু একটা তিনি বলবেন সেটা ও জানত।কারন নিজের মেয়ের মত ভালোবাসে তাকে এমনকি নিজের ছেলের থেকেও তাইতো বউ করে নিয়ে এসেছিল তার ঘরে।
আনতারা : মা,,তালাক না দিলে হয়না।
আয়ূশের মা:না হয়না,তালাক দিবি আর সেটা এক সপ্তাহের মাঝে।এটাই শেষ কথা।
আনতারা:ঠিক আছে। তবে আমি ৮মাস পর আর একটা ডিভোর্স লেটার পাঠাব সেটাতে আয়ূশের সাইন নিয়েন।
আয়ূশের মা কিছু বুঝলনা তারপরও ঠিক আছে বলে বেরিয়ে এলেন ঘর থেকে।
তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে এসে আয়ূশকে বলে আনতারাকে তালাক দিতে।

তালাকের পর আনতারা ওর বাবা-মায়ের সাথে চলে আসে।
আনতারা বাসায় আসার পর তাদের বাসার আশেপাশের মহিলারা আসে।তারা এসে আনতারাকে বিভিন্নভাবে শান্তনা দেয়।অনেকে আবার আয়ূশকে বকাঝকা করে।কারন তারা আনতারাকে খুব ভালোবাসত।

দেখতে দেখতে ২মাস কেটে যায়।এদিকে আনতারার প্রেগন্যান্ট হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে।একজন মানুষ কখনোই সবার কাছে ভালো হতে পারে না,তেমনি কিছু খারাপ লোক ছিল যারা আনতারাকে দেখতে পারত না।তারাই খবরটা ছড়ায়।আর ভালো খবরের চেয়ে খারপ খবরই বেশি ছড়ায়।হু আনতারা প্রেগন্যান্ট এটা খারপ খবর।কারন তারা জানত আনতারার বেবিটা নষ্ট হয়ে গেছে আর এখন শুনতেছে আনতারার প্রেগন্যান্ট তাই তারা আনতারাকে খারাপ ভাবতে শুরু করে।যেই মানুষগুলো একদিন আনতারার প্রশংসা করত তারাই আজ খারাপ বলছে।অনেকে এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বলে আনতারা খারাপ সেই জন্য হয়ত আয়ূশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে।বড়ই আজব আমরা মানুষেরা আজ যার প্রশংসা করি কাল তারই কুৎসা রটনা করি আসল বিষয়টা কখন জানার চেষ্টাও করি না।

এদিকে নিজের ফুলের মত পবিত্র মেয়ের নামে এসব কথা সহ্য করতে না পেরে আনতারা বাব হার্ট-অ্যাটাকে মারা যায়।তার মৃত্যুর দু’মাসের মাথায় আনতারার মাও মারা যায়।আনতারা খুব ভেঙ্গে পড়।কারন তার সবচেয়ে আপনজনের মাধ্যে ২জনের একজনো নেই,এদিকে লোকের কটু কথা সব মিলিয়ে হাপিয়ে গেছে সে।সবসময় চিন্তিত থাকে।এমনি একদিন চিন্তা করতে করতে রাস্তা পার হওয়ার সময় গাসসানেরর গাড়ীতে এক্সিডেন্ট করে।

(আর তার পরের ঘটনা তো আপনাদের জানা)

সূর্যের কড়া তাপ আনতারাকে ভাবনা থেকে বাস্তব জগতে আনে।সূর্যের প্রখর তাপ জানিয়ে দেয় অনেক বেলা হয়েছে আর তাকে রান্না ঘরে যেতে হবে কারন নাস্তা করে গাসসান অফিসে যাবে।

গাসসান অফিসে গিয়ে দেখে তার টেবিলে একটা খাম।খাম খুলে দেখে তাতে রিজাইন লেটার। লেটারটা আয়ূশ দিয়েছে।পিয়নকে দিয়ে গাসসান আয়ূশকে ডেকে পাঠায়।
কিছুক্ষণ পর,,
আয়ূশ:মে আই কামিন,,?
গাসসান :ইয়েস কামইন।
তো আয়ূশ আপনি জব কেন ছাড়তে চান..?
দেখুন আনতারা আপনার স্ত্রী ছিল এটা নিয়ে আমার কোনন প্রবলেম নেই।আর এই কারনে আপনি জব ছাড়তে পারেননা।আমার মনে হয়না এটা কোন বড় বিষয় যার জন্য আপনি জব ছাড়বেন।
গাসসান বুঝতে পেরেছিল আয়ূশ ঠিক এই কারনে জব ছাড়তে চাইবে যে আনতারা তার স্ত্রী যে কিনা আগে তার স্ত্রী ছিল।
আয়ূশ:আসলে..
গাসসান :আপনাকে কিছু বলতে হবে না আমি বুঝতে পেরেছি।তাই আপনাকে আমার অন্য অফিসে ট্রান্সফার করে দিয়েছি।আমি আপনার মত একজন যোগ্য লোককে হারাতে চাইনা,বলে একটা কাগজ ধরিয়ে দিল আয়ূশের হাতে।
এতে আপনার জয়েনিং লেটার আছে সেটা আপনি সেখানকার মেনেজারকে দেখাবেন।এখন আপনি আসতে পারেন।

আয়ূশ নিজের কেবিনে গিয়ে ধপ করে বসে পড়ে।সে ভাবেছিল আনতারা গাসসানকে সব বলে দিবে আর তাকে এখানকার জব ছাড়তে হবে তাই আগেই সে রিজাইন লেটার দিয়েদেয়।কিন্তু মেয়েটা গাসসানককে কিছুই জানায়নি। না তার উপর হওয়া অত্যাচার আর না বাচ্চাকে মারার কথা।আয়ূশ ভাবে একজন মানুষ কি করে এতটা ভালো হতে পারে।
হু,,সেদিন আয়ূশ বুঝতে পারে যে আনতারা জানত বেবিটাকে মারাতে চাওয়া কথা।কারন সে যখন আনতারাকে বলেছিল আশু পরীর বাবা কে তখন আনতারা বলেছিল,,
আনতারা:জানেন তো আয়ূশ,, আল্লাহ কিছু মানুষকে অনেক বড় নেয়ামত দেন, কিন্তু তারা তার মূল্যায়ন করেনা তাই তিনি সেটা তার কাছ থেকে নিয়ে এমন একজনকে দেন যে তার নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে।তেমনি আপনি আর গাসসান। একজন পেয়ে হারিয়েছেন আর অন্যজন তা কুড়িয়ে বুকে আগলে রেখেছে।গাসসান ই আমার মেয়ের বাবা আপনি নন।কারন আপনি তার যোগ্য না।
আনতারার এমন কথার মানে আয়ূশ বুঝতে পারে।সে বুঝতে পারে সেই আশু পরীর বাবা,কিন্তু জন্ম দাতা হলেই কি বাবা হওয়া যায়।আর আয়ূশের কাছে এটাও পরিষ্কার যে কেন আনতার ডিভোর্সেরর ৮ মাস পর আবার ডিভোর্স লেটার পাঠায় আর কিছু না ভেবেই আয়ূশো তাতে সাইন করে দেয়।

সে দিন বিকেল বেলা গাসসান অফিস থেকে ফিরে আনতারকে বলে রেডি হতে কারন তারা ঘুরতে যাবে।আনতারা রেডি হতে গেলে গাসসান আশু পরীকে রেডি করায়।
নদীর পাড়ের সবুজ ঘাসে বসে আছে আনতারা আর গাসসান। তাদের থেকে অল্প দূরে খেলছে আশু পরী।
আজ আনতারা ভীসন খুশি, কারন সে আয়ূশের মাকে দেয়া কথা রাখতে পেরেছে, পেরেছে জীবনটাকে নতুন করে সাজাতে।আনতারা প্রথম ডিভোর্স এর ৮ মাস পর আবার ডিভোর্স লেটার পাঠায় আয়ূশকে কারন সে জানে প্রেগন্যান্ট আবস্হায় তালাক হয়না।তাই তো আবার তালাকনামা পাঠায়,যদিওবা আশু পরীর কথাটা গোপন করে ভুল করেছে সে তারপরও করেছে।কারন এমন মানুষের বাবা হওয়ার যোগ্যতা নেই আর আয়ূশের মার কথাটাও রাখতে হত যে।
আনতারা আগে আল্লাহকে বলত কেন তার জীবনটা এমন হলো কেন আয়ূশ এমন টা করল ওর সাথে।আল্লাহর কাছে কত ফরিয়াদ করত।তবে কখন আল্লাহর রহহমত হতে নিরাশ হয়নি সে,কারন তাঁর রহমত হতে নিরাশ হওয়া যে মানা।আনতারা এখন আর ফরিয়াদ কেরনা শুধু শুকরিয়া আদায় করে আর নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চায়।সে এখন বুঝতে পেরেছি আল্লাহর প্রতিটি কাজের পিছনে কোন না কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যেটা আমরা বুঝতে পারি না।আয়ূশ যদি তার সাথে এমটা না করত তাহলে হয়ত আজ গাসসানের মত একজনকে পেতনা।আগে আয়ূশের জন্য দোয়া করত না সে, আর করার কথাও না। কিন্তু এখন দোয়া করে,কারন #তার জন্যই তো সে গাসসানের মত একজন জীবন সাথী পেয়েছে।
আনতারা আনমনে কথাগুলো ভাবছে নদীর পানির দিকে তাকিয়ে আর গাসসান এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে আনতারার দিকে।দু’জনে দুই ভিন্ন কাজে মশগুল কারো কোন হুস নেই।কারন একজন তার বর্তমান আর অতীতের তুলনা করছে আর অন্যজন তার প্রিয়সীকে দেখায় ব্যস্ত ।

তাদের হুশ আসে আশু পরীর ডাকে,,
আশু পরী:বাবা,বাবা চলনা নৌকায় চড়ব(অধঅধ কন্ঠে)
গাসসান মিষ্টি হেসে মেয়েকে কোলে নেয় আর অন্য হাতে প্রিয়তমার হাত ধরে নৌকার দিকে এগিয়ে যায়।
……….
সমাপ্ত
…………..