#তিক্ততার_সম্পর্ক
লেখনীতেঃ তাহমিনা তমা
পর্বঃ ১৬
আমি তোমাকে ভাইয়ার সম্পর্কে কিছু কথা বলতে চাই সেগুলো জানলে হয়তো তোমার জন্য সহজ হবে সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে আর তোমার জানাটাও প্রয়োজন।
ইমা কৌতুহল নিয়ে বললো, কী কথা আপু ?
ইয়ানা একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বললো, আমার জন্মের আগেই ভাইয়া কীভাবে যেনো মাথায় আঘাত পেয়েছিলো যার জন্য পুরো এক বছর কোমায় ছিলো। যখন কোমা থেকে বের হয় তখন অতীতের অনেক কিছুই ভুলে গিয়েছিলো। আমাকে পেয়ে নাকি ভাইয়া অনেক খুশি হয়েছিলো দিনগুলো ভালোই কাটছিলো। আমার বয়স যখন দুই বছর তখন জন্ম হয় ইশানের। তিন ভাইবোনের কোলাহলে নাকি সারা বাড়ি মেতে থাকতো। কিন্তু ভাইয়াকে ১০ বছর বয়সে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পড়াশোনার জন্য আমার বয়স তখন কেবল চার বছর আর ইশানের মাত্র দুই বছর। ভাইয়া যেতে চাইছিলো না তাও মা নাকি জোর করে পাঠিয়ে দেয়।
ইমা অনেক মনোযোগ দিয়ে শুনছে ইয়ানার কথা। ইয়ানা থেমে গেলে ইমা বলে উঠলো, তারপর কী হলো ?
ইয়ানা আবার বলতে লাগলো, ভাইয়া চলে যাওয়ার পর অনেকদিন পর্যন্ত মায়ের সাথে কথা বলেনি শুধু আমার সাথে আর ইশানের সাথে কথা বলতো। তবে ছোটবেলা থেকে একটা বিষয় খেয়াল করতাম বাবা আমার আর ভাইয়ার থেকে ইশানকে অনেক বেশি ভালোবাসতো এমন কী মাও। পরে অভিমান ভুলে ভাইয়াও মায়ের সাথে টুকটাক কথা বলতে শুরু করে। দেখতে দেখতে আট বছর পার হয়ে যায়। মা ভাইয়াকে বলে তার আঠারো তম জন্মদিন অনেক ধুমধামে বাড়িতে পালন করতে চায়। ভাইয়াও রাজি হয়ে যায় তাই জন্মদিনের দুদিন আগেই দেশে চলে আসে। যেদিন ভাইয়ার আঠারো বছর পূরণ হয় সেদিন এখানকার ফ্রেন্ডদের সাথে দুপুরে লান্স করতে আর ঘুরতে গিয়েছিলো কারণ রাতে বাড়িতে পার্টি ছিলো। কিন্তু ছোট একটা এক্সিডেন্ট করে ভাইয়ার গাড়ি, তাদের এক ফ্রেন্ডের অনেকটা আঘাত পায় আর সবাই তাকে নিয়ে হসপিটালে চলে যায়। পার্টি শুরু হওয়ার অনেক সময় পার হয়ে গেলেও ভাইয়া ফেরে না। আমার বয়স তখন ১২ বছর আর ইশানের ১০ বছর সারাদিন শুধু মারামারি করতাম দুজনে। পার্টি প্রায় শেষের দিকে ভাইয়া ফিরে আসে তবে তাকে দেখে বাবা-মা থমকে গিয়েছিলো। আমার আজও চোখে ভাসে সেই দিনের প্রতিটা মুহূর্ত। আমার হাসিখুশি ভাইয়ার মুখ সেদিন লাল হয়ে গিয়েছিলো রাগে। তাকে দেখে ভয় পেয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। বাবা-মা অনেক অনেক বকা দেয় ভাইয়াকে কিন্তু সে একটা টু শব্দও করেনি মাথা নিচু করে হাতের মুঠো শক্ত করে দাঁড়িয়ে ছিলো।
এতটুকু বলে ইয়ানা দম নিলো। সেদিনের কথা মনে পড়লে ইয়ানা আজও ভয়ে কেঁপে উঠে। তার সবসময় হাসিখুশি থাকা ভাইয়াকে এতোটা রেগে যেতে প্রথম দেখেছিলো সেদিন ইয়ানা।
ইয়ানাকে চুপ করে যেতে দেখে ইমা বলে, উনি এতো রেগে ছিলেন কেনো আপু ?
ইয়ানা মলিন হেঁসে বলে, জানি না আর সেটা আজও জানা হয়নি আমাদের। তবে বাবা-মা মনে করে তাকে জোর করে বিদেশে পাঠানোর জন্য বাবা-মায়ের উপর এতো রেগে থাকে এখনো৷
ইমা বললো, সেদিন তারপর কী হয়েছিলো ?
ইয়ানা ইমার দিকে তাকিয়ে আবার বললো, বাবা-মা ভাইয়াকে বকছিলো আর এদিকে আমি আর ইশান আইসক্রিমে নিয়ে কাড়া কাড়ি করছিলাম। হঠাৎ আমার হালকা ধাক্কায় ইশান অসাবধানতার জন্য নিচে পরে যায় আর জোরে কেঁদে দেয় ব্যাথা পাওয়ার জন্য। মা এমনই রেগে ছিলো তাই আরো রেগে এসে আমাদের কাছে দাঁড়ায়। ইশান আর আমাকে ইচ্ছে মতো বকা দিয়ে এক পর্যায়ে আমাকে থাপ্পড় মারার জন্য হাত উঠায় কিন্তু সেটা ধরে ফেলে ভাইয়া।
———
ইয়াদ রাগে ফুসফুস করছে রুবিনার হাত ধরে আর ইয়ানা ভয়ে চোখ বন্ধ করে আছে। অনেক সময় পরেও যখন আঘাত অনুভব করে না তখন চোখ মেলে তাকায় ছোট ইয়ানা। তাকিয়ে দেখে তার ভাইয়া তার মায়ের হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছে। রাগে ইয়াদের পুরো মুখ টমেটোর মতো লাল হয়ে গেছে আর রুবিনা বিষ্ময়কর চোখে ইয়াদের দিকে তাকিয়ে আছে।
ইয়াদ রেগে দাঁতে দাঁত চেপে চিৎকার করে বললো, সাবধান মিসেস রুবিনা কবির আমার বোনের গায়ে হাত তুললে সেই হাত আমি ভেঙে দিতেও দুমিনিট ভাববো না।
এক ঝটকায় রুবিনা কবিরের হাত ছেড়ে দিলো ইয়াদ। রুবিনা অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে ইয়াদের এমন আচরণে। তিনি বিশ্বাস করতে পারছে না এটা ইয়াদ। কখনো মায়ের উপর কথা না বলা ছেলেটা আজ মায়ের নাম ধরে কথা বলছে ? কীভাবে বিশ্বাস করবে রুবিনা ?
ইয়াসির হামিদ ধমক দিয়ে বলে উঠলো, ইয়াদ এটা কী ধরনের বেয়াদবি উনি তোমার মা হন। মায়ের সাথে কীভাবে কথা বলতে হয় সেটা তুমি ভুলে গেছো নাকি ?
ইয়াদ রুবিনার দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে বলে উঠে, জন্ম দিলেই মা হওয়া যায় না। কিছু মানুষ মা হওয়ার যোগ্যতাই রাখে না। কিন্তু উপরওয়ালা তাদেরই মা বানিয়ে দেয়। উনি যদি সত্যিকার মা হতেন তাহলে মাত্র ১০ বছরের ছোট একটা ছেলেকে এতো দূরে একা পাঠিয়ে দিতে পারতেন না কখনো।
ইয়াসির বলে উঠলো, সেটা তোমার ভালোর জন্য করেছে ইয়াদ।
ইয়াদ তাচ্ছিল্যের সুরে বলে, ওহ্ মিস্টার ডি কে, ইউ জাস্ট শাট আপ।
ইয়াসির অবাক হয়ে বললো, ডি কে হোয়াটস দ্যাট, ইয়াদ আমি তোমার বাবা হই।
ইয়াদ উত্তর দিলো না ইয়াসিরের দিকে তাকিয়ে রহস্যময় হাঁসলো।
———–
ইমা কৌতুহল নিয়ে বসে আছে। ইয়ানা চুপ করে যেতেই ইমা আবার অস্থির হয়ে উঠলো পরেরটা শোনার জন্য।
ইয়ানা বললো, সেদিন হঠাৎ করেই ভাইয়া এমন রাগি হয়ে গেলো। ভাইয়ার ধারণা হলো আমি বাবা-মায়ের কাছে ভালো নেই৷ তার দুদিন পরই আমাকে সাথে নিয়ে ইউকে ব্যাক করে ভাইয়া। তারপর থেকে ভাইয়ার রাগ কমার বদলে দিনদিন বাড়তেই থাকে। বাবা-মায়ের সাথে কথা বলা একদম বাদ দিয়ে দেয় তবে আমাকে কখনো কথা বলতে বাঁধা দেয়নি। ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম ভাইয়া মেয়েদের সয্য করতে পারে না। ভাইয়া কতো হ্যান্ডসাম সেটা তো জানোই, মেয়েরা মাছির মতো ভনভন করতো ভাইয়ার আশেপাশে আর তাতে সে আরো রেগে যেতো। পড়াশোনা, ক্যারাতে, পিস্তল চালানো, এক্সারসাইজ এসব নিয়ে পরে থাকতো সবসময়। তবে আমার খেয়াল রাখতে একটুও ভুলতো না। ভাইয়ার জন্য আমার কোনো মেয়ে ফ্রেন্ড ছিলো না কারণ সে বলতো মেয়েদের সাথে মিশলে আমিও ঐ মেয়েদের মতো নিকৃষ্ট হয়ে যাবো। দু একজন ছেলে ফ্রেন্ড ছিলো তবু নাম মাত্র ফ্রেন্ড আর বাকি সব ভাইয়াই ছিলো আমার। দেখতে দেখতে ভাইয়ার পড়াশোনা শেষ হয়ে যায় কিন্তু আমার পড়াশোনা তখনও বাকি আর ভাইয়া আমাকে সেখানে একা রেখে আসবে না তাই নিজের সাথে দেশে নিয়ে আসে আর এখনকার ভার্সিটিতে ভর্তি করে দেয়। আমার হাসিখুশি ভাইয়াকে আমি বারো বছর আগে হারিয়ে ফেলেছি। আজও জানি না সেদিন কী হয়েছিলো কেনো ভাইয়া এতো রেগে বাড়ি ফিরেছিলো আর কেনোই বা মেয়েদের সয্য করতে পারে না। ইশানকেও আমার মতো ভালোবাসতো ছোটবেলায় কিন্তু সেদিনের পর থেকে ইশানের সাথে ভালো করে কথাও বলে না। আমরা দেশে ফিরেছি তিন বছরের মতো হলো কিন্তু ভাইয়া আমি ছাড়া কারো সাথেই তেমন কথা বলে না। জানি না কী হয়েছিলো সেদিন তবে এক মুহুর্তে আমাদের পরিবারের রং পাল্টে গিয়েছে সেদিন।
কথা শেষ করে ইয়ানা দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লো। ইমা গভীর চিন্তায় পরে গেলো কী এমন হয়েছিলো সেদিন যাতে একটা হাসিখুশি মানুষ এমন হয়ে গেলো। কোনো বড় রহস্য লুকিয়ে আছে এর মধ্যে। যা হয়তো ইয়াদ আর এই পরিবারের বিশেষ কেউ ছাড়া আর কারো জানা নেই। আবার ইয়ানার গলার স্বরে ইমার ভাবনার সুতো ছিঁড়লো।
ভাইয়া তোমাকে সহজে মেনে নিবে না তবে একবার যদি তার মনে জায়গা করে নিতে পারো তাহলে ভালোবাসার সাগর খুঁজে পাবে। এই পৃথিবীতে ঘৃণা করার অনেক মানুষ আছে ভাইয়ার কিন্তু ভালোবাসার জন্য একমাত্র আমি ছাড়া কেউ নেই। তাই তুমি যদি একবার জায়গা করতে পারো তাহলে সুখের সীমা থাকবে না। আমার ভাইয়ার জীবনে প্রথম নারী তুমি তাই চেষ্টা করো তার মনে লুকিয়ে রাখা রহস্যের সন্ধান পাওয়ার। একবার তার রাগের কারণ খোঁজে বার করতে পারলে সহজে তার সমাধানও পেয়ে যাবে।
আরো কিছু সময় কথা বলে ইয়ানা চলে গেলো আর ইমার মাথায় ইয়ানার কথাগুলো ঘুরপাক খাচ্ছে। দু’দিনে ইয়াদ যা যা বলেছে তাই মনে করার চেষ্টা করছে কারণ ইয়াদের কথার মাঝেই হয়তো এই রাগের উৎস খোঁজে পাবে ইমা।
২০.
আজ দুদিন পর কলেজে যাচ্ছে কথা কিন্তু একটা রিকশাও পাচ্ছে না। এদিকে ক্লাসের সময় হয়ে যাচ্ছে তার।
বিরক্তি ভরা কন্ঠে কথা বললো, কেনো যে মায়ের সাথে রাগ করে গাড়িটা নেই না তার ঝাল আজ বুঝতে পারছি। রাস্তায় এভাবে দাঁড়িয়ে থাকার চাইতে হয়তো মায়ের দুটো তেতো কথা শুনাও ভালো হতো।
কথা উল্টো দিকে তাকিয়ে আছে রিকশার আশায় কিন্তু দেখা নেই। অনেক সময় তাকিয়ে থেকে সামনের দিকে তাকাতেই লাফ দিয়ে পেছনে সরে গেলো কথা। বুকে থু থু দিলো ভয়ের চোটে হার্ট বেড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম তার।
রাগী গলায় বললো, আপনি ?
ইশান কথার একদম কাছে দাঁড়িয়ে একটু ঝুঁকে কথার কাঁধের উপর দিয়ে কথার দৃষ্টি অনুসরণ করছিলো। কথা পেছনে ফিরতেই দুজনে একদম মুখোমুখি হয়ে যায় হয়তো এক ইঞ্চি দুরত্বও ছিলো না তাদের মাঝে। তাই ইশানকে এমনভাবে দেখে কথা ভয়ে লাফিয়ে পেছনে সরে যায়।
ইশান সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে একটু ভাব নিয়ে বললো, হ্যাঁ আমি।
কথা দাঁতে দাঁত চেপে বললো, হ্যাঁ আপনি সেটা আমিও দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু আপনি এখানে আর আমার এতো কাছে দাঁড়িয়ে কী করছিলেন ?
ইশান আগের ভঙ্গিতে বললো, আপনি এতোটা মনোযোগ দিয়ে কী দেখছিলেন সেটা দেখার চেষ্টা করছিলাম আর কী ? এক মিনিট আমি তোমাকে আপনি আপনি কেনো করছি ? পিচ্চি একটা মেয়েকে আপনি আপনি করছি। ইট’স নট ফেয়ার ইশান ভেরি ব্যাড।
কথা দাঁতে দাঁত চেপে ইশানের কথা শুনছে। ছেলেটা দেখতে অনেক হ্যান্ডসাম কিন্তু কথার একদম সয্য হয় না একে। কারণ এর অতিরিক্ত বকবক ভালো লাগে না কথার।
কথা বললো, আপনার বকবক শেষ ? এবার আপনি আসতে পারেন।
ইশান বললো, আরে পিচ্চি রেগে যাচ্ছো কেনো বলো তো ? কারো জন্য ওয়েট করছিলে নাকি ?
কথা বিরক্ত হয়ে বললো, হ্যাঁ আপনার খালুজান রিকশাওয়ালার জন্য ওয়েট করছি।
ইশান বোকা বনে গেলো কথার উত্তর শুনে। তার খালু তাও আবার রিকশাচালক, সিরিয়াসলি ?
কথা ইশানের অবস্থা দেখে মজা পাচ্ছে কিন্তু হাঁসতে পারছে না।
ইশান কথাটা একটু ভেবে উচ্চস্বরে হাঁসতে লাগলো। ইশানের হাসি দেখে কথা নিজেই এবার বোকা হয়ে গেলো। সে কী কোনো জোকস বলেছে ? কথা ইনডিরেক্টলি অপমান করলো তাও হাঁসছে আজব লোক তো।
ইশান হাসি মুখেই বললো, কোথায় যাবে চলো আমি ড্রপ করে দিচ্ছি।
কথা সিরিয়াস ভাবে বললো, ধন্যবাদ, আমার কারো হেল্প লাগবে না।
তখনই একটা রিকশা দেখতে পেয়ে কথা সেটাকে ডেকে এনে উঠে বসলো। ইশানের দিকে একবার তাকিয়ে চালককে বললো যেতে। কথা চলে গেলে ইশান সেদিকে তাকিয়ে থাকলো। মেয়েটাকে জালাতে ভালো লাগে ইশানের। এতো কম বয়সে এতোটা সিরিয়াস দেখে একটু বেশি জালাতে ইচ্ছে করে ইশানের। কথা বিরক্ত হয়ে কপাল কুঁচকে তাকালে সেটা দেখতে আরো ভালো লাগে। কেনো লাগে ইশানের কাছে তার উত্তর নেই। ইশান মুচকি হেঁসে গাড়ীতে উঠে সিট বেল লাগিয়ে নিজের গন্তব্যের দিকে রওনা হলো।
——
ইয়াদ বরাবরের মতো কপাল কুঁচকে কাজ করছে আর তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে রনিত। পকেটে তার ফোনটা অনবরত ভাইব্রেট করে যাচ্ছে। এখান থেকে গিয়ে ফোন রিসিভ করলে চাকরি থাকবে না আর রিসিভ না করলে গার্লফ্রেন্ড থাকবে না। টেনশনে রনিত এসি রুমে ঘামতে শুরু করেছে। ইয়াদের কোনো দিকে হুঁশ নেই সে মনোযোগ দিয়ে ফাইল চেক করছে। হঠাৎ ইয়াদের ফোন ভাইব্রেট করে উঠে টেবিলের উপর। ইয়াদ তাকিয়ে দেখে জাম্বীর নাম্বার।
রনিতের দিকে তাকিয়ে বলে, তুমি নিজের ডেস্কে যাও দরকার হলে ডাকবো।
রনিত মনে হয় আকাশের চাঁদ হাতে পেলো ইয়াদের বলতে লেট হলেও যেতে লেট হয়নি।
মনে মনে বললো, যে স্যারকে কল দিয়েছে তাকে সামনে পেলে একটা চুমু খেতাম এখন। এ্যা ছি এটা কী বলছি কে না কে তাকে চুমু খাবো ? এখন কথা বাদ দিয়ে গার্লফ্রেন্ডের কল রিসিভ করি নাহলে চুমুর বদলে ঝাঁটার বাড়ি খাওয়াবে আমাকে।
হ্যাঁ জাম্বী বলো কোনো সমস্যা ?
জাম্বী খুশি খুশি গলায় বললো, স্যার বারো বছর ধরে আপনি যাদের খুঁজছেন তাদের একজনের খোঁজ পেয়েছি স্যার।
চলবে,,,,