#তোমার_হাতটি_ধরে
#পর্ব_২১
#Jechi_Jahan
আমি ভার্সিটিতে এসে অনেকক্ষণ হলো বসে আছি।আসলে আমি আজকে আশিকের জন্য অপেক্ষা করে বসে আছি।কালকে ওভাবে হুট করে চলে আসায় ওর জন্য কিনা গিপ্ট গুলো ওকে দিতে পারিনি তাই এভাবে অপেক্ষা করা।প্রায় অনেকক্ষণ হয়ে গেলো কিন্তু আশিকের আসার নাম নেই।আমি এবার গেটের দিকে তাকিয়ে দেখি লিনা আর আবির হেসে হেসে ভার্সিটিতে আসছে।ওদেরকে আসতে দেখে আমি দৌড়ে ওদের সামনে গিয়ে দাঁড়াই।
আমি-কিরে,,,কোথা থেকে আসছিস??
আবির-কোথা থেকে আবার বাসা থেকে।
আমি-ভাইয়া,,,প্রশ্ন টা আমি ওকে করেছি।
আবির-ওহ সরি।
আমি-বল কোথা থেকে এসেছিস???
লিনা-চাচার বাসা থেকে এসেছি কালকে আর আর বাড়িতে যাই নাই।
আমি-ওহহহ,,,আচ্ছা সরি হ্যাঁ।
লিনা-সরি কেনো??
আমি-কালকে আমি আর জোবান না হুট করে ওখান থেকে চলে এসেছি।এভাবে আসার কারণে তোকেও সাথে করে আনতে পারিনি তাই।
লিনা-আরে সমস্যা নেই,,,কালকে আমাকে আবিরই বাসায় পৌঁছে দিয়েছিলো।
আমি-ওহ,,,থ্যাংক ইউ ভাইয়া।
আবির-ওয়েলকাম।
লিনা-তুই আজ এতো তাড়াতাড়ি আসলি??
আমি-আশিক ভাইয়ার সাথে দেখা করার জন্য।
আবির-আশিকের সাথে কেনো দেখা করবা?
আমি-আসলে কালকে ওনার জন্য আমি গিপ্ট নিয়ে যাই।আর তাড়াতাড়ি আসার কারণে ওগুলা দিতে ভুলে গেছি।তো আজকে দিবো ভাবছি,,,
আবির-ওহ,,,ওর আজকে আসতে একটু দেরি হবে।
আমি-ওহ,,,আচ্ছা যখন আসবে তখন আমি দিয়ে দিবো।
আবির-আচ্ছা তোমরা থাকো আমি আসি।(বলে চলে গেলো)
আমি-লিনা।
লিনা-হুম।
আমি-আচ্ছা,,,আবির ভাইয়া না হয় কালকে পার্টিতে ছিলো বলে তোকে বাসায় পৌঁছে দিয়েছিলো।কিন্তু আজ তোকে কিভাবে ভার্সিটিতে পৌঁছে দিলো।
লিনা-তোকে কে বললো উনি আমাকে ভার্সিটিতে পৌঁছে দিয়েছে।
আমি-ওই আমি আরো আগে এসেছি ভার্সিটিতে বুঝেছিস।আমি না ভার্সিটিতে আবির ভাইয়াকে দেখেছি আর না ভার্সিটির বাইরে আবির ভাইয়াকে দেখছি।
লিনা-তোকে একটা সিক্রেট কথা বলবো।
আমি-তোর কত সিক্রেটই তো আমি জানি তো আবার নতুন কি।
লিনা-আরে শুননা।
আমি-তুই বলনা।
লিনা-কালকে না আবির আমাকে,,,
আমি-আবির কি,,,আবির ভাইয়া বল।
লিনা-দূর,,,তুই শুনবি।
আমি-আচ্ছা বল।
লিনা-কালকে আবির আমাকে আশিকের বাড়িতে,,,(বলে চুপ করে রইলো)
আমি-হইছে মা আর লজ্জা পেতে হবেনা।
লিনা-কালকে আবির আমাকে প্রপোজ করেছে।
আমি-কি??
লিনা-হুম।
আমি-তুই কি বললি??
লিনা-ও কি রিজেক্ট করার মত ছেলে নাকি।
আমি-ওয়াও,,,তাহলে তুমি মিঙ্গেল হ্যাঁ।
লিনা-দূর,,, কি যে বলিস না।
আমি-যত টুকু আমি জানি আমরা ওদের থেকে দূরে দূরে ছিলাম।তো ভাইয়া তোর জন্য এমন ফিলিংস কিভাবে আনলো।
লিনা-আরে আবিরের সাথে আমার কথা হতো।
আমি-কিভাবে??
লিনা-একদিন আবির আমাকে হুট করে ওর নাম্বারটা একটা কাগজে লিখে দিয়ে চলে যায়।কাগজটাতে ওর নাম্বারের সাথে রাতে যেনো ফোন দিই এটাও লিখা ছিল।তো আমি ওর কথা মতো রাতে ওকে ফোন দিই।তারপর আমরা কথা বলি।এভাবে প্রায় প্রত্যেক দিনই আমরা কথা বলতাম।হয়তো এভাবে কথা বলতে বলতে ওর আমার প্রতি ফিলিংস এসেছে।
আমি -(ওর কথা শুনে মুচকি হাসলাম)
লিনা-হাসছিস কেনো??
আমি-ভাইয়া তোকে আরো আগে থেকে ভালোবাসে।
লিনা-তুই কিভাবে বুঝলি।
আমি-গাধা ভাইয়া তোকে ভালো না বাসলে এমনি এমনি নাম্বারটা নিজ থেকে দিতো।
লিনা-নাম্বার দিয়েছে বলে কি ভালোবাসতো নাকি।
আমি-তুই একটা গাধা।
আমি আর লিনা বসে বসে গল্প করছিলাম এমন সময় আবির ভাইয়া আবার আমাদের সামনে আসে।
আবির-শিশির,,,আমার তোমার সাথে কথা আছে।
আমি-কি কথা বলুন।
আবির-লিনা,,তুমি একটু দূরে যাও।
আমি-ভাইয়া যা বলার ওর সামনেই বলেন।
আবির-এই কথাগুলো তোমাকে একলাই শুনতে হবে।
আমি-এমন করলে আপনার গার্লফ্রেন্ড কষ্ট পাবে।
আবির-তোমাকে বলেও দিয়েছে??
আমি-কত আগে।
আবির-ভালো,,,,যাই হোক আমি তোমাকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলতে এসেছি।
আমি-বলুন।
আবির-জানিনা কথাগুলো শুনার পর তোমাদের কেমন লাগবে কিন্তু তাও তোমাদের শুনতে হবে।
আমি-আপনি বলুন না।
আবির-শিশির আশিক তোমাকে ভালোবাসে।
আমি-কি???
আবির-হ্যাঁ ও তোমাকে এতই ভালোবাসে যে তোমার সংসার ভাঙতে উঠে পড়ে লেগেছে।
আমি-আপনি এসব কি বলছেন ভাইয়া।
লিনা-আবির তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে হয়তো।
আবির-আমার কোনো ভুল হচ্ছে না।আমি নিজের চোখে দেখেছি এসব।এবং কি আশিক আমাকে নিজে এসব বলেছে।
আমি-কি বলেছে উনি।
আবির-অনেক কিছু বলেছে,,,জানো আশিক তোমার অনেক বাজে ছবি পাঠিয়েছিল তোমার স্বামীর কাছে।হয়তো ওই ছবি গুলোর কারণে তোমার আর জোবানের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে কিন্তু ছবিগুলো এই কারণে পাঠানো হয়েছিলো।
লিনা-তাহলে ওই আশিক এই আশিক।
আবির-মানে।
লিনা-ছবিগুলোর জন্য শিশির আর ভাইয়ার মাঝে আসলেই ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে।
আবির-তুমি যে আশিকের কথা বললে।
লিনা-আসলে কিছুদিন আগে শিশির ভাইয়ার অফিসে ছিলো আর তখন একটা ছেলে এসে কিছু ছবি দিয়ে যায়।আর ছবিগুলো শিশিরের ছিলো তাও একটা ছেলের সাথে।তো শিশির ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারে ছেলেটা নাকি এসব ছবি আরো আগেও এনে দিয়েছিলো।তো শিশির বুঝতে পারে যে এই ছবিগুলোর জন্যই ভাইয়া ওকে ভুল বুঝছে।
আবির-তারপর কি হলো।
আমি-তারপর আমি এসব লিনাকে বললে ও বলে ছেলেটার খোঁজ করতে।যেদিন ছেলেটার খোঁজ করতে যাবো সেদিন আশিক ক্লাসের সবার কাছে আমার বিয়ের কথাটা ফাঁস করে দেয়।আমি সেদিন কি ভেবে আবার জোবানের অফিসে যাই।আর ওখানে গিয়ে দেখি ছেলেটা সেদিনও এসেছে।আমি ছেলেটাকে সেদিন জিজ্ঞেস করি যে কে তোমাকে দিয়ে এসব ছবি পাঠায়।ছেলেটা সেদিন বলে আশিক নামের একটা ছেলে এসব পাঠায়।
আবির-ছেলেটা ঠিকই বলেছে,,,আর তুমি জানো আশিক ভেবেছিলো তুমি আর জোবান গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড।প্রথমে ও তোমাদের ব্রেকআপ করানোর জন্য এমন করেছে।কিন্তু পরে যখন শুনেছে তোমরা স্বামী স্ত্রী তো এখন ও তোমাদের সংসার ভাঙ্গার চেষ্টা করেছে।
লিনা-আশিক ভাইয়া এমন করবে আমরা ভাবতেও পারিনি।
আবির-শিশির তুমি কি জানো জোবানের আগে একটা গার্লফ্রেন্ড ছিলো।
আমি-আপনি কিভাবে জানেন???
আবির-তুমি জানো???
আমি-আমি এ ব্যাপারে কালকে জেনেছি।
আবির-তো শুনো,,,জোবানের এক্স গার্লফ্রেন্ড হচ্ছে আশিকের বড় বোন তিশা।
আমি-কি???
আবির-হুম,,,আর জানো তিশা এখন জোবানের কাছে ব্যাক করতে চাইছে।আর তিশার এই চাওয়া তে আশিক ওকে সাহায্য করছে।
আমি-কিন্তু ওর না বিয়ে হয়ে গেছে।
আবির-না ডিভোর্স হতে চলেছে তাই জোবানের কাছে ব্যাক করতে চাইছে।আর তুমি যে বললে ভাইয়া কালকে তোমাকে নিয়ে চলে এলো।কেনো আনলো জানো কারণ তিশা কালকে ভাইয়াকে বলেছে ওর কাছে ব্যাক করতে।আর সবচেয়ে বড় কথা ভাইয়া তিশাকে দেখেই ওখান থেকে চলে এসেছে।
আমি-তাহলে আমি এখন কি করবো???
আবির-কিছুই করতে হবে না শুধু ভাইয়াকে তিশার থেকে দূরে রাখে।
আমি-তিশার থেকে দূরে রেখে কি লাভ খেলাটা তো প্রথমে আশিক শুরু করেছে।
আবির-তাহলে তুমি এখন কি করবে??
আমি-আশিক কে শিক্ষা দিবো।
আবির-দেখো আশিক তোমাকে ভালোবাসে তাই,,,,
আমি-ভালোবাসা মাই ফুট!!! শুধু উনি ভালোবাসলে হবে নাকি আমার ভালোবাসতে হবেনা।উনি একবার আমার মতামত না জেনে আমার সংসার ভাঙতে উঠে পড়ে লেগেছে।তার উপর নিজের বোনকে আমার স্বামীর গাড়ে চাপাচ্ছে।
আবির-শিশির আশিক আসছে।(গেটের দিকে তাকিয়ে)
আমি-আপনারা যান আমি ওর সাথে একটু কথা বলে আসি।(বলে আশিকের সামনে দাঁড়ালাম)
আশিক-শিশির তুমি??
আমি-কেমন আছেন???
আশিক-ভালো।তুমি??
আমি-আমিও ভালো আছি।
আশিক-কিছু বলবে??
আমি-আপনার সাথে একটু একা কথা বলতে চাই।
আশিক-চলো ভার্সিটির পেছনে যাই।(বলে আমাকে নিয়ে ভার্সিটির পেছনে আসলো)বলো কি বলবে।
আমি-আব,,,(বলে ব্যাগ থেকে গিপ্ট দুটো বের করলাম।)এগুলা আপনার জন্য।
আশিক-আমার জন্য।(গিপ্ট দুটো নিয়ে)
আমি-আসলে কালকে আপনার পার্টি থেকে হঠাৎ করে চলে আসায় গিপ্ট গুলো দিতে পারিনি।
আশিক-ওহ,,,তা দুটো গিপ্ট।
আমি-একটা আমার পক্ষ থেকে আরেকটা জোবানের পক্ষ থেকে।
আশিক-ওহ,,,থ্যাংক ইউ।
আমি-খুলে দেখেন।
আশিক-হুম।(বক্স দুটো খুলে)ওয়াও,,, এটা তো একটা ফোন আর ঘড়ি।
আমি-ফোনটা জোবানের পক্ষ থেকে আর ঘড়িটা আমি নিজে পছন্দ করে এনেছি।
আশিক-থ্যাংকস।
আমি-দিন আমি ঘড়িটা পরিয়ে দিই।(বলে ঘড়িটা নিয়ে আশিকের হাতে পরিয়ে দিলাম।)
আশিক-আবারও ধন্যবাদ।
আমি ঘড়িটা পরিয়ে অশ্রু চোখে আশিকের দিকে তাকালাম।আশিক আমার চোখে পানি দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।কিন্তু আমার আশিককে দেখে এখন রাগ লাগছে।নিজে তো প্রথমে আমার সংসার টা ভাঙ্গতে চেয়েছিলো আর এখন নিজের বোনকে আমার সংসারে পাঠানোর চেষ্টা করছে।আমি এবার রাগে দুঃখে আশিককে একটা থাপ্পড় মেরে বসি।এমন করায় আশিক আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
আশিক-শিশির তুমি।
আমি-চুপ,,,একটা কথাও বলবেন না।কি ভাবেন আপনারা ভাই বোন নিজেদের।ভাই অন্যের সংসার ভাঙতে চায়।বোন অন্যর সংসারে ডুকতে চায়।এসব কি হ্যাঁ,,,একবার কি ভেবে দেখেছেন এসব যে করছেন কবরে গেলে কি হবে।
আশিক-শিশির তুমি এসব,,,,,
আমি-আমি এসব কি বলছি,আমি এসব কোথায় থেকে জেনেছি তা আপনাকে জানতে হবেনা।শুধু এটা জেনে রাখুন,,,আমাদের পিঠ পিছে আপনারা দুই ভাই বোন যা প্ল্যান করেছেন না,,,ওগুলা একটা ও আমি সাকসেসফুল হতে দেবো না।(বলে যেই চলে আসতে লাগলাম ওমনি আশিক আমার হাতটা ধরে ফেললো)
আশিক-শিশির আমি সরি,,,আমি এত গভীরে গিয়ে চিন্তা করিনি তাই না বুঝে ভুল করে ফেলেছি।
আমি-কি বলেন এসব,,,এই আপনি কি ১১ বছরের বাচ্চা যে বুঝতে পারেননি।মজা করছেন আমার সাথে??একটা সংসার ভাঙতে উঠে পড়ে লেগেছেন আর আপনি বলছেন না বুঝে এমন করেছেন।
আশিক-শিশির আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও।
আমি-জানেন,,,আপনার ওই মিথ্যা ছবিগুলোর কারণে জোবান আমার সাথে পুরো পাঁচটা মাস ভালোভাবে কথা বলেনি।সেদিন আপনার ওই ছবিগুলোর কথা জেনে আমি বুঝতে পেরেছি আমি শুধু একা কষ্ট পাইনি জোবান ও কষ্ট পেয়েছে।আপনার বোন জোবানের বিশ্বাস নিয়ে এমন ভাবে খেলেছে যে উনি কোনো মেয়ের উপর বিশ্বাস করতো না।অবশেষে উনি আমাকে বিশ্বাস করে কিন্তু আপনার জন্য ওই ওই বিশ্বাস টাও ভেঙ্গে যায়।
আশিক-শিশির তুমি সব জানো??
আমি-হ্যাঁ আমি সব জানি আসলে কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি এসব সত্যি।জানেন আপসোস হচ্ছে কেনো এখনই সত্যি গুলো জানতে হলো আমার।জানেন আমি এতক্ষণ হাসি মুখে আপনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম গিপ্টটা দিবো বলে।আমি না কখনো ভাবিইনি যে আমি আপনাকে থাপ্পড় দিব।আসলে আপনি তো থাপ্পড়ের যোগ্য না আপনি হচ্ছেন ঘৃণার যোগ্য।
আশিক-শিশির প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও।
আমি-ওকে আপনাকে ক্ষমা করে দিলাম।কিন্তু একটা কথা,,,আমাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চেয়েছিলেন না এখন আর শত্রু হিসেবেও পাবেন না।(বলে ওনার কাছ থেকে এসে সোজা ভার্সিটির বাইরে চলে এলাম।বাইরে এসে গাড়িতে উঠে জোবানের অফিসের উদ্দেশ্যে বের হলাম।)
আমি জোবানের অফিসে এসে সোজা ওনার কেবিনে চলে গেলাম তাও নক না করে।কেবিনে এসে আমার দুটো চড়ক গাছ।জোবানকে একটা মেয়ে জড়িয়ে ধরে আছে আর জোবান মেয়েটাকে সরানোর চেষ্টা করছে।একে তো মাথা গরম ছিলো তার উপর এসব দেখে মাথা আরো গরম হয়ে গেলো।আমি তেড়ে গিয়ে মেয়েটাকে ধাক্কা দিয়ে জোবানের কাছ থেকে সরিয়ে দিলাম।আমার এমন হঠাৎ করে আক্রমণ করায় ওরা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।কিন্তু মেয়েটাকে দেখে আমার রাগ আর দ্বিগুণ হয়ে গেলো।
-চলবে।