#পাগলীর_ভালোবাসা (পর্ব ৩/শেষ)
#মেহেদী_হাসান_রিয়াদ
মন খারাপ করে বেলকনিতে বসে আছে ফারিণ। তার যখন খুব বেশিই মন খারাপ থাকে তখনই চুপচাপ বেলকনিতে বসে থাকে সে। হোক সকাল, বিকেল বা গভির রাত। নিরবে একাকি বসে থাকবে সেখানে। কাউকে কাছে ঘেসতে দিবে না। তখন একাকিত্বকেই সবচেয়ে আপন মনে হয়। এখনও তার ব্যতিক্রম না।
তন্ময় সোফায় বসে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছে। পাশে মামিও আছে। তন্ময় তার দিকে চেয়ে বলে,
“ফারিণের রিপোর্ট গুলো কোথায় মামি? সেগুলো একটু আমাকে দিন তো।”
কিছুটা কৌতুহল থাকলেও কারণ জিজ্ঞেস করলো না মামি। উঠে রুম থেকে রিপোর্ট গুলো এনে তন্ময়ের হাতে দিল। বেশ কিছু সময় ধরে সেগুলো দেখলো তন্ময়। অতঃপর সেগুলো ঠিকঠাক ভাবে রেখে অতঃপর বলে,
“ইন’শা আল্লাহ্, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পাবে সে।”
মামি কিছুটা বিষণ্ন মনে বলে,
“আর যদি কখনোই স্বাভাবিক অবস্থায় না ফিরে?”
উত্তরে তন্ময় শান্ত গলায় বলে,
“দেশে তার চিকিৎসা যথেষ্ট না হলে প্রয়োজনে দেশের বাইরে তার চিকিৎসা করাবো। সব রকম চেষ্টা করবো। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছে। তিনিই উত্তম পরিকল্পনাকারি। তিনি যেমনটা চাইবেন তেমটা নিয়েই ভালো থাকবো।”
কিছু বললো না মামি। এতক্ষণ তন্ময়ের দিকে চেয়ে থাকলেও এখন চুপচাপ অন্যদিকে ফিরে গেলেন তিনি। তন্ময়ের জন্য কিছুটা আফসোস হচ্ছে তার। সব ঠিকঠার থাকলে তাদের সম্পর্কটা কতই না সুন্দর হতো।
নিরবতায় প্রসঙ্গ পাল্টিয়ে তন্ময় বলে,
“আচ্ছা মামি, যাওয়ার আগে ফারিণের সাথে দেখা করে যাই। আশা করি এতোক্ষণে রাগ কমে গেছে।”
বলেই উঠে ফারিণের রুমের দিকে এগিয়ে গেলো সে। মামি তাকিয়ে রইল তার দিকে। কিছুই বুঝতে পারছে না। তন্ময়ের সাথে তো হাসি-খুশি ভাবেই বের হয়েছিল। কি এমন হলো যে ফেরার পর এত রেগে আছে। আর রেগে থাকলেও এমন শান্ত হয়ে আছে কিভাবে সে? অন্য সময় তো এতোক্ষণে সব এলোমেলো করে ফেলতো।
ফারিণকে রুমে না দেখে বেলকনিতে যায় তন্ময়। দেখে দেওয়ালের সাথে হেলান দিয়ে ফ্লোরে চুপচাপ বসে আছে। তন্ময় তার পাশে বসতেই উঠে গেলো ফারিণ। হেটে সেখান থেকে চলে যেতে চাইলেই তন্ময় হাত ধরে টান দিকে কোলে বসিয়ে নেয় তাকে। মুখের সামনে আসা চুল গুলো পেছনে গুজে দিয়ে গম্ভির মুখটার দিকে চেয়ে বলে,
“এত অল্পতেই এমন রেগে যাস কেন, হুম? আর রাগলেও এখন দুরে সরে থাকতে চাইছিস। ছোট বেলায় তো এমন ছিলি না। মনে আছে? আগে আমার সাথে রাগ করলে কিছুক্ষণ পর আবার নিজেই রাগ ভেঙে আমার কাছে চলে আসতি। কত বাচ্চামো করতি। তোর এই সব কিছুর মায়ায় পড়েছিলাম, এটা কি তুই জানিস? যে মায়া আমার কোনো দিনও কাটবে না।”
ফারিণ এখনো কিছু বলল না। বসে আছে চুপচাপ। এখন আর উঠে যাওয়ার জন্য জোর করছে না। তার নিরবতা দেখে তন্ময় বলে,
“ওকে ফাইন। আর কোনো মেয়ের সাথে কথাও বলবো না। নিজের পুরোনো কাছের বন্ধু হলেও না। এবার খুশি?”
এবার তন্ময়ের দিকে তাকালো ফারিণ। চেহারায় গম্ভিরতার ভাবটা আর নেই। মুহুর্তেই কিছুটা হাস্যজ্জল ভাব ফুটে উঠল।
তন্ময় পূনরায় বলে,
“এবার অন্তত একটু হাসো আমার ফারু পরী। যেন অন্তত যাওয়ার আগে তোমার সেই হাসি মুখটা দেখতে পাই।”
সত্যি সত্যিই এবার কিছুটা মুচকি হেসে ফেলল ফারিণ। তন্ময় সেদিকে মুগ্ধ নয়নে চেয়ে বলে,
“এই মুহুর্ত টা কতটা সুন্দর, তা যদি আমার জায়গা থেকে একটুও অনুভব করতে পারতে, সারাজীবন এভাবেই হেসে যেতে আমার ফারু পরী।”
,
,
সকালে বাসায় তন্ময়ের বিয়ের টপিক নিয়ে কথা হচ্ছে। বাবা-মায়ের দিকে চেয়ে তন্ময় স্বাভাবিক গলায় বলে,
“আমিও ভাবছি ফারিণকে বিয়ে করে নিব।”
তন্ময়ের মা সবে চায়ের কাপে চুমুক দিয়েছিল। ছেলের এমন কথা শুনে মুহুর্তেই কিছুটা বিষম খেয়ে কিছুটা চা মুখ থেকে ছিটকে নিচে পরে গেলো। তন্ময়ের বাবা পাশ থেকে এক গ্লাস পানি তার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,
“মনে হয় এটা তোমার জন্য কিছুটা চমকপ্রদ ছিল। এখন পানি খেয়ে নিজেকে শান্ত করে নাও।”
তন্ময়ের মা পানি খেয়ে শান্ত হয়ে বলে,
“একটা পাগলী মেয়েকে আমার ছেলের বউ করে আনবো! ইম্পসিবল। প্রয়োজনে তোকে বিয়েই করাবো না।”
তন্ময়ও একটু ভাব নিয়ে বলে,
“তুমি যখন চাইছো, তাহলে তাই হোক। বিয়ে না করেই থাকি। আমার কোনো সমস্যা নেই।”
মা আরেক দফা অবাক হয়ে বলে,
“ফারিণের সাথে দু’দিন থেকে এখন দেখি তোর মাথাও খারাপ হয়ে গেছে।”
বাবা কথার মাঝখানি পোড়ন কেটে বলে,
“আমিও ভাবছি ফারিণকেই তন্ময়ের বউ বানিয়ে আনবো। সারা জীবন তাকে বৌমা বলে ডেকেছি, এখন তোমার মতো নিজের মত পাল্টাতে পারবো না।”
“ছেলের সাথে এই বুড়ো বয়সে তোমার মাথাও পাগল হয়েছে।”
বাবা এত অল্পতেই রাজি হয়ে গেলো কেন তা মাথায় ধরছে না তন্ময়ের। যাই হোক। বাবা রাজি আছে এটাই অনেক। মায়ের দিকে চেয়ে বলে,
“বাবা ঠিকই তো বলছে। সে তোমার মতো সেলফিশ না। তুমি নিজেই তো আমাকে বলতে, কোনো মেয়ের দিকে যেন না তাকাই। ভাইয়ের মেয়েকেই বউ বানিয়ে আনবে। তখন থেকেই তো আমি তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে মেনে নিয়েছি। বাবাও তাকে এ বাড়িতে আসলে বৌমা বৌমা বলে ডাকতো। এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে এসব?”
মা একটা হতাশার নিশ্বাস ছেড়ে বলে,
“দেখ বাবা, এখন সময় পাল্টে গেছে। একটা পাগলের সাথে সংসার করতে পারবি তুই?”
তন্ময়ের সোজা উত্তর,
“আমার কোনো প্রব্লেম নেই। আমি পারবো।”
এক মুহুর্তের জন্য বাবা-ছেলের মাঝখানে নিজেকে গুরুত্বহীন মনে হলো তার। ছেলেকে বোঝাতে ব্যর্থ হলে, একটা হতাশার নিশ্বাস ছেড়ে সেখান থেকে উঠে চলে গেলেন তিনি।
,
,
কিছুদিন পর। ফারিণের সাথে তন্ময়ের বিয়েটা হলো পারিবারিক ভাবেই। তন্ময়ের বাবা রাজি থাকায় মা খুব একটা প্রভাব খাটাতে ব্যর্থ হলো। অতঃপর চুপচাপ মেনে নিল সব। বিয়ের আগে থেকে বিয়ে অব্দি আশেপাশে মানুষের সমালোচনা কানে আসলো তন্ময়ের। তন্ময়ের মতো একটা ছেলে, যে বাইরে থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছে। দেখতে শুনতেও ভালো। এমন সব দিক দিয়ে ফিট একটা ছেলে কিভাবে এমন পাগল মেয়েকে বিয়ে করছে? তাছাড়া এই মেয়েকে নিয়ে কিভাবে সংসার করবে সে।
এমন নানান কথা-বার্তা শুনলেও এসবে তেমন একটা কান দিল না তন্ময়। জীবনটা তার, অন্যদের না। অন্যের কথার উপর ভিত্তি করে জীবন চলে না।
তন্ময়ের মা ফারিণকে একটা সাজানো ঘরে রেখে গেলো। হাজার হোক, এক দিক দিয়ে ভাইয়ের মেয়ে। অন্য দিক দিয়ে এখন নিজের ছেলের বউ। অবহেলা করে খুব একটা লাভ হবে না। ভালোবাসাতেই সংসার সুন্দর হয়ে উঠে।
পিচ্চিটা আজ বৌ সেজেছে। বিয়ের সময় সবার মাঝে ভালো করে সেই সাজ দেখার সুজুগ হয়নি। এখন রাতের বেলায় অন্তত এসব ঝামেলা আর নেই। নিজের মানুষের নতুন সাজ মন ভারে দেখার উপযুক্ত সয়ম।
এসব ভাবতে ভাতবেই রুমে প্রবেশ করে বিষ্মিত হয় তন্ময়। ফুরো রুমের কোথাও ফারিণকে চোখে পড়ছে না। বিছানার মাঝখানে একটা কাগজ রাখা আছে। তার উপর একটা গোলাপ। সেদিকে চুপচাপ এগিয়ে গিয়ে কাগজটা হাতে তুলে নিল সে। যেখানে খুব সুন্দর গোছানো হাতের লেখা। এগুলো কি ফারিণই লিখেছে? প্রশ্নটা মুহুর্তেই জেকে বসলো মাথায়। ফুলটা এক হাতে নিয়ে চিঠি টা পড়ে শুরু করলো সে।
‘এই যে আমার ব্যাক্তিগত ভাল্লুক। প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমার করা বড়ো অপরাধটার জন্য। এখন হয়তো ভাবছের অপরাধটা কি? অপরাধটা হলো, সামান্য কিছু সময়ের অভিনয়। কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছেন হয়তো। তাই না? হুম, আমি পাগল নই। আমি জানি, যখন আমার এক্সিডেন্ট এর পর কিছু সময়ের জন্য মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলাম, তখন আপনাকে বিষয়টা জানানো হয়নি। হসপিটাল থেকে নিয়ে আসার পর তিন মাস এই সমস্যায় ভুগছিলাম। তারপর নিজেকে স্বাভাবিক অবস্থায় অনুভব করা শুরু করলাম। রিপোর্ট দেখে বুঝলাম তিন মাসে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়াটা অনেকটাই মিরাকল ছিল। তারপর হটাৎ শুনতে পাই, এক মাস পর আপনি দেশে ফিরছেন। তখনই আমার মাথায় এই দুষ্ট বুদ্ধিটা চেপে বসে। শুনেছি মানুষ সাক্সেস হওয়ার পর আগের তুলনায় অনেকটাই বদলে যায়। আমার খুব জানতে ইচ্ছে হয়েছিল, আমি যদি সারা জীবনের জন্য পাগল হয়ে যেতাম তাহলে কেমন হতো? যেই মানুষটা আমাকে এতটা ভালোবাসে, সে মানুষটা এমন অবস্থায় আমার সাথে কেমন আচরণ করতো। আমাকে একই রকম ভাবে ভালোবাসতো, নাকি দুরে ঠেলে দিয়ে নিজের জন্য পার্ফেক্ট কাউকে খুঁজে নিতো।
জানেন, এই মুহুর্তে আমার নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। কারণ আমি জীবনে আপনার মতো একজন বিশ্বস্ত ভালোবাসার মানুষকে পেয়েছি। যে আমার সব পরিস্থিতিতে আমাকে আগলে রাখবে। আমার জীবনে এর চেয়ে আর বড়ো পাওয়া কি হতে পারে বলুন তো।’
চিঠিটা পড়ে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে রইল তন্ময়। হটাৎ এমন কিছু দেখায় এক মুহুর্তের জন্য নিজের অবস্থান বুঝতে সক্ষম হচ্ছেনা সে। স্বপ্ন ভেবে নিজের গালে একটা চর বসালো। না, এটা বাস্তবই ছিল। হটাৎই পেছন থেকে একটা মেয়েলি কন্ঠস্বর ভেষে উঠে,
“এই যে, আমার ব্যাক্তিগত ভাল্লুক।”
তন্ময় পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখে ফারিণ। যে মুখে হাত দিয়ে হাসছে। এবারের হাসিতে অনেকটাই রাগ হলো তন্ময়ে। চিঠিটা তার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে রাগি দৃষ্টিতে চেয়ে বলে,
“এসব কি?”
ফারিণ হেসে বলে,
“একটা কাগজ। তার মাঝে কিছু লেখা।”
“তা তো দেখতেই পাচ্ছি। এসবের মানে কি?”
ফারিণ এবার তন্ময়ের কাছাকাছি এসে বলে,
“আপনি কি সত্যি সত্যিই রেগে যাচ্ছেন?”
তন্ময় পুনরায় রেগে বলে,
“এমন সিরিয়াস বিষয় নিয়ে মজা করার মানে কি?”
ফারিণ এবার স্বাভাবিক ভাব নিয়ে বলে,
“জানি খুব বেশিই করে ফেলেছি। স্যরি, আর কখনো এমন হবে না।”
“আমার প্রতি কি এতটাই সন্দেহ ছিল?”
“একটুও না। আমি এমনটা কখনোই ভাবিনি। আমার শুধু দেখতে ইচ্ছে হয়েছিল, আমাকে কতটুকু ভালোবাসেন।”
তন্ময় পুনরায় রাগি গলায় বলে,
“একটুও ভালোবাসি না তোকে। আজ রাত পার হলেই কাল সকালে সোজা বাপের বাড়ি চলে যাবি। আর কখনো আমার সামনেও আসবি না।”
ফারিণ এবার আহ্লাদী ভাব নিয়ে তন্ময়ের গলা জড়িয়ে মুখের কাছে মুখ এনে বলে,
“আচ্ছা ধরলাম আপনার কথামত আমি চলে গেলাম। আর ফিরলাম না। তারপর কি হবে? থাকতে পারবেন তো? রাগ চলে গেলে কয়দিন পর তো ঠিকই নিয়ে আসার জন্য শশুর বাড়িতে গিয়ে হাজির হবেন।”
তন্ময় ভালোই বুঝতে পারছে এই মেয়ের উপর খুব বেশি সময় রাগ ধরে রাখাটা অসম্ভব। তবুও চোহারায় কঠোরতা ধরে রেখে বলে,
“আমি কিন্তু সত্যিই রাগ করে আছি। একদমই মজা করছি না।”
ফারিণ একটু মুচকি হেসে বলে,
“আমার তো ভালোই লাগছে।”
এবার নিজেকে সত্যিই হতাশ মনে হলো তন্ময়ের। ফারিণ পুনরায় বলে,
“জানেন, এই বিষয়ে আমি ছাড়াও আরো একজন মানুষ জানতো।”
তন্ময় কৌতুহল নিয়ে বলে,
“কে সে!”
“আঙ্কেল।”
আরেক দফা অবাক হলো তন্ময়। ভ্রু কুচকে বলে,
” মানে বাবা?”
“হুম।”
“মানে এই গোপন চক্রান্তের সাথে বাবাও জরিত ছিল?”
“আঙ্কেল গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারে। তাই শুধু সে জানে এই বিষয়ে। আব্বু-আম্মুকে এ বিষয়ে বুঝতে দিলে এটা কখনোই গোপন থাকতো না। তাদের মেয়ে পাগল না, এটা সবাইকে জানাতে গিয়ে সব প্রকাশিত হয়ে যেত। আর আপনাকেও আমার এমন একটা সারপ্রাইজ দেওয়া হতো না।”
তন্ময় বলে,
“এটা এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে বাজে সারপ্রাইজ।”
ফারিণ হেসে বলে,
“তাহলে ভাবুন তো আপনি কত ভাগ্যবান। আটশো কোটি মানুষের মাঝে পৃথিবীর সবচেয়ে বাজে সারপ্রাইজটা শুধু আপনিই পেয়েছেন।”
তন্ময় কিছুটা আহত দৃষ্টিতে চেয়ে বলে,
“আমার সাথে এমনটা কিভাবে পরতে পারলি, ফারু?”
“আপনি আমাকে বলেছিলেন না, আপনার পাগলী? একটু পাগলামি না করলে পাগলী হবো কিভাবে?”
তন্ময় পূনরায় আহত দৃষ্টিতে বলে,
“আর কখনো এমন নিজেকে নিয়ে মিথ্যে বলে পাগলামো করিস না প্লিজ। আমার জন্য তোকে নিয়ে কিছু সহ্য করাটা খুব বেশিই কষ্টকর।”
ফারিণ এখনো তন্ময়ের গলা জড়িয়ে রাখা অবস্থায় চোখে চোখ রেখে বলে,
“সব মিথ্যের আড়ালে একটা ভয়ঙ্কর সত্য কি জানেন? আপনার পাগলীটা আপনাকে খুব বেশই ভালোবাসে। নিজের থেকেও বেশি।”
~ সমাপ্ত,,,,,,,,,,,,,