তুই আমার জানপাখি পর্ব-১৮

0
3034

তুই আমার জানপাখি
Faria Siddique
Part 18

বাসায় এসে দেখলাম আমার দুইভাই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতাছে।।।
আমি এই দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।।।।
আমাকে দেখে ভাইয়ারা আমার কাছে আসল।।।দুইজনে আমাকে জড়িয়ে ধরল।।
এবার আমিও কান্না করে দিলাম।।।।
আজ প্রায় ১০ বছর পর আমরা তিন ভাইবোন একসাথে হয়েছি।।।।
বিশাল আর জন গাল ফুলিয়ে দারিয়ে আছে।।।।
বিশালঃআমরা তো কেউ না।।।।।।
জনঃright…
আমিঃতোরা কে রে????(মজা করে)
বিশাল আর জন আমার দিকে রাগি দৃস্টিতে তাকিয়ে আছে।।।
কিন্তু আমি তো আমিই।।।।। ওদের আরও রাগাতে চাইলেও ভাইয়াদের জন্য পারলাম না।।।।
আমার দুইভাই তাদেরকে ডেকে আনল এবং সবাই মিলে গ্রুপ হাগ করলাম।।।
বড় ভাইয়াঃআজ থেকে আমরা ৫ ভাইবোন।।।
ছোটভাইয়াঃএকদম ঠিক।।
আমিঃতার মানে আমি ৪ ভাইয়ের একবোন।।।।।।কিন্তু তোমরা দুইজন এক হলা কেমনে?????

ফ্ল্যাশব্যাক



ছোট ভাইয়া অফিস থেকে বাড়িতে এসে দেখে বড় ভাইয়া বসে আছে।।।
ছোটভাইয়া ঃতুই আমার বাড়িতে কেন এসেছিস???? (চিল্লিয়ে রেগে)
বড়ভাইয়া কিছু না বলে এসে ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরল।।।।।
বড়ভাইয়া ঃআমাকে মাফ করে দে ছোটু।।।।।(কাঁদো কাঁদো গলায়)
ছোটভাইয়াঃকে ছোটু????আমি কারোর কিছু হই না।।।
বড়ভাইয়া ঃআমার ওপর বুঝি খুব অভিমান হয়েছে?????
ছোটভাইয়া ঃতুই কে যে তোর ওপর আমি অভিমান করব??????
বড়ভাইয়া ঃতুই কি জানিস মিথ্যা বললে তোর কান লাল হয়ে যায়?????
ছোটভাইয়াঃআমি মিথ্যা বলছি না।।।।।
বড়ভাইয়া ঃআমাকে মাফ করে দে না।।।। আর যে তোদের ছেড়ে থাকতে পারছি না।।।।
ছোটভাইয়া ঃসেটা যখন আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলি তখন চিন্তা করার দরকার ছিল।।।।।।
বড়ভাইয়া ঃএবারের মতো মাফ করে দে।।।আর কখনও এমন হবে না।।প্লিজ ছোটু।।।।
ছোটভাইয়া আর থাকতে পারল না।।।
বড় ভাইয়াকে গিয়ে জড়িয়ে ধরল আর বলল
ছোটভাইয়াঃআর কখনও আমাদের ছেড়ে যাবি না তো????
বড়ভাইয়া ঃবেচে থাকতে না।।।।।
আর তখনি আমি entry মারলাম।।।।।

বর্তমান




আমিঃএই হচ্ছে কাহিনী…………

আমি আর কিছু বলতে যাব তখনি দেখি সায়মা এসে হাজির।।।।
আর সায়মা জানে যে আমার ভাইয়ারা জমজ তাই কোন অসুবিধা হয় নাই।।
আর সায়মা ভাইয়াদের সাথে অনেক দুস্টামি করত ছোটবেলায়।।।।।
সায়মাঃআরে ভাইয়ারা কেমন আছ????
ছোট ভাইয়াঃআরে পেত্নী যে।।।।কেমন আছিস?????
বড়ভাইয়া ঃআরে আমাদের সেই ছোট পেত্নী যে এতো বড় হয়ে গেছে।।।
সায়মাঃ ভাইয়ারা ভালো হচ্ছে না কিন্তু….(গাল ফুলিয়ে)
বিশালঃআগে পেত্নী ছিল এখন মটি হয়ে গেছে।।।।।
সায়মাঃওই তোমার কি আমার পিছনে লাগা ছাড়া আর কোন কাজ নাই?????(রেগে)
বিশালঃযে যা তাকে তাই বলেছি।।।।।।
সায়মা এবার বিশালকে ফুলদানি নিয়ে তেড়ে গেল।।।।।
বিশালঃজানু আমাকে বাচা ওই মটির হাত থেকে।।।।।।
সায়মাঃওই দাড়া বলছি।।।।।
আমরা সবাই সোফায় গালে হাত দিয়ে বসে আছি।।।।।কারন আমাদের কথা এখন দুইজনের একজনও শুনবে না।।।।।
ওরা দৌড়াতে থাকল।।।।।।
আর আমরা বসে বসে মজা দেখতে লাগলাম।।।।
আমিঃবড় ভাইয়া তুমি আজ থেকে আমাদের সাথে থাকবা।।।।।
ছোটভাইয়াঃএকদম ঠিক।।।।
বড়ভাইয়া ঃজো হুকুম জাহাপানা’s।।।
ছোট ভাইয়াঃওদেরকে তো এবার থামা।।।।।।
আমি এবার ওঠে বিশালকে ধরলাম।।।।
আমিঃ সায়মা এবার থাম।।।।।আমার জানুটাকে রক্ষা দে….
সায়মাঃফারি বলছে বলে এবার ছেড়ে দিলাম।।।।।
বিশাল কিছু বলতে যাবে তার আগেই আমি থামিয়ে দিলাম।।।।
ছোটভাইয়াঃতা পেত্নী এবার বল হঠাৎ এলি কেন????
সায়মাঃশুনো কাল আমার ভাইয়ার গায়ে হলুদ।।।আর তারপর বিয়ে।।।তাই তোমরা আজকে সবাই আমার সাথে যাবে।।।
আমিঃআমরা কালকে যাব।।।।আজ না প্লিজ।।।।
সায়মাঃআমি কোন কথা শুনব না।।।।আমার সাথে আজকে সবাইকে যেতে হবে।।।।
সায়মা আমাদের কারোর কথা শুনল না।।। বাধ্য হয়ে আমাদের সবাইকে তার সাথে যেতে হল তার বাড়িতে।।।।।
আমার ওই বাড়িতে গিয়ে মনে পরল আমি বড়ভাইয়ার জন্য কোন শপিং এ করি নাই।।।।
তাই আমি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরলাম।।।।। শপিংমলে গিয়ে বড়ভাইয়ার জন্য ইচ্ছামত শপিং করলাম।।।।
ভাইয়ার জন্য হলুদের জন্য লাল পাঞ্জাবী কিনলাম আর বিয়ের জন্য কালো শেরওয়ানি কিনলাম।।।।
আর বৌভাতের জন্য সাদা শার্ট আর কালো প্যান্ট কিনলাম।।।
ছোট ভাইয়ার জন্যও আমি একই জামাকাপড় কিনেছি।।।।।
আমরা সবাই এককালারের জামা পরব।।।

সায়মার ভাইয়ার নাম মিরাজ আহমেদ সাগর।।।।।
আমি শপিং শেষ করে আসতেই দেখি মিরাজ ভাইয়া বসে আছে।।।।

চলবে……..