তুই আমার পর্ব-১৩

0
1952

#তুই__আমার
#লেখাঃ সাফিয়া_জান্নাত_মুন
#পর্ব ১৩

(সবার জন্য আর এক পার্ট____)

——-কাব্য অপ্রাণ চেষ্টায় দৌড়ে চলেছে। কাব্য ঠিক কিচেনের সামনে আসতে দেখলো মেঘা ফ্রিজে খুলতে যাচ্ছে কাব্য দৌড়ে গিয়ে মেঘা কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো আর আচমকা কাব্যর হাত টা ফ্রিজের সাথে লাগতে কাব্য ছিটকে ফ্লোরে পড়ে গেলো এতো ভারী একটা মানুষ নিচে পড়ার শব্দ টা অনেক হলো।
মেঘা হুট করে ঘটে যাওয়া ঘটনায় কিছুই বুঝলো না। কাব্য পড়ে যাওয়ার শব্দ তার কানে আসতে দৌড় আসলো দেখলো কাব্য নিচে পড়ে আছে।
মেঘা ধীমিধিমি পায়ে কাব্যর কাছে এসে ধপ করে বসে পড়লো কাব্যর মাথা কোলে তুলে নিতেই।
প্রিয়তা কাব্য বলে দৌড় আসলো।

মেঘা কাব্যর কি হয়েছে?? কাব্য কথা বলছে না কেনো??

মেঘা শুধু প্রিয়তার কথা শুনে যাছে তার চোখ দিয়ে শুধু পানি পড়ছে সে কিছুই ভাবতে পারছে না তার কানে দিয়ে কোনো কথা ঢুকছে না। কাব্য এর দিকে এক ধ্যনে তাকিয়ে আছে মেঘা। অস্পষ্ট সুরে মেঘা বলছে, কাব্য এই আপনি শুনছেন?

কাব্য অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে কোনো নাড়াচাড়া করছে না।

মেঘা আরো ভয়ে ঘাবড়ে গেলো কাব্যকে আরো শক্ত করে ধরে ফেললো নিশ্বাস নিতে মেঘার অনেক কষ্ট হচ্ছে কি করবে এখন সে কাব্য তো কথা বলছে না তার সাথে সে তো চোখ খুলছে না। তার মাথায় একটা কথা ভাসছে এইসময়ে কাব্য হলে কত সুন্দর করে সব হ্যান্ডেল করতো।
মেঘা কাব্য বলে চিৎকার করে উঠলো মেঘার চোখ বয়ে পানি পড়ছে।

প্রিয়াতা মেঘাকে কাব্যর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলো। মেঘার চিৎকার চেঁচামেচি তে বাসার সবায় এসে উপস্থিত হলো।

মেঘার চোখের পানি ফোটায় ফোটায় কাব্যর মুখে পড়ছে।

মিসেস পুতুল চৌধুরী কাব্যর পাশে বসে হাত ঘোসাঘসি করছে আর আয়েশা বেগম কাব্যর পা ঘসে চলেছে। কেউ কোনো কথা বলছে না তাদের মনের মধ্য ভয়ের আনাগোনা হচ্ছে চোখ দিয়ে পানি চলে আসছে।

প্রিয়তা ধাক্কা দিয়ে মেঘা কে সরিয়ে দিলো হুট করে কেউও ধাক্কা দেওয়া মেঘা পরে গেলো ফ্লোরে মেঘার কোলে কাব্যর মাথা নিচে পড়তে ফট করে ধরে নিলো প্রিয়তা।
মেঘা উঠে বসতে কাব্য চোখ মেলো দেখতে চোখ ঘুরিয়ে মেঘাকে খুঁজার চেষ্টা করলো আর অস্পষ্ট স্বরে বললো মেঘা মেঘা কোথায়??
পাশ থেকে মেঘা ফট করে মেঘা কাব্যর হাত ধরে বললো আমি এখানে আছি।
কাব্য মাথা তুলে মেঘার দিকে তাকালো তারপর মুচকি হাসি দিয়ে সবাইকে বললো আমার কিছুই হয়নি আমি ঠিক আছি।

পুতুল চৌধুরী নিজের ছেলেকে বুকে টেনে নিলেন তিনি হালকা স্বরে কান্না করে উঠলো। কাব্য হালকা জরিয়ে ধরে বললো,, কিছুই হয়নি আমার মা তুমি কান্না করছো কেনো? আরে খালামনি তুমি কান্না করছো কেনো তোমাদের এতো ভালোবাসায় আমার কিছুই হতে পারে নাকি??
সবাই শান্ত হয় তো।

কি বলছিস কাব্য? শান্ত হবো তোর যদি কিছুই হয়ে যেতো।

মা আমার কিছুই হয়নি হালকা শর্ট খেয়েছি একটু।

তুই সেন্সলেস হয়ে গেছিলি কাব্য।

কাব্য উঠে দারালো প্রিয়তার হাত ধরে উঠে দারালো মেঘা ঠায় দারিয়ে মুখে আঁচল গুজে কান্না করছে। তার হুচকি উঠার উপক্রম হয়েছে।

কাব্যকে প্রিয়তা ধরে নিয়ে এসে হলরুমের সোফায় বসালো।
মেঘা ঠায় দারিয়ে আছে আজ যদি সত্যি কাব্য এর কিছুই হয়ে যেতে তখন কি হতো? আসলে সব আমার জন্য হচ্ছে আসলে আমি অপোয়া।
মেঘার কান্না থামচ্ছে না।
মেঘার কান্না দেখে নানী রেগে বললো,
এতো কান্না করছিস কেনো বাপু? এতো কান্না স্বামীর অকল্যাণ বয়ে নিয়ে আসে। সেটা জানিস না বুঝি?

আমি চুপ করে গেলাম কোনো মতো নিজের কান্না কে থামিয়ে দিলাম আবার যদি ওনার কিছুই হয়।

কাব্যর কানে নানীর কথা টা গেলো সে প্রিয়তার হাত
ছেরে উঠে আসলো আর নানী কে উদ্দেশ্য করে বললো,
কী গো নানী খালি আমার বউ টাকে কটূ কথা শুনায় কেন গো?? কত সুন্দর বউ আমার দেখো তো।

কাব্য মেঘার দিকে তাকাতে মেঘা কাব্য কে জরিয়ে ধরে কেঁদে উঠলো।
কাব্য রীতিমতো অবাক হয়ে গেলো মেঘার ব্যবহারে। কাব্য মেঘার মাথায় হাত দিয়ে বলছে আমার কিছুই হয়নি মেঘ দেখো কিছুই হয়নি দেখো আমি ঠিক আছি দেখো মেঘ।
অনেকক্ষন বুঝানোর পর মেঘা কাব্য কে ছেড়ে দিলো।
প্রিয়তা এগিয়ে এসে কাব্যর হাত ধরতে মেঘা ফট করে কাব্যর হাত ধরে নিয়ে বললো,
এখন ওনার রেস্টের প্রয়োজন প্রিয়তা আমি ওনাকে উপরে বেডরুমে নিয়ে যাচ্ছি।

মেঘার কথা কাব্য হালকা হেসে মেঘার হাত টা শক্ত করে ধরে ওর সাথে উপরে গেলো।

বেডরুমে নিয়ে এসে মেঘা কাব্যকে শুয়ে দিলো তারপর কাব্য এর জন্য বাথরুম থেকে এক বালতী পানি নিয়ে আসলো।
মেঘাকে দেখে কাব্য গোলগোল চোখে তাকিয়ে আছে। মেঘের কাব্যর দিকে তাকিয়ে বললো,
কি হলো??

তোমার কি হয়েছে বলো তো?

আমার আবার কি হবে?

আপনি পাঞ্জাবি টা খুলুন।

কাব্য মেঘার কথায় নিজের পাঞ্জাবি টা শক্ত করে ধরে বললো,
এই ২৫ বছরে আমার ভার্জিন টি কেউ কেড়ে নিতে পারেনি আর তুমি খুব সহজে আমার সব দেখে নিবে।

কাব্যর কথায় মেঘা লজ্জায় মাথায় নিচু করলো। ইশ কি লজ্জাজনক কথা টাই না অনয়াসে বলে দিচ্ছেন আসলে কি যে করি।
আমতাআমতা করে বললো, আসলে আমি আপনার গা টা মুঝে দিতাম অনেক গরম তো তাই।

মেঘ তুমি আমার গায়ে হাত দিয়ে দেখেছো??

আমায় আবার লজ্জায় ফেলে দিলেন। তবু এবার রাগি দৃষ্টি নিয়ে থাকাতে ওনি বাচ্চাদের মতো ভয় পেলো আমায়।
আমি ওনার পাঞ্জাবি টা খুলে দিয়ে পুড়া শরীর টা মুঝে দিলাম কতটা ফর্সা ওনি একদম দুধে আলতা গায়ের রং।
!
!
ওনি শুয়ে আছে আমি ওনার মাথার কাছে বসে আছি এমন সময় প্রিয়তার অভির্ভাব।

চলবে_____________________