তুই আমার জানপাখি
Faria Siddique
Part 24
রুদ্রের মা বাবার সাথে দেখা করে আমি বাড়িতে চলে এসেছি।।।।।।
মা বাবা অনেক কান্না করতাছিল।।।।
আমি বাড়িতে এসে আমার রুমে গেলাম।।।
গিয়ে ফ্রেশ হয়ে তৈরী হয়ে নিলাম।।।
আমি তৈরি হয়ে রুশার কাছে গেলাম।।।
আমিঃকি রে রুশা তোর হল????
রুশাঃহুম।।।
আমিঃআচ্ছা আমি যাই গিয়ে দেখি মেহেকের হল কিনা।।।।
এই বলে আমি মেহেকের রুমে গেলাম।।।।
আমিঃমেহেক তোমার হল???
মেহেকঃহুম আপু।।।
আমিঃআচ্ছা তাহলে নিচে চল।।।ভাইয়ারা,বিশাল আর জন ওয়েট করছে।।।
মেহেকঃআপু সারা আপু আর সামিয়া আপু যাবে না????
আমিঃনা ওরা আরও পরে যাবে।।ওরা এখান থেকে পড়াশুনা শেষ করে যাবে।।।
মেহেকঃও আচ্ছা।।।
আমিঃহুম।।।এখন চল।।।
মেহেকঃহুম।।
আমি,মেহেক আর রুশা নিচে নেমে গাড়ি তে উঠলাম।।।।।
চোখ গেল আমার বাইকটার দিকে।।।।
মনে পরে গেল আমার আর রুদ্রের প্রথম ঝগড়ার কথা।।।।
রুদ্রের সাথে করা দুস্টামিগুলা।।।।
মনের অজান্তেই চোখের কোণায় পানি চলে আসল।।।।।
এসব ভাবতে ভাবতে আমরা এয়ারপোর্টে পৌঁছে গেলাম।।।।।
আমরা সবাই এখন প্লেনে বসে আছি।।।একটু পর আমাদের ফ্লাইট ছেড়ে দিবে।।।
আমার সিট সবার থেকে একটু দুরেই পরেছে।।।।
তাই আমি চুপচাপ বসে আছি।।।।
আমার পাশের সিটে একটা দাদু বসেছে।।।।
আমি দাদুর সাথে ভাব জমিয়ে ফেললাম।।।
ওনার নাম ইমতিয়াজ খান।।।।
উনি লন্ডনে ওনার নাতির কাছে যাচ্ছে।।।।
in london airport
আমরা সবাই নেমে আসলাম।।।।
দাদুও আমাদের সাথে নামল।।
ওনার নাতি আসবে ওনাকে নেয়ার জন্য।।।।
আমিঃকই দাদু তোমার নাতি যে এখনও এল না।।।।
দাদুঃ চলে আসবে।।।। তুমি আর কস্ট করে দারিয়ে থেক না।।।।আমি একা থাকতে পারব।।।।
আমিঃচুপ কর তো।।।তুমিই তো বললা তুমি এই প্রথম লন্ডনে এসেছ।।।।তাহলে যদি হারিয়ে যাও।।।।
আমাদের কথা বলার মাঝেই একটা কালো কোর্ট পরা লোক আসল।।।
আর দাদুকে বলল
লোকঃস্যার আমাদের পাঠিয়েছেন আপনাকে নেয়ার জন্য।।।
দাদুঃশান কোথায়???
লোকঃস্যার একটা মিটিং এ আটকে গেছে তাই আসতে পারবে না।।।।।
দাদুঃঠিকাছে চল।।।।
আমিঃআচ্ছা দাদু তাহলে আমি আসি।।।
দাদুঃতোমার সাথে কথা বলে খুব ভাল লাগল।।।।আবার দেখা হবে।।।
আমি আর কিছু বললাম না মুচকি হেসে গাড়িতে উঠলাম।।।।
ভাইয়ারা আগেই চলে গেছে।।।
ছোটআব্বু আমার জন্য আমার গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।।।।
তাই আমি আমার গাড়িতে করে বাসায় চলে গেলাম।।।।।
আজ রুদ্রের কথা খুব বেশি মনে পরছে।।।।কেন জানি না তাই বাসায় এসে কারোর সাথে কথা না বলে ওপরে আমার রুমে চলে গেলাম।।।।
ভাইয়ারা ছোটআব্বু আর ছোটমাকে সবকিছু আগেই বলেছে তাই ওরা আর কিছুই বলল না।।।।
আমি রুমে এসে দরজা বন্ধ করে রুদ্রের ছবি নিয়ে কান্না করতে লাগলাম।।।।
আমিঃকেন এমন হল আমার সাথে???কেন আল্লাহ আমার সাথে এমন করল???আমি আর কতো কস্ট সহ্য করব????
এসব বলে কান্না করতে করতে রুদ্রের ছবি জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে গেলাম।।।
রাত প্রায় ৩ টার দিকে আমার ঘুম ভাংলো।।
আমি ফ্রেশ হয়ে নিলাম।।।।
কালকে ভার্সিটিতে যাব।।।।।
প্রায় দুইবছর পর আমি আমার নিজের ভার্সিটিতে পা রাখব।।।।
আর ঘুমালাম না।।।।।
প্রোজেক্ট এর সব পেপার ঠিক করে রাখলাম।।।
যাওয়ার সময় নিয়ে যাব।।।।
সকাল ৮ টায় আমি রেডি হয়ে নিচে নামলাম।।
দেখি বিশাল আর জন ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে নাস্তা করছে।।।।।
আমি ওদের দেখে মুচকি হাসলাম।।।।
আমিঃতারাতারি নাস্তা কর লেট হয়ে যাব তো।।।।।আজকে আবার স্যারকে প্রোজেক্ট এর পেপারগুলা বুঝাতে হবে।।।।
বিশালঃখাচ্ছি তো
খাওয়া শেষ করে আমি,বিশাল আর জন ভার্সিটিতে গেলাম
চলবে………